সচল দিনের ভাবনা ।। ব্লগ হোক ব্লগারদের

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: মঙ্গল, ০১/০৭/২০০৮ - ৬:৩৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

'পিপলস রিপাবলিক' কি করে 'প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানী' হয়ে যায় সে বৃত্তান্ত লেখা আছে আমাদের হাড়-মাংসে ।
রাজনীতি গেছে,অর্থনীতি গেছে, মিডিয়া গেছে, নদী-জংগল,তেল গ্যাস গেছে -কৃষি ও যেতে দেরী নেই কর্পোরেট হাংগরের পেটে ।

প্রযুক্তির কল্যানে-মত প্রকাশের নতুন মাধ্যম ব্লগিং -তার ও বিস্তার ঘটিয়েছে বাংলায়,এক কর্পোরেট । বিস্তারের পেছনে ধান্দা ছিলো সেই আদি অকৃত্রিম-সঠিক সময়ে নিয়ন্ত্রন করে ভিটে মাটি সহ বিক্রী করে দিয়ে মুনাফা তুলে নেয়া ।

তাই দেখা যায় তারা সদম্ভে ঘোষনা করে-' যে কোন লেখা তারা লেখকের অনুমতি ব্যতিরেকে যে কোন জায়গায় প্রকাশের অধিকার রাখে'

লেখার ফাঁকে ফাঁকে পণ্যের বিজ্ঞাপন ঝুলিয়ে দেয় আর ব্লগারদের কে ও লোভ দেখায় মুনাফার ঝোল খাবার ।

কিন্তু 'দুঃখিনী বর্নমালা' টিকে ছিলো হাজার বছর ধরে উচ্চবর্গীয় অস্পৃশ্যতাকে তুচ্ছ করেই । তাই এই ভাষায় মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও টিকে থাকবে কর্পোরেট ধান্দাবাজিকে অস্বীকার করেই ।

'সচলায়তন ' জন্ম নিয়েছি ব্লগারদের ব্লগ হয়ে ।
ব্লগারদের উদ্যোগে আরো নতুন নতুন ব্লগিং প্লাটফর্ম গড়ে উঠছে । প্রত্যেকের নীতিমালা,দর্শন,ধারা ভিন্ন ভিন্ন ।
হোক ভিন্ন,হোক আলাদা । বাংলা ব্লগিং এর শতফুল ফুটুক ।
কর্পোরেট ধান্দাবাজিকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে ব্লগগুলো হোক ব্লগারদের ।।


মন্তব্য

শেখ জলিল এর ছবি

বাংলা ব্লগিং এর শতফুল ফুটুক ।
কর্পোরেট ধান্দাবাজিকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে ব্লগগুলো হোক ব্লগারদের ।।
..জয়তু সচলায়তন।

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখকের অনুমতি ছাড়া লেখা যেকোন জায়গায় প্রকাশ ??? অসভ্যতার নতুন রূপ!

~ ফেরারী ফেরদৌস

তীরন্দাজ এর ছবি

বাংলা ব্লগিং এর শতফুল ফুটুক ।
কর্পোরেট ধান্দাবাজিকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে ব্লগগুলো হোক ব্লগারদের ।।

আমারও একই কামনা। কর্পোরেট ধান্দাবাজি থেকে মুক্তি চাই।

**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

আকতার আহমেদ এর ছবি

সত্য সুন্দরের জয় হোক
জয় হোক সচলায়তনের !

