শুদ্ধস্বর: ছাই অথবা ফুলকির রং

মাহবুব লীলেন এর ছবি
লিখেছেন মাহবুব লীলেন (তারিখ: শুক্র, ০১/০১/২০১৬ - ৬:০২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

২০০৪ সালে জফির সেতু আর আমার রক্ত দিয়া যে শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর শুরু হইছিল। এক যুগ পরে আহমেদুর রশীদ টুটুলের রক্তপাত দিয়া কি সেই শুদ্ধস্বর বন্ধ হয়ে যাবে?

দুই মাস ধইরা খালি এই প্রশ্নটা আমার মাথায় ঘোরে। তিনজনের মাঝে দুইজন রক্ত দান কইরা শুরু করছিলাম। তৃতীয়জন কি রক্ত ঝরাইয়া বন্ধ করবে শুদ্ধস্বর?

৮৯ সালে সিলেট এমসি কলেজের ক্লাস এগারোতে ভর্তি হওয়া ৩৩৪ ছাত্রের মাঝে জৈন্তার জঙ্গল থাইকা আসা গ্রামীণ এক ছাত্র আমি। আর শহরের অভিজাত স্কুল থাইকা আসা নাগরিক ছাত্র টুটুল। ঘনিষ্ঠ হইবার কোনো কারণ আছিল না আমাদের। কিন্তু হইল। কারণ ছোট ছোট লেখা নিয়া আমি তখন বড়ো সম্পাদকগো দরজায় দৌড়াই লেখা ছাপাইবার লাইগা। আর ছোট ম্যাগাজিনের সম্পাদক হইয়া বড়ো লেখকগো কাছে লেখার লাইগা ধর্ণা দেয় টুটুল...

বড়ো সম্পাদকরা ছাপায় না আমার লেখা। বড়ো লেখকরা লেখা দেয় না টুটুলের পত্রিকায়। এই ঘোর চক্করেই একদিন টুটুলের সাথে আমার এবং আমাদের সাক্ষাৎ হয়ে যায়। তার পত্রিকার নাম শুদ্ধস্বর। আমরা পাইয়া যাই পত্রিকা। টুটুল পাইয়া যায় লেখক...

শুদ্ধস্বর বড়ো হইতে থাকে আমাদের সাথে। তারপর একদিন হঠাৎ কইরা টুটুলের রাস্তা আমাগো থাইকা আলাদা হইয়া যায়। ঢাকায় আস্তানা গাইড়া গাড়ি বাড়ি সিনেমা ব্যবসায়ী টুটুল ঘোষণা দিয়া শুদ্ধস্বর লিটল ম্যাগাজিনের প্রকাশনা বন্ধ কইরা দেয়। তারপরে তার লগে আমাগো আর কোনো দৈনিক যোগাযোগ থাকে না। মাঝে মাঝে তার দামি গাড়ি কিংবা পয়লা যুগের মহামূল্যবান মোবাইল ফোনের বাজারমূল্যের সংবাদ পাই। তার বিয়ার নিমন্ত্রণ খাই। আর ঢাকায় গেলে তার বিলাসি অফিসে গিয়া হাজির হই দুই তিন পেগ বিদেশি বোতল গিলার লোভে...

রাস্তা আলাদা হইতে হইতে সংবাদেও ঘাটতি পড়তে থাকে। এককালে দূর থাইকা সংবাদ পাই টুুটুলের ব্যবসায় ধ্বস। গাড়ি উধাও। মদের লোভে অফিসে গিয়া শুনি সেই অফিস বহুকাল আগেই ছাইড়া দিছে সে...

এক সময় আমার প্রস্তুতি চলে পয়লা বই প্রকাশের। কাকতালীয়ভাবে একই সময়ে জফির সেতুও তার প্রথম বই প্রকাশের কথা ভাবে। জফির সেতু এমসি কলেজে আমাদের দুই বছর উপরের মানুষ হইলেও শুদ্ধস্বর লিটল ম্যাগাজিনের পয়লাযুগে জড়ো হওয়া মানুষদের সেও একজন...

পাণ্ডুলিপির প্রস্তুতি চলে আর দুইজনেই নিজের চ্যানেলে খুঁজি প্রকাশক আর আলাপের সময় কই ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে কবিতার বই করতে চাই। একটা আমার। আরেকটা আমার এক দোস্তের...

