বিজয় দিবসে আমাদের স্পর্ধা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ২১/১২/২০১৪ - ৮:৩৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রায় পাঁচ বছর পর ডিসেম্বর মাসটা ঢাকা শহরে কাটাচ্ছি। ৩০ বছরের জীবনের ২৫টা বছরই কেটেছে ঢাকায়। গত পাঁচ বছরের প্রবাস জীবনে এক-দু’বার যা দেশে আসা হয়েছে তা হয় বছরের মাঝামাঝি, অথবা যীশুখ্রীষ্টের জন্মদিনের পরে। বিজয় দিবসে নগরীর সাজ সাজ রবের ব্যাপারটাই প্রায় ভুলতে বসেছিলাম। এবার তাই সদ্য কেনা স্মার্টফোন হাতে বেশ তৈরি হয়েই বেড়িয়েছি প্রতিদিন, স্মৃতির খাতা ঝালাই করব বলে। কত কিছু যে পাল্টেছে, কত কিছু আবার ঠিক আগের মতই আছে। মনে পড়ে, ছোটোবেলায় বিজয় দিবস সবসময় আসত স্কুলের শীতকালীন ছুটির সময়। আমাদের বাড়িতে ১৫ই ডিসেম্বর রাতেই শুধু অনুমতি ছিল দেরি করে ঘুমোবার। রাতের খাবার খেয়ে আমরা আমাদের চারতলা বাসার আটটা পরিবারের পিচ্চিরা বাড়ির দারোয়ানকে নিয়ে ছাদে উঠে পতাকা লাগানোর ব্যাবস্থা করতাম। সে কি উত্তেজনা আমাদের। সবচেয়ে দুরূহ কাজ ছিল পতাকাটা ছাদের উপরে দাঁড় করানো। একটা লাঠি (যেটা পতাকার স্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহার করা হবে) জোগাড় করা ঢাকা শহরে যে এত কঠিন কাজ সেটা তখন বুঝতাম। আমাদের বিল্ডিঙের দারোয়ান ছিলেন লাল মিয়া। লাল চাচা সন্ধ্যা বেলা গিয়ে কোনো অজ্ঞাত জায়গা থেকে নিয়ে আসতেন সেই লাঠি। প্রথমে আমরা চেষ্টা করতাম ছাদের সিঁড়িঘর অথবা পানির ট্যাঙ্কির উপরে লাঠিটা দাঁড় করানোর, যেন আশপাশের সব বাড়ির চেয়ে উপরে থাকে আমাদের পতাকা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হতাম, কারণ ছাদের উপরের ওই মিনি ছাদগুলোতে লাঠিটা বাঁধার কিছু পেতাম না। শেষমেষ ছাদের যেই কোণাটা রাস্তা থেকে দেখা যায়, সেই কোণার রেলিঙের সাথে বাঁধা হত আমাদের বাসার পতাকা। বাঁধতে বাঁধতে আবার পাশের বাড়ির ছাদের পিচ্চিদের সাথে কার পতাকা উঁচু বেশি সেটা নিয়ে একটু আধটু মন কষাকষিও যে হত না তাও ঠিক বলা যাচ্ছে না।

