নো ক্যাপশন,নো পাসারানো...

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: শুক্র, ০৬/০৬/২০০৮ - ৪:২১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

.

ওহে শেকলবিদ্ধ পিতা,শিশু কন্যাকে তবু কোন অভয়বানী শোনাও?
বাবর তার পুত্রের জন্য প্রার্থনা করলেও সে ইতিহাস হয়ে যায়,আর চকোরিয়ার কৃষক তার পুত্রকে পুলিশের নির্যাতন থেকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেই লাশ হয়ে ঘরে ফেরেন।

সেই ইতিহাস লেখা হয় কোন নিয়তির পাতায়?


মন্তব্য

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

নো কমেন্টানো।

(সে-ই ৫টাকার ব্ল্যাক কফি, তিতা না স্বাদ; প্রতিক্রিয়া জানানো যাবে না। হাজার টাকার বাগান খাইলো দুই টাকার ...)

কনফুসিয়াস এর ছবি

চুপ কর বোকা মেয়ে, কাঁদিসনে আর-
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

হাসান মোরশেদ এর ছবি

সেই ।
'কোন আক্কেলে করতে গেলি দেশের সময় নষ্ট'
-------------------------------------
বালক জেনেছে কতোটা পথ গেলে ফেরার পথ নেই,
-ছিলো না কোন কালে;

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

কোনো মন্তব্য নেই, শুধু ঘৃণা...
ঈশ্বর, আপনি কোথায়? শুনতে পাই, আপনি নাকি আছেন... একবার দেখা দিন না! আমার জন্য নয়, এই টুটাফাটা মুছে যাওয়া দু-চারটা মানুষের জন্য...
অথবা আমাদের গায়ে কেরোসিন ঢেলে জ্বালিয়ে দিন রাজপথের মোড়ে..
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

আকতার আহমেদ এর ছবি

কিছুই বলার নেই ! ভীতু কাপুরুষদের কিছু বলার থাকেনা !

তীরন্দাজ এর ছবি

নো ক্যাপশন,নো পাসারানো...
নো ক্যাপশন,নো পাসারানো...
নো ক্যাপশন,নো পাসারানো...
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

স্নিগ্ধা এর ছবি

ছবিটা কোথায় আছে? মানে এর পুরো কাহিনীটা কোথায় গেলে পড়া যাবে ?

হাসান মোরশেদ এর ছবি

বিশেষ কোন কাহিনী নয় স্নিগ্ধা ।
৪ দিনে ১২,০০০ মানুষকে পাইকারী গ্রেপ্তার করা হয়েছে ।
রিপোর্ট ছাপা হয়েছিল নিউএজে । লিংকটা দিলাম
এই এখানে
-------------------------------------
বালক জেনেছে কতোটা পথ গেলে ফেরার পথ নেই,
-ছিলো না কোন কালে;

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

স্নিগ্ধা এর ছবি

সেটা জানি, এবং 'খবর'টা পড়ে যে ওই বাবা মেয়ের কি হলো তার কোন খবর পাওয়া যাবে না তাও জানি - তারপরও খুব অস্থির লাগছিলো বলেই ......

লিঙ্কের জন্য ধন্যবাদ!

সৌরভ এর ছবি

মানুষের জন্যে ঘৃণা


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

অতিথি লেখক এর ছবি

এই সব দেখতে দেখতে একদিন আমাদের কোনো বোধ কাজ করবে না।

১৯৭১ এ ঢাকা থেকে পালিয়ে বাবা মা ভাই বোনের সঙ্গে বুড়িগঙ্গা পেরিয়ে কাঠফট্টি-ষাটনল দিয়ে কুমিল্লার দিকে যাচ্ছিলাম। প্রথম দিন নদীতে মানুষের পঁচালাশের গন্ধে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। পরদিন চারপাশে অগণিত লাশ পাশকাটিয়ে আমাদের নৌকা গেছে কিন্তু কোনো লাশের গন্ধই পাইনি। আজও লাশের গন্ধ আমাকে কাবু করতে পারে না।
-জুলিয়ান সিদ্দিকী

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍ুতমারানীরা বলছে, পাইকারি হারে গ্রেফতারের পেছনে রাজনৈতিক কোনও কারণ নেই!

