বানশি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ৩০/০৩/২০১৪ - ৬:২২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

“ সামনে আর পাকা রাস্তা নেই। এখান থেকে পায়ে হেটে যেতে হবে। ” মেজর ফয়সল কবির বলল।
গাড়ি থেকে বের হলাম আমি। তার আগে অস্ত্রভর্তি ব্যাগটা পরীক্ষা করে নিলাম।
“ মেজর সুরঞ্জন। ” ফয়সলের কণ্ঠ শুনে তাকালাম ওর দিকে। একটা সিগারেট অফার করছে ও। “ এখনই টেনে নাও। রাতে আর ধরাতে পারবে না। বানশিগুলো দেখে ফেলবে। ”
পিছন থেকে গম্ভীর কণ্ঠে বলে উঠল মেজর ইশতিয়াক,“কোন বানশি আসলে জাস্ট উড়াইয়া দিব। আমাকে চিনে না।”

দীর্ঘশ্বাস ফেলে তাকালাম দূরের শ্যামলিমার দিকে। দূরে একটা গ্রাম দেখা যাচ্ছে। সেখানে মানুষ থাকে। তবে তাদের আতংকের ভিতর কাঁটাতে হয়। কারণ ঐ বানশি। ল্যাবরেটরিতে তৈরি প্রাণীগুলোর নাম কেন বানশি রাখা হয়েছিল জানা নেই, হয়ত তাদের আবিষ্কারক রূপকথার ভক্ত ছিলেন।

আইরিশ রূপকথার অন্যতম রহস্য চরিত্র বানশি বা মৃত্যুদূত। বিখ্যাত মানুষদের মৃত্যুর আগে দেখা দেয় সে, কান্নার করুণ সুরে বুঝিয়ে দেয় কারো মৃত্যু আসন্ন। কোনো ব্যক্তি মারা যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা এমনকি কয়েকদিন আগ থেকেই নানা রূপে বিলাপ করতে থাকে সে। কখনো ভয়ঙ্কর দর্শন নারী রূপে, কখনো সুন্দরই নারী রূপে, কখনো বা দাঁড়কাক বা অন্য প্রাণীর রূপ ধরে আগাম জানিয়ে দেয় মৃত্যু সংবাদ। আর এই সংবাদ বহনকারী নানা রূপধারীকেই বলা হয় বানশি।

এই প্রাণীগুলো কি আগে থেকেই জানতে পারে যে কারও মরণের ডঙ্কা বেজে গেছে জানা নেই তবে এরা অন্যের মরণের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এরা তাদের সৃষ্টিকর্তা বিজ্ঞানীকেই হত্যা করেছিল এবং ল্যাবরেটরি থেকে পালিয়েছিল।
ল্যাবরেটরিটি ছিল এই গ্রামের কাছে। এটি ছিল সরকারের গোপন বায়োলজিক্যাল গবেষণার কেন্দ্র। এই বানশিরা মাছির মত বংশবিস্তার করছে। এরা আশেপাশের জনপদে আতংক সৃষ্টি করছে। ফসল চুরি করে নিয়ে যায়। বাচ্চা চুরি করে নিয়ে যায়। সবথেকে ভয়াবহ বিষয় হচ্ছে ওরা মানুষখেকো হয়ে উঠেছে। প্রশাসন একটা নির্দিষ্ট সীমায় বৈদ্যুতিক বেড়া তৈরি করে দিয়েছে যাতে এর বাইরে বানশিরা যেতে না পারে। এর ভিতর আটকা পড়েছে মানুষ। তাদের জীবন হয়ে পড়েছে দুর্বিষহ। এই বিষয়ে সরেজমিন প্রতিবেদন দিতে আমাদের পাঠানো হয়েছে।

“এই মানুষগুলো এখানে রয়েছে কেন?” মেজর ইশতিয়াক জিজ্ঞাসা করল, “ এদের বের করে পুরো এলাকাতে কার্পেট বম্বিং করলেই হয়।”

