ব্লু জেস

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ১৩/১০/২০১৫ - ৫:৫৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

“বাবা, কাল কিন্তু স্কুলে নীল জামা পড়ে যেতে হবে। যেতেই হবে”
“কেনরে? এত রং থাকতে নীল কেন?”
“কালকে টরন্ট ব্লু জেস এর খেলা। ওদের জার্সির রং নীল। জানো বাবা, এবার আমরা ওয়ার্ল্ড সিরিজ জিতবই জিতব।”

ব্লু জে একটা পাখির নাম, যেন তেন পাখি নয় রীতিমতো গানের পাখি। দেখতে অনেকটা বুলবুলির মতো, তবে তুলনায় বেশ বড় আর রঙটা নীল। পোকামাকড়, বাদাম, ওক গাছের ফল খেয়ে বেঁচে থাকে এরা। সুকণ্ঠী হলেও চরিত্রের দিক থেকে এরা বাংলার কোকিলের চাইতেও এক কাঠি সরেস। ব্লু জে অন্য পাখিদের ডাক নকল করে, অন্যের ঘর ভাঙ্গে। অন্য পাখির ডিম খেয়ে করুন সুরে গান গাইতে গাইতে ঘুরে বেড়ায় এডাল থেকে ওডালে। এহেন দস্যু স্বভাবের পাখি সামাজিক ভাবে আবার দারুণ সুশৃঙ্খল, রীতিমতো সংবিধান মেনে চলে! অন্যের ঘর ভাঙার কু অভ্যাস থাকলেও নিজের পরিবারের ক্ষেত্রে এদের মূল্যবোধ একেবারে টনটনে। শিল্পীর মন বলে কথা।

সেই ব্লু জের নামে নাম টরন্টর বেসবল দলের। টরন্ট ব্লু জেস দের গান থেমে আছে গত বাইশ বছর ধরে। অন্য পাখিরা, বিশেষ করে মার্কিন পাখিরা মাঝে মাঝেই এসে এদের ঘর ভেঙ্গে দিয়ে যায়। ভালো খেলোয়াড়রা বেশিদিন থাকেনা এখানে, দল ভেঙ্গে পাড়ি জমায় নায়াগ্রার ওপাড়ে। মার্কিন স্কাউট রা সবসময় তক্কে তক্কে থাকে, যখনই কোনও ডিম (কিশোর খেলোয়াড়) ফুটি ফুটি করে, ছোঁ মেরে নিয়ে যায় বেশি পয়সার লোভ দেখিয়ে। বাইশ বছর পর সেই ব্লু জে এবার গান গাইতে শুরু করেছে। একে একে বস্টন, টাম্পা বে, বাল্টিমোর, নিউ ইয়র্ক কে তছনছ করে ইতিহাস সৃষ্টির পথে। ওয়ার্ল্ড সিরিজ জয়ের সুবাতাস বইতে শুরু করেছে শহরের অলিতে গলিতে। নতুন ইতিহাস রচিত হল বলে। তবে তার আগে টপকাতে হবে টেক্সাস রেঞ্জার্সের বাধা। আজ বিকেলে খেলা। তিনটেয় নয়, সাড়ে তিনটেয় নয়, কোনও এক বিচিত্র কারণে বিকেল তিনটে বেজে সাইত্রিশ মিনিটে শুরু হবে মহারণ।

অমিয় নীল জামা পড়ে স্কুলে গিয়েছে। ছেলের সাথে যুক্তি করে আমার স্ত্রী পড়েছে নীল রঙের কানের দুল। ছেলে আর স্ত্রীকে নামিয়ে দিয়ে ফিরে এসেছি বাসায়। যেতে আসতে চোখে পড়ছে হলুদ বাস চেপে স্কুলের পথে চলমান শিশুকিশোরদের, সবাই আজ নীল পোশাকে। এমনকি প্রাপ্ত বয়স্ক ধ্রুবেশ দের অনেকেই আজ নীলেশ। আমি যথারীতি সাদাকালো।

