সতর্ক হউন, অন্যদেরও সতর্ক করুন; নিজে বাঁচুন, অন্যদেরও বাঁচান।

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ০৮/০৮/২০১৪ - ৪:১৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এই যে দাদা, শুনছেন? আরে ও ভাই, হ্যাল্লো, ও দাদা, হ্যাঁ, আপনাকেই ডাকছি! কই যান আপনি? স্ক্রল করার আগে দাঁড়ান, দুইটা কথা বলে নেই। কি? ব্যাস্ত আপনি? আপনার জীবনের দামের চাইতেও ব্যাস্ততা বেশী আপনার? হ্যাঁ, তাইলে ভাই যাইতে পারেন, আপনার জীবন; আপনেই সেইটার দাম চুকাইবেন, আমি কথা বলার কে! আহ্‌, খারাপ পাইয়েন না বস্‌, ব্যাস্ত থাকলে যান না আপনি, সমস্যা নাই। কি, থাকতে চাইছেন? আচ্ছা, থাকেন তাইলে, পড়েন পুরাটা! যদি ব্যাস্ততা বেশীই থাকে আপনার, তাইলে শর্তস্বাপেক্ষ ছুটি একটা দেয়া যায় আপনারে। আপনি যদি A-, AB-, B- কিংবা O- এই কোনও রক্তের গ্রুপেই না পড়েন, অর্থাৎ আপনি যদি একজন পজিটিভ রক্তের মানুষ হয়ে থাকেন তাইলে ভাই যাইতে পারেন, এই পোষ্ট প্রধানত আপনার জন্য না, তবে আমি বল্‌ব পড়ে দেখার জন্য। কি! আপনার পজিটিভ, তবে AB+ ? দাঁড়ান বস্‌, কই যান আপনে! আপনিও লাইনে থাকেন, আপনার রক্তের গ্রুপ দূর্লভ না ঠিক, তবে সুলভও না কিন্তু! এই পোষ্ট নেগেটিভ গ্রুপধারীদের জন্য ১৬ আনা লাগলে আপনারও যে ১২ আনা লাগবে, তাতে কোনও সন্দেহ নাই আমার! তাই একটু সময় করে পুরাটা পড়ে শেষ করেন।

ধরে নেই আপনি একজন নেগেটিভ গ্রুপধারী। যেহেতু আপনার রক্তের গ্রুপ নেগেটিভ গ্রুপে পড়ে, সেহেতু আপনার ভাল করেই জানার কথা যে এটা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে খুবই দূর্লভ রক্তের গ্রুপ; ক্ষেত্রবিশেষে লাখেও একজন পাওয়া যায় না। আচ্ছা, আপনি জানতেন তাহলে! কিন্তু কি! আপনার পরিচিত কোনও নেগেটিভ গ্রুপধারী নেই আপনার গ্রুপের! এটা কি শোনালেন ভাই! আপনি আপনার এই দূর্লভ গ্রুপের কাউরেই চেনেন না! আপনি কি তবে ব্যাক্তি হিসেবে এতই অসাবধান! তাহলে হয়তো ধরে নেয়া যেতে পারে, আপনি রাস্তা পার হওয়ার আগে ডান-বাম কোনও দিকেই না তাকিয়ে সোজা রাস্তা পার হতে থাকেন, কিংবা ধারালো কিছু দিয়ে কাজ করার সময় প্রায় চোখ বুজেই কাজ করেন, সাবধানতার কোনও প্রয়োজনই পড়ে না আপনার! কি? আপনি এইরকম করেন না? তবে কি সাবধানে, নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তবেই কাজগুলো করেন বলছেন? শুনেন ভাই, এই কাজগুলো যদি সাবধানতা অবলম্বন করে করতে পারেন, তাইলে এত্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আপনার চোখ এড়িয়ে গেল ক্যামনে!!! নাকি নিজেকে আপনি সব দূর্ঘটনার উর্ধ্বে মনে করেন? আপনার মতে আপনার আজ হোক কিংবা কাল, কখনও আপনি কোনও দূর্ঘটনায় পড়বেন না? যদি এরকমটা মনে করে থাকেন, তাহলে ছোট্ট একটা কাহিনী বলি:

