শ্বাসরুদ্ধকর তুর্ক-ক্রোয়াট কোয়ার্টার ফাইন্যাল

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: শনি, ২১/০৬/২০০৮ - ৪:০০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজকে এ খেলা যারা মিস করলেন, তাদের জন্যে দুঃখই হচ্ছে।

থাকি তুর্কি পাড়ায়, চলতে ফিরতে রোজই তুর্কিদের সাথে দেখা। তুর্কি তরুণীরা বেশ শ্বাসরুদ্ধকর একটা ব্যাপার হলেও, ওদের মধ্যে এমন একটা রুক্ষতা আছে যে ভালো লাগে না শেষ পর্যন্ত। তুর্কি তরুণদের কথা বলার নেই কিছু, চরম অভদ্র আর উগ্র মনে হয়েছে বেশিরভাগকেই।

ক্রোয়াটদের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম নেই খুব একটা। যতগুলো ক্রোয়াট দেখেছি এই স্বল্প প্রবাসজীবনে, সবক'টাই অভদ্র, জাতিবিদ্বেষী ও দুর্মুখ। তবে ক্রোয়াট মেয়েগুলি দারুণ!

কিন্তু তুর্কি আর ক্রোয়াট ফুটবল অনন্য! খেলার প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত প্রাণপণে খেলে দুই দল। গতি আর পায়ের কাজ চমৎকার, মাঝমাঠ থেকে হঠাৎ বল টেনে ত্বরিৎ আক্রমণে সিদ্ধপদ দুই দলই, অযথা মেরে খেলার প্রবণতাও তেমন একটা নেই।

কিন্তু তুলনাহীন একজনই, তুর্কি গোলকিপার রুশতু। সময় কিভাবে যায় টের পাওয়া মুশকিল, ২০০৮ এ এসে চমকে উঠি রুশতুকে দেখে। বুড়ো হয়ে পড়েছে তুর্কি বাঘ। কিন্তু সেই বুড়ো হাড়েই ভেলকি দেখিয়ে চলেছে ১১৯ মিনিট ধরে। ক্রোয়াট মিডফিল্ডার দানিয়েল স্রনা আর তুর্কি গোলরক্ষক রুশতুর মধ্যে ঠান্ডা লড়াই চলেছে গোটা ম্যাচ ধরে, স্রনার দর্শনীয় সব আক্রমণ চিতাবাঘের ক্ষিপ্রতা নিয়ে ফিরিয়ে দিচ্ছে রুশতু, স্রনা আবার ঠান্ডা চোখে গোলকিপার আর মাঠ মেপে এগিয়ে আসছে হঠাৎ, পায়ে বল। ওদিকে সফট পাসে অভ্যস্ত তুর্কি মিডফিল্ডারদের কোন তোয়াক্কাই করছে না ক্রোয়াট ব্যাক সিমোনিচ, তুর্কিদের প্রত্যেকটা আক্রমণের মুখে সে একাই একশোজন হয়ে দেয়াল তুলে দাঁড়াচ্ছে।

১১৯ মিনিট ধরে এমনই চলছিলো। কখনো তুর্কিরা শিথিল হয়ে পড়ছে, বিদ্যুতের মতো এগিয়ে যাচ্ছে ক্রোয়াটরা, ভরসা তখন শুধুই রুশতু। মাঠের এক পাশ নিশ্চুপ হয়ে প্রার্থনা করছে, আরেক পাশ লাল সাদা চেক ঝান্ডা তুলে চেঁচাচ্ছে সমানে। চকিতে ঝলসে উঠছে রুশতুর গ্লাভস, বল আবার নিরাপদ দূরত্বে, নিরাপদ পায়ে, মাঠের অন্যপাশে লালে লাল তুর্কিরা শুরু করেছে চেঁচানো, ক্রোয়াটদের মুখ গোমড়া। এরই মধ্যে হঠাৎ মাঠ কাঁপিয়ে সামনে ছুটছে তুর্কি মিডফিল্ডাররা, চোখের পলকে পাঁচছয়জনের একটা দেয়াল তুলে দাঁড়াচ্ছে ক্রোয়াটরা। এমনই চলছে প্রত্যেকটা মিনিট।