গাড়িতে একা থাকলে রেডিও না শোনা এই দেশে মোটামুটি পাপের পর্যায়ে পড়ে। রেডিও চালু করতেই শুনি ঘোষকের সাবধান বানী। শহরের অনেক রাস্তাই আজকে ওয়ান ওয়ে, কিছু কিছু রাস্তা আবার বন্ধ। রাস্তা বন্ধ করে উৎসবের প্রস্তুতি চলছে। টরন্ট তো বটেই, দেশের বিভিন্ন শহর থেকে বাস, ট্রেন, প্লেন, গাড়ি বোঝাই করে আসছে উৎসাহীরা। চব্বিশ ঘণ্টায় তেলের দাম বেড়ে গিয়েছে লিটার প্রতি দেড় সেন্ট। সমর্থকেরা দারুণ উৎকণ্ঠিত, ইনজুরি সারিয়ে দলের তারকা খেলোয়াড় ট্রয় টুলোইটস্কি খেলতে পারবে তো! দশদিন পর দেশে সাধারণ নির্বাচন, এই নিয়ে কারও মনে হচ্ছে কোনও মাথা ব্যাথাই নেই। হারপার নয়, মোলকেয়ার নয়, ট্রুডো নয়। চুলোয় যাক ট্রান্স প্যাসিফিক ট্রেড ডিল। ওবামা, পুতিন, ক্যামেরন, মরকেল কেউই, কিছুই গুরুত্বপূর্ণ নয় আজ। আজকের দিনটা ব্লু জেসদের জন্য। ভাগ্যবান যারা তারা রজারস সেন্টার এ বসে সরাসরি দেখবে। অন্যেরা পাব, ক্লাব, অফিস, লিভিং রুম, রেডিও - যে যেখানে পারে। দোকানে দোকানে পপ কর্ণ, চিপস, সফট ড্রিঙ্কস আর বিয়ারের সেলফ গুলো ফাঁকা হয়ে গিয়েছে কাল রাতেই।

শহরজোড়া এই উন্মাদনায় কোথায় আমি? কোথাও নই, আমি বেসবল বুঝিনা। কসম কেটে বলছি, বুঝতে চাইনা। এক বন্ধুর পাল্লায় পড়ে চেষ্টা করেছিলাম একবার। আঁটোসাঁটো পোশাক, (যা কিনা এযুগে লাস্যময়ী নারীরাই মূলত পড়ে থাকেন) পড়া একদল মানুষ মাঠের মাঝে, অদ্ভুত সে মাঠের ধরন। অর্ধেক খেলোয়াড়ের পেট জার্সি ফেটে বেরিয়ে যাই যাই করছে। কোনও এক বিচিত্র কারণে এই পেট মোটা খেলোয়াড়দের পা অস্বাভাবিক রকম সরু, অনেকটা বাংলাদেশের এক সময়ের ক্রিকেটার রাম চাঁদ গোয়ালার মতো। একজনকে দেখলাম সাদা রঙের একটা বল হাতে এক পা তুলে কানি বকের মতো দাড়িয়ে থাকতে, ইনি পিচার। অন্য প্রান্তে ব্যাট হাতে, ভুল বললাম, গুহামানবদের মতো ছোটো খাটো একটা মুগুর হাতে অদ্ভুত ভঙ্গিতে কুঁজো হোয়ে থেকে শরীর মোচড়াচ্ছে পেট মোটাদের একজন। তার পেছনে দুপায়ে ভর দিয়ে দাড়িয়ে একটা কিম্ভুত জীব, যেন গ্যালাপোগাস আইল্যান্ড থেকে উঠে আসা অতিকায় কোনও কচ্ছপ। ওটা আম্পায়ার। বলের ভয়ে আপাদমস্তক বর্মাবৃত। কী করে যে একটা ঘণ্টা কাটালাম, ভাবলে এখনও গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে। কানি বক হাত ঘুরিয়ে বল ছুঁড়ে মারছে, পেট মোটা গুহামানবটা শহিদ আফ্রিদির মতো ইয়াহু বলে মুগুর হাঁকাচ্ছে। আফ্রিদির মতোই কেবল ডান থেকে বামে। মুগুর তুমি কি অন্ধ, তুমি কি দিক ভ্রান্ত? ডান-বাম ছাড়া আর কিছুই কি তোমার অভীষ্ট নয়? আফ্রিদির মতোই ব্যাটের দশ মাইল বাইরে দিয়ে চলে যাচ্ছে বল। পেছন থেকে অতিকায় কচ্ছপটা বাজখাই গলায় চেঁচিয়ে উঠছে “স্ট্রাইক”। হঠাৎ, আফ্রিদির মতোই, বলে ব্যাট লেগে গেলো। আফ্রিদির মতোই বল আকাশে, উঁচুতে অনেক অনেক উঁচুতে। ভাবলাম এইবার কিছু একটা হবে। তিন দিক থেকে দৌড়ে আসছে তিনজন, এদেরকে কী বলে? ফিল্ডার নাকি অন্য কিছু? আফ্রিদি মুগুর ফেলে ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌড়ুচ্ছে যেন পখতুন মুল্লুকের ট্রেন এই ছেড়ে দেয় দেয়। অকস্মাৎ আফ্রিদি পা পিছলে ছ্যারছ্যার করে গড়িয়ে পড়ে গেলো। আমি সশব্দে হেসে উঠতেই দেখি বন্ধু কটমট করে আমার দিকে তাকিয়ে। পরে জেনেছিলাম এভাবে পড়ে যাওয়াটাই নাকি দস্তুর, যাকে বলে ওস্তাদের মার। ওদিকে বল তখনো আকাশেই। ওমা, বলের পেছনে দৌড়ুতে থাকা ব্যাটার হাতে দেখি গ্লাভস!! তারপরও সেই লোপ্পা ক্যাচ পৌষ মাসের শুকনো বিলে কাঁদায় হাতিয়ে প্রায় ধরে ফেলা টাকি মাছের মতো হাঁকড় পাঁকড় করে পিছলে বেড়িয়ে গেলো। এক ঘণ্টায় উত্তেজনাকর মুহূর্ত ওই একটাই। স্কোরটোর তো বুঝিনা, ইনিংস শেষ হওতে বন্ধুকে জিজ্ঞেস করলাম
"তোমার দলের অবস্থা কি?”

