এ স্টোরি অভ বিচ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ১২/০৮/২০১৪ - ৯:৩৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এ স্টোরি অভ বিচ

==============

সে ছিল একটা গ্রাম্য কুকুরী। প্রভূর ফেলে দেয়া হাড়ের টুকরা, মাছের কাঁটা ছিল তার প্রিয় খাবার। সব সময় তার ভাগ্যে এসব জুটত না। অধিকাংশ দিন তাকে বাসি ভাত ও ভাতের মাড় খেয়ে কাটাতে হত।

তবু, কেউ তাকে অসন্তুষ্ট হতে দেখেনি।কিংবা কোন হতাশার মেঘ তার চোখে মুখে কখনও জায়গা করেনি।

প্রতিদিন সূর্য উঠলে সে ঘুমিয়ে পড়ত।সদর দরজার পাশে একটা ধূলি ধূসর জায়গায় সে গোল হয়ে ঘুমিয়ে থাকত। সদ্য জন্মানো কোমল শিশুর মত তার এ নিষ্পাপ ঘুম সূর্য ডোবার পূর্ব পর্যন্ত ফুরাত না। অথচ কচি লাউয়ের নরম চিবুকের মত সন্ধ্যা তার হলুদ শরীরে ভয়াবহ পরিবর্তন নিয়ে আসত। তার ঘুমকাতর চোখ দুটি লাল- নীল সিগন্যাল বাতির উজ্জ্বলতা নিয়ে জেগে উঠত।একটা শিকারী কুকুরীর রক্তিম ছায়া নিয়ে সে তার প্রভূর রান্নাঘরের দরজায় ফিরে আসত। তার জন্য নির্ধারিত ভাঙা বাসনে রাখা সামান্য খাবার তৃপ্তি সহকারে খেত। মৃদু ঘেউ….উ, ঘেউ….উ আওয়াজ তুলে প্রভূর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান দিত। সন্তর্পণে রাতের পাহাড়ায় বেরিয়ে পড়ত।সারা রাত্রি তাকে কেউ কখনো ঘুমোতে দেখেনি; শুধু মাঝ রাতের সামান্য ঝিমুনি ছাড়া। এক কথায় গ্রাম জুড়ে সে একটা আদর্শ কুকুরীর নাম ভূমিকার অভিনয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছিল।

শুধু কার্তিক মাস এলে তার কাজে কিছুটা শৈথিল্য আসত। তখন সঙ্গম কাতর পুরুষ কুকুররা তাকে ঘিরে জটলা পাকাত।আর প্রায়শ তাকে অধিকারের প্রশ্নে তাদের মধ্যে রক্তারক্তি লড়াই চলত।তার লাজুক চোখ দুটোও অজ্ঞাত কারনে পুরুষ কুকুরের বিশেষ বিশেষ অঙ্গে আটকে যেত।কার্তিক মাস নিয়ে প্রভূদের মধ্যেও আগ্রহের কমতি থাকত না।বিশেষ করে ভাইয়া প্রভূ, আপু প্রভূ লুকিয়ে লুকিয়ে তার প্রেমাদ্র দৃশ্যাবলী দেখতে দেখতে সাদা চোখ লাল করে ফেলতেন।

আর এ প্রেম পর্বের ফসল হিসেবে তার কোল জুড়ে প্রতিবছরই আসত এক দল নূতন শিশু।এক অপূর্ব পেয়ারা পাতার চাহনি ও সৌন্দর্যছড়িয়ে থাকত তাদের সর্বাঙ্গে।প্রভুরা আদর করে তাদের নাম রাখতেন।আর কচি কচি মায়াবী তাদের মুখ একে একে চটের ব্যাগ ভর্তি হয়ে চালান হয়ে যেত বিভিন্ন আত্মীয় প্রভূদের বাড়ি।

যেহেতু সে ছিল একটা আদর্শ কুকুর। সে কখনো প্রতিবাদ করেনি। সম্ভবত সে এটাকে নিয়তি ভেবে মেনে নিয়েছিল।আবার তার সন্তানদের নূতন কর্মসংস্থানে খুশীও হয়েছিল।

অতঃপর সে কালো দিনটি আসল। আকাশে অনেক মেঘ ছিল।বৃষ্টিরা সবকটি বোন টিনের চালায় মাথা খুটছিল। বৃষ্টির ছাট থেকে বাচার জন্য সে উঠোন থেকে রান্না ঘরে উঠে আসল।তখনি তার চোখ চলে গেল কড়াই ভর্তি ভাজা ইলিশের উপর। এক অদ্ভুত ইলিশীয় গন্ধ তার মাথার ভেতর পাক খেয়ে ঘুরতে থাকল।সে পাক খাওয়া তীব্র ঘূর্ণি বায়ুর ধাক্কায় তার দীর্ঘ দিনের শৈল্পিক সংযম বাবুই পাখির বাসার মত আছড়ে পড়ল।অনেক নীচে...................

