বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কাছে একটি ছোট্টো আবেদন

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: সোম, ১৪/০২/২০১১ - ৩:০৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১১ এর আসর বাংলাদেশে, সারা জাতিকে ক্রিকেটজ্বরে আচ্ছন্ন করে শুরু হতে যাচ্ছে আর তিনদিন পর। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড নিরাপত্তাসহ নানা আয়োজনের ব্যবস্থা সম্পন্ন করে এনেছে। দেশ থেকে দূরে বসে সব ধরনের ঝামেলামুক্ত নির্ভেজাল ক্রিকেট ম্যাচ দেখার জন্যে আমিও উন্মুখ হয়ে আছি।

আমার প্রস্তাবটি বাস্তবায়নের জন্য কয়েক গজ কালো কাপড় ছাড়া আর কিছুই প্রয়োজন হবে না। তাই দোর্দণ্ডপ্রতাপ ক্রিকেট বোর্ড আমার আবেদনটি বিবেচনা করে দেখলে খুশি হবো।

আমি চাই, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ক্রিকেট ম্যাচটি শুরু হবে দুই দেশের জাতীয় পতাকার পাশাপাশি একটি কালো পতাকাসহ। এই পতাকাটি আমাদের দেশের এক হতদরিদ্র কিশোরীর জন্য। তার নাম ফেলানি। অবৈধভাবে ভারত বাংলাদেশ সীমানা অতিক্রম করতে গিয়ে এই মেয়েটি নিরস্ত্র ও অসহায় অবস্থায় কাঁটাতারের বেড়ায় বিদ্ধ অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। এই ঘটনা আমাদের মিডিয়াতে এসেছে, কিন্তু আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে তেমন একটা পানি পায়নি হালে।

ভারতীয় ক্রিকেট দলে অসাধারণ সব স্পোর্টসম্যান রয়েছেন। শচীন রমেশ টেণ্ডুলকারের মতো দৃঢ়চেতা মারাঠি রয়েছেন, যিনি পিতাকে দেয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষার জন্যে কোটি কোটি রূপির মদ্যজাতীয় পণ্যের বিজ্ঞাপনের মডেল হবার প্রস্তাব এক কথায় ফিরিয়ে দিয়েছেন। ভারতীয় ক্রিকেট দলের অন্যরাও যে চারিত্রিক ও মানবিক গুণে কোনো অংশে কম, তা-ও মনে হয় না। আমি নিশ্চিত, তারাও সেদিন আমাদের এই দরিদ্র মেয়েটির হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে, এবং ভারতের আমলা ও রাজনীতিকদের কাছে তুলে ধরবেন সেই কালো পতাকার নিচে সমবেত হয়ে। ভারতের অনেকেই ভাবেন আমাদের এই দরিদ্র মানুষেরা জাঙ্গিয়ার নিচে অ্যাটম বোমা নিয়ে ভারতে ঢুকে পড়ে, আর বিএসএফ তাদের খুন করে ভারত রাষ্ট্রকে রক্ষা করে। তাদের সেই ভুল ধারণা যদি ভারতীয় ক্রিকেটাররাও ভাঙাতে এগিয়ে আসেন, কৃতজ্ঞ থাকবো।

খেলার সাথে রাজনীতি মেশাতে চান না অনেকে, কিন্তু খেলার সাথে মনুষ্যত্ব মেশাতে তো কোনো সমস্যা নেই।

আমি ঐ কালো পতাকাটি স্টেডিয়াম উড়তে দেখার অপেক্ষায় থাকবো।

ধন্যবাদ।


মন্তব্য

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

খেলার সাথে রাজনীতি মেশাতে চান না অনেকে, কিন্তু খেলার সাথে মনুষ্যত্ব মেশাতে তো কোনো সমস্যা নেই।

আমিও ঐ কালো পতাকাটি স্টেডিয়াম উড়তে দেখার অপেক্ষায় থাকবো।

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার প্রস্তাবটি খুবই দরকারি মনে করছি। ভাবছিলাম আবেদনটি এই অল্প সময়ে ক্রিকেট বোর্ডের চোখে পড়বে তো?! লেখাটি ফ্যাক্স করে বোর্ডের প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠানো যায় কিনা বিবেচনা করে দেখবেন কি? বোর্ডের ওয়েব সাইটে নিচের ঠিকানাটি পেলাম।

