'জয় আমাদের হবেই'

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১৯/০১/২০১৫ - ১২:৫৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাটা সিগন্যাল থেকে নিউমার্কেটের দিকে চলে যাওয়া পথ ধরে খানিকটা এগোলেই সুপরিচিত সুপরিসর একটি বিপণী বিতান। বিপণী বিতানটির ঠিক উল্টোদিকেই একটা অন্ধগলি। গলিটির শেষমাথায় একটি বাড়ি। বাড়িটির নাম ‘কণিকা’- শহীদ জননী জাহানারা ইমামের স্মৃতিবিজড়িত বাসগৃহ।

শনিবার। মধ্যাহ্ণের ঠিক পরপরই আমাদের রিকশাটা এসে থামলো শহীদ জননীর স্মৃতিবিজড়িত বাসগৃহের সামনে। রিকশা থেকে নামলাম আমরা। ‘কণিকা’ নামের বাড়িটি এখন রূপান্তরিত হয়েছে একটি বহুতল ভবনে। সেই ভবনের দ্বিতীয় তলায় ‘শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর।’

শহীদ জননী জাহানারা ইমাম এর পারিবারিক জীবনের সস্নিগ্ধ স্মৃতিগাথা, সাহিত্য জীবনের সুললিত চিহ্ন এবং আন্দোলন-সংগ্রাম মুখর জীবনের স্মারক সৌন্দর্যে ভাস্বর এই জাদুঘর, অনন্য এই স্মৃতিপ্রান্তর পরিভ্রমণের শুরুতেই আমরা থমকে দাঁড়াই যে অংশটিতে, সেখানে দেয়ালাকৃতির ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখা জাহানারা ইমামের পারিবারিক নানা ছবি।

ছবিগুলো কি বিভাজিত কোন পর্বাকারে?- জানতে চাইলে হ্যাঁ-বোধক জবাব দেন জাদুঘরের প্রতিনিধি। তিনি জানান, একেবারে উপরে কচি কলাপাতার মতো সবুজ রংয়ের পশ্চাৎপটে রাখা ছবিগুলো ধারণ করে আছে শহীদ জননীর শৈশব কৈশোর এবং তার পরবর্তীকালীন কিছু স্মৃতি।
জাহানারা ইমামের জন্ম ৩ মে, ১৯২৯, মুর্শিদাবাদ জেলার সুন্দরপুর গ্রামে। রক্ষণশীল মুসলিম পরিবারের মেয়ে হিসেবে বেড়ে উঠলেও ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট বাবা সৈয়দ আব্দুল আলী এবং মা হামিদা বেগমের প্রেরণায় উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন তিনি রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে- তাঁর আত্মজৈবনিক গ্রন্থ অন্যজীবন এর পাতায় পাতায় এসব কথার অনেকটাই উঠে এসেছে ব্যাক্তিগত স্মৃতিচারণের এক অতিদুর্লভ আটপৌরে ভঙ্গীতে।

তারপর ঘন সবুজ পশ্চাৎপটে স্থাপিত ছবিগুলো জাহানারা ইমামের পত্রপল্লবে পূর্ণবিকশিত জীবনকালের, যখন তিনি রংপুর ছেড়ে উচ্চশিক্ষালাভার্থে কলকাতা গমন করলেন, পাশ করলেন বি.এ., পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হলেন প্রকৌশলী শরীফ ইমামের সাথে, কর্মজীবনে করলেন প্রবেশ, একসময় জননী হলেন শাফী ইমাম রুমী এবং সাইফ ইমাম জামীর- এভাবেই সুখ-আনন্দে কেটে যাওয়া সময়গুলোকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে অতিবাহিত হলো ১৯৫২, ১৯৬৬, ১৯৬৯, ১৯৭০। এরপর ১৯৭১- কৃষ্ণযবনিকা নেমে এলো জননী জাহানারা ইমামের জীবনে।

