এক একদিন প্রতিদিন-১০

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ০৬/০৩/২০১৫ - ৪:৪৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সেই সব দুপুরগুলো মোটেও তার ছিলো না, সেগুলো ছিল মায়ের দুপুর। সেই দুপুরের সবার খাবার শেষ হলে, থালা-বাটি গুছিয়ে রেখে মা দ্রুত এসে শোবার ঘরের বিছানার কোনে ছোট্ট টেবিলে রাখা এন্টেনা ভাঙা রেডিওটার দখল নিতেন। রেডিওকে তখন রেডিও বলতো না কেউ, বলা হতো ট্র্যাঞ্জিষ্টর। মা সাত সকালে স্নান সেরে লক্ষ্মী পূজো আর রান্নার শুরুর তাড়ায়, ভিজে অবস্থায় খোঁপায় বেঁধে রাখা প্রায় হাঁটু সমান লম্বা চুল ছেড়ে দিয়ে বিছানায় আধশোয়া হয়ে বসতেন। তারপর ট্র্যাঞ্জিষ্টরের নব ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মা আকাশবাণী কলকাতা খুঁজে বের করতেন, উদ্দেশ্য রবিবার দুপুরের নাটক। তাকে মায়ের পাশে শুয়ে থাকতে হতো। শাওলি মিত্র, শম্ভু মিত্র এদের অতো অতো গুরুগম্ভীর সংলাপের কিচ্ছু কি সে বুঝতো! তার গোটা দুপুরটাই পণ্ড হতো সেদিন। তবে নাটক শোনায় মগ্ন মায়ের নাটকের সাথে একাত্ম হয়ে যাওয়াটা দেখতে তার খুব ভালো লাগত। মায়ের মুখে রাগ, অনুরাগ, আনন্দ, বেদনা কতো কতো অনুভব আঁকিবুঁকি কেটে যেতো। মাকে তখন কোন প্রশ্ন করলে মা খুব রেগে যেতেন। কথা না বলে দুর্বোধ্য নাটকের না বোঝা সংলাপ শুনে একটি ঘণ্টা সহজে কাটতে চাইতো না। তার সেদিন মন খারাপ, তার সেদিন বন্দী দশা।

সে চাইতো তার নিজস্ব দুপুর, যা মায়ের দখল নেই একটুও। তার দুপুরে মা খাবার ঘরের হাঙ্গামা মিটিয়ে চুল এলিয়ে বিছানায় শুতেন, ট্র্যাঞ্জিষ্টরটা টেবিলে দিব্যি পড়ে থাকতো। মা বরং মগ্ন হতেন স্বল্পকালীন দিবানিদ্রায়। মায়ের চোখ দুটো যেমনি বুজে এলো, অমনি সে আস্তে আস্তে গায়ের উপর থেকে মায়ের হাত সরিয়ে নেমে যেতো বিছানা থেকে, তারপর পা টিপে টিপে মেঝে পেরিয়ে উঠোনে নেমে, টিনের গেঁট খুলে এক্কেবারে ভোঁ দৌড়। একদমে চন্দনাদের বাড়ীর দিকের পিচ ঢালা পথে উঠে তবেই থামাথামি। সেইসব ফাগুনে কৃষ্ণচূড়ার ফুলে ভরে যেত পথের দুই পাশের ঘন সারির গাছগুলো। মাঝে মাঝে পথের উপর পড়ে থাকত বাতাসে ভেঙে পড়া ফুলসহ কৃষ্ণচূড়ার ছোট-বড় ডাল। কিছু ডাল, কিছু ফুল তুলে দুপুরের নীরবতা স্যান্ডেলের প্যাচপ্যাচে আওয়াজে মুখর করে হেঁটে হেঁটে চন্দনাদের বাড়ী পোঁছে যেত দ্রুত। কোন কোন দিন পুরোটা বিকেল কাটতো ওদের বারান্দায় বসে এই সেই খেলে খেলে, অনর্গল কথা বলে। আবার কোন কোন দিন চন্দনা, মিলি, রিপা ওদের সাথে মিলে জেলাস্কুলের মাঠ অথবা গোল পুকুরের পাড়ে ঘুরে বেড়ানো। ফিরতে ফিরে সন্ধ্যের ঘোর লেগে যেতো। সেই হালকা আঁধারে বাড়ী ফিরবার সময় মায়ের মারের ভয় যে একটু আধটু হতো না তা নয়। কিন্তু মার খেয়ে খেলার নেশা মুক্ত কেউ কবে হয়েছে কিনা সে জানেনা; সে হয়নি কোনদিন। আর বাড়ী ফিরে মা ঘরে আর উঠোনের তুলসী তলায় প্রদীপ জ্বালানোয় ব্যস্ত থাকার সময়টুকুর মধ্যে লক্ষী মেয়ের মতো কলতলায় হাত পা ধুয়ে পড়তে বসে গেলেই হলো। তাতেও পোষাবে না বুঝলে, ঠাম্মাকে একটু আশে পাশে থাকবার জন্য কানে কানে ফিসফিসিয়ে বলে দিলেই পিটুনি থেকে অবধারিত নিস্তার। আহ, সেই সব ছিল তার দুপুর!