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর? চিন্তিত

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- হালাগোরে ধইরা জাগামতো সাড়ে বারোইঞ্চি গজাল ঢুকায়া দিলে বুঝবো রাজনৈতিক আর অরাজনৈতিক পোঙ্গামারা কারে কয়!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতিথি লেখক এর ছবি

@সংসারে এক সন্নাসী
শব্দ অশ্লীল কখন হয়? শব্দটি লিখতে যখন আপনি লজ্জা পাচ্ছেন। যে কারণে আংশিক লিখছেন।
যেহেতু আমাদের বর্ণমালার ভান্ডার ক্ষুদ্র নয়- লিখতে সমস্যাটা কোথায়? মাসুদা ভাট্টির "আধকিলো কমিউনিজম" এ পুরাপুরিই লেখা আছে। তসলিমা নাসরিন পুরাটাই লিখেছেন। আমরা যা মুখে উচ্চারণ করতে পারি তা লিখতে সমস্যাটা কোথায় বুঝি না!
ক্লাসে নাজমা আপা কইতেন - "ভেনাসের পায়ে যদি জুতো পরিয়ে দেওয়া হতো, তাহলেই মনে হতো ছবিটা অশ্লীল।"

অনধিকার নাক গলাইলাম ভাবলে ক্ষমাপ্রার্থী।

-জুলিয়ান সিদ্দিকী

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍অনধিকার নাক গলানোর প্রশ্নই আসে না। উন্মুক্ত আলোচনায় অন্যের মন্তব্যকে গুরুত্ব যদি না-ই দিলাম, তবে নিজের মন্তব্য ফলানোর যৌক্তিকতা তো দেখি না!

শব্দটি লিখতে যখন আপনি লজ্জা পাচ্ছেন।

লজ্জা আর যার-ই হোক, "কামরাঙা ছড়া"-র লেখকের ভূষণ যে নয়, তা, আশা করি, বুঝতে পারছেন হাসি

এর আগে অনেক মন্তব্যে এমনকি লেখাতেও শ্রুতি-অবান্ধব শব্দ ব্যবহার করেছি রাখ-ঢাক ছাড়াই। কিন্তু এই মন্তব্যে আমি কেন "লজ্জাবোধ" করেছি, তার সঠিক উত্তর আমার কাছে নেই। এটা, খুব সম্ভব, লেখার মুহূর্তে নেয়া তাত্ক্ষণিক সিদ্ধান্ত।

মাসুদা ভাট্টির "আধকিলো কমিউনিজম" এ পুরাপুরিই লেখা আছে। তসলিমা নাসরিন পুরাটাই লিখেছেন।

অন্য কেউ লিখলেই তা অনুসরণ করতে হবে বা করা যাবে, এমন তত্ত্বে আমি বিশ্বাসী নই। আমি কী লিখবো বা কী লেখা আমার উচিত নয়, স্বাধীনতার সেই সীমারেখাটি সম্প্রসারিত বা সংকুচিত করার অধিকারটি আমি রাখি স্ব-অধীনে।

আমরা যা মুখে উচ্চারণ করতে পারি তা লিখতে সমস্যাটা কোথায় বুঝি না!

মুখ-নিঃসৃত যাবতীয় শব্দ লেখায় ব্যবহারের পক্ষপাতী আপনি হতেই পারেন। সেটা আপনার অধিকার। আমার দৃষ্টিভঙ্গি এ-ক্ষেত্রে ভিন্নতর।

স্থান-কাল-পাত্রভেদে পরিবর্তনশীল বলেই শ্লীল-অশ্লীলের সঠিক সংজ্ঞা নিরূপিত হয়নি অদ্যাবধি। আর তাই এ নিয়ে বিতর্ক অবান্তর।

আমার গুরুত্বহীন মন্তব্যটিকে প্রতিমন্তব্য দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বানিয়ে ফেলার কৃতিত্বের পুরোটাই আপনার। আর ধন্যবাদ তাই আপনারই প্রাপ্য হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর? চিন্তিত

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

মাহবুব লীলেন এর ছবি

................

