স্নোডোনিয়া ন্যাশনাল পার্কে এক সপ্তাহান্ত

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ১৯/০২/২০১৬ - ১:৫৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

Mount Snowdon from the observation platformঅবজারভেশন প্ল্যাটফর্ম থেকে মাউন্ট স্নোডন (মাঝে) ও ক্রিব গচ (ডানে)

জানুয়ারি মাস ছাত্রজীবনে বিভীষিকার এক অন্যতম প্রধান প্রতিশব্দ; পরীক্ষার জ্বালায় দুনিয়ার সবকিছুই কেমন তিতা লাগে। পড়ালেখা করি আর না করি টেনশন তো করি অন্তত! এর মাঝেই বন্ধুর ফোন। উনি পরীক্ষা শেষে মহানন্দে দিন কাটাচ্ছিলেন; বলে চলো ঘুরে আসি। না করার প্রশ্নই আসে না। প্রাথমিক প্ল্যান ছিল স্কটল্যান্ড; ব্যাটারা কবে না কবে ইউকে থেকে আলাদা হয়ে পাসপোর্ট নিয়ে যাবার নিয়ম করে দেয় তার ঠিক নেই। বছরের এ সময়টাতে স্কটিশ ওয়েদার এমনিতেই খারাপ থাকে তার উপর আবার গুগল বলে যে আগামী সপ্তাহখানেক বৃষ্টিবাদলের সম্ভাবনা প্রবল। তাই আর ওমুখো হতে মন সরল না। শেষমেশ ঠিক হল যাওয়া হবে স্নোডোনিয়া ন্যাশনাল পার্কে। অন্তর্জালে ছবি দেখে মাথা খারাপ হবার অবস্থা; তার উপর আবার এসময়ে বরফ পরে পাহাড়গুলো সব সাদা হয়ে থাকার কথা। এমনিতেও গত চার বছর যাবত বরফ দেখি না। তাই স্নোডোনিয়াকেই মনে হল একেবারে পারফেক্ট গন্তব্য। পার্কের ভেতরে ঘোরার জন্য পাবলিক যানবাহনের ব্যবস্থা আছে কিন্তু ওতে তো আর নিজের মতন করে ঘোরা বা যেখানে সেখানে নেমে পরার অবকাশ নেই; তাই গাড়ি নিয়ে যাওয়াই সমীচীন মনে হল। লন্ডন থেকে ২৫০ মাইল; যেতে পাঁচ ঘন্টার মতন লাগার কথা আর তিন জনের দলে দুইজন চালক থাকায় এ দূরত্ব কোনো ব্যাপারই না।

আমাদের প্ল্যান মাত্র দুদিনের। তাই সেই অল্প সময়ের সৎব্যবহার করার জন্য গাট্টিবোঁচকা বেঁধে আমরা রওনা দিলাম সেই ভোর চারটেয়। ওয়েলসে যখন ঢুকি তখন সবে ভোরের আলো ফুটতে শুরু করেছে। ওয়েলশ কান্ট্রিসাইডের ভেতর দিয়ে রাস্তা চলে গেছে; মনোমুগ্ধকর সব দৃশ্য দুধারে। মন ভরে দেখার সুবিধার্তে মাঝে মাঝেই থামতে হচ্ছিল। এরা মানুষ একেবারে খারাপ না; একটু পরপরই রাস্তার পাশে থামার জন্য বাড়তি জায়গা দিয়ে রেখেছে। এই সময় শুরু হল বৃষ্টি; টিপটিপ না একেবারে কুকুর বিড়াল টাইপের বৃষ্টি। এমনি বেরসিক যে ক্যামেরা বের করা দুইটা ফটুও তুলতে দিলনা। সবার মন প্রায় খারাপ হয়ে যাচ্ছিল; স্কটল্যান্ডের প্ল্যান বাতিল করে এসে এখানেও যদি এমন হয় তবে কেমনে কি! গাড়ির জন্যে নেয়া ব্রেকফাস্ট (পেট্রোল) ব্রেকে দোকানীর আবহাওয়া ভালো হয়ে যাবার আশ্বাসবাণী শুনে মনে যেন একটু বল আসলো।