মায়ের দুপুর গুলোয় নাটক শেষ হলে গান শুনতেন মা। গান শুরু হলে সেইসব দুপুরগুলো তারও একটু বুঝি ভালো লাগতে শুরু করতো, একটু একটু বুঝি তারও হয়ে উঠতো। সেসব গানের কিছু কিছু আজও মনে আছে তার। একটা সেসময় প্রায়ই বাজত,

'মনটা যদি না থাকতো আমার কিছুই মনে পড়তো না
এই মনও তবে এমন করে কেমন কেমন করতো না
আর তাকেও মনে পড়তো না।"

গানের এই জায়গাটাতে এসেই, শিল্পী ফুঁপিয়ে কাঁদতে শুরু করতেন কি এক গলে পড়া বেদনায়। প্রেম-বিরহের ভাষায় তার তখনও হাতেখড়ি হয়নি, তবুও সেই নীল বেদনার নোনা জল তাকেও ছুঁয়ে যেতো কেমন করে যেন। আরেকটি গানও খুব মনে লেগে গিয়েছিল,

"আমার সবটুকু ভালবাসা তোমাকে দিলাম, তুমি নিয়ে যাও
আমার আনন্দ আলো আশা তোমাকে দিলাম, তুমি নিয়ে যাও..."

হৃদয় উপচে পড়া ভালবাসা প্রিয়কে সমর্পণের একান্ত আকুতি সে বুঝতো না কিছুই। কিন্তু শিল্পীর অকৃত্রিম কণ্ঠ সৌষ্ঠব তাকেও আনমনা করে তুলতো কেমন জানি। আবার কোন কোনদিন বিভিন্ন প্রদেশের গান বাজতো বিকেল চারটের পরে। ছিল ভুপেন হাজারিকার গান অহমিয়াতে। ভূপেন গাইতেন,

"বিস্তীর্ণ পারোরে অহংখ্য জনরে হাহাকার হুনিও
নিহব্দে নিরবে বুঢ়া লুই্ত তুমি বুঢ়া লুইত তুমি বোবা কিয়"

এই গানটিও তার বোঝার বাইরে ছিল। কিন্তু সে গানের কথার- সুরের কেমন একটা একটা গুমরে পড়া কষ্টে ব্যথিত হতো, একটি উত্তর না মেলা প্রশ্নে আলোড়িত হতো। সে গঙ্গা দেখেনি, নাম শুনেছে ঠাম্মার কাছে; যার ছিল গঙ্গায় পুণ্যস্নানের গভীর মোহ। সে গঙ্গার কথা ভাবতে ভাবতে পদ্মার ছবি আঁকত, পদ্মা পাড়েই বাড়ি তাদের। গানের সুরে আর না বোঝা কথায় তার বন্দী দুপুরটি গড়িয়ে গিয়ে সন্ধ্যে নেমে আসত একসময়। মা উঠে ঘরে প্রদীপ দেবার আয়োজনে নামতেন। সে পরের দুপুরের, যে দুপুরটি আবার তার হবে একান্ত ইচ্ছেমত সেই দুপুরের প্রতীক্ষায় বইখাতা নিয়ে পড়তে বসত।

