উৎপল শুভ্রের আগামীকালের রিপোর্টটা আসুন আমরা লিখে দিই

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: শুক্র, ২৫/০২/২০১১ - ৫:৪১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আলুপেপারের ইন-হাউস "জাতির বিবেক" জনৈক বিচারপতি বাজিকরতত্ত্ব নিয়ে ইদানীং আবারও মাঠে নেমেছেন, আলুর ছোটো-মেজ-বড় সাংবাদিকেরা বাজিকর বাজিকর বলতে বলতে কীবোর্ডে ফেনা তুলে ফেলছে, কিন্তু মিডিয়াবাজি নিয়ে সকলেই নিশ্চুপ। আজ আয়ারল্যাণ্ডের বিপরীতে বাংলাদেশ দলকে দেখে মিডিয়াবাজির কুফল সম্পর্কে আমাদের ক্রিকেটদর্শকরা অন্তত নিঃসন্দেহ হতে পারবেন।

বাংলাদেশের ক্রিকেটকে ডুবানোর জন্যে উৎপল শুভ্রের মিডিয়া ক্যু সফল হয়েছে। তার প্রাণাধিক প্রিয় খেলোয়াড় মোহাম্মদ আশরাফুলকে দলে রেখেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। এই সিদ্ধান্ত কতখানি খেলোয়াড়দের নিজস্ব বিবেচনাপ্রসূত, আর কতখানি শুভ্র গঙের নিরন্তর মিডিয়া চুলকুনির ফল, সেটা নিয়ে বিতর্ক আর আলোচনা চলতে পারে। কিন্তু হতাশার ফুল হতাশরাফুল আজও তার ধারাবাহিক পারফরম্যান্স বজায় রেখেছেন, ৬ বলে ১ রান করে ব্যাটখানা দুলিয়ে দন্ত বিকশিত হাসি নিয়ে ফিরে এসেছেন প্যাভিলিয়নে। এই ব্যাটটি খুব চমৎকার উপায়ে উৎপল শুভ্রকে বিশেষ কায়দায় উপহার দেয়া যেতে পারে, কিন্তু প্রক্রিয়াটি নিয়ে আমরা পরে আলাপ করবো।

উৎপল শুভ্র আগামীকাল কী লিখবে তার রিপোর্টে? আসুন, আমরা তাকে একটা চমৎকার শুক্রবার উপভোগ করতে দিই। রিপোর্টটা আমরাই লিখে দিই তার হয়ে। ফরমুলা খুব একটা কঠিন নয়, সাকিব আল হাসানের পশ্চাদ্দেশে এক চিমটি মধ্যমাসঞ্চালন, আশরাফুল কী করে চমৎকার শুরুর পরেও ভালো বলে আউট হলো তার এক মুঠ বিবরণ, আর টসে জিতে ব্যাটিঙের সিদ্ধান্তের আধা সের সমালোচনা। তবে নিজস্ব ফরমুলাতেও এগোতে পারেন।

আসুন পাঠক, কীবোর্ড তুলে নিন। উৎপল শুভ্র লিখতে পারে, আর আপনি পারবেন না, এটা একটা কথা?


মন্তব্য

সাফি এর ছবি

শতাব্দীর সেরা বলে আউট হলেন আশরাফুল।

সাফি এর ছবি

একবার লাইফ পাবার পরেও যেভাবে দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতন সাকিব আউট হলেন, তাতে মনে হয় বাংলাদেশ দলে এভাবে চিন্তা করার মতন খেলোয়াড় কোথায়

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

আমার মনে হচ্ছিল, আশরাফুল ক্রিকেট খেলতে পারলে আমিও পারি। আই মিন লিটারালি। কোয়ান্টিটেটিভলি। আমি যদি ব্যাট হাতে নামতাম। আশরাফুলের বিগত বছরগুলার পারফর্মেন্সের চেয়ে খারাপ কিছু করা কি খুব সহজ হত? আশরাফুলের আগামি ম্যাচের খেলাটাও আমি আসলে আজকেই খেলে ফেলতে পারি। দেঁতো হাসি

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

উৎপল শুভ্রকে বিশেষ কায়দায় ব্যাট উপহার দিতে গেলে কিছু লুবস লাগতে পারে। ওইটার খরচ আমি দেবো। কতো লাগলো জানায়েন।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

অতিথি লেখক এর ছবি

২০৫ এ অল আউট... আশরাফুল ১ রান না করলে এটা কিছুতেই সম্ভব হতো না! ভাগ্য ভাল যে আশরাফুল একটা দৌড় দিয়েছিল... নাইলে যে কী হতো...!!! যদি আমরা ১ রানে জিতি তাহলে বলতে হবে আশরাফুলের জন্যই জিতেছি।

--- থাবা বাবা!

অতিথি লেখক এর ছবি

আশরাফুল ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে কিছু ভাল ইনিংস খেলায়, এখন তার উপর আমাদের প্রত্যাশা অনেক বেশি।আজকে যে মাহমুদুল্লাহর জায়গায় সে খেলে, তাকে নিয়ে কি আমাদের প্রত্যাশা আশরাফুলের সমান? নাইম কিংবা মাহমূল্লাহ কিংবা রাকিবুল, জুনায়েদকে নিয়ে আমাদের প্রত্যাশা কি আশরাফুলের মতন??!! মোটেও না। ওদের কাছ থেকে দল কিছু সাপোর্ট চায়, কিন্তু ওদেরকে সেইভাবে ম্যাচ ইউনার ধরে না। ওদের কারও কারও একটু ধারাবাহিকতা আছে, যেটা আশরাফুলের নাই। এজন্যই এরা চান্স পায়!
মাহমুদুল্লাহ, নাইম একই টাইপের প্লেয়ার, ২জনই অফ স্পিনার কাম ব্যাটসম্যান। কিন্তু কোনটাতেই তাদের উপর দল নির্ভর করতে পারে না! এদের ১জনের বদলে আশরাফুল খেললে মনে হয় খারাপ হবে না! আশরাফুল যখন ব্যাটিং এ নামে (৭ নাম্বারেই হোক), সবাই ভাবে কখন আউট হবে কিংবা আজকে যদি একটা কিছু করতে পারে! কিন্তু ওরা নামলে এমন কেউ ভাবে না, সবাই ভাবে ভাই কিছু রান করে দিয়ে যা! ওদের উপর প্রত্যাশা কম তাই ওরা খারাপ করলেও আমরা কিছু বলি না!
আশরাফুল এদের কারও বদলে নেমে ৭নম্বরে খেললেই মনে হয় ভাল হয় দলের জন্য। এই ২জন তেমন বিগ হিটারও না, আর গড়ে ২০, ২৫ রানই করে। যে কোন ম্যাচে চেজ করতে গেলে, ভারতের সাথেও এরা আউট হওয়া পর্যন্ত কেউ অপেক্ষা করে না, জানে আর কিছু হবে না। কিন্তু ঐ আশরাফুল থাকলে কিন্তু এমন ভাবত না!!!

কাউসারআলম2020

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই ক্রিকেট খেলাটা একজন এর উপর নির্ভর করে না। বাকি সবার সাপোর্ট লাগে। যা ওই দুই জন নিয়মিত করে যাচেন। আশরাফুল যদি এই কাজটা নিয়মিত করত তাহলে আর কিছুর দরকার ছিল না।

---- সৌম্য

অতিথি লেখক এর ছবি

কাউসার ভাই...৭ নম্বরে নেমে মাহমুদুল্লাহ এবং নাঈম দু'জনেই কিন্তু ম্যাচ জিতাইছে! এক হাতে খেইলাই ম্যাচ জিতাইছে! আপ্নে মনে হয় বাংলাদেশের সব ম্যাচ দেখেন নাই।

হাটুরে

আবির আনোয়ার এর ছবি

যদি বাংলাদেশ জিতে যায় তাহলে উশু বলবে, "টসে জিতে ব্যাটিং নিয়ে সাকিব দেশের অধিকাংশ মানুষের মনের কথাটাকেই সত্য প্রমান করলেন। ভারতের সাথে প্রথমে ব্যাট না করা যে বাংলাদেশের পরাজয়ের পেছনে দায়ী তা আজ দিবালোকের মতই উজ্জল"

অতিথি লেখক এর ছবি

উঁটপোদ শুভ্র না আবার হাবিবুল বাশারকে টিমে ক্যাপ্টেন হিসেবে ফেরত আনার বাদী করে বসে... ভয়ে আছি!