খুব বেশীদিন আগের না, মাত্রই গতকালের কাহিনী। পরিচিতের, পরিচিতের কোনও পরিচিত একজন ব্যাক্তি। তাঁর রক্তের গ্রুপও নেগেটিভ কোনও একটা গ্রুপের। এই বেচারাও জানতেন না যে তাঁর এরকম বিপদ আপদ আসতে পারে, দূর্ঘটনা ঘটতে পারে; কিংবা সেটা নিয়ে উদাসীনই ছিলেন বলা যায়। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, গতকাল তিনি ছিনতাইয়ের শিকার হন & guess what, টাকা-পয়সা তো যায়ই, সাথে ছুরিকাঘাতে আহতও হন! পরে দেখা যায় ২ ব্যাগ রক্ত না পাওয়া গেলে অপারেশনেই নেয়া যাচ্ছে না, ঐদিকে রোগীর জীবন-মরণের প্রশ্ন। ২ ব্যাগ থেকে চাহিদা যে কখন ৪ ব্যাগে গিয়ে দাঁড়ায়, টেরই পাওয়া যায়নি! একে তো দূর্লভ গ্রুপ, তার উপরে আবার একই দিনে চার চার ব্যাগের প্রয়োজন। সিলেটের মতো ছোট শহরে এটা কি চাট্টিখানি কথা! যেখানে আশেপাশের অর্ধেক 'শিক্ষিত' মানুষই রক্ত দিতে ভয় পায়! অশিক্ষিতদের অনেকেও রক্তদান সম্পর্কে এঁদের চেয়ে ভাল জ্ঞান রাখে এবং মানুষের বিপদে নিয়মিত এগিয়েও আসে। ঐ প্রসঙ্গে আর না যাই। যেটা বলছিলাম, উনি কি জানতেন যে উনি ছিনতাইয়ের শিকার হবেন এবং উনার জন্য কালকের ভিতরই চার ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হবে? কাল ছিনতাই না হয়ে তো আরও অনেক কিছুই হতে পার্‌ত। যেমনঃ রাস্তায় উনার গাড়ির সাথে আর কোনও গাড়ির সংঘর্ষ হতে পার্‌ত এবং সেটা তিনি গুরুতর আহতও হতে পারতেন। কিংবা উনি যে বিল্ডিং এ থাকেন, সেটাও রানা প্লাজার মতো ধ্বসে পড়তে পার্‌ত। আরও হাজার দূর্ঘটনার দিকে আঙ্গুল তোলা যায়, বাদই দিলাম সেগুলো। দূর্ঘটনা নয় এমন কিছু দিকও আমরা দেখিঃ কাল কিডনী/হার্ট কিংবা অন্য কোনও অপারেশনের প্রয়োজনও উনার পড়তে পার্‌ত। তিনি যদি একজন মহিলা হতেন, ডেলিভারীর সময়ও তাঁর রক্তের প্রয়োজন পড়তে পার্‌ত। রক্তশূন্যতা, ক্যান্সার আরও কত্ত কি! মানুষের রক্তের প্রয়োজন হয়না এমন কেইসের অভাবই নাই!

