হটমেইল- ইয়াহুর সিঁড়ি বেয়ে জিমেইলঃ তারপর, গুগল তুমিও!

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: শনি, ২৩/০৫/২০১৫ - ২:১৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আরো অনেকের মতো আমারো ইন্টারনেট মেইলে যাত্রা শুরু হটমেইলকে দিয়ে। হটমেইলে আমি প্রথম কাকে চিঠি লিখেছিলাম আজ মনেও নেই। কিন্তু এটা নিশ্চিত যে সেই চিঠি প্রাপক আমার কাছের কোন মানুষ ছিল না। অফিসের কোন কলিগ, সম্ভবতঃ বিদেশী কলিগ কাউকে লিখেছিলাম হয়তো। দীর্ঘদিন ব্যবহার না করাতে একাউন্ট সাসপেণ্ড হয়ে গিয়েছিল বলে হটমেইলের সবকিছু মুছে গেছে তাই মনে পড়ে না কোথায় প্রথম লিখেছিলাম।

কিন্তু এক্ষণে সাবির ভাটিয়ার কথা মনে পড়লো। ভারতীয় এই ছেলেটা ২৮ বছর বয়সে হটমেইল চালু করে বিশ্বব্যাপি তোলপাড় করে ফেলেছিল। তখনো মাইক্রোসফট হটমেইলের মালিক হয়নি। এক সময় বিল গেটস ৪০০ মিলিয়ন ডলারে হটমেইল কিনে নেন। তখন থেকে হটমেইলের নতুন যাত্রা। ২ মেগাবাইটের হটমেইলে তখন কয়টা চিঠি পাঠানো যেতো এখন ভাবা যায়?

আমি ২০০০ সালের হটমেইলকে মিস করি। যে হটমেইল থেকে একদিন ইনস্ট্যান্ট মেসেঞ্জারও বের হয়েছিল চ্যাট করার জন্য। হটমেইলের চ্যাট ইনস্টল হবার পর বুঝতেছিলাম না জিনিসটা দিয়ে কার সাথে কথা বলবো। তার আগে আইআরসি চ্যাটের খানিক অভিজ্ঞতা ছিল, আর ছিল বুলেটিন বোর্ডে মেসেজ চালাচালির খুবই সামান্য অভিজ্ঞতা। IRC চ্যাট আমাকে টানেনি কেন যেন। কিন্তু ব্যক্তিগত চ্যাটাচেটি কি জিনিস সেটা বুঝতে পারছিলাম না। কেউ ছিল না যার সাথে চ্যাট করা যায়।

একদিন এক বন্ধুকে পেয়ে যাই। দক্ষিণ আমেরিকার পেরুর এক বন্ধু, পেশায় ডাক্তার। জাপানী ভাষা শিক্ষার ফোরামে তার সাথে পরিচয়। সে নিয়মিত মেইল দিত, আমিও দিতাম। আমার তখন নতুন নতনু দেশ সম্পর্কে জানার নেশা। এশিয়া আফ্রিকা থেকে দক্ষিন আমেরিকা পর্যন্ত আমার জিওগ্রাফিক্যাল আগ্রহ ছিল। যেহেতু অনলাইনে আর কোন বন্ধুর এই মেসেঞ্জার ছিল না, তাকেই বললাম একদিন। বলতেই সে রাজী হয়ে গেল। তখন আমরা বন্ধুরা মিলে একটা ফোন ফ্যাক্স ইন্টারনেট মোবাইল ইত্যাদির একটা সেন্টার খুলেছিলাম। মূলত অফিস থেকে ফিরে আমাদের ষোলজনের আড্ডার জায়গা। রাত দশটা পর্যন্ত আড্ডা শেষে সবাই বাড়ি ফিরতাম। বাসায় তখনো কম্পিউটার নেই আমাদের। ওই সেন্টারে সবাই একটা কম্পিউটারেই কাজ করতাম। আমি সেই বন্ধুকে আগেই জানিয়েছিলাম কটার সময় চ্যাটে আসতে হবে। লগ ইন করে দেখি সে অনলাইনে। এখনো মনে পড়ে জীবনে প্রথম কাউকে অনলাইনে দেখে খুশীতে আটখানা বা দশখানা! যেন এক ক্লিকে দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন জঙ্গল ছুয়ে দিয়েছি।

