মোহমেঘে তোমারে দেখিতে দেয়না ( প্রথম পর্ব)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ২৫/০৩/২০১৪ - ২:১৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বনগাঁ এখনও জেগে উঠেনি পুরোপুরি। ভোর বেলা মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। সেই বৃষ্টিতে লতা পাতা, পাখির গা আর ঘরের চাল ধুয়ে চকচক করছে। রাতের বৃষ্টি দুঃস্বপ্ন, বিকেলের বৃষ্টি মন খারাপের বার্তা আর সকালে বৃষ্টি আনন্দ বয়ে আনে। বৃষ্টির পানিতে গোসল করে জবা, কুমড়ো ফুল আর ধানের সবুজ পাতায় সোনালী রোদের চিকচিকে হাসি খেলছে। মৃদু বাতাসে ঋষি মুণিদের মত ধানের ছটা গুলো এদিক ওদিক মাথা দোলাচ্ছে। ভারতের এই অংশটি বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী একটি গ্রাম। আধুনিকতা মানুষের হাতে হাতে চলে আসলেও জীবন চলার পথে তার ছাপ সুস্পষ্ট নয়। এখনও সোঁদা মাটির ঘ্রাণ এখানে পাওয়া যায়। ইলশে গুড়ি বৃষ্টিতে প্রকৃতির ভালবাসাকে বুকে টেনে নেয়া যায়। যশোর রোডের দুই পাশে সারি সারি বহু পুরাতন বৃক্ষগুলি একেবারে চলে গেছে বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলা পর্যন্ত। হয়তবা তার থেকেও বেশিদুরে ছিলো এই সারি সারি বৃক্ষ শোভিত পথ। কালের গ্রাসে আর মানুষের লোলুপ দৃষ্টিতে বাংলাদেশ অঞ্চলে এই বৃক্ষস্বজনদের অনেকেই কাটা পড়লেও বনগাঁতে বৃক্ষ গুলো আজও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে । কুটনৈতিক টানাপোড়ন, রাজনীতির বিভীষিকা কিংবা ধর্মীয় বিভেদকে আকাশ ফুঁড়ে উঠা বৃক্ষগুলো জিভ ভাঙ্গায় প্রতিদিন। আকাশ পথে দেখলে হয়ত একটা সরু রাস্তাই মনে হবে। যেখানে মানুষে মানুষের পার্থক্য শুধু কয়েক পাতার পার্স্পোর্ট।

সকালের রেল এখনও প্লাটফর্মে লাগেনি। আধা ঘন্টা পরে শুরু হবে প্রতিদিনের জীবন চলা। ১৮৮৪ সালে প্রতিষ্টিত এই রেলওয়ে রুটে এক সময় যাত্রী নিয়ে ছুটে চলতো বরিশাল এক্সপ্রেস। ১৯৪৭ সালের দেশ ভাগের পরে শুরু হয় যাত্রী আর পণ্য সেবা। অনেক চড়াই উৎরাই পার হয়ে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত টিকে ছিলো বাংলাদেশ-ভারত পণ্য পরিবহন। আবার বন্ধ। মানুষের সম্পর্ক বন্দী হয়ে গেলো ধর্ম, রাজনীতি কিংবা সীমান্তনীতির লাল ফিতায়। মুকুন্দ বাবু এই বনগাঁ রেল ষ্টেশনের ষ্টেশন মাষ্টার।

মুকুন্দ বাবুর বয়স গত মাসে পঞ্চাশে পড়েছে। শরীরের গাঁথুনি এখনও অটুট। বন্ধুরা হিংসা করে বলে,
- রোজ রাতে কিশোরী মেয়েছেলে কেটে রক্ত খাস কি রে মুকুন্দ? চামড়ায় একেবারে ট্যাশ খাচ্ছে না। কি করছিস আজকাল বলতো?
মুকুন্দ বাবু হাসেন। দীর্ঘ কুড়িটি বছর শাকাহারী তিনি। সকালে উঠার অভ্যাস। বিকেলে হাঁটাহাঁটি এইসবই তাকে সবল রেখেছে। । প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রীর ভীড় না দেখলেও কম চাপ সইতে হয়না। এত কিছুর পরেও শরীর আর মনকে ঠিক রেখেছেন সংসারের কারণে। একটিই মাত্র মেয়ে তার। অরুণিমা। মেয়ের বয়স সবে উনিশে পড়েছে।