প্রকাশকরা এক কথায় কয়- হ। ঠিকাছে। কিন্তু তারপরে প্রকাশনার চাইতে বাজেটের হিসাব দেয় বেশি। কয় পুরা টেকা দেওয়া লাগব এডভান্স। ছাপা তদারকি করা লাগব। হাতে কইরা মেলায় বই নিযা যাওয়া লাগব। মানুষ ধইরা বই বিক্রি করা লাগব। এবং সর্বশেষ বিক্রি না হওয়া সব বই কান্ধে কইরা নিজের বাড়িতে নিয়া যাইতে হবে মেলার শেষে...
জফির সেতু কয়- তয় প্রকাশক কোন বালটা ছিড়ব শুনি?
আমি কই- দয়া কইরা আমাগো বইয়ে তার লগো ছাপার অনুমতি দেওয়া ছাড়া আর কিছু করব বইলাতো মনে হয় না...
সেতু কয়- সেইটাই যদি হয় তয় আমরা নিজেরাই নিজেগো একটা প্রকশনা খাড়া করাই না ক্যান?
আমি কই- সেইটা করব কেডায়?
সেতু কয়- টুটুল...

সেতুর লগে টুটুলের যোগাযোগ হইছে। টুটুল জানাইছে শুদ্ধস্বর নিয়া সে আবার ফিরতে চায়...
সেতু কয়- ছোটবেলার মতো লিটল ম্যাগাজিন হইয়া আর ফিরলে হইব না এখন। এখন ফিরতে হইব প্রকাশনী হইয়া....
আমি কই- হউক তাইলে। নিজেগোই না হয় একটা প্রকাশনা হউক। চলেন তাইলে শুদ্ধস্বরইে একটা প্রকাশনী বানাই...

ততদিনে ব্যাংকের লোনে একখান প্রিন্টারসহ কম্পিউটারের মালিক আমি। সিলেট ছাইড়া ঢাকায় বিনা ভাড়ায় থাকি এক দোস্তের বান্ধবীর বাসায়। সেইখানে সেতু আসে। টুটুল আসে। রাত্তিরের পর রাত্তির ধইরা আমি টাইপ করি; প্রিন্ট দেই। সেতু আর টুটুল দেখে প্রুফ। এরে তারে ধইরা জোগাড় হয় টেকা। প্রচ্ছদ হয়। পুরাণ ঢাকায় গিয়া কিনা হয় কাগজ। প্রেসে বইসা বইসা দেখা হয় ছাপা। তারপর বইয়ের বান্ডিল কান্ধে নিয়া টিএসসি থাইকা হাইটা গিয়া মেলায় ঢুকি টুটুল আর আমি। আমার বইয়ের নাম কবন্ধ জিরাফ। সেতুর বইয়ের নাম বহুবর্ণ রক্তবীজ...

দুইটা বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করি নিজেরাই। রক্ত দান কইরা। ব্যনারে লেখা থাকে- ‘দেহের রক্ত আর কবিতা ছাড়া মানুষকে দেবার অন্য কিছু নেই আমাদের...’

বসা আর বই রাখার জায়গা পাই লিটল ম্যাগাজিন চত্বরে ওবায়েদ আকাশের শালুকের স্টলে। দুই বছর পরে লিটল ম্যাগাজিন চত্ত্বরে শুদ্ধস্বর নিজেই স্টল পায়। আমার আর সেতুর বইয়ের পাশাপাশি আরো কিছু বই যোগ হয় শুদ্ধস্বরে। সব লিটল ম্যাগজিনের লেখকদের। ২০০৬ সালে কিছুই না বুইঝা আমি হাসান মোর্শেদের একটা মেইলের লিংকে গুতা দিয়া এক্কেবারে ডিরেক্ট সচলায়তনের সদস্য হইয়া যাই খালি নিজের নাম টাইপ কইরা। তারপর আর আমারে পায় কেডায়। লিটল ম্যাগাজিনের সকল আঁতলামি আর ক্ষুদ্রামি নিয়া যেইখানে যা দেখি সবখানে কামড়াই। এর মইদ্যে ২০০৭ সালের অক্টোবরে দেখি সমকামিতা নিয়া এস এম মাহবুব মুর্শেদের একটা পোস্ট: আপনি কি গে (বা লেসবিয়ান)?