তাকে নক করে বললাম, হাই। সেও বললো, হাই। তারও আগে চ্যাটের অভিজ্ঞতা ছিল না। দুজনের প্রথম অভিজ্ঞতা হওয়ায় সেকি মুগ্ধতা। এই প্রান্তে আমি একটা শব্দ টাইপ করছি আর সেই শব্দটা পৃথিবীর অন্য প্রান্তে বসে লাইভ দেখছে আরেকজন। আমি বন্ধুদের ডেকে গর্বের সাথে বললাম, দেখ আমি কত দূরের বন্ধুর সাথে চ্যাট করতে পারি। বন্ধুদের কারোরই তখনো হটমেইল বা কোন মেইল আইডি ছিল না। তারা অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকলো আমার কৃতিত্বে। (শুনলে এখন হাসতে হাসতে বিষম খাবে লোকে। কিন্তু সেটাই তখনকার বাস্তবতা। মাত্র দেড় দশক আগে)

মাইক্রোসফটের স্বর্নযুগ তখন। যা কিছু ভালো, তার সাথে মাইক্রোসফটের আলো। কিন্তু একদিন সেই ‘ভালো’ মাইক্রোসফট বিজ্ঞাপনে হারিয়ে যেতে শুরু করলো। এনিমেটেড বিজ্ঞাপন আর হাবিজাবিতে নর্দমায় পরিণত হলো এমএসএন এর সমস্ত প্রোডাক্ট। ভোক্তার রুচি আর চাহিদা বুঝতে পারেনি মোটা দাগের লোভ করতে গিয়ে। মাইক্রোসফটের সাইটে ঢুকলে রীতিমত বমি পায় বিজ্ঞাপন রুচির স্থুলতায়। এত বিরক্তিকর হতে পারে কোন সাইট!!

তবে এর মধ্যে আরো এক জায়ান্ট এসে গিয়েছিল। ইয়াহু!

প্রথম দিকে ইয়াহুতে ভীষণ মুগ্ধ। কয়েক বছর ধরে রাজত্ব করলো জেরী ইয়াং এর ইয়াহু। আমি হটমেইল ছেড়ে ইয়াহুতে তরী ভেড়ালাম। তখন ইয়াহুর মেইল, চ্যাট সবকিছুই আধুনিক এবং হটমেইলের চেয়ে সুন্দর। তাদের সার্চ ইঞ্জিনও বেশ কাজের।

যখন ইয়াহুতে ভালো লাগা ভর করেছে, নির্ভর করতে শুরু করেছি তাদের অনেক কিছুতে, তখন ক্যালিফোর্নিয়াতেই নীরবে বেড়ে উঠছিল আরেকজন। শুধু সার্চ করার জন্য তার কদর বাড়ছিল। সার্চের জনপ্রিয়তার সিঁড়ি বেয়ে একদিন সে জানালো, গুগল এখন থেকে মেইল সার্ভিস দেবে সীমিত কিছু লোকের জন্য। শুধু নিমন্ত্রিত অতিথিরাই মেইল পাবেন।

জিমেইলের নিমন্ত্রন পেতে কতজনের কত আকুলতা। আমাকে কে দিয়েছিল জানি না। কিন্তু জিমেইল শুরুর এক মাসের মধ্যে আমি আইডি খুলেছিলাম মনে আছে। নিজের নামে খোলার সুযোগ ছিল তখন। তবু কেন জানি নিজের নামটা পরিহার করে অন্য আইডি নিলাম যেটা হটমেইলে ছিল। সময়টা সম্ভবত ২০০৪ সালের মাঝামাঝি। যদিও নীরবে আবির্ভূত হয়েছিল জিমেইল, কিন্তু সাইজটা ছিল চমকে দেবার মতো। যেখানে হটমেইল কোনমতে ২ মেগা দেয় ইয়াহু দেয় ৪ মেগা সেখানে তৃতীয় জনের দেবার কথা বড়জোর ৮ মেগা বা ১০ মেগা। কিন্তু যখন গুগল ১০০০ মেগার ঘোষণা দিল তখন ব্যাপারটা অবিশ্বাস্যই লাগলো। আমি যেদিন জিমেইলে প্রথম ঢুকলাম সেদিনই বুঝে নিলাম আজ থেকে হটমেইল আর ইয়াহু একাউন্টের কবরের ভিত্তিপ্রস্তর তৈরী হলো।