“তাহলে এই এলাকায় ফসল হবে কিভাবে? দেশের খাদ্যশস্যের উৎপাদনের অনেকখানি আসে এই এলাকা থেকে। ব্যাপারটা অনেকটা সুন্দরবনের মত দেখছে সরকার। সেখান থেকেও রাজস্ব আদায় হচ্ছে। কিন্তু মানুষ থাকে বাঘের ভয়ে যদিও মানুষের সর্বগ্রাসী থাবাতে আজ বাঘও বিলুপ্তির পথে। ” আমি বললাম। চারপাশে পাখির ডাক। হাজারো পাখি। হাঁটছি আমরা। গ্রামের মাঠে দেখা গেল বাচ্চারা খেলা করছে। ফসলের মাঠে চাষিরা কাজ করছে। বাসায় মহিলারা গৃহস্থালি কাজে ব্যস্ত। বিকাল হয়ে এসেছে। একটু পরেই যখন সূর্য ডুববে তখন এলাকায় নেমে আসবে কবরের নীরবতা। এখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই। সব টাওয়ার ধ্বংস করে দিয়েছে বানশিরা। বিদ্যুৎকেন্দ্র ধ্বংস করে দেওয়ায় রাতের বেলা পুরো জনপদ থাকে অন্ধকারে নিমজ্জিত। খুন করেছে বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মচারীদের। কেউ আর এখানে আসতে চায় না।

আমাদের থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছে কাছের একটি বাসায়। আগে থেকেই কথা বলা আছে। সেই কৃষকের বাসায় গেলাম। পরিবারে আছে স্বামী, স্ত্রী আর এক ছেলে আর এক মেয়ে।

ফয়সল সেই কৃষককে প্রশ্ন করল, “ আপনাদের এখানে বানশিরা ঝামেলা করে না?”
কৃষক বলে, “না, আমরা ভালোই আছি।”