পোস্টখান পইড়াই নিজের যাবতীয় মূর্খতা একখানে জড়ো কইরা বিধান দিয়া বসি: সমকামিতা কোনোভাবেই প্রাকৃতিক না....

মাহবুব মুর্শেদ ভদ্রলোক মানুষ। আমার মূর্খতার বিধান সে অস্বীকার যাইয়াও ভদ্রতা বজায় রাখে। কয়- দেখি অন্যরা এ বিষয়ে কী কয়? আমি আমার চাপা নিয়া আরো আগাই। তার একমাস পর দেখি সচলে একখান পোস্ট: সমকামিতা (সমপ্রেম) কি প্রকৃতি বিরুদ্ধ? একটি বৈজ্ঞানিক এবং সমাজ মনঃস্তাত্ত্বিক আলোচনা (পর্ব ১)। লেখকের নাম অভিজিৎ

লেখাটা খুটাইয়া খুটাইয়া পড়ি। মুর্শেদের পোস্টে আমার কমেন্টের উত্তরে সরাসরি ব্যাখ্যা। বারবার পড়ি। মূর্খতা করার লাইগাও লাইনগুলার মাঝখানে কোনো ফাঁক পাই না। কোনো কমেন্ট দেই না। বইসা বইসা ঝিমাই আর নেটে গুতাগুতি কইরা নিজের মূর্খতার বিশালত্ব আবিষ্কার করি। তার তিনদিন পরেই দেখি এই লেখার দ্বিতীয় পর্ব। আরো ডিটেইল। এইখানেও কিছু কই না। খালি খুটাইয়া পড়ি আর ঝিমাই। চাইর পাঁচদিন পরে আসে তৃতীয় পর্ব। এইবার মিন মিন কইরা সাহিত্যের বিদ্যা নিয়া গিয়া তাল মিলাইবার চেষ্টা করি। তার সপ্তাখানেক পরে আসে চতুর্থ পর্ব। এইবার ফাইনালি সিদ্ধান্ত নেই। মূর্খতার ঘাউড়ামি না কইরা এই লোকের কাছ থিকা শিখার চেষ্টা করা ভালো...

আর তার পরেই ফোন করি টুটুলরে- সচলায়তনে অভিজিৎ-এর লেখায় নজর রাখো। এই লেখাটার বই হওয়া দরকার। আর বইটা শুদ্ধস্বর থাইকা বইর হওয়া উচিৎ...

আজব ব্যাপার হইল চলবে কইয়া চতুর্থ পর্ব শেষ করলেও অভিজিৎ কিন্তু এই লেখার পঞ্চম পর্ব আর লিখেন না। তারপর ২০০৯ সালে শুদ্ধস্বর থাইকা বাইর হয় তার বই সমকামিতা...

অতদিনে শুদ্ধস্বর লিটল ম্যাগাজিনের ঘোর থাইকা বাইর হইয়া গেছে। সচলায়তন এবং অন্যান্য ব্লগে যারা লেখালেখি করেন তাগো অনেকেরই প্রথম বইয়ের প্রকাশক হইয়া উঠছে শুদ্ধস্বর। বাংলা ইউনিকোডে প্রকাশিত প্রথম দুইটা বই; সচলাতন সংকলন আর মুহাম্মদ জুবায়ের রনচাবর্লীও প্রকাশক শুদ্ধস্বর। আর অনিবার্যভাবেই আমার কম্পিউটারে চলে এইসব বইয়ের প্রি-প্রেস। বানান এডিটিং লেয়াউট আর আরো যতসব খটাখট কাম...