বুঝলাম, এতকাল ধরে ইন্টারনেট ব্যবহার করে আসল জায়গায় পৌছালাম। ধরেই নিলাম আমার শেষ প্রেম জিমেইল। আর কোথাও যাবো না আমি। জিমেইলের সবকিছুই সুন্দর। জিমেইল কখনো বিরক্ত করে না ইউজারকে। বছরখানেকের মধ্যেই হটমেইল, ইয়াহুকে কিক আউট করে জিমেইলে ডুবে গেলাম।

কিন্তু আরো এক যুগ পার হবার পর এই সময়ে এসে গুগল একটু অদ্ভুত আচরণ শুরু করলো। গুগলের প্রোডাক্টগুলো বরাবর ছিল নীরব। ভোক্তাকে কখনোই বিরক্ত হতে হতো না। কিন্তু গত দুবছর ধরে গুগল হাবিজাবি কতগুলো প্রোডাক্ট এনে ঝামেলা পাকাতে শুরু করেছে। এমনকি মেইলে ক্লিক করলেও সরাসরি না খুলে আমাকে নিয়ে যায় অন্যখানে। জোর করে তাদের শ্লোগান বিজ্ঞাপন গেলাতে শুরু করে।

দেখে মনে হয় এখানে কোন মাইক্রোসফটের বিজ্ঞাপনলোলুপ এক্সিকিউটিভ যোগ দিয়েছে। যেটা মানুষকে বিরক্ত করতে শুরু করেছে। সত্যি বলতে জিমেইল এখনো আমার প্রিয় হলেও গুগল প্লাস, হ্যাং আউট ইত্যাদির উপর আমি চরম রকমের বিরক্ত। এরকম চলতে থাকলে কিছুদিন পর আমাদের নতুন প্রোডাক্ট খুজতে হবে। বলতে হবে, ভিক্ষা চাই না কুত্তা সামলান।

সুতরাং গুগল ভায়াকে বলছি, সামলে চলো, নইলে তুমিও মাইক্রোসফটের মতো ভাগাড়ে পৌঁছে যাবে। যদি ভালো ইংরেজী জানতাম তাহলে গুগলকে একটা পত্র লিখে বলতাম-

Dear Googol,
I have no doubt that I luv you. I luv Gmail, I luv Google Search, I luv Google Drive, and I luv many things of Google.

BUT I Hate Google+, I Hate Hangout, It Annoyed me like Microsoft!

I want to open Gmail directly like before. I dont want to be bothered by the redirected page, suggestion, advertisement etc. Please don’t tell me how better or how sweet your Google+ or Hangout. I dont give a sh...t for ur new lovely products!! bla..... bla.....

কিন্তু ইংরেজী কি এত সহজ? তাই বাংলায় বলি-

ডিয়ার Google,
তোমার মধ্যে এখন অনেক অপছন্দের উপাদান, আগের তুমি এখন নাই, বদলে গেছো অনেক। তোমাকে পছন্দ করা একটা যন্ত্রণা, তবু তোমাকে আমি ভালোবাসতে বাধ্য হই কেননা আমার দ্বিতীয় বিকল্প নাই। কিন্তু খেয়াল রাইখো, মার্কেট ইজ ওপেন, আমার কাছে নতুন কেউ এসে যদি নিরুপদ্রপ মেইল সার্ভিস দেয়, আমি তোমার এতকালের প্রেমকে পশ্চাতে ফেলে সামনে চলে যাবো। হটমেইল নিয়ে দুষ্ট লোকে যা বলে তোমাকে নিয়ে তা বলুক আমি সত্যিই চাই না। হটমেইলের দুষ্টুকথা পড়ে দেখো এখানে http://uncyclopedia.wikia.com/wiki/Hotmail

এখনো সময় আছে। মতি ফেরাও........গতি সামলাও।

ইতি-
একজন খাঁটি ব্লগ টাইপার

[ব্লগরব্লগর লেখা কি এত সহজ? নতুন কীবোর্ডে লেখা তো আরো কঠিন। পুরোনো রাফখাতা থেকে কপি করে এডিট করতে গিয়েও রীতিমত হাঁপিয়ে গেলাম।]


মন্তব্য

স্পর্শ এর ছবি

ব্লগর ব্লগর ভাল হইসে।

গুগলে যে ব্যাপারটা সবচেয়ে আতঙ্কজনক সেটা হলো আউকে কোনো বিষয়ে মেইল করলে সংগে সংগে সেই বিষয়ক বিজ্ঞাপন হাজির হওয়া। এবং তা শুধু গুগলের সাইটেই নয়, দূর দুরান্তের সাইটেও দেখা যায় সকালে আমি যা নিয়ে কথা বললাম তার বিজ্ঞাপন!