President
AHM Mustafa Kamal, FCA, MP
President
Bangladesh Cricket Board
Sher-e-Bangla National Cricket Stadium
Mirpur
Dhaka: 1216, Bangladesh
Phone: +880 2 803 1101-4
Fax: + 880 2 803 1199

ধন্যবাদ
রকিবুল ইসলাম কমল

অতিথি লেখক এর ছবি

ফেসবুকে শেয়ার দিলাম। চলুক

ছোট্টো=ছোট্ট (বর্ণের দ্বিত্ব হলে ও-কার দেয়ার বিধান নেই, যেমন চৌদ্দো=চৌদ্দ)

কুটুমবাড়ি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

সময়োপযোগী প্রস্তাব, কোন সন্দেহ নেই। ক্রিকেট বোর্ডে এটা হয়তো বাস্তবায়ন করতে পারবে না, তবে এই লেখা পড়ে কোন দর্শক যদি এরকম একটা ব্যানার প্রদর্শন করতে পারে, সেটাও মন্দ নয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

হুম... আপনার কথাটিও ভেবে দেখার মতনই। তবে দর্শকরা চাইলে হাতে কালো ব্যান্ড পরতে পারেন, অথবা ফেলানির ছবি ও বিভিন্ন ব্যানার প্রদর্শন করে মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন। বিশেষ করে ফ্যান ক্লাবগুলো এ বিষয়ে জোরালো ভূমিকা নিতে পারেন, যদি তাঁরা চান।

সকলেরই শুভবুদ্ধির উদয় হোক এটাই কাম্য। যাঁরা যাঁরা খেলা দেখতে যাবেন (মানে দেশে আছেন এবং টিকিট পেয়েছেন) তাঁরা বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচটিকে (যেহেতু ভারতের সাথে পড়েছে) একটি সুযোগ হিসেবে নিতে পারেন বিএসএফের (সেই সাথে ভারতীয় নীতি-নির্ধারকদের) অন্যায় আচরণের দিকে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করার।

কুটুমবাড়ি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

তবে আশংকা হচ্ছে আমাদের কালো পোষাকধারী র‍্যাব ওরকম ব্যানার বা কালো কাপড় নিয়ে ঢুকতে বাধা দেবে।

অতিথি লেখক এর ছবি

এই মানবিক আবেদনটির বাস্তবায়ন ঘটলে শান্তি পাবো।
- আয়নামতি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

বিসিবি এটা কার্যকর করতে পারবে না। আয়োজক তো আইসিসি। কোন পতাকা উড়বে না উড়বে সে সিদ্ধান্ত আইসিসির।
আর গ্যালারিতেও কেউ কিছু করতে পারবে না। নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুব কড়া, চারদিকে র‌্যাব ঘুরছে দেশের ইমেজ ঠিক রাখতে হাসি

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

ঠিক...দেশের ইমেজ ঠিক রাখতে হয়তো পুরোনো বাস আর ফকিরের সাথে সাথে কালো কাপড়ও মার্কেট থেকে withdraw করা হবে... চিন্তিত

--- নুশান

ফারুক হাসান এর ছবি

আপনার কি মনে হয় যে বিসিবির সেই সৎসাহস আছে?

অতিথি লেখক এর ছবি

সহমত জানিয়ে গেলাম............

শতদল

দ্রোহী এর ছবি

দেশের ভাবমূর্তির কী হবে তাহলে?

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

শুধু নষ্ট না, বিনষ্ট হবে। এরচে' শাহ্রুক্ষাণের 'সালা' গালি শুনে ভ্রাতৃত্ব বাড়ানো ভালো

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার প্রস্তাবটি খুবই দরকারি মনে করছি।
-------------------------------------------------
Sad Poems
Sad Stories

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

পতাকা ওড়ানো বা কালো কাপড় নিয়ে ঢুকতে প্রবলেম হলে অন্য একটা ব্যাবস্থা ভাবা যেতে পারে। খেলার মাঠে অনেকেই কাগজ আর মারকার নিয়ে যায় ৫০, ১০০, তারপর 'সাব্বাস', 'আফ্রিদি, প্লিজ ম্যারি মি', এইসব লিখতে। ওই কাগজে ফালানির ব্যাপারে কেউ যদি ইংরেজি ভাষায় কিছু লিখে দেখায়, তবে কিন্তু তা গোটা দুনিয়ার সামনে চলে আসবে। যেমন, "we want India to apologize for brutal killing of Falani", এই আর কি। আর একটা উপায় আছে, খেলা শেষে মিট দ্য প্রেস যখন হয়, তখন শচীনের কাছে ফালানির হত্যাকান্ডে তার বক্তব্য জানতে চাওয়া যেতে পারে।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