স্বাধীনতার সূর্যরশ্মির অবাধ বিচ্ছুরণ নিশ্চিত করতেই শহীদ হলেন রুমী, পাক হানাদারদের নির্মম অত্যাচার-অপমানের গ্লানি আর পুত্রশোকের ভয়াবহ আঘাতে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হবার মাত্র তিন দিন আগে মৃত্যুবরণ করলেন তাঁর স্বামী। এই পর্যায়ের ছবিগুলোর পশ্চাৎপট শোকের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ অর্থাৎ কালো।

শোকের পর স্বাভাবিকভাবেই বেদনা। তাই এই পর্যায়ের ছবিগুলোর পশ্চাৎপট নীল। বেদনা পরবর্তী ছবিগুলোর পশ্চাৎপটে একটু উষ্ণ বর্ণ, মানে কমলা রং ব্যবহার করা হয়েছে। কারণ এরই মধ্যে শোক বেদনা অনেকটাই সামলে উঠেছেন মা জাহানারা ইমাম। ছোট পুত্র, পুত্রবধূ ফ্রিডা আর দুই নাতনী লিয়ানা ও লিনিয়ার ভালবাসা আঁকড়ে ধরে উঠে তিনি দাঁড়িয়েছেন আবার। শোক-বেদনাকে রূপান্তরিত করেছেন শাণিত শক্তিতে। মন দিয়েছেন সাহিত্যচর্চায়। অসাধারণ নৈর্ব্যক্তিক প্রকাশভঙ্গীতে একাত্তরের দিনগুলোর মতো রক্তাক্ত ব্যাক্তি অভিজ্ঞতা বর্ণনায় আপ্লুত করেছেন সাধারণ মানুষকে, স্বপ্রণোদনায় পূর্ববর্তী কথার সাথে এই কথাগুলোও যোগ করলেন জাদুঘরের প্রতিনিধি।

পুরো জাদুঘরে রক্ষিত অসংখ্য স্মারক যেন বহন করছে সেই সব সময়েরই স্মৃতি। জাহানারা ইমামের ব্যবহৃত আসবাবপত্র, তৈজস, হাজার রকম দলিল-দস্তাবেজ, চিঠি, লেখার সরঞ্জামসহ বিভিন্ন দ্রব্যসামগ্রী বেদনাদ্র মন নিয়ে ঘুরে দেখতে দেখতে একসময় এসে দাঁড়ালাম একচিলতে বারান্দায়। সেই বারান্দায় দাঁড়িয়ে মনে পড়ে গেল ১৯৮১ সালের কথা, যখন ক্যান্সারের সাথে বসবাস করছেন জাহানারা ইমাম। অফুরান জীবনীশক্তির প্রায় পুরোটাই তখন অধিকৃত সেই মরণ ব্যাধিতে। কিন্তু কোন কোন মানুষ যে তাঁর মস্তিষ্কের মনিকোঠায়, তাঁর অবিনশ্বর চেতনায় সঞ্চয় করে রাখেন জীবনীশক্তির চাইতে আরো মহাশক্তিধর প্রাণসত্ত্বাকে, তার প্রমাণ পাওয়া গেল বাঙালি জাতির বৃহত্তর এক প্রয়োজনের মুহূর্তে-

একাত্তরের ঘাতক দালালদের যুদ্ধাপরাধের বিচার দাবীতে সোচ্চার হলেন জাহানারা ইমাম। চরম শারীরিক অসুস্থতা উপেক্ষা করে অনিবার্য এক আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়লেন তিনি। একাত্তরের পর সত্যিকার অর্থেই আবার উত্তাল হলো দেশ। ১৯৯২ সালের ২৬ মার্চ লাখো মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সমাবেশে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গঠিত হল গণআদালত। গণমানুষের সেই আদালতে যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে ঘোষিত হলো মৃত্যুদণ্ডাদেশের ঐতিহাসিক রায়। এবার আর জাহানারা ইমামের মাতৃত্ব তাঁর পারিবারিক গণ্ডীর একক পরিসরে সীমাবদ্ধ রইলো না; গণআন্দোলনের নেতৃত্ব তাঁর মাতৃত্বকে পৌঁছে দিলো বহুত্বের পরিসীমায়-

