চালে ক্যাডমিয়াম: কতটা সচেতন আমরা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ৩০/০৬/২০১৩ - ১০:০৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাংলাদেশের চালে আর্সেনিক এর খবর আমাদেরকে তেমন একটা নাড়া দেয়না, যতটা নাড়া দিয়েছে পশ্চিমা বিশ্বের গবেষকদের। আর্সেনিকের পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে ধানের মাঝে ক্যাডমিয়াম এর উপস্থিতি আমাদেরকে নতুন করে ভাবতে শুরু করাচ্ছে। কিছুদিন আগে প্রকাশিত এক গবেষনা প্রবন্ধ দেখা গেছে, বাংলাদেশের ধানের মাঝে পচুর পরিমাণে ক্যাডমিয়াম বিদ্যমান। বাংলাদেশের ধানে ক্যাডমিয়াম পাওয়ার ঘটনা বেশ নতুন হলেও জাপানের ধান ক্যাডমিয়ামের প্রাপ্তি অনেক দিন ধরে চলছে।

প্রথমে আসা যাক ক্যাডমিয়াম এর ভয়াবহতার দিকে। রসায়নের পর্যায়সারনীতে যদি ক্যাডমিয়ামকে খোঁজেন তাহলে একে পাওয়া যাবে ভারী মৌলদের তালিকায়। ক্যাডমিয়ামের সবছেয়ে ক্ষতিকর দিক হল এটি আর্সেনিকের মত প্রানীদেহে প্রথম শ্রেনীর কান্সার সৃষ্টিকারী একটি উপাদান। মূলত পরিবেশ দূষনের কারন মানব দেহে এটি প্রবেশ করে অনেকভাবে, তারমধ্যে খাবার দ্রব্য, কলকারখানার ধোঁয়া, খনির আকরিক আহরণের মাধ্যমে।

প্রথম উচ্চমাত্রার ক্যাডমিয়াম সম্বলিত চালের খোঁজ পাওয়া যায় জাপানে ১৯৫৯ সালের দিকে, সেই অনুসদ্ধানে দেখা যায় , ধানের বিদ্যমান ক্যাডমিয়ামের পরিমাণ ১ পিপিএম অন্তক্রম করেছে। আর এই উচ্চমাত্রার ক্যাডমিয়াম এর কারনে সেখানকার জন সাধারনের মধ্যে ইতাই ইতাই নামের এক রোগ ছড়িয়ে পরতে থাকে, চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলা হয়েছে osteomalacia।এই ঘটনার পরবতীতের জাপানের সরকার তরিঘড়ি করে ক্যাডমিয়াম সম্বলিত চালকে প্রধান খাদ্য হিশেবে ব্যবহার করা থেকে বিরত রাখে। ১৯৭১ সালের দিকে জাপানের কৃষি এবং বন মন্ত্রণালয় সারা দেশজুড়ে উচ্চমাত্রার ক্যাডমিয়াম সম্বলিত ধানের মাটি এবং চাল পরীক্ষা করা শুরু করে। এই জরিপের ভিত্তিতে দেখা যায় মূলত খনি থেকে আকরিক নিষ্কাশনের সময় দূষিত পানি ধান ক্ষেতের সেচ হিসবের ব্যবহার করা হয়। জিঙ্ক খনির কাছে অবস্থিত এক এলাকার চালে ক্যাডমিয়াম এর উপর এক গবেষণায় দেখা গেছে খনি থেকে প্রবাহিত পানির সাথে সেচের পানি মিশে যাওয়ার ফলে ধানের মাঝে ক্যাডমিয়াম পরিমাণ বেড়ে গিয়ে দাড়িয়েছে ০.০২ থেকে ১.৮২ পিপিএম। একই গবেষনাতে আরো বলা হয়েছে, খনি এলাকা থেকে দূরত বাড়ার সাথে সাথে চালের মাঝে ক্যাডমিয়ামের পরিমান কমতে থাকে।

পরবর্তিতে বিভিন্ন সময়ে দেখা গেছে , শুধু খনির আকরিক থেকে নয়, ধানের জমিতে অতিরিক্ত সারের ব্যবহারও ক্যাডমিয়ামের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। বিভিন্ন উচ্চ ফলনশীল এবং সাধারন ধানের মাঝে যখন ক্যাডমিয়াম এর মাত্রা পরিমাপ করা হয়, তখন দেখা যায় উচ্চ ফলনশীল ধানের ক্যাডমিয়ামের এর প্রমান যেমন বেশি থাকে তেমনি গাছের শিকড় থেকে ধানের শস্যে ক্যাডমিয়াম এর পরিমান তুলনামূলকভাবে বেশী মাত্রায় স্থানান্তিরত হতে থাকে। এই গবেষনাটি মূলত চালানো হচ্ছিল , ক্যাডমিয়াম নিরাপদ ধানের জাত খুজে বের করার জন্য। ২০০৬ সাল নাগাদ চিনের জাতীয় ফুড হাইজিন মান অনুযায়ী খাবারে সবোচ্চ পরিমাণ ক্যাডমিয়ামের মাত্রা নির্ধারণ করা হয় ০.২ মিগ্রা / কেজি । কিন্তু এর আগেই বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলের ধানী জমিতে চাষ করা ধানের ক্যাডমিয়ামের পরিমাণ অনেক বেশীর দেখা মেলে২।

