ব্লাসফেমী,লেখার স্বাধীনতা, রাষ্ট্রের লালচোখ অথবা দায়দায়িত্ব

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: মঙ্গল, ২৪/০২/২০০৯ - ৬:৩৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

রাষ্ট্র ও ধর্ম দুটোই প্রকারান্তরে সাংগঠনিক কাঠামো মাত্র । প্রথমটি বাস্তব প্রয়োজনে গড়ে উঠা লৌকিক কাঠামো(যেমন পরিবার, গোত্র,সমাজ), দ্বিতীয়টির ভিত্তিমুল পারলৌকিক বিশ্বাস ।
'বাস্তব প্রয়োজন' আর 'পারলৌকিক বিশ্বাস' অনেকক্ষেত্রেই সাংঘর্ষিক হলে ও ধর্মকে ভিত্তি করে লৌকিক সংগঠন রাষ্ট্র গঠনের ও উদাহরন আছে । ইসলাম এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে অগ্রসর । যদিও খ্রীষ্টান, হিন্দু এমনকি বৌদ্ধধর্মকে ভিত্তি করে ও রাষ্ট্র গঠন হয়েছে কিন্তু প্রফেট মোহাম্মদ(দঃ) এর মতো আর কোন ধর্মপ্রচারকের স্বয়ং রাষ্ট্রনেতা হবার উদাহরন সম্ভবতঃ ইতিহাসে নেই ।

ধর্মই মুল ভিত্তি বলে ধর্মজীবি রাষ্ট্রগুলো তাদের বিশ্বাসের ভিত্তিকে প্রশ্নাতীত রাখার জন্য ব্লাসফেমী আইন কার্যকর রাখে- প্রাচীন ভারতের ব্রাম্মনশাসিত রাজ্য থেকে শুরু করে মধ্যযুগের খ্রীষ্টিয় রাষ্ট্র হয়ে এযুগের ইসলামী রাষ্ট্রসমুহ সবখানেই ব্লাসফেমী আইন ছিলো এবং আছে । প্রাচীন ভারতের কবি তোকারামের কানে সীসা ঢেলে দেয়া, ব্রুনোকে পুড়িয়ে মারা কিংবা সালমান রুশদীকে হত্যার ফতোয়া- সবকিছুরই রক্ষাকবচ ব্লাসফেমী আইন ।

আমি স্পষ্টতই ব্লাসফেমী আইনের বিরুদ্ধে । যেহেতু ধর্ম মানেই বিশ্বাস, ফ্যাক্ট এবং ফিগার নয়- সেহেতু এর সমালোচনা থাকবেই । মোহাম্মদ (দঃ) শেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী- এটা কোন ফ্যাক্ট নয়, এটা মুসলমানদের পবিত্র বিশ্বাস । এই বিশ্বাস কেউ অস্বীকার করলে তাকে হত্যার ফতোয়া দেয়া বর্বরতা ।
মোহাম্মদ (দঃ) যে এ ক্ষেত্রে একটি উদাহরন মাত্র । যে কোন ব্যক্তি, বিশ্বাস, দর্শন ও মতবাদ নিয়েই আলোচনা ও সমালোচনার অধিকার মানুষের আছে । কিন্তু সাথে একটা ছোট ফুটনোট মনে রাখা জরুরী- সমালোচনার স্বাধীনতার সুযোগে যেনো মিথ্যাচারের চর্চা না হয় । মোহাম্মদ(দঃ) মদ নিষিদ্ধ করেছেন অথচ দাসপ্রথা নিষিদ্ধ করেননি । এটা নিয়ে সমালোচনার অধিকার আমার চাই কিন্তু এই অধিকারে কেউ 'মোহাম্মদ একটা রক্তপিপাসু খুনী' এরকম মন্তব্য করলে আমার আপত্তি আছে ।

ধর্ম ও রাষ্ট্রের তুলনামুলক ভাবনায় আরেকটা বিষয় উঠে আসে যা কিছুটা হলেও আয়রনিক । ধর্ম , ধর্মহীনতার ও সুযোগ করে দেয় । অন্ততঃ আজকের পৃথিবীতে কোন নির্দিষ্ট ধর্মে নিজেকে সমর্পণ না করে ও দিব্যি জীবনে কাটিয়ে দেয়া যায়(পরকালের কথা ভাবছিনা) । কিন্তু রাষ্ট্রকাঠামো এখনো ততোটা আধুনিক(!) হতে পারেনি । এখনো কোন মানুষের রাষ্ট্রনিরপেক্ষ হয়ে থাকা সম্ভব নয় । দাউদ হায়দার কিংবা তসলিমা নাসরিন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের নির্যাতনের শিকার হয়ে জার্মান কিংবা সুইডেনে আশ্রয় নিয়েছেন- এই আশ্রয় ও কিন্তু জার্মান কিংবা সুডেনের আইনকে মান্য করার অঙ্গীকার করেই ।

শুরুতে ফিরে যাওয়া যেতে পারে ।

রাষ্ট্র বাস্তবপ্রয়োজনে গড়ে উঠা লৌকিক কাঠামো বলেই রাষ্ট্রের ভিত্তি বিশ্বাস নয় বরং ফ্যাক্টস এন্ড ফিগার । কিছু কিছু ফ্যক্টস এন্ড ফিগার এক একটা রাষ্ট্রের কোর উপাদান, যেগুলোকে অস্বীকার করার স্বাধীনতা রাষ্ট্রের নাগরিকের থাকেনা, যে ফ্যাক্টসগুলোর সমালোচনা ' মোহাম্মদ একটা রক্তপিপাসু খুনী'র মতোই মিথ্যাচার ।


বাংলাদেশ রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে এর আচরন, কানুন ও চর্চার সমালোচনার অধিকার আমাদের আছে এবং এই অধিকার আমরা নিরাপদ রাখতে চাই । রাষ্ট্র কাঠামো যখন কোন সিদ্ধান্ত নেয় সেটা নিয়ে নিঃসংকোচে সংশয় প্রকাশ করার স্বাধীনতা ও নাগরিক মাত্রই আছে এবং থাকতে হবে ।


কিন্তু ঐ যে কিছু 'কোর ফ্যাক্টস এন্ড ফিগার' । বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মযুদ্ধটা মুক্তিযুদ্ধ নাকি 'গৃহযুদ্ধ', গনহত্যা নাকি 'পিটুনী অভিযান', নিহতের সংখ্যা ৩০ লক্ষ নাকি '২৬ হাজার' এই সব বিষয় নিয়ে ও সংশয় প্রকাশের স্বাধীনতা এবং সুযোগ থাকতে হবে?


শেখমুজিব কোন ধর্মনেতা নন । আধুনিক মানুষ মোহাম্মদ(দঃ) এর মতো ধর্মনেতার কাজের সমালোচনার করার স্বাধীনতা চায়, সে ক্ষেত্রে শেখ মুজিবের মতো একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তো কিছুই নয় । তার শাসনামল, বাকশাল, রক্ষীবাহিনী নিয়ে কঠোর ও কঠিন সমালোচনা হবেই । এই সমালোচনা ঠেকাতে রাষ্ট্র যদি বাগড়া দেয় আমরা আমাদের অধিকার চর্চার প্রয়োজনে রাষ্ট্রের মুখোমুখি দাঁড়াবো ।


কিন্তু ঐ যে আবার কিছু 'কোর ফ্যাক্টস এন্ড ফিগার' ।
'৬৯ এর গনঅভুত্থানের পর শেখমুজিবকে 'বংগবন্ধু' উপাধি শাসক গোষ্ঠী দেয়নি দেশের জনগনই দিয়েছিল । এটা আমাদের ইতিহাসে অংশ । ' জয়বাংলা জয় বংগবন্ধু' আমাদের মুক্তিযুদ্ধের শ্লোগান । শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি- এটা কোন পারলৌকিক বিশ্বাস নয়- এটা ফ্যাক্টস ।


'বংগবন্ধু' কে ' আলুবোখারা' বানানো, রাষ্ট্রের স্থপতি 'স্বেচ্ছায় পাকিস্তানীদের হাতে ধরা দিয়েছে' , তার শিশুপুত্র রাসেল, যে নির্মম ভাবে নিহত হয়েছে তাকে ' রসকেলী' বানানো- এটা ও সমালোচনার অধিকার ? এটা ও লেখকের স্বাধীনতা? তাহলে মিথ্যাচার ও অশ্লীলতার সংজ্ঞা কি? নাকি মিথ্যাচার ও অশ্লীলতা ও লেখার স্বাধীনতা বটে ।

,জামাতের রাজনীতি, সাঈদীর ওয়াজ, জামাতী হান্নান শাহ'র কুটচাল কিংবা আবু করিমের কবিতা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের 'কোর ফ্যাক্টস এন্ড ফিগার' কে চ্যালেঞ্জ করে ।
--------------------------------------------------------------------


ফুটনোটঃ
১। কয়েকদিন আগে অন্যব্লগে একজন আবু করিমের পুরো কবিতা(?) তুলে দিয়েছিলেন । পড়েছিলাম । এখন খুঁজে পাচ্ছিনা । কোন পাঠক পেলে এখানে লিংকটা দেবেন দয়া করে ।


২। সরকারী চাকুরীকালীন সময় কোন রাজনৈতিক মতাদর্শ প্রচার করা যাবেনা- চাকরীতে যোগদানের সময় এরকম কোন শপথ বাংলাদেশে করতে হয় কিনা?


মন্তব্য

হাসান মোরশেদ এর ছবি

আমি পড়েছি । সংরক্ষন করিনি ।
মুহিব খানের উর্দুভাষী মুক্তিযুদ্ধের গানের মতোই পুঁদিচ্চেরী হাসি
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

পরিবর্তনশীল এর ছবি

ঐ বদ লোকটার নাম ক্যান যে মুহিব হইল। মন খারাপ

মোরশেদ ভাই। অসাধারণ বলছেন। আবু করিমের ঘটনা পড়ে এ কথাগুলাই মাথার মধ্যে ঘুরতেছিল। কিন্তু গুছিয়ে বলতে পারছিলাম না।

ধন্যবাদ "শমল শেকল ডানা"র লেখক।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

আপনার নামে কি হ্রস্ব উ-কার আছে?

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

আমি দুয়েক লাইন দেখেছিলাম। যদিও একে কবিতা বলা হচ্ছে..মানের দিক দিয়ে এটা ছিল অত্যন্ত দুর্বল একটি রচনা। যদিও নিজের কবিতায় কবি নিজেই দাবী করেছেন তিনি বাংলা অনার্সের বাঘা ছাত্র ছিলেন। তার লেখাগুলো তেমন মানসম্পন্ন মনে হয় না।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

হাসান মোরশেদ এর ছবি

শোহেইল ভাই, ফুটনোটের ২য় টা নিয়ে আপনার মন্তব্য জানতে চাচ্ছিলাম ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

জিজ্ঞাসু এর ছবি

আসলে মতপ্রকাশের অধিকার মিথ্যাচারের বা তথ্য বিকৃতির অধিকারের সাথে মিলে না। কারণ মিথ্যাচার বা তথ্য বিকৃতির মাধ্যমে আমি আর সবার অধিকারে হস্তক্ষেপ করছি বা অন্যের মানহানি করছি, বা পাঠককে বিভ্রান্ত করছি। বিষয়গুলোর সাথে অনেক সূক্ষ্ম বিভেদ আছে। একই কথার ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষিতে ও স্থান-কাল-পাত্রভেদে ভিন্ন অর্থ দাঁড়ায়। সেকারণেই তসলিমা নাসরিনকেও অন্যকোন দেশে সেদেশের আইনগত কাঠামো মেনে নিয়েই আশ্রয় পেতে হয়। সেজন্য নির্দিষ্ট কাঠামোর প্রেক্ষিতে যখন কোন কিছুকে বিচার করা হয় তখন সেখানে ট্রান্সপারেন্সিটাই বেশি জরুরী। (ব্লাসফেমি আইনও যদি কোন দেশে, সমাজে থেকে থাকে সেখানেও কোন ঘটনাকে বিচার করতে ট্রান্সপারেন্সি বা নিরপেক্ষতা থাকাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ) তাই কোন লেখার ব্যান বা বাধা আসলে সেটা পাঠকের দ্বারাই ধিকৃত বা সমালোচিত বা ব্যান হওয়া উচিত উপর থেকে চাপিয়ে দেয়াটা স্বচ্ছতা বা নিরপেক্ষতার সাথে বেমানান এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার ধারনার সাথেও (যেখানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা কাঠামোবদ্ধভাবেই সংবিধিবদ্ধ আইন হিসেবে সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলো মেনে নিয়েছে এবং মেনে চলে) ঠিক যায় না। আমরা মনে হয় সামাজিকভাবে এখনও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে বাঙলাদেশে সেভাবে গ্রহণ করতে পারিনি। বিভিন্ন ঘটনাগুলো এমন ইঙ্গিত করে।
মত প্রকাশের ক্ষেত্রে লেখকের বিবেক অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়।

___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে

হাসান মোরশেদ এর ছবি

কোন লেখার ব্যান বা বাধা আসলে সেটা পাঠকের দ্বারাই ধিকৃত বা সমালোচিত বা ব্যান হওয়া উচিত উপর থেকে চাপিয়ে দেয়াটা স্বচ্ছতা বা নিরপেক্ষতার সাথে বেমানান এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার ধারনার সাথেও (যেখানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা কাঠামোবদ্ধভাবেই সংবিধিবদ্ধ আইন হিসেবে সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলো মেনে নিয়েছে এবং মেনে চলে) ঠিক যায় না।

বাংলাদেশের জন্মযুদ্ধটা যে মুক্তিযুদ্ধ, শেখ মুজিব যে এই রাষ্ট্রের স্থপতি, মুক্তিযুদ্ধে যে শহীদের সংখ্যা ৩০ লাখ- এটা কিন্তু অনেক কাটাছেঁড়ার পর ও আমাদের সংবিধানে এখনো রয়ে গেছে ।
এই বিষয়গুলোতে যারা ভিন্নমত প্রকাশ করবে, আবু করিমের মতো বিশ্রী স্যাটায়ার করবে রাষ্ট্র তাদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করতে পারবেনা?
শাহ হান্নান যে মুক্তিযুদ্ধকে বারবার গৃহযুদ্ধ বলছে তাকে কিভাবে প্রতিহত করা হবে? পালটা টকশো আয়োজন করে? আবু করিমের বিশ্রী স্যাটায়ার কিভাবে বাধা দেয়া হবে? পালটা স্যাটায়ার লিখে?

পৃ থিবীর প্রতিটি রাষ্ট্রই তার মৌলিক কিছু বিষয়ে ছাড় দেয়না । মত প্রকাশের স্বাধীনতা দোহাই দিয়ে সবকিছু করা যায়না । প্রিন্স হ্যারী এক পার্টিতে মজা করে নাৎসীদের স্বস্তিকা চিহ্ন পড়েছিল বলে তাকে পরে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হয়েছিল জাতির কাছে । হিটলারের সমর্থনে আপনার মত প্রকাশ পারবেননা খোদ জার্মানীতে । এইরকম মত প্রকাশে রাষ্ট্র আইন করেই বাধা দিচ্ছে, জনগনের সদিচ্ছার উপর ভরসা করে বসে থাকছেনা ।

সরকারের সমালোচনা করা যায় ভিন্ন ভাবে । শুধু আবু করিমের বেলা শাস্তি কেনো? ৩০ লক্ষ শহীদের সাথে সে শেখ মুজিব ও তার সন্তানদের জড়িয়েছে বলে? শাহ হান্নানের শাস্তি হচ্ছেনা কেনো? সে শেখ মুজিবকে উহ্য রেখে শুধু ৩০ লক্ষ শহীদ নিয়ে মিথ্যাচার করছে বলে?

আবু করিমকে শাস্তি দিয়ে সরকার কোন অন্যায় করেনি । দায়িত্ব পালন করেছে মাত্র । আবু করিম, হান্নান শাহ' র মতো সকল ইন্টেলেচুয়াল মকারদের শাস্তি হওয়া জরুরী । কবি, বুদ্ধিজীবি, আমলা কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হলেই কেউ পার পেয়ে যেতে পারেনা ।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আবু করিমকে শাস্তি দিয়ে সরকার কোন অন্যায় করেনি । দায়িত্ব পালন করেছে মাত্র । আবু করিম, হান্নান শাহ' র মতো সকল ইন্টেলেচুয়াল মকারদের শাস্তি হওয়া জরুরী । কবি, বুদ্ধিজীবি, আমলা কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হলেই কেউ পার পেয়ে যেতে পারেনা ।

১৯৭১% সহমত।

খেকশিয়াল এর ছবি

লাল সালাম !

------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

পারফেক্ট!

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

চলুক

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

আলমগীর এর ছবি

হাসান মোরশেদ লিখেছেন:

২। সরকারী চাকুরীকালীন সময় কোন রাজনৈতিক মতাদর্শ প্রচার করা যাবেনা- চাকরীতে যোগদানের সময় এরকম কোন শপথ বাংলাদেশে করতে হয় কিনা?

করতে হয়। কেবল তাই না, কোন লেখা প্রকাশের আগে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হয়। (তসলিমা এই নিয়মের প্যাচে পড়ে সরকারি চাকুরি ছেড়েছেন।)

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।