ফার্স্ট বেঞ্চে বইতে না দিলে বাইত যামুগা

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: শুক্র, ৩০/০১/২০০৯ - ১০:২০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিরোধী দলকে সংসদে স্পিকারের বাম দিকের প্রথম সারিতে সিট কম দেয়া হয়েছে। সংখ্যার আনুপাতিক হারে নাকি সেখানে সিট বন্টন করা হয়েছে। এতে বিরোধী দল নাখোশ হয়েছে, প্রতিবাদস্বরূপ বিধিসিদ্ধ, চর্চিত ওয়াকআউট করেছে।

এই খবর পড়ে অনেক স্মৃতি মাথায় ভিড় করলো। প্রাইমারী স্কুলে যখন পড়তাম, চোখের সমস্যার কারণে ফার্স্টবেঞ্চে বসতে হতো। কোন শয়তানিই করতে পারতাম না, ম্যাডামরা গোল গোল চোখ করে তাকিয়ে থাকতেন আর একটু পর পর পেছনের সারির কাউকে কোন না কোন অপরাধের কারণে শাস্তি দিতেন।

পরিস্থিতির অনেক উন্নয়ন ঘটে হাই স্কুলে গিয়ে। সেখানে মাঝামাঝি বসতাম, নতুন বন্ধুদের সাথে নানারকম নবআবিষ্কৃত শয়তানি পরখ করে দেখতাম। কদাচিৎ ধরা পড়ে গেলে সাধু সাজতাম, মোটা চশমার কারণেই হোক বা ছোট্টখাট্টো ডেক্সটার-টাইপ ছিলাম বলেই হোক, স্যার-ম্যাডামরা অল্পের ওপর দিয়ে ছেড়ে দিতেন। কদাচিৎ কান মলা, বা বিভিন্ন পর্যায়ের সতর্কতা সংকেত দিয়ে ছেড়ে দেয়া হোত।

আমাদের এই সুখী স্কুলজীবনে দুর্যোগের ঘনঘটা আসে যখন ক্লাস এইটে উঠে ক্লাসে রোলনম্বর অনুযায়ী আসনবিন্যাসের ব্যবস্থা করেন আমাদের দোর্দন্ডপ্রতাপ ক্লাসশিক্ষক। স্যার মারা গেছেন অনেকদিন হলো, অনেক অম্লমধুর স্মৃতি তাঁকে নিয়ে, তখন মনে মনে অনেক অভিশাপবাক্য উচ্চারণ করলেও তাঁকে নিঃশর্তে ক্ষমা করে দিয়েছি সবকিছুর জন্য। তবে একটি ব্যত্যয় তিনিও করতেন, ক্লাসের বাম পাশে প্রথম সারির পনেরোজনকে বসানো নিয়েই তাঁর মাথাব্যথা সীমাবদ্ধ ছিলো। ক্লাসের বাকি তিরিশপঁয়তিরিশজন কে কিভাবে বসলো তা নিয়ে তাঁর তেমন আগ্রহ ছিলো না। ফলে বিভিন্ন দল উপদলে ভাগ হয়ে সেখানে চ্রম খ্রাপখ্রাপ মজা করতো বাকিরা, আমরা বিরসমুখে প্রথম সারির আসনে বসে লেখাপড়া করতাম।

যে কোন নিয়ম তৈরি করলে প্রথম দিকে তা পালনের ব্যাপারে কঠোরতা বেশি থাকে, পরে নানাকারণে তা একটু ফিকে হয়ে আসে। ফলে প্রথম পিরিয়ডটা সবাই সুবোধ ও সুশীল সেজে পার করে পরবর্তী পিরিয়ডেই যে যার মতো করে আসনবিন্যাস করে নিতাম, পরবর্তী ক্লাসের শিক্ষকরা রোলনম্বরানুগ আসনবিন্যাসের ব্যাপারে কোন আগ্রহই দেখাননি। তাই প্রথম সারি থেকে আমি চলে যেতাম তৃতীয় সারিতে, কারণ সেখানেই মূলত শয়তানি তুলনামূলকভাবে নিরাপদ। শেষ বেঞ্চে বসলে পড়া ধরা হয় খামাখা, তাছাড়া অযথা ড়্যানডম কিলচড় খাবার সম্ভাবনাও বেশি ছিলো। ক্লাসের পঞ্চাশজনের সবাই চিৎকার করতাম, কিন্তু অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডস্যার এসে সোজা শেষ সারির ভদ্রলোকদেরই পেটাতেন।