আপু প্রভূর চিৎকার শুনে বাবা প্রভূ ছুটে এসে যা দেখতে পেলেন; তাতে তার মাথা গরম হয়ে গেল। আদর্শ একটা কুকুরীর এতবড় অধঃপতন তার সহ্য হলনা।হাতের কাছে পাওয়া চেলাকাঠের এক তীব্র শাস্তি তার মাথায় বসিয়ে দিলেন।

সেদিন বাইরে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছিল।তাই মৃত কুকুরীকে তখনি পুতে ফেলা সম্ভব ছিল না।হঠাৎ ঝড়ো বাতাসে উপড়ানো সবুজ বৃক্ষের মতো তার মৃতদেহটি বৃষ্টির গরম জলে ধুয়ে যাচ্ছিল…..

------------------------------রাজকুমার


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

গল্প ভালো লেগেছে। হাসি

কঙ্কাবতী
অতিথি লেখক

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ কঙ্কাবতী

------------------------------------------------
রাজকুমার

তাহসিন রেজা এর ছবি

গল্পটা পড়ে খুব ভালো লাগলো।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”

অলীক জানালা _________

অতিথি লেখক এর ছবি

কি আর বলব, ধন্যবাদ।

----------------------------------------------
রাজকুমার

অতিথি লেখক এর ছবি

যে এক পাখির ঝাক মৃত্যুকে আরোগ্যের অ্যাম্বুলেন্স ভাবে
কেউ কেউ তারাও নিয়ত বেরোয় রীতিরুদ্ধ গন্ধমের ঘ্রাণে।

ধন্যবাদ
-----------------------------------------
রাজকুমার

দীনহিন এর ছবি

গল্পটি শেষ করার পর খালি মনে হচ্ছে, কোথাও কি এমন পড়েছি! ল্যাটিন যাদুবাস্তবতার মোড়কে পরিবেশন করা গল্পটি ক্লাসিক হওয়ার সব যোগ্যতাই রাখে!
তবে এত কথায় আমার কাজ কি! গল্প অসম্ভব ভাল লেগেছে। এবং পাঁচতারাও দিয়ে ফেলেছি সে জন্য।

.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

হ্যাঁ, সত্যিই ভাল লেগেছে। চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ

শিশিরকণা এর ছবি

পড়া শুরু করেছি যখন তখন ভেবেছিলাম অনুবাদ বুঝি। অসাধারণ।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ শিশিরকণা।
এটা কোন অনুবাদ নয়।

মরুদ্যান এর ছবি

এটা কি কোন অনুবাদ?

লাইন গুলো কেমন যেন একটু কাটা কাটা লেগেছে, একটু কাঠখোট্টা।

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ মরুদ্যান
এটা কোন অনুবাদ নয়।আমি মূলত একজন কবিতা কর্মী।আমি প্রচল ধারার কবিতাও লেখি না।আমার কবিতা পড়া থাকলেআশা করি আপনি এমন মন্তব্য করতে পারতেন না।আপনার সৌজন্যে আমি এখানে আমার পাঁচটি কবিতা দিলাম।অবশ্য কবিতা গুলো সবই বিভিন্ন লিটল ম্যাগে প্রকাশিত।
শিকার সংহিতা
====================
গল্পের ভেতর একটা নাদুস নুদুস হাতি
দুষ্টু পিঁপড়ে তার শুড় কামড়াচ্ছে
বাতাসে অবাক ঘুঘুটি এলোমেলো ঘুমিয়ে পড়েছে
ধনুকের মেরুতে মেরুতে
বেড়ে উঠছে সাদা সাদা বরফের চাই।

আর কোষে কোষে বর্ষাকাল ঘনিয়ে এলে
ক্রমাগত মেঘের রক্তে স্নান করছে সূর্য
নিদ্রাছন্ন পানকৌড়ি ও
উড়ন্ত ঢোড়া সাপের পাশে
পেঙ্গুইনের শহর জুড়ে এস্কিমোদের ঝাড়বাতি-
জ্বলছে নিভছে………

কাজলরেখা
========================
শিশু ডাকে আয় আয় চাঁদ মা! মা!
কালো মেঘে ফালি ফালি চাঁদ
আকাশ গুমোট।