--- থাবা বাবা!

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

উৎপাত: আয়ারল্যান্ডকে হালকাভাবে নেয়া কি এ ম্যাচ পরাজয়ের কারণ বলে মনে করেন?
সাকিব: আয়ারল্যান্ডের খেলোয়াড়দেরকে কোলে তুলে দেখেন তারা হালকা কিনা।

উৎপাত: আশরাফুলের মতো লেগ-স্পিনার দলে থাকতে রাজ্জাককে দিয়ে ১০ ওভার বল করালেন, কাজটা কি ঠিক হলো?
সাকিব: আশরাফুল তো ব‌্যাটসম্যান হিসেবে খেলে আর রাজ্জাক বোলার হিসেবে।
উৎপাত: ম্যাচের স্কোর বোর্ডের দিকে তাকালে কি তা মনে হয়? আশরাফুল যেখানে ১ রানে আউট হলো, রাজ্জাক সেখানে ১১ রান। কে বোলার, কে ব্যাটসম্যান?
সাকিব: আপনি তো আমাকে দ্বন্দ্বের ভিতরে ফেলে দিলেন। কোচের কাছে জিজ্ঞেস করে দেখি।
উৎপাত: তা জিজ্ঞেস করেন; কিন্তু দলে এতগুলো অফস্পিনারের ভিড়ে মাত্র একজন লেগি। তাকে দিয়ে বল করালে কি অ্যাটাকে বৈচিত্র আসতো না?
সাকিব: দল যেটা ভালো মনে করেছে, সবাই মিলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

উৎপাত: আজ টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং নিলেন। বোঝাই যায় ডিউ ফ্যাক্টর মাথায় রাখেন নি; অর্থাৎ ডিউ আসার আগেই ম্যাচ শেষ করে ফেলতে পারবেন, এটা আগেই ভেবে রেখেছিলেন?
সাকিব: তা বলতে পারেন কিছুটা।
উৎপাত: সেই ভাবনা তো পুরোপুরি সফল হলো না বলা যায়। প্রায় ৫০ ওভার পর্যন্ত ম্যাচ টেনে নিয়ে গেলেন। ৩০ ওভারের মধ্যে অলআউট না হতে পারাটা কিভাবে দেখেন? এরজন্য কি নাঈমকে দায়ী করা যায়?
সাকিব: কোচ বলেছেন, এরজন্য মাশরাফি দায়ী। দলের ভিতরে অনেক পলিটিক্স চলে। নাঈম এবং রিয়াদ মাশরাফি ব্লকের খেলোয়াড়।
উৎপাত: এ থেকে সমাধান কি হবে বলে আশা করেন?
সাকিব: এ ম্যাচে রিয়াদকে ড্রপ করা হয়েছে। সামনের ম্যাচে নাঈমকে বাদ দিয়ে শুভকে আনা হবে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আশরাফুল উইকেটও পেয়ে গেছে। উৎপাত না লিখুল আনিছুল হকের স্পেশাল কলাম তার জন্য বরাদ্দ।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ধুসর গোধূলি এর ছবি

কালকে উটপোঁদকে বাংলাদেশের কোনো খেলোয়াড় তো দূরের কথা, যে বালক তাদের চা-সিঙ্গারা এনে খাওয়ায় তাঁর সাথেও দেখা করতে দেয়া না হোক। উটপোঁদ ঘ্যাশ ঘ্যাশ করে নিজের পোঁদ চুলকাতে চুলকাতে লিখুক গিয়ে যা খুশি তাই।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

ধুমধাড়াক্কা পিটনি দিয়ে জেতার চেয়ে খেটে জেতা ভালো। পা মাটিতে থাকে, আবার আত্মবিশ্বাসও বাড়ে। এই খেলা যদি জিতে বের হই, কাউকেই দোষ দিবো না। সাকিব-আশরাফুলদের ব্যাটিং খারাপ ছিলো, কিন্তু বোলিং-এ সেটা দুই জনেই পুরা পুষিয়ে দিসে। বাকিরাও যা পারে করসে। ভালো টিম পারফর্মেন্স।

অতিথি লেখক এর ছবি

একদম হক কথা... খেটেই জিতলো! পা ও মাটিতে আছে, আর আত্মবিশ্বাসও দখনলে... দেখা যাক এই পুঁজি নিয়ে নেক্সট খেলায় কি করে!

কিন্তু ইৎকটকে গদাম!

--- থাবা বাবা!

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

একমত .... আয়ারল্যান্ডরে দেড়শো রানে হারাইলেও এত কনফিডেন্স দলে আসতোনা আজকে যেটা আসছে বলে মনে করি
আর দেড়শো রানে জিতলেও আমরা দর্শকরা এত খুশি হইতামনা

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

তাসনীম এর ছবি

শিরোনামঃ দিনটা আজকে আশরাফুলের ছিল!

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

ধুসর গোধূলি এর ছবি
ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

ওকেও নাঈমের মতো ৭ ওভারের পর সরিয়ে নেওয়া উচিত ছিলো। ৮ম ওভারে মার খাওয়ার পরও ৯ম ওভারে আনাও উচিত হয় নাই। এগুলা ক্যাপ্টেনের ভুল। ঐ পরিমাণ রান তো সাকিব নিজেও দিসে... আশরাফুল খুবই জরুরী দুইটা উইকেট নিসে। পোলাটা ব্যাটের ঘাটতি বল হাতে পোষায় দিসে। ওর জায়গায় আর কেউ থাকলে (রিয়াদ, নাঈম, সাকিব) এটুকুর পর বাদ দেওয়ার কথা উঠতো না।

পুরা দল ভালো খেলসে, নয়তো এই স্কোর নিয়ে জিততে পারতাম না। কাউকে বকা-ঝকা না করি আর। শান্তিতে ঘুম দিবো এখন বেলা ১১টায়। খাইছে

অতিথি লেখক এর ছবি

উৎপাত এখন বলবে সাকিব তার পরামর্শেই (অর্থাৎ উৎপাতে) প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়ার ফলেই বাংলাদেশ জিতেছে। তারেক বলবে সে বোলারদের (বিশেষত শফিউলকে) সাক্ষাৎকারথেরাপি দিয়েছিল বলেই তারা ভালো করেছে এবং বাংলাদেশকে বের করে এনেছে। সুতরাং এই জয়ের ৯৯% উৎপাত গং এবং আলুপেপারের প্রাপ্য।

মনমাঝি

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

ওয়েল, আমার চোখে আজকের ম‌্যাচের হিরো শফিউল। তার থার্ড স্পেল যে কোন বোলারের জন্য স্বপ্নের। আর ওর নেয়া কেভিন ও'ব্রায়েনের উইকেটটাই ম্যাচ ঘুরিয়ে দিয়েছে।

আশরাফুলের আনন্দ দেখে আমি মুগ্ধ। ছেলেটা অনেকদিন ভালো করেনি, দলকে কিছু দিতে পারেনি। ওর আনন্দের ধরন দেখে এটা স্পষ্ট মনে হচ্ছিলো যে অন্তত বল হাতে হলেও অনেকদিন পর দলের জন্য এরকম গুরুত্বপূর্ণ দুটা ব্রেকথ্রু এনে দিতে পেরে সে যারপরনাই খুশি ... শিশুদের মতো নাচছিলো .... যেই খেলুক, এই ধরনের মাইন্ডসেটই দলকে জেতাতে পারে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