জাহানারা ইমাম আজ নেই, কিন্তু তাঁর শুরু করা কাজ কি শেষ হয়েছে এখনও?
না। দীর্ঘশ্বাস বুকে চেপে বারান্দা থেকে ফিরে এলাম আমরা। দাঁড়ালাম শহীদ জননীর আন্দোলন-সংগ্রাম মুখর জীবনের স্মারকচিহ্নগুলোর সামনে। চোখ রাখলাম হাসপাতালের মৃত্যুশয্যা থেকে সহযোদ্ধা দেশবাসীর উদ্দেশ্যে শহীদ জননীর নিজ হাতে লেখা চিঠিটির শেষ চরণদুটিতে, যেখানে স্পষ্টাক্ষরে বিবৃত- 'একাত্তরের ঘাতক ও যুদ্ধাপরাধী বিরোধী মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও ৭১-এর ঘাতক দালাল নির্মূল সমন্বয় আন্দোলনের দায়িত্বভার আমি আপনাদের- বাংলাদেশের জনগনের হাতে অর্পণ করলাম। জয় আমাদের হবেই।'

দীপংকর চন্দ

ছবি: 
24/08/2007 - 2:03পূর্বাহ্ন

মন্তব্য

মেঘলা মানুষ এর ছবি

চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ মেঘলা মানুষ।

বিলম্বিত উত্তরের জন্য দুঃখপ্রকাশ।

আমার শুভকামনা জানবেন। অনিঃশেষ।

ভালো থাকবেন। সবসময়।

দীপংকর চন্দ

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

ট্যাগ ওয়ার্ডস দেখে মনে হচ্ছিল এটা দাদার লেখা। পরিচ্ছন্ন, সাবলীল, আবেগে মোড়ানো লেখা। ‘কণিকা’তে আমার এক আত্মীয় ভাড়া থাকেন। একবার অপারেশন পরবর্তী সময়ে সে বাসায় ছিলাম ক’রাত। স্ট্রেচারে সিঁড়ি দিয়ে উঠানামা করার সময় ভাবতাম, সুস্থ হলে জাদুঘরে ঘুরে যাবো। সেই সুস্থতা এমনভাবে এলো।বাদ দেই প্রসঙ্গটা।
তবে সেই না দেখাটা এখনো বুকের ভেতর খোঁচায়।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ অনেক অনেক সুলতানা সাদিয়া।

সেই সুস্থতা এমনভাবে এলো।

বিষণ্ণতা মাখা বাক্য!

কামনা করি, সুস্থতার স্পর্শ থাকুক আজীবন।

তবে সেই না দেখাটা এখনো বুকের ভেতর খোঁচায়।

চেতনা অটুট রাখুন।
জাদুঘর পরিদর্শন সামান্য সময়ের ব্যাপার!

আমার শুভকামনা জানবেন। অনিঃশেষ।

ভালো থাকবেন। সবসময়। অনেক।

দীপংকর চন্দ

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ আব্দুল্লাহ ভাই।

বেশ কিছুদিন পর আপনার সংস্পর্শ!

ভালো লাগার মাত্রাটা স্বাভাবিকভাবেই বেশি।

আমার শুভকামনা জানবেন ভাই। অনিঃশেষ।

ভালো থাকবেন। সবসময়।

দীপংকর চন্দ

সৌরভ কবীর এর ছবি

চলুক

__________________
জানি নিসর্গ এক নিপুণ জেলে
কখনো গোধূলির হাওয়া, নিস্তরঙ্গ জ্যোৎস্নার ফাঁদ পেতে রাখে

অতিথি লেখক এর ছবি

অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন সৌরভ ভাই।

এবং কৃতজ্ঞতা।

ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।

দীপংকর চন্দ

অতিথি লেখক এর ছবি

‌ছবি মাত্র একটা কেন?