কিডনি ট্র্যান্সপ্ল্যান্ট করা, ফাইবার গ্লাসের রক্ষাবরণ পরা ক্রোয়াট স্কোরার ক্লাসনিচ নেমেছেই গোল দেয়ার পণ করে। ১১৯ মিনিটের মাথায় প্রৌঢ় রুশতুর ছোট্ট একটা গাণিতিক ভুলের সুযোগ নিয়ে নিলো ক্রোয়াট বাহিনী, ক্লাসনিচের হেড মাঠের অর্ধেককে বিষন্ন করে দিয়ে জালে ঢুকে গেলো। রুশতু যেন কয়েক মাইল দূর থেকে ছুটে আসছিলো বল ঠেকানোর জন্যে, বলের সাথে সাথে সেও মাটিতে লুটিয়ে পড়লো। ক্লান্ত, হতাশ, বৃদ্ধ রুশতু।

কমেন্টেটররা পারলে তখনই রুশতুর ব্যাগ গুছিয়ে দেয়। আহা বেচারা, এ-ই ছিলো তার শেষ টুর্নামেন্ট। বাড়ি ফিরতে হচ্ছে রুশতুকে ভিয়েনা ছেড়ে। আহা, আহা।

যতক্ষণ শ্বাস, ততক্ষণ আশ কথাটার মর্ম টের পাওয়া গেলো তুর্কি মিডফিল্ডারদের আচরণে। ১২১ মিনিটের মাথায় সামিহ প্রথম সুযোগেই বল জালে পাঠিয়ে দিলো, ছয়জন ক্রোয়াটের দেয়ালকে হতভম্ব করে দিয়ে। সারাটা খেলা জুড়ে মাঠে তড়পে বেড়ানো ক্রোয়াট কোচ বোধ করি টের পেয়েছিলেন এমন কোন অশনি সংকেত, প্রাথমিক হুড়োহুড়ি কেটে যাবার পর তিনি হাত পা ছুঁড়ে সাবধান করছিলেন খেলোয়াড়দের, কিন্তু গরিবের কথা কেবল বাসি হলেই ফলে।

১২০ মিনিটের খেলা শেষ হলে পেনাল্টি শুটআউট। এই একটা জায়গায় তুর্কিরা আত্মবিশ্বাসী। পুরনো চাল ভাতে বাড়ে, পুরনো বাঘও চালে বাড়ে। রুশতু হতাশ করেনি তুরস্ককে। ক্রোয়াটরা হেরে গেছে।

পাড়ার তুর্কি হারামজাদারা মনে হচ্ছে না আজ রাতে দু'টার আগে ঘুমাতে দেবে। পটকা ফুটছে, জঘন্য সব তুর্কি গান বেজে চলছে আশপাশে, হর্ন বাজিয়ে চলছে গাড়ির মিছিল। তবে তুরস্কের কপালে দুঃখ আছে, সেমিফাইন্যালে সেরা তিনজন খেলোয়াড়ই বাদ পড়ছে হলুদ কার্ডে নাম তুলে। সুইৎজারল্যান্ডের বাজেলে তাদের জন্যে অপেক্ষা করছে ঠান্ডা, হিসাবী, মারমুখো জার্মানরা। এই খেলার দিন ঘরে বন্দী হয়ে থাকতে হবে। মারপিট না হয়েই যায় না।

এই খেলা দেখার সময় খুব মিস করছি ঢাকাকে। সবাই মিলে হইহট্টগোল করে খেলা দেখবো, একটু পর পর মুড়িমাখা আসবে, চা আসবে, প্রতিবেশীরা আসবে হৈচৈ শুনে হৈচৈ বাড়াতে, হাফ টাইমে ফোন করে ধমকাবো অন্য দলের সাপোর্টার বন্ধুদের ... তা না, একা একা চুপচাপ বসে বসে দেখলাম ম্যাচ। বাল বলে চিৎকার দিতে খুব ইচ্ছা করছে। বাল বলা ভালো নয় বলে দিচ্ছি না।