ব্যাপারটা শুনে অবাক হলাম। তাহলে এতদিন যা শুনছি তা কি ভুল?
আমি জিজ্ঞাসা করলাম, “আশেপাশের অনেক জায়গা থেকে তো মানুষ চলে গিয়েছে। আপনারা আছেন কেন?”
“ কি করব স্যার, আমাদের এখানে পূর্বপুরুষের ভিটা। ছেড়ে যেতে আপ্রি না। আবার বাইরের কেউ কিনতে রাজি হবে না। বানশির ভয়ে।”
“এই মাত্র না বললেন, বানশিরা ঝামেলা করে না..................” আরও কিছু বলত এই সময় বাইরের আত্মচিৎকারে থেমে গেল ফয়সল কবির।
চিৎকার শুনে মনে হল কৃষকের স্ত্রীর চিৎকার। বাইরে ছুটে গেলাম আমরা সবাই।
হাতে বের হয়ে এসেছে রিভলবার। বাইরে বের হয়ে দেখি কৃষকের স্ত্রী কাঁদছে। তখনও বাইরে সূর্যের আলো রয়েছে।
আমাদেরকে দেখেই সে বলল, “ আমেনাকে ধরে নিয়ে গিয়েছে!”
কৃষক উত্তেজিত হয়ে বলল, “ কোন দিকে?”
মহিলা আঙ্গুল তুলে দক্ষিণের বনভূমির দিকে ইঙ্গিত করতেই আমরা দৌড়ে গেলাম সেখানে। একটু পরেই সন্ধ্যা নামবে।
কিছুদূর যেতে মেয়ের কান্নার আওয়াজ শুনলাম। একটু পরেই দেখলাম মেয়েতাকে। সাথে বানশিটাকে। মানুষের মত দুই পায়ে খাড়া হয়ে চলে কিন্তু মানুষ না। মাথাটা অনেক বড়। চোখগুলো বড় বড়। কোন গলা নেই। বুক পেট অনেক ছোট। হাত পা অনেক লম্বা, আঙ্গুলে বড় বড় নখ। আমরা চারদিক থেকে ঘিরে ধরলাম ওকে।
আমরা কিছু বলার আগে পরিষ্কার বাংলা ভাষায় বলে উঠল প্রাণীটা, “ আমাকে যেতে দাও, নয়ত ওকে মেরে ফেলব।”
ইশতিয়াক বলল, “ওর গায়ে একটা হাত দাও। তোমাকে টুকরা টুকরা করব।”
ফয়সল নরম কণ্ঠে বলল, “ওকে ছেড়ে দাও। তোমাকে যেতে দিব। ভয় নেই।”
বানশিটা মেয়েটার গলায় কামড় বসাতে গেল। আমার রিভলবারের গুলি ওর মাথা উড়িয়ে দিল। গুলির শব্দে কেঁপে উঠল দক্ষিণের বনাঞ্চল। উড়ে গেল পাখিরা। মেয়েটা চিৎকার করে ছুটে আসল তার বাবার দিকে। আর কাঁটা কলাগাছের মত আছড়ে পড়ল বানশির মৃতদেহ। মেয়েটা তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগল।
আমরা ফিরলাম কৃষকের বাসায়। ফেরার পথে কেউ একটা কথাও বলল না।
ফেরার পর ফয়সল কৃষককে বলল, “আপনার ঘরে যে বানশি লুকিয়ে ছিল এটা কাউকে বললেন না কেন? তাহলে তো এরকম হত না।”
“স্যার, বাসায় বউ আছে, দুইটা বাচ্চা আছে। কি করব? ওরা প্রায়ই আসে। থাকতে চায়। একটাকে মারলে শত শত আসবে। আমি ভয়ে আছি। আজকে ওদের একটাকে মারলেন ওরা হামলা চালাতে পারে!!” কৃষক প্রায় কেঁদে ফেলল।
“ভয় নেই। আমরা আছি।” অভয় দিলাম। এরপর ফয়সল কবিরকে জিজ্ঞাসা করলাম, “ওরা মানুষের ভাষা জানল কিভাবে? ”
“শুধু মানুষের ভাষায় কথা বলতে জানে না, বরং অংকও কষতে পারে। ওদের ট্রেনিং দেওয়া হয়েছিল।” ফয়সলের উত্তর।
“শুধু অংক করতে পারলেই মানুষ হওয়া যায় না।” ইশতিয়াকের কণ্ঠে ক্ষোভ,
“শুনেছিলাম ওরা ওদের আবিষ্কারক বিজ্ঞানীকে চিবিয়ে খেয়ে ফেলেছিল!!!”
“অসভ্য বর্বর প্রজাতি একটা।” দাঁত চিবিয়ে চিবিয়ে বলল ফয়সল কবির।
কেমন অসভ্য, কেমন বর্বর সেদিন রাতে এক নমুনা পাওয়া গেল।

সে রাতে কৃষকের বাড়িতে এক ঘরে গাদাগাদি করে শুয়ে আছি। ঘুম আসছে না। অজানা আতংকে। হঠাৎ শুনি বাইরে হাঁটাচলার শব্দ। ফিসফাস। আশেপাশে তাকালাম। ইশতিয়াক ঘুমে কাঁদা। কিন্তু চোখ খুলে তাকিয়ে রয়েছে ফয়সল কবির।
ফিসফিস করে বলল, “সুরঞ্জন, ওরা এসেছে!!”
ইশতিয়াককে ঘুম থেকে তুললাম।
জানালা দিয়ে বাইরে তাকালাম। আকাশে চাঁদ। দেখলাম বানশিরা এসেছে। একটি নয়, দুটি নয়, শত শত। চোখগুলো আগুনের ভাঁটার মত ধিকিধিকি করে জ্বলছে।
কৃষকও উঠে গিয়েছে ঘুম থেকে।
“স্যার, ওরা এসেছে। আমাদের কাউকে বাঁচতে দিবে না।” কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে বলল সে।
“চুপ করেন।” বকা দিল ফয়সল। আমরা আছি। অস্ত্র প্রস্তুত করতে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম।
“তোমাদের সবাইকে মেরে ফেলব।”

