অনাগত অন্ধকার

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: বিষ্যুদ, ১২/০৯/২০১৩ - ৩:৫৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.
অফিসের কাজগুলো গুছিয়ে দুপুরে ইন্টারনেটে ক্লিক করতেই বিরক্ত লাগলো। হোমপেজ এরর। আবারো গেছে নাকি? দুদিন পরপর এ এক হ্যাপা। কখনো ফাইবার কেটে যায়, কখনো আইএসপির ইউপিএস জ্বলে গেছে, কখনো সার্ভার ডাউন। আইটিতে ফোন করলাম। আইটির ছেলেটা এসে দেখে বললো, আপনার হোমপেজ সমস্যা। হোমপেজে ফেসবুক ছিল। ফেসবুক নাকি কোথাও খুলছে না। ওটা বদলে হোমপেজ গুগল করে দিল। এবার খুলছে। আমি তেমন রেগুলার ফেসবুকার নই। তাই পাত্তা দিলাম না ব্যাপারটাকে।

পরদিন পত্রিকায় দেখলাম, সরকার ফেসবুক ব্যান করেছে বাংলাদেশে। ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত দিয়ে লেখালেখি হচ্ছিল ফেসবুক স্ট্যাটাসে। এবার নড়ে চড়ে বসলাম। ঘটনা তাহলে এই? এতক্ষণে মনে পড়লো ফেসবুক না থাকায় আমি দশ দিগন্তে ছড়িয়ে থাকা আত্মীয় বন্ধু পরিবারের কাছ থেকে আংশিক বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলাম। এখন একটু খালি খালি লাগতে শুরু করেছে।

২.
ফেসবুক না থাকাতে স্কাইপে চালু করলাম অনেকদিন পর। রাতে বাসায় ফিরে স্কাইপেতে কথাবার্তা আড্ডাবাজি করি প্রবাসী বন্ধুবান্ধব আত্মীয় স্বজনের সাথে। তেমন অসুবিধে হলো না। রাতে ঘুমোবার আগে, ঘন্টাখানেক লেখালেখি করি ব্লগে। সেও এক আড্ডাবাজিই বলা চলে। গত কয় বছরে নেশা হয়ে গেছে। ফেসবুকের চেয়ে এখানেই যেন আমার স্বস্তি বেশী। পরিবারের বেরসিক লোকজন বলে এটা নাকি আমার ব্লগাটাইটিস রোগ। সপ্তাহখানেক পর একদিন দেখলাম, ব্লগটা খুলছে না। আরেকটা ব্লগে ক্লিক করলাম, সেও খোলে না। যতগুলো ব্লগ আছে তালিকায় সবগুলোই এরর দেখালো। ঘটনা কি? তালিকার বাইরের দুটো ব্লগের ঠিকানা জানা ছিল সেখানে ক্লিক করে দেখলাম খুলছে। ওই ব্লগে কখনো যাই না কেবল ফুল পাখি ইহকাল পরকাল রান্নাবান্না ইত্যাদি নিয়ে ব্যস্ত থাকে বলে। দেশ পরিস্থিতি কিছু নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই। ওই ব্লগগুলো খোলা, বাকীগুলো বন্ধ, ব্যাপার কি।

জানা গেল সরকার কমিউনিটি ব্লগের একটা কালো তালিকা করে ব্যান করেছে সাইটগুলো। আমি খুব আহত হলাম। ভার্চুয়াল জগতে আমার চিন্তাভাবনাগুলো প্রকাশের একটা আশ্রয় হয়ে উঠেছিল ব্লগ। আজ থেকে সেই খোলা জানালাটা বন্ধ হয়ে গেল? কি আর করা। তবু ভাবলাম স্কাইপে আর জিমেইল থাকলেই চলবে আমার। আর ইউটিউব তো আছেই।

৩.
স্কাইপে আর জিমেইল চ্যাটে আমার সবচেয়ে ভালো সময় কাটে রুবিনাকে নিয়ে। ওর সাথে এত বিষয়ে কথা বলা যায়, এত বৈচিত্র থাকে আড্ডায়, যেটা আর কারো সাথে হয় না। কবিতা, গান, সিনেমা, রাজনীতি, দর্শন, শিল্পকলা, রাস্তার যানজট, পরিবেশ দুষণ, আকাশ-বাতাস-ফুল-পাখি-চাঁদ-মহাকাশ-নীহারিকা, দুনিয়ার হেন জিনিস নেই আমরা কথা বলি না। অনেক বিষয়ে মিল পাওয়াতেই হয়তো রুবিনার সাথে জমে উঠলো আমার। দুজনে ভিন্ন দেশে থাকলেও প্রতিদিনের যোগাযোগের কল্যাণে মনে হয় সে যেন পাশের বাড়ির মেয়ে।

রুবিনা আমার প্রিয় বন্ধু। কিন্তু তার বাইরেও কিছু কি গড়ে উঠেছে যা আমরা এখনো প্রকাশ করিনি?