স্নোডোনিয়া ন্যাশনাল পার্ক উত্তর ওয়েলসে প্রায় ৮৩০ স্কয়ার মাইল জুড়ে অবস্থিত। আকারে ইউকের তৃতীয় বৃহত্তম এ ন্যাশনাল পার্ক মুরিকার ন্যাশনাল পার্কগুলোর সাথে তুলনায় নিতান্ত শিশু। স্নোডোনিয়া, ওয়েলসের প্রথম ন্যাশনাল পার্কের অন্তর্ভুক্তি পায় ১৯৫১ সালে। অন্যান্য দেশের ন্যাশনাল পার্কগুলোর মতন এই ন্যাশনাল পার্কের পুরোটাই সরকারী মালিকানাধীন নয়; বরং পার্কের গন্ডির ভেতরে ব্যক্তিমালিকানাধীন সম্পত্তিও আছে প্রচুর। পার্কের ভেতরে ২৬,০০০ মানুষের বাস। মোটামুটি রিমোট জায়গা হওয়া সত্ত্বেও ন্যাশনাল পার্ক হিসেবে স্নোডোনিয়া বেশ জনপ্রিয়; বাৎসরিক ভিজিটরের সংখ্যায় ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে তৃতীয়।

আমাদের প্রথম গন্তব্য পোর্টমেরিয়ন(Portmeirion)নামের ইতালীয় ঢঙে সাজানো এক গ্রাম। নকশাকার স্যার উইলিয়াম এলিস নাকি এখানে ভূমধ্যসাগরীয় এক জেলেপল্লীর আবহ আনতে চেয়েছিলেন। ওয়েলসের এমনিতেই যথেষ্ট দুর্নাম আছে বেশি বৃষ্টিপাত আর মেঘলা আকাশের জন্য। সু্যোগ থাকলে জিগ্যেস করতাম যে উনি কি ভূমধ্যসাগরীয় আবহে নকশা করতে দুনিয়াতে আর জায়গা পাননি! গ্রামটিতে থাকার মধ্যে আছে শুধু একটি আবাসিক হোটেল, রেস্টুরেন্ট, হারকিউলিসের একটি নিসংগ মূর্তি, আর এক অকেজো লাইটহাউজ। আর কারো যদি জংগলের ভেতর দিয়ে হাঁটাহাঁটির ইচ্ছা থাকে তবে ছোট একটি সৈকত দেখারও সুযোগ আছে (সমুদ্রসৈকত না)। কিছুদুর ওপথে এগিয়ে গিয়ে জোয়ার দেখে আমাদের আর বিচে যাবার ইচ্ছা ছিল না। গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে জনমানবশূন্য গ্রামটিকে আমাদের তেমন উপভোগ্য মনে হয়নি। অথচ গুগলের ভাষ্যানুযায়ী এ গ্রাম নাকি অত্র এলাকার অন্যতম পর্যটকপ্রিয় স্থান! গ্রাম দেখে সবার মেজাজ এমনি খিঁচরে গেল যে শেষমেশ আগে থেকে করা প্ল্যান সব ছুঁড়ে ফেলে নেভিগেটরের শরণাপন্ন হতে হল। উনি সুপারিশ করলেন মোল ইবগের জন্য (Moel Hebog) আর আমরা দ্বিমত না করে রওনা হয়ে গেলাম। এতক্ষণে মনে হয় সূর্যদেবতা কাজে যাবার ব্যাপারে মনস্থির করলেন। যাত্রাপথ আমাদের নিরাশ করেনি; পাহাড়, ঝর্ণা, লেক আর পাহাড়ের কোলে রংধনু কি পড়েনি চোখে!

এইচডিআর করার চেষ্টা। ট্রাইপড থাকতেও কাঁপায়ে ফেলসি এমনি ফটোগফুর আমি!