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

তাই দেখা যায় তারা সদম্ভে ঘোষনা করে-' যে কোন লেখা তারা লেখকের অনুমতি ব্যতিরেকে যে কোন জায়গায় প্রকাশের অধিকার রাখে'

এরা নিজেদের যে কী ভাবে।

তানবীরা এর ছবি

সুন্দর।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

অয়ন এর ছবি

পুজির হাত থেকে বাংলা ব্লগিংএর মুক্ত থাকা বোধহয় সম্ভব না। একটা পর্যায়ে পুজির কাছে হাত পাততেই হবে। সেটা আগে হোক, পড়ে হোক,হবেই। সমস্যা হচ্ছে বাংলাদেশের মিডিয়া যেভাবে পুজির কাছে বিক্রি হয়েছে সেটা যেন না হয়। Google sucks লিখে সার্চ দিলে গুগলের ব্লগস্পট থেকেই ৯১৮০০০ সার্চ রেজাল্ট আসে, কিন্তু প্রথম আলো, ডেইলী স্টারে মোবাইল কোম্পানীগুলো সম্পর্কে একটা কথাও লেখা যায় না।

বাংলা ব্লগিংয়ের জগতে পুজি আসলে আমার কোন আপত্তি নেই, তবে পুজির কাছে বিক্রি হওয়াতে আপত্তি আছে।

নজমুল আলবাব এর ছবি
অমিত আহমেদ এর ছবি

ঠিক এ কথাটিই বলতে চাচ্ছিলাম।


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

রায়হান আবীর এর ছবি

হুম ব্লগ হোক শুধু আমাদের...

---------------------------------
জানিনা জানবোনা... কোন স্কেলে গাইছে কোকিল
গুনিনা আমি গুনিনা...কার গালে কটা আছে তিল

দ্রোহী এর ছবি

হাসান মোরশেদ লিখেছেন:
কর্পোরেট ধান্দাবাজিকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে ব্লগগুলো হোক ব্লগারদের।

হোক ভিন্ন,হোক আলাদা । বাংলা ব্লগিং এর শতফুল ফুটুক ।


কি মাঝি? ডরাইলা?

শ্যাজা এর ছবি

হাসান মোরশেদীয় লেখা..

জয়তু..


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

মুজিব মেহদী এর ছবি

সব বাংলা ব্লগই টিকে থাক। আরো বিশটা বাংলা ব্লগ হলে পরে কারো কারো মৃত্যুকামনা করব।
................................................................
আমার সমস্ত কৃতকর্মের জন্য দায়ী আমি বটে
তবে সহযোগিতায় ছিল মেঘ : আলতাফ হোসেন

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

মাহবুব লীলেন এর ছবি

জয়তু...

রণদীপম বসু এর ছবি

হোক ভিন্ন,হোক আলাদা । বাংলা ব্লগিং এর শতফুল ফুটুক ।
কর্পোরেট ধান্দাবাজিকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে ব্লগগুলো হোক ব্লগারদের ।।

সচলের জন্মদিনে এই পবিত্র শুভকামনা হয়ে উঠুক আমাদের সবার একান্ত চাওয়া।
ধন্যবাদ হাসান মোরশেদ, শুভেচ্ছা ব্লগের জন্য।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

আমি জানি, তাই বলছি। সচল ছাড়া আর কোনো মুক্তাঞ্চল থাকবে না ক'মাস পরে। প্রতিদিন বুঝছি শিরায় শিরায়, এইটুকু স্পেস, এই নাম আর এই প্রেমের মূল্য কত!

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

এছড়াও আরো কিছু কারন ছিল সচলায়তন জন্মের। শুধু বানিজ্য-বিরোধ নয়।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

তারেক এর ছবি

কী একটা সময় গেছিল তখন, এখন ভাবলে বিস্ময় জাগে। কর্পোরেট ধান্দা, আলেক্সা রেটিং আর রাজাকারতোষণ... সামর্থ্যের কী অপচয় !
জয়তু সচলায়তন।
পাঠক হিসেবে সচল -এর কাছে আমার কৃতজ্ঞতা অপরিসীম।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

কনফুসিয়াস এর ছবি

ঠিকাছে। হাসি
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

শামীম এর ছবি

'পিপলস রিপাবলিক' কি করে 'প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানী' হয়ে যায় সে বৃত্তান্ত লেখা আছে আমাদের হাড়-মাংসে ।