এর মাঝে প্রি-প্রেস স্টেজের কেরানিকামের লাইগা টুটুলের নিজস্ব একটা বাহিনি গইড়া উঠে। শুদ্ধস্বর বহুত বড়ো প্রকাশনী হইয়া যায়। অতিরক্তি বইয়ের চাপে বহুত উল্টাপাল্টাও হয় প্রকাশনায় আর ব্যবস্থাপনায়। রাগে অভিমানে সংঘাতে বহুত লেখক আর তাগো দ্বিতীয় বইয়ের লাইগা শুদ্ধস্বরের কথা ভাবেন না। তার উপরে বাংলা সাহিত্যের হরি-নারায়ণ-বিষ্ণুরা আইসা ভীড় করতে থাকেন শুদ্ধস্বরের দরজায়। কিন্তু হরি নারায়ণগো তো ভারও আছে। সেই যে পুরাণের রাজা বালি নিজের মাথা পাইতা চাইছিল নারায়ণের পায়ের ভার নিতে। শেষ পর্যন্ত ভারতো নিতে পারেই নাই; উল্টা নারায়ণের ভারে পাতালে সান্ধাইয়া মরতে হইছিল তার। শুদ্ধস্বর আর টুটুলের অবস্থাও সেই রকম হয়। ডুবতে থাকে...

২০১৪ বইমেলা শেষে শুদ্বস্বর প্রায় ভাইঙ্গা পড়ে। জফির সেতু আর প্রশান্ত মৃধা আপ্রাণ চেষ্টা করে শুদ্ধস্বররে টানার। শুদ্ধস্বররে কিছুটা টাইনা উঠাইতে পারলেও টুটুলরে উঠাইব কেডায়? টুটুল ততদিনে নিজেই ভাইঙা পড়ছে পুরাপুরি। গলায় দড়ি দিয়া মরার চিন্তা করে। সেতু আমারে ফোন করে- তুই বেটা ঘুমাস আর এইদিকে শুদ্ধস্বর ডোবে...

বোতলের অর্ধেক মদ গিলাইয়া আমি সরাসরি ঝাড়ি লাগাই টুটুলরে- আমার সবগুলা বই রাস্তায় ফালাইয়া শুদ্ধস্বর থামাইয়া দিবার কোনো অধিকার তোমার নাই। শুদ্ধস্বর থাকা লাগব। হাজার তিনেক লেখকের বইয়ের ঠিকানা এই শুদ্ধস্বর...
টুটুল একটা অদ্ভুত শর্ত দিয়া বসে আমারে- তুমি যদি মহাভারতটা দিতে পারো তয় ২০১৫ সালে শুদ্ধস্বর বইমেলায় যাবে...

মহাভারতের কাজ তখন আধা ভাঙা অবস্থায়। ২০১৬ কি ১৭ সালের টার্গেট নিয়া আগাইতেছিলাম আমি। কিন্তু টাল অবস্থায় হাতে মাত্র আড়াই মাস সময় নিয়া কইয়া বসলাম- ঠিকাছে...

২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে বহুত গোছানো প্রকাশনা নিয়া শুদ্ধস্বর মেলায় যায়। খুবই বাছাই করা বই। অভিজিৎ রায়ের শূন্য থেকে মহাবিশ^; সুহান রিজওয়ানের সাক্ষী ছিল শিরস্ত্রাণ কিংবা রণদীপম বসুর চার্বাকের খোঁজে’র মতো বই বাইর হয় এই বছর। অভাজনের মহাভারতও প্রকাশিত হয়। আর ফেব্রুয়ারির ২৬ তারিখ সন্ধ্যায় অভিজিৎ রায়ের হাত দিয়া মোড়ক উন্মোচিত হয় বাংলাদেশে সমকামী লেখকগো প্রথম কবিতার বই রূপঙক্তি...

রূপঙক্তির মোড়ক উন্মোচন কইরা কথা বলতে গিয়া হঠাৎ অভিজিৎ রায় বইলা উঠেন- ২০০৭ এ লীলেনের সাথে সমকামীতা বিষয়ে সচলায়তনে এক তর্কের রেশ ধরেই তৈরি হয় আমার সমকামীতা বই...

আমি হা কইরা তাকায়ে থাকি। মাহবুব মুর্শেদের পোস্টে আমার মূর্খতার রেশ ধইরা অভিজিৎ রায়ের চাইরটা পোস্ট আসছিল। কিন্তু সেই রেশ ধইরাই যে এই অসাধারণ বইয়ের জন্ম হইছে সেইটাতো আমি কল্পনাও করতে পারি নাই...