মন্তব্য

রেনেট এর ছবি

তুর্কি-চেক খেলা মিস করে অনেক আফসোস করেছি, আজকে তাই ৩ ঘন্টা টিভির (থুক্কু ল্যাপটপ) সামনে থেকে নড়িনি দেঁতো হাসি
যদিও সাপোর্ট করিনা কোন দলই, তারপর ও শ্বাস বন্ধ করে বসে ছিলাম।
জয়তু ফুটবল হাসি
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍খেলছিলেন (থুক্কু, লিখছিলেন) তো ভালোই, তো শেষ মিনিটে এসে মুড়িমাখার কথা না তুললেই হতো না! ক্ষমার অযোগ্য ফাউল এবং আপনাকে

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

রুশতু'র বডি ল্যাঙ্গুয়েজই বলছিল আর ওর দিন। সেটা শেষ পর্যন্ত প্রমাণ করেই দিয়েছে। যদিও প্রথম গোলটা আমার মতে ওর ভুলেই খেয়েছে, শেষ পর্যন্ত তুর্কী যা দেখালো তা আসলেই দুর্দান্ত।

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

টার্কি-চেক ম্যাচটা দেখতেছিলাম, চেক দুইটা গোল দিয়ে দেয়ার পরে আগ্রহ কমে গেছিল, টার্কি প্রথম গোলটা শোধ দেয়ার পরেও বেকুবের মত ল্যাপ্টপের ডালা বন্ধ করে চাইনিজদের সাথে ফুটবল খেলতে গেছিলাম গা ... ফেরার পরে ইউটিউবে নিহাতের গোল দুইটা দেখলাম আর নিজের পাছায় নিজেই লাথি মারার চেষ্টা করলাম ...

সেই ভুল যাতে আজকে না হয় তাই খেলার শুরু থেকেই সোপকাস্ট নিয়া বসলাম ... ইংরেজি কমেন্ট্রি ম্যানেজ করা গেলনা বলে বিখাউজ টার্কিশ কমেন্ট্রিই শুনলাম ... কিন্তু এই বালছাল খেলা আর কত দেখা যায়, বিশেষ করে কালকের জার্মানী-পর্তুগালের স্মৃতি টাটকা থাকতে থাকতে? ফার্স্ট হাফ দেখেই বাদ্দিলাম ...

ওয়েবে দেখলাম সেকেন্ড হাফ শেষ হইলো, গোল নাই ... এক্সট্রা টাইমের ফার্স্ট হাফ গেল, তখনো গোল নাই ... খেলা টাইব্রেকারে যাবে এই আশায় সোপকাস্ট অন করলাম, টাইব্রেকার দেখতে আমার মজা লাগে ...

ভাগ্যিস চালাইছিলাম ... রুস্তু মিয়ারে আমার টুথাউজেন্ডটু থেকেই দারূণ পছন্দ (আরেকটা ছিল বেলমাথা হাসান সাস) ... সেই রুস্তুর ভুলে যখন টার্কি গোল খাইলো ইচ্ছা করলো রুস্তুর দাড়ি ছিড়ে দেই ধরে ... ব্যাটা ছাগল, টাইব্রেকারটা দেখতে দিল না ...

কিন্তু কিসের কি, একশো বিশ মিনিট চলে ... এক্সট্রা আছে আর এক মিনিট ... এই অবস্থায় অতি বড় টার্কিশ সাপোর্টারো মনে হয় ভাবে নাই কিছু হইতে পারে ... রুস্তু কি ভাবছিল কে জানে ... মিডফিল্ডের ঠিক পেছন থেকে রুস্তু মিয়া একটা ফ্রীকিক নিলো (আর কেউ ছিল না, সব তখন ক্রোয়াটদের বক্সের সামনে), সেটা বক্সের সামনে পড়লো ... কেম্নে কি হইলো বোঝার আগেই গোওওওল ...

ক্রোয়াট কোচ সময় নষ্ট করার জন্য সাব নামাইতে চাইছিল, ফোর্থ অফিসিয়াল নামাইতে দেয় নাই ... বেচারা যে লাফালাফিটা করলো রাগে সেটা দেখার মত ...