স্কুল শেষে কলেজে উঠে কিছুটা নিরাপদ বোধ করলাম। নটরডেমে একজন ছাত্রের জন্যে আসন নির্ধারিত থাকে চার্টার অনুযায়ী। নির্দিষ্ট সময় পর পর ছাত্রের বিভিন্ন পারফরম্যান্স বিচার করে তাকে এগিয়ে বা পিছিয়ে আনা হয়। নটরডেমে রোল কল করার কোন ঝামেলা নেই, স্যাররা রোস্ট্রাম থেকে এক নজর চোখ বুলিয়ে দেখতেন কোন আসনটি ফাঁকা, এবং সেই মোতাবেক একটি লালদাগ দিয়ে রাখতেন সেই ছাত্রের জন্য। কুইজে ডাব্বা আর বিভিন্ন ক্লাসে বাং মেরে মেরে আমি সাফল্যের সাথে পিছিয়ে যেতে সমর্থ হই, এবং একটু আধটু শয়তানি যা করতাম তা পেছন বসে নিরাপদে করতাম। আমাদের প্রিয় কালক্ষেপণক্রীড়া ছিলো, সামনে আসীন কোন অভাগার পিঠে প্রচন্ড এক চাপড় মেরে বলা, "পাস!" সে ব্যথায় বাঁকা হয়ে গেলেও তার সামনে যে আছে, তাকে তৎক্ষণাৎ সেই কিলখানি "পাস" করে দেয়া। বেশ দ্রুততার সাথে একটা কিল শেষ সারি থেকে প্রথম সারি পর্যন্ত চলে যেতো। প্রথম সারির অভাগার হাতে অপশন ছিলো, তুই পারলে স্যারকে একটা কিল মেরে আয়, স্যার তারপর ক্লাসরুম থেকে বেরিয়ে দেয়ালের ওপাশে বসা কেমিস্ট্রি ল্যাবের কোন ব্রাদারকে কিলিয়ে আসবেন। বিভিন্ন ফ্যাক্টর বিচার করে এই গণতান্ত্রিক চর্চাটি থেকে প্রথম সারির পোলাপাইন বিরত থাকতো। তাদের অনেকে এখন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছে। এই যে অনেকেই আমরা গুনগুন করি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ছাত্রদের ওপর অকারণে হম্বিতম্বি করেন, হ্যান করেন ত্যান করেন, কখনো কি ভেবে দেখেছি যে তারা আসলে ছাত্রাবস্থায় সহপাঠীদের ধোলাই খেয়ে খেয়েই "ছাত্র"দের ওপর এমন চটা কিনা?

প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি সাফল্যের সঙ্গে ব্যাকবেঞ্চ দখলে রাখতে পেরেছি, প্রথম সারি ক্লাসের হবু স্যার আর মেয়েদের জন্য বরাদ্দ ছিলো। ক্লাসে দেরিতে এসে চুরি করে ঢুকতাম বলে সেটিই সঙ্গত ছিলো। শেষ বেঞ্চে বসে তাস খেলা, ঘুমানো, গল্পের বই পড়া, বিভিন্ন বিষয়ে বন্ধুদের সাথে জোরালো আলোচনা, সবই সম্ভব ছিলো।

এত ইতিহাস ফ্যানানোর একটিই কারণ, আমি বলতে চাইছি যে প্রথম সারিতে বসা নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিলো না, এখনও নেই। আমাকে প্রথম সারিতে বসতে না দিলে আমি বাসায় চলে যাবো না।

এবং এই কারণেই আমি কখনও বিরোধীদলীয় সাংসদ হতে পারবো না।

কিন্তু বিরোধীদল এমন করেন কেন? প্রথমসারিতে বসতে না দিলে কান্দেন কেন?