এবার আসা যাক, চালে ক্যাডমিয়াম কিভাবে প্রবেশ করে। মূলত আমাদের উদ্ভিদ জগতের অধিকাংশ প্রজাতির কোন রকম নিজস্ব নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নেই,ভারী মৌল পরিবহনে বাধা দানের ক্ষেত্রে। যখন কোন ভারী মৌলের সংস্পর্শে গাছের শিকড় আসে তখন দরকারী মৌলের পাশাপাশি এইসব ক্ষতিকর মৌলগুলো গাছের ভিতরে প্রবেশ করে

সাধারনত, মাটিতে থাকা ক্যাডমিয়াম, আয়রন, এবং জিঙ্ক পরিবাহকের মাধ্যমে ধান গাছের ভিতরে প্রবেশ করে। পরবতীর্তে এই ক্যাডমিয়াম গাছের কান্ড থেকে গাছের উপরের দিকে অংশে জাইলেম কলার মাধ্যমে প্রবাহিত হতে থাকে। ছবিতে (ছবি ১)রেখা চিত্রের মাঝ পুরো বিষয়টিকে সোজা ভাবে ব্যাখা হয়েছে। আর গাছেরর উপরে দিকে ধানের শীষে এবং ধানের শস্যে ধীরে ধীরে এই ক্যাডমিয়াম জমা হতে থাকে।

সাম্প্রতিক যে গবেষনার ফলাফল, যে কারনে আমাকে পাঠক থেকে আবার সচল লেখকে ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া , সেই বিষয়টাকে এবার তুলে ধরছি। মোট ১২ টি দেশের উৎপাদিত ধানের ক্যাডমিয়াম এর মাত্রা এবং সেগুলো থেকে থেকে মানবদেহে ক্যাডমিয়াম এর কি পরিমাণে বিস্তারিত হ্য়, সেই বিষয়টিকে আলোকপাত করা হয়েছিল এই গবেষণা জরিপে। সেই ফলাফল বিশ্লেষন করে দেখা যায়, মূলত শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের ধানে মাত্রাতিরিক্ত ০.০৯ মিলিগ্রা/কেজি ক্যাডমিয়াম পাওয়া গেছে। আরো দেখা গেছে , বাংলাদেশে মানুষের প্রতি সপ্তাহে ভাত খাওয়ার পরিমাণ থেকে মানবদেহে ক্যাডমিয়ামের পরিস্থিতির এক সার্বিক চিত্র। এখানে দেখা গেছে বাংলাদেশে শিল্প কারখানার সংখ্যা কম থাকা সত্তেও প্রচুর ক্যাডমিয়ামের উপস্থিতি। গবষেকরা শংকা করছেন, মূলত প্রাকৃতিকভাবে ক্যাডমিয়ামের অবস্থান অথবা ধানের জাতগুলো ক্যাডমিয়াম পরিবহন উপযোগী। বাংলাদেশের কোন অঞ্চলগুলোতে এই ধানগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে সেই বিষয়ে অবশ্য কোন তথ্য দেয়া হয়নি, বাজারে প্রচলিত চাল, এবং মাঠ থেকে সংগ্রহ করা দুই ধরনের ধান থেকে এই গবেষনা চালানো হয়।

তবে, এই গবেষনার সবচেয়ে উল্লেখ্যযোগ্য দিক হলো প্রতি সপ্তাহে ঠিক কতটা পরিমাণে চালের সাথে ক্যাডমিয়াম খাওয়া মানব দেহের জন্য নিরাপদ সে বিষয়ে দৃষ্টি দেয়া হ্য় (সারনী ১)। জরিপকৃত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের মানুষ প্রতি সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি পরিমান ভাত খেয়ে থাকে। ধরা যাক , কোন জমিতে চালে ক্যাডমিয়ামের পরিমাণ অনেক বেশি এবং কৃষক সেই জমির ধান নিজেই খেয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে তার রেনাল সংক্রান্ত জটিলতা অনেক বেশি মাত্রায় দেখা যাবে। উল্লেখ্য জাপানে, এই একই স্বাস্থ্য মস্যা দেখা গিয়েছিল, যখন প্রথম বারের মত এই ক্যাডমিয়াম সমস্যা সবার নজরে আসে। বাংলাদেশে এই সমস্যা আরো বেশি হতে পারে এই আশঙ্কার কারন হিসেবে উল্লখ করা হয়েছে , এই অঞ্চলের মানুষের ভাতের প্রতি অতি মাত্রায় নির্ভরশীলতা।