আমাদের মায়ের আবার ছিল ভীষন নিয়ম মেনে চলার বাতিক। আমরা চাইতাম দু-চারদিন আগেই পতাকা লাগানোর কাজটা সেরে রাখতে। মা সেটা কিছুতেই করতে দিত না। বলত ১৪ই ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস বলে শুধু সরকারি ভবনে পতাকা অর্ধনিমিত রাখার নিয়ম। আর পতাকা কোনো খেলা করার জিনিস না, বিশেষ দিনগুলোতেই শুধু পতাকা বাড়িতে ওড়ানো যায়। আমি এখনো জানি না মার বলা কথাগুলো আসলেই এত কঠোর ভাবে পালন করা উচিত কিনা, কিন্তু একটা ব্যাপার আমরা সব ভাই-বোনরা বুঝতাম, যে এই পতাকাটা শুধু এক টুকরো কাপড় না। মা বলত, ওই লাল রংটা ত্রিশ লাখ শহীদের রক্ত দিয়ে বানানো। এটা শোনার পর থেকে পতাকাটা ধরতেও আমাদের হাত কাঁপতো।
সেই পতাকাটা ১৭ ডিসেম্বর সকালে নামিয়ে আবার যত্নের সাথে মা আলমারিতে তুলে রাখত। বলত এরপর আবার শহীদ দিবস আর স্বাধীনতা দিবসে বের করবে। ছোট্টবেলায় মা অফিসে গেলে প্রায়ই মার আলমারি আর ড্রয়ার খুলে সব শাড়ি নামিয়ে তাই দিয়ে খেলা করতাম। মনে আছে, চার তাকের চেস্ট অফ ড্রয়ারের উপর থেকে দুই নম্বর ড্রয়ারটায় থাকত পতাকাটা। ওটাতেই ছিল মার বিয়ের শাড়িটাও। ছোট্ট আমার নাগালের বাইরে। আমি নিচের ড্রয়ারের হাতলের উপর পা দিয়ে উঠে ড্রয়ারটা অতি কষ্টে খুলতাম, পতাকাটা দেখতাম, ধরতাম, আবার রেখে দিতাম। ভাঁজ খুলতাম না, কারণ ওটা মার দামি শাড়িগুলোর চেয়েও অনেক অনেক দামি।

------------------------------

আমার ডিসেম্বর মাসটা উৎসবের মাস মনে হত। বাবা মা অফিস থেকে ফিরে সন্ধ্যাবেলায় আমাদের নিয়ে যেত শহীদ মিনারে, অনুষ্ঠান দেখতে। ঈদ, পূজা অথবা ফেব্রুয়ারির বইমেলার সময়ও ঠিক এই আমেজটা পেতাম না। চারদিক কেমন লাল সবুজে ছেয়ে যেত। ছোট্ট ছোট্ট কাগজের পতাকা সুতো দিয়ে বেঁধে আমাদের গলিটা সাজানো হত। আমার খুব ইচ্ছা হত আমাদের ভাড়া বাড়ির ছাদটাও ওভাবে সাজাতে। কিন্তু বাড়িওয়ালাকে জিজ্ঞেস করতেই ভয় লাগত। বড় হওয়ার পর যখন সাহস হল, তখন ইচ্ছেটা যেন কোথায় চলে গেল! এবারো ঢাকা শহরে এসে দেখলাম সেসব ছোট্ট পতাকার মেলা। রাস্তায়, বাড়ির ছাদে। আরেকটা জিনিস লক্ষ করলাম যেটা ছোটোবেলায় প্রায় দেখাই যেত না। আগে শুধু ১৬ ডিসেম্বরে গাড়িগুলোতে পতাকা লাগানো দেখতে পেতাম। এবার দেখলাম ডিসেম্বর মাসের প্রায় শুরু থেকেই সব গাড়িতে পতাকা। এন্টেনার সাথে লাগানো ছোট্ট পতাকা না, গাড়ির বনেট ঢাকা বিশাল পতাকা দিয়ে। একদিন ট্রাফিক জ্যামে বসে ভাবলাম গুণে ফেলি, কয়টা গাড়ির বনেটে পতাকা – গড়ে প্রতি ৬টা গাড়ির একটার বনেট ঢাকা ছিল পতাকা দিয়ে। এর একটা কারণ সম্ভবতঃ ঢাকা শহরে আগে এত গাড়িই ছিল না। আর আরেকটা কারণ মোড়ে মোড়ে পতাকা বিক্রেতাদের ভীড়। সবাই একটা লাঠির সাথে বড় থেকে ছোট বিভিন্ন মাপের পতাকা বেঁধে ফেরি করে বেড়াচ্ছে। বেশিরভাগ লোকই কিনছে মাথায় বাঁধার পতাকা। আমার হঠাৎ কি খেয়াল হল, সব সাইজের পতাকা একটা করে কিনে ফেললাম। মনে হল, বিদেশের বাঙ্গালী বন্ধুদের জন্য এর চেয়ে ভাল উপহার আর কি হতে পারে? বলাই বাহুল্য, আমার নিয়ম সচেতন মা পতাকার এত বহুল ব্যবহার (যেটা মার মতে শো-অফ) দেখে যারপরনাই বিরক্ত। পতাকাগুলোর দায়সারা গোছের সেলাই দেখেও মা ভীষণ ক্ষুব্ধ। বলল, একাত্তরে নিজেরা বাড়িতে হাতে সেলাই করে যেই পতাকা বানিয়েছিল সেটাও এর চাইতে দশগুণ নিখুঁত ছিল। পতাকার আঁকাবাকা সেলাই দেখে আমারো যে একটু মন খারাপ হয়নি তা না। কিন্তু মার সাথে খুব তর্ক করলাম, এত পতাকা লোকে সহজে কিনতে পারছে সেটাই তো বড় কথা। এমন অনেক কিছুই নতুন দেখলাম এতদিন বাদে দেখা বিজয়ের মাসের ঢাকায়। কিন্তু একটা জিনিস যেটা আগে অনেক দেখতাম, এবার অন্ততঃ আমার চোখে পড়েনি, এবং সেটাই আমাকে সবচেয়ে বেশি আনন্দ দিল। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নামক দলটার পক্ষ থেকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা লেখা পোস্টার কোথাও দেখলাম না। আগে যখনি এটা দেখতাম আমার পুরো বিজয় দিবসের আনন্দটাই মাটি হয়ে যেত। এবার তা হল না। এটাই আমার এবারের বিজয় দিবসের সুখস্মৃতি।