তার আর মায়ের দুপুরের সেই বৈরী সম্বন্ধ কেটেছিল একসময়। সে তখন আরেকটু বড়, ফ্রক পড়া বালিকা থেকে কামিজ পড়া কিশোরী। ট্র্যাঞ্জিষ্টরে রবিবার নাটকের দুপুরগুলো তখন দুজনেরই; কখনও আকাশবাণী, কখনও বাংলাদেশ বেতার। আর ছিল সেই বিকেলের গান। ভুপেন গাইতেন অহমিয়ায় তখনও। ব্রহ্মপুত্র-গঙ্গা-পদ্মার পাড়ের খাদ্য বিহীন মানুষের আহাজারি, ব্যক্তিত্বহীন সমষ্টির উন্মাদনার মন্ত্রের অভাব তার মনেও অনেক প্রশ্ন জাগায়। ততদিনে বাড়ীতে টেপ রেকর্ডার-ক্যাসেট প্লেয়ার এসেছে, ভুপেন এর গান বাজাতে আর রেডিওর বদান্যতায় থাকতে হয়না। তার কিশোরীর হৃদয়ে ভালবাসা-প্রেম-বিরহের বোধ ডানা মেলতে শুরু করেছে সদ্য। সে মায়ের দুপুরের সেইসব গানগুলোর জন্য অপেক্ষায় থাকতো। সেই গানগুলো কিন্তু আর বাজত না তেমন করে। গান পুরনো হয়, শিল্পীরা আসেন যান। সেইসব গানের শিল্পীদের নাম জানতো না সে, তাদের গানের ক্যাসেটও যোগার হয়নি তার।

আজকাল দুপুর গুলো অনেক অন্যরকম। তার বেশীর ভাগ দুপুর ভরে থাকে রুগী, নোট, প্রেসক্রিপশন আর এদিক ওদিক ছুটে বেড়ানোয়। কিছু হয় মেয়ের মায়ের, বই-গল্প-খেলা-মুভি। কিছু কিছু বাড়ির গিন্নির, রান্না-ধোয়া-ঘরকন্নার। আর কিছু কিছু দুপুর হয় একান্তই তার, সেই সব দুপুরগুলোতে তার ফেলে আসা সব দুপুর গুলোর কথা মনে পড়ে, কৃষ্ণ চুড়ার দুপুর, স্কুলের মাঠের দুপুর, মায়ের হাতে বন্দী দুপুর, আকাশবাণীর দুপুর, বাংলাদেশ বেতারের দুপুর...। ভাবতে ভাবতে সে খুঁজে নেয় সেইসব দুপুরের গান। ভূপেন আর তার গানের 'বিস্তীর্ণ দুপাড়ের' সেই গুমরে মরা কষ্ট, উত্তর না মেলা প্রশ্ন বদলায়নি এতটুকু। অথচ অস্কার হ্যামারস্টেইনের 'Ol Man River' এর সেই কালো মানুষদের জীবন বদলেছে কত, মিসিসিপি বুঝি সত্যি শুনেছে তার কালো মানুষদের আর্তি। ভূপেন এর সাথে সাথে পালা করে শোনা হয় পল রোবসন। ভূপেন-এর গঙ্গা এবং ব্রহ্মপুত্র আর তার পদ্মা দু'পাড়ের অসংখ্য মানুষের হাহাকার বুকে নিয়েই আজো বইছে আরো অলস, আরো নিঃশব্দে। গঙ্গা-পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র নয়; মিসিসিপি-ই বরং কাছাকাছি তার আজকাল।