অতিথি লেখক এর ছবি

আমদের ১৫ জন খেলোয়াড়কে প্রতিটা ম্যাচ এর আগে ভাষা আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলো দেখিয়ে মাঠে নামানো উচিত।
-তোফায়েল

অতিথি লেখক এর ছবি

আশরাফুল এর জন্য লেখবে " চমত্কার শুরুর পর অসাধারন বলে আউট হয়ে গেলেন। এই বলে ত শচীন টেন্ডুলকার পর্যন্ত আউট হয়ে যেতেন।"

---- সৌম্য

খন্ডত 'ত' এর ছবি

উটপোদ ছাড়াও আরো কিছু আবালের সন্ধান দিচ্ছি। একটা টুর্নামেন্ট চলাকালীন সময়ে কোনটা লেখা উচিত আর কোনটা নয় সেই নূন্যতম কমনসেন্সটাও নাই। লক্ষ্য করুনঃ

বাংলাদেশ প্রতিদিন, ঢাকা, শনিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১১
বাংলাদেশ দলে দ্বন্দ্বের আভাস!
ক্রীড়া প্রতিবেদক
নিউজিল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলকে হোয়াইটওয়াশ করে সেই আভাসও দিয়েছে তারা। কথা হচ্ছে, যতই সামর্থ্য থাকুক দলের ভেতরে যদি দ্বন্দ্ব থাকে তাহলে ফল তো আর ভালো হতে পারে না। উদ্বোধনী ম্যাচে ভারতের কাছে হেরে গেছে। এ নিয়ে আফসোস থাকলেও বিতর্কের ঝড় ওঠেনি। কারণ আসরে ভারত টপ ফেভারিট দল। কিন্তু আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে যে করুণ হাল ফুটে উঠেছে তাতে সংশয় জেগেছে দলে একতা আছে কি না তা নিয়ে। ক্রিকেটে বাংলাদেশের দ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। কিন্তু এবারের মতো ভয়াবহতা কখনো ছিল না। বিশ্বকাপে চূড়ান্ত দল গঠন ও অধিনায়ক নির্বাচন নিয়ে দ্বন্দ্ব চরমে ওঠে। দলের নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটার সাকিব ও তামিমই নাকি দলে গ্রুপিং তৈরি করে টাইগারদের ছন্দপতন ঘটিয়েছেন। চূড়ান্ত স্কোয়াডে মাশরাফিকে নেওয়ার ব্যাপারে অনেকের সম্মতি ছিল। কিন্তু গ্রুপিং থাকায় বিখ্যাত এ বোলারকে নেওয়া সম্ভব হয়নি। শুধু তাই নয়, ফর্ম না থাকলেও আশরাফুলকে নেওয়া হয়েছে কারও কারও চাপে। দলের এক পক্ষ জানিয়ে দিয়েছিল আশরাফুলকে স্কোয়াডে রাখা না হলে তারা বিশ্বকাপ বয়কট করবে। বিসিবি সভাপতি ক্রিকেটারদের বারবার দ্বন্দ্বের কথা দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছেন। বাস্তবে গ্রুপিং এতটা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে যে তিন কোচও এর সঙ্গে জড়িয়ে গেছেন।

বাংলাদেশ প্রতিদিন, ঢাকা, শনিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১১
গোয়েন্দা নজরে বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার!
জাহেদ খোকন
আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ২০৫ রানে অলআউট হয়েছে। অথচ শুরুটায় মনে হচ্ছিল বিশ্বকাপে রানের রেকর্ডই গড়ে ফেলবেন তামিমরা। আয়ারল্যান্ড দুর্দান্ত বোলিং ও ফিল্ডিং করেছে। তার পরও বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয় নিয়ে নানা রকমের প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের পরিবর্তে গতকাল আশরাফুলকে মাঠে নামানো হয়। ক্রিকেটে আশরাফুলের অবদান কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। কিন্তু দুই বছর ধরে তিনি তার সুনাম অনুযায়ী খেলতেই পারছেন না। এমনিতেই বিশ্বকাপ স্কোয়াডে তাকে সুযোগ দিয়ে বোর্ড বড় ধরনের বিতর্কে জড়িয়ে গেছে। তার ওপর গতকাল আশরাফুল ব্যর্থতার পরিচয় দেওয়ায় অনেকে বলতে বাধ্য হয়েছেন মামা-চাচার জোরে তার মতো ফ্লপ ক্রিকেটারকে বারবার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। না, বোর্ডে আশরাফুলের মামা-চাচা কেউ নেই। কিন্তু দলের দুই প্রভাবশালী ক্রিকেটার ও কোচ সিডন্সের দাবিতেই তাকে দলভুক্ত করা হয়েছে। কেননা দলে শফিউলের বদলে নাজমুলকে নামানোর কথা ছিল। কিন্তু গ্রুপিংয়ের কারণে শেষ মুহূর্তে নাজমুলের আর মাঠে নামা হয়নি। বোর্ড অস্বীকার করছে ঠিকই, অথচ গতকাল জাতীয় দলের সাবেক এক অধিনায়ক বলেছেন, দ্বন্দ্ব ও গ্রুপিংয়ের কারণে কোনো কোনো ক্রিকেটার হোটেলেই থাকতে চাচ্ছেন না। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকা এক ক্রিকেটার সাবেক এ অধিনায়ককে জানিয়েছেন, সুযোগ থাকলে তিনি দল থেকেই সরে যেতেন। কেননা এ অবস্থায় কারও পক্ষে ঠাণ্ডা মাথায় বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে ভালো খেলা সম্ভব নয়।

এদের কি বলবেন?

অতিথি লেখক এর ছবি

একটা খবরের আইডিয়া মাথায় আসলো, না দিয়ে থাকতে পারলাম না।
শিরোনামঃ সাকিব বেটিং-এর সাথে জড়িত! তদন্ত চলছে।
প্রমান হিসাবে থাকবে ডিউ ফ্যাক্টর জেনেও আগে ব্যাটিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত, নিজের উইকেট তুলে দেওয়া, পাওয়ার প্লেতে স্বাভাবিক নিয়ম না মেনে স্পিনার দিয়ে পরীক্ষা চালানো, নিয়মিত আইরিশদের উইকেট পতনেও খুশী না হওয়া।
-রু

খন্ডত 'ত' এর ছবি

দুঃখিত, দুই নম্বর প্যারাটা প্রথম শিরোনামের ই অংশ।
পরের সংবাদটি দেখুন -

বাংলাদেশ প্রতিদিন, ঢাকা, শনিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১১
গোয়েন্দা নজরে বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার!
জাহেদ খোকন