কারণ, প্রথম সারিতে বসলে, ফ্লোর না দিলেও খালি গলায় অনেক কিছু অনেক জোরে বলা যায়। যেটা ক্লাসে বসে স্যারকে বলা যায় না। সাংসদদের তো আর মাইরের ভয় নাই। আর মাইর যদি দেয়ার ব্যবস্থাও থাকতো, তাহলে সেই অজুহাতে আবার ওয়াকআউট, সমস্যা কই?

বিরোধী দল তো জানে, স্পীকার ফ্লোর দেয়ার ব্যাপারে কেমন কঠোর হতে পারেন। জমিরুদ্দিন সরকারের কার্যকলাপ তো অনেকেই দেখেছেন। আর ইতিহাস তো পুনরাবৃত্তই হয়। আর যে যায় লঙ্কায় সে-ই হয় রাবণ নয়তো বিভীষণ।

গত সরকারের আমলে আওয়ামী লীগ কী কী পয়েন্টে ওয়াকআউট করেছিলো, তার একটা তালিকা খুঁজছি। জানি না পাওয়া সম্ভব হবে কি না। হয়তো এবার বিরোধী দল সেই চোথা নিয়েই তৈরি। আর তা না হলে ওয়াকআউটের জন্য সম্ভাব্য কিছু পয়েন্ট তৈরি করে দিই আসেন।

  • আজকে আকাশে মেঘ ক্যা? প্রতিবাদে ওয়াকআউট।

  • আজকে এত রইদ ক্যা? প্রতিবাদে ওয়াকআউট।

  • গতকাল সোমবার ছিলো, আগামীকাল আবার বুধবার হইলো ক্যা? প্রতিবাদে ওয়াকআউট।

  • ...


মন্তব্য

রেনেট এর ছবি

আপ্নি লোক্টা চ্রম খ্রাপ
---------------------------------------------------------------------------
If your father is a poor man, it's not your fault ; but If your father-in-Law is a poor man, it's definitely your fault.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

এইল্লাইগাই আপ্নে এম্পি হৈতে পার্বেন্না!

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

চাইর নম্বর ছুতা: হিমু অ্যাতো খ্রাপ ক্যা? প্রতিবাদে ওয়াকআউট।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

এনকিদু এর ছবি

পাঁচ নম্বর ছুতা : এক হালি ছুতা পাওয়া গেছে, এই খুশিতে ওয়াক-আউট দেঁতো হাসি


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

হো হো হো

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

অভ্রনীল এর ছবি

সবাই ওয়াকাউট করতাসে ... তাই আমিও ওয়াকাউট!! দেঁতো হাসি
_______________

এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।

এনকিদু এর ছবি

আচ্ছা, বেগম খালেদা জিয়ার না হাঁটুতে কি একটা ব্যারাম ছিল । প্রধানমন্ত্রী থাকতে তিনি চিকিৎসার জন্য মাঝে মাঝেই বিদেশে যেতেন আর খবরের কাগজে ফলাও করে সেই খবর ছাপত । এই ব্যারাম নিয়ে হাঁটা যায় ? দেখতে হবে বিরোধী দলের প্রধান হিসেবে কয়বার হাঁটুর ব্যারামের চিকিৎসা করায় ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

সামনে বসা নিয়ে আমারও কখনও কোনও মাথাব্যথা ছিল না। বরং ইচ্ছা করেই পেছনে গিয়ে বসতাম, কারণ সব মজা পেছনের দিকেই হতো। আপনাদের "কিল" "পাস" করার মতো আমরা "পোক" "পাস" করতাম। একজন আরেকজনের পেটে রামখোঁচা মেরে বলে দিতাম পাশেরজনকে "পাস" করতে।

ওয়াকআউটের খেলা তো কেবল শুরু। সামনে যে আরো কত কী হবে!

