মন, হাওয়ায় পেয়েছি তোর নাম

কনফুসিয়াস এর ছবি
লিখেছেন কনফুসিয়াস (তারিখ: বুধ, ০২/০৭/২০০৮ - ৬:২১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বড় হয়ে যাওয়াটা সবসময়ে ভাল কিছু নয়। বড় হতে হতে যেটা হয়, শৈশব আর কৈশোরের জমানো সব ঐশ্বর্যগুলো টপাটপ হারিয়ে যেতে থাকে। আমার প্রায়শই এই বলে ভ্রম হয় যে, রাজা সলোমনের চেয়ে আমি কোন দিক দিয়ে কম ঐশ্বর্যবান ছিলাম না। কখনও গোনাগুনতির সুযোগ পাইনি, মাথায়ও আসেনি যে হিসেব রাখতে হবে বা এরকম, কিন্তু যদি গুনে রাখতাম, কোন একটা পাতার শুরু থেকে শুরু করে, আমার অজস্র জমানো বা কুড়িয়ে পাওয়া ধন-সম্পদগুলোর প্রতিটির নামধাম লিষ্টি করলে, হয়তো, প্রায় মাইলখানেক লম্বা কোন তালিকা হয়ে যেত।
খেলতে খেলতে কালো রঙ্গের একটা কাঠি কুড়িয়ে পেয়েছিলাম একবার। ড্রাম পেটানোর জন্যে যেগুলো ব্যবহৃত হয় অনেকটা সেরকমই। কেমন করে যে এলো ওটা আমাদের বাড়িতে, তা ভেবে দেখার সময় হয়নি, কিন্তু ঐ লাঠি হাতে নিয়েই আমি হয়ে গেলাম জাদুকর জুয়েল আইচ। ওটা হয়ে গেল আমার জাদুর লাঠি। সারাদিনমান সেটাকে হাফপ্যান্টের কোমরে গুঁজে আমি ঘুরে বেড়াতাম, আর সুযোগ পেলেই সকলের চোখের আড়ালে মনের সুখে জাদু করে বেড়াতাম। আম্মার আলমারিটাকে ছুঁয়ে দিলেই সেটা হয়ে যায় যেন হীরে-মণিভরা সিন্দুক। অথবা আমাদের টিভিটাকে ছুঁয়ে দিলে তার ভেতরে দিয়ে দেখা যেত তেপান্তরের ঐ পারের কোন রাজকন্যার ঘুমিয়ে থাকা মুখ। সেই মুখ দেখে আমি আকুল, এদিকে আম্মা হয়তো খেতে ডাকছে, কিন্তু আমি তখন সেই জাদুর লাঠিকেই জীয়ন-মরণের কাঠি বানিয়ে সেই রাজকন্যার ঘুম ভাঙাতে ব্যস্ত।

আব্বা একবার কিনে দিল একটা দুরবীন। তারপরে আমাকে আর পায় কে? আমি তখন যুদ্ধরত কোন তুখোড় সেনাপতি। অথবা কখনও মতিউর কখনও ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর। আমাদের ঘরের পাশ থেকে উঁকি দিয়ে, কখনওবা বাড়ির দেয়ালের উপরে চেপে দুরবীন চোখে দেখে চলেছি দুরবর্তী পাকসেনাদের গতিবিধি। তারপর সেই দুরবীনই কানে লাগিয়ে শুনে চলেছি তাদের গোপন যুদ্ধপরিকল্পনা! এই যুদ্ধ-খেলার অন্যতম সঙ্গী হয়ে গেলো, কদিন পরেই, উপহার পাওয়া পিস্তল। সে সময় উঠানের পেঁপেঁ গাছটার আড়াল থেকে পাকসেনাদের উদ্দেশ্যে গুলি আর গ্রেনেডের বৃষ্টি ছুঁড়ে দিতাম।