গতকাল আইরিশদের বিরুদ্ধে টাইগারদের টপ অর্ডার ভাল করলেও মিডল ও লোয়ার অর্ডার তেমন ভাল করেনি। তাহলে কি টাইগাররা দায়িত্বহীন ব্যাটিং করছেন_এমন প্রশ্ন অনেক ক্রিকেট ভক্তের। অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন তাহলে এর পেছনে কি অন্য কিছু আছে? সাকিব-তামিমরা কি কোনো অশুভ চক্রের শিকার হয়েছেন? কোনো প্রলোভনে পড়েছেন? হয়তো সে কারণেই স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারছেন না তারা। ক্রিকেটামোদীদের নানা জল্পনা-কল্পনার মধ্যে গতকাল শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে দর্শকদের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে দুই টাইগার গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছেন। তারা কোথায় যাচ্ছেন, কার সঙ্গে কথা বলছেন, কি করছেন, সব কিছুর ওপরই নজর রাখা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সহসভাপতিদের একজন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিশ্বকাপে জুয়াড়িদের তৎপরতার ব্যাপারে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) আমাদের জানিয়েছে। ইতোমধ্যে ২৫ জুয়াড়িকে শনাক্ত করে তাদের ছবি ও নামের তালিকা আমাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। বিশ্বকাপ চলাকালে জুয়াড়িদের বাংলাদেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাপারে আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, জুয়াড়িদের ব্যাপারে নির্দেশনা এলেও কোনো ক্রিকেটারের বিষয় আমরা জানি না। বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারের সঙ্গে জুয়াড়িদের যোগাযোগ আছে বলে শুনিনি।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিবির আরেক কর্মকর্তা বলেন, জুয়াড়িদের সঙ্গে ক্রিকেটারদের জড়িত থাকার বিষয়টি যদি সত্যি হয় তাহলে কারও নাম প্রকাশ করা যাবে না। কারণ পুরো ব্যাপারটি অত্যন্ত গোপনে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

অমিত আহমেদ এর ছবি

এসব ফালতু রিপোর্ট সচলে কপি-পেস্ট না করলেই খুশি হই। খুব দরকার পড়লে মন্তব্যের সাথে রিপোর্টের লিংক দিয়ে যাবেন। জাহেদ খোকনের সব রিপোর্টই মনে হচ্ছে কল্পনাপ্রসূত এবং সম্পর্কহীন তথ্য জটপাকিয়ে লেখা।

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

হিমুভাইয়ের ঝাড়িতে উৎপাত বেশ সোজা হইসে মনে হইলো খাইছে

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

অতিথি পাঠক  এর ছবি

আপনি এমন একটি পত্রিকার দুটো সংবাদের কথা বলছেন, যেগুলো কাটতি'র জন্য লেখা বলে বোঝা যাচ্ছে। এগুলোকে গুরুত্ব দেয়ার কিছু নেই।

২/৩ বছর আগে এক পাকিস্তানী সাকিবের সাথে কথা বলতে ফোনে কথা বলে দেখা করতে চাচ্ছিল, সম্ভবত গিফট পাঠানোর চেষ্টা করছিল। সন্দেহ হওয়ায় সাকিব সাথে সাথেই এই খবর টিম ম্যানেজমেন্ট এবং আইসিসি'র দুর্নীতি দমন বিভাগকে জানিয়েছিল। এরপর থেকে তার কাছে এরকম কিছু শোনা যায়নি। - এই পুরো খবরটি মিডিয়াতে কিছু মাস আগে এসেছিল।

ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি বাংলাদেশের খেলোয়াড় রা বিশেষ করে সাকিব এবং তামিম - কখনই জুয়াড়ি'র দের সাথে হাত মেলাবে না।

আর দ্বিতীয় খবর হচ্ছে - শফিউলের বদলে নাজমুল! কোন যুক্তিতে?

ঐ ছাগল সাংবাদিক গুলো ক্রিকেট বুঝে লিখলেও বুঝতাম।

সম্পূর্নই ফালতু নিউজগুলো বিভিন্ন ব্লগে বা অন্যান্য জায়গায় না ছড়ানোর অনুরোধ রইল। এগুলোকে যত গুরুত্ব দেবেন, ততই মাথায় উঠবে।

তবে উৎপল শুভ্র আর এই সব সাংবাদিকের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে - সময় এসেছে সাংবাদিকদের ভুল রিপোর্টিং কে আইনগত ভাবে মোকাবেলা করার।

দ্রোহী এর ছবি

কী আশ্চর্য, মোহাম্মদ আশরাফুলও! ব্যাটিংয়ে আবারও উপহার দিয়েছেন হতাশা। মেঘের আড়াল থেকে স্বমহিমায় বেরিয়ে আসার জন্য মঞ্চ ছিল প্রস্তুত। সাত নম্বরে ব্যাটিং করতে নেমেছেন। স্কোর ৫ উইকেটে ১৪৭। সাড়ে ১৬ ওভার তখনো বাকি। কোথায় বিশ্বকাপের থিম সং ‘দে ঘুরিয়ে’ গাইতে গাইতে সব সমালোচনার জবাব দেবেন, তা না, করলেন মাত্র ১ রান। আউটের চেয়ে আউট হওয়ার ধরনই সব সময় বড় হয়ে থাকে আশরাফুলের ব্যাটিংয়ে। কালও থাকল। এবার ঘাতক এল প্যাডল সুইপের

রূপ ধরে। তখন কল্পনাও করা যায়নি, এই ম্যাচে উদ্যাপনের সবচেয়ে স্মরণীয় দৃশ্যটা আশরাফুলই উপহার দেবেন!
অফ স্পিনে ২ উইকেট। এর মধ্যে দ্বিতীয়টি অফ স্পিনারের স্বপ্নের ডেলিভারিতে। অফ স্টাম্পের বাইরে পড়া বল অনেকটা টার্ন করে স্টাম্পে। শেষ ওভারে ১৪ রান দিয়ে দেওয়ার আগে ৮ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ২ উইকেট—এই জয়ে আশরাফুলেরও একটু ছোঁয়া থাকল।

সূত্র

আশরাফুলকে তার দশম ওভার বল করতে দিলে এই ম্যাচ আর জেতা হত না। উটু'দার আজকের রিপোর্টে কাব্যের পরিমান নিয়ন্ত্রণের ভেতর ছিল। দেঁতো হাসি

খণ্ড খণ্ড এসব জয় মিলেই কাল বাংলাদেশের স্বস্তির এই বিজয়। তবে সবচেয়ে বড় জয়টা বোধ হয় সাকিব আল হাসানের। ব্যাটিং-বোলিংয়ে এই তরুণ নিজেকে এমন এক উচ্চতায় তুলে নিয়ে গেছেন যে, বাংলাদেশের এই দলের প্রাণভোমরা তিনিই। ‘বাংলাদেশের জান সাকিব আল হাসান’—বিজ্ঞাপনের এই ভাষায় একটুও বাড়াবাড়ি নেই। কিন্তু এত দিন সাকিব-বন্দনা যা হয়েছে, সেটি মূলত তাঁর ব্যাটিং আর বোলিং নিয়েই। এই ম্যাচ সাক্ষী হয়ে থাকল অধিনায়ক সাকিবের অসাধারণত্বেরও।

প্রথম ওভারেই উইকেট পেয়েও সরিয়ে নিয়েছেন নিজেকে। অমন একটা বলে উইকেট পাওয়ার পর আশরাফুলকেও পরের ওভার করতে ডাকেননি। এই একে বল দিচ্ছেন, এই ওকে। আপাতদৃষ্টিতে যুক্তি খুঁজে পাওয়া কঠিন হচ্ছিল। কিন্তু সাকিব জানতেন, আইরিশ ব্যাটসম্যানদের সদা সংশয়ে রাখাটাই এই ম্যাচ জয়ের একমাত্র বটিকা। কতবার বোলার পরিবর্তন করেছেন—হিসাব রাখতে রাখতে একসময় থেমে যেতে হলো। সাকিবের নিজেরও তা মনে রাখতে পারার কথা নয়।

যদ্দূর মনে হচ্ছে, আগামী ম্যাচে আশরাফুলকে স্পেশালিস্ট বোলার হিসাবে দলে ঢোকানোর জন্য তীব্র আন্দোলনে নামবেন তিনি।

অতিথি লেখক এর ছবি

অফ স্পিনে ২ উইকেট। এর মধ্যে দ্বিতীয়টি অফ স্পিনারের স্বপ্নের ডেলিভারিতে। অফ স্টাম্পের বাইরে পড়া বল অনেকটা টার্ন করে স্টাম্পে।

যতদূর মনে পরছে ধারাভাষ্যকার এই বলটার যতনা প্রশংসা করেছেন তার থাকে বেশি বলেছেন বাজে শট খেলার কথা।