“খারাপ না, এক রান”
এক রান? এক রান! এক রান? আমার গায়ে যেন আগুন ধরে গেলো। কপালের দুপাশের রগ দুটো দপ দপ করছে, মাথার তালু না ফেটে যায়। হাতের কাছে একটা আপেল, কমলা অথবা সেদ্ধ আলু থাকলে চিপে ভর্তা করে ফেলতাম এমনই রাগ হল আমার। এতক্ষণ সহ্য করে এক রান? তোমার বেসবলের খেতা পুড়ি। I burn the comforter wrapping your baseball.

আমি বেসবল বুঝিনা। আল্লার কসম কেটে বলছি, বুঝতে চাইও না।

বেসবল আমার খেলা নয়। আমি বড় হয়েছি বৃষ্টিতে হাঁটু পর্যন্ত তলিয়ে যাওয়া আবাহনী মাঠে চামড়া ছরে যাওয়া তিন নম্বর ফুটবলে লাথি দিয়ে। ঢোল কলমি গাছের ডাল কেটে সটীক বানীয়ে টেনিস বল দিয়ে হকি খেলে। আমি বড় হয়েছি ক্রিকেট দেখে, ক্রিকেট খেলে, ক্রিকেট পান করে, ক্রিকেটে নাক ডুবিয়ে সাতার কেটে। বাংলাদেশ থেকে অনেক দুরে, আমার শৈশব, কৈশোর, তারুণ্য থেকে অনতিক্রম্য দূরত্বের এই শহরে আমি উড়ে এসে পড়েছি যেমন হাওয়ায় উড়ে আসে ডেন্ডেলাইওন এর বীজ। কোনও ক্রমে, এই অচিন বাগানের একটি নিভৃত কোনে, মাটির সবচেয়ে উপরের স্তরে শেকড় গেঁড়ে বসেছি। আমার শেকড় কোনদিন মাটির গভীরে পৌঁছুবে না। আমি কোনভাবেই কোনদিন বুঝতে পারবনা ক্যানেডিয়ান দের বুকের গভীরে বেজে চলা প্রাণের সেই স্পন্দন। আমার ছেলেটা হাওয়ায় উড়ে আসেনি। এখানেই জন্মেছে সে। এদেশের জল, মাটি, হাওয়ায় পরিপুষ্ট হয়ে বেড়ে উঠছে এদেরই একজন হয়ে। এখানেই তার শেকড়, মাটির অনেক অনেক গভীরে প্রোথিত।

বেসবল না বুঝলেও আমি ঠিক করেছি আজকের খেলাটা ছেলেকে নিয়ে দেখব। কে জানে, কোনও এক শীতের সন্ধ্যায়, কোনও এক শহরে, কোনও এক ক্যাফেতে বসে আমার ছেলে হয়ত তার বান্ধবীর চোখে চোখ রেখে, হাতে হাত ধরে বলবে,