নেচে উঠছে-
চিতার ক্ষুরের বয়সী ধারলো বাতাস;
ঝড়ের পূর্বাভাসে পৃথিবী নড়ে
শুধু নারকেল পাতা ছিড়ে তৈরি করা ঘড়ি
বৃষ্টির মার্চ-পাস্ট ঠোটে ঘুরছে আরশময়
চরকা কাটা বুড়ির গুহাতে……

ক্যাকটাস
==========
ও ঈশ্বরের ঋতুস্রাব
আ গলে যাচ্ছে চাঁদ;
বাউলা মেঘের ভিড়ে
ডুবে মরছে ভুবন কেল্লা।

জলের বিজনেও
মরচে ধরা ফুলের কেলাস
বহুবর্ণ নিজস্ব নাড়িভুড়ি
ক্ষুদে ক্ষুদে সাংকেতিক মাছ
ডুবে ডুবে সাঁতার কাটছে ।

বৃষ্টির শেষ আছে??
উচ্ছিষ্ট রাত্রির টানেলে টানেলে
ডোরাকাটা বগের শিকার দৃশ্য
নেবুফুল ভাঁজ ফেলে যায়……………

বিয়োগফুল
==============
শিরায় শিরায় ধোঁয়ার পাহাড়
উজানি মাছের মতন মেঘ
অবিরাম উদাস মাশরুম
চুমুর ভূগোল জুড়ে বিয়োগফুল ফুটছে।

ক্ষত বাড়ছে
খলুই আর গলুই ভর্তি মরিচফুল ক্ষত।

হরিণ কাঁদছে
তার বাম স্তনের দু-আঙুল নিচে
ঢিব ঢিব করছে সুপুরি পাতার ঘ্রাণ
বিয়োগ শব্দটি হরিণ পছন্দ করছে না
এমনকি বাঘের বিয়োগও................
ইনসমনিয়া
= = = = = = = = = =
সারা রাত বাঘিনীর চুমু
শহরজুড়ে মেয়েদের চুম্বনের মতন ভারী বৃষ্টি
বাড়ছে মাছের পিপাসা।

ছিড়ে ফেলা চিরকুটদের শোক
সেলাই করা মেয়ে পুতুলের টুকরো টাকরা
পরিত্যক্ত চুমুর পেরেক
কার্নিসে দলছুট নূতন বউয়ের মতন মেঘ
কিংবা মেয়েলি বিদ্যুতের কনিষ্ট তরবারী
শিরায় শিরায় ফরফর ধ্বনি তুলছে।

সারা রাত বাঘিনীর চুমু
শহর জুড়ে বৃষ্টিরা মাথা খুটছে কাঁচের জানালায়
বাড়ছে মাছের পিপাসা।

মরুদ্যান এর ছবি

আমার মন্তব‌্যকে আপনার লেখার মানের মাপকাঠি ধরলে ভুল হবে। আমার প্রথম মন্তব্য একান্তই আমার অনুভূতি।

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি প্রতি মুহূর্তে আপনাকে ধাক্কা দিয়ে বোঝাবো it is not an imaginry story , বা আমি আপনাকে সস্তা আনন্দ দিতে আসি নাই । প্রতি মুহূর্তে আপনাকে হ্যামার করে বোঝাবো যে যা দেখছেন তা একটা কল্পিত ঘটনা, কিন্তু এর মধ্যে দিয়ে যেটা বোঝাতে চাইছি আমার থিসিসটা বুঝুন, সেটা সম্পূর্ণ সত্যি। সেটার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করানোর জন্যই আমি আপনাকে এলিয়েনেট করবো প্রতি মুহূর্তে ।

ঋত্বিক ঘটক
মুভিমনতাজ, ১ম বর্ষ ২ সংখ্যা ১৯৬৭
--------------------------------------------------------------
ধন্যবাদ, রাজকুমার।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

আমার কবিতা পড়া থাকলেআশা করি আপনি এমন মন্তব্য করতে পারতেন না।

এই কথাটুকু উদ্ধত লাগল খানিকটা। আপনার বা যে কারও লেখা নিয়ে মন্তব্য করতে হলে আপনার বা তাঁর সব লেখা (বা আগের কিছু লেখা) পড়ে এসে মন্তব্য করতে হবে কেন?