থাক সেকথা। বরং রুবিনা আমাকে নতুন একটা জগত চিনিয়েছে সেটার কথা বলি। সংক্ষেপে বলতে গেলে রুবিনা আমার সিনেমাগুরু। দুনিয়ার হেন সিনেমা নেই সে দেখেনি। ওই জায়গায় আমি অকাট মুর্খ। স্টার মুভিজ আর এইচবিওর দুচারটে ইংরেজী ছবি, আর কখানা উপমহাদেশীয় হিন্দি বাংলা ছবি বাদে আমার দেখা ছবির তালিকা বিশটাও হবে না। রুবিনার সাথে পরিচয় হবার পর সে আমাকে ইউটিউবে সিনেমা খুঁজতে শেখালো। আমাকে একেকদিন একেক লিংক দেয় আর আমি খুঁজে পাই হলিউড বলিউডের বাইরে বিশাল একটা জগত। এশিয়া ইউরোপ ল্যাটিন আমেরিকা এমনকি আফ্রিকার অঘোর জঙ্গলে তৈরী ছবিও আমি পেয়ে যাই ইউটিউব খনিতে। অভ্যেস হয়ে গিয়েছিল সপ্তাহে অন্ততঃ চারটা মুভি দেখা। বিষুদবার রাতে দুটো, শুক্রবার দিনে দুটো।

গত বিষুদবারে ইউটিউব খুলতে গিয়ে আটকে যাই। একটা মেসেজ আসে, দিস সাইট ইজ আনএভেলবল ইন বাংলাদেশ। ইউটিউবও ব্যান? আমার সিনেমা দেখা বন্ধ হয়ে গেল। রুবিনাকে বলে দিলাম আর যেন লিংক না পাঠায়।

৪.
ব্লগ, ফেসবুক, ইউটিউব বন্ধ হবার পর একমাত্র খোলা জানালা জিমেইল আর স্কাইপে। সেখানে আছে বেশ কজন বন্ধুবান্ধব। আছে সবচেয়ে প্রিয় রুবিনা। মা সেদিন রুবিনার কথা জিজ্ঞেস করলো। জিজ্ঞেস করার ভঙ্গিতে কিছু একটা অনুমান করলাম। কিছুদিন ধরেই মা মিনমিন করছিল বয়স ত্রিশ পার হয়ে যাচ্ছে আর আমি এখনো কোন ভবিষ্যত চিন্তাভাবনা করছি না কেন। তিনি না থাকলে আমাকে দেখবে কে। একমাত্র সন্তান হলে যা হয়।

আমি মাকে আগেই বলেছিলাম আমার একজন বন্ধু আছে লণ্ডনে পড়ছে। কোন ইঙ্গিত দেইনি। তবু মা কি ভেবেছেন কে জানে। তবে রুবিনাকে মার অনুসন্ধানের কথা বলাতে সে হেসে ফেললো, বললো - চাচীকে বলে দিও আমার বিয়ে ঠিক হয়ে আছে এখানকার এক ইঞ্জিনিয়ারের সাথে। তাহলে কিছু সন্দেহ করবে না।

রুবিনার কথাটা শুনে আমার বুকের মধ্যে ধ্বক করে উঠলেও আমি হেসে উড়িয়ে দিলাম। হয়তো রুবিনা আমাকে সেভাবে নেয়নি। আমারই হয়তো ভুল হয়েছে ওকে বুঝতে। ওর কথাটা সত্যি কিংবা হেঁয়ালী সেটা যাচাই করতে গেলাম না আর।

সেদিন রুবিনা স্কাইপেতে বলছিল, তোমাকে একটা পিডিএফ ফাইল পাঠিয়েছি জিমেইলে চেক করে দেখো তো। ওটায় কিছু ডেটা আছে আমাকে ওয়ার্ডে কনভার্ট করে দিতে হবে।

আমি জিমেইল খুলতে গিয়ে সেই মেসেজটা পেলাম, দিস সাইট ইজ আনএভেলবল ইন বাংলাদেশ। জানলাম গুগলের সকল সার্ভিসই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বাংলাদেশে। এমনকি তার পরদিন থেকে স্কাইপে ইয়াহু সহ সকল কমিউনিকেশন টুলস ব্যান। আমার দৈনিক রুবিনাপর্ব ওখানেই খতম বলা যায়।

৫.
আরো তিন মাস পর।

দেশে এখন ইন্টারনেট নেই। ইমেইল নেই। সীমিত মোবাইল সার্ভিস আছে যাতে শুধু কথা আর টেক্সট চলে। সবাইকে বলা হইছে কম্পিউটারে শুধু টাইপ করা চলবে। কোন রকম তসবির(ছবি) রাখা চলবে না। তসবির দেখা গেলে কম্পিউটারের মালিককে তিন বছরের জেল দেয়া হবে। ভিডিও দেখা গেলে যাবজ্জীবন।