-------------------------------------------

সচলে ১৯৭২ সালের বিজয় দিবসে প্রকাশিত বিজ্ঞাপন নিয়ে একটা খুব ভাল পোস্ট এসেছে। সেটা পড়তে পড়তেই হঠাৎ আমার চোখ পড়ল আরেক ছাপা পত্রিকার বিজ্ঞাপনে। ঢাকা ট্রিবিউন নামে একটা নতুন ইংলিশ পত্রিকা বেড়িয়েছে শুনেছি বিদেশে বসেই। অনলাইনে মাঝে মধ্যে ঢুও মেরেছি পত্রিকাটির সাইটে। অনলাইনে পত্রিকা পড়ার একটা সুবিধা হল, বিজ্ঞাপন গুলো দেখতে হয় না, কিন্তু ছাপার পত্রিকা পড়ার মজাটাও পাওয়া যায় না।এতদিন পর দেশে এসে বিজয় দিবসের বিশেষ সংখ্যাগুলো হাতে নিয়ে দেখার লোভ সামলাতে পারছিলাম না। হকারকে বলে প্রায় সব পত্রিকাই ওইদিন বাড়িতে রাখিয়েছিলাম। আমি আর বাবা মিলে সেসব পত্রিকা ঘাঁটছি। হঠাৎ শুনি বাবার চিৎকার – “এটা কী ধরনের রসিকতা?” আমি বাবার হাতে ধরা পত্রিকার দিকে তাকিয়ে দেখি, ঢাকা ট্রিবিউন নামক ইংলিশ পত্রিকাটির প্রথম পাতার পুরো অর্ধেক অংশ জুড়ে লাল কালিতে বড় বড় করে লেখাঃ

"পাকিস্তানের সাকিব
আবারো বিশ্বসেরা!"

আমিও ভাবছি, এমন ভুল কী করে করতে পারে কেউ? তাও আবার বিজয় দিবসে। ওইদিকে বাবা ততক্ষণে ভীষণ উত্তেজিত হয়ে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে কাগজ। আমি তাড়াতাড়ি সেটা হাতে নিয়ে একটু কাছে নিতেই দেখলাম নিচে খুব ছোট ফন্টে দুটো লাইন লেখা–

“শিরোনামগুলো হয়তো এমনই হয়ে যেত! হয়নি যাদের আত্মত্যাগে,
সেই মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা, অশেষ কৃতজ্ঞতা”