কোন কোন রাতে, বাড়ির সামনের বিশাল দিঘীর এপাড়ে বসে ওপাশের পানিতে আলোছায়ার নাচন দেখতে থাকতাম আমি। সিমেন্টে বাঁধানো ঘাটে পিঠ দিয়ে আকাশে খুঁজে বেড়াতাম হান্টারের কুকুরটাকে। ততদিনে সাই-ফাই হজম হয়ে গেছে, ছুটে চলা দুয়েকটা তারাকে ভিনগ্রহীদের পাঠানো সিগন্যাল ভেবে নিয়ে কতদিন বিছানায় পাশ ফিরে শুয়েছি। পেঁপেঁ গাছের তিতকুটে পাতাগুলোকে চার-চারটে দিন পানিতে ভিজিয়ে রেখে দিয়েছি, পঞ্চম দিন সেটা থেকে টুথপেস্ট বানাবার আশায়। শার্লক হোমস পড়ে ছবি এঁকে এঁকে নিজেই একটা বর্ণমালা দাঁড় করিয়ে ফেললাম একদিন। তারপর সেটার মূল কপিটাকে পলিথিনে জড়িয়ে আমাদের পেয়ারা গাছটার সব থেকে উঁচু ডালে বেঁধে রেখে দিয়েছিলাম। লম্বা দিন নিজের বানানো ঐ বর্ণমালা দিয়ে খাতায় পাতায় হিজিবিজি লিখে গেছি অনেক।
"ডানপিটে" নাম দিয়ে নিজেই হাতে লেখা একটা পত্রিকা বের করেছিলাম ফোর এ পড়বার সময়। সেটার আমিই আঁকিয়ে, আমিই লেখিয়ে। কবিতা লিখতাম, কার্টুন বা ফিনলে চায়ের বিজ্ঞাপন, সবই ছিলো দারুণ উত্তেজনার।
লুকোনো রত্নভান্ডারের তাকে তাকে, এরকম হাজারো ঐশ্বর্য জমিয়ে চললাম আমি। বড় হতে হতে টের পাই, নতুন ঐশ্বর্যের ভিড়ে সেগুলোকে আর খুঁজে পাই না আর, হারিয়েই ফেললাম কি? ধুর!

ক্রমশ হারানোর তালিকাও বাড়তে থাকে। সেই পেঁপেঁ গাছ, জাদুর কাঠি, হরেক রকমের রঙ পেন্সিল, আমার ছোট্ট কবিতার ডায়রিটা- ছেলেবেলার সবগুলো রঙধনু স্মৃতির সাথে সাথে কোথায় যে হারিয়ে গেল সব।

আজ বড়বেলায় এসে হিসেবের খাতা খুলে অঙ্ক কষি। কুড়িয়ে পাওয়ার ঘরে দেখি ঝিলমিল করতে থাকে অনেকগুলো নাম, আর যেখানে তাদের দেখা পেয়েছি, সেই সচলায়তন।

আর বেশি বড় হতে চাই না আর, হারাতেও চাই না কিছু। রাজা সলোমনকে দান করে দিতে পারি আমার বাদবাকি সব ঐশ্বর্য, তবু শুধু এইটুকুই আমার হাতে থাকুক, সবসময়।


মন্তব্য

হাসান মোরশেদ এর ছবি

মন,মনরে আমার...
-------------------------------------
বালক জেনেছে কতোটা পথ গেলে ফেরার পথ নেই,
-ছিলো না কোন কালে;

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

আমি তখন যুদ্ধরত কোন তুখোড় সেনাপতি। অথবা কখনও মতিউর কখনও ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর।

আমরা ঐ বয়সে যেসব বীর যোদ্ধাদের কল্পনায় পেতাম, তারা সেই কোন সুদূর অতীতের - ইতিহাস বই থেকে উঠে আসা। হয়তো কেন ভিনদেশী বীর। আপনারা ভাগ্যবান। আপনারা খুব নিকট অতীত থেকে স্বদেশী বীরদের পেয়েছিলেন। আশেপাশে এমন মানুষও হয়তো পাওয়া সম্ভব ছিলো যাঁরা ঐ বীরদের পাশে থেকে লড়েছিলেন।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

কনফুসিয়াস এর ছবি

খুবই সম্ভব। আমার বাবাও মুক্তিযোদ্ধা।

-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

ফারুক হাসান এর ছবি

দারুণ নস্টালজিক লেখা। চলুক
----------------------------------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী-
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।

কনফুসিয়াস এর ছবি

আপনার কি খবর? দেশে গিয়ে দেখি একদম ডুব দিলেন।
মেইলটেইলও চেকান নাই মনে হয়।

-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

কনফুসিয়াস এর ছবি

ইয়া হাবিবি!
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

রায়হান আবীর এর ছবি

আমার খুব প্রিয় একটা গান। কিছু কিছু গান শুনলে অদ্ভুত ফাঁকা ফাঁকা অনুভূতি হয়। এইটা সে ধরণের একটা গান।

লেখাটাও গানের মতোই লাগলো। সুন্দর।
---------------------------------
জানিনা জানবোনা... কোন স্কেলে গাইছে কোকিল
গুনিনা আমি গুনিনা...কার গালে কটা আছে তিল

কেমিকেল আলী এর ছবি

দারুন লাগলো

শেখ জলিল এর ছবি

বেশ স্মৃতিকাতর পোস্ট। সাবলীল লেখা।

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

অতিথি লেখক এর ছবি

দারুণ লিখেছেন। পাঠককে শৈশবে ফিরিয়ে নিয়ে গেলেন।

~ ফেরারী ফেরদৌস

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

উদ্ধৃতি
আর বেশি বড় হতে চাই না আর, হারাতেও চাই না কিছু। রাজা সলোমনকে দান করে দিতে পারি আমার বাদবাকি সব ঐশ্বর্য, তবু শুধু এইটুকুই আমার হাতে থাকুক, সবসময়।
খুব ভালো লাগলো পুরো লেখাটিই। ধন্যবাদ।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