দ্রোহী এর ছবি

র‍্যাব ধরে দিবেনে।

অতিথি লেখক এর ছবি

কোনো দর্শক যদি STOP GENOCIDE AT BORDER (ভারতের সাথে) এবং NO RECONCILIATION UNTIL U ASK FOR FORGIVENESS (পাকিস্তানের সাথে) ব্যানার দেখান তাহলে কী হবে? র‌্যাব ধরবে? যদি ধরে, তাহলে র‌্যাব কালাদস্যু বলে চিহ্নিত হবে বাংলার ঘরে ঘরে।

এ কথা সত্যি যে, ঝুঁকি দুই তরফেই আছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে- র‌্যাব যদি এই ঝুঁকি নিতে রাজি হয়ও, কোনো দর্শক কি তা নিতে রাজি হবে? চিন্তিত

কুটুমবাড়ি

অতিথি লেখক এর ছবি

কোনো দর্শক যদি STOP GENOCIDE AT BORDER (ভারতের সাথে) এবং NO RECONCILIATION UNTIL U ASK FOR FORGIVENESS (পাকিস্তানের সাথে) ব্যানার দেখান তাহলে কী হবে?

যারা টিকেট পেয়েছেন তারা এই ব্যাপারে কথা বলতে আগ্রহী নন। আর যাদের টিকেট নাই তারা ব্লগে লেখালেখি করছি চোখ টিপি

---- সৌম্য
shommobhai@hotmail.com

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ব্যার আর কয়জনরে ধরবে! আর সাধারন মানুষ যদি ফালানির ব্যাপারে আন্তর্জাতিক মেডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায়, তাহলে সেই লোকগুলোকে ব্যারের হাত থেকে বাঁচানোর দায়িত্ত সরকারের। অবশ্য সরকার যদি ফালানির মৃত্যু অন্য কিছুর সাথে রিকন্সাইল করতে চায়, তাইলে কথা কম!

নিষ্প্রান ফালানি ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে থাকে, আশেপাশে কেউ নেই ওর চোখদুটো বুজিয়ে দিতে। একটু আগেও ও ছিল ফালানি আর এখন হয়ে গেছে লাশ। কিন্তু তার পরও আমরা কিছু বলবোনা, কারণ আমরা নপুংসক। খুলনার ভাষায় কই, "আমরা পরের ধোনে মুতি"। শোককে আমরা গিলে খেয়ে ফেলব, উথলাতে দেবোনা, পাছে দাদা রাগ করেন। ফালানির শোকে আমরা আহাজারি করবোনা। ব্যার এসে লুঙ্গি খুলে মুখে ভরে দিয়ে কন্ঠরোধ করে দেবে। পেন্নাম হই তোমায় দাদাঠাকুর, তোমায় পেন্নাম হই। তোমার তিন ঠাং-এরই ধুলো মাথায় লই। মন খারাপ

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

অতিথি লেখক এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

ব্যার আর কয়জনরে ধরবে! আর সাধারন মানুষ যদি ফালানির ব্যাপারে আন্তর্জাতিক মেডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায়, তাহলে সেই লোকগুলোকে ব্যারের হাত থেকে বাঁচানোর দায়িত্ত সরকারের

দাদা আপনি কোন দেশে বাস করেন? দাদা ঘুম থাকে জাগুন। এইটা বাংলাদেশ। এখানে সরকার জনগনের রক্ষার জন্য গঠিত হয় না। তারা র‍্যাব গঠন করে জনগনের উপর নির্যাতন চালাবের জন্য।

------ সৌম্য

নিশানা এর ছবি

ইস! যদি কেউ কিছু একটা করতে পারত!