কিভাবে হতে পারে এর থেকে পরিত্রাণ

সাম্প্রতিক গবেষণাটিতে, ধান কলের ছাটাই করাটাকে আরো মান সম্পন্ন ক রার মাধ্যমে ক্যাডমিয়াম এর পরিমাণ কমানোর কথা বলা হয়েছে। এছাড়া, ফসফেট সারের ব্যবহারের দিকে আরো সংযমী হতে বলা হয়েছে।

অন্যদিকে, বেশ কয়েক বছর আগে ফাইটোরেমেডিয়েশনকে এবং ধানের প্রজাতি নির্ধারণ করাকে অনেকে লাগসই প্রযুক্তি হিসেবে কাজে লাগিয়ে বেশ আশাব্যঞ্জক ফল পেয়েছেন। জাপানের কিছু এলাকার ধানক্ষেতে জাপোনিকা প্রজাতির ধানের বদলে পরের মৌসুমে ইন্ডিকা প্রজাতির ধানের চাষের মাধ্যমে তার পরের মৌসুমে জাপোনিকা ধানের শস্যে ক্যাডমিয়াম এর পরিমাণ শতকরা ৪৭ ভাগ কমানো সম্ভব হয়েছে। শুধু ধানের দানাতেই না, জমিতেও এক সাথে ক্যাডমিয়ামের পরিমান কমে গিয়েছিল ৩৮%। দক্ষিণপশ্চিম জাপানে এরকম ইন্ডিকা প্রজাতির ধানের চাষের মাধ্যমে জাপানি ধানে ক্যাডমিয়ামের পরিমাণ কমানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে। সেখানে অবশ্য, জমিতে ক্যাডমিয়ামের পরিমাণ কমেছিল মাত্র ১৮%।

আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে, এরকম আরেক প্রকৃতির ধান চাষের মাধ্যমে জমিতে ক্যাডমিয়ামের পরিমাণ কমানো মনে হ্য়না লাগসই প্রযুক্তি হবে। কারণ, ফাইটোরেমেডিয়েশন এর কাজে ব্যবহার করা ধানগুলোকে নষ্ট না করে বাজার বিক্রি করে দেওয়ার মত বুদ্ধি এদেশের মানুষের মাথায় গিজগিজ করে। তবে ধানের বদলে অন্য কোন অর্থকরী ফসল চাষ করে এই ধরনের প্রযুক্তির কার্যকারিতা দেখা যেতে পারে।

পরিশেষে, একটা কথা না বললেই না, যেহেতু আমি এই ধরনের গবেষণার সাথে জড়িত অনেক দিন ধরে। ক্যাডমিয়ামের তুলনায় আমাদের ধানে আর্সেনিক এর পরিমাণ অনেকাংশে ভয়াবহ। কিন্তু আমাদের সে ব্যাপারে কোন বিকার নেই। পাশের দেশ চিনে ইতিমধ্যেই চালে শুধু মোট আর্সেনিক নয়, অজৈব আর্সেনিক এর মাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছে।

কিন্তু আমাদের টনক নড়বে কবে ?

তথ্য সূত্র
১ Takijima, Y; Katsumi, F. 1973. Soil Sci. & Plant Nutri. 19(1): 29-38
২ Yi et al,. 2006. Sci. of the Tot. Environ. 370: 302-309
৩ Wang KR. 1997. Agro. Environ. Prot. 16: 274-278
৪ Clemens et al,. 2002. Trends in Plant Sci. 309-315
৫ Zhao et al,. 2013. Environ. Sci. & Tech. online
৬ Gant CA. 2008. Sci. of the Tot. Environ. 301-310
৭ Murakami et al,. 2009. Environ. Sci. & Tech. 43: 5878-5883
৮ Ibraki et al,. 2009. Soil Sci. and Plant Nutri. 55: 421-427

এই লেখাটি লেখকের লিখিত অনুমতি ছাড়া কোন প্রকার সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করা যাবেনা

আরিফিন সন্ধি

পাদটীকা


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

চালে আর্সেনিকের ব্যাপারটা জানতামই না, ভাবনাতেও আসেনি কখনো। এ নিয়ে লেখা পড়তে চাই।

চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ হিমু ভাই, এই লেখাটি আপনার মন্তব্যের কারনে লেখা। অনেক কিছু লেখার থাকলেও সময়ের অভাব, আর বুঝলাম না , আমার কাছে রিটার্ন মেইল আসছে না কেন চিন্তিত

