বাপুজী,শর্মিলা তোমার কেউ নয় বুঝি?

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: বুধ, ০৮/০৮/২০০৭ - ৭:৫৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মনোরমা নামের একজন মনিপুরী মহিলা,নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ধর্ষিতা ও খুন হবার পর,মনিপুরী নারীরা এইভাবে প্রতিবাদ জানান সেনাদপ্তরের সামনে

তাঁর চোখ বোজা । নাকে নল ঢুকানো । ঠোঁট যন্ত্রনাবিদ্ধ ।
একজন মহিলা জোরকরে তার দুহাত বিছানার সাথে চেপে ধরেছে ।
ইরম শর্মিলাকে আমি প্রথম এরকমই দেখি হাসপাতালের বেডে । একজন কারাবন্দী হিসেবেই তিনি আছেন ইম্ফলের সরকারী হাসপাতালে,পুলিশ প্রহরায় ।

ছয়বছর ধরে তিনি কিছু খাননি । না খাওয়ার অপরাধে মহান গনতান্ত্রিক ভারত সরকার তাকে কারাবন্দী করেছে ।জোর করে খাওয়ানোর চেষ্টা করেছে ।
নভেম্বর ২০০০ থেকে শর্মিলা অমরন অনশন করছেন তার রাজ্য মনিপুর থেকে Armed Forces (Special Powers) Act 1958 (AFSPA). প্রত্যাহারের জন্য । এই এক্টের সুযোগে নিরাপত্তা বাহিনী যে কোনো রাজ্যে অভিযান চালাতে পারে । অভিযান চলাকালীন সময়ে যে কোনো পদের মিলিটারী কিংবা প্যারামিলিটারী সদস্য যে কাউকে গুলী করে হত্যা এবং ওয়ারেন্ট ছাড়াই সার্চ ও গ্রেপ্তার করতে পারে । এইসব হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহনের সুযোগ ও খুব সীমিত ।
১৯৮০ সাল থেকে শর্মিলার নিজের রাজ্য মনিপুরে এই এক্ট কার্যকর রয়েছে ।

হাসপাতালের বেডে শর্মিলা

২রা নভেম্বর,২০০০ । অশান্ত মনিপুরের আরেক সাধারন দিন । রাজধানী ইম্ফলের বাইরে মালমবাজারের কাছে আসাম রাইফেলস একটি কনভয়ের উপর বোমা হামলা করে পালিয়ে যায় বিচ্ছিন্নবাদী গেরিলারা । ঘটনার পর পর এসে হাজির হয় নিরাপত্তাবাহিনীর আরো সদস্য এবং নির্বিচারে তারা গুলী চালায় নিরীহ পথচারীদের উপর । ঘটনাস্থলেই নিহত হন ১০ জন ।
এরকমই ঘটনা প্রায়ই ঘটে মনিপুর ও উত্তরপুর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে । কিন্তু এই ঘটনা অনন্য হয়ে যায় যখন ইরম শর্মিলা নামের এক তরুনী সেই রক্তাক্তস্থানে শুরু করেন তার আমরন অনশন ।
শর্মিলাকে আত্নহত্যার চেষ্টা করার অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয় এবং কারাগারের ভেতর জোর করে খাওয়ানোর চেষ্টা করা হয় । খাওয়াতে না পেরে হাসপাতেলে নিয়ে জোর করে নল ঢুকানো হয় । আদালত তাকে জামিন দিলে শর্মিলা সেই একই স্থানে ফিরে আবারো শুরু করেন তার অনশন । আবারো গ্রেপ্তার । আবারো জোর করে খাওয়ানোর চেষ্টা । আবারো হাসপাতালে নিয়ে নল ঢুকানো ।
এভাবেই চলছে ২০০০ সালের নভেম্বর এর ২ তারিখ থেকে ।

পুলিশ প্রহরাধীন শর্মিলার সাথে আমার কথা হয় মাত্র কয়েক মিনিট

কথা বলছেন শর্মিলা

আপনি এই অনশন কেনো শুরু করলেন?