এই লেখাটায় প্রায় একই ধরণের অভিযোগ কিন্তু সচলায়তনের বিরূদ্ধেই!
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

প্রিয় শামীম,
অভিযোগ মাত্রই অপরাধী প্রমানিত নয় হাসি

সচলায়তনের শুরুর একজন হিসেবে জানি, নিজেদের মধ্যে অনেক আলাপ-আলোচনা,তর্ক-বিতর্ক, মতৈক্য ও মতানৈক্য শেষেই সচলায়তনের একটা নর্মস গৃহীত হয়েছে যার উপর এটি চলছে এখনো ।
কারো ভালো লেগেছে,কারো লাগেনি-যাদের লাগেনি তারা সরে গেছেন । তাঁদের এই অবস্থানকে আমি শ্রদ্ধা করি । আমার ও যদি কোনদিন নিজস্ব ভাবনার সাথে সচলায়তন ভাবনার বিরোধ ঘটে আমি ও সরে যেতে পারি- ব্যক্তির স্বাধীনতা সবচেয়ে মুখ্য ।

আর এটা ও নিশ্চিত করা দরকার,সচলায়তন সংক্রান্ত সিদ্ধান্তগুলো (প্রিয়,অপ্রিয়) কোন একক ব্যক্তির নয় ।

তবে এই পোষ্টে আমি যে বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিয়েছি
১। ব্লগারদের লেখার স্বত্ব
২।ব্লগারদের লেখাকে পুঁজি করে মুনাফা বানানো

এই দু ক্ষেত্রে সচলায়তনের ভূমিকা কি?
সচলায়তনে একটা ই-বুক করতে হলে ও লেখকের অনুমতি নিতে হবে আর পয়সার বিনিময়ে বিজ্ঞাপণ? এরকম মুনাফাখোরীর দিন আসলে সেদিন আর সচলায়তন টিকে থাকার দরকার নেই ।
-------------------------------------
বালক জেনেছে কতোটা পথ গেলে ফেরার পথ নেই,
-ছিলো না কোন কালে;

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

আছহাবুল ইয়ামিন এর ছবি

"অয়ন" এর সাথে পুরোপুরি একমত। পুঁজি স্বাধীন মত প্রকাশের সহায়তায় আসলে সমস্যা নেই, কিন্তু সেই পুঁজি যেন মত কে নিয়ন্ত্রণ না করে।

সময়ের তাড়নায় সচলের জন্ম অবসম্ভাবী ছিল। সময়ের প্রয়োজনে কিংবা ভিন্ন দর্শন নিয়ে হয়ত আরও ব্লগিং প্লাটফরম আসবে। কিন্তু তাতে লাভ ব্লগারদেরই। নিজেদের পছন্দ ও চাহিদা অনুসারে প্লাটফরম বেছে নিতে পারবে।

আপনার লেখার কিছু অংশে তেমনি একটি প্লাটফরমের সমালোচনা করা হয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে সেটির উদ্দ্যোক্তা কোম্পানীর সাথে জড়িত থাকায় এক্ষেত্রে কিছু বলার প্রয়োজন মনে করছি-

প্রথমত, বিজ্ঞাপন ছাড়া এধরনের মিডিয়া টিকে থাকা কঠিন। কিংবা টিকে থাকলেও ব্যবহারকারীরা তার চাইতে একটি স্বাবলম্বী মিডিয়া দেখতেই বেশী পছন্দ করবে। তবে অবশ্যই যেন বিজ্ঞাপন সহনীয় পর্যায়ে থাকে এবং স্বাধীন মত প্রকাশে কোন হস্তক্ষেপ না করে। যাহোক, সেই সাইটে সম্প্রতি বাহ্যিক বিজ্ঞাপন গ্রহনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবং তা শুধুমাত্র প্রথম পাতায়, কোন ব্লগারের পাতায় নয়। তবে কোন ব্লগার যদি লেখার পাশাপাশি কিছুটা উপার্জনে আগ্রহী হয়, তবে তার সুযোগ রয়েছে। ব্লগস্পট সহ বেশ কিছু জনপ্রিয় প্লাটফরমেই এ ব্যবস্হা রয়েছে। এতে আমি খারাপ কিছু দেখছি না। এটিকে নেতিবাচক চোখে দেখলে বইয়ের লেখকদেরও সেই চোখে দেখতে হয়। বরঞ্চ এই ব্যবস্হায় একটি সুবিধা হচ্ছে পাঠকের পরিবর্তে খরচটি বহন করছে বিজ্ঞাপন প্রদানকারী কর্পোরেট।