২৬ তারিখেই টুটুল জানায় অভিজিৎ রায় শুদ্ধস্বরের লাইগা পরবতর্তী বই করবেন মনস্তত্ত্বের উপর। এই বছরই বন্যা আহমেদের সাথে আমার সামনা সামনি প্রথম দেখা। ২০০৭-এ তার পিছু নিছিলাম বহুদিন তার বিবর্তনের পথ ধরে বইটার কিশোর উপযোগী ভার্সন তৈরির লাইগা। একবার ভাবছিলাম নিজেই বইটার কিশোর ভার্সন দাঁড় করাব। কিন্তু ঘাঁটতে গিয়া দেখি সেইটা করার মতো বিদ্যা আমার নাই। তারপর বহুদিন তা চাপা পইড়া ছিল। ২০১৫ সালে বন্যার লগে দেখা হইতেই আবার চাইপা ধরি। অবশেষে ২৬ ফেব্রুয়ারিতেই তিনি ঘোষণা করেন তার বিবর্তনের পথ ধরে বইটার একটা কিশোর সংস্করণ করবেন তিনি...

তারপর ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত্তিরের ঘটনা সবার জানা। বইমেলা থাইকা ফিরার পথে লেখার অপরাধে অভিজিৎ রায় নিহত। মারাত্মক আহত বন্যা আহমেদ...

মোল্লাগো একটা অভিযোগে বাংলা একাডেমি বই না দেইখাই মেলায় রোদেলা প্রকাশনীর স্টল বন্ধ কইরা দিছে এই বছর। সিদ্ধান্ত জানাইয়া দিছে যে আগামীতেও রোদেলা অংশ নিতে পারব না একুশের বইমেলায়। বেশিরভাগ প্রকাশক শুধু রোদেলার বিরুদ্ধেই যায় নাই; মিছিল কইরা রোদেলার প্রকাশকের ফাঁসি দাবি করছে মোল্লাগো সাথে সুর মিলাইয়া। বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি তাৎক্ষণিকভাবে বাতিল কইরা দিছে রোদেলার সদস্যপদ। আর তারপরে মাত্র যে কয়েকজন খাড়াইতে চাইছিল রোদেলার স্টল বন্ধের প্রতিবাদে। তাগোরে শাহবাগে কিংবা বইমেলায় খাড়াইতে দেয় নাই পুলিশ। একটা উড়া হুমকির প্রেক্ষিতে রকমারি ডট কম অভিজিৎ রায়ের সব বই তুইলা নিছে বিক্রির তালিকা থাইকা। শুদ্ধস্বার ঘোষণা দেয়- অভিজিতের বই প্রত্যাহারের প্রতিবাদে রকমারিতে শুদ্ধস্বরের আর কোনো বই যাবে না কোনোদিন। কিন্তু আর কোনো প্রকাশনী কয় না কিছু। উল্টা শুদ্ধস্বরের কিছু লেখক আইসা ঝাড়ি লাগায়- সমস্যা তো হইছে অভিজিতের বই নিয়া। সেইটার লাইগা শুদ্ধস্বরের সব বই রকমারি থাইকা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়া আমাগো ক্যান ক্ষতিগ্রস্ত করেন? ২৮ ফেব্রুয়ারি শুদ্ধস্বর যখন সকল প্রকাশকগো আহ্বান জানায় লেখক অভিজিৎ হত্যার প্রতিবাদে দশ মিনিট মেলার স্টল বন্ধ রাখতে। সেইখানেও সাড়া দেয় মাত্র কয়েকজন...

এইসব ঘটনায় অবাক হইবার কিছু নাই। কারণ চামড়া মেরুদ- আর ধান্দা; তিনটা জিনিসই মূলত অতি ব্যক্তিগত বিষয়। ব্যক্তিগত হিসাব নিকাশের পর এই তিনটা জিনিস বাঁচাইয়াই মূলত আমরা ঘোষণা দেই কারো লগে আছি কি নাই...

২০১৫’র মেলাতেই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রকাশনা আর পরবর্তী মেলার প্রসঙ্গগুলা প্রশ্নবোধক হইয়া পড়ে। যেইখানে মোল্লাগো হাতে চাপাতি। পুলিশের হাতে হ্যান্ডকাফ; সরকারের হাতে আইসিটি আইন আর সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মূল অবলম্বন মেরুদ-হীন দালালি সেইখানে হয়ত বই লিখতে পারে কেউ কেউ। কিন্তু প্রকাশনায় যাইব কেডা? রোদেলারে আর মেলায় ঢুকতে দিব না সেইটাতো বাংলা একাডেমি জানাইয়াই দিছে। এখন তো তিনারা এইটাও জানছেন যে জাগৃতি আর শুদ্ধস্বরও মোল্লাবিরোধী বইপত্র ছাপায়। তিনারা কি এই দুই প্রকাশনীরে একুশে মেলায় ঢুকতে দিবেন এর পরে?