আমার মাতৃভুমি মনিপুরের জন্য । যতক্ষন না Armed Forces (Special Powers) Act 1958 প্রত্যাহার করা হয়,এই অনশন চলতে থাকবে ।

যে ঘটনা থেকে আপনি অনশন শুরু করলেন,সেটা কি একটু বলবেন?

আমরা সেখানে গিয়েছিলাম (মালম)একটা সভার কাজে । আমাদের একটা শান্তিমিছিলের আয়োজন করার কথা ছিলো ।কিন্তু ওখানে নিরীহ মানুষকে যেভাবে হত্যা করা হলো, তা আমাকে ভীষন ভাবে আহত করে । আমার মনে হয়,শুধু শান্তি মিছিল করে কোনো পরিবর্তন আসবেনা । আরো কিছু করতে হবে ।

কিন্তু ঠিক এরকম একটা কর্মসুচী কেনো গ্রহন করলেন? আমৃত্যু অনশন?

এ ছাড়া আমার আর কিছু করার ছিলোনা । এটা ছিলো আমার তাৎক্ষনিক সিদ্ধান্ত ।
কিন্তু এই না খেয়ে থাকায় তো আপনার স্বাস্থ্য ভেংগে গেছে,অসুস্থ হয়ে পড়েছেন?
এটা বড় কোনো ব্যাপার নয় । অনেক মানুষ এমনিতেই তো মরছে । সবাই মারা যাবে ।

আপনি নিশ্চিত যে এটাই প্রতিবাদের সবচেয়ে ভালো পন্থা? এভাবে নিজেকে কষ্ট দেয়া?

এটা নিজেকে কষ্ট কিংবা শাস্তি দেয়া নয় । এটা আমার দায়িত্ব ।

আপনার পরিবারের লোকজন এই সিদ্ধান্ত কিভাবে গ্রহন করেছেন?

আমার মা আমার এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সবকিছু জানেন । যদিও মা একেবারেই অশিক্ষিত,সরল মহিলা কিন্তু তাঁর সাহস আছে,আমাকে ভরসা যোগানোর ।

মায়ের সাথে শেষ দেখা হয়েছে কবে?

পাঁচ বছর আগে । মায়ের সাথে আমার এরকমই কথা হয়েছে । এভাবে দেখা হলে আমরা দুজনেই হয়তো দুর্বল হয়ে যাবো । তাই আমার লক্ষ্য পুরন হবার পরই তার সাথে আমার দেখা হবে ।

আপনাদের দুজনের জন্য এ বড়ো কষ্টের,তাইনা?

না,খুব কষ্টের কিছুনা । (একটু থেমে) কি ভাবে গোছিয়ে বলা যায় বুঝতে পারছিনা । আসলে আমাদের প্রত্যেকেরই তো কিছু দায়িত্ব আছে । আর প্রত্যকেই আসলে খুব একা ।

কিন্তু আপনি বন্দী কেনো?

আমার ইচ্ছেয় নয় । রাষ্ট্রের চোখে আমার অনশন বে-আইনি,তাই ।

কিন্তু সরকার তো বলছে,আপনি আত্নহত্যা করতে চান যা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ?

তারা যদি ওরকম বলে,আমার কিছু করার নেই । আমি আত্নহত্যা প্রবন হলে তো আপনার সাথেই এভাবে কথা বলতাম না ।অনশন আমার প্রতিবাদের একটা পন্থা,যেহেতু আমার এর চেয়ে বেশী কিছু করার নেই ।

কিন্তু এভাবে কতোদিন চালিয়ে যাবেন?

আমি ঠিক জানিনা । যদি ও আমি আশা ছাড়িনা । আমি সত্যের জন্য লড়ছি । এবং জয় হবেই একদিন । আমি ইশ্বরের উপর ভরসা রাখি ।তিনিই আমাকে সত্যের জন্য সাহস যোগান ।

আপনার কারো কথা মনে পড়েনা?