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ছবিটার মর্ম ফুটে উঠেছে আপনার বিবেকের-মত-ঠান্ডা-স্বরের কঠিন ঐ লাইনগুলো। ছবিটা দেখে কষ্ট লাগবে বলে সকালে এই পোস্টেই ঢুকিনি। এখন ছবিটা বড় করে দেখে মনে হল না পড়লেই ভালো হতো।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

এইসব সংবাদে আমার প্রতিক্রিয়া অনেকটুকুই ব্যক্তিগত ।
আমি আসলে ভয় পাই । এই ছবিটা দেখার পর ঐ লোকটার জায়গায় আমি আমার নিজেকে দেখছিলাম,হাতকড়া পরা আমাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে অসভ্য পুলিশ আর আমার পাশে কাঁদছে আমারই তিনবছরের শিশু সন্তান

এইসব বাস্তবতা বড় আক্রান্ত করে ।
-------------------------------------
বালক জেনেছে কতোটা পথ গেলে ফেরার পথ নেই,
-ছিলো না কোন কালে;

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

স্পর্শ এর ছবি

[][][][][][][][][][][][][][][][][][]
ওরে বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,
এখনি, অন্ধ, বন্ধ, কোরো না পাখা।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

ওহে শেকলবিদ্ধ পিতা,শিশু কন্যাকে তবু কোন অভয়বানী শোনাও?

কারাগার কি, রাষ্ট্র কি তা যদি ঐ শিশুর মনের ভেতর ঢুকে গিয়ে শিখে আসতে পারতাম? যদি পারতাম ঐ পিতার অসহায় আর্তিতে ভরা অপত্যস্নেহের সমান হতে?
আর কিছু নয়, এ সরকার আসার প্রথম লগ্নেও এরকম গণগ্রেফতার হয়েছিল। আর পুড়ছিল বস্তি। তখনকার একটি ছবি দেখে লিখেছিলাম সমকালে:
এরাই সেই পিপীলিকা বাহিনী, বিপ্লব-বিদ্রোহ-মুক্তিযুদ্ধ আর মারী-দুর্ভি-জলোচ্ছ্বাস ছাড়া যাদের অস্তিত্ব খেয়াল করা হয় না। কেবল তখনই যোদ্ধা হিসাবে, শরণার্থীদের মিছিল হিসাবে অথবা পথে-ঘাটে-পগারে, জলে ও মাটিতে পড়ে থাকা সহস্র সহস্র বেওয়ারিশ লাশ হিসাবে এদের আমরা আবিষ্কার করি। তার আগে আমরা_সভ্যতার পিরামিডের একটু ওপরের যারা_ যেন জানতামই না এরাও মানুষ এবং এরাও আছে নিযুত নিযুত সংখ্যায়। কোনোভাবেই এরা শেষ হয় না। ...এরা ঘাতসহ, প্রায় অমর। তারপরও রাষ্ট্রের পাষাণ মনে এরা দাগ কাটে না। এদের দেখে শোভন নাগরিকের চেতনায় জমে না অপরাধবোধ। কিন্তু কেউ যদি ২৩ জানুয়ারি সমকালের প্রথম পৃষ্ঠায় ছাপা কেঁদে কেঁদে বোবা হয়ে যাওয়া বৃদ্ধাটির ছবিটির দিকে আবার তাকান? হ্যাঁ, ঠিক এ দৃশ্য নতুন নয়। বছর দুয়েক আগে ঢাকার কোনো এক বস্তি পুড়ে গেলে, তার খবরের সঙ্গে এ রকম একটা ছবি ছাপা হয়েছিল। পোড়া শিশুর লাশ দু’হাতে তুলে বোবা হয়ে তাকিয়ে আছে এক দিনমজুর পিতা। তার মতো এ বৃদ্ধার চিমটানো শরীরে কোনো তেজ নাই। কিন্তু তার বোবা হাহাকার যদি কোনো অত্যাধুনিক সাউন্ড ট্র্যাকে বাজিয়ে শোনা যেত, তাহলে কী শুনতে পেতাম আমরা? ফরিয়াদের ভিসুভিয়াস না ডুকরানো কান্নার কূপের নৈঃশব্দ?
ছোট ছবি তাই ঠিকমতো দেখা যায় না সেখানে কী ফুটে উঠছে। ক্যামেরার ফোকাস আরেকটু জুম করে চোখের মণির কাছে চলে যাওয়া দরকার। নেওয়া গেছে কি? তাহলে হে পাঠক, বলুন বস্তির আগুন নিভে গেলেও সেখানকার আগুন এখনো জ্বলছে কেন? আদৌ কি কখনো নিভবে তা? জ্বলেজ্বলে ছাই হয়ে যাওয়ার আগেই অথবা আমাদের সুখের শহরে দাবানল লাগিয়ে দেওয়ার আগেই কি আসবে দমকল? কখন, কখন?
২৫.০১.০৭