জানি যে গুগল আমাদের মেইলগুলো পড়ার জন্যই আমাদেরকে ফ্রি মেইল সার্ভিস দেয়। তাই বলে এইভাবে মাত্রা ছাড়া কন্টেক্সট সেন্সিটিভিটি প্রয়োগ করে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলে রীতিমত আতঙ্ক লাগে।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

নীড় সন্ধানী এর ছবি

দূর দুরান্তের সাইটেও দেখা যায় সকালে আমি যা নিয়ে কথা বললাম তার বিজ্ঞাপন!

এইটা নিয়ে আমিও কিছুদিন আতংকে ছিলাম। কিন্তু উপায় নাই। সারাক্ষণ নজরবন্দী থাকার অনুভুতি নিয়েই আজকাল নেট ব্রাউজিং করি। এখানে প্রাইভেসি জিনিসটাই ভ্রান্ত ধারমা!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

এক লহমা এর ছবি

"এখানে প্রাইভেসি জিনিসটাই ভ্রান্ত ধারমা!" - হ। হাসি

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

দময়ন্তী এর ছবি

বিজ্ঞাপন হটাতে নিজের সিগনেচারে এই লাইনটা লিখে রাখেন। কোনও বিজ্ঞাপনের ঠাকুর্দাও আপনাকে বিরক্ত করবে না। হাসি

I enjoy the massacre of ads. This sentence will slaughter ads without a messy bloodbath.

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

নীড় সন্ধানী এর ছবি

আপনার এই সিগনেচার বাঁধিয়ে রাখলাম। সময়মতো ঝুলিয়ে দেবো। দেঁতো হাসি

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

দময়ন্তী এর ছবি

আমার প্রথম মেল ছিল ইউএসএ ডট নেট, তারপর হটমেল হয়ে ইয়াহু। হঠাৎ ইউএসঅ ডট নেট পেইড মেল হয়ে গেল। হটমেল আর ইয়াহু কিছুদিন ফ্রী চলে সবে অফার পাঠাতে শুরু করেছে যে পেইড মেলে অমুক তমুক সুবিধে দেবে, ততখানি বেশী জায়গা দেবে, এই করতে করতেই জিমেল মার্কেটে এসে গেল। ব্যাস জিমেলের এক থাপ্পড়ে সব পেইড মেলের গল্প ফুউউস।

বিজ্ঞাপন তাড়াতে আমি অ্যাডব্লক প্লাস ব্যবহার করি। আর জিমেলের সিগনেচারে ঐ ওপরে দেওয়া লাইনটা ঝুলিয়ে রেখেছি আজ ৭-৮ বছর হল। নো উৎপাত।

ভাল লাগল আপনার লেখাটা। অনেক অম্ল মধুর স্মৃতি মনে পড়ে গেল।

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

মন মাঝি এর ছবি

এমনকি মেইলে ক্লিক করলেও সরাসরি না খুলে আমাকে নিয়ে যায় অন্যখানে। জোর করে তাদের শ্লোগান বিজ্ঞাপন গেলাতে শুরু করে

মেইলের লগিন পেইজটা বুকমার্ক করে রাখুন এবং এরপর থেকে এই বুকমার্কে ক্লিক করেই মেইলে যান। রিডিরেক্ট বা স্লোগান / বিজ্ঞাপনকে বিদায় জানানোটা এতটাই জলবৎ তরলং!! দেঁতো হাসি

****************************************

নীড় সন্ধানী এর ছবি

ওইটা জানি। হাসি
কিন্তু আমার কথা হলো কেন আমাকে ওই যন্ত্রণা পোহাতে হবে? গুগলের এই বদলে যাওয়ার কারণ বিষয়ে ওদের অফিসিয়াল কিছু তথ্য জেনে বিরক্তবোধ করছি। এটা নিয়ে ক্যাচালে গুগলের একজন শীর্ষ কর্তা পর্যন্ত পদত্যাগ করেছে।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চলুক

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নীড় সন্ধানী এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

এক লহমা এর ছবি

চলুক হাসি

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

নীড় সন্ধানী এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

বিজ্ঞাপনের দুনিয়ায় একা থাকা বড় দায়

আমি জিমেইলের ভক্ত সেই ২০০৪ সাল থেকে, একজন জিমেইলের ইউজার ১০ জনকে মেইলের অনুরোধ দিতে পারে সেই সময় থেকে জিমেইলে আছি। আমি হ্যাঙ্গাউট আর গুগল প্লাস এর একাউন্ট (যেটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে জিমেইলের সাথে তৈরি হয়) মুছে দিয়েছি। গুগুও বহুত কইছিল, শুনি নাই দেঁতো হাসি মুছে দিয়েছি, এখন বেটার আছি জিমেইলে।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