কুড়ি বছরের মুকুন্দ বাবুর সাথে আরতি দেবীর বিয়ে হয়েছিলো হঠাত্‍ করেই। বার বছরের আরতি দেবীকে ঘরে তুলে মুকুন্দ বাবু পড়ে গেলেন মহা বিপদে। এই মেয়ের গায়ের শাড়ি শরীর গলে পড়ে যায়। শুধু শাড়ি পরাতেই অপটু না; রথে যেতেও এই মেয়ে বায়না ধরে। ঘরের বউকে কিভাবে সাইকেলে চড়িয়ে রথে নেবেন মুকুন্দ বাবু ভেবে কুল পাননা। গ্রামে তাকে সবাই চেনে। আবার না নিয়ে গেলে উঠোনে পা ছড়িয়ে বিলাপ করে কাঁদবে। মুকুন্দ বাবুর বিধবা মা এসব দেখে হাসেন। ঘরের ভেতর থেকে হাঁক ভেসে আসে
-মুকু বলি ও মুকু। বের হয়ে গেলি নাকি?
-না মা। দেখোনা তোমার বউ মা করছেটা কী? মান সম্মান আর কিছুই থাকলোনা ।
-তা সাথে নিয়ে যা না বজ্জাত ছেলে। দু’ টাকার সন্দেশ কিনে হাতে দিয়ে দে। এমন পয়মন্ত মেয়ে পাবিরে হতচ্ছাড়া?

আরতি দেবী সত্যি সত্যি পয়মন্ত নারী। বিয়ের একমাসের মাথায় বনগাঁ রেলষ্টশনে চাকরী হয়ে গেলো মুকুন্দ বাবুর। পরিণত বয়সের স্ত্রী হলে একথা শুনে অন্যভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাতেন। আরতি দেবী তা দেখাতে পারলেন না। তিনি তার ফ্রকের কোণা দুই আঙ্গুলে পেঁচাতে পেঁচাতে বললেন,

-ইষ্টিশন মাষ্টার কী গো বাপু?
-তুমি বুঝবেনা।
-আমার বুঝে কাজ নেই। তুমি কি রেল চালাবে নাকি হ্যাঁ?
-না। অফিসে বসে থাকবো।
-ও তা আমাকে পয়মন্ত বলছো কেনো ? আমি কী করলাম?
-আহ্‌ আরতি! বুঝবেনা তুমি। বলো কী চাও তুমি?
-রথে নিয়ে যেতে হবে কালকে। পুতুল কিনে দিতে হবে। একদম ধমক দেবেনা বললাম।

মুকুন্দ বাবু হেসে ফেললেন। কুড়ি বছরের টগবগে একটি ছেলের কেন যেন বার বছরের এই ফ্রক পড়া বউটার প্রতি ভীষণ মায়া জন্মে গেলো। আরতি দেবী পুতুল খেলতে খেলতেই একদিন একটি পুতুলের জন্ম দিয়ে দিলেন। মুকুন্দ বাবু আর আরতি দেবীর সংসার আলো করে এলো অরুণিমা।

Shah Waez (শাহ্‌ ওয়ায়েজ।)
Facebook

..............................................................................................
কোথাও নেই ঝুমঝুম অন্ধকার
তক্ষক ডাকা নিশুতিতে
রূপকথা শুনে শিউরে উঠে না গা
স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ ছড়ায় না শিউলি ফুল
আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল


মন্তব্য

মেঘলা মানুষ এর ছবি

পর্ব বেশি ছোট হয়ে গেল কি?
পরেরটার অপেক্ষায় থাকলাম আমরা পাঠককুল।

আরেকটা জিনিস, বরিশাল এক্সপ্রেস বলে কি কিছু আদৌ ছিল? বরিশালের দিকে রেলপথ নেই (ছিল না) বলেই শুনেছি।