মুছে ফেলা হলো কোটি কোটি ডিজিটাল ছবি ভিডিও। টিভি স্টেশানগুলো বন্ধ হয়ে গেল। ছবি তোলার স্টুডিওগুলো বন্ধ হয়ে গেল। গার্মেন্টস ফ্যাক্টরী বন্ধ। অফিস আদালত কোথাও নারী নেই। মিডিয়ার মধ্যে শুধু চালু থাকলো রেডিও। আর রেডিওতে শুধু তেলাওয়াত আর সংবাদ। সংবাদে আখেরী মন্ত্রনালয়ের বাণী প্রচার করা হয়। তথ্য মন্ত্রনালয়ের নাম বদলে আখেরী মন্ত্রনালয় বানানো হয়েছে। যারা মানুষকে শুধু আখেরাত সম্পর্কে বয়ান করবে। দোজখের ভয়ভীতি প্রচার করবে। আমার রেডিও নাই। সেদিন সিড়ি দিয়ে ওঠার সময় নীচতলার খোলা দরজা দিয়ে কিছু মোল্লার উচ্চকন্ঠ ভেসে আসছিল, ওখানে কে একজন বলছিল, "বিগত সরকার দেশকে আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগে নিয়ে গিয়েছিল, শুধু একটা কাজের জন্যই তাদের ধন্যবাদ দেয়া যায়, সেটা হলো আইসিটি আইনের ৫৭ ধারার সংশোধনী.........." আমি সিঁড়ি ভেঙ্গে তিনতলায় উঠে গেলাম, বাকীটা শোনা হলো না।

বাসায় ফিরে খাওয়া সেরে রাতে শোবার আগে ভেন্টিলেটর থেকে একটা চটের বস্তা নামালাম, ওখানে কিছু পুরোনো বইপত্র, পত্রিকা। তার ভেতর একটা চানাচুরের ঠোঙ্গার মধ্যে সিমবিহীন এণ্ডরয়েড মোবাইল ফোন লুকোনো। দেশে ছবি দেখা যায় এমন সব মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। আমি সাহস করে এটা লুকিয়ে রেখেছিলাম। দরোজা ভালোমতে আটকে ফোনটা খুলে চার্জে দিলাম খাটের নীচে। রুবিনার কয়েকটা ছবি আছে এটায়, আজ ওকে দেখতে ইচ্ছে করছে খুব। কতদিন কথা হয়না। দেশে এখন নারী পুরুষের মধ্যে ফোনে কথা বলাও নিষিদ্ধ। কয়েক বছর আগে দেখা আফগানিস্তানের ছবি ওসামার কথা মনে পড়লো। ওটা দেখে হেসেছিলাম। এখন নিজেকে দেখে হাসছি।

আয়নার দিকে তাকিয়ে আমার সত্যি হাসি পায় নিজেকে দেখে। পুরুষের দাড়ি রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মুশকিল হলো আমার দাড়ি দিতে কিপটেমো করেছে প্রকৃতি। আমার কেবল থুতনিতে একগোছা দাড়ি আছে । ওগুলো লম্বা হবার পর নিজেকে ছাগলের মতোই লাগছে দেখতে। রুবিনা আমাকে দেখলে সত্যি সত্যি ছাগু বলেই ডাকতো হয়তো।


মন্তব্য

লাবণ্যপ্রভা এর ছবি

দিন বেশি দূরে নাই ওঁয়া ওঁয়া

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

কল্পনা থেকে নির্মম বাস্তবতা হতে বেশী দেরী হবে না আমরা এখনই সচেতন না হলে। কচুগাছ কাটতে কাটতে নাকি মানুষ কাটা হয়ে যায়, তেমনি---

দহন  এর ছবি

আপনার মতের সাথে একমত হতে পারলাম না। বাংলাদেশ অনেক স্বাধীন অনেক দেশের চেয়ে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা আমাদের দেশে অনেক বেশি। কিন্তু স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে তা রক্ষা করা কঠিন। আমরা তা রক্ষা করতে পারি নাই। অহেতুক বিতর্ক টেনে আনা আমাদের স্বভাব। কাউকে আঘাত না দিয়ে আমরা কথা বলতে পারিনা। কাউকে ছোট করে না দেখালে নিজেকে বড় মনে হয়না। আপনি আপনার লিখায় অনেক কিছুই ছোট করে দেখিয়েছেন। মানুষের জানা, বোঝা এবং সে অনুসারে কথা বলার মাঝে তার প্রকৃত শিক্ষা নির্ভর করে। কাউকে ছোট করে কথা বলে নিজেকে কখনো বড় দেখানো যায়না।

Emran  এর ছবি

এই কথাগুলি তেতুল শফিরে বলতে পারবেন?