“জানো, আমি তখন থার্ড গ্রেডে পড়ি। টেক্সাস রেঞ্জার্স এসেছে রজারস সেন্টার এ ব্লু জেস এর সাথে প্লে অফ এর প্রথম গেমটা খেলতে। ওই জে যেবার ব্লু জেস ওয়ার্ল্ড সিরিজ জিতল। আমি আমাদের লিভিং রুমে বাবার পাশে বসে সে খেলা দেখেছিলাম। ওহ সেকি উত্তেজনা, থার্ড ইনিংসের মাঝামাঝি, আমি দুই হাত দিয়ে চোখ চেপে বসে আছি………
(মোখলেস হোসেন)


মন্তব্য

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আমার বেসবল জ্ঞানও এমনই প্রায়। চমৎকার লাগলো! হাততালি
সচলের প্রথম লেখা কি মোখলেস ভাই? লিখতে থাকুন। হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

সদয় মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ভাই। এটি প্রথম লেখা নয়। এর আগে তিনটি লেখা (ছিটকিনি, টাইম মেশিন, মোহামেডান) প্রকাশিত হয়েছে। আসলে নিয়ম কানুন সব বুঝে উঠতে পারিনি এখনও। তাছাড়া প্রথম দিকে ক্যরাক্টার ম্যাপ দেখে টাইপ করতে গিয়ে বানান, বিরাম চিহ্ন সংক্রান্ত অনেক বিভ্রাটে পড়েছি। এই লেখাটি অভ্র ব্যাবহার করে তৈরি করা। লিখে চলেছি, প্রকাশ হবে কি হবেনা নির্ভর করছে সচলায়তনের উপর। (মোখলেস হোসেন)

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আমি খুবই দুঃখিত। "টাইমমেশিন" লেখাটা চমৎকার লেগেছিল। ওতে নাম দেন নি দেখে লহমাদা আবার গোয়েন্দাগিরি করে লেখকের নামও উদ্ধার করেছিলেন। ঘটনার ঘনঘটায় সেটাই ভুলে বসে আছি। লইজ্জা লাগে

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সত্যপীর এর ছবি

বাহ বেশ। খুব চমৎকার।

ব্লু জেস টেক্সাস রেঞ্জার্স হাবিজাবি নিয়া অফিসে সবাই নানান গপ করে শুনি। আমিও আপনার মত ভেসে আসা মানুষ, আমি চোখ বন্ধ করলে দেখতে পাই ১৯৯৭ এ কেনিয়ার সাথে আইসিসি ট্রফি জিততে বাংলাদেশের লাগবে এক বলে এক রান। ব্যাট করছে শান্ত, তার পায়ে বল লাগতেই উল্টাদিকে পাইলট দিল দৌড়। দৌড়। সাথে আমিও দৌড়াচ্ছি, দৌড়াচ্ছে সারা বাংলাদেশ। এই এক রান করতে পারলেই দেশ বিশ্বকাপে। এক মুহুর্ত পরে সারা ঢাকায় রঙ আর রঙ...

আপনি ঠিকই বলেছেন আপনার ছেলে নিশ্চয়ই এরকম আপনার সাথে বসে দেখা ব্লু জেস ম্যাচের কথা মনে রাখবে।

খুব ভালো লেখা। একশো তে একশো। আরো লিখবেন।

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ ভাই। আইসিসি ট্রফি জেতার অনুভূতি নিয়ে বড়সড় একটি লেখা আশা করছি আপনার কাছ থেকে। (মোখলেস হোসেন)

তিথীডোর এর ছবি

কানি বক হাত ঘুরিয়ে বল ছুঁড়ে মারছে, পেট মোটা গুহামানবটা শহিদ আফ্রিদির মতো ইয়াহু বলে মুগুর হাঁকাচ্ছে। আফ্রিদির মতোই কেবল ডান থেকে বামে। মুগুর তুমি কি অন্ধ, তুমি কি দিক ভ্রান্ত?

হো হো হো

এক রান? এক রান! এক রান? এতক্ষণ সহ্য করে এক রান? তোমার বেসবলের খেতা পুড়ি। I burn the comforter wrapping your baseball.