“খেয়ে ফেলব সবগুলাকে।”

“আমাদের সাথে লাগতে আসার পরিণতি ভোগ করবে।”

হিসহিস করে বলতে লাগল শয়তানগুলো। যেন নরক থেকে উঠে আসছে শব্দগুলো।
একজনের হাতে তাকিয়ে ভয়ে বুক শুকিয়ে গেল। হাতে মশাল।
“শিট!! ওরা আগুন ধরিয়ে দিতে এসেছে।” আমি বললাম।
“আপনার বাচ্চাদুটোকে নিয়ে আসুন।” ফয়সল বলল, “মেজর ইশতিয়াক ওদের প্রটেকশন দিবে। সুরঞ্জন তুমি আসো আমার সাথে।”
অটোম্যাটিক রাইফেল হাতে বাড়ির সামনের দিকে এলাম আমরা।
বানশিদের হাতে পাথর। তারা ছুড়ে মারছে বাসার দিকে।
ফয়সল দরজা খুলে বলল, “ফায়ার।”
দুইজন একসাথে গুলি করলাম। একই সাথে কয়েকটা বানশি পড়ে গেল। বাকিরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেল। পালাবার এই সুযোগ। এমন সময় কিছু জ্বলন্ত মশাল ছুঁড়ে মারল তারা বাসার দিকে। এখানে ওখানে আগুন ধরে গেল।
আমরা দ্রুত বের হয়ে এলাম। মাঝে মাঝে এখান ওখান থেকে বানশিরা আসে। আমরা গুলি করে মারি। কিছুক্ষণ পর আমরা নিরাপদ দূরত্বে চলে এলাম। ইশতিয়াককে বললাম কৃষক পরিবারকে নিয়ে নিকটস্থ সেনানিবাসে চলে যেতে আর এখানকার সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে রিপোর্ট করতে।
“তোমরা আসবে না?” ইশতিয়াক জিজ্ঞাসা করলো।
“না,কাজ তো বাকি আছে। আগামী দুইদিনের ভিতর যদি না ফিরি তাহলে উপরের মহলকে জানাবে। ” ফয়সল জবাব দিল।

ইশতিয়াক চলে গেল কৃষক পরিবারকে নিয়ে। আমরা খোলা আকাশের নিচেই রাত কাটালাম। সজাগ থেকে। পরদিন সূর্যের আলো ফোঁটার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রা শুরু করলাম আমরা। কিছুক্ষণ পর এলাম সেই কৃষকের বাসার সামনে। বিধ্বস্ত এক বাড়ি। বানশিরা পুড়িয়ে দিয়েছে। এপাশে ওপাশে বানশিদের মৃতদেহের অংশ পড়ে রয়েছে। সব থেকে ভয়াবহ বিষয় সেগুলো খাওয়া। এরা নিজেদের মাংস নিজেরা খায়।
মানুষ তো কোন ছাড়।

কিছুক্ষণ পর পৌঁছালাম একটা পরিত্যক্ত পুলিশ ফাঁড়িতে। এখানে পুলিশরা বানশিদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পারে নাই। যারা বেঁচে গিয়েছিল পালিয়েছে।

পথে পথে অনেক পরিবারের সাথে দেখা হল। কেউ আমাদের থাকতে দিতে রাজি নয়। কালকের ঘটনাটা ইতিমধ্যে এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে-দাবানলের মত গোটা জনপদে ছড়িয়ে গেছে। সবার চোখে মুখে চাপা আতংক।