আপনাকে নিশ্চয় এতক্ষণে টেনশনে ফেলে দিয়েছি; যে, বলে কি এই ছেলে! জ্বী জনাব, এই ছেলে ঠিকই বলছে। আপনি কি ভেবে দেখেছেন, যে ঐ ভাইয়ের সাথে যে দূর্ঘটনা ঘটেছে, কিংবা যেগুলো ঘটতে পার্‌ত বলে আলোচনা করেছি, আপনিও সেগুলোর উর্ধ্বে নন! আপনার সাথেও যে কোনও দিন, যে কোনও সময় এগুলো ঘটতে পারে! কি? আপনি চিন্তিত? কি করবেন জানতে চাইছেন? শুনেন তাইলে, বলি; যেহেতু আপনি একজন নেগেটিভ গ্রুপধারী, আপনি খুবই বিরল টাইপের একজন মানুষ। এইটা নিয়ে পার্ট পরেও মারা যাবে, আগে কাজের কাজ করেন, আপনার পরিচিতের মাঝে যদি এই গ্রুপের কেউ না থাকেন, তবে খুঁজে পেতে হলেও পরিচিত বাইর করেন। এই ক্ষেত্রে সবচাইতে সহায়ক হতে পারে রক্তদান করা। ভয় পাবার কিছুই নেই, এটা খুব একটা জটিল কিছু না। যেহেতু আপনি নেগেটিভ গ্রুপের মানুষ, আপনার রক্তও কিন্তু ঐ নেগেটিভ গ্রুপের অন্য কোনও একজন মানুষের কাছেই যাচ্ছে! বিপদে-আপদে আপনাদের নিজেদেরকে নিজেরাই সাহায্য করতে হবে বস্‌, এছাড়া আর উপায় নাই! রক্তই এমন এক জিনিস যেটা এখনও কৃত্রিম ভাবে উৎপাদন করা সম্ভব হয়নি, সম্ভব হয়নি এর গ্রুপ-জনীত ঝামেলাগুলো এড়ানোর। এড়ানোর যখন উপায় নাইই, তখন সেটাকে মেনে নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে আপনার। আপনি যদি নিয়মিত রক্তদান করেন, একে তো আপনি একজন মুমুর্ষু রোগীকে বাঁচানোর সুযোগ পাচ্ছেনই, তারই সাথে আপনি আপনার একজন লাইফ ইনস্যুর‍্যান্সও পাচ্ছেন। হ্যাঁ, ভুল পড়েন নি, জীবন বীমাই বলেছি। আজ যে ব্যাক্তি আপনার রক্তে বেঁচে থাকবে, কাল সে নিজে রক্ত উৎপাদন করতে সমর্থ্য থাকবে এবং আপনি যেদিন দূর্ঘটনায় পড়বেন, আপনিও তাকে কাছে পাবেন। এমন হতাশায় আপনাকে ভুগতে হবে না যে আপনার পরিচিত কোনও নেগেটিভ ডোনার নেই আপনার গ্রুপের। হ্যাঁ, আপনি যদি নেগেটিভ গ্রুপধারী হওয়ার পরেও রক্তদানে অসমর্থ্য থাকেন, মানে পুরুষ হলে আপনার ওজন ৪৮ এবং মহিলা হলে আপনার ওজন ৪৫ এর নীচে থাকে, কিংবা আপনার রক্তশূন্যতা কিংবা রক্তবাহিত কোনও রোগ থাকে, তবে আপনি কাউকে রক্তদান করে হয়তো সাহায্য করতে পারবেন না। ঠিক। কিন্তু সাহায্য করতে পারবেন না, এমনটা তো না! আমরা প্রতিদিনই দেখি নানান সময়ে নানান মানুষ রক্তের আবেদনে ডাক দিয়েই যাচ্ছে। আপনিও ডাক দিতে পারেন আবেদনের। আবেদনটা ছড়িয়ে দিতে পারেন সবার মাঝে। আমি পজিটিভ গ্রুপধারী একজন হয়ে যদি আপনাদের জন্য এত চিন্তা করতে পারি, এতটুকু লিখতেও পারি, আপনারা কেন পারবেন না? অন্যের জন্য না হোক, নিজের গরজে তো করা উচিৎ! আজ আপনি অন্যকে সাহায্য করতে এগিয়ে গেলে কাল অন্য আরও কেউ আপনাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসবে। এটাই নিয়ম, এভাবেই মানবজাতি আজ এত এগিয়ে। বিপদে আমরা পরস্পরকে সাহায্য করতে এগিয়ে যাই বলেই আমরা মানুষ, সৃষ্টির সেরা জীব। আপনি যদি আজ অন্যকে সাহায্য না করেন, কিভাবে প্রত্যাশা করেন কাল অন্য কেউ আপনাকে সাহায্য করবে? আপনি স্বার্থপরের মতো কাজ করলে আপনার চারপাশের মানুষগুলোও আপনার দ্বারা প্রভাবিত হবে, তারাও স্বার্থপর হবে, তাদের দেখে আরও মানুষ, ওদের দেখে আরও। সাহায্যের মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসুন, দেখবেন আপনাকে দেখে আপনার চারপাশের মানুষ উদ্বুদ্ধ হচ্ছে, তাদের দেখে আরও আরও অনেকে। তবে আর কেন দেরী করা, আজ থেকে, এখন থেকেই শুরু করুন না! আর রক্তের গ্রুপ যদি জানা না থাকে, আজই, এখনই জেনে নিন, কে জানে, আপনিও হয়তো দূর্লভ নেগেটিভ গ্রুপধারীদের একজন হতে পারেন! খারাপ কাজ তো আমরা প্রতিদিন অনেকই করি, আসুন সেগুলোর সাথে রক্তদান/মুমুর্ষুকে সাহায্য করতে এগিয়ে যাওয়ার মতো কয়েকটা ভাল কাজও করি। আর কিছু না হোক, মনে যে একটা তৃপ্তি পাবেন, সেটা আমি আপনাকে গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি। একজন মানুষের বিপদে এগিয়ে আসা এবং তাকে সাহায্য করতে পারার মাঝে যে আনন্দ, সেটা আরও অনেক আনন্দকেই হার মানায়। হাসি