সত্যপীর এর ছবি

এই লেখায় কাকে ছোট করা হইছে?

..................................................................
#Banshibir.

এক লহমা এর ছবি

"অহেতুক বিতর্ক টেনে আনা আমাদের স্বভাব।"
"কাউকে ছোট করে কথা বলে নিজেকে কখনো বড় দেখানো যায়না।"
এই মন্তব্যটির সম্পর্কে বলা হয়েছে, তাই না? পুরাই একমত।

"আপনি আপনার লিখায় অনেক কিছুই ছোট করে দেখিয়েছেন।"
এইটা ঠিক বুঝি নাই। এট্টুস বিস্তারিত করা হলে বুঝার সুবিধা হত।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

জনাব দহন -

"কাউকে আঘাত না দিয়ে আমরা কথা বলতে পারিনা। কাউকে ছোট করে না দেখালে নিজেকে বড় মনে হয়না। আপনি আপনার লিখায় অনেক কিছুই ছোট করে দেখিয়েছেন। "

আপনার ভাষায়ই বলি - আপনার মতের সাথে একমত হতে পারলাম না। কোন জিনিসটা ছোট করে দেখিয়েছেন একটু "টু দি পয়েন্ট" আইডেন্টিফাই করে দেবেন? ভাসা ভাসা ভাবে আলগা মন্তব্য করে গেলে তো আর হলো না, আপনাকে যুক্তিদিয়ে দেখাতে হবে আপনার মন্তব্যের সারকথা।

____________________________

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

দহন ভাইডি কি পুইড়া শ্যাষ?? এমরান /সত্যপীরের প্রশ্নের উত্তর পাইলাম না যে?

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

খুব সুন্দর লাগল। আমাদের এখন থেকেই সচেতন হতে হবে।
শুভেচ্ছা নিবেন।

রাসিক রেজা নাহিয়েন

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

ওগুলো লম্বা হবার পর নিজেকে ছাগলের মতোই লাগছে দেখতে। রুবিনা আমাকে দেখলে সত্যি সত্যি ছাগু বলেই ডাকতো হয়তো।

হাসি দেঁতো হাসি হো হো হো
মন খারাপ ওঁয়া ওঁয়া রেগে টং

মহামান্য শয়তান এর ছবি

আসিতেছে শুভ দিন আর বেশি দেরি নাই , আমি তো ভাই এখন থেকেই দাড়ি রাখা শুরু করছি , বাংলাস্তানে সবাইকে স্বাগতম মন খারাপ

অতিথি লেখক এর ছবি

সেদিন বেশি দূরে নাই, সবাই গাইবে 'আমরা সবাই ছাগু, আমাদের এই ছাগুর রাজত্বে! মন খারাপ

গান্ধর্বী

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

মন খারাপ

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

এক লহমা এর ছবি

খুবই সংগত আশঙ্কার কথা চমৎকারভাবে তুলে ধরা হয়েছে। চলুক

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

ট্যাগে গল্প ঠিকাছে? গল্প বইলা তো মনে হইল না মন খারাপ

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

দহন  এর ছবি

সত্যপীর সাহেব। আপনার তো অনেক লিখা। আপনার তো বোঝা উচিত কাকে ছোট করা হয়েছে। আমরা যখন বিতর্কিত হতে চাই, বা নিজেকে জনপ্রিয় করতে চাই তখনি ধর্মকে টেনে আনি। অথচ আমাদের দেশে এবং পাশের দেশের শত শত বাংলা ভাষাভাষী লেখক ধর্মকে পাশ কাটিয়ে নিজেদের লিখা লিখে গিয়েছেন এবং তারা অত্যন্ত জনপ্রিয়। আমাদের লিখায় ধর্ম নামক বিষয় কে আমরা কোন ভাবেই আলাদা করতে পারছি না। ব্যাপারটা এমন পর্যায়ে গেছে ব্লগ মানেই ধর্মের বিরুদ্ধে লিখা। ব্যাপারটা কি ঠিক? আপনার কাছে ধর্মের মিথ ঠিক মনে হতে না পারে, তাই বলে আপনি তো তাক্বে বলতে পারেন না খারাপ। ধর্মীয় গুরুরা কি কখনো অন্য ধর্ম বা তাদের অনুসারীদের তির্যক কোন মন্তব্য করেছেন? করেননি। কারণ তারা সঙ্কীর্ণ মনের ছিলেন না। আশা করি ব্যাপারটা আপনার কাছে পরিস্কার করতে পেরেছি।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।

সত্যপীর এর ছবি

আপনার দীর্ঘ ঘ্যানরঘ্যানর মন দিয়ে পড়লাম। নিচে দুইটা ছবি দিলাম, দেখেন। ১৯৭০ এর কাবুল আর ২০০০ সালের কাবুল। এর জন্য দায়ী ধর্মীয় ফ্যানাটিকের দল, লেখক সেই আশঙ্কাই ব্যক্ত করেছেন।

নাকি প্রথম ছবিটাই বেশরিয়তি?