বাংলা একাডেমি বুঝাইয়া দিছে মোল্লাগো খুশি রাইখা মেলায় আসতে না পারলে স্টল পাওয়া যাইব না আর। আর ৩১ অক্টোবর জাগৃতি আর শুদ্ধস্বরে একইসাথে আক্রমণ কইরা মোল্লারা বুঝাইয়া দিছে লাইনে আইসা সিধা হইয়া না চললে মেলা তো দূরের কথা। প্রকাশনাই বন্ধ...

জাগৃতির দীপন নিহত। তার প্রকাশনীর ভবিষ্যত হিসাব করা যায়। টুটুল কোনোভাবে বাইচা গেছে। কিন্তু শুদ্ধস্বরের ভবিষ্যৎ?

শুদ্ধস্বর কি খাড়াইতে পারব আর? প্রশ্নটা সেতুর। আমারও মাথায় প্রশ্নটা ঘোরে- যে শুদ্ধস্বরের শুরু হইছিল সেতু আর আমার রক্ত দিয়া। সেইটা কি বন্ধ হয়ে যাবে টুটুলের রক্তপাত দিয়া?

প্রায় দুইমাস এই ঘোরে থাকার পর উত্তরটা পাইয়া যাই আমি -না। একযুগ আগে টুটুল সেতু লীলেন; মাত্র তিনজন মানুষের হাতে শুরু হওয়া শুদ্ধস্বরের বন্ধু সংখ্যাও তো এখন তিন হাজারের বেশি। তয় শুদ্ধস্বর বন্ধ হইব ক্যান?


২০১৬.০১.০১ বিষুদবার


মন্তব্য

হাসিব এর ছবি

রোদেলা প্রকাশনীর প‍্যারাটাতে একটা লাইন বাদ গেছে। ঐ সময়টাতে বাংলাবাজারের কর্মচারী, মালিকেরা মিছিল করে রোদেলার প্রকাশকের ফাঁসি চাইছিলো। সরকার, হেফাজত যা করে ওগুলো নতুন কিছু না। এমনকি বাংলা একাডেমির পদক্ষেপও যে নতুন কিছু সেইটা আমি জোর দিয়ে বলতে পারবো না। তবে আমি মোটামুটি নিশ্চিত এর আগে প্রকাশকেরা বই প্রকাশের অপরাধে তাদের নিজেদের কারো ফাঁসি দাবি করে নাই।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

এইটা বাদ গেছিল। যোগ করে দিলাম। আরো দুয়েকটা ইনফো ভুল ছিল। ঠিক করে দিলাম

মুস্তাফিজ এর ছবি

চলুক

...........................
Every Picture Tells a Story

মাহবুব লীলেন এর ছবি

হ স্যার

দেবদ্যুতি এর ছবি

একযুগ আগে টুটুল সেতু লীলেন; মাত্র তিনজন মানুষের হাতে শুরু হওয়া শুদ্ধস্বরের বন্ধু সংখ্যাও তো এখন তিন হাজারের বেশি। তয় শুদ্ধস্বর বন্ধ হইব ক্যান?

চলুক

...............................................................
“আকাশে তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস”

মাহবুব লীলেন এর ছবি

শুদ্ধস্বরের লেখকের সংখ্যাই এখন কয়েক হাজার। পাঠক তো আছেনই;

কবির য়াহমদ এর ছবি

গত বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি টুটুল ভাই বলছিলেন, এখন থেকে শুদ্ধস্বর বছরে বাছাই করা ১৫/২০টি বই প্রকাশ করবে। সে গ্রুপ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তার বলা সে কথার যুক্তিতে বলছিলেন ভালো বই প্রকাশ করার পরিকল্পনার কথা।