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।

নিবন্ধের অভিলক্ষ্য অনুযায়ী আলোকচিত্র খুব একটা গুরুত্বের দাবী রাখে বলে মনে হয়নি আমার কাছে।

আমার শুভকামনা জানবেন। অনিঃশেষ।

ভালো থাকবেন। সবসময়।

দীপংকর চন্দ

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

এই যাদুঘরের সন্ধান জানা ছিল না। বিশেষ করে সেটি জানাবার জন্য ও সার্বিকভাবে এই ছিমছাম পোস্টটির জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
শহীদ জননী জাহানারা ইমাম রংপুরের যে কলেজ ক্যাম্পাসটিতে কিছু সময় বাস করেছেন তার বিশালত্ব ও নৈসর্গিক সৌন্দর্য ভাষায় প্রকাশের নয়। বড় মাপের মানুষ হওয়ার ক্ষেত্রে সেই পরিবেশ কতটুকু প্রভাব ফেলেছে জানি না

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

অতিথি লেখক এর ছবি

সেই কলেজটা ঘুরে দেখার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। হাসি

রাসিক রেজা নাহিয়েন

অতিথি লেখক এর ছবি

শুভকামনা অনিঃশেষ রাসিক রেজা নাহিয়েন।

ভালো থাকবেন। সবসময়।

দীপংকর চন্দ

অতিথি লেখক এর ছবি

জাহানারা ইমাম রংপুরে যে বাসায় থাকতেন সে বাসাটা দেখেছি, তার আশেপাশেই থাকি। তার স্মৃতি রক্ষার্থে কিছুই নেই সেখানে।

রাসিক রেজা নাহিয়েন

অতিথি লেখক এর ছবি

শুভকামনা পুনরায় রাসিক রেজা নাহিয়েন।

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ সুলেখক রোমেল চৌধুরী।

শহীদ জননী জাহানারা ইমাম আমাদের চেতনার অপরিহার্য দীপশিখা।

লেখার অভিলক্ষ্য অর্জনে যাদুঘরটি একটি অনন্য অনুষঙ্গ।

শহীদ জননী জাহানারা ইমাম রংপুরের যে কলেজ ক্যাম্পাসটিতে কিছু সময় বাস করেছেন তার বিশালত্ব ও নৈসর্গিক সৌন্দর্য ভাষায় প্রকাশের নয়। বড় মাপের মানুষ হওয়ার ক্ষেত্রে সেই পরিবেশ কতটুকু প্রভাব ফেলেছে জানি না

সুন্দর একটি ভাবনার ক্ষেত্র সৃ্ষ্টি হয় মন্তব্যের এই অংশটুকুতে।

কারমাইকেল কলেজের প্রশাসনিক ভবনের স্থাপত্যশৈলীও অসাধারণ।
বিশেষত গম্বুজ এবং কার্নিসের অলংকরণ।

আমার শুভকামনা জানবেন ভাই।

ভালো থাকবেন। সবসময়।

দীপংকর চন্দ

তারেক অণু এর ছবি

জাদুঘরটির সাইনবোর্ড দেখেই যেতে চেয়েছিলাম, তখন শুনেছিলাম যে এটি সবসময় উম্মুক্ত নয়, এবং বিশেষ অনুমতি নিয়েই প্রবেশ সম্ভব কেবল ! একটু জানিয়েন তো -

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ তারেক অণু ভাই।

এবং বিশেষ অনুমতি নিয়েই প্রবেশ সম্ভব কেবল !

