।। দ্যা আউটসাইডার ।।

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: সোম, ২০/০৭/২০০৯ - ৫:৩০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রথম পর্ব


..
এক.

১।


আমি সিগ্রেট বের করে ধরালাম। কেয়ারটেকারকে ও দিলাম একটা।
কিছুক্ষন পর সে আবার কথা শুরু করলো- ‘তোমার মায়ের বন্ধুরা আসবে শেষবারের মতো দেখার জন্য। এটা এখানকার প্রথা। আমি বরং আরো কিছু চেয়ার এবং কফির ব্যবস্থা করি’। আমি তাকে বললাম সম্ভব হলে একটা বাতি নিভিয়ে দেবার জন্য, এতো তীব্র আলো আমার অসহ্য লাগছে। সে অসহায়ের মতো মাথা নাড়ালো। বাতিগুলো সব একসাথে জ্বলে,একসাথে নেভে।

সে বেরিয়ে গেলো, ফিরে এলো আবার। আমি আর মনোযোগ দিলাম না। চেয়ারগুলো সারিবদ্ধ করলো, একটা কফি-পট আর অনেকগুলো কফি কাপ এনে রাখলো। তারপর আমার উল্টোদিকে কফিনের পাশে গিয়ে বসলো। নার্স মেয়েটা ও ঐ পাশে। আমি তাকে দেখছিনা, শুধু তার হাতের নড়াচড়া।বোধ হয় কিছু বুনছে। কফি খাওয়ার পর বেশ ভালো লাগছে, খোলা দরজা দিয়ে রাতের বাতাসের ঘ্রান আসছে।
আমি বোধ হয় কিছুক্ষনের জন্য ঘুমিয়ে পড়েছিলাম কিন্তু সাদা দেয়ালে উজ্জ্বল আলোর তীব্রতায় আমি চোখ বন্ধ করতে পারছিলাম না।

এরপর তারা এলেন। মায়ের বন্ধুরা । সব মিলিয়ে জনা দশেক। ঐ তীব্র সাদা আলোর ভেতর দিয়ে খুব নিঃশব্দে এলেন তারা। বসলেন চেয়ার টেনে। একটা চেয়ার ও শব্দ করলোনা। প্রতিটি চেহারা এতো স্পষ্ট, এতো তীব্র অথচ কোন শব্দ নেই, কোন ভাষা নেই, অভিব্যক্তি নেই। যেনো অশরীরি , অস্তিত্বের কোন প্রমান নেই।প্রায় সকল বৃদ্ধার কোমরের কাছে শক্ত করে এপ্রোন বাঁধা- ফলে তাদের স্ফীত পেট আরো বেশী দৃশ্যমান। বৃদ্ধরা সকলেই শীর্ণ, তারা হেঁটে এসেছেন হাতের লাঠিতে ভর দিয়ে। কি অদ্ভূত আমি তাদের কারোরই চোখ দেখতে পেলাম না।মুখজোড়ে বয়সের অসংখ্য বলি রেখা আর তার মাঝখানে গলিত গোলাকার যুগল পিন্ড। তারা সারিবদ্ধ হয়ে বসলেন আমার বিপরীতে কেয়ারটেকারের পাশে। হঠাৎ এক অসহ্য অনুভূতি হলো আমার। যেনো কাঠগড়ায় দন্ডায়মান অপরাধী আমি। আমার বিপরীতে সারিবদ্ধ বিচারকের দল, তাদের তীক্ষ চোখ যেনো মাপছে আমার অপরাধসমুহ।

দ্বিতীয় সারিতে বসা এক বৃদ্ধা কান্না শুরু করলেন। আমি তাকে দেখছিনা ভালো, কেবল তার কান্নার শব্দ। তীব্র নয়, থেমে থেমে ফোঁপানো কান্না-একটানা, যেনো থামবেনা কখনো। অন্য সকলের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। হাতের লাঠি কিংবা অন্য কিছু কফিনের দিকে তাক করে তারা তাকিয়ে আছেন ভাবলেশহীন। চোখের পাতায় কোন কাঁপন নেই।
আমার বিস্ময় কাটছেনা। বৃদ্ধা কেঁদেই চলছেন। কে তিনি? আমি চিনিনা। জিজ্ঞেস করার ও কোন উপায় নেই। ইচ্ছে ও করছেনা। কেয়ারটেকারকে দেখলাম কিছু বলতে তাকে কিন্তু তিনি মাথা নাড়ালেন কেবল তারপর কান্নার মতো একঘেঁয়ে শব্দ করতে থাকলেন। কেয়ারটেকার উঠে এলো আমার কাছে। মুখ নীচু করে ফিসফিসিয়ে বললো- ‘তোমার মা এই বৃদ্ধার খুব ঘনিষ্ঠজন ছিলেন। তিনি চলে যাওয়ায় এখানে তার আর কেউ রইলোনা’

সময় কাটছে ঘোরের মতো, শব্দহীন, ক্রিয়াহীন,প্রতিক্রিয়াশূন্য। আমার ঘুম পাচ্ছেনা কিন্তু ক্লান্ত লাগছে, ভীষন ক্লান্ত, পিঠে ব্যাথা করছে। আর একটা অদ্ভূত শব্দ অসহ্য লাগছে। শব্দের উৎস খুঁজতে গিয়ে দেখি এই জনাদশেক বৃদ্ধ-বৃদ্ধা একসাথে তাদের দন্তহীন মুখের ভেতর বাতাস টেনে নিচ্ছেন, নিজের অজান্তেই বাতাস ছাড়তে গিয়ে বিচিত্র শব্দ তৈরী করছে্ন। এই কফিন, কফিনের ভেতর লাশ, কফিন ঘিরে এইসব প্রায় অশরীরি মানুষেরা- আমি কোন অর্থ খুঁজে পাইনা।
আরো একপ্রস্থ কফি পান হলো। তারপর আর মনে নেই আমার।

রাত শেষ হলো।মনে পড়লো শেষরাতের দিকে একবার চোখ খুলে দেখেছিলাম তারা সকলে ঝিমুচ্ছেন, কেবল একজন বৃদ্ধা তার লাঠিতে থুঁতনি রেখে তাকিয়ে আছেন আমার দিকে, যেনো অপেক্ষায় ছিলেন কখন আমি চোখ খুলবো। একজন বৃদ্ধ কাশি শুরু করেছিলেন আর থুথু ছিটাচ্ছিলেন তার সাদা রুমালে, কাশির দমকে মনে হচ্ছিল তার সবকিছু বের হয়ে আসছে। এসময় কেয়ারটেকার এসে তাদেরকে নিজ নিজ ঘরে চলে যেতে বললো। পুরো সময়ের মতোই নিঃশব্দে তারা উঠে দাঁড়ালেন- আর কি আশ্চর্য্য বের হয়ে যাওয়ার আগে একে একে প্রত্যেকে এসে হাত মেলালেন আমার সাথে।যেনো এই শব্দহীন রাত, এই দীর্ঘ নিস্তবতা আমাদের মধ্যে এক অঘোষিত ঘনিষ্ঠতা সৃষ্টি করেছে।

ভীষন ক্লান্ত লাগছিলো। কেয়ারটেকার তার ঘরে আমাকে নিয়ে গেলো। দ্রুত গোসল করে নিলাম, আরেক বার কফি খাওয়া হলো। বাইরে এলাম, চমৎকার রোদেলা দিন। দূরে সমুদ্র, সমুদ্রের কোল ঘেঁষে পাহাড়ের সারি আর তাদের উপর ঘন নীল আকাশ। আকাশের গায়ে লাল রোদের ছটা। সমুদ্র থেকে উঠে আসা বাতাস-বড়ো ঘ্রানময় সজীব। আমার আর একটু ও ঘুম পাচ্ছেনা। একটা দারুন সুন্দর দিনের ইংগিত। আমি অনেক দিন শহরের বাইরে বের হইনি। আজ ফুরফুরে হাওয়ায় ঘুরে বেড়ানো যেতো যদি না মায়ের মৃত্যুজনিত আনুষ্ঠানিকতায় আমার উপস্থিতি আবশ্যক না হতো।

বারান্দায় গিয়ে একটা গাছের ছায়ায় দাঁড়ালাম। ছায়া ও বড়ো ঘ্রানময় আজ। অফিসের সহকর্মীদের কথা মনে পড়ছে। তারা সকলেই অফিস যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছে এখন । প্রস্তুতির এ সময় আমার জন্য বড় জটিল। বৃদ্ধাশ্রমের ভেতর কোথাও ঘন্টা বাজলো, জানালার পর্দায় কিসের ছায়া পড়লো, আবার শুনশান নীরবতা। সূর্য আরো উপরে উঠছে। গরম লাগছে, পায়ের পাতায় ঘাম। কেয়ারটেকার এসে জানালো, ওয়ার্ডেন আমার সাথে কথা বলতে চান।
আমি ওয়ার্ডেনের কক্ষে ঢুকলাম।আজ তিনি কালো পোষাক। আমার দিকে কিছু কাগজ ঠেলে দিলেন। স্বাক্ষর করলাম। নীচু স্বরে বললেন- ‘কবরখননকারীরা এসে গেছে, তুমি কি শেষবারের মতো মাকে দেখতে চাও?’ আমি না বললাম। তিনি টেলিফোনে কাকে যেনো বললেন- ‘তোমরা কাজ শুরু করতে পারো।‘

জানালেন, সমাধি অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত থাকবেন। আমি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করলাম। আরো জানালেন ডিউটি নার্স ছাড়া ওখানে কেবল আমি আর তিনিই থাকবো। বৃদ্ধাশ্রমের অন্যদের সমাধি অনুষ্ঠানে থাকার নিয়ম নেই। তবে মায়ের খুব ঘনিষ্ঠ একজন মিষ্টার পেরেজকে থাকার অনুমতি দেয়া হয়েছে। তিনি হেসে বললেন- ‘তোমার মায়ের সাথে পেরেজের খুব ঘনিষ্ঠতা ছিলো। আমরা মজা করে তাকে পেরেজের ফিঁয়াসে বলতাম। ওটা স্রেফ মজাই ছিলো । তাঁর মৃত্যুতে পেরেজ খুব ভেংগে পড়েছে। ডাক্তার কাল রাতে তাকে কফিনের পাশে থাকতে দেয়নি কিন্তু সমাধি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে বারন করা যাবেনা’

তারপর বেশ দীর্ঘ সময় ধরে আমরা কোন কথা বললাম না। তিনি উঠে গিয়ে জানালার দিকে তাকালেন, বললেন- ‘প্রিষ্ট এসে গেছেন’ । আমরা নীচে নেমে এলাম। প্রিষ্ট এবং তার দুই সংগী সেখানে দাঁড়িয়ে। ওয়ার্ডেন আমাকে পরিচয় করিয়ে দিলেন। প্রিষ্ট তার স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে আমাকে কিছু উপদেশ দিয়ে ভেতরের দিকে হাঁটা শুরু করলেন। আমি অনুসরন করলাম।

কফিনের ডালা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কালো পোষাক পড়া চারজন শববাহক। ওয়ার্ডেন জানালেন শববাহী শকট সামনের রাস্তায় অপেক্ষমান, প্রিষ্ট প্রার্থনা শুরু করেছেন। ওয়ার্ডেন ডেকে একজন মহিলার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন, আগে দেখিনি তাকে-ইনিই মায়ের ডিউটি নার্স। আরেকজন জবুথুবু বৃদ্ধ দাঁড়িয়ে যাকে দেখে ভীষন অপ্রস্তুত মনে হচ্ছে। ধারনা করলাম ইনিই মিষ্টার পেরেজ। শববাহকরা কফিন কাঁধে নিয়ে ধীরে ধীরে হাঁটা শুরু করলো, আমরা দেয়ালের দিকে ঘেষে তাদের বেরুবার জায়গা করে দিলাম। মিষ্টার পেরেজ তার মাথার ক্যাপ খুলে অবনত হলেন। তার গায়ে একটা স্যুট, প্যান্টের পা মোজার ভেতরে ঢুকানো, কালো টাই সরু নট, দীর্ঘ কলারের সাদা সার্টের সাথে বেমানান। দীর্ঘ নাক, ঝুলে পড়া ঠোঁট, কান টকটকে লাল অথচ ফ্যাকাসে মুখ। ফিউনারেল পরিচালক শবযাত্রার নিয়ম ঘোষনা করলেন। সবার সামনে থাকবেন প্রিষ্ট, তারপর শববাহী শকট, তার পাশে চারজন শববাহী। তার পেছনে আমি এবং ওয়ার্ডেন, সবশেষে ডিউটি নার্স ও বৃদ্ধ পেরেজ।

কি জানি কেনো আমাদের যাত্রা শুরু করতে কিছুটা দেরী হলো। সূর্য আরো উপরে উঠে গেছে। কড়া রোদ এখন। সারা শরীর ঘামছে। ওয়ার্ডেন আমার পাশে এসে টুকটাক কথা বলছেন। জানালেন সন্ধ্যার দিকে এই পথে আমার মা আর পেরেজ প্রায়ই হাঁটতে বেরুতেন সাথে থাকতেন ডিউটি নার্স। আমি আমার চারপাশে তাকালাম। পাহাড়, সমুদ্র, সমুদ্রের ওপাড়ে সাইপ্রাস-দিগন্তে তার চিহ্নরেখা, ছবির মতো ঘরবাড়ী- আমি আমার মাকে বুঝতে পারলাম এই মুহুর্তে। সন্ধ্যার আবছায়া এই প্রতিবেশে বিমুর্ত হাতছানি দেবে নিশ্চিত কিন্তু এই তপ্ত দুপুর বড় ক্লান্তিকর একঘেঁয়ে ও বিষাদময়।

শবযাত্রা শুরু হলো। লক্ষ্য করলাম পেরেজ কিছুটা খুঁড়িয়ে হাটঁছেন এবং পিছিয়ে পড়ছেন আর সবার থেকে। আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে লক্ষ্য করলাম সূর্য্য কতো দ্রুত আরো উপরে উঠে যাচ্ছে। এ সময়ে চারপাশের প্রকৃতি যেনো জেগে উঠলো। পোকাদের ডাক, পাতাদের শব্দ। আমার চিবুক বেয়ে ঘাম ঝড়ছে। শববাহকদের একজন কিছুটা পিছিয়ে আমার কাছাকাছি এলো। কি যেন বললো সে । আমি শুনলাম না। আবার বললো। উপেক্ষা করলাম। আরো কাছে এলো এবার। ‘দেখেছো কেমন গরম পড়েছে?’। মাথা নাড়লাম। এবার সে কফিনের দিকে ইশারা করে বললো- ‘তোমার মা?’ । আবার মাথা নাড়লাম। এবার সে জিজ্ঞেস করলো- ‘বয়স হয়েছিলো?’ বললাম-‘মোটামুটি’ । যদি ও আমি ঠিক জানিনা মায়ের বয়স কতো হয়েছিল। পেরেজকে দেখলাম আরো পিছিয়ে পড়েছেন। ওয়ার্ডেনের দিকে তাকালাম। দৃঢ় পায়ে এগুচ্ছেন। কপাল থেকে ঘাম ঝড়ছে কিন্তু মুছছেননা।

শবযাত্রা দ্রুততর হলো। আমার চারপাশে সেই একই রোদঝলসানো আবহ। সূর্যের অসহ্য উত্তাপ। রাস্তার কিছু অংশে নির্মান কাজ চলছে। কালো পিচ গলে গলে পড়ছে যেনো। কালো শকট। চালকের মাথায় কালো চামড়ার টুপি। শবযাত্রীদের সকলে পোষাকে কালোর আধিক্য। চারপাশে সব একঘেঁয়ে রংয়ের অসহ্য উপস্থিতি। গনগনে সূর্য, ঘোড়ার বিষ্ঠার গন্ধ, নির্ঘুম রাত আমাকে ভীষন ক্লান্ত করে। তেষ্টা পায়, আমি চারপাশ ঝাপসা দেখি। ফিরে তাকাই। বৃদ্ধ পেরেজ অনেক অনেক দূর পেছনে, তিনি আমার দৃষ্টির বাইরে হারান। আমি আবার তাকাই চারদিক। মুল রাস্তা ছেড়ে মেঠোপথ ধরে হাঁটছেন পেরেজ। এইসব পথঘাট চেনা তার। মুল রাস্তা ছেড়ে চেনা পথে হাঁটছেন তিনি। আমি আবার হারাই তাকে। কিছু দূর গিয়ে আবার ফিরে আসেন।

তারপর সবকিছু যেনো খুব দ্রুত ঘটে গেলো। যা কিছু ঘটার, যা কিছু অপেক্ষার তার সবকিছুর অবসান হলো। সবকিছু এতো স্বাভাবিক, এতো গতানুগতিক-আমার আর কিছুই মনে নেই। মনে আছে কেবলে টুকরো দু একটা ছবি। ডিউটি নার্স এর সাথে আমার কথা হয়েছিল। তার কন্ঠ ছিলো অদ্ভুত সুন্দর, সুরেলা মায়াময়- চেহারার সাথে বেমানান। আমার পাশে এসে বলেছিলেন-‘ ধীরে হাঁটলে গরমে তোমার স্ট্রোক হতে পারে, দ্রুত হেঁটে পথ ফুরিয়ে ফেলতে হয়। পথের শেষেই গীর্জা। গীর্জার ভেতরে নরোম ছায়া’
হ্যাঁ, ঐ তপ্ত পথের শেষে গীর্জা ছিলো, গীর্জার ভেতরে নরোম ছায়া ছিলো। আমাদের শব যাত্রা গিয়ে সেখানে থেমেছিলো। মনে পড়ে আমার।

আর মনে পড়ে বৃদ্ধ পেরেজের মুখ, শেষ মুহুর্তে সে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েছিলো। তার চোখ থেকে গড়িয়ে পড়ছিলো জল। না গড়িয়ে কোথাও পড়তে পারেনি চোখের জল। তার মুখ জোড়ে কুঁচকানো শত বয়সের বলিরেখা। জল আটকে ছিলো তার ভাঁজে।

সেই জল, জলের রেখা, সমাধিস্থল, বিষন্ন বৃদ্ধাশ্রম অনেক অনেক পেছনে ফেলে একঝাঁক আলোর রেখা, আলজিয়ার্স। আলজিয়ার্সের আলোয় আমার উল্লাস। ফিরে আসার।
এবার ঘুম, দীর্ঘ প্রতীক্ষার ঘুম এবার।


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

দ্বিতীয় পর্ব হবে বোধহয়।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

হাসান মোরশেদ এর ছবি

না। পুরো উপন্যাসের দুটো পর্ব আছে। প্রথম পর্বের প্রথম পরিচ্ছদ চলছে। প্রথম পরিচ্ছদের দ্বিতীয় অংশ এটুকু।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

পড়ছি।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

জাহেদ সরওয়ার এর ছবি

চলুক

আমার আত্মা বোমায় দু'হাত উড়ে যাওয়া কোনো আফগান শিশুকন্যা।

*********************************************

স্বপ্নহারা এর ছবি

বিষণ্ণ লাগছে...পড়ার পর।

হতাশাবাদীর হতাশাব্যঞ্জক হতশ্বাস!

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

পড়ে যাচ্ছি!

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

সাবধানে, পড়ে হাত পা ভাঙলে আবার বিপদ! ঃ)

বিপ্লব রহমান এর ছবি

উত্তম জাঝা! ।। চলুক


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।