এখন সেটা যদি বন্ধ হয়ে যায় তবে তা হবে দুঃখজনক এক ঘটনা।

এবার আর একবার চেষ্টা করে দেখুন কোনভাবে টিকিয়ে রাখা যায় কিনা। এটা দরকার, খুব দরকার।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

বন্ধ হইব না। নিশ্চিত। টিকে থাকবে এবং আগাবে। ধাক্কা সামলাতে হয়ত কিছুটা সময় লাগবে। কিন্তু চলবে

আহমেদ এর ছবি

শুদ্ধস্বরের আর 'খাড়াইতে' না পারার কারনটা কি শুধু মাত্র জংগীদের আক্রমন? প্রকাশক হিসাবে টুটুল সাহেবের অদক্ষতাও তো একটা বড় কারন হইতে পারে। শুদ্ধস্বরের তাবুতে মাথা ঢুকানো একাধিক লেখককে ফেসবুকে প্রকাশকের অদক্ষতা নিয়া রাগারাগি করতে দেখছি কয়েক বছর আগে। টাকাপয়সার হিসাব নিয়াই মনে হয় মন কষাকষি। শুদ্ধস্বরের বন্ধুরা প্রকাশকের এই অদক্ষতা দুর করতে পারবেন কি?

মাহবুব লীলেন এর ছবি

খাড়াইতে না পারা সাথে তো জঙ্গীদের কোনো সম্পর্ক নাই। জঙ্গীরা তো ফাইনালি শুয়াইয়া দিছে। আর ২০১২-১৪ তে ধ্বস নামার কারণ ভিন্ন; এক লাইনের তিন চাইরটা শব্দে সেইটা কিছুটা বলাও হইছে লেখায়...

০২
ব্যবস্থাপনা সমস্যা অস্বীকারের উপায় নাই। তা হইছে। অনেক ভুল হইছে ছাপায়। অনেকগুলা বই দ্বিতীয়বার ছাপাইতে হইছে ভুলের খেসারত দিবার লাইগা। লেখকদের রাগারাগি তো স্বাভাবিক। ছাপা হওয়া বইয়ে যদি প্রকাশনার ভুল বাইরায়; অথবা সময়মতো যদি প্রকাশিত না হয় তয় লেখকতো রাগারাগি গালাগলি করতেই পারে (একজন তো বইমেলায় আমার কলার ঝাকাইয়া চশমা পর্যন্ত ফালাইয়া ভাইঙা ফালাইছে)। অনিবার্যভাবে টেকা পয়সার কমিটমেন্ট্ওে উল্টাপাল্টা হইছে কিছু। কিন্তু এইসবের কোনোটার লাইগাই কিন্তু কোপ আসে নাই। কোন আসছে ভিন্ন কারণে...

০৩
ম্যানেজমেন্টের অদক্ষতা তো দূর করাই লাগবে। শুদ্ধস্বর তিনজন থাইকা তিন হাজারে পৌছাইয়া শিখছেও তো অনেক...

ফারাবী এর ছবি

প্রকাশনার 'খাড়াইতে' কি অর্থটাই মূল ভেজাল? লেখকের ত অভাব হবে না, পোস্টে বলা আছে। (প্রশ্নটা আসলে মূর্খতাবশত করা, এ বিষয়ে বিশেষ অজ্ঞতার দরুণ)

প্রতি বছর মেলায় গেলে শুদ্ধস্বরের স্টলে একটা ঢুঁ মারতেই হয় আমার। বইও কিনেছি অনেক। বিরাট এক শুণ্যস্থান রয়ে যাবে শুদ্ধস্বরের অনুপস্থিতিতে, এটুকুই বলবার আছে। আর জাগৃতি যদি মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে ত সেটাও পাঠক-সমাজের জন্য একটা বড় ক্ষতি।

শুদ্ধস্বর উঠে দাঁড়াক আবার, এই কামনাই করি।

শুদ্ধস্বরের

মাহবুব লীলেন এর ছবি

খাড়ানোটা মূল ভেজাল না। মূল বিষয়। বহু প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়। কিন্তু টিকতে পারে না। কারণ তারা গুদাম ভাড়া দিতে পারে না। কর্মী রাখতে পারে না। অফিস চালাতে পারে না। শুধু কয়েকটা ভালো বই নিয়া বসে থাকে...