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

অসাধারণ সত্যপীর। এভাবে আঙ্গুল দিয়ে না দেখালে অনেকের বুঝতে সমস্যা হয়।
আমি ছবি দুটোই সেভ করে রাখছি- অনেক অবুঝদের বোঝাতে কাজে লাগবে।

-নিয়াজ

নীড় সন্ধানী এর ছবি

আজব হইলাম জনাব। এইখানে আপনি ধর্ম পাইলেন কই। এই গল্পের কোনা কাছায়ও ধর্মের কিছু নাই। এখানে যা আছে সব অধর্ম। ফেসবুক, ব্লগ, ইউটিউব, চ্যাট, মোবাইল, প্রেম ইত্যাদির উপর আজাব নাজিল করা হইছে সেই বিষয়ে গল্পটা লেখা হইছে। এমনকি তেতুল কিংবা আচার বিষয়েও কিছু লেখা হয়নি। তবু কাউকে বড় বা ছোট করা হইছে কেমনে বুঝলেন?

শোনেন ভায়া। এমন দিনকাল পড়েছে আমি যাকে আলো বলি আপনি তাকে বলেন আঁধার। মুশকিল ওখানেই। যদি গল্পটা হতো 'অনাগত রোশনাই' নিয়ে, আপনি তাতে অবশ্যই আলো খুঁজে পেতেন। কিন্তু আপনার চোখে যা আগামীর রোশনাই, তা আমার কাছে ভয়াবহ অন্ধকার। সুতরাং ছোট করা বড় করা একটা ভ্রান্ত ধারমা!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

ধর্মীয় গুরুরা কি কখনো অন্য ধর্ম বা তাদের অনুসারীদের তির্যক কোন মন্তব্য করেছেন?

অ্যাঁ
না কইরা নতুন কোনও ধর্ম কেমনে প্রচার করছে?

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

জনাব দহন,

আপনি আবারও "টু দি পয়েন্ট" না বলে আলগা কথা বলে গেছেন। অনুগ্রহ পূর্বক স্পষ্ট করে বলুন।

ধর্মকে পাশ কাটিয়ে লেখা বা না লেখার সাথে জনপ্রিয়তার কোন সম্পর্ক আছে কি? আপনার বক্তব্য অনুযায়ী - "আমরা যখন বিতর্কিত হতে চাই, বা নিজেকে জনপ্রিয় করতে চাই তখনি ধর্মকে টেনে আনি" অর্থাৎ জনপ্রিয়তার জন্য ধর্মকে নিয়ে লিখছি। অথচ পরের লাইনেই বলছেন "আমাদের দেশে এবং পাশের দেশের শত শত বাংলা ভাষাভাষী লেখক ধর্মকে পাশ কাটিয়ে নিজেদের লিখা লিখে গিয়েছেন এবং তারা অত্যন্ত জনপ্রিয়"। তাহলে মানেটা কী দাঁড়ালো? জনপ্রিয়তার জন্য ধর্ম নিয়ে লেখাটা আবশ্যকীয় নয়। তাহলে ধর্মকে নিয়ে যিনি লিখছেন তিনি কি সত্যিই জনপ্রিয়তার জন্য লিখছেন?

"আপনার কাছে ধর্মের মিথ ঠিক মনে হতে না পারে, তাই বলে আপনি তো তাক্বে বলতে পারেন না খারাপ।" তাহলে বলি আপনার কাছে এই গল্পের অনুষঙ্গ ঠিক মনে হতা না পারে, তাই বলে আপনি তো তাকে বলতে পারেন না খারাপ।

আর "ধর্মীয় গুরুরা কি কখনো অন্য ধর্ম বা তাদের অনুসারীদের তির্যক কোন মন্তব্য করেছেন? করেননি।" ঠিক কথা। তাহলে আপনি কেন তাঁদের অনুসরণ করছেন না? কেন অন্য মতের একটা গল্পে তির্যক মন্তব্য করছেন? সঙ্কীর্ণ মানসিকতাটা কোথায় দেখা যাচ্ছে?

আশা করি ব্যাপারটা আপনার কাছে পরিস্কার করতে পেরেছি--------------

____________________________

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

ধর্মীয় গুরুরা কি কখনো অন্য ধর্ম বা তাদের অনুসারীদের তির্যক কোন মন্তব্য করেছেন? করেননি।

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

এক লহমা এর ছবি

দহন যে সমানে পাশ কাটাইতে আছেন আর হাবি জাবি গাল পাড়তে আছেন, আসল জ্বলুনিটা লাগল কোথায়?

