অভিজ্ঞতার ঝুলি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ১২/০১/২০১৮ - ১:০৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এপ্রিল ১৭, ২০০৩

সাউথ আফ্রিকা বনাম বাংলাদেশের খেলা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। ৪৭ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ২২৩/৫। ওদেরকে আড়াইশোর নিচে আটকে রাখাই আমাদের জন্য বিশাল সাফল্য তখন। মাত্র তিন ওভার বাকি আছে, খুবই সম্ভব। ধারাভাষ্য দিচ্ছে চৌধূরী জাফরুল্লাহ শরাফত।

: অভিজ্ঞতার ঝুলি নিয়ে বল করতে আসছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। শ্রোতামন্ডলি আপনারা জানেন, তিনি ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সাথে তিন উইকেট নেয়ার গৌরব অর্জন করেন... বলতে না বলতেই ছক্কা। অভিজ্ঞতার ঝুলি নিয়ে আবারো বল করতে আসছেন বাংলাদেশের স্বনামধন্য, মারকুটে অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সু... ছক্কা! ফিল্ডারের মাথার উপর দিয়ে বল উড়ে উড়ে সীমানার বাইরে চলে গেলো। বাংলাদেশের অধিনায়ক তার পরের বলটি করতে বোলিং মার্কে ফিরে গেছেন। আম্পায়ারকে অতিক্রম করে অভিজ্ঞতার ঝুলি নিয়ে তৃতীয় বলটি করতে আসছেন বাংলাদেশের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ অলরাউন্ডার খালেদ মাহমুদ সুজন!

রাজ্যের বিরক্তি নিয়ে টিভি মিউট করতে করতে ভাবলাম অভিজ্ঞতার ঝুলিটা বাসায় রেখে আসলে সুজন আরাম করে বল করতে পারতো। স্পিডও দশ কিমি বাড়তো!

- সুজন ৪৮তম ওভারে বিশ রান দিয়ে খেলার মোমেন্টাম নষ্ট করে দেয়। প্যাভিলিয়ান থেকে দর্শকরা জুতা দেখাচ্ছিলো।

- তখন বাংলাদেশ ব্যাটিং করতে নামলে চোখের পলকে পাঁচটা উইকেট পড়ে যেতো। তারপর মাসুদ টুকটুক আর কাপালি ধুপধাপ করে কিছু রান করতো। এই ম্যাচে মাসুদ ছিলো না।

- কাপালি ৭১ করেছিলো।


মন্তব্য

সত্যপীর এর ছবি

..................................................................
#Banshibir.

মন মাঝি এর ছবি

****************************************

সত্যপীর এর ছবি

..................................................................
#Banshibir.

মন মাঝি এর ছবি

"মেঘলা মাঠ, কর্দমাক্ত আকাশ" - বলে নাই? হো হো হো

****************************************

অতিথি লেখক এর ছবি

-আপানার স্মৃতিচারণ পড়ে মনে হচ্ছে ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সাথে তিন উইকেট নেওয়াটা সুজনের ঠিক হয় নাই।

- ঐ ম্যাচে কাপালি ছাড়া বলার মত রান সুজনেরই (২৪) ছিল।

-চৌধূরী জাফরুল্লাহ শরাফতের ধারাভাষ্য হাস্যকর, তারপরও আমি নিশ্চিত "বাংলাদেশের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ অলরাউন্ডার খালেদ মাহমুদ সুজন" এই কথা উনি বলেন নাই। যদি বলেও থাকেন সেটা খুব বেশী ভুল হবার কথা না কারণ ২০০১ থেকে ২০০৩ সময়কালে সুজন জাতীয় ক্রিকেট লীগে দেশের সেরা অলরাউন্ডারই ছিলেন।

- বলের গতি কখনোই তার সেরা অস্ত্র ছিল না, ছিলেন স্লো মিডিয়াম পেসার । জাতীয় দলে খেলা তাঁর সমসাময়িক "ফাস্ট বোলার"দের চেয়ে কখনো কখনো বেশী কার্যকরী ছিলেন।

- বর্তমান বাংলাদেশ দলের সাথে ২০০৩ সালের বাংলাদেশ দলের তুলনাই হয়না। তারপরও বর্তমান জাতীয় দলের দুই গতি তারকার চাইতে তাঁর টেস্ট বোলিং গড়, ইকোনমি, আর স্ট্রাইক রেট ভালো।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।