দ্বিতীয়ত, লেখার কপিরাইট নিয়ে অস্পষ্ট নীতিমালার অংশটি কর্তৃপক্ষ নিজেদের ভুল স্বীকার করে কিছুদিন পূর্বে সরিয়ে নিয়েছে। কোন উন্মুক্ত ব্লগে প্রকাশিত লেখার স্বত্ব অবশ্যই তার সৃষ্টিকর্তার থাকা উচিত।

যাহোক, মুক্ত মত প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে বাংলা ব্লগিং এর শতফুল ফুটুক।
শুভ হোক সচলের পথচলা।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

ইয়ামিন,
কেমন আছেন? অনেক দিন পর ।

আমি ইচ্ছে করেই কোন ব্লগসাইটের নাম উল্লেখ করিনি তবু আপনি যখন সেই সাইটের প্রতিনিধি হিসেবে এই মন্তব্য করলেন তাই আমাকে ও প্রতি মন্তব্য করতে হচ্ছেঃ-

তবে অবশ্যই যেন বিজ্ঞাপন সহনীয় পর্যায়ে থাকে এবং স্বাধীন মত প্রকাশে কোন হস্তক্ষেপ না করে।

--আপনাদের সাইটের পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপণ সংক্রান্ত যে পোষ্ট দেয়া হয়েছিল সেখানে কিন্তু বলা হয়েছে বিজ্ঞাপণ দাতাদের বিরুদ্ধে 'অহেতুক' কথা বলা যাবেনা । এই 'হেতুক', 'অহেতুক' নির্ধারন করবে কে? ব্লগার, ব্লগ কর্তৃপক্ষ নাকি বিজ্ঞাপণ দাতা?
প্রথম আলো-ডেইলি ষ্টারের মতো মিডিয়া মুঘলরা মোবাইল ফোনের স্বেচ্ছাচারীতার বিরুদ্ধে মুখে কুলুপ এঁটে থাকতে বাধ্য আর সামহোয়ার সেখানে বিজ্ঞাপণ দাতার কাছ থেকে পয়সা খেয়ে তার বিরুদ্ধে লেখা প্রকাশ সাহস রাখবে-এই ভরসা আপনি দিলেন?
ইয়ামিন, চাকরীদাতার এতোটা বাধ্যগত হওয়া সম্ভবতঃ আপনার চাকরীর শর্ত নয় ।

তবে কোন ব্লগার যদি লেখার পাশাপাশি কিছুটা উপার্জনে আগ্রহী হয়, তবে তার সুযোগ রয়েছে।

কোন ব্লগার উপার্জন করবে? আমি যদি গ্রামীন, শেভরণের বিরুদ্ধে লিখি তখনো কি তারা আমার পাতায় বিজ্ঞাপণ দেবে? আপনারা তো ভাই, ব্লগারদের স্বাধীন লেখালেখি বাদ দিয়ে কর্পোরেটের দালালী করতে উৎসাহীত করছেন ।

আপনাদের ব্লগ সাইটের পলিসি তো ডঃ ইউনুসের মতো হয়ে গেলো । করবেন সুদের ব্যবসা, নাম নেবেন জনসেবার ।
সাইটকে জনপ্রিয় করে বিজ্ঞাপণদাতাদের কাছে স্পেস বিক্রী করবেন- করুন । কিন্তু সাহস করে বলুন না কেন যে এটাই আমাদের মুখ্য, খামোখা খামোখা কেনো বাংলা ভাষা অন্তর্জালে ছড়িয়ে দেয়া জাতীয় ফালতু বুলি আওড়ানো?