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

হাসান মোরশেদ লিখেছেন:
"এইসব সংবাদে আমার প্রতিক্রিয়া অনেকটুকুই ব্যক্তিগত ।আমি আসলে ভয় পাই । এই ছবিটা দেখার পর ঐ লোকটার জায়গায় আমি আমার নিজেকে দেখছিলাম,হাতকড়া পরা আমাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে অসভ্য পুলিশ আর আমার পাশে কাঁদছে আমারই তিনবছরের শিশু সন্তান । এইসব বাস্তবতা বড় আক্রান্ত করে । "

একদম আমার মনের কথা ।

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

আপনারা দেখি মেজবানি করলেও টিটকারী মারেন। দেশটা গেলো।

---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

তারেক এর ছবি

মোরশেদ ভাই, অনেকদিন পর...

ছবিটা টানলো না। মানুষ হয়ে উঠছি বোধহয় ধীরে ধীরে... সুশীল এবং অরাজনৈতিক অভিজাত মানুষ। এইসব হাটবাজার, ধরপাকড় মাথা অনেক নিচু করে দেখতে হয়, আমি তো উর্ধ্বশির...
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

বলার মতো কোন শব্দ পাচ্ছি না...

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

অপূর্ব সোহাগ এর ছবি

এই জন্যেই আজ আমরা নির্বাসনে......!!!!!!

sochetota এর ছবি

“এই জন্যই আজ আমরা নির্বাসনে”
ঘর-গেরস্তালী আর শপিং মল-এর বদ্ধশাসনে নাভিশ্বাস উঠতে থাকলে, আকাশ দেখি। জানলার পর্দাটা সরালেই সেই আকাশ ঝলসে ওঠে। মন্থর দুপুর নির্বিকার। অনেক দূরে এক পিতা সাহস ভরে কন্যাকে শোনাতে থাকে জারি গান। তামার পাত্রে ছলকে ওঠা রোদ্দুর বড় সুন্দর এক্কা-দোক্কার স্মৃতি-লহমাকে তুলে ধরে। তখন আমরা কজন আঁচরাতে থাকি কালো কালির আঁকিবুকি – এই আঁকিবুকিকে একরকম খেলায় বলবো। আসলে কী মানুষ হয়ে জন্মানোর কালে, আমরা জানতাম না যে এই রকমারী ভয়ানক খেলার সাক্ষী হতে থাকা আমরা কজন যখন উর্দ্ধপাণে ছুটছি প্রানপণে ঠিক সেই সময় কিছু মানুষ-কালোকুলো আছেন রণে, বনে। অস্তিত্ব বাঁচানোর তাগিদে, রসদ খুঁটে নেওয়ার ভুলভাল কারণে। যেভাবে ইতিহাস লেখা হয় বারবার, সেইভাবে এই অস্তিত্ব নিরুপণের লড়াইয়ে শৃঙ্খলিত পিতা ঝনঝন শব্দে মুছে চলে অবোধ কন্যার অবিরাম বিলাপ, একবার, দুইবার, বারবার --- এভাবেই। আমরা তখনও নিরাপদ দূরত্বে কেটেচলি আঁকিবুকি আর আকাশ দেখি। জানলার পর্দা সরালে যে আকাশ ঝলসে ওঠে।

sochetota এর ছবি

সচেতনা হবে। তাড়াহুড়োয় sochetota হয়েছে নামের জায়গায়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।