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

খেলার সাথে রাজনীতি মেশাতে চান না অনেকে, কিন্তু খেলার সাথে মনুষ্যত্ব মেশাতে তো কোনো সমস্যা নেই।

হিমু ভাই,
এই একটি লাইনের ভেতর যে পরম সত্যানুধাবন লুকিয়ে আছে, পৃথিবীর সেইসব মূর্খ ঊণমানবের দল যদি সেটা বুঝতো তবে কি হতো এত যুদ্ধ, এতো হানাহানি, নরমুণ্ডের গেণ্ডুয়া, কালো সূর্যের নিচে প্রেতের বহ্ন্যুৎসব? দেরীতে হলেও যদি এমন অনুধাবন আসে, মানবতা ডেকে বলে, "মানব এসেছি কাছে"!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

কাজ হবে বলে মনে হয়না। বিবিসি যদি চায়ও এরকম কিছু করতে তারপরও সেটা সে করতে পারবে বলে মনে হয়না। এরকম আয়োজনে প্রতি সেকেন্ডেরই নিয়মকানুন থাকে বলে জানি। আগে থেকে আইসিসিকে প্রস্তাব দিয়ে অফিশিয়ালি করতে চাইলে একটা কথা ছিল।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

ধুসর গোধূলি এর ছবি

একটা ফ্ল্যাগ ওড়ানোর অনুমতি বের করা বিসিবি'র জন্য ওয়ান-টু ম্যাটার। আইসিসি'র সঙ্গে বিসিবি'র খাতিরের ব্যাপারটা বাদ দিলেও আয়োজক দেশ হিসেবে, মাঠের মালিক হিসেবে, খেলার স্থানীয় অভিভাবক হিসেবে ফ্ল্যাগ ওড়ানোর অধিকার বিসিবি বেশ ভালোভাবেই সংরক্ষণ করে বলে আমার ধারণা।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

ভারতের সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী কলিন গনজালভেজ মানুষের অধিকার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ভারতের আদালতে "জনস্বার্থে মামলা" করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু শর্ত একটাই, তাঁকে পর্যাপ্ত তথ্য ও পরিসংখ্যান সরবরাহ করতে হবে।

আমাদের নতজানু পররাস্ট্রমন্ত্রণালয় এই পরিসংখ্যানের ব্যাপারে উদ্যোগ না নিলে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) নিজেই উদ্যোগী হয়ে কাজটা করতে পারে। বাংলাদেশের নানা সীমান্তে বিএসএফ-এর হত্যাযজ্ঞ নিয়ে তথ্য, উপাত্ত সংগ্রহ করাটা আজকের দিনে কোনো কঠিন কাজ না। দরকার শুধু সদিচ্ছা।

এবং এই সদিচ্ছার (অভাবের) কারণেই মনে করি হিমুর আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড কর্তৃক। তাছাড়া, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে গাটসঅলা প্রধাণ সাবের হোসেন চৌধুরীর পর আর কেউ এসেছে বলে আমি মনে করি না। আর বিসিবিও এক অর্থে আমাদের পররাস্ট্রমন্ত্রণালয়কেই রিপ্রেজেন্ট করে।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

চলুক

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

অতিথি লেখক এর ছবি


বাংলাদেশের নানা সীমান্তে বিএসএফ-এর হত্যাযজ্ঞ নিয়ে তথ্য, উপাত্ত সংগ্রহ করাটা আজকের দিনে কোনো কঠিন কাজ না। দরকার শুধু সদিচ্ছা

--- সদিচ্ছা তখনই আসবে যখন সৎ সাহস থাকবে, দূর্বলতা আর বৈকল্য নিয়ে সদিচ্ছা আনয়ন কি আদৌ সম্ভব চিন্তিত

ফেলানি সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্তে নিরস্ত্র ও অসহায় হত্যাযজ্ঞে নিহতদের আত্মা শান্তি পাক শ্রদ্ধা

--- নুশান

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

এই পতাকাটি আমাদের দেশের এক হতদরিদ্র কিশোরীর জন্য। তার নাম ফেলানি।

শতভাগ সহমত।

বিপ্লব কুমার কর্মকার এর ছবি

এখানে আমি একটা কথা বলতে চাই।বাংলাদেশী পত্রিকা,টিভি চ্যানেল, আর জনগনের
আগেই ভারতীয় পত্রিকা-টিভি চ্যানেল(বাংলা ভাষী) ও ভারতীয় জনগন (ঘটনা স্থলের আশেপাশের অধিবাসী)এর প্রতিবাদ করে।