কল্পনা আক্তার এর ছবি

ওয়াক আউট নিয়া চর্চা এতো কম কেন? খেলুম না (ওয়াক আউট) দেঁতো হাসি

............................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা


........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা

অমিত আহমেদ এর ছবি

চ্রম হে ভ্রাত, চ্রম... চলুক


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

রণদীপম বসু এর ছবি

ওয়াক আউট করলে বদ ছেলেগুলা এতো মজা পায় কেন্ ? ওয়াক আউট !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ওয়াকআউট করার আগে তোর পোস্ট হইতে উৎহাস পাওয়া কিছু জিনিষ কইয়া যাই।
ফাইভে থাকতে আমারে একবার না, কয়েক হাজারবার হইবো যে হেড মাস্টার আইসা গালে ধইরা টাইনা পিছনের বেঞ্চ থেকে সামনের বেঞ্চে নিয়া বসাইছে।

হাইস্কুলে মাঝামাঝি বা পিছনে, যেখানেই বসতাম- ক্লাসে কোনো গ্যাঞ্জাম হইলেই ফ্যালকনের চোখ যেমন টাকি মাছ খোঁজে, ক্রোধে জ্বলন্ত স্যারের চোখ খুঁজতো আমারে। আর তারপর মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন! মন খারাপ
কতোদিন যে কিছু না কইরাও ধোলাই খাইছি তার নিশ্চয়তা নাই।

কলেজে এই পাস পাস খেলা খেলতাম আমাগো গ্রুপেও। প্রথম প্রথম অবশ্য নিজের ল্যাঞ্জাটা লুকাইয়া রাখার চেষ্টা করছিলাম। নটর ডেম, পুলাপান অনেক ঠান্ডা মান্ডা হইবো অর মায়রে বাপ। মনে মনে বাপ-মারে শাপশাপান্ত করতাম আমারে জাইত্যা ধইরা এই নিরস জেলখানায় ঢুকায়া দিছে বইলা। পরে দেহি, আরি না! জগতের সকল সুখই আছে এইখানে। শুরু করছিলো সেন্ট যোজেফে'র জুয়েল। আর তারপর আর যায় কই, কিলাইয়া ভূত বানাইয়া লাইছি একেকটারে। কারণ সেমেষ্টারের প্রথম দিকে আমার আসন বিন্যাস রোলের কারণে সারির শুরুতে হলেও সেটা মাশাল্লাহ সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই সাফল্যের সাথে পিছনে চলে যেতো! দেঁতো হাসি

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে আমার ক্রিয়েটিভিটি'র চরম অবমূল্যায়ন হয়। ডেভিড নামে এক বিশাল বপু ব্যাটা আমাদের 'আইফেল' পড়াতো। হালায় ছিলো চরম বদ। পারসেন্টেজ যদিও নিতো সবার শেষে তারপরেও তাঁর ক্লাসে ঢুকার দশ সেকেণ্ডের মাথায়ও ঢুকতে গেলে রুদ্রমূর্তি ধারণ করে বৈদেশী ভাষায় হাউকাউ করতো। ঢুকতে দিতো না। প্রাইমারী ইশকুলীয় বুদ্ধি কাজে লাগাইলাম এখানে। দেরী হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেই ঠান্ডামান্ডা ক্লাসমাইটকে মুঠোফোনে একটা পালস দিয়ে বলতাম পেছনের দরোজাটা খুলে ভিজিয়ে রাখতে। কয়েকদিন সফল্যের সঙ্গে গেরিলা কায়দায় ঢুকে একদিন রামধরা খেয়ে গেলাম। ব্যস, আমার সুখের দিন শেষ হলো। এই শালা ঠিকঠাক মতো ঘুমাতেও দিতো না পেছনে বসে। গলার যে সাউন্ড, জোর করেও ঘুম আনানো সম্ভব হতো না।

অথচ পরিসংখ্যানের মাইকেল আর ইনফো সিসটেমস এর বব ছিলেন মাটির মানুষ। গ্যালারী সদৃশ ক্লাসে বসেই ঝিমাইছি নাইলে এরে তারে খোঁচা দিছি, ক্যুইজের সময় এর তার খাতায় উঁকি-ঝুঁকি মারছি, যখন যেমনে খুশি সামনে পিছে সমানে ক্লাসে ঢুকছি, আবার গিয়া ইনায়া বিনায়ে কাঁচুমাচু কইরা পারসেন্টেজটাও দিতে কইছি, এ্যাসাইনমেন্টের তারিখ বদলাইছি- আহা, খুব মিস করছি তাঁদেরকে পরে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