আপনার লেখা ভাল লেগেছে। কিন্তু মন্তব্যের অংশটুকু ভাল লাগেনি তাই বলে গেলাম, আশা করি পার্সোনালি নেবেন না।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

শিশিরকণা এর ছবি

প্রাসঙ্গিক বলে একটা শব্দ আছে। এখানের মন্তব্য যারা করছেন, এই লেখা প্রসঙ্গে করছেন, কবিতা আপনি যেভাবেই লিখুন না কেন, সেটা হবে কবিতার প্রাসঙ্গিক মন্তব্য, দু'টা মিলিয়ে ফেলার মানে হয় না।
আপনি ভালো চিত্রগ্রাহক হতে পারেন, কিন্তু লেখার সমলোচনা জন্য আপনি কিভাবে ক্যামেরার চোখ দিয়ে কিছু ফুটিয়ে তুলতে পারেন, তা জানার কিন্তু পাঠকের প্রয়োজন বা দায় নেই।
বুঝাতে পারলাম কি?

মন্তব্যটা আমার কাছেও উদ্ধত লেগেছে। তাই দু'আনা যোগ করলাম।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

মেঘলা মানুষ এর ছবি

অণুগল্প ভালো লেগেছে, মৃত কুকুরীর দেহটা বৃষ্টিতে ধুয়ে যাবার দৃশ্য দেখতে পাচ্ছিলাম মন খারাপ

শুভেচ্ছা হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনাকেও শুভেচ্ছা
-----------------------------------------
রাজকুমার

মাসুদ সজীব এর ছবি

আপনার গল্পের চেয়ে ভাষার বাক্য বিন্যাসের দক্ষতা আমার ভালোলেগেছে এবং আমি ধারণা করছিলাম আপনি কবিতা লেখেন বোধহয়। ভালোথাকুন, আরো লিখুন আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালো থাকুন অবিরত

ধ্রুব আলম এর ছবি

চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

তিথীডোর এর ছবি

অণুগল্প ভাল্লেগেছে। চলুক

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

তারেক অণু এর ছবি
আয়নামতি এর ছবি

এককালে রাজারা খুশি হলে হীরে জহরত কিংবা গলা থেকে মুক্তার মালা খুলে ছুঁড়ে দিতেন।
একালের রাজকুমার একটা গপ লিখেছেন এবং সেটা পাঠক হিসেবে আমার খুউব ভালো লেগেছে।
কী খুশি খুশি লাগছে না এট্টু? তাইলে ঐতিহ্য ভুললে তো হবেক না তাই না?
একটা কাজ করেন

ঋত্বিক ঘটক
মুভিমনতাজ, ১ম বর্ষ ২ সংখ্যা ১৯৬৭

পুরো লেখাটা আপনার সংগ্রহে থাকলে ছুঁড়ে দেয়া যায় কিনা দেখুন প্লিজ!

***
আরো লেখালেখি আসুক আপনার।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চলুক

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

একটু খটকা থেকে গেলো। কুকুর কি ভাজা মাছের গন্ধে আকৃষ্ট হয়ে এমন কাণ্ড ঘটাবার কথা? আমি নিশ্চিত না। ভাজা মাছের বদলে মাংসের হাড়ি হলে খটকাটা থাকতো না। তাছাড়া অনেকক্ষণ ধরে চলা বৃষ্টির জলও গরম হবার কথা না। যাকগে, এইটুকু স্বাধীনতা লেখক নিতেই পারেন।

আপনার ভাষা কাব্যিক। সেটা স্বাভাবিক। গদ্যও চালিয়ে যেতে পারেন। আর কবিতা মন্তব্যে পোস্ট না করে আলাদা পোস্ট হিসেবে দিন।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

প্রথমেই একটা কথা বলে নিই - গল্পে কুকুরী শব্দটা আমার পছন্দ হচ্ছে না। আর কুকুরী লিখলেন যখন, তখন কুকুর লিখলেন না কেন? "পুরুষ কুকুররা তাকে ঘিরে জটলা পাকাত" লাইনটা পড়ে তাই অপছন্দটা আরো বেড়ে গেল।

তবে গল্পটা যা লেগেছে না - এক্কেবার দা-রু-ণ!!! আরো লিখতে থাকুন ভাই, আপনার আরো গল্প পড়তে চাই। আপনার বর্ণনাগুলো অসাধারণ - "কচি লাউয়ের নরম চিবুকের মত সন্ধ্যা", "অপূর্ব পেয়ারা পাতার চাহনি ও সৌন্দর্য" খুবই ভালো লাগলো।

কয়েকটা টাইপো চোখে পড়লো -
পাহাড়া-> পাহারা, মাথা খুটছিল-> মাথা কুটছিল, ছাট থেকে বাচা ->ছাঁট থেকে বাঁচা ইত্যাদি।

____________________________

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।