লেখার কপিরাইট নিয়ে অস্পষ্ট নীতিমালার অংশটি কর্তৃপক্ষ নিজেদের ভুল স্বীকার করে কিছুদিন পূর্বে সরিয়ে নিয়েছে।

ভুল স্বীকার করে সরিয়ে নিয়েছে? বাহ ।
ইয়ামিন আপনি ও তো লেখালেখি করেন । যাদের এই ন্যুনতম জ্ঞান নেই যে -একটা লেখার কপিরাইট শুধুমাত্র লেখকেরই যদি না তিনি স্বেচ্ছায় অন্য কাউকে না দেন- এই রকম অপগন্ডদেরকে আপনি আপনার লেখা দেবেন?
একজন লেখক যতো বড় বা ছোট হোন- নিজের লেখার প্রতি প্রেম আর আত্নসম্মান বোধ থাকাটা জরুরী ।
আপনাদের সাইট তো ঐ কথা বলে এতো এতো ব্লগারকে অপমান করেছে।
সবচেয়ে বড় কথা, এটা ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইটসের সুস্পষ্ট লংঘন ।
বাংলাদেশ বলে আপনাদের সাইট বেঁচে গেছে । নরওয়ে হলে আপনাদের অধিকর্তাকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হতো ।

দুঃখিত আমিন-আমার কোন কথা যদি আপনাকে কষ্ট দিয়ে থাকে । সুনীল সাইফুল্লাহ'র সম্পাদনার কাজে আপনার অবদানের জন্য আমি কৃতজ্ঞ । আমার সাথে ইন্টারেকশনের জন্য আপনার ঐ পরিচয় ই তো যথেষ্ট ছিলো ।

আমি ব্যক্তিগতভাবে সেটির উদ্দ্যোক্তা কোম্পানীর সাথে জড়িত থাকায় এক্ষেত্রে কিছু বলার প্রয়োজন মনে করছি-

খুব জরুরী ছিলোনা ।

-------------------------------------
বালক জেনেছে কতোটা পথ গেলে ফেরার পথ নেই,
-ছিলো না কোন কালে;

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

আছহাবুল ইয়ামিন এর ছবি

হাসান মোরশেদ ভাই,
চলছে মোটামুটি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ে অনার্স অবশেষে শেষ হয়েছিল (প্রোজেক্ট ডিফেন্স সহ) জানুয়ারীতে, গতকাল থেকে মাস্টার্স এর ক্লাস শুরু হল। এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি মাস্টার্স করব কি না। অন্যান্য অপশন নিয়েও ভাবছি।

মন্তব্য কিংবা লেখায় অনিয়মিত হলেও পাঠক হিসেবে অনিয়মিত ছিলাম না। আমার প্রিয় লেখকরা যেখানেই যাক, ফলো করার চেষ্টা করি। নিজের লেখার মান নিয়ে কিছুটা সংশয় আছে, এজন্য তেমন মন্তব্য করা হয় না। ব্লগস্পটে নিজের ব্যক্তিগত ব্লগে গত পাঁচ বছরের অর্জন মাত্র ৭টি পোস্ট চোখ টিপি (একটি টেকনিক্যাল ব্লগ অবশও ডিলিট করে দিয়েছি)।

যাহোক, এখানে আমার আগের মন্তব্যটি আমার একান্তই ব্যক্তিগত ছিল। এভাবে 'আপনারা', 'আপনার কোম্পানী' বারবার শোনার জন্য আমি ঠিক প্রস্তুত ছিলাম না। তবে এটি ঠিক, এই প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত না থাকলে হয়ত মন্তব্যটি করতে আগ্রহী হতাম না। সেদিক থেকে কিছুটা দায়িত্ববোধ থেকেই হয়ত। কিন্তু নিশ্চিত করছি এটি আমার কোন কর্তব্যপালন কিংবা দায়বদ্ধতা থেকে নয়।