পোর্টমেরিয়ন সেন্ট্রাল প্লাজা

মোল ইবগে যাবার সবচে সোজা পথ বেথগেলার্ট (Beddgelart) গ্রামের মাঝে দিয়ে। আশেপাশের একমাত্র পার্কিংও এখানে। পার্কিংলটের পাশেই ওয়েলশ হেরিটেজ রেলওয়ের স্টেশন। পার্কিংলট থেকেই দেখা যায় মোল ইবগ তাঁর সিস্টার পিকগুলো পাশে নিয়ে সগর্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। হাবেভাবে বোঝা যায় যে সামারে বেশ প্রাণপ্রাচুর্যে ভরপুর থাকে এ গ্রামটি; যদিও বছরের এসময় বলতে গেলে প্রায় ঘুমিয়ে আছে। এখানকার অন্যতম আকর্ষণীয় ফিচার হল গেলার্টের সমাধি। স্থানীয় লোককথানুযায়ী গেলার্ট ছিল উত্তর ওয়েলসের প্রিন্সের বিশ্বস্ত হাউন্ডের নাম। একদিন শিকারে যাবার সময় প্রিন্সকে অবাক করে নিয়মিত সঙ্গী গেলার্টকে আশেপাশে দেখা যায়নি। ফিরে আসতেই প্রিন্সকে অভ্যর্থনা জানাতে ছুটে আসে রক্তে রঞ্জিত গেলার্ট। নবজাত সন্তানের কথা ভেবে বিচলিত প্রিন্স ছুটে গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত শুন্য বিছানা। রাগে দিকবিদিক জ্ঞানশুন্য প্রিন্স তখনি নিজ তরবারি আমূল গেঁথে দেন হাউন্ডের বুকে। গেলার্টের মরনচিৎকারের উত্তরে শোনা যায় শিশুর কান্না। খুঁজে পেতে প্রিন্স দেখেন তাঁর অক্ষত সন্তানের পাশে পরে আছে গেলার্টের শিকার বিশাল এক পাহাড়ী নেকড়ের দেহ। তীব্র অনুশোচনায় জর্জরিত প্রিন্স গেলার্টকে সমাহিত করেন এ গ্রামে। দুঃখজনকভাবে তখন এসব তথ্য তখন জানা ছিল না; গ্রামের আজব নাম আর কেন এত জনপ্রিয় জানতে গুগল করতেই জানা গেল এ কাহিনী।

মোল ইবগ

Lonely sign

Sunshine!

[ন্যারোগজ ওয়েলশ হেরিটেজ রেলওয়ে]Narrow-gauge rain line

wooden bridge

পাথুরে মোল ইবগ নিরীহ গোছের গোলগাল চেহারার পাহাড়। আমরা যেমন ভেবেছিলাম যে বরফে বুঝি ঢাকা থাকবে চূড়া তেমন কিছুই না, উল্টো রোদে ঝকঝক করছে চারপাশ; এমন না যে আমাদের এতে কোন আপত্তি আছে!। পুরো পথটাই পাথুরে আর আছে পাহাড় থেকে নেমে আসা বিভিন্ন আকারের ঝর্ণা। কিছুদূর গিয়েই বোঝা গেল আমরা ভুল কোথায় করেছি। নিতান্ত অ্যামেচারের মতন আমরা সবাই স্নিকার, জিন্স পরে চলে এসেছি! এ পোশাকে আর যাই হোক জলা-জংগলে হাঁটা বা পাহাড়ে ওঠা যায় না। বন্ধু আবার এককাঠি এগিয়ে; উনি পরে এয়েছেন ওভারকোট! এমন অবস্থায় আমাদের অগ্রগতি কতদূর হত সে সহজেই অনুমেয়। দিনের আলোও ইতোমধ্যে কমে যাচ্ছিল বলে এদিন আর কোথাও না গিয়ে পেটপূজোর পর হোটেলে রাত যাপনের উদ্দেশ্য যাত্রার আগে গাড়িতেই মেতে উঠলাম আড্ডায়। স্নোডোনিয়ার রাতের আকাশ আলোকদূষণ থেকে বহুলাংশেই মুক্ত। তাই রাতে কড মাছ-চিপস যোগে ডিনার শেষে তারা দেখার সুপ্ত একটা বাসনা ছিল। মেঘলা আকাশ সে ইচ্ছা আর পূরণ হতে দিলনা বলে বোকা বাক্সে ফুটবল কিছুক্ষণ ফুটবল খেলা দেখা আর আলসে আড্ডা ছাড়া হাতে করার কিছুই ছিলনা।