কিন্তু কাব্যর পরিমান কম কই ছিল? মন খারাপ অ্যাঁ প্রথম পাতায় ২ প্যারা ত পুরা কাব্য হয়েছে।

----- সৌম্য

হিমু এর ছবি

যে অভাগা গতকাল খেলা দেখেনি, বরং উটপোঁদের আর্টিকেল পড়ে খেলার ফলাফল জেনেছে, তার জন্যে রইলো এক টন করুণা।

ফাহিম হাসান এর ছবি

এই লোক ইন্ট্রো লিখতে শিখেনি। প্রথম আলোর প্রথম পাতায় লিড নিউজের প্রথম প্যারা পড়ে মেজাজ ঠিক রখা শক্ত। টাইগার হিলে সূর্যোদয়! ছোঃ

ভালো আছি ভালো থেকো এর ছবি

আশরাফুলের বিকল্প মাহমুদুল্লাহও এমন কিছু পারফর্ম করছে না। আর মাহমুদুল্লাহর তুলনায় আশরাফুল ম্যাচ উইনিং এ্যাটিচিউড, মিডল অর্ডার অভিজ্ঞতাতেও অনেক এগিয়ে আছে। ধারাবাহিকতায় যদিও দুজনের অবস্থাই তথৈবচ। তাই আশরাফুলের নামে ব্লগে ব্লগে ফেনা তুলে লাভ কি ? বরং পজিশন হিসাবে দেখলে আশরাফুলকে দলে অপরিহার্যই মনে হয়। বর্তমান ভারতীয় টিমে যুবরাজের অবস্থাও আশরাফুলের মতই। ভারত তবুও যুবরাজের উপর ভরসা রেখেছে।

আমার মনে হয় আশরাফুলের প্রতি মানুষের ক্ষোভ আশরাফুলের আউট হওয়ার ধরন নিয়ে। এবিষয়ে আশরাফুলের ধারেকাছেও কারো প্রতিভা নেই খাইছে । আয়ারল্যান্ডের সাথে আশরাফুলের নাচের প্রভাব সত্যিই পুরো বাংলাদেশকে মানসিকভাবে অনেক এগিয়ে দিয়েছিল।

-ভালো আছি ভালো থেকো

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার সব কথা ঠিক আছে। কিন্তু যে বছরে একবার পারফরম করে তাকে দলে নেওয়া আর আমাকে দলে নেওয়া এক কথা।

----- সৌম্য

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

কোথায় যুবরাজ সিং আর কোথায় আশরাফুল!! স্যার অ্যাশের তুলনা হতে পারে শুধু টেন্ডুলকারের সাথে।

দলের কোন পজিশনের জন্য আশরাফুল অপরিহার্য বুঝলাম না।

আশরাফুলের এক সময় প্রতিভা ছিলো। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য এখন সেই প্রতিভাটাও নাই। তাকে ১০টা লাইফ দিলেও ব্যাট করে ম্যাচ জেতানোর সামর্থ্য আর নাই। প্রতিভাও চর্চার বিষয়।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

দ্রোহী এর ছবি

ম্যাচ উইনিং অ্যাটিট্যুড আর মিডল অর্ডারে অভিজ্ঞতা বেচে আর কয় দিন?

শেষ পনেরটা ওয়ানডে তে আশরাফুল যথাক্রমে ০, ৫, ৭৫, ২৯, ১৩, ৪, ৫, ১, ৩১, ২০, ৯, ১৪, ১৩, ৬, ১ রান করেছে। বলার মত স্কোর একটাই, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৭৫।

অনেকেই বলবেন আশু তো ভালো বোলার, গতকাল ভাইটাল মোমেন্ট দুইটা উইকেট নিছে। কিন্তু কথা হচ্ছে সব দল আয়ারল্যান্ড না। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নেদারল্যান্ডসের ব্যাটিং তো দেখেছেন? ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইংল্যান্ড আর সাউথ আফ্রিকার কথা বাদই দিলাম।

কোনকালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একটা সেঞ্চুরি করেছিল সেটা বেচে আর কতদিন স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যানের তকমা এঁটে দলে জায়গা দখল করে রাখবে? নতুনরা তো আশুর মত নিজেকে প্রমাণের এত সুযোগ পায় না। কারো যদি নিজেকে প্রমাণ করতেই দশ বছর লাগে তাহলে আর খেলবে কবে?

অতিথি লেখক এর ছবি

দ্রোহী আপনার সাথে সহমত। শ্রদ্ধা

হিমু এর ছবি

আশরাফুল মনে হচ্ছে কুলা মার্কায় ইলেকশনে দাঁড়াবে সামনে।

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

০৪
০৫
০১
৩১
২০
০৯
১৪
১৩
০৬
০১

ঠিক কি প্রয়োজনে আশরাফুলকে প্রয়োজন?-বোধগম্য না।

..............আসলে এটা

TIB

*

* This is Bangladesh

Ononna এর ছবি

বিখ্যাত মন বিশারদ আনিসুল হক বলেছিলেন জার্সিতে কলার রাখার কথা। কিন্তু আশরাফুল তা ভুল প্রমাণ করে দিলো। কিভাবে নৃত্য সহকারে দলের বিজয় রোপিত হয়, তা আশরাফুল দেখিয়ে দিয়েছে। আমি মনে করি এ ড্যান্সকে জাতীয় ক্রিকেট দলের অফিসিয়াল ড্যান্স হিসেবে ঘোষনা করা উচিত। এবং এর উপর একটি গবেষনা প্রতিবেদন প্রকাশ করার প্রয়োজনীয়তাও থেকে যায়। আপনি হয়তো খেয়াল করেননি, এটি একটি মৌলিক ড্যান্স। নৃত্যকলায় এমনটি এর আগে দেখেছি বলে মনে হয় না। বিশ্বের অন্যান্য দলগুলো এতো নান্দনিকভাবে উইকেট উদযাপন করতে পারে না। আশরাফুলের কাছ থেকে ওরা শিক্ষা নিতে পারে, পারে প্রেরণা নিতে।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

একটা সহজ কথা দুই দিন ধরে ফেসবুকের পাতায় পাতায় বলে আসছি... আগে-পিছের ৫ বছর কোনো ইস্যু না এখানে। "ফর্ম" নিয়ে তর্ক এই মুহূর্তে একেবারেই অবান্তর। আশরাফুল এবং মাশরাফিকে নিয়ে তর্কের লাইফ-সাইকেল শেষ হয়ে গেছে বিশ্বকাপের স্কোয়াড ঘোষণার মুহূর্তেই। বুঝলাম আশরাফুলকে আপনাদের অপছন্দ, ওকে দলে চান না, ইত্যাদি। ওকে স্কোয়াডে রাখা হয়েছে এবং টুর্নামেন্ট শুরু হয়ে গেছে। গেট ওভার ইট অলরেডি! পুরানা কাসুন্দি আর ভাল্লাগে না রে ভাই। শুধু আশরাফুল কেন, দলের ১৫ জনের চৌদ্দগুষ্টির স্ট্যাট নিয়ে অনেক তর্ক করা যায়, কিন্তু তাতে কী বদলাচ্ছে?