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

নগণ্য সিং এর ছবি

পৃথিবীর সমস্ত ধর্মগুরু তার ধর্মের প্রচার শুরু করেন, অন্যান্য ধর্ম ভুল এবং ক্ষতিকর এই দাবি নিয়ে। এটা কি অন্যকে ছোট করা নয়? অথচ, একই কথা নিজের ধর্মের বিরুদ্ধে বললে গাত্রদাহ শুরু হয়ে যায়। এটা কী রকম বিচার?

আইলসা এর ছবি

অনাগত অন্ধকার নাম না দিয়া "আপকামিং বড় গনতন্ত্র" বললে সত্যকথন হইতো।

যাউকগা, পাকনামি না করি। দহন ভাইডি ওসামারে ছোট করছেন বইল্যা মাইন্ড খাইছে। ঠিক কইছি না, দহন ভাই।

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

ভয়ে আছি, খুব ভয়ে!

-নিয়াজ

দহন  এর ছবি

ভাইডিরা দেখি ধর্মের ওপর ব্যাপক খ্যাপা। যাইহোক আমি ওসামার লোক না, হেফাজত না, শিবির না। কিন্তু ধর্মের নামে কটাক্ষ পছন্দ করি না। আমার একটা বদগুণ হচ্ছে কাউকে ছোট করে কথা বলতে পারিনা। আমার লিখাকে কেউ কেউ ঘ্যানর ঘ্যানর বলেছেন। অর্থাৎ উনি জানেন না সম্মান দিয়ে কথা বলেও যুক্তি তর্ক উপস্থাপন করা যায়। হাঁটুর ওপর স্কারট পরার নাম যদি আধুনিকতা হয়, এবং ছালা পড়ে অন্ধকার হয়ে থাকার নাম যদি ইসলাম হয়, তাহলে আপনাদের অনুরধ করবো ইসলাম, এবং আধুনিকতার ব্যাপারে আরেকটু পড়াশোনা করার জন্য। আমি একজন মুসলিম হিসাবে ইসলাম শেখার চেষ্টা করি নিজে নিজে। অর্ধ শিক্ষিত বা অশিক্ষিত আলেমদের কাছে না। এইটুকু শিখেছি, দাড়ি রাখতে বলা হয়েছে, কিন্তু তাদেরকে ছাগু সম্বোধন করতে হবে এটা বলা হয়নাই। পর্দা করা বলতে প্যাকেট হয়ে বের হউয়া বোঝায় না।
আর লেখককে বলবো, আমাদের দেশ কখনোই ওই পর্যায়ে যাবেনা। আমাদের দেশে মুক্ত মনের সাহসী মানুষ অনেক বেশি। আমি শুধু বলতে চেয়েছি, ব্লগের লিখা গুলো কি ধর্মকে কটাক্ষ না করে, এবং একে পাশ কাটিয়ে লিখা যায়না?? আর আমি কখনোই কোন কথা পাশ কাটিয়ে যাই নাই। আপনারা ব্লগের লেখক, আপনাদের জ্ঞান অনেক। তাই সবটুকু বলার প্রয়োজন বোধ করিনাই। কেউ আমাকে যুক্তি দিয়ে বোঝালে আমি বুঝবো, এবং আমি কোন যুক্তি দিলে তা কেউ খণ্ডন করবে। অবশ্যই সে ভাষা মার্জিত হউয়া উচিত। কারো সাথে আমার বাক্তিগত কোন শত্রুতা নাই যে তাকে অসম্মান করে আমার কথা বলতে হবে।

এক লহমা এর ছবি

ভারী মজা ত, দহন জনাব! আপনি নিজের ইচ্ছা মত অন‌্যদের সমালোচনা করতে পারবেন আর, অন্য কোন লেখক ধর্ম নিয়া কটাক্ষ করলেই তারে খারাপ স্বভাব বলতে হবে! কেন, দুনিয়ার এত কিছু নিয়া কটাক্ষ করা যায়, জামা-কাপড় পরা নিয়া করা যায়, কে কি ভাবে লিখবে সেই নিয়া করা যায়, আর ধর্ম নিয়া কটাক্ষ করলেই রে রে করে উঠতে হবে! আপনার বাড়ির উঠানে গিয়া ত করে নাই! আপনি করেন না নিজের মনে বসে যত খুশী ধর্ম নিয়া পড়াশুনা, ভাল ত, সচলায়তনে এসে বাণী দেওনের কি দরকার! কি আর বলব, আপনার সমস্ত মন্তব্যগুলি থেকে থেকেই এমন সাঙ্ঘর্ষিক যে এগুলি নিয়ে কথা বলা মানে আরো কিছু অনুরূপ গোল চক্কর খাওয়া কথা ডেকে আনা। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আমাদের এই সব লেখা পইড়েন না।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

সত্যপীর এর ছবি

আবারও দীর্ঘ এবং অর্থহীন ঘ্যানর ঘ্যানর। ডিয়ার বালপাকনা দহন, স্কার্ট পরলে সমস্যা কি?