তবে টাইব্রেকারে যে টার্কিশ্রাই জিতবে সেটা বোঝা যাচ্ছিল ... ক্রোয়াটরা গোল খেয়ে বিদ্ধস্ত, আর টার্কিশরা তখন ফুল চার্জ ...

টার্কিশদের এই জিনিসটাই দারুণ লাগে, হারার আগে হারে না ...

খেলার শেষে স্রনা দেখলাম হাউমাউ করে কানতেছে, খারাপ লাগলো বেচারার জন্য ...

জার্মানী-টার্কির খেলা পড়ছে দেখে একটু হতাশ হইছিলাম ... পরে ভেবে দেখলাম জার্মানরা এত সহজে রক্ষা পাবে না ... টার্কিশরা ভালোই পেইন দিবে ...

জয় ফুটবল ...
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...

দ্রোহী এর ছবি

ধুর শালা!

এই খেলা বাদ দিয়া আমি গেলাম "দ্য ইনক্রেডিবল হাল্ক" দেখতে!!!!!!!!!

ইএসপিএস৩৬০ তে রিপ্লে দেখতে হবে। কিন্তু এখন কী আর তেমন ভাল লাগবে? ঠান্ডা তাওয়ায় রুটি ভেজে কী হবে আর?


কি মাঝি? ডরাইলা?

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আজকে এ খেলা যারা মিস করলেন, তাদের জন্যে দুঃখই হচ্ছে।

নন্দিনী এর ছবি

খেলার শেষ দিকে ভাগ্যিস টিভির সামনে বসেছিলাম,তাই এরকম বিরল মুহুর্ত্য দেখতে পেলাম। যদিও কোনদলেরই সাপোর্টার ছিলামনা,কিন্তু পরের দিকে টার্কিকেই সাপোর্ট করেছি তাদের খেলা দেখে।

নন্দিনী

হিমু এর ছবি

ইনক্রেডিবল হাল্ক কি আয়নায় দেখতে গেসিলেন? আজ থেকে আপনার নাম হোক ইনক্রেডিবল দ্রোল্ক হাসি!


হাঁটুপানির জলদস্যু

থার্ড আই এর ছবি

কত আর নাম দিবেন হিমু ভাই, 'মেম্বার সাব' নামের কি অইবো তাইলে...??
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

হিমু এর ছবি

তাই তো!

উমমম, ঐটা তাহলে আপনি হোন! আজ থেকে আপনিই আমাদের নতুন মেম্বার! বলো থার্ডাই মেম্বারের জয়, বলো এমন মেম্বার ক'জন মেম্বার হয়!


হাঁটুপানির জলদস্যু

থার্ড আই এর ছবি

"আমি আইলাম আতকা আমারে কয় ভাত খা!!"
ধুর মিয়া, আপনে পুরা একটা গলা পানির থুক্কু হাটু পানির জল দস্যু ।

---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

সুমন চৌধুরী এর ছবি

সমস্যা হইলো এরপর সেমিফাইনাল হবে জার্মানী-তুরস্ক। শহরে পুরা যুদ্ধাবস্থা থাকবো...



ঈশ্বরাসিদ্ধে:

হযবরল এর ছবি

খেলাটার একপর্যায়ে দুদলই হেঁপে গিয়েছিল, অপেক্ষা করছিলো ভাগ্যের জন্যে। জার্মান-তুরস্ক ম্যাচে আমার ভোট জর্মানদের পক্ষে। যদিও ওদের খেলা ভালো লাগেনা, কিন্তু কোথায় যেন ওদের একটা এ্যাডভান্টেজ থাকে । শারীরিকভাবে হারামজাদারা দানবের সাইজ, আর সুযোগ কখনোই মিস করে না। ঊল্টো হাফ চান্স কে ফুল চান্স বানাতে ওস্তাদ। সেদিন জার্মানদের সাথে পর্তুগালের খেলায় বালাককে এর চারপাশে পর্তুগীজদের পিগমী মনে হচ্ছিলো।