সকালে কিচেনে গিয়ে দেখি হরেক রকম চা কফির ব্যবস্থা; যার যা ইচ্ছা নিজে বানিয়ে শুধু খেয়ে ফেলা আর কি। কোন ভূতে ঢিল মেরেছিল কে জানে, ক্যামোমিল চা দেখে বানাতে গেলাম। আই স্যোয়ার বাই দ্য ওল্ড গডস এন্ড নিউ, এমন অখাদ্য চা জীবনেও চাখিনি; মুখ নষ্ট আর কাকে বলে! বিগতদিনের অভিজ্ঞতায় আমরা ততক্ষণে বুঝে গেছি যে আর যাই হোক মাউন্ট স্নোডনে আর ওঠা হচ্ছে না। তাই বিকল্প খোঁজার মিশনে উদ্ধারকারী আবারো গুগল। এবারে যাব ক্যাপেল কুরিগ (Capel Curig) হয়ে ওগুয়েন ভ্যালী (Ogwen Valley)। ক্যাপেল কুরিগ মাত্র আড়াইশো অধিবাসীর ছোট্ট একটা গ্রাম। গ্রাম বলতে রাস্তার পাশে সারিবদ্ধ কিছু বাড়িঘর, পানশালা আর কয়েকটা দোকান। এখানে ব্রিটিশ আইলগুলোর মাঝে সবচে বেশি বৃষ্টিপাতের রেকর্ড। কপালগুনে অবশ্য আমরা থাকতে বৃষ্টি হয়নি, যদিও প্রচন্ড ঠান্ডা আর কুয়াশার হাত থেকে কোন রেহাই ছিল না। ক্যাপেল কুরিগ গ্রামের সীমানার শেষ থেকেই ওগুয়েন ভ্যালী শুরু। ওগুয়েন ভ্যালীর দুপাশ গ্লিডেরা (Glyderau) আর কার্নেথা (Carneddau) নামের দুই পর্বতমালা দিয়ে বেষ্টিত। মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া আঁকাবাঁকা ওগুয়েন হ্রদ আলাদা করে রেখেছে এ দুই পর্বতমালাকে। এককালে স্লেট পাথরের ইন্ডাস্ট্রির কারণে আশেপাশের লোকালয়ের উত্থান কালক্রমে এখন প্রায় ভগ্নপ্রায়; কর্মসংস্থানের অন্যতম উপায় এখন ভেড়ার খামার। প্রকৃতি যেনো দুহাত ভরে সাজিয়েছে পুরো ভ্যালীটাকে। পাহাড় চূড়া ছেয়ে আছে ধবধবে সাদা বরফে; মাঝে মাঝে রোদ এসে ঝলসে দিচ্ছে চারপাশ। সপ্তাহান্ত বলে লোকজনের বেশ আনাগোনাও দেখা গেল। এনারা আবার পাহাড়ে ওঠার সর্বরকম প্রস্তুতি নিয়েই এসেছেন; হাইকিং বুট, ব্যাকপ্যাক সব মিলে একবারে অভিযাত্রী যাকে বলে আর কি! আর আমরা বিরস বদনে হিংসা নিয়ে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে পরেরবার যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে আসার প্রতিজ্ঞা করে নিজ রাস্তা মাপতে ব্যস্ত হয়ে গেলাম।