এক লাইনে উত্তর দেন।

..................................................................
#Banshibir.

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

প্রথম কথা - ধর্মের উপরে ক্ষ্যাপা নয়, ধর্মীয় গোঁড়ামীর উপরে ক্ষ্যাপা। এটা মন্তব্যগুলো পড়লেই বোঝা যায়। আর লেখায়ও ধর্মের উপরে কোন কটাক্ষ করা হয়নি, করা হয়েছে গোঁড়ামীর উপরে।

দ্বিতী্য়ত, "হাঁটুর ওপর স্কারট পরার নাম যদি আধুনিকতা হয়" - হাঁটুর ওপর স্কার্ট পরলে ক্ষতিটা কোথায়? যে যেটাতে স্বচ্ছন্দ বোধ করে, তাকে সেটা পরতে না দেয়ার বিপক্ষে কোন যুক্তি আছে কি?

তৃতীয়ত, "এইটুকু শিখেছি, দাড়ি রাখতে বলা হয়েছে, কিন্তু তাদেরকে ছাগু সম্বোধন করতে হবে এটা বলা হয়নাই" - ভাই একটু পরিস্কার করে বলবেন ইসলামে কোথায় দাড়ি রাখতে "আদেশ" করা হয়েছে, যেটা আমাদের দেশে হরহামেশা শোনা যায়? আশা করি আপনি ফরজ এবং সুন্নাতের পার্থক্য ভালো করেই বোঝেন। এ বিষয়ে এখানে দেখতে পারেন। দাড়ি নিয়ে এত কথা বলার পেছনে আমার উদ্দেশ্যও কিন্তু ঐ গোঁড়ামীটাকে দেখানো - আবার বলবেন না যে আমি দাড়ি রাখার বিপক্ষে বলছি। আমি শুধু এটুকু বলছি যে, যার যেভাবে রাখতে ভালো লাগে, তাকে সেভাবেই দাড়ি রাখতে (বা না রাখতে) দিন না।

"আমাদের দেশ কখনোই ওই পর্যায়ে যাবেনা। আমাদের দেশে মুক্ত মনের সাহসী মানুষ অনেক বেশি।" ধন্যবাদ আপনার আশাবাদের জন্য। আমিও এটাই বিশ্বাস করি।কিন্তু লেখকের লেখায় যে আশংকা প্রকাশ করা হয়েছে, তা কি অযৌক্তিক? বিশেষত কিছু দেশ যখন রয়েছেই জ্বলন্ত উদাহরণ হিসেব?

"ব্লগের লিখা গুলো কি ধর্মকে কটাক্ষ না করে, এবং একে পাশ কাটিয়ে লিখা যায়না?" আবারও বলছি ধর্মকে কটাক্ষ নয়, ধর্মীয় গোঁড়ামীকে কটাক্ষ করা হয়েছে। গোঁড়ামী দেখলে তাকে পাশ কাটিয়ে যাব কোন দু:খে? ভালো কিছুকে প্রশংসা করতে যেমন দ্বিধা করবো না, খারাপ বা অন্যায় কিছুর প্রতিবাদ করতেও তেমনি পিছপা হবো না।
ধন্যবাদ।

____________________________

হিমু এর ছবি

ব্লগে আইসেন না ভাই। খুব খারাপ জিনিস। বেহেশতী জেওর আর কাসাসুল আম্বিয়া পড়েন। ভালো লাগবে।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাইজান, আগা টু গোড়া আরো বার কয়েক পইড়া লন। এইবার তালগাছটা ছাইড়া পইড়েন, কেউ নিবো না।
আলাপ শুরু করেন যুক্তি তর্ক দিয়া বুঝবেন আর মনে মনে ভাবেন আমার ত্যানা আমি প্যাচামু, যেমনে খুশি সেমনে প্যাচামু তাইলেতো বিপদ। জাইগা জাইগা গুমাইলে ঘুমথে ক্যামনে উঠবেন?

নগণ্য সিং এর ছবি

দহন, আপনি লিখেছেন, আপনি কাউকে ছোট করে কথা বলতে পারেন না। অত্যন্ত মহৎ গুণ। কিন্তু, স্কার্ট পড়াকে কটাক্ষও করলেন, বোরকাকেও ছালা বললেন, এটা কেমন গুণের পরিচয়? না, স্কার্ট পড়া আধুনিকতা না, আধুনিকতা হলো, সেচ্ছায় যে যা পড়তে চায়, সেটা স্কার্ট বা বোরকা যাই হোক তাকে তা পড়তে দেয়া। আর কেউ যদি জোর করে সেটা করতে দিতে না চায়, তাহলে তার প্রতিবাদ করাটা কি অন্যায়? এই লেখাটায় তো সেটাই বলা হয়েছে। ধরেন, আপনি দাড়ি রাখেন। কেউ যদি আপনাকে দাড়ি না রাখতে দেয়, আর আপনি যদি তার প্রতিবাদ করেন, সেটা কি দাড়ি না রাখনেওয়ালাদের ছোট করা হবে?