সীমান্তে হত্যা অবশ্যই বন্ধ করা উচিত। তবে আমাদের ঘটনার মুলে হাত দিতে হবে।
দেশের ভিতর কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে, যেন কেউ অন্নের অন্বেষনে সীমান্তের ওপারে না যায়। অন্নের সন্ধানে অবৈধ ভাবে শুধু বাংলাদেশ থেকে ভারতে যায় না, ভারত থেকেও বাংলাদেশে আসে। বছর খানেক আগে দৈনিক আমার দেশ রিপোর্ট করে যে বিপুল সংখক ভারতীয় খোদ ঢাকা শহরে অবৈধ ব্যবসা-বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে- তাও আবার গুলশান বনানীর মত এলাকায়।পুলিশ-ডিবি ডিএসবি সবাই জানে,টাকা খেয়ে সবাই চুপ। বছর দশেক আগে গিরিধারি লাল মোদি বা এ জাতীয় নামে ভারতীয় মারোয়াড়ি ব্যবসায়ির ভুয়া কাগজ পত্রের মাধ্যমে ওয়ান ব্যাংক থেকে ও আরো বিভিন্ন ফন্দিফিকির করে অনেক ব্যবসায়ির কাছ থেকে কয়েক শ কোটি টাকা মেরে নিউইয়র্কে পলায়নের কথা আপনাদের কারো মনে আছে?

আবার এই লিংকে দেখুন। ভারতীয়রা কিভাবে টেক্সাস দিয়ে আমেরিকায় প্রবেশ করছে।কিন্তু তারা গুলি খাচ্ছে না।

খেলোয়াড়দেরকে চাপমুক্ত ভাবে খেলতে দিন।
এই সময় এমনিতেই বাংলাদেশে বিদেশী সাংবাদিকে গিজগিজ করছে। প্রয়োজনে শেরাটন-সোনারগা হোটেলের সামনে বা অন্য কোথাও মানববন্ধন বা সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ের মাধ্যমে বিষয়টাকে আন্তজাতিক ইস্যু করা যেতে পারে ।

এছাড়াও বিশ্বকাপ চলাকালিন সময়ে গুলশান-বনানী-উত্তরা-বারিধারা-মতিঝিল এলাকায় যৌথ অভিযান চালিয়ে এদেশে অবৈধভাবে কর্মরত হাজার হাজার ভারতীয়দের ধরে সেদেশে চালান দেয়া যেতে পারে। পাশাপাশি বিষয়টাকে বিশ্ববাসিকে জানানো যেতে পারে যে, ভারতীয়রা আমাদেরকে সীমান্তে গুলি করে মারছে- অথচ তাদের দেশের নাগরিকরাই আমাদের দেশে অবৈধভাবে ব্যবসা-বানিজ্য করছে।

ভারতের অনেকেই ভাবেন আমাদের এই দরিদ্র মানুষেরা জাঙ্গিয়ার নিচে অ্যাটম বোমা নিয়ে ভারতে ঢুকে পড়ে, আর বিএসএফ তাদের খুন করে ভারত রাষ্ট্রকে রক্ষা করে।

এমনটা মনে হওয়ার যথেষ্ট কারন আছে। আমার চেয়ে আপনারাই ভাল জানেন।

সাবিহ ওমর এর ছবি

Thank you Himbhai...

But I think we should make a formal petition and we have to do that quickly. Only if we could convey this message to Shakib or any other member of the team!

সাবিহ ওমর এর ছবি

But I think black flag will be an overkill and may be a violation of the spirit of the tournament. Black badges on our jerseys will do.

দিফিও-1 এর ছবি

হুম, এভাবে সোজাসুজি কালো পতাকা বা সরাসরি ব্যানার দেখানো একটু শক্তই বটে। তবে আরেকটা আইডিয়া আছে, যেটা সময়সাপেক্ষ(এখন হয়ত আর করা সম্ভব না) কিন্তু কাজ করার কথা।

আইডিয়াটা হল--সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদের জন্য খুব নিরীহ একটা প্রতীক/আইকন বেছে নেওয়া, যেটা দেখে চট করে খালিচোখে বোঝা যাবেনা কিছু, কিন্তু সেটা হবে আসলে প্রতীকি প্রতিবাদ।

হ্যারি পটারের অভিনেতাদের এই ছবিটা দেখুন

অথবা দেখুন বিখ্যাত ফুটবল কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গারকে

অথবা আমেরিকার শক্তিমান অভিনেতা রবার্ট ডাউনি জুনিয়র আর জ্যাক গ্যালিফিয়ানাকিস কে

সবাই "পপি" পরে আছেন, যেটা দিয়ে আসলে ২য় বিশ্বযুদ্ধে নিহতদের প্রতি সম্মান প্রকাশ করা হয়। একসাথে যদি অনেক লোক পড়ে, তাহলে সবার মনে কৌতুহল হতে বাধ্য, জিনিসটা কি? আমিও প্রথম এটার ব্যাপারে জেনেছি এভাবেই।