মনে পড়ে । আমাদের মানুষের কথা খুব মনে পড়ে । এই হাসপাতালে আমি বন্দী হয়ে আছি,পুলিশ চারদিকে । কেউ চাইলেই আমার সাথে দেখা করতে পারেনা ।

আপনাকে যদি একটা ইচ্ছাপুরনের সুযোগ দেয়া হয়, কি চাইবেন?

আমার ইচ্ছা? আমরা যেনো মানুষ হিসেবে বাঁচার অধিকারটুকু পাই ।

(আমার জন্য বরাদ্দ সময় শেষ হয়ে যায় । আমি ও আমার গাইড বের হয়ে আসবো,এসময় হাতের ইশারায় শর্মিলা কাছে ডাকেন । নিচু স্বরে বলে 'আমাকে দিল্লী একটা বই পাঠাতে পারেন? নেলসন ম্যান্ডেলা'র জীবনী? ঠিকানায় লিখে দেবেন সিকিউরিটি ওয়ার্ড । না হলে বই পৌঁছাবেনা যে )

***
***

সাক্ষাৎকারটি গ্রহন করেন ভারতীয় চিত্রনির্মাতা কবিতা যোশী,প্রকাশিত হয় তেহেলকা পত্রিকায়, মার্চ ২৫,২০০৬ তারিখে ।

বিক্ষোভকারীদের উপর ভারতীয়
নিরাপত্তাবাহিনীর নির্যাতনের একটি ভিডিওঃ

--------------------------
--------------------------


মন্তব্য

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

শিরোনামে সম্ভবত 'বুঝি' শব্দটা ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন। অসতর্কতায় 'বোঝি' হয়ে আছে। মেরামত করে দিন।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

হাসান মোরশেদ এর ছবি

অসর্তকতা নয়,দ্বিধাগ্রস্থতার কারনে ।
ঠিক করে দিলাম । ধন্যবাদ জুবায়ের ভাই

-----------------------------------
'আমি ও অনন্তকাল এইখানে পরস্পর বিস্ময়ে বিঁধে আছি'

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

দিগন্ত এর ছবি

ভারত সরকারের নির্লজ্জতম আইনগুলোর মধ্যে অন্যতম হল (আরো আছে)আফসা। অনেকবার সুপ্রিম কোর্ট আর মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দাবী সত্ত্বেও সরকার এই আইন তোলে নি। সবচেয়ে হাসি পায় যখন সোনিয়া গান্ধী বা মনমোহন সিঙ্ঘ প্রতিশ্রুতি দেন 'পুনর্বিবেচনা' করার। মানুষের অসুবিধার কথা কেউ ভাবে না।

কিছুদিন আগে আবার পড়লাম মনিপুরীদের দাবীগুলোর কথা। তবে আমার কাছে এখনও এদের সমস্যার কোনো বাস্তব সমাধান নেই।

তবে অত্যাচারের ভিডিওটা এমন কিছু মনে হলনা, আমার ধারণা পশ্চিমবঙ্গে সিঙ্গুরের বা নন্দীগ্রামের ভিডিও থাকলেও এরকমই হত (আছে কিনা দেখতে হবে)। নন্দীগ্রামের ভিডিও নিশ্চয় আরো খারাপ ছাড়া ভাল হবে না। আর নকশাল আন্দোলনের সময়ের কথা ভুলে যাওয়াই ভাল।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

শর্মিলারা শক্তি জোগাক যুগে যুগে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

এস্কিমো এর ছবি

আমরা যেনো মানুষ হিসেবে বাঁচার অধিকারটুকু পাই - এই স্বাভাবিক বিষয়টাও একজন মানুষের দাবী হতে পারে?

লেখতে চাই ..কিন্তু কি লিখবো?