শুভেচ্ছা হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

মেঘলা মানুষ, অনেক ধন্যবাদ। আসলে উইকী সুত্রে তথ্য বলে ১৮৮৪ দিকে প্রতিষ্টিত বনগাঁ রেল ষ্টেশন থেকে ট্রেন আসতো যেটার নাম ছিলো বরিশাল এক্সপ্রেস। সেইজন্যেই নামটা দেয়ার লোভ সামলাতে পারিনি। আর হ্যাঁ পর্ব আকারেই আসবে। এবারের পর্বে ভুল করে ''চলবে'' কথাটা লেখতে ভুলে গেছি। ভাল থাকবেন হাসি

Shah Waez (শাহ্‌ ওয়ায়েজ।)
Facebook

..............................................................................................
কোথাও নেই ঝুমঝুম অন্ধকার
তক্ষক ডাকা নিশুতিতে
রূপকথা শুনে শিউরে উঠে না গা
স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ ছড়ায় না শিউলি ফুল
আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল

মাহবুব ময়ূখ রিশাদ এর ছবি

শুরুটা ভালো লাগল। পর্ব হিসেবে দিবেন? তবে মনে হয় পর্বটি আরো বড় হলে ভালো হতো। শুরুর আগেই শেষ হয়ে গেল এই পর্ব মনে হচ্ছে

------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

অতিথি লেখক এর ছবি

রিশাদ ময়ূখ, ধন্যবাদ ভাইয়া। হ্যাঁ পর্ব আকারেই আমি লেখছি। আসলে ওয়ানডে ম্যাচ টাইপের গল্প লেখার যোগ্যতা এখনও অর্জন করিনাই। আপাততো টেষ্ট নিয়েই আছি। ভাল থাকবেন ভাইয়া।
Shah Waez (শাহ্‌ ওয়ায়েজ।)
Facebook

..............................................................................................
কোথাও নেই ঝুমঝুম অন্ধকার
তক্ষক ডাকা নিশুতিতে
রূপকথা শুনে শিউরে উঠে না গা
স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ ছড়ায় না শিউলি ফুল
আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল

রংতুলি এর ছবি

চলুক লেখা খুব সাবলীল। ভালো লাগলো। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।

অতিথি লেখক এর ছবি

রংতুলি, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।ভাল থাকবেন।
Shah Waez (শাহ্‌ ওয়ায়েজ।)
Facebook

..............................................................................................
কোথাও নেই ঝুমঝুম অন্ধকার
তক্ষক ডাকা নিশুতিতে
রূপকথা শুনে শিউরে উঠে না গা
স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ ছড়ায় না শিউলি ফুল
আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল

এক লহমা এর ছবি

পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম
(তাড়াহুড়োর কি দরকার? বানান, শব্দের জুড়ে যাওয়া এই সব একটু নজর করে ঠিকঠাক করে নিলে পড়ুয়ার পক্ষে আর একটু ভাল লাগত! হাসি )

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

অতিথি লেখক এর ছবি

এক লহমা, তাড়াহুড়ো ছিলো। অস্বীকার করার উপায় নেই। বিশেষ করে শেষের দিকে কিছুতেই একটা কিছু রেখে শেষ করতে পারিনি। আসলে মনেই আসছিলো কী লিখলে ভাল লাগবে বা কোন লেখাই ভালো লাগছিলোনা। বানান ভুল থেকে বের হয়ে আসতে পারছিনা। দেশেও নেই যে বানান শেখার বই কিনবো। শব্দের জুড়ে যাওয়াটা বোধহয় নিজের অজান্তেই ঘটেছে। আগামি পর্বে সতর্ক থাকবো। ভাল থাকবেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
Shah Waez (শাহ্‌ ওয়ায়েজ।)
Facebook

..............................................................................................
কোথাও নেই ঝুমঝুম অন্ধকার
তক্ষক ডাকা নিশুতিতে
রূপকথা শুনে শিউরে উঠে না গা
স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ ছড়ায় না শিউলি ফুল
আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

"আরতি দেবী পুতুল খেলতে খেলতেই একদিন একটি পুতুলের জন্ম দিয়ে দিলেন" - চমৎকার শব্দচয়ন, মুগ্ধ হয়ে গেলাম। কিন্তু শেষে এভাবে হুট করে থেমে যাওয়াটা ভালো লাগলো না।