আমি আপনাদের লেখা পড়তে যেমন ভালোবাসি, ব্যক্তিগতভাবে আপনাদের সম্মানও করি সেভাবে। আর আমার-আপনার মতোই মানুষরাই এসব কর্পোরেটগুলোতে কাজ করছে। গুগল-ইয়াহু ও আপনার উপস্হিতিকে পুঁজি করে ব্যবসা করছে। তাই বলে কি তাদের সার্ভিস ব্যবহার বন্ধ করে দিবেন? আপনার জীবনযাত্রার উন্নয়নে তাদের অবদানকে তাদের স্বার্থসিদ্ধির বাই-প্রোডাক্ট বলে পুরোপুরি উড়িয়ে দিবেন। কর্পোরেটদের প্রতি আপনার ক্ষোভ রয়েছে, বোঝা যাচ্ছে। কর্পোরেট সংস্কৃতির অনেক নেতিবাচক প্রভাবও আমাদের চারপাশে প্রতিনিয়ত দেখছি। তাই বলে তাদের প্রতিটি কাজকেই নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখতে হবে, সেটি বোধহয় ঠিক হবে না। যাহোক, মূল প্রসঙ্গে আসি। আপনার একটি বক্তব্যই ব্যাখ্যা করব (অন্যটি ইচ্ছাকৃত না অনিচ্ছাকৃত ভুল তার বিতর্কে যাচ্ছি না, কারন তার অপব্যবহারের সুযোগ আর নেই) -

আপনাদের সাইটের পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপণ সংক্রান্ত যে পোষ্ট দেয়া হয়েছিল সেখানে কিন্তু বলা হয়েছে বিজ্ঞাপণ দাতাদের বিরুদ্ধে 'অহেতুক' কথা বলা যাবেনা । এই 'হেতুক', 'অহেতুক' নির্ধারন করবে কে?...
মিডিয়া মুঘলরা মোবাইল ফোনের স্বেচ্ছাচারীতার বিরুদ্ধে মুখে কুলুপ এঁটে থাকতে বাধ্য আর সামহোয়ার সেখানে বিজ্ঞাপণ দাতার কাছ থেকে পয়সা খেয়ে তার বিরুদ্ধে লেখা প্রকাশ সাহস রাখবে-এই ভরসা আপনি দিলেন?

এখানে আসলেই আরও ব্যখ্যার প্রয়োজন ছিল। প্রথমত, পুরো বিজ্ঞপ্তিটি পড়লে দেখতে পাবেন যেসকল প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, তাদের মধ্য বিতর্কিত কর্পোরেটদের আসার সম্ভাবনা কম। তারপরেও যারা আসবে, তাদের বিজ্ঞাপনকে চোখের সামনে ঝুলতে দেখে সবাই মিলে আক্রমণ করাটা খুব অস্বাভাবিক নয়। "শুধু এই ব্যাপারটি থেকে সতর্ক করার জন্য বক্তব্যটি ছিল, স্বাভাবিক নিয়মে যেকোন অভিজ্ঞতা, অভিযোগ নিয়ে লেখা গ্রহণযোগ্য" - এটি ব্লগ টিমের ভাষ্য। আমি পুরোপুরি ভরসা দিতে পারছি না, কিন্তু আমার বিশ্বাস তাই হবে। সংবাদপত্রের সাথে ব্লগ মাধ্যমের অন্তত এইটুকু পার্থক্য রয়েছে - মত প্রকাশের স্বাধীনতা না দিলে সেটি আর যাই হোক, ব্লগ সাইট হতে পারে না। দ্বিতীয়ত, স্বতস্ফুর্ত ব্লগাররাই উন্মুক্ত ব্লগ সাইটের প্রাণ। ব্লগে প্রাণ ছাড়া বিজ্ঞাপন আসবে কোথা থেকে?