হায়... সচলায়তনে না এলে কি আপনার এরকম সুন্দর লেখাগুলো পড়তে পারতাম?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

কনফুসিয়াস এর ছবি

হাসি
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

তানবীরা এর ছবি

জটিল হয়েছে।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

গানটার জন্য আবারো ধন্যবাদ কনফুসিয়াস!
লিংক অথবা ডাউন লোড অপশন থাকলে ভালো হতো।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

কনফুসিয়াস এর ছবি

জুলিয়ান ভাই,
ডিরেক্ট ডাউনলোডের লিংক দিতে পারতাম, কিন্তু আসেন আপনাকে সিস্টেম বলে দেই।
www.esnips.com এ গিয়ে chandrabindu mon লিখে সার্চ দেন, লিংক পেয়ে যাবেন।
এমন করে অনেক গানই খুঁজে বের করতে পারবেন ওখান থেকে।
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

মুশফিকা মুমু এর ছবি

আসলেই ছেলেবেলার কত স্মৃতি কিভাবে যে হাড়িয়ে যায় মন খারাপ
আপনার লেখা পড়ে খুব ভাল লাগল চলুক , গানটাও দারুন, আগে কখনও শুনিনি, চিনতে পারলাম না শিল্পীকে।
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

অমিত আহমেদ এর ছবি

কলকাতার ব্যান্ড "চন্দ্রবিন্দু"-র গান। শিরোনাম "মন"। অ্যালবাম "জুজু"।


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

মুশফিকা মুমু এর ছবি

ওহ আচ্ছা! ধন্যবাদ, "চন্দ্রবিন্দু"-র নাম বেশ কয়েক জাগায় দেখলাম কিন্তু এই প্রথম এদের গান শুনলাম হাসি
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

কনফুসিয়াস এর ছবি

বিরাট মিস করতেছেন, যেমন করেই হোক শুনে ফেলেন।
আর যদি মেলবোর্নে আসেন কষ্ট করে, তাহলে সব এলবাম দিয়ে দিবো আপনারে, ফ্রি। হাসি
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

মুশফিকা মুমু এর ছবি

তাইলেতো আসতেই হয় দেঁতো হাসি
সিডিগুলো কিন্তু রেডি রাইখেন আমি কিন্তু এই কমেন্টের প্রিন্ট আউট সাথে নিয়ে আসবো, খাইছে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

অমিত আহমেদ এর ছবি

আহা এভাবে যদি শৈশবের কথা লিখতে পারতাম! আমাদের সময়ের শৈশব কি একই তারে বাঁধা? দুর্দান্ত লেখা।


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

কনফুসিয়াস এর ছবি

হুম, একতারেই বাঁধা নিশ্চয়।
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

এইসব লেখা শুধু ছুঁয়ে যায় না,নাড়িয়ে দিয়ে যায়।

---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

কনফুসিয়াস এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ।
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

শৈশব !
সেই যে আমার নানা রঙের দিনগুলি...
মন উদাস করা লেখা।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

কনফুসিয়াস এর ছবি

হাসি
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

আলমগীর এর ছবি

চন্দ্রবিন্দুর সব গান আপনার কাছে থাকবে ক্যামনে?
সব আমার কাছে হাসি
আমার গানের কালেকশন হারায়নি।

নচিকেতার নতুন তিনটা এলবাম নামাইলাম। জটিল, এক্কেবারে আলাদা কাহিনী।

কনফুসিয়াস এর ছবি

জুজু পর্যন্ত সবই আছে, তারপরে বেরিয়েছে কিনা জানি না।
নচিকেতা কোথায় পেলেন বলুনতো, আমিও নামিয়ে ফেলি।

-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

মুজিব মেহদী এর ছবি

আপনাদের আনন্দময় শৈশবের কথা শুনলে আমার খালি দুঃখ বাড়ে। কৃষিজীবী বাপের নয় সন্তানের একজন ছিলাম। কত যে না-পাওয়া নিয়ে বড়ো হয়েছি। হায়!

তবে ওই আমারও যে ছোটখাটো ঐশ্বর্য ছিল না, তা নয়। হাহাকারগুলোর পাশাপাশি কখনো হয়ত সেসব ঐশ্বর্যের কথাও লিখে উঠব।

ভালো লাগল আপনার লেখা।

................................................................
আমার সমস্ত কৃতকর্মের জন্য দায়ী আমি বটে
তবে সহযোগিতায় ছিল মেঘ : আলতাফ হোসেন

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

কনফুসিয়াস এর ছবি

মুজিব মেহদী,
আমিও যে সব পেয়েছি-ধরণের শৈশব কাটিয়েছি তা না। অনেক না পাওয়া থেকেই খুঁজে খুঁজে ঐশ্বর্য জমিয়েছি।
অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্যে।

-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।