কান্না এবং আমি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১৪/০১/২০১৩ - ১০:৩৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

খুব ছোট বেলা থেকেই আমি পড়ুয়া। কিন্তু বই পড়ে প্রথম কাদার কথা মনে পরছে যখন ক্লাস ফাইভ এ সাতকাহন পরলাম। দিপাবলি যখন জানল যে ও adopted, তখন দিপার কষ্টে আমিও ভেউ ভেউ করে কাদলাম..ওর দৃঢ় মনোভাব, ওর চরিত্র আমাকে প্রচুর আকর্ষণ করত। আমি চাইতাম দিপার মত হতে। কিন্তু তখন ও জানতাম না যে দিপার ওই কান্নাটা আমাকেও যে কত অসংখ্য বার কাদতে হবে। মাত্র আড়াই বছর পর জানতে পারলাম যে দিপার মত আমিও adopted.দিপার মতই আমিও নাকি আমার খালাকেই মা বলে জানি...। আহ... কি কষ্ট!!! সেই রাতের কথা আমি ভুলতে পারিনা আজও। নানি যখন গভীর রাতে হটাত আমাকে বলল আজ তোকে তোর জন্মরহস্য বল্ব...উনি বললেন আর আমি শুধুই চোখের পানি ফেললাম। না, আমি শব্দ করে কাদতে পারছিলামনা...... নানি যদি কষ্ট পায়। সেই যে শুরু হল আজ ১৩ বসর পর ও আমি ওই রাতের কথা ভুলতে পারিনা। যখন কোথাও পড়ি কোন adopted মেয়ের কথা্‌, আমার বুক ভেসে যায় চোখের পানিতে। যখন দেখি কোন নাটক কিংবা সিনেমায় এরকম কোন মেয়ের কাহিনি দেখাচ্ছে, ওই মেয়ের সাথে আমি ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাদি্‌... না আমার বাবা মা আমাকে কখনও বলেনি যে আমি তাদের মেয়েনা...তারা কখনও এমন আচরণ ও করেনি্‌...... কিন্তু তাও যে কোথা থেকে কষ্টগুলো এসে ভীর জমায়... আর কেনই বা আসে......কে জানে।
শুধু কি এই ব্যাপার এ কাঁদি? তা কিন্তু না। যখন রোমান্টিক মুভি গুলো শেষে এসে tragedy হয়ে যায় তখন ও আমি ভেউ ভেউ করে কাঁদি।
টাইটানিক এ রোজ যখন জ্যাক এর হাত ছাড়িয়জায়...।আর জ্যাক আস্তে করে পানিতে ডুবে যায়... তখন আমার মনে হয় যেন আমার ভালবাসার মানুষটা আমার কাছ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে,কেদে অস্থির হয়ে যাই......অথচ বাস্তবে সেই মানুষটা এখনও আমার জীবনে এল না।
কি অদ্ভুত যে আমি......
আর আমার এই ছোট্ট জীবনে আমি নিজের দুঃখে যত না কেঁদেছি, আমার অসম্ভব প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদর বইয়ের চরিত্রগুলো আমাকে তার চেয়ে অনেক বেশি বার কাঁদিয়েছে...... রুমমেট রাও এখন অভ্যস্ত হয়ে গেছে গভীর রাতে আমি যখন কোন বই পরে হাউমাউ করে কাঁদি......তখন অবাক না হওয়ার। কিছু বই আসে যা আমি শুধু কাদার জন্যই বারবার পড়ি...... কখনও নিজের মন খারাপ থাকলেও কাদতে পারিনা। তখন ওই বইগুল আমাকে খুব সাহায্য করে...... পড়ি আর হারিয়ে যাই ওই চরিত্রের মাঝে...
কিন্তু আমি যে কটটা অদ্ভুত তার প্রমান পাই যখন নিজের কষ্টে আমার বেশি কান্না আসেনা... অথচ অন্যের চোখে পানি দেখলে আমার চোখে পানি আসতে সময় লাগেনা......

অদ্ভুত মেয়েটি


মন্তব্য

ব্রুনো  এর ছবি

Adopted এর বাংলা আছে তো! এমনকী ইংরেজী শব্দটা রাখলেও সেটা রোমান হরফে না লিখে বাংলাতে লিখতে পারতেন, যেমন ট্রাজেডী লিখতে পারতেন tragedy না লিখে। আসলে পুরা একটা বাক্য কোট করা থাকলে অন্য কথা নাহলে বাংলা লেখার মধ্যে হঠাৎ দু-একটা রোমান হরফে লেখা শব্দ কেমন যেনো লাগে!

কান্নাবহুল পোস্ট। টাইপো আছে কিছু। ভবিষ্যতে নিশ্চয় আপনার কাছ থেকে ভালো লাগা পোস্ট পাবো।

অদ্ভুত মেয়েটি এর ছবি

আমার ল্যাপটপ এ একটু সমস্যা আছে যার জন্য বাংলা ফন্ট উল্টা পাল্টা আসে। এটাই প্রথম লেখা। তাই অনেক ভুল আছে। আশা করি সময়ের সাথে আমি এবং আমার লেখা দুটাই পরিণত হবে। অনেক ধন্যবাদ ব্রুনো

তাপস শর্মা এর ছবি

অনেক বানান ভুল আছে, অগুছানোও লেগেছে, পাশাপাশি পরিসরে আরেকটু বড় হবার দাবিও রাখে। বানানের জন্যে প্রাথমিকভাবে অভ্র স্পেল চেকার ব্যাবহার করুন অনেকটা সহায়তা করবে

০২

প্রথম লেখা আপনার। এমন হতেই পারে। আশা করছি পরের লেখাটা গুছানো হবে হাসি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আশাকরি আপনার ল্যাপটপের সমস্যার সমাধান হবে, আশাকরি আপনি নির্ভুল বানানে লিখে যাবেন সচলায়তনে। শুভকামনা রইলো

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অদ্ভুত মেয়েটি এর ছবি

আমিও চাই ল্যাপটপ এর সমস্যা দূর হোক। অনেক কিছু করতে গিয়ে আটকে যাই। ধন্যবাদ সবাইকে শুভ কামনার জন্য। প্রতিটি মন্তব্যই আমার প্রেরণা। হাসি

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

লেখাটা আরেকটু বড় হলে আর গোছান হলে ভালো লাগত। হাসি
প্রথম লেখা হতেই পারে, ব্যাপার না।
আরও লিখুন। বানান ভুল নিয়ে সবাই আগেই বলে গেছে তাই আর কিছু বললাম না। চোখ টিপি

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

সাবেকা এর ছবি

হাসি

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

আরও লিখুন। গুছিয়ে।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

অদ্ভুত মেয়েটি এর ছবি

আশা করি সময়ের সাথে সাথে আমি এবং আমার লেখা আরও গুছানো আরও পরিণত হবে।সবাইকে তাদের মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। প্রতিটি মন্তব্যই আমাকে প্রেরণা দিচ্ছে আরও ভাল কিছু লেখার। সবাইকে সত্যিই হৃদয়ের গভীর থেকে ধন্যবাদ। লইজ্জা লাগে

কৌস্তুভ এর ছবি

সত্যি বলতে এই লেখাটা প্রথম পাতায় ছাপানোর কারণ দেখছি না। কনটেন্টে তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছুই নেই, বানানও দুর্বল। অদ্ভুত মেয়েটি, আরো অনেক ঘষামাজা দরকার আপনার লেখায়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।