কেমনে মুছলেন একটু খুলে বলেন তো! আমিও মুক্তি পেতে চাই। হাসি

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

জিমেইলে একাউন্ট সেটিংস থেকে আগে প্লাসে যেতে হবে, প্লাসের লম্বা প্রাইভেসি পলিসি অথবা একাউন্ট সেটিংস এর একদম নিচেয় একটা অপশন ছিল "ডিলিট দিস একাউন্ট" এরকম নামে। দুইবার পাসোয়ার্ড দিয়ে এবং কারন দর্শায়ে ডিলিট করেছি।

"আমার জিমেইল জীবন এখন ফুরফুরা" হাসি

নীড় সন্ধানী এর ছবি

অশেষ ধন্যবাদ ব্যাঙের ছাতা হাসি

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ইন্টারনেট ব্যবহার করা শুরু করেছি ১৯৯৬ সাল থেকে। হটমেইলের অ্যাকাউন্ট খুলেছিলাম '৯৬ বা '৯৭-এ। কিছু দিনের মধ্যে ইউএসএডটনেট, মেইলসিটি, রকেটমেইল, মেইলএক্সাইটে ইমেল অ্যাকাউন্ট খুলে একাকার করে ফেললাম। মেইলএক্সাইট অ্যাকাউন্টটা চালাচ্ছিলাম অনেক দিন ধরে। পরে তার নাম এক্সাইটমেইল হয়। এর মধ্যে হটমেইল আর ইয়াহু ছাড়া বাকি সব অ্যাকাউন্ট কালের গর্ভে হারিয়ে যায়। হটমেইলের বাড়াবাড়িতে তাকে বার বার ত্যাগ করতে হয়েছে। ইয়াহুতেই থিতু হতাম যদি জিমেইল না আসতো। জিমেইল এসে বাকিদেরকে নাই করে দিলো। তবু মাঝে মাঝে এক্সাইটমেইলের অ্যাকাউন্টটা চেক করে সচল রাখতাম। ভুল হয়েছিল যা সেটা হচ্ছে ওখান থেকে পুরনো মেইলগুলো অন্যত্র সরিয়ে না রাখা। তারপর বছর দুই আগে একদিন এক্সাইটমেইল চেক করতে দেখি আমার পুরনো সব মেইল তারা নাই করে দিয়েছে। আমি এক্সাইটের বিশ্বাসঘাতকতায়, শোকে স্তব্ধ হয়ে গেলাম।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

আপনার এক্সাইট মেইলের কথা শুনে মনে পড়লো ফাস্টমেইল বলে একটা জিনিস ছিল। সেটাও কিছুদিন ব্যবহার করেছিলাম। যথারীতি কদিন বাদেই পাসটাস ভুলে গেছি। এরপর সাইট জীবিত আছে কিনা খোঁজও করিনি। তবে কাজের কোন মেইল ছিল না বলে বাঁচা গেছে। এরকম উধাও হয়ে যাওয়াটা মারাত্মক। এখন ক্লাউড স্টোরেজগুলো নিয়ে সেই ভয়। ‌আমরা অনেকে ড্রপবক্সে দরকারী জিনিসপত্র আপ করে রাখি। কোনদিন সেটা যদি হাওয়া হয়, তাহলে সমস্যায় পড়ে যাবে অনেকেই।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

মেঘলা মানুষ এর ছবি

ড্রপবক্স গায়েব হয়ে যাবার সম্ভাবনা কম। ঐ গায়েব হয়ে যাওয়া সার্ভিসগুলো টাকা বানানোর পথ চিনত না। এখন ড্রপবক্স যে জায়গায় আছে, তারা টাকা পয়সা ভালোই কামাচ্ছে। ড্রপবক্সের এতটুকুন জায়গা নিয়ে আমি বিরক্ত। বক্স নামের আরেকটা সার্ভিসও ব্যব‌হার করছি এখন ড্রপবক্সের সাথে। ট্রাই করে দেখতে পারেন। ১০ গিগা জায়গা দেয় এরা।