এরকম উদাহরণ আরো আছে (পিংক রিবন=ব্রেস্ট ক্যানসার এওয়্যারনেস ইত্যাদি)।

সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদের জন্য যদি এরকম একটা প্রতীক বেছে নেওয়া হত আর সেটা স্টেডিয়ামে হাজার খানেক দর্শক দেখাতে পারতো, তাহলে সেটা বেশ কার্যকরী হত বলেই ধারণা।

অতিথি লেখক এর ছবি

বিসিবির কি সেই মানসিকতাটা আছে??? পাছে অন্য দেশ যদি মুখ কাল করে মুখ ফিরে চলে যায়??? তাহলে আমাদের বিসিবির কী হবে???

এই পতাকাটি আমাদের দেশের এক হতদরিদ্র কিশোরীর জন্য।

জানিনা এইটা হবে কি না... কিন্তু আমরা ভারতের সাথে খেলার দিন আমাদের লাল সবুজ পতাকায় লিখে বিশ্বকে জানাতে পারি... "ফেলানি, তোমার জন্য"

হিমাগ্নি
" ফেলানি,"

robot  এর ছবি

ভালো লেগেছে। তবে ব্যানারের চেয়ে কালো ব্যাজ বেশী কার্যকর হতে পারে। আর স্টেডিয়ামে পোস্টার বানাতে হলে যত ছোট বাক্য হয় তত ভালো। ফন্ট বড় ও মোটা হরেফের লেখা নজরে পড়ে বেশী। সেজন্য ছোট বাক্যর বিকল্প নেই।
"খেলার সাথে রাজনীতি মেশাতে চান না অনেকে, কিন্তু খেলার সাথে মনুষ্যত্ব মেশাতে তো কোনো সমস্যা নেই।"- এই লাইনটার কপিরাইট ছেড়ে দিন, আমরা ফেইসবুক/ব্লগে ব্যবহার করতে পারি।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভারতের খেলোয়াড়রা ফেলানীর সম্পর্কে জানে কিনা আমার সন্দেহ আছে, তাছাড়া রাজনৈতিক ইস্যু ভেবে এড়িয়ে যেতে পারে ব্যাপারটা তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেও।

আমার মনে হয় খেলার সময় অনেক ভারতীয় নাগরিক, সাংবাদিক এমনকি ঐদেশের বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ আসবে। অন্তত প্রেস ব্রিফিং এর সময় ভারতীয় সাংবাদিকদের ব্যাপারটা নিয়ে জিজ্ঞাসা করলে কিছু লাভ হতে পারে, অন্তত তাদেরকে দিয়ে জানানো যাবে। আমাদের সাংবাদিকরা এক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারেন। আমাদের হর্তাকর্তাদের থেকে কিছু পাওয়ার আশা নেই। যখন করার তখনি কিছু করে নাই, এখন কইলে তো বিশ্বকাপের অজুহাত দিবে। র‌্যাবের কাছে ধরিয়েও দিতে পারে, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হিসেবে।

-অতীত

তিথীডোর এর ছবি

আমি চাই, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ক্রিকেট ম্যাচটি শুরু হবে দুই দেশের জাতীয় পতাকার পাশাপাশি একটি কালো পতাকাসহ। এই পতাকাটি আমাদের দেশের এক হতদরিদ্র কিশোরীর জন্য। তার নাম ফেলানি।
খেলার সাথে রাজনীতি মেশাতে চান না অনেকে, কিন্তু খেলার সাথে মনুষ্যত্ব মেশাতে তো কোনো সমস্যা নেই।

চলুক চলুক চলুক

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

"চৈত্রী"

ফাহিম হাসান এর ছবি

খেলার সাথে রাজনীতি মেশাতে চান না অনেকে, কিন্তু খেলার সাথে মনুষ্যত্ব মেশাতে তো কোনো সমস্যা নেই।

চলুক

দিগন্ত এর ছবি

খেলার সাথে রাজনীতি মেশাতে চান না অনেকে, কিন্তু খেলার সাথে মনুষ্যত্ব মেশাতে তো কোনো সমস্যা নেই।

একদম খাঁটি কথা ...


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমাদের খেলোয়ারা যদি খেলা শুরু হবার আগে ফেলানি এর প্রতি শ্রদ্ধা জানাবার জন্য ১ মিনিট নিরবতা পালন করত ভারতীয় খেলোয়ারদের নিয়ে, তাহলে ভারতকে উচিত জবাব দেওয়া হত।

----- সৌম্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।