পর্ব হিসেবেও বেশী ছোট হয়ে গেলো না? শুরু করতে না করতেই শেষ! বড্ড অতৃপ্তি থেকে গেলো যে ওয়ায়েজ ভাই। পরের পর্বগুলোর সময়ে একটু খেয়াল রেখেন এই দিকটাতে।

"রক্ত খাস কি রে মুকুন্দ" এটা মনে হয় রক্ত খাস না কি রে মুকুন্দ হবে। এরকম আরো কয়েকটি জায়গায় হোঁচট খেলাম। এক লহমা দাদার মন্তব্যটা অনুসরণ করুন, চমৎকার হবে।

ধন্যবাদ।

____________________________

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ, অনেক ধন্যবাদ ভাই। ভুল গুলো হয়েছে সবই তাড়াহুড়ো করতে যেয়ে। এখন থেকে অবশ্যই বিষয় টি খেয়াল রাখবো। আর হ্যাঁ, একটু ছোট হয়েছে। এটা তাড়াহুড়ো আর ভাষা খুঁজে না পাওয়ার ফল। আসলে এইসব এক্সকিউজ দিলে হবেনা তাও জানি। যেহেতু এডিটের সুযোগ নেই তাই চেয়ে দেখা ছাড়া উপায় নেই ভাই। অনেক ধন্যবাদ সময় করে পড়ার জন্যে। ভাল থাকবেন হাসি

Shah Waez (শাহ্‌ ওয়ায়েজ।)
Facebook

..............................................................................................
কোথাও নেই ঝুমঝুম অন্ধকার
তক্ষক ডাকা নিশুতিতে
রূপকথা শুনে শিউরে উঠে না গা
স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ ছড়ায় না শিউলি ফুল
আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

পর্ব নিয়ে সবাই বলে ফেলেছে, আমি আর কিছু বললাম না । এক লহমা দাদাভাইয়ের কথা মাথায় রাখলেই চলবে।
এটা কি বড় গল্প নাকি উপন্যাস হিসেবে লিখবেন ঠিক করেছেন ... বেশ লাগল কিন্তু পড়তে। হাসি

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

অতিথি লেখক এর ছবি

সাফিনাজ আরজু, অবশেষে আপনি দেখলেন লেখাটা। আমি আসলে কয়েকজনের মতামতের জন্যে ব্যাকুল হয়ে প্রতীক্ষা করি। তাদের মধ্যে নিঃসন্দেহে একজন। আমি পর্ব হিসেবেই লিখবো। সত্যি কথা বলতে গেলে উপন্যাস সমন্ধ্যে আমার কোন ধারণা নেই। সেটা বোধহয় অনেক দুরের ব্যাপার। আপাততো লেখা শিখি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকবেন হাসি

Shah Waez (শাহ্‌ ওয়ায়েজ।)
Facebook

..............................................................................................
কোথাও নেই ঝুমঝুম অন্ধকার
তক্ষক ডাকা নিশুতিতে
রূপকথা শুনে শিউরে উঠে না গা
স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ ছড়ায় না শিউলি ফুল
আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল

আয়নামতি এর ছবি

শিরোনামটা এত্ত প্রিয় গানের পছন্দ না করে যাই কোথায় হাসি
সবাই সব বলে ফেলেছেন, আমার জন্য কিচ্ছুটি রাখা হয়নি ওঁয়া ওঁয়া
যখন এডিটিং এর সুবিধা পাবেন তখন তখন টাইপোসহ ছোট্ট ত্রুটিগুলো শুধরে নেবেন।
একটু পণ্ডিতি করে যাই শেষবেলায়, বিদেশি ভাষায় 'ষ' হবে না সরাসরি 'স' বসিয়ে দেবেন
পোস্ট, স্টেশন, মাস্টার ইত্যাদি এইটুকু মনে রাখলেই দেখবেন অনেক টাইপো কমে যাচ্ছে চাল্লু
কাপড় পরে, বই পড়ে এটা নিয়ে আপনি খুব বেশি হ্যাপা করেন কিন্তু! এর পর ফাইন করা হবে রেগে টং
পরের পর্ব বড় করে দেবার আব্দার থাকলো।