এই মুহূর্তে শুধু এবং শুধুই এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দল ও তাদের পারফর্মেন্স প্রাসঙ্গিক। আমাদের সমর্থন থাকা উচিত বাংলাদেশ দলের প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ের প্রতি। "মাইনাস ওয়ান" ফর্মুলায় আশরাফুল বাদে বাকিদের নিয়ে উচ্ছ্বসিত হওয়া সমর্থকসুলভ আচরণ না। প্রত্যেকটা দলই ইনজুরি এবং ফর্মহীনতা সত্বেও কিছু প্লেয়ারকে দলে রাখে বিশ্বকাপ এলে। বাংলাদেশ দলে ১০ জন খেলোয়াড়ের অবস্থান মোটামুটি পাকাপোক্ত। নাজমুল এবং নাফিস সুযোগ পাবে শুধুই কেউ ইনজুরড হলে। রইলো বাকি তিন জন -- রিয়াদ, আশরাফুল, শুভ। এই ৩ জনের মধ্যে কে খেলবে তা নির্ভর করে প্রতিপক্ষ এবং টুর্নামেন্ট আগের ম্যাচে অবদানের উপর।

ভারতের বিপক্ষে আশরাফুলকে খেলানো উচিত ছিলো #৭-এ হার্ডহিটার কাউকে রাখবার জন্য। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আশরাফুলকে বসিয়ে রিয়াদ কিংবা শুভকে খেলানো উচিত ছিলো একজন বাড়তি স্পিনার রাখতে। খেলানো হয়েছে এর উলটা ধারায়। প্রথম খেলায় রিয়াদ তেমন কিছু করতে না পারায় দ্বিতীয় খেলায় আশরাফুল এসেছে। আশু ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেও বল হাতে #৭-এর কাছ থেকে প্রত্যাশাটুকু মিটিয়েছে। এত ভালো একটা জয়ের পরও এই ভাবে কাউকে লিঞ্চ করতে যাওয়ার কী অর্থ আছে? ওর কিছু অবদান ছিলো এবং সেটার মূল্যায়ন করা উচিত নিঃশর্তে।

অনেকে আশরাফুল মার খাওয়ার কথা বলছেন -- এটা তো ক্যাপ্টেনের দায়। নাঈমের মতো আশরাফুলকেও ৭ ওভার টানা বল করানোর পর সরিয়ে নেওয়া উচিত ছিলো। এটাই স্বাভাবিক নর্ম। ৮ম ওভারে আশরাফুল ছক্কা খাওয়ার পরও তাকে ৯ম ওভার করতে ডাকাও ক্যাপ্টেনের দায়। একটানা বল করে যাওয়া বোলারকে ব্যাটসম্যান ফিগার-আউট করার পরও তাকে দিয়ে বল করালে বোলারের দোষ হবে কেন?

অনেকেই বলছেন আশরাফুলের জায়গায় রিয়াদ বা শুভ থাকলেও একই রকম সাফল্য পেতো। হাইপোথেটিক্যালে গিয়ে গাল দেওয়া কি যথাযুক্ত? হি ওয়াজ দেয়ার অ্যান্ড হি ডিড হিজ পার্ট। এখানেও তো বাড়তি কথা আসে না। সেই হিসাবে তো সাকিব-রাজ্জাকদের ৪ উইকেট করে পাওয়ার কথা ছিলো। রাজ্জাক যেখানে ১ উইকেট পেয়েছে, সেখানে রিয়াদ-শুভ আরও ভালো করতো তার কী নিশ্চয়তা?

মোদ্দা কথা, একটা সহজ ব্যাপার এত কমপ্লিকেট করার কোনো প্রয়োজন নেই। গুরুত্বপূর্ণ দুইটা ব্যাপার বাদ দিয়ে ফালতু প্রসঙ্গে এত ক্যাওম্যাঁও হচ্ছে।

১. আমাদের টপ অর্ডারের ৪ জন ব্যাটসম্যান কেন স্রেফ অলসতার খেসারত দিয়ে ৭৩ রানের মধ্যে আউট হয়ে গেল? কেন নিজের কলে দুই জন ব্যাটসম্যান দেড় হাত দূরে থাকতে রানআউট হলো?

২. কেন আমাদের টিম ম্যানেজমেন্ট খেলার আগে কোনো হোমওয়ার্ক করেনি? কেন বাংলাদেশের চেয়ে আয়ারল্যান্ড বেশি জানতো উইকেট সম্পর্কে? নিজের দেশে, নিজের মাঠে কেন খেলতে নেমে আমরা টের পেলাম উইকেট স্লো?

বাংলাদেশ আশরাফুল ১৫-২০ রান কম করায় হারতে বসেনি, এই দুইটা কারণে হারতে বসেছিলো। কোনো একটা মানুষকে দেখি না এই মৌলিক ইস্যুগুলা নিয়ে বলতে। সবাই ব্যস্ত আশরাফুলের পিণ্ডি চটকাতে। আশুকে পরের খেলায় বাদ দিলেও বাংলাদেশ হারতে বসবে, যদি না এই দিকগুলার নিষ্পত্তি হয়।

হিমু এর ছবি

আশরাফুলকে আমরা "হার্ড হিটার" বিবেচনা করছি তার বিগত ৫ বা ১০ বছরের পারফরম্যান্স বিবেচনা করেই। এটা কোনো মেমরিলেস সিস্টেম না। আজকে কায়েস পর পর দুই ম্যাচে ০ রানে আউট হলেও তাকে সরানো হবে না, কারণ কায়েসের সেই ডিসপ্যাচেবিলিটি আছে যেটা আশরাফুলের মধ্যে নাই।

আর আশরাফুলকে বাদ দেয়া নিয়ে তর্ক না, তর্ক হচ্ছে খেলার বলয়ের বাইরের একটা গোষ্ঠীর তৎপরতায় আশরাফুলকে দলে রাখার ব্যাপারে চাপ বাড়া নিয়ে। ক্রিকেটে এখন ব্যাট-বল-ফিল্ডের বাইরে আরেকটা ডিপার্টমেন্ট দাঁড় করানো হয়ে গেছে, মিডিয়া। আশরাফুল খেলবে কি খেলবে না, এই ব্যাপারে দলের ব্যবস্থাপনার সিদ্ধান্তে একটা ফ্যাক্টর হিসেবে যোগ হচ্ছে এই মিডিয়া ডিপার্টমেন্টে আশরাফুলের পারফরম্যান্স। এটা আর কোনো খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রে ঘটছে না। জিনিসটা শুধু আশরাফুলের জন্যেই ক্ষতিকর নয়, দলের অন্যদের প্রতি অন্যায়। মিডিয়ার চাপমুক্ত থেকে দলকে সিদ্ধান্ত নিতে দেয়া উচিত। আশরাফুল দলে ঢুকুক, তার পিয়ারদের আস্থা জয় করে ঢুকুক।

আশরাফুল মিডিওকার পারফরম্যান্স দেখানোর পরও গতকাল ঠিকই কাগজের পাতায় গাছে উঠে গেছে। তাহলে ইভা রহমানকে এটিয়েনবাংলায় দেখে আমরা বিরক্ত হই কেন?

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

এক জায়গায়ই জবাবগুলা লিখি।

@হিমু ভাইঃ
এমন কি কোনো প্রমাণ আছে যে আশরাফুলের সাথে যোগসাজশ করে উৎপল শুভ্র পত্রিকায় এসব লেখে? ওরা লেখে ওদের দরকার মতো। আজকে মাথায় তুলবে তো কালকে মাটিতে ফেলবে। সেনসেশনালাইজ করার জন্য যা খুশি করবে। আশুর উপরে রাগ করেন, ঠিক আছে। উটুর উপর রাগ করেন, ঠিক আছে। কিন্তু এক জনের রাগ আরেকজনের উপর ঝাড়ার তো অর্থে নেই। আশুকে নিয়ে মিডিয়া কী লিখলো সেটার দায় কেন আশুকে নিতে হবে? প্রশ্নটা কি খুব আনফেয়ার? এই সার্কাসে সবচেয়ে ক্ষতি তো আশুরই হচ্ছে।