গব্বর সিংহ
<এপ্রিল ১৮, ২০১৪ ইং>


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

খুব উপকারী একটা লেখা। রক্তদান সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য-
রক্তদানে আপনার শরীরের কোনো ক্ষতি হবে না। ছেলেদের শরীরে ওজনের কেজিপ্রতি ৭৬ মিলিলিটার এবং মেয়েদের শরীরে ওজনের কেজিপ্রতি ৬৬ মিলিলিটার রক্ত থাকে। সবারই কেজিপ্রতি ৫০ মিলিলিটার রক্ত সংবহনের কাজে লাগে, বাকিটা উদ্বৃত্ত। ছেলেদের ওজনের কেজিপ্রতি ২৬ মিলিলিটার ও মেয়েদের ওজনের কেজিপ্রতি ১৬ মিলিলিটার রক্ত উদ্বৃত্ত। ফলে ৫০ কেজি ওজনের একটি ছেলের শরীরে উদ্বৃত্ত রক্তের পরিমাণ 50x26=1300 মিলি এবং একই ওজনের একটি মেয়ের শরীরে উদ্বৃত্ত রক্তের পরিমাণ 50x16=800 মিলি। স্বেচ্ছা রক্তদানে একজন দাতার কাছ থেকে ৩৫০ থেকে ৪০০ মিলিলিটার রক্ত সংগ্রহ করা হয় যা তার শরীরের উদ্বৃত্ত রক্তের অর্ধেকেরও কম। ফলে রক্তদানে শারীরিক ক্ষতি হওয়ার কোনো আশংকাই নেই।
আপনার রক্ত থেকে প্লাটিলেট কনসেনট্রেট, ফ্রেশ প্লাজমা, ফ্রেশ ফ্রোজেন প্লাজমা, প্লাটিলেট রিচ প্লাজমা, প্লাটিলেট পুওর প্লাজমা, প্রোটিন সলিউশন, আরসিসি, ক্রায়ো-প্রিসিপিটেট অর্থাৎ রক্তের ৮টি উপাদান সরবরাহ করা হয়। যা দিয়ে ডেঙ্গু, আইটিপি, থ্যালাসেমিয়া, ব্লাড ক্যান্সার, হিমোফিলিয়া, লিউকেমিয়া, আগুনে পোড়া, সিভিয়ার এনিমিয়াসহ যেকোনো রোগীকে বাঁচানো সম্ভব।