ইংরেজী-বাংলার মিশেল এইসব দুপুরে বাকি সব গানগুলোকেও সে খুঁজে বেড়ায়। কৈশোরে ভুলে যাওয়া কিছু গান আবার একদিন হঠাৎ পাওয়া যায় খুঁজতে খুঁজতে। এন্টেনা ভাঙ্গা ট্র্যাঞ্জিষ্টর কবে হারিয়ে গেছে, রেকর্ড প্লেয়ারের দিনও ফুরিয়েছে একরকম। ইদানিং ইউ টিউবে বাজে তার গান। আশা ভোসলের গলায়, প্রিয় সেই সুর অতীত থেকে উঠে আবার বর্তমান হয়ে আসে। প্রেম বিরহের সাথে আজকাল ভালো জানা শোনা, আনন্দ-বেদনা-সমর্পণের আকুতি শুনতে শুনতে সে শোবার ঘরের জানালায় একলা দৃষ্টি মেলে দিয়ে ভাবনায় হারায়। হাঁটু লম্বা চুলে ছেড়ে দিয়ে আধশোয়া মা, শাল কাঠের সেই খাট, ভাঙা এন্টেনার ট্র্যাঞ্জিষ্টর, শাওলি মিত্র-শম্ভু মিত্রের রবিবারে মায়ের পাশে শুয়ে শুয়ে কাটানো দমবদ্ধ সেই দুপুর, সেই বন্দী সব দুপুর গুলোকে কিছুতেই বর্তমানে ফিরিয়ে আনা যায়না। ইউটিউব, ইথারের কোন ফ্রিকোয়েন্সিতেই তাদের ধরা যায় না আর। জানলা থেকে সরে এসে বিছানায় আধশোয়া হয়ে চোখ মুদে আশা ভোসলের সাথে গলা মিলাতে মিলাতে সে আশ্চর্য হয়ে ভাবে; ওইসব বন্দী দুপুরগুলোও এমন করে মনে পড়ার কিছু হয়ে থাকবে কে জানতো!

রীতু


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

কী অদ্ভুত সুন্দর! মন খারাপের বিকেলবেলাটা ভালোলাগায় ভরে গেল। প্রিয় শৈশব আর কৈশোরের দিন মানেই পেছনে ফেলে আসা দিনের জন্য একরাশ মন খারাপ লাগা কিন্তু সেই মন খারাপ লাগার মাঝেও থাকে কত টুকরো টুকরো ভালোবাসায় ছাওয়া একটা জীবন।

দেবদ্যুতি

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা।

রীতু

'সেই যেখানে সারাজীবন বৃষ্টি পড়ে, বৃষ্টি পড়ে...
সেই যেখানে কেউ যায়না, কেউ যায় নি কোনদিনই...'

এক লহমা এর ছবি

আবেগে, ঝরঝরে লেখায় আপনার এই পর্বটিও স্মৃতি-মেদুর, মনকাড়া, ঠিক যেমনটি আশা করে থাকি আপনার কাছ থেকে।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

অতিথি লেখক এর ছবি

বরাবরের মতোই অনেক কৃতজ্ঞতা পড়বার এবং সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

রীতু

'সেই যেখানে সারাজীবন বৃষ্টি পড়ে, বৃষ্টি পড়ে...
সেই যেখানে কেউ যায়না, কেউ যায় নি কোনদিনই...'

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

নিয়মিত পড়িনি আপনার সিরিজটি। আজকের পর্বটি পিছনে তাকাতে বাধ্য করছে।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

অতিথি লেখক এর ছবি

শুনে ভালো লাগলো, অনেক দিন পর আবার পর পর দুটি পরব লিখে ফেললাম। আমার আছে একবাক্স স্মৃতি, হাতড়ে বেড়াই যখন তখন।

রীতু

'সেই যেখানে সারাজীবন বৃষ্টি পড়ে, বৃষ্টি পড়ে...
সেই যেখানে কেউ যায়না, কেউ যায় নি কোনদিনই...'