বিকালের দিকে ল্যাবরেটরিতে পৌঁছালাম। এখানেই বানশিদের তৈরি করা হয়েছিল। এখানেই তারা তাদের সৃষ্টিকর্তাকে মেরে ফেলেছিল। ল্যাবরেটরিটা জনমানবশূন্য।
এখনও সেখানে রক্তের দাগ লেগে রয়েছে। আমি আর ফয়সল দুইজন দুই দিকে খোঁজাখুঁজি করছিলাম ফেলে যাওয়া গবেষণাপত্রের জন্য। উপরের নির্দেশনা বানশিদের উপর গবেষণার কাগজ খুঁজতে হবে। এমন সময় গুলির আওয়াজ শুনলাম এবং ফয়সলের আত্মচিৎকার শুনলাম। ছুটে গেলাম সেখানে।
মেঝের উপর পড়ে আছে মেজর ফয়সল কবির। বুক ভেসে যাচ্ছে রক্তে।
“ শুয়োরগুলো গুলি ছুঁড়েছে..........” বলতে কষ্ট হচ্ছে তার, “ওদের কাছে বন্দুক রয়েছে। সাবধান বন্ধু...” আরও কিছু বলতে চেয়েছিল ফয়সল। কিন্তু আর বলতে পারল না। আদিম কাল হতে মানুষ যে সত্যকে উপেক্ষা করতে পারে নাই সেই মৃত্যু গ্রাস করেছে ওকে।
দিশেহারা হয়ে গেলাম। জানালা দিয়ে বাইরে তাকালাম। সন্ধ্যা হয়ে এসেছে। আশেপাশে অনেক বানশি। ওরা ঘিরে ধরেছে আমাকে। বের হবার পথ নেই।

“শুয়োরের বাচ্চা বের হ!!”

“খুন করে ফেলব তোকে!!”

“আমাদের মারতে আসিস!!”

চারিদিক থেকে ভেসে আসছে।

আমি জানালা দিয়ে গুলি ছুঁড়লাম। বিনিময়ে খেলাম কয়েকটা। পেটে আর হাতে। সেখানে যেন বৈদ্যুতিক শক খেলাম। ছিটকে পড়লাম মেঝেতে। শব্দ শুনে বুঝলাম শটগানের গুলি!! থানা লুট করে পেয়েছে।

গলগল করে বের হচ্ছে রক্ত।

ওরা হইহই করতে করতে আসল। আমি অস্ত্রের ব্যাগ থেকে সি ফোর বিস্ফোরক বের করলাম। জানালা দরজা ভেঙ্গে ঢুকে পড়ছে বানশিরা। আমাকে খেয়ে ফেলার জন্য। ফয়সলের দেহকে ঘিরে ফেলেছে কয়েকটা।

মাথাটা ফাঁকা ফাঁকা মনে হচ্ছে। অতীতের কিছু স্মৃতি উঁকি দিচ্ছে। কিছু প্রিয়জনের মুখ ভেসে উঠলো আমার চোখের সামনে।

টিপ দিলাম বিস্ফোরকের ডেটোনেটরে।

পরিশিষ্টঃ
মেজর ফয়সল আর সুরঞ্জন উধাও হয়ে যাওয়াতে সরকারের উচ্চমহলে ব্যাপক আলোড়ন ফেলল। মেজর ইশতিয়াক সেই কৃষক পরিবারটিকে নিয়ে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে সক্ষম হয়েছিল। তার মুখে সেদিনের ঘটনা জানা যায়। আশেপাশের মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায় সে রাতে একটা বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছিল। সুরঞ্জনের জানার কথা নয় পরদিনই সেনাবাহিনী তাদের বিশেষ কম্যান্ডো দলকে তলব করল। বানশিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করবে তারা।

(একটি বিদেশী গল্পের আংশিক ছায়া আছে)

একাকী মানব


মন্তব্য

মেঘলা মানুষ এর ছবি

আপানার লেখা বেশ ঝরঝরে, টুক করেই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে ফেললাম।