০২

বইগুলা লেখকের কাছে কলিজার টুকরা। পাঠকের কাছে অতি মূল‌্যবান জিনিস। কিন্তু লেখকের লেখাকে পাঠকের হাত পর্যন্ত পৌছাতে হলে প্রকাশককে দোকান খুলে রাখতে হয়। বিজ্ঞাপন করতে হয়। কর্মচারির বেতন দিতে হয়। গুদাম ভাড়া রাখতে হয়...

হিসাব নিকাশে প্রকাশের পরবর্তী বিষয়গুলো মাথায় না রাখলেই ঝামেলা। বইয়ের বান্ডিল প্রকাশকের বারান্দায় পচে। লেখকের অভাব নাই সত্য। কিন্তু ভালো লেখকের ভালো লেখাটাকে ভালো বই করতে হলে একটা দীর্ঘ মেয়াদি ক্রিটিকাল রিভিউ/এডিটিং প্রসেসের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। তারপর পাঠককে জানাতে হয় বিজ্ঞাপন দিয়ে; এই সবই কেরানিকর্ম... এগুলা ঠিকঠাক মতো না চললে ভালো লেখাটা আর ভালো বই হয়ে ভালো পাঠকের হাতে পৌছায় না...

০৩
বাংলা একাডেমি রোদেলা প্রসঙ্গে বেশ কিছু বার্তা কিন্তু জানিয়ে দিয়েছে। রোদেলার স্টল খালি বন্ধ করেই দেয় নি। জানিয়ে দিয়েছে পরবর্তীতেও রোদেলা একুশে বইমেলায় স্টল পাবে না। রোদেলার অপরাধ বেদ্বীনি বই প্রকাশ (বাংলা একাডেমির কোনো বিশেষজ্ঞ রোদেলার বই পড়েন নি। মোল্লাদের কাছ থেকে জেনে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।) এখন যেহেতু বাংলা একাডেমি জেনে গেছে যে জাগৃতি আর শুদ্ধস্বরও বেদ্বিনী বই প্রকাশের অপরাধে অপরাধী; সেহেতু আমার মনে হয় না একুশের বই মেলায় এই দুই প্রকাশনী আর কোনোদিন স্টল পাবে

ফারাবী এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ, বিস্তারে বিষয়গুলো লেখার জন্য।

বাংলা একাডেমির এইসব ফাতরামির কথাও জানা হল। তাহলে কি বইমেলার জন্য আপনারা চেষ্টাও করবেন না?

মাহবুব লীলেন এর ছবি

চেষ্টা হচ্ছে

অতিথি লেখক এর ছবি

শুদ্ধস্বরকে আবার দাঁড় করাতে হলে তার কর্ণধার আহমেদুর রশীদকে প্রকাশ্যে, স্বাধীনভাবে, নিরাপদভাবে কাজ করতে দিতে হবে। কিন্তু সেটা কি সম্ভব? সেটা কি আদৌ আর কখনো সম্ভব?

নিরাপত্তার জন্য আহমেদুর রশীদ তো আরও আগে পুলিশের শরণাপন্ন হয়েছিলেন, কিন্তু তাতে কি তাঁর নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছিল? চাপাতির কোপ কি ঠেকানো গিয়েছিল? এখন তিনি প্রকাশ্যে কাজ করতে গেলে কে তাঁকে নিরাপত্তা দেবে? তাঁর ২ হাজার বন্ধুবান্ধব?

আবেগ নয়, যুক্তি দিয়ে বিচার করে সম্ভাবনা যাচাই করুন। এটা ১৯৭১ সাল নয় যেখানে শত্রু প্রকাশ্য, সুতরাং সাহসভরে যুদ্ধ নামলেই হয়। এটা ২০১৬ সাল - এখানে বন্ধুর বেশে আততায়ীর দল আশেপাশেই আছে, সুতরাং চাইলেও যুদ্ধে নামার উপায় নেই।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আহমেদুর রশীদের জন্য প্রকাশ্যে প্রকাশনা চালানোতে যেমন রিস্ক আছে; তেমনি সে যদি প্রকাশনা ছাইড়া মুদি দোকান দিয়া বসে; তাতেও তো রিস্কের পরিমাণ সমান। যেই কোপ মিস হইছে সেইটা তো