এনকিদু এর ছবি

বাল বলে চিৎকার দিতে খুব ইচ্ছা করছে। বাল বলা ভালো নয় বলে দিচ্ছি না।

কে বলেছে ... বলা ভাল নয় ? যেই দেশে আছেন সেই দেশে আছেন সেই দেশে কি এই শব্দের অভিন্ন অর্থ ? যদি না হয়ে থাকে তাহলে আর চিন্তা কি ? রাস্তা ঘাট স্কুল কলেজ সর্বত্র চিৎকার করে বলতে থাকেন । কেউ জিজ্ঞেস করলে বলবেন ঈশ্বরকে ডাকছি হতাশা থেকে পরিত্রান পেতে ।

মেসোপটেমীয় সভ্যতায় এই নামে সত্যিই একজন দেবতা ছিল ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

সুমন চৌধুরী এর ছবি

মেসোপটেমীয় সভ্যতায় এই নামে সত্যিই একজন দেবতা ছিল ।

আলোকদানের জন্য কৃতজ্ঞতা।



ঈশ্বরাসিদ্ধে:

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

রুশতুর উচিত ছিল পোস্টে ফেরত না গিয়ে বলের কাছে যাওয়া। এই ভুলটার পর স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। সাথে সাথেই পাশের ক্রোয়েশিয়া-সাপোর্টারের সাথে লেগে গেল। দেখতে দেখতেই সামিহ সেনতুর্কের আরো একটা দুর্দান্ত গোল। দুই ডিফেন্ডারের মাঝ থেকে, দৃষ্টিসীমায় বাধা থাকার পরও কী অসাধারণ ভলি!

টাইব্রেকার নিয়ে আমার এক বন্ধু বলছিল, রুশতু আটকে দেওয়ার ভয়ে ক্রোয়্যাটরা বাইরে দিয়ে মারছিল বল!

সবজান্তা এর ছবি

ধুর ! গত ২ রাত ধরে খালি হারছি। হারলাম জার্মানীর কাছে, কাল হারলাম তুরস্কের কাছে।

এই সিজনে আর খেলাই দেখা যাবে না, বদ জার্মানগুলা যে কাপ নিয়ে যাচ্ছে আর কোন সন্দেহ নাই।


অলমিতি বিস্তারেণ

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আমিও হারছি। এই যেমন সেদিন করলাম পোল্যান্ডের সাপোর্ট (পোলিশ মেয়েরা অনেক সুন্দর দেখে)- হারলাম।
অস্ট্রিয়ার সাপোর্ট করলাম কারণ তারাও লালে লাল হয়ে খেললো- শালার হারলাম এবারও। এই দুঃখে ঠিক করছি তুরষ্কের খেলাই দেখবো না, কারণ তাদের ললনাদের ব্যাপারে হিমু যা বলেছে শতভাগ ঠিক! কিন্তু লসটা কার হলো হাইলাইটস দেখে এখন সেটাই চিন্তা করতেছি।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

হু... খেলাটা না দেইখা মিসই করছি বিরাট
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

জি.এম.তানিম এর ছবি

আমি খাইসি বেশি ধরা...এক্সট্রা টাইম এর ফার্স্ট হাফ দেইখা ঘুম দিসি...এক ফ্রেন্ডের এঙ্গেজমেন্ট ছিল গতকাল, দৌড়াদৌড়ি কইরা ব্যাপক টায়ার্ড ছিলাম মন খারাপ
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

অমিত এর ছবি

১২০ মিনিট খেলার শেষ ৫ মিনিট বাদে বাকিটুকু না দেখলেও চলত। গোলের জন্য না, খেলা ভাল হয় নাই।

রায়হান আবীর এর ছবি

লাস্ট পাঁচ মিনিট বাদে পুরাটাই পঁচা খেলা হইছে। দুই দলই ডিফেন্স নিয়া ব্যাস্ত। যেখনেই বল সেখানেই ৫-৬ টা। আমি তো দেখতে দেখতে ৬৭ মিনিট থেকে ৭৫ পর্যন্ত ঘুমাই পড়ছিলাম।

শেষ্মেশ ক্রোয়েশিয়ার জন্য কান্দন চইলা আসছে।

তয় মিডসব্রো'র টানচে চরম খেলছে।

---------------------------------
জানিনা জানবোনা... কোন স্কেলে গাইছে কোকিল
গুনিনা আমি গুনিনা...কার গালে কটা আছে তিল

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।