ফুজিয়ামা এর ছবি

আমেরিকাতে বাচ্চাদের আপেল জুসেও নির্ধারিত মাত্রার থেকে বেশি আর্সেনিক পাওয়া গেছে। স্টোর ব্র্যান্ড থেকে শুরু করে নামকরা ব্র্যান্ডের জুসেও একই চিত্র।

অতিথি লেখক এর ছবি

শিশু খাদ্যে আর্সেনিক পাওয়ার বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসছে বেশ কয়েক বছর হলো।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

বিষয়টা একেবারেই অজানা ছিল। ধন্যবাদ, এটা নিয়ে লেখার জন্য।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনাকেও ধন্যবাদ হাসি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ছবিগুলো কেউ রিসাইজ করে দেন। পাতা ছাড়িয়ে গিয়েছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভুল হয়ে গেছে, কিন্তু এখন আর রিসাইজ করতে পারছি না অ্যাঁ

tokkhok এর ছবি

চালে কাডমিয়াম, ফলে ফরমালিন; পোলারে খাওয়ামু কি???????

আরিফিন সন্ধি এর ছবি

মন খারাপ

পথিক পরাণ এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে লেখাটির জন্য।

আমাদের দেশে কোন এলাকার চালে বেশি ক্যাডমিয়াম আছে- তা জানা গেছে কি? অবশ্য এটি জেনেও বিশেষ লাভ নেই। কারণ আমরা কোন এলাকার চাল খাচ্ছি তা জানা দুষ্কর।

চালে আর্সেনিকের বিষয়টি জানা ছিল না। এবিষয়েও কিছু লিখুন।

আরিফিন সন্ধি এর ছবি

আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য, সারা দেশজুড়ে ধানে আর্সেনিকের পরিমাণ নিরুপণ করার জন্য জরিপ ক রা দরকার। বাংলাদেশের আর্সেনিক উপদ্রত অঞ্চলগুলোতে এই রকম একটি গবেষণা চালানোর একটি পরিকল্পনা নিয়েছি।

দেখা যাক কত দূর যাওয়া যায়, সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো ফান্ড। পানিতে আর্সেনিক নিয়ে হৈ-চৈ হলেও ধানের ব্যাপারে সবাই কিছুটা চুপচাপ চিন্তিত

আলতাইর এর ছবি

বাঙ্গাল হয়া তাইলে ভাত খাওন বন করতে হইবো?? মান-সম্মান কিছুই তো থাকবোনা!! ঘোর কলি প্রভু......ঘোর কলি...

আরিফিন সন্ধি এর ছবি

মন খারাপ

রণদীপম বসু এর ছবি

আগে না-জেনে খেতাম, এখন জেনেশুনেই খাবো, তফাৎ মনে হয় এটুকুই। কেননা পরিত্রাণের উপায়টা এখনো অজ্ঞাত রয়ে গেলো ! কী জ্বালা !!

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

আরিফিন সন্ধি এর ছবি

পরিত্রাণের উপায় বের ক রার জন্যতো দাদা আমরা কাজ করছি। আর ক টা দিন সবুর করুন হাসি

সন্ধি

আরিফিন সন্ধি এর ছবি

এই আমরা শুরু করছি ভেজাল দিয়ে, তাই প্রকৃতির প্রতিশোধ নেয়ার পালা এখন

সন্ধি

guest_writer এর ছবি

খাদ্য,পানীয়,বাতাস সব কিছুতে ভেজাল। এমনকি সূর্যের আলোতেও নাকি অতি বেগুনি পাওয়া যায়। ঢাকার ইফতারির বাজারে মনে হয় এইজন্য বেগুনির দাম চড়া হয়।সব বেগুনি সূর্যদেব খেয়ে নিচ্ছে। অন্নপূর্ণা চালে ক্যাডমিয়াম আর আর্সেনিক মিলিয়ে দিচ্ছে।মিকাইলে বৃষ্টির পানিতে মিশায় এসিড!!
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
ঘোর কলিকালে হালা ফেরেস্তা, দেবতারাও ভেজাল দেয়!! তবু হালা ছাগুর দল ভগবানল্লার নামে কল্লা নামায়! ঘোর অমানিশা হে!! ভাগো বাহে কোনঠে সবাই? মাগার, কই যামু ভাইগা?

--মদন--

স্যাম এর ছবি

চলুক চলুক
আজ একটা আইন পাশ হল - খাদ্য নিরাপত্তা আইন ২০১৩। প্রয়োগ কেমন হয় দেখা যাক।

আরিফিন সন্ধি এর ছবি

কিন্ত এই টা ভেজাল মিশানোর জন্য, আর প্রকৃতির কারণে যেইটা হয়েছে, সেইটার কি হবে অ্যাঁ

কল্যাণ এর ছবি

আরোও যেসব ভাত খানেওয়ালা দেশ আছে যেমন বার্মা, থাইল্যান্ড বা কম্বোডিয়ায় কি অবস্থা?

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।