অতিথি লেখক এর ছবি

আয়নামতি, এই খুব সকালে পরিচিত মুখগুলো দেখতেই ভালো লাগে। অবশ্যই আপনার সব কথাকে মাথাতে নিয়ে নিলাম। অনেক ভাল থাকবেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে হাসি

Shah Waez (শাহ্‌ ওয়ায়েজ।)
Facebook

..............................................................................................
কোথাও নেই ঝুমঝুম অন্ধকার
তক্ষক ডাকা নিশুতিতে
রূপকথা শুনে শিউরে উঠে না গা
স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ ছড়ায় না শিউলি ফুল
আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল

তাহসিন রেজা এর ছবি

বেশ লাগল কিন্তু পড়তে। খুব সুন্দর সাবলীল গল্প বলার ঢং। পরের পর্বের অপেক্ষায়।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”

অলীক জানালা _________

অতিথি লেখক এর ছবি

তাহসিন রেজা, অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। ভাল থাকবেন হাসি

Shah Waez (শাহ্‌ ওয়ায়েজ।)
Facebook

..............................................................................................
কোথাও নেই ঝুমঝুম অন্ধকার
তক্ষক ডাকা নিশুতিতে
রূপকথা শুনে শিউরে উঠে না গা
স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ ছড়ায় না শিউলি ফুল
আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল

শাব্দিক এর ছবি

ভাল লাগল চলুক
পরের পর্ব লিখে ফেলুন তাড়াতাড়ি। পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

অতিথি লেখক এর ছবি

শাব্দিক, অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। শীঘ্রই ছেড়ে দেবো আশা করি। ভাল থাকবেন।
Shah Waez (শাহ্‌ ওয়ায়েজ।)
Facebook

..............................................................................................
ভাবনা আমার শিমুল ডালে লালচে আগুন জ্বালে, মহুয়ার বনে মাতাল হাওয়া খেলে।
এক মুঠো রোদ আকাশ ভরা তারা, ভিজে মাটিতে জলের নকশা করা,
মনকে শুধু পাগল করে ফেলে।

গান্ধর্বী এর ছবি

পরের পর্ব ছাড়ুন শিগগিরি পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

------------------------------------------

'আমি এখন উদয় এবং অস্তের মাঝামাঝি এক দিগন্তে।
হাতে রুপোলী ডট পেন
বুকে লেবুপাতার বাগান।' (পূর্ণেন্দু পত্রী)

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ। অনেক ধন্যবাদ। জ্বি খুব শীঘ্রই ছাড়তে চাই। ভাল থাকবেন। হাসি

Shah Waez (শাহ্‌ ওয়ায়েজ।)
Facebook

..............................................................................................
ভাবনা আমার শিমুল ডালে লালচে আগুন জ্বালে, মহুয়ার বনে মাতাল হাওয়া খেলে।
এক মুঠো রোদ আকাশ ভরা তারা, ভিজে মাটিতে জলের নকশা করা,
মনকে শুধু পাগল করে ফেলে।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাল লাগলো পড়তে, পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম
ইসরাত

অতিথি লেখক এর ছবি

ইসরাত, অনেক ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য। পরের পর্ব খুব শীঘ্রই আসছে। ভাল থাকবেন হাসি

Shah Waez (শাহ্‌ ওয়ায়েজ।)
Facebook

..............................................................................................
ভাবনা আমার শিমুল ডালে লালচে আগুন জ্বালে, মহুয়ার বনে মাতাল হাওয়া খেলে।
এক মুঠো রোদ আকাশ ভরা তারা, ভিজে মাটিতে জলের নকশা করা,
মনকে শুধু পাগল করে ফেলে।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

সাক্ষী সত্যানন্দ, ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্যে। ভাল থাকবেন।

Shah Waez (শাহ্‌ ওয়ায়েজ।)
Facebook

..............................................................................................
ভাবনা আমার শিমুল ডালে লালচে আগুন জ্বালে, মহুয়ার বনে মাতাল হাওয়া খেলে।
এক মুঠো রোদ আকাশ ভরা তারা, ভিজে মাটিতে জলের নকশা করা,
মনকে শুধু পাগল করে ফেলে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।