আমাদের যতই কর্পোরেট বিতৃষ্ঞা থাকুক, দিনশেষে প্রায় সবাইকেই কোন না কোন কর্পোরেট এর অধীনে কাজ করতে হয়। অধিকাংশ শিল্পচর্চাতেই কোন না কোন কর্পোরেটের সহযোগীতা কামনা করি। এককালে হয়ত এইরকম কর্পোরেট স্পন্সরশিপ ছিল না। কিন্তু তখনকার কোন ব্যাক্তিগত সাহায্যের আড়ালে সেই ব্যক্তির স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্য অন্তত থাকত। এখন সেই স্বার্থসিদ্ধি যদি আমাদের সমাজ, সংস্কৃতির কিংবা অর্থনীতির কোন ক্ষতির কারন না হয়, তাহলে তা মেনে নিতে আমি কোন সমস্য দেখি না।

গত এক/দেড় বছরে বাংলা ব্লগ কিংবা অনলাইন লেখালেখির মাধ্যমের যে বিপ্লব হয়েছে, তার পেছনে অবদান ব্লগারদেরই, কর্পোরেটদের নয়। যেকোন নৈতিক ব্যাপারে ব্লগাররা সচেতন হলে কর্পোরেটরাও সেটি সমর্থনে বাধ্য। আগামী দিনেও ব্লগাররা সচেতন থাকবে, সেটিই কামনা করি।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

মাষ্টার্স টা শেষ করে ফেলেন । মাত্র তো একবছরের মামলা ।

কর্পোরেট,জলপাই,টুপি কারো প্রতিই আমার কোন বিদ্বেষ নেই যতোক্ষন না তারা আমাকে নিয়ন্ত্রন করতে আসে । কিন্তু রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের সুযোগে এই শক্তিগুলো কিভাবে আমাদের ম্যানিপুলেট করে-সেটা আপনি ও ভালো জানেন ।

কর্পোরেট চাকরীতে দোষের কিছু নেই । আমি ও করেছি একসময়, হয়তো আগামীতে ও করবো । এটা রুটিরুজির প্রশ্ন । বেঁচে থাকতে হলে মানুষকে কতোরকম আপোষ করতে হয় ।

কিন্তু বাঁচা-মরার মতো জরুরী নয় এমন কিছুতে ও আপোষের দরকার কি ? লেখালেখি অন্ততঃ আমার কাছে মরা বাঁচার প্রশ্ন নয় ।

বহুবছর আগে যখন ছাত্র ছিলাম নিজেদের টাকায় ছোটকাগজ বের করতাম,বিজ্ঞাপন ছাড়া । সাহিত্য কাগজের পাতায় পণ্যের বিজ্ঞাপন অশ্লীল মনে হতো-হোক সেটা নারকেল তেলের কিংবা মুঠোফোনের । সে সময় অনেক শুভাকাংখীই আশংকা প্রকাশ করেছেন- 'কয়দিন হে,বিজ্ঞাপণ ছাড়া টিকতে পারবো?' আমরা উত্তরে বলেছি- 'পারবোনা দিন করবোনা' ।

আমি এখনো মনে করি বিজ্ঞাপন নির্ভরতা সৃষ্টিশীলতার অনুকুল নয় ।
অবশ্য এসব কিছুই আমার একান্ত নিজস্ব ভাবনা মাত্র , অন্যদের অন্য রকম ভাবনার সুযোগ তো আছেই

ভালো থাকুন ।
আর এই আলোচনা টা আমরা এখানেই থামাই বরং ।
-------------------------------------
বালক জেনেছে কতোটা পথ গেলে ফেরার পথ নেই,
-ছিলো না কোন কালে;

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

ভেতরে ভেতরে কথাগুলি পাঁক খাচ্ছিল।
ধন্যবাদ মোরশেদ।
তবে কিছু জিজ্ঞাসা থেকে গেলো। আগে জেনে নেই। তারপর আলাপ করবো।

---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।