আর শোনেন, কেউ এখানে ধর্মকে কটাক্ষ করে নাই। আপনার মত আধ-পাগলারাই ধর্মের বারোটা বাজান। এ দেশে আজ পর্যন্ত কাউকে ধর্ম পালন করার জন্য অত্যাচার করা হয়েছে? কিন্তু ধর্ম পালন না করার জন্য, কিংবা ভিন্ন ধর্মের হওয়ার কারণে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হতে হয়।

ধুসর জলছবি এর ছবি

মন খারাপ মন খারাপ

অতিথি লেখক এর ছবি

দহন সাহেবের ত্যানা প্যাচানো কথাগুলো অনেক ধৈর্য নিয়ে পড়লাম।প্রথম কথা আপনি ক বললে কলা বুঝে যান তাই এই গল্পের মূল সারমর্ম আপনি বুঝে উঠতে পারেননি।এই গল্পে কোথাও ধর্মকে কটাক্ষ করা হয়নি,কোন জায়গায় কটাক্ষ করা হয়েছে,কাকে ছোট করে কথা বলা হয়েছে একটু ধরিয়ে দিতে পারবেন?পারলে একলাইনে উত্তর দিয়ে দিবেন,প্যাচানোর কোন দরকার নেই।গল্পটাতে ধর্মকে নিয়ে আসা হয়নি,আপনার মতো অতিবেশি অনুভূতিওয়ালা পাবলিক অকারনে সবখানে ধর্মানুভুতি কে নিয়ে আসেন।এখানে এসেছে অন্ধ ধর্মান্ধবাদ,অন্ধ ধর্মান্ধবাদ মানে ধর্মকে গালি দেওয়া নয়।এখানে এসেছে আমাদের অন্ধকার পথের যাত্রার কথা।আমি হেফাজত/জামাত বিরোধী বললেই আপনি প্রগতিশীল মুক্তমনা মানুষ হয়ে গেলেন না।আপনি যদি হেফাজতে জামাত বিরোধী হয়েই থাকেন তাহলেতো এই গল্প আপনার বুঝার কথা,হেফাজত যা চেয়েছে তার ভবিষৎ বাস্তব সমাজ কে নীড় সন্ধানী ভাই দেখিয়ে দিলেন।হেফজাতে জামাত ক্ষমতায় এলে দেশ এমন হবে কি এর চেয়ে কম হবে/বেশি হবে সেই তর্ক হতে পারে,কিন্তু আগ বাড়িয়ে ধর্ম আসবে কেন।হেফাজতে জামাত মানেইতো ইসলাম না,তাদের বিরুদ্ধে কথা বললেই কি ধর্মের কটাক্ষ হয়ে যায়?
শুনেন আপনাকে ছো্ট্ট একটা উদাহারন দিয়ে শেষ করি,গ্যালিলিও যখন বলেছিলো পৃথিবী সদা ঘূর্নয়মান,তিনি ধর্মের বিরুদ্ধে কিছু বলেননি,কারো ধর্মের নাম ধরে গালিও দেননি, ওনি সত্যটা বলেছেন।কিন্তু ধর্ম যাজকরা সেটাকে ধর্ম বিরোধী আখ্যা দিলো,তারপরের গ্যালিলিওর পরিনতির কথা আপনি জানেন আশা করি।আপনি ও ঠিক তেমনি আজকের এই গল্পটাকে ধর্মানুভুতির বিপক্ষে দাড় করিয়ে দিলেন ।অকারনে নিয়ে আসলেন ধর্ম তত্ত্ব।আপনাদের যখন এতো প্রখর অনুভুতি তাহলে ভাই ব্লগে আর আইসেন না,ব্লগে শুধু ধর্মকে কটাক্ষ করা হয় আপনার মন্তব্য আপনার অজ্ঞতাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।ব্লগ ছাড়া আপনি কোথায় দেখেছেন এতো বিচিত্র বিষয়ে মুক্ত আলোচনা,কি নেই ব্লগে রাজনীতি,প্রকৃতি,শিল্প,সাহিত্য,সংগীত,ভ্রমন,আর ব্যাক্তি অভিজ্ঞতা তারপর ও আপনার ধর্ম ছাড়া আর কোন কিছু চোখে পড়ে না?চোখটাকে চারিদিকে রাখতে শিখুন।

মাসুদ সজীব

এক লহমা এর ছবি

একমত চলুক

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

Areefin  এর ছবি

বাবা দহন কিরাম আছো?তোমারে কাবুলে দাওয়াত দিলাম,তোমার বসবাসের সঠিক জায়গা হইলো কাবুল।

কল্যাণ এর ছবি

হ ঠিকাছে।

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।