ফাহিমা দিলশাদ

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

ধন্যবাদ। লেখা ও ফাহিমা দিলশাদের মন্তব্য থেকে অনেক কিছু জানা গেল। চলুক

মন মাঝি এর ছবি

বিভিন্ন ব্লাড ডোনর লিস্টে যারা নাম দেয় রক্তের জরুরী প্রয়োজন এমন রোগীর জন্য রক্ত দিবে বলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ডোনর হিসেবে - তাদের ৯৯%-ই বোধহয় রক্ত দেয় না মানুষের সত্যিকারের প্রয়োজনের সময়। এইসব লোক লিস্টে নাম তুলে সম্ভবত পার্ট মারার জন্য। একবার এরকম প্রায় ৩০০০ (!!) প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ডোনরের একটা লিস্ট ধরে ধরে প্রত্যেককে ফোন করেছিলাম। একজনকেও পাই নাই বিপদের দিনে। সবারই দেখা গেল ঠিক ঐ মুহূর্তে কোন একটা দারুন জরুরি কাজ পড়ে গেছে, নয়তো পেট খারাপ, বা অন্য কিছু! অর্থাৎ ১০০%-ই ভুয়া।

****************************************

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি পজেটিভ,তাই পোস্টটা কাল পড়া হয় নাই। কাজটা নেগেটিভ হয়ে গেছে। রক্ত দিতে আমারও অনেক ভয় ছিলো(সবার যেমন থাকে আর কী) চোখ টিপি । হলে থাকতে একবার এইরকম রক্ত দেয়া লাগবে শুনে একেবারে হল ছেড়ে দেশান্তরি হইছিলাম। পরে রাত তিনটা বাজে হলে আইসা দেখি দেশান্তরি হয়ে ফায়দা নাই। হলে মামু(দোস্ত) প্রেজেন্ট ছিলো। তবে রক্ত দিয়ে বুঝলাম কাজটাতে মোটেও কষ্ট নাই আর মুফতে অনেক আনন্দ আছে।
---------------------------

আশফাক(অধম)

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে প্রায় প্রতি দিনই দেখবেন কেউ না কেউ রক্ত চেয়ে সবার কাছে আবেদন জানাচ্ছেন। অনেক সময় ফোনে বা সরাসাওরিও এমন আবেদন পাবেন। আমি নিজেও অনেকবার আমার প্রিয়জনদের জন্য রক্তের প্রয়োজনে এভাবে দ্বারে দ্বারে ঘুরে রক্ত যোগাড় করেছি। আমার আত্মীয়স্বজনবন্ধুবান্ধবপ্রতিবেশিদেরকেও দরকারের সময় এভাবেই রক্ত যোগাড় করতে দেখেছি। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, দরকারের সময় সবাইকে যদি এভাবেই রক্ত যোগাড় করতে হয় তাহলে ব্লাড ক্যাম্পগুলো থেকে প্রাপ্ত রক্তগুলো কারা পান? আমি নিজে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করে বড় বড় ও সুপরিচিত নামের রক্তসংগ্রহ ও বিতরণকারী সমাজসেবী প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে সহজলভ্য গ্রুপেরও কোন রক্ত পাইনি।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ডুপ্লি ঘ্যাঁচাঙ


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

জানলাম অনেক কিছুই। লেখককে ধন্যবাদ।

গোঁসাইবাবু

শিশিরকণা এর ছবি

মনে হয় সবাইকে যার যার নিজের ব্লাড ব্যাঙ্ক ব্যাকআপ রাখতে হবে, যে আমার কিছু হলে এই এই এই লোকজনকে বলা আছে রক্ত দিবে। এরা না পারলে তাদের ব্যাকআপ লিস্টে ডাক দিবে। নেহায়েত পরিচিত জন না হলে অনেকেই রক্ত দিতে চায় না।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।