হো হো হো হো হো হো হো হো হো

বাংলাদেশ থেকে অনেক দুরে, আমার শৈশব, কৈশোর, তারুণ্য থেকে অনতিক্রম্য দূরত্বের এই শহরে আমি উড়ে এসে পড়েছি যেমন হাওয়ায় উড়ে আসে ডেন্ডেলাইওন এর বীজ। কোনও ক্রমে, এই অচিন বাগানের একটি নিভৃত কোনে, মাটির সবচেয়ে উপরের স্তরে শেকড় গেঁড়ে বসেছি। আমার শেকড় কোনদিন মাটির গভীরে পৌঁছুবে না।

বিশেষত এই লাইনগুলো পড়ে (উদাস হয়ে) ৫ তারা দাগিয়ে গেলাম। নিয়মিত লিখুন। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

"আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে", আহা। এই একটি পংতিই যথেষ্ট। (মোখলেস হোসেন)

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

সত্যিই চমৎকার

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ সুলতানা সাদিয়া। (মোখলেস হোসেন)

তাহসিন রেজা এর ছবি

[

বাংলাদেশ থেকে অনেক দুরে, আমার শৈশব, কৈশোর, তারুণ্য থেকে অনতিক্রম্য দূরত্বের এই শহরে আমি উড়ে এসে পড়েছি যেমন হাওয়ায় উড়ে আসে ডেন্ডেলাইওন এর বীজ।

লেখাটি খুব ভালো লাগল। নিয়মিত লেখা আসুক।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”

অলীক জানালা _________

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ তাহসিন রেজা। কতদিন বিরতি দিয়ে লেখা পাঠাতে হয় জানিনা। লিখছি, হাত নিশপিশ করছে পাঠিয়ে দিতে। (মোখলেস হোসেন)

হিমু এর ছবি

আপনার শেষ লেখাটি নীড়পাতা থেকে সরে গেলে তার পর আরেকটি দিন। এভাবে লিখতে থাকুন চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে, হিমু। ভুল করে যে লেখাটি দিয়ে দিলাম তার কী হবে ভাবছি।

হিমু এর ছবি

সেটা আপাতত ঝোঝুল্যমান থাকবে। নীড়পাতা থেকে আপনার এ লেখাটি সরে যাবার পর মডারেটররা প্রকাশ করলে প্রকাশিত হবে। নো টেনশন।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার ব্যাখ্যার জন্যে ধন্যবাদ, হিমু। আচ্ছা, মডারেটরেরা কি চমচম পছন্দ করেন? অনেকেই করেন কিনা।

সত্যপীর এর ছবি

মডারেটররা কবিতা পছন্দ করেন, উনাদেরকে কবিতা লিখে পাঠান। চমচম বরং আমার দিকে পাঠায় দেন। পীর মানুষ ফুঁ দিয়ে দিব।

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

কী যে বলেন! এইসব লৌকিক বিষয়ে আপনার উতলা হলে চলে? চমচম আপনার কমকম খাওয়াই ভালো।

সাফি এর ছবি

আমিও চমচম পছন্দ করি।

সাফি এর ছবি

লেখা ভাল লাগলো। আমিও বেসবল বুঝিনা, আমেরিকান ফুটবল কিছুমিছু বুঝি কিন্তু পোষায় না। তা ক্রিকেট আর ফুটবল নিয়াই আছি।

অতিথি লেখক এর ছবি

বলেন কি? আপনি আমেরিকান ফুটবল বোঝেন! আপনি তো নমস্য।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আমেরিকান ফুটবল মানে কি ঐ যে চামড়ার লাউয়ের মতন জিনিসটা নিয়ে কাবাডি খেলে আর যার কাছে বল থাকে তাকে ধরে সবাই হামলে পড়ে গণপিটুনি দেয়, ঐ খেলাটা? চিন্তিত

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

মরুদ্যান এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

মরুদ্যান এর ছবি

হাততালি খুব ভাল হৈসে! এক রানের জায়গাটায় হা হা করে হেসে দিলাম।

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনি অনেকদিন পরেই লিখলেন, মোখলেস। আগে তো আপনার গল্প পড়েছি, সে বেশ আগে। এই লেখাটা চমৎকার। এবার থেকে বিরতিটা একটু কম দেবেন, কেমন? শুভকামনা।

দেবদ্যুতি

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ দেবদ্যুতি। আপনার কথায় উৎসাহিত হয়ে লেখা (খেলা) তো একটা পাঠিয়ে দিলাম। দিয়েই মনে হল কাজটা ঠিক হয়নি। একটি লেখা দৃশ্যমান থাকতে থাকেতেই আরেকটি লেখা পাঠানো সম্ভবত সচলায়তনের নীতিমালার পরিপন্থী।