শুভেচ্ছা হাসি

নীড় সন্ধানী এর ছবি

বক্স সার্ভিসের কথা শুনেছিলাম আগে। ট্রাই করে দেখতে হবে। ১০ গিগা তো খারাপ না। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। হাসি

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

জীবনযুদ্ধ এর ছবি

আই আর সি তে চ্যাট করতাম ২০০১ সালের দিকে। পরের দিকে দেখলাম দূরের বন্ধু খোজার চেয়ে এখানে মানুষ খুজতে ব্যাস্ত অন্য কিছু, যার জন্যে কথার শুরুটাই হতো, "ASL প্লীজ" এই দিয়ে

নীড় সন্ধানী এর ছবি

হ্যাঁ সেই সময় চ্যাটের শুরুটাই ছিল asl দিয়ে হাসি

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

সাফি এর ছবি

আমি জিমেইলের কড়া ভোক্তা এবং সমর্থক। আমার বাদ বাকি সব ইমেইল একাউন্টগুলোও আমি জিমেইল এই মধ্যে থেকেই ব্যাবহার করি। সেইসাথে জিমেইলে হ্যাংআউট অপশনটাও আমার খুবই প্ছন্দের এবং বহুল ব্যবহৃত। মাইক্রোসফ্টের এম এস এন ম্যাসেঞ্জার বা ইয়াহু মেসেঞ্জারের মৃতু্যর জন্য আসলে গুগুলের হ্যাং আউট(প্রাক্তন নামঃগুগুল টক) দায়ী। মাইক্রোসফ্টের লোভী এক্সিকিউটিভ না।

কোম্পানিকে টিকে থাকতে হলে কোন খাত থেকে আয় আসতে হবে, গুগুলের জন্য সেইটা বিজ্ঞাপন। গুগুলের ট্র্াকিং এ বিরক্ত হলে সেটা বন্ধ করার সহজ সমাধান আছে।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

গুগলের কড়া ভক্ত হয়েও আমি হ্যাং আউট আর গুগল প্লাসকে মেনে নিতে পারিনি কেননা ওগুলো জোর করে চাপিয়ে দেয়া মনে হয়েছে। সেই অ্যাপ্রোচটা গুগলসুলভ হয়নি। গুগলের মূল শ্লোগান হলো dont be evil. কিন্তু এই কাজটা শ্লোগানের বিপরীত হয়েছে। আমার চেনাজানার মধ্যে প্রায় সব গুগল ইউজার এটা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছে। গুগল টক বরং অনেক ভালো ছিল এই হ্যাং আউটের চেয়ে। আর সবচেয়ে বিরক্তিকর হলো সবকিছুকে গুগল প্লাস ছাতার নীচে নিয়ে আসার চেষ্টা। আমি ওটা না চাইলেও আমার ঘাড়ে চেপে বসে থাকবে। এ কেমন ব্যাপার। নইলে গুগলের বাকী সার্ভিসের কোন তুলনা হয় না। আমি গুগলের চেয়ে ভালো বিকল্প পাইনি বিশেষ করে ড্রাইভের ব্যাপারে।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

তানিম এহসান এর ছবি

চলুক

নীড় সন্ধানী এর ছবি

হাসি

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

রানা মেহের এর ছবি

হটমেইল আর ইয়াহু নিয়ে আমাদের বন্ধুদের কিছু জোক চালু ছিল।
খুবই লেইম অবশ্যি কিন্তু ওইসময় মজা লাগতো।

যেমন ছেলে বন্ধুরা বলতো, এই আমি এত হট আমাকে দেখলেই তোরা বলবি হট মেইল।
আমরা উত্তর দিতাম, আমরাও এমন দেখলে তোরা খুশিতে চিৎকার করে বলবি ইয়াআআআহু খাইছে

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

নীড় সন্ধানী এর ছবি

জোক হলেও কথা তো সত্যি দেঁতো হাসি

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

Sohel Lehos এর ছবি

২০০০ সালের শুরুর দিকে আমি সর্ব প্রথম ই মেইল একাউন্ট খুলে ছিলাম হট মেইলে। সেই একাউন্ট এখনও আছে। এটা এখনও আমার প্রাইমারী ই মেইল একাউন্ট। মাঝখানে অন্য অনেক ই মেইল আকাউন্ট খুললেও কোনটাই কেন যেন টেকেনি। মাঝে মধ্যে পুরানো ই মেইল ঘাটতে গিয়ে সেই শুরুর দিকের সেভ করা ই মেইলগুলো চোখে পড়ে যায়। আহারে সেই সব দিন গুলা!

সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।