[ক্যাপেল কুরিগ]Llynnau Mymbyr

Just an empty stretch of a road

Capel Curig

[ওগুয়েন ভ্যালী প্যানোরামা]Ogwen valley, Snowdonia

[ওগুয়েন হ্রদ]Llyn Ogwen

পাহাড়ে উঠব না ঠিক আছে কিন্তু তাই বলে স্নোডোনিয়া এসে মাউন্ট স্নোডনকে একটু কাছ থেকে না দেখে ফিরে গেলে কেমন অন্যায় হয়ে যায় বলে পত্রপাঠ ঐদিকে গাড়ির নাক ঘুরানো হল। পর্বতারোহীদের ভিড়ে ভিজিটর সেন্টারের ধারেকাছে ঘেঁষার উপায় নেই। তাই একটু সামনে এগিয়ে গিয়ে অপেক্ষাকৃত কম জনপ্রিয় পাথুরে পাহাড় গ্লিডের ভার (Glyder Fawr) এর পাদদেশে গিয়ে জায়গা পাওয়া গেল। গিয়ে দেখি পাহাড়ের গোঁড়ায় এরা মাউন্টেন রেসকিউর মহড়া দিচ্ছে। কিন্তু গ্লিডের ভারের যে চেহাড়া, আমি সিউর এখান থেকে কেউ পড়লে একেবারে আন্ডারটেকারকে খবর দেবার জন্য ফোনের নেটওয়ার্ক পাবার ড্রিল করার দরকার হবে। যাই হোক ঐদিকে আর মন না দিয়ে উল্টোদিকে তাকাতেই কুয়াশার আড়ালে স্নোডনের স্নোয়ি চূড়া চোখে পড়ে আর আমাদের এবারের মতন ওতেই সন্তুষ্ট থাকতে হল। এরচে কাছে যাবার সময়, সুযোগ ও অবস্থা কোনটাই আমাদের নেই। প্রচন্ড ঠান্ডায় এমনিতেও বাইরে দশ মিনিট থাকা যায় না; হাত জমা, কান ব্যথা শুরু হয়ে যায় আর তড়িঘড়ি করে ফিরে আসা লাগে গাড়ির আরামদায়ক উষ্ণতায়।

[কুয়াশাচ্ছন্ন মাউন্ট স্নোডন]Mount Snowdon

Pen y pass

দুদিন আস্ত একটা ন্যাশনাল পার্ক ঘুরে দেখার জন্য বড্ড কম সময়। অনেক কিছুই দেখা হয়নি, অনেক কিছুই করা হয়নি। শীঘ্রই আবার ফিরে আসার প্রতিজ্ঞা নিয়ে ঘরকুনো আমরা এবেলা ফেরার পথ ধরলাম।

অর্ণব


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

স্নোডোনিয়া গিয়ে স্নোডন না চড়ে ফিরে আসা কি ঠিক হলো চোখ টিপি । দুদিন অবশ্য স্নোডোনিয়ার জন্য বেশ কম সময় । নিদেনপক্ষে ৪/৫ দিন নিয়ে গেলে ভালো হয় ।

ছবিগুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো ।

মামুনুর রশীদ [ ভবঘুরে শুয়োপোকা ]
=============================
হাজার মানুষের ভিড়ে আমি মানুষেরেই খুজে ফিরি

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ। বস্তুতই স্নোডনে না ওঠা গর্হিত কাজের পর্যায়ে পড়ে যায় কিন্তু আমাদের অবস্থায় উঠতে গেলে আর ফিরতে পারতাম না। আবার যাবো; একেবারে ওয়েলশ থ্রি পিক চ্যালেঞ্জও করারও ইচ্ছা আছে। ছবি ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।

আপনার লেখাটা অসাধারন ছিল। ছবিগুলো তার থেকেও ভালো। এবার হাইল্যান্ড নিয়ে আপনার লেখার অপেক্ষায় আছি।

অর্ণব

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

এবারেরটা প্রস্তুতিতেই গেল বলা যায়।
পরেরবার সত্যিকার ভ্রমণ হয়ে উঠবে।

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

অর্ণব এর ছবি

ধন্যবাদ। যথার্থই বলেছেন; স্টপ এন্ড গো স্টাইল ন্যাশনাল পার্কের জন্য না।

কৌস্তুভ এর ছবি

আরে, আপনিও ইংলন্ডবাসী ভ্রমণপিপাসু? আপনাকে তো কাল্টিভেট করতে হচ্ছে মশাই!

অর্ণব এর ছবি

ধন্যবাদ। আপাতত ওয়েলসবাসী। সচলের উরাধুরা সব পোস্ট দেখে দেখে এখন নিজে কিছুমিছু চেষ্টা করি আর কি। জীবনে আর আছে কি! দেঁতো হাসি

আপনার রিসেন্ট ডিসকভারির নিউজ দেখলাম। অভিনন্দন ও শ্রদ্ধা

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।