আরেকটা জিনিস, আপনি যেহেতু একটা গল্পের ছায়া অবলম্বন করেছেন এবং সেটা লিখেই দিয়েছেন, সেক্ষেত্রে সেই গল্পের নাম আর লেখকের নামটা দিলে আরও ভালো হয়। সাম্প্রতিক কালে, সচলে মাসুদ রানায় লেখা 'বিদেশেি কাহিনী অবলম্বনে' নিয়ে বেশ আলোচনা হয়েছিল। সেটা পড়ে দেখতে পারেন।

শুভেচ্ছা হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

মুল গল্পের থিমটা হালকা নিয়েছি। রুশ কল্পকাহিনী লেখক Sever Gansovsky এর The Day of Wrath অনুসারে।

মাসুর রানার গল্পগুলো বিদেশী বইয়ের অনুবাদই বলা চলে। শুধু চরিত্র পাল্টে দেওয়া হয়।

এরপর থেকে ছায়াকাহিনি লিখলে অবশ্যই নাম উল্লেখ করে দিব।

একাকী মানব

অতিথি লেখক এর ছবি

অন্য গল্প অনুসারে হলেও বেশ ভালোই লাগলো।

মরহুম

অতিথি লেখক এর ছবি

হো হো হো হো হো হো হো হো হো

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চলুক

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি হো হো হো

দীনহিন এর ছবি

লেখার হাত দারুণ, যদিও গল্প বা কাঠামো খুবই পুরানো।
সায়েন্স ফিকশান লেখা সহজ কাজ নয়, লেখক যে সাহস করে লিখেছেন, সেজন্য ধন্যবাদ।
লেখাটি পড়ে কেন জানি মনে হচ্ছে, লেখক খুবই তরুণ, আর কল্পবিজ্ঞানে রয়েছে ব্যাপক ঝোঁক। সামনে কোন মৌলিক কল্পবিজ্ঞান উপহার দেবেন লেখক আমাদের, সেই প্রত্যাশা।

.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার প্রতিটি কথাই সত্য। আপনাকে ধন্যবাদ।

হাসি হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি কয়েকটি সায়েন্স ফিকশন লিখেছি। এখানে পাবেন

অতিথি লেখক এর ছবি

একাকী মানব, পদে পদে শিহড়ন ছিলো। নায়ক গুলো চরিত্র খুব সুন্দর ফুটিয়ে তুলেছেন। অনেক ভাল লাগলো।

Shah Waez (শাহ্‌ ওয়ায়েজ।)
Facebook

..............................................................................................
ভাবনা আমার শিমুল ডালে লালচে আগুন জ্বালে, মহুয়ার বনে মাতাল হাওয়া খেলে।
এক মুঠো রোদ আকাশ ভরা তারা, ভিজে মাটিতে জলের নকশা করা,
মনকে শুধু পাগল করে ফেলে।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনাকে ধন্যবাদ। হাসি হাসি

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

সায়েন্স ফিকশন ভালো লাগে পড়তে। কিন্তু এই গল্পটা ভালো লাগলো না কেন যেন। তবে আপনার লেখার হাত কিন্তু চমৎকার। আরো লিখতে থাকুন।

কয়েকটা টাইপো আর যতি চিহ্নে সমস্যা আছে। যেমন: কাঁটাতে - কাটাতে, সুন্দরই - সুন্দরী, কাঁটা - কাটা, ছাড়->ছার।
লেখার পর দুই এক ঘন্টা বিরতি দিয়ে লেখাটা পড়ে ফেলবেন আবার। তাতে করে এই সব সমস্যাগুলো আর থাকবে না।

ধন্যবাদ।

____________________________

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনাকে ধন্যবাদ।

আয়নামতি এর ছবি

বানশিরা দেখি পুরাই পাকিদের মত! গল্পটা ভালুই। আরো লেখুন।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।