কর্ণজয় এর ছবি

ভাল লাগলো না বলে মন ভরে গেল বললেই ভাল হবে। পড়ছিলাম, আর মনে হচ্ছিল- ভেতর থেকে কেউ কথা বলছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ কর্ণজয়। উৎসাহ পাচ্ছি। (মোখলেস হোসেন)

স্পর্শ এর ছবি

সত্যি-ই অনবদ্য লেখনি আপনার। বেসবলের আগা-মাথা বুঝি না, ওয়ার্ল্ড সিরিজ কি তাও জানি না। কিন্তু লেখাটা পড়তে পড়তে আপনাদের শহরের প্রাণস্পন্দন ঠিকই টের পেলাম। আরো লিখুন। আরো লিখুন। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতিথি লেখক এর ছবি

আমিই কি কিছু বুঝি! তবে ঐযে প্রাণের স্পন্দনের কথা বললেন না? এই জিনিশটি দারুণ লাগে। ধন্যবাদ স্পর্শ। (মোখলেস হোসেন)

নিঃসঙ্গ গ্রহচারী এর ছবি

ভালো লাগলো অনেক। আরো লিখুন।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালো লেগেছে যেনে আমারও খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ নিঃসঙ্গ গ্রহচারী। (মোখলেস হোসেন)

এক লহমা এর ছবি

এইবার আর নাম লিখে দিতে ভুল হয়নি, খুব ভাল!
কিন্তু সেই লম্বা লম্বা দাঁড়ড়িগুলি যে হারায় গেল! নাঃ মোখলেস ভাই, আপনি আর সেই মোখলেস নাই!
লেখা বরাবরের মতই চমৎকার! (কবিতাটা অবশ্য কিছু বুঝি নাই, সেইটাতে তাই কোন কথা কই নাই দেঁতো হাসি )
পরের লেখার জন্য সাগ্রহ অপেক্ষায় থাকলাম।
তারা-তুরার তেমন কোন অর্থ হয়ত হয় না, তবে, যদি হয় সেইটা মনে রেখে ৫ তারায় ৫ তারা। (আপনি এখন দেখতে পাবেন না, তাই লিখে জানিয়ে রাখলাম হাসি )।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার পরামর্শ খুব কাজে লেগেছে, এক লহমা। লম্বা লম্বা দাড়ি গুলো ছেঁটে ফেললাম। যে যুগের যে চল। অনেক ধন্যবাদ। আর ছড়াটি আমাদের বন্ধু মহলে ঝগড়া-ঝাটির ফল। আমি আবাহনী, বন্ধুরা মোহামেডান। তাই ব্যাক এন্ড ফোরথ খোঁচা খুঁচি। আপনাকে একটা স্যাম্পল দিচ্ছি। আন হারিকেন বদনা আন/ আমরা মোহামেডান/ কোপা সিনা বানা রান/ আমরা মোহামেডান/ পইড়া গেসি ধইরা টান/ আমরা মোহামেডান।..................এই চলে মাঝে মাঝে।

গৃহবাসী বাউল এর ছবি

প্রথমে পড়ব কিনা ভাবছিলাম। পরে কমেন্টগুলো পড়ে আর না এসে থাকতে পারলাম না। বিশাল ভুল করে ফেলেছি।
কালকে মিডটার্ম রিপোর্ট জমা, একটানা ৫ দিন যাবত নাওয়া খাওয়া ঘুম ভুলে কাজ করছি। এখন মাত্র অর্ধেক হয়েছে। এই বা* আর করুম্না, দেশে যামুগা জপছি, ঠিক তখনই পড়লাম। মনের অবস্থা বুঝতেই পারছেন। আপ্নেরে দিক্কার।

লেখা চখাম হয়েছে। আপনার আগের লেখাগুলির নাম পরিচিত মনে হচ্ছে। পড়েছি বোধহয়। লেখাগুলির লিঙ্কস যত্ন সহকারে রাখেন। এইভাবে লিখতে থাকলে কয়েকদিনের মধ্যে হাচল হয়ে যাবেন আশা করি। তখন লিংকগুলি দরকার হবে। দেঁতো হাসি

আবার বলছি, লেখা ভাল হয়েছে। পরের লেখার অপেক্ষা করছি।

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখাপড়া বাদ দিয়ে আউট বই পড়া ভালো না। গৃহবাসীও হবেন আবার বাউলামিও করবেন এইসব কি? আমার লেখা পড়েছেন বলে কিছু বললাম না। গ্রেড পাওয়ার পর মিষ্টি খাওয়াবেন। (মোখলেস হোসেন)

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।