@অদ্রোহঃ
আমি মনে করি আশরাফুলের খেলা উচিত ভারত এবং সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে। এক দলের ব্যাটিং ভালো, তাই স্লগ করার মতো প্লেয়ার চাই। আরেক দলে দুর্দান্ত পেসারের ভিড়, তাই টপ অর্ডারে খেলে অভ্যস্ত কাউকে চাই মড়ক লেগে গেলে। আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে শুভকে নেওয়া উচিত ছিলো কারণ বাংলাদেশের প্রথম ৬ জন ব্যাটসম্যানেরই প্রয়োজনীয় রান তুলতে পারা উচিত। রিয়াদকে নিলে এক পেসারকে বসিয়ে রাখা যেতো, কিন্তু শুভকে অবশ্যই খেলানো উচিত ছিলো। উইন্ডিজের বিরুদ্ধে রিয়াদকে নেওয়া উচিত আশুর চেয়ে রেগুলার অফস্পিনার হিসাবে। ব্রাভো ইঞ্জুরড হওয়ায় ওদের বোলিং বেশ দুর্বল, তাই ব্যাটিং থেকে বিশাল কিছু প্রত্যাশার প্রয়োজন হওয়া উচিত না। হল্যান্ডের বিপক্ষে আশুকে নেওয়া নিরর্থক, অন্য কেউ অভিজ্ঞতাটুকু ভালো কাজে লাগাতে পারবে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নাফিসকে নামানো উচিত অর্থডক্স ব্যাটিং-এর জন্য।

@ধুগো দাদাঃ
আমি মনে করি না আশুকে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলানো উচিত ছিলো। ওকে নিয়মিত বোলার হিসাবে গণনা করারও কথা বলি না আমি। আমি শুধু বলতে চাচ্ছি যে বাংলাদেশ আরও বড় বড় কারণে এমন দুরবস্থায় পড়েছিলো। মূল মন্তব্যের কারণগুলা নিয়েই বিশ্লেষণ হওয়া উচিত বেশি। এক আশু এবং তাকে নিয়ে আলোচনায় এই সব হারিয়ে যাচ্ছে। এই অমনোযোগের কারণ আশুর রেকর্ড ও ফর্ম নিয়ে চিন্তা, যা বিশ্বকাপ চলাকালীন বিবেচনা করা নিরর্থক। ১৫ জনের দলে যখন আছে, তখন তাকেও আর সবার মতোই দেখা উচিত। যেই পিঠ চাপড়ে দেওয়ার কথা বললেন, স্রেফ আশরাফুল বলেই কেউ সেই ন্যায্য পাওনাটুকুও দিচ্ছে না।

সাফি এর ছবি

ইশতিয়াক,

আরেক দলে দুর্দান্ত পেসারের ভিড়, তাই টপ অর্ডারে খেলে অভ্যস্ত কাউকে চাই মড়ক লেগে গেলে।

তুলনামূলক খারাপ বোলিং শক্তির আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মড়ক লেগেছে, আশরাফুল তাতে বিন্দুমাত্র দায়িত্বশীলতা দেখায়নি। পাকনামি করে অফস্ট্যাম্পের বাইরের বল সুইপ করে আউট হয়েছে। এই আশরাফুলের কাছে কি আশা করেন? আমি মনে করি আশরাফুলকে আয়ারল্যান্ডের সাথে নেওয়া হয়েছিল তুলনামূলক বিচারে আইরিশ বোলিং দূর্বল এটা চিন্তা করেই যেন আশরাফুল রান পেয়ে কনফিডেন্স পায় কিছুটা। আইরিশদের সাথে দলের ভালো অবস্থা থাকলে, ৪০ ওভারের পরে উইকেট গেলে ওকেই নামানো হত (আমার ধারণা)। আশরাফুলের ব্যাটিং সামর্থ নিয়ে কোন সংশয় নেই, কিন্তু মাথা/চেষ্টা নিয়ে সংশয় আছে... প্রতিভাবান এর চেয়ে পরিশ্রমী এর দিকেই আমার পক্ষপাত

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আমি ওর কাছ থেকে "দায়িত্বশীলতা" আশা করি না আর। ওকে দিয়ে এটা সম্ভব না, তা অনেক বার প্রমাণিত। আমি মনে করি, ব্যাটসম্যান আশরাফুলকে ফেরত পেতে হলে তার ইন্সটিংকটকে খোঁচাতে হবে। অনেক বল, দুর্বল প্রতিপক্ষ, রয়েসয়ে খেলা, দলের দায়িত্ব নেওয়া, ইত্যাদি বিবেচনা নিরর্থক। ওকে শক্ত প্রতিপক্ষের বিপক্ষে কঠিন পরিস্থিতিতে ফেলে দেওয়া উচিত। মাথা বরাবর ৯০ মাইলে তিনটা বল এলেই ইন্সটিংকট ফেরত আসবে। এটাই প্রতিভার ডাউনসাইড। একবার ভচকে গেলে অনুশীলন দিয়ে ঠিক করানো যায় না। আমি এই জন্যই কোনো সহজ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ওকে খেলানোর বিপক্ষে। আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, উইন্ডিজ -- এই ৩টা খেলা জেতার জন্য সবচেয়ে সেফ কম্বিনেশন নামানো উচিত। বাকি খেলায় আশুকে নিয়ে জুয়া খেলা যায়, যদি তালেগোলে একটা খেলাও জেতাতে পারে কিছু রান করে। কারণ অন্যরা ঐ খেলায় খুব বড় কিছু করে দেখানোর সম্ভাবনা ক্ষীণ। এখানে "অন্য কেউ" বলতে আশুর পজিশনের চ্যালেঞ্জারদের কথা বলছি (মূলত রিয়াদ, শুভ)।

অদ্রোহ এর ছবি

ইশতি ভাইয়ের সাথে এই ব্যাপারে একমত, এই সময়ে এই বিষয়টা নিয়ে জলঘোলা একটু বেশিই হয়ে যাচ্ছে। আশরাফুল নিজগুণে হোক বা উকিলগোষ্ঠীর সুপারিশের বরাতে হোক, এখন টিমে আছে। আয়ারল্যান্ডের সাথে ব্যাটে ব্যাট হাতে সে যথারীতি সুপার ফ্লপ, কিন্তু বল হাতে আশাতীত সফল। আমার মতে, উইকেটদুটো খুবই ক্রান্তিকালে আসায় তার ব্যাট হাতে ব্যর্থতার কিছুটা দায়ভার লাঘব হয়। আর পঞ্চম বোলারের দায়িত্বেও সে ভালই কাজ চালিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। তারপরও আমার মতে, ভারতের সাথে নিষ্প্রভ পারফরম্যান্সের পরও গত ম্যাচে রিয়াদের জায়গা পাওয়া উচিত ছিল। সেটা যখন হয়নি আর আশরাফুল যখন দলে এসি গেছে, তখন আপাতত আশরাফুলকে পুরোপুরি নাকচ আমি করে দিতে পারছিনা। আমার মতে, উইনিং কম্বিনেশন ধরে রাখার চেয়ে ম্যাচ বাই ম্যাচ আগানোই হবে সবচেয়ে ভাল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কেমার রোচ-স্যামি দুজনেই বেশ দ্রুত বল করে, আর এই মন্থর পিচে তাদের ভালই বেগ পোহাতে হবে। ওদিকে গেইল- সুলেমান বেনরা কাজ চালিয়ে নেওয়ার মত হলেও অতটা বৈচিত্র নেই। আমার মতে, এ ধরনের বোলারদের বিপক্ষে আশরাফুলকে বাজিয়ে দেখা উচিত। আর উইন্ডিজের সাথে তার রেকর্ডও ভালই। তাই অপজিশন বিচারে আমি আশরাফুলকে দলে রাখতে চাই।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

আশু আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুইটা উইকেট পেয়েছে ভাইটাল সময়ে, এইজন্য তার পিঠ চাপড়ে দেয়া যেতে পারে, ধন্যবাদ দেয়া যেতে পারে, সাবাশি জানানো যেতে পারে। কিন্তু এই কারণে উৎসাহিত হয়ে, আনন্দের আতিশয্যে টেলএন্ডার হিসেবে একজন নিয়মিত বোলারকে বসিয়ে বোলার হিসেবে আশুর মতো বাসন্তী বোলারকে পরবর্তী ম্যাচে খেলতে নামানোর সিদ্ধান্ত হবে বিরাট বড় 'হোলেও হতে পারে'!