এনকিদু এর ছবি

আমার ব্যক্তিগত বিশ্বাস পৃথিবীর সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢাকার নটরডেম কলেজ । উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল ইত্যাদি প্রাতিষ্ঠানিক হেন-তেনের কথা বাদ দেন । বান্দর কাহাকে বলে, কত প্রকার ও কি কি যদি কেউ জানতে চায়, তাকে নটর ডেমে পড়তে যাওয়া লাগবে । না, স্যারেরা এইসব গুহ্য বিদ্যা শিখাবেনা, সহপাঠীরাই শিখিয়ে ছাড়বে ।

শুরুতে যারা আসে, সবাই থাকে ভাল মানুষ । দুই সপ্তাহ পর খোলসের ভিতর থেকে এক একটা শয়তানের বাচ্চা বাইর হয়ে আসে ।

একবার এক স্যার বোর্ডে কি জানি লিখছে এমন সময় পিছন থেকে কে জানি একটা বল ফিক্কে মারল । স্যার সেই বল 'ক্যাচ' ধরল সুন্দর করে । তারপর জিগায় "এইটা কার বল ? "
কেউ কথা কয়না । তখন স্যার কয়, "কারো না হইলে আমার বল" । তখন দেড়শ পোলাপান খুশি হয়ে সবাই গলা মিলিয়ে "হ্যাঁ স্যার" করে চিল্লান দিল একটা ।

নটর ডেমের ঘটনা নিয়ে একটা সিরিজ শুরু করা লাগবে ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

সৌরভ এর ছবি

রয়টার্সের খবরে প্রকাশ, বড় ভাই-বেরাদরেরা যারা বিয়ে শাদী কর্সেন এবং কর্তেসেন, তাদের বিবাহযোগ্যা ও মিষ্টি শ্যালিকা নাই। মন খারাপ
এই প্রতিবাদে আমি জা-কা-জা ভা-ভা পরিষদ সর্বসভ্য সহ ওয়াকাউট কর্লাম।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

তানবীরা এর ছবি

আমিও ভাবছিলাম কিছু একটা লিখলে হয় এই নিয়ে, যথারীতি আমার ভাবনা, ভাবনায় থাকলো। খাসিয়ত কারোই যাবে না, মুখে যাই যে বলুক। বিরোধী দলরে সামনের সব আসন ছেড়ে দিলেই কি হবে? এই সাইজের বিরোধী দলকে?
ছোটবেলায় গাড়ীর সামনের সিটে বসা নিয়ে আমাদের এই রকম উত্তেজনা কাজ করত। হাসি পায় এখন ভাবলে।
এত্তোবড় নীল ডাউন ফেল কইরাও খালেদা জনগনের ম্যাসেজটা অনুধাবন করতে পারলো না।ন এখনো নিজের সীট নিয়া ওয়াক আউট করে, দেশের মানুষের কথা আর বলবি কবে?
আমাদের সময়তে প্রথম পাতায় হেডিং হইছে, "খালেদার রাতে ঘুম হয় না"। কি গুরুত্বপূর্ন ব্যাপাররে। আরে ৭০ বছর বয়সী কোন মহিলার রাতে ঘুম হয়? বয়স হলে সবারই ঘুম কমে যায়। তো, খালেদা কি ব্যাতিক্রম? সাংবাদিকরা হলো বড়ো চাটুকার।
আমি জানি না কেউ প্রথম আলোতে বাবরের জামিনের কাহিনীটা পড়েছেন কিনা? ব্যারিষ্টার আর ডাক্তাররা কি পরিমান সার্টিফিকেট বানিজ্য করতেছে এই সুযোগে, লজ্জাকর, ধিকৃত, ঘৃনিত।

হিমুকে ধন্যবাদ লেখার জন্য।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

পরিবর্তনশীল এর ছবি

লাভ নাই। এইসব বেয়াদব স্মৃতিগুলানরে ফালাইয়া একদিন সবাইরে ওয়াকআউট করতে হবে। মন খারাপ
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

সাধু এর ছবি

কারন নেই বা হালকা ইস্যু,
ওয়াক আউট, ওয়াক থু ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।