আপনার মন্তব্যের এই অংশটুকু কিছুটা দ্বিধায় ফেলেছিলো গতকাল।
বিষয়টি বেশ কয়েকটি আঙ্গিকে যাচাই করে নেবার জন্য উত্তরের বিলম্ব হল।

বিশেষ অনুমতির কোন প্রয়োজন যেহেতু আমার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়নি, তাই বিষয়টি নিযে ভাবনা কিংবা যাচাই করার প্রয়োজন পড়েনি আপনার মন্তব্যের আগে।

আপনার মন্তব্য দেখার পর আমি কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলি বিষয়টি নিয়ে। এবং তাঁরা আমাকে নিশ্চিত করে এধরনের কোন বিধিনিষেধ নেই কারো ক্ষেত্রেই।
তারপর আরো ভিন্ন দুটো সূত্রও বিষয়টি সম্পর্কে সংশয়ের অবসান ঘটাতে সাহায্য করে।

জাদুঘরটি খোলা থাকে সপ্তাহে একদিন।
বিশেষ কোন উপলক্ষ্য ব্যতীত প্রতি শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
তবে শীতকালের সময় প্রতি শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

যাদুঘরে কর্মরত আবু ইউসুফ সাহেবের সাথে কথা বলা যেতে পারে পরিদর্শনের প্রয়োজনে।

আপনাকে যিনি বিশেষ অনুমতি সাপেক্ষে জাদুঘরে প্রবেশের কথা জানিয়েছেন, তিনি কী প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা থেকে জানিয়েছেন বিষয়টি?
সম্ভব হলে জানাবেন। কারণ, এমন একটি জায়গা পরিদর্শনে কেউ সমস্যায় পড়বেন, সেটি আশাকরি কাম্য নয় কারো!

শুভকামনা জানবেন। অনিঃশেষ।

ভালো থাকবেন। সবসময়।

দীপংকর চন্দ

আয়নামতি এর ছবি

জাদুঘরের কথা আগেও শুনেছি। দেখবার সৌভাগ্য হয়নি যদিও।
অণু'র মত আমারও প্রশ্ন এটা কী সবার জন্যই উন্মুক্ত?
শহীদ জননী জাদুঘর নিয়ে লিখবার জন্য উত্তম জাঝা!
শুভকামনা হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ অনেক অনেক আয়নামতি।

কর্তৃপক্ষ আমাকে নিশ্চিত করেছেন এটি সবার জন্য উন্মুক্ত।

সময় উল্লেখ করছি পুনরায়।
জাদুঘরটি খোলা থাকে সপ্তাহে একদিন।
বিশেষ কোন উপলক্ষ্য ব্যতীত প্রতি শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
তবে শীতকালের সময় প্রতি শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

যাদুঘরে কর্মরত আবু ইউসুফ সাহেবের সাথে কথা বলা যেতে পারে পরিদর্শনের প্রয়োজনে।

আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।

ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।

দীপংকর চন্দ

শাব্দিক এর ছবি

চলুক

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ অনেক অনেক শাব্দিক।

আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।

ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।

দীপংকর চন্দ

এক লহমা এর ছবি

চলুক

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ এক লহমা।

আমার শুভকামনা জানবেন। অনিঃশেষ।

ভালো থাকবেন। সবসময়।

দীপংকর চন্দ

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

দারুণ লেখা চলুক

[ বিদ্রঃ আমারও সময় মেলেনি, সময়টা জানিয়েন তো ]

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ অনেক অনেক সুলেখক সাক্ষী সত্যানন্দ।

জাদুঘরটি খোলা থাকে সপ্তাহে একদিন।
বিশেষ কোন উপলক্ষ্য ব্যতীত প্রতি শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
তবে শীতকালের সময় প্রতি শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

যাদুঘরে কর্মরত আবু ইউসুফ সাহেবের সাথে কথা বলা যেতে পারে পরিদর্শনের প্রয়োজনে।

আমার শুভকামনা জানবেন। অনিঃশেষ।

ভালো থাকবেন। সবসময়। অনেক।

দীপংকর চন্দ

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
(আমি গিয়েছিলাম সন্ধ্যার পরে, তার আগে ছুটি মিলতো না। এবার দেখে আসবো।)

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

শুভকামনা পুনরায় ভাই।

জীবনযুদ্ধ এর ছবি

খুব কাছ দিয়ে হেটে যাওয়া হলেও এ বাড়িতে যাওয়া হয়নি কখনো, লেখা খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।