ইশতি'র মূল বক্তব্য ঠিকাছে, কিন্তু সেটা যদি আশুকে কেবল আয়ারল্যান্ড ম্যাচের পারফর্মেন্সের কারণে পরবর্তীতে দলে রাখার সাপোর্টে হয় তাহলে এই বিষয়ে আর কোনো কথা নাই। ফুলস্টপ।

বাংলাদেশ হারুক বা জিতুক, সেইটা সমস্যা না। কথা হলো, বেটার এবং ফ্রটফুল অপশন নিয়েই বাংলাদেশের ফাইটে নামা উচিৎ। কোন আমলে কে কী করছে, সেই পরিসংখ্যানের মূলা দেখে খেলতে নামাটা চরম নির্বুদ্ধিতার শামিল।

অতিথি ১ এর ছবি

ইশতিয়াক,

আপনি খুব সুন্দর করে লিখেছেন মৌলিক সমস্যার কথাগুলো। আশরাফুলকে বাদ দিয়ে বিকল্প একজনকে নিয়েই কি আমাদের দেশ গতকাল খুব ভালভাবে জিততে পারত? মনে হয়না। আমরা একটি জয় দিয়েই খুব খুশি হয়ে গিয়েছি, কিন্তু ঠিক এই ভুলগুলোই আবার করলে শোচনীয় পরাজয় হয়ে যাবে নিশ্চিত ।

পড়াচোর

কোন একজন এর ছবি

আশরাফুলের গড় ২৩, আর রিয়াদের ২৮। আশরাফুল প্রথম দিকে টপ অর্ডারে খেলে, বেশ কয়েকটা ফিফটি – সেঞ্চুরি করেও ২৩। রিয়াদ সব সময় লোয়ার অর্ডারে খেলেছে, ফিফটি করার চান্স পেয়েছে মাত্র ৪ বার; তারপরও গড় ২৮। কারণ প্রতি ম্যাচেই ও কিছু না কিছু কন্ট্রিবিউট করে। ওর ব্যাটিং স্টাইল খারাপ হতে পারে, ওর বিগ হিটে সমস্যা থাকতে পারে (এ কারণে আউটো হয়); কিন্তু ওর প্রচন্ড দায়িত্ববোধ সেগুলোকে ঢেকে দেয়। ওর সমস্যার কথা ও ভালোই বুঝে। আশরাফুল একটা চরম দায়িত্বজ্ঞানহীন প্লেয়ার, একটা অকার্যকর ব্যাটিং প্রতিভা। দলের প্রয়োজনের সময়, দলকে আরো বিপদে ফেলতে ওস্তাদ। ওই প্রতিভার বাংলাদেশে কোনো দরকার নেই।

কোন একজন এর ছবি

ভাই অদ্রোহ,
আপনি কি আশরাফুলকে নিতে চান আশর ফুল মনে করে। যদি সে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ভালো করে শুধু এই আশায় (একেতো সে অনেকদিন থেকে ফর্মে নেই, তার ওপর গত বেশ কয়েকদিনের দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিং দেখে আশা করা ছাড়া আর কিছু সে করতে পারবে বলে মনে হয়না)। যেখানে আমাদের এমন ব্যাটস্ম্যান আছে যে গুরুত্বপূর্ণ ৩০ টা রান হলেও করতে পারবে, সেখানে তার বদলে আশরাফুলকে নিতে হবে শুধু আশার ওপর ভর করে (২০ টা রান করতে পারবে এরও কোনো ভরসা নাই)। আপনি বলেন যদি সে সেঞ্চুরি করে এটা বেশি জরুরী, নাকি যেখানে ৩০ টা রান বেশি হবার চান্স সেটা বেশি জরুরি?

আমার কথা আক্রমণাত্মক মনে হলে দুঃখিত।

দ্রোহী এর ছবি

তাহলে মূল কথা কী দাঁড়াইলো?

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ব্যাটিং প্রতিভা আশরাফুল দলে আসতেছে বোলার কোটায়!!!!!!!!

আশরাফুলরে যদি নিয়মিত বোলার বিবেচনায় জাতীয় দলে রাখতে হয় তাহলে বলতে হবে বাংলাদেশ দলের অবস্থা সত্যিই শোচনীয়।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

হাইসেন না... আমি মোঃ রফিককে খুব মিস করতেসি। প্রায়ই মনে হয় এই লোকটা থাকলে ৮-১০ ওভার নাক ডেকে ঘুমাতে পারতাম এখনও।

অতিথি লেখক এর ছবি

আশরাফুল অনেক সুযোগ পেয়েছে, কিন্তু কাজে লাগাতে পারে নাই। এরপরও ওকে বারবার দলে নেওয়া হচ্ছে। আমাদের রাগটা এই কারণে। আশরাফুল এর বদলে অন্য কেউ সুযোগ পেলে যে ভাল করবে তার কোন গ্যারান্টি নাই। তবে আশরাফুল যে ভাল করবে না তা নিয়ে আমাদের কোন সংশয় নাই।

ইশতিয়াক রউফ, মৌলিক ইস্যুগুলা নিয়ে আলোচনার সুযোগ আছে কি? কারণ তামিম এর কথা থাকে বুজা যাচ্ছে যে বাংলাদেশ টিম এইটা জানে এবং তারা এ ব্যাপারে সচেতন। সুতরাং এই ব্যাপারে এখনি আলোচনার সময় হই নাই বলে আমার মনে হই।

---- সৌম্য

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

মৌলিক ইস্যুগুলা নিয়ে আলোচনার সুযোগ আছে কি? কারণ তামিম এর কথা থাকে বুজা যাচ্ছে যে বাংলাদেশ টিম এইটা জানে এবং তারা এ ব্যাপারে সচেতন। সুতরাং এই ব্যাপারে এখনি আলোচনার সময় হই নাই বলে আমার মনে হই।

যদি কথা অনুযায়ী কাজও হয় তবে অবশ্যই ভালো। তবে আমার দ্বিধার কারণটাও বুঝতে পারছেন আশা করি। নিজের মাটিতে বিশ্বকাপ, তবু এত বাজে হোমওয়ার্ক... মেনে নেওয়ার মতো না ব্যাপারটা। টুর্নামেন্টের এত মাস আগে থেকে পরিবর্তন আসেনি, আজকে হঠাৎ দুই দিনে চলে আসবে তা কীভাবে ধরে নেই?

অতিথি লেখক এর ছবি

সহমত। আশায় বুক বেঁধে আছি। দেখা যাক।

----সৌম্য

অতিথি লেখক এর ছবি

১৬৫ ম্যাচের অভিজ্ঞতা অন্তত আশ্রাফুলের ক্ষেত্রে কতটুকু প্রযোজ্য তা নিয়ে সন্দেহ হয় আয়ারল্যাণ্ডের বিরুদ্ধে তার অভিজ্ঞতা'র প্রদর্শন দেখলে! ফলে কেউ যখন আশ্রাফুলের ক্ষেত্রে "অভিজ্ঞ"তার বুলি আওড়ায়, মেজাজ চ্রম খারাপ লাগে। অর ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা ফভিক্ষতা কোন ব্যাপারই না। আমার মনে হয়, আশ্রাফুল বরং তার বোলিংটারে ঠিক করুক। তাইলে তারে আফ্রিদি স্টাইলের একজন হিসেবে টিমে নেবার চিন্তা করা যেতে পারে।

হাটুরে

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।