অতিথি লেখক এর ছবি

হয়তো আপনার সাথে প্রজন্মের ফারাক আমার।তবু লেখা পড়ে, মানসে ভেসে ওঠে আমার মায়ের ছবি। মা গুন গুন করে গাইতেন, 'একটা গান লিখ, আমার জন্য !' । নিস্তরঙ্গ দ্বিপ্রাহরিক রৌদ্রে কখনো মায়ের কন্ঠ আর্দ্র , তার ফেলে আসা পুরনো শৈশবের গল্পে , মামাবাড়ির গল্পে। বর্ষা-রোদের দুপুরে ঝিলমিল জলে নাকি হাওরে লক্ষ্মী আসে, সাই সাই করা এঞ্জিনের নৌকায় বসে, আধডোবা অশ্বথ গাছের সারি দেখে, আমিও একদা সেটা টের পেয়েছিলাম সেটা।আমাদের শৈশবের দুপুরে বেতারের দিন প্রায় শেষ।বাঁশের খুটিতে ঝুলানো এন্টেনাওয়ালা বিটিভির কথা মনে পড়ে। মনেপড়ে, সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে বাড়ি ফেরা পাড়ার ছেলেদের কথা। হরিপদের দোকানে হয়ত সন্ধ্যাবাতি জ্বলে। লালা-পেড়ে শাড়ির আচল-প্রদীপ জ্বলা তুলসী তলা,ধূপের গন্ধে-বাদ্যে কিছু পরিচিত বন্দনা সংগীত। স্মৃতিমেদুরতায় কাতর হই আপনার লেখায়।

রাজর্ষি

অতিথি লেখক এর ছবি

কেমন আছেন, রাজর্ষি? ফিরে এসে আপনাকে পেয়ে ভালো লাগছে। 'স্মৃতিমেদুরতা' শব্দটিও খুব ভালো লেগেছে। 'আধডোবা অশ্বথ' শুনে আমি আবার ফিরে চলছি সেই গ্রামে, বাড়ীটিকে খুঁজে নিতে।

রীতু

'সেই যেখানে সারাজীবন বৃষ্টি পড়ে, বৃষ্টি পড়ে...
সেই যেখানে কেউ যায়না, কেউ যায় নি কোনদিনই...'

অতিথি লেখক এর ছবি

সচলে আপনার লেখার জন্য প্রতীক্ষা করছিলাম অনেক দিন। অনেক ধন্যবাদ, মনে রেখেছেন বলে। এই দাহকালে কে ভালো আছে দিদি? সাথে আমার কিছু ব্যাক্তিগত অশরীরী দীর্ঘশ্বাস।

ভাল থাকুন অনেক।অন্তত আমাদের জন্য, লিখুন প্রচুর।

রাজর্ষি

আয়নামতি এর ছবি

ভারী মন কেমন করা লেখা দিদি! আপনার স্মৃতি শক্তির তারিফ না করলেই না হাসি
আমার তো মনে হয় আমি জন্মই নিয়েছি এই রকম ধেড়ে হয়েই। হাতড়েও সেভাবে স্মৃতি খুঁজে পাইনা।
সময়ে যাও বা কিছু হাতে আসে লিখতে হবে কিভাবে ভাবতে ভাবতেই স্মৃতি হাত গলে পগার পার!
আরো লিখুন রীতুদি। ভালোবাসা থাকলো।

তিথীডোর এর ছবি

খুব ভাল্লাগলো পড়তে। চলুক

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

জীবনযুদ্ধ এর ছবি

পড়তে পড়তে যেন ডুবে গেলাম আপনার স্মৃতির পাতায়। আরো লিখুন আপনি, ব্যস্ততার মাঝে সময় বের করে.

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।