আমি বিজ্ঞাপন বা মিডিয়া নিয়ে খুব কম জ্ঞান রাখি। এমন চটকদার কথা যেটা দেখেই মানুষ চমকে যাবে সেটা লেখাই হয়তো বিজ্ঞাপনের সার্থকতা। কিন্তু ভাবছি, শুধু কি এইটুকুর জন্যই মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ ছিল? আমরা আজ পাকিস্তানের অংশ থাকলেই কি পূর্ব পাকিস্তানের সাকিব আল হাসানের মত খেলোয়াড় অনায়াসে পাকিস্তানের জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পেত? আর যদি তা পেতই তাহলে তো আমাদের মুক্তিযুদ্ধ করার দরকারই পরত না। মুক্তিযুদ্ধের উদ্দেশ্য কি ছিল শুধুই শখের বশে একটা আলাদা নামের দেশ গড়া? এমন একটা কথা বলে কি পশ্চিম পাকিস্তানের করা ২৪ বছরের শোষনের ইতিহাসকে মুছে ফেলা হয় না? আর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগকে কি ছোট করা হয় না? এর কিছুক্ষণের মধ্যেই খবর আসল পেশোয়ারের স্কুলে তালিবানি হামলার। একাত্তরের প্রতিটা দিন এর চেয়েও হাজারগুণ দুর্যোগপূর্ণ ছিল বাংলার প্রতিটা মানুষের জন্য। এখন গণমাধ্যমে আমরা সব খবর পাই। পরবর্তী দুর্যোগ ঠেকানোর সবরকম চেষ্টা করা হয়। আর একাত্তরের নয়টা মাস যে কি অসহায়রকম হতাশার মধ্যে কাটিয়েছে প্রতিটা শরণার্থী, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক নেতারা, যখন বিশ্বের কোনো গণমাধ্যমে আমাদের গণহত্যার খবর পর্যন্ত আসেনি, সেটা আমাদের পক্ষে কল্পনা করাও অসম্ভব।

পাকিস্তানের তরুণ প্রজন্মের অনেককেই দেখলাম এই ঘটনায় ফেসবুকে প্রোফাইল ছবি দিয়েছে এই শিরোনামে– “১৬ ডিসেম্বর ২০১৪, এনাদার ব্ল্যাক ডে ইন দি হিস্টরি অফ পাকিস্তান”। তাদের প্রথম ব্ল্যাক ডেটা ছিল ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১। তার কারণ এই না যে ১৬ই ডিসেম্বরের আগে প্রায় ত্রিশ লাখ মানুষকে হত্যা করেছে তাদের আর্মি। মূল কারণ হল ১৬ই ডিসেম্বরকে তারা তাদের পরাজয়ের দিন মনে করে। দুঃখ পায় এই ভেবে যে তারা তাদের দেশের স্থলভাগের একটা অংশ হারিয়েছিল। পেশোয়ারে প্রাণ হারানো ১৪১ জন নিষ্পাপ শিশুর লাশের ভীড়ে আমাদের নাম না জানা ত্রিশ লাখের আত্মত্যাগ হারিয়ে যায়। রয়ে যায় শুধু একটা দিন, ১৬ই ডিসেম্বর। আমাদের বিজয় দিবস, ওদের ব্ল্যাক ডে। মুক্তিযুদ্ধ করে এই বিজয় দিবস এসেছিল বলেই আমরা স্পর্ধা দেখাই সেই বিজয় দিবসেই বড় বড় অক্ষরে সাকিবকে পাকিস্তানের সাকিব লেখার। শুধু ভাবছি, মুক্তিযুদ্ধই আমাদের এই স্পর্ধা দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধকে ছোটো করার।

জলপদ্ম

পুনশ্চঃ ফোনে তোলা পত্রিকার ছবি দুটো সংযুক্ত করে দিলাম।


মন্তব্য

মেঘলা মানুষ এর ছবি

লেখা ভালো লেগেছে। প্রতিটা বাড়িতে যদি আপনার মায়ের মত করে বাচ্চাদের শেখানো হত, তাহলে দেশটার চেহারাই হয়ত বদলে যেত।

বিজ্ঞাপনটা বেশি চটকদার করে ফেলে হয়েছে। ছোট ফন্ট, বড় ফন্টের কারসাজি না করলেও কিছুটা চলত।
এটাকে পুরো আবর্জনা (রাবিশ এর বাংলা বোঝাতে চেয়েছি) বলেই মনে হয়েছে।

আমাদের পতাকা ওড়ানোর কতটা মন থেকে আর কতটা হুজুগে সেটা নিয়ে মাঝে মাঝে প্রশ্ন জাগে মনে।
হয়ত ভাববেন, কেন?
অনেক বাড়িতেই পতাকা বাঁশের মাথায় লাগিয়ে রেখে দেয়া হয় দিনের পর দিন। সূর্য ডুবে গেলে পতাকা নামিয়ে রাখার কথা মনেও থাকে না। ফুটবল বিশ্বকাপের সময় বিশাল পতাকার জন্য বিশাল বাজেট থাকে, আর নিজের দেশেরটা সে তুলনায় অনেক কমদামেই কেনার ইচ্ছা থাকে।

প্রাসঙ্গিক বলে মনে পড়ল, এটা নিয়ে একটা দুর্বল গল্প লিখেছিলাম আগে। এটা পড়ে দেখার আমন্ত্রণ রইল।

শুভেচ্ছা হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

মন্তব্য ও গল্পের জন্য ধন্যবাদ। আমাদের আবার মাতৃতান্ত্রিক পরিবার, এমন পাওয়া একটু দুরূহই বটে! বিজ্ঞাপনটা নিতান্তই অদরকারি (পড়ূন আবর্জনা) মনে হয়েছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

Dhaka Tribune এই পত্রিকার সম্পাদকের মাথায় বিশেষ সমস্যা আছে । নিচের লেখাটা আরো বড় করে না লেখলে যে কেউ এইটাকে খারাপ ভাবেই নিবে । যদিও এইটা প্রচারের একটা অভিনব টেকনিক ।যাতে আপনি খারাপ ভাবেন আর পরে এইটা দেখার পর অনেকেই সাথে শেয়ার করবেন । এতে করে পত্রিকার প্রচার হয়ে গেলো ।

আর ওরা ব্ল্যাক ডে পালন করে করতে দেন । পাকিস্তান কিন্তু এখনো বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চায়নি । তাহলে যেই দেশের মূল নীতিতে সমস্যা সেই দেশের মানুষরাও সেইটাই বলবে ।শয়তান কখনো ভালো হয়না । কারণ সে শয়তান ই ।

অদৃশ্য চয়ন

অতিথি লেখক এর ছবি

সেজন্যই এখানে শেয়ার করলাম। এতে করে অপপ্রচারটাও হল হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

পাপিস্থানের যদি একাত্তরের চরমতম অন্যায়ের জন্য ক্ষমা চাওয়ার মতো শুভবুদ্ধির উদয় হতো তবে সেটা এতদিনে পাকিস্তান হয়ে যেত। তা যে এখনও পাপিস্থান রয়ে গেছে তার জ্বলন্ত প্রমান তো তারা এবার আমাদের বিজয় দিবসেই পেয়ে গেছে (ঐ নৃসংশ ঘটনায় যেসব নিঃষ্পাপ শিশুদের প্রাণ গেছে তাদের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধ রেখেই বলছি)। পাপিস্থানের ক্ষমা না চাওয়ার বিষয়ে নিন্দা জানানোর আগে ধিক্কার জানাতে চাই, বাংলাদেশের ঐসব নরপশুদের যারা এখন তাদের একাত্তরের জঘন্যতম অন্যায়ের জন্য ক্ষমা চায়নি; উপরন্তু, এখনও যারা বলে একাত্তরে ভুল করিনি, যারা স্বাধীনতা দিবস পালনকারীদের বিভিন্নদেশের দালাল হিসেবে চিহ্নিত করে, যারা একাত্তরের রাজাকারদের নির্দোষ দাবী করে, যারা রাজাকারের দলকে ক্ষমতা লাভের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে- তাদের।

- পামাআলে

অতিথি লেখক এর ছবি

মন খারাপ

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

এক লহমা এর ছবি

ঐ বিজ্ঞাপনটা একটি শয়তানী উপায়ে পাপিমনা উল্লাস পূর্ণ করে নেওয়া ছাড়া আর কিছু মনে হয়নি আমার কাছে।

আপনার লেখা ভাল লেগেছে।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।