অচেনা এর ছবি

জুবায়ের ভাইকে জাঝা

-------------------------------------------------
আমি ভালবাসি বিজ্ঞান
আমি ঘৃণা করি জামাত॥

আরিফ জেবতিক এর ছবি

শর্মিলাকে শান্তিতে নোবেল দেবার একটা প্রস্তাব প্রতিবছরই শোনা যায়।সম্ভবত:ভারতীয়দের ভয়ে সেটা দেয়া হয় না।

-----------------------------------
কিস্তিমাতের যুদ্ধ শেষে,সাদাকালো ঘুটিগুলো এক বাক্সেই ফেরত যাবে...

নজমুল আলবাব এর ছবি

এই আন্দোলন নিয়ে ভারতীয়রা বারবার বাংলাদেশের সাথে ক্যাচাল করে আসছে। বাংলাদেশে যেসব মনিপুরি আছে তাদেরকে সন্দেহ করা হয়। আমাদের সাথে কাজ করে এমন মনিপুরি তরুনরা প্রায়ই বলে তাদের স্বজনদের কস্টের কথা।

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আমাদের কথা চিন্তা করে শঙ্কা বাড়ছে। ভবিষ্যতে আসছে আরো খারাপ দিন।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

হাসান মোরশেদ এর ছবি

দিগন্তঃ
খুব ঠিক । ইম্ফল থেকে নন্দীগ্রাম,কানসাট থেকে ফুলবাড়ি গল্প সবখানে সেই একই । তবু পিঠে দাসক্ষত আমরাই গলাবাজি করবো পরস্পর- দ্যাখ শালা আমরা তোদের চেয়ে কতোটা গনতান্ত্রিক

আরিফঃ
শর্মিলা শান্তিতে নোবেল পাবেনা,পেলে আমাদের সুদের মহাজনের কি গতি হবে তখন? বাপুজি গান্ধীকে কিন্তু নোবেল স্যারদের শান্তির জন্য উপযুক্ত মনে হয়নি ।

অচ্ছ্যুৎ বলাইঃ
ভালো আর আছি কোথায় কতোটুকু আমরা? দু দশক ধরে পাহাড়ে কি বর্বরতা চালালো আমাদের সোনার ছেলেরা । আর এখন সমতলে?
উর্দিপরা কেউ কোন ব্লাডি সিভিলিয়ানকে ইচ্ছে হলেই খুন করতে পারে,আদালত ও তার বিচার করতে পারবেনা । হাহ!

মনিপুরী তো তবু একজন শর্মিলা আছেন । আমাদের তো গরিলা আর বাইসনে ভরে গেছে পুরো মানচিত্র ।

-----------------------------------
'আমি ও অনন্তকাল এইখানে পরস্পর বিস্ময়ে বিঁধে আছি'

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

দিগন্ত এর ছবি

সেজন্যই বলি, এই শাসকের শাসনযন্ত্রের কাছে দেশ কাল ভাগ নেই। সবাই এক ... অসহায়।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

অতিথি এর ছবি

দিগন্তের মন্ত্যব্যগুলো ইন্টেরেস্টিং। উনি যে মনিপুরিদের দাবীর কথা বলেছিলেন তার প্যারালাল আরও বিভিন্ন প্রকারের 'মনিপুরি' আছে!একটা তাজা লিংক দিলাম। আই বি এন-সি এন এন থেকে না বি বি সি থেইকা। উপনিবেশিক কাঠামোয় দাবায়া রাখা মানুষগুলা তো এখন কিছুটা কথা বলতাছে। যেমন এই পোস্ট এর মাধ্যমে। আর ইতিহাসও আরকাইভএ রাখন যাইতাছে খুব সহজেই। এ কাজে মিডিয়ার ব্যবহৃত কোটেশন মার্কও উপভোগ্য। হা হা।

দিগন্তের উচিত্ মনিপুরিদের আন্দোলনের ব্যপারে কিছু বলার আগে সেই ১৮৯১ সালের অ্যাংলো-মনিপুরি যুদ্ধ আর ১৯৪৭-১৯৪৯ পর্যন্ত জনগনপ্রতিনিধিদের সংসদীয় মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনার ইতিহাস। আর অবশ্যই একটি জোর করে সই করানো ইন্ডিয়া-মনিপুর চুক্তির কথা। তবে উনার কথাগুলো অবশ্যই জরুরু
অসহায় সহায় জ্ঞানের ঋদ্ধির জন্যে। লিংক:
http://news.bbc.co.uk/2/hi/business/6935673.stm

অতিথি এর ছবি

জয় হোক শর্মিলার আন্দোলন! জয় হোক সত্য ও ন্যায়ের!শর্মিলা, বিশ্ব আদিবাসী দিবসে আপনি আমার আন্তরিক অভিনন্দন গ্রহণ করুন।
হাসান মোরশেদ আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
-বিপ্লব রহমান।

দিগন্ত এর ছবি

"সেই ১৮৯১ সালের অ্যাংলো-মনিপুরি যুদ্ধ আর ১৯৪৭-১৯৪৯ পর্যন্ত জনগনপ্রতিনিধিদের সংসদীয় মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনার ইতিহাস। আর অবশ্যই একটি জোর করে সই করানো ইন্ডিয়া-মনিপুর চুক্তির কথা।" - এর কোনোটাই আমার অজানা নয়, এখানেই আছে। বিস্তৃত আকারে পাবেন এখানে। জনগণের মতামত ছাড়াই দখল করা হায়দ্রাবাদ, ত্রিবাঙ্কুর, জুনাগড় ও কাশ্মীরের মত আরো একটি রাজ্য হল মণিপুর। জনগণের সরাসরি মতামত ছাড়া দেশ দখল করা চূড়ান্ত অনৈতিক, এ বিষয়ে মনে হয় না কেউ সংশয় প্রকাশ করেছে।

তবে এর জন্য নিশ্চয় মণিপুরের পাহাড়ের নাগা, কুকি বা অন্য উপজাতিরা দায়ী নয় বা বাংলাদেশী অভিবাসনকারীরাও নয়। তাই, তাদের ওপর অত্যাচারও একই রকম নিন্দনীয়। সুতরাং মণিপুরের দাবীর সাথে তাদের রক্ষা করার ব্যাপারটাও সুনিশ্চিত করা দরকার।

তাছাড়া মানুষে মানুষে খুব একটা পার্থক্য নেই বলেই আমি মনে করি। আমাদের কলেজে যে মণিপুরি ছাত্র-ছাত্রী পড়তে আসত, তাদের অনেকেই বাঙালী ক্লাসমেটকে বিয়ে করে কোলকাতায় থেকেই যেত। আমি তাদের কিভাবে আমাদের থেকে আলাদা মনে করি?


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

অতিথি এর ছবি

লিংক এর ব্যাপারেতো কিছু বললেন না।
এনি অয়ে, আমার কাছে কিন্তু এদের ব্যাপারে অনেক ভলিয়ম বই আছে।
শমির্লার প্রতিরোধ তো শুধু একদিক। ঔপনিবেশিক ডিসকোর্স এর পাল্টা রেকোর্ড আছে।

সময়ের ক্রম অনুসারে কথা বলতে অনুরোধ রইল।

সহিংসতার বীজ রোপন কইরা কাফকার সেই কীট এর মতো হয়ে উঠা গেরিলাদের শুধু দোষ দিয়ে লাভ নাই।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

সম্মানিত অতিথি,
পোষ্টদাতা হিসেবে,আলোচনায় অংশ নেয়ার জন্য আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা ।
দিগন্ত ও আপনার মন্তব্য প্রতি মন্তব্য চলুক । আমরা আরো ঋদ্ধ হই ।

আপনি ইচ্ছে করলে, অতিথি ঘরে আপনার নাম জুড়ে দিতে পারেন ।
আপনাকে আবারো ধন্যবাদ ব্যক্তি আমি এবং সচলায়তনের পক্ষ থেকে ।

-----------------------------------
'আমি ও অনন্তকাল এইখানে পরস্পর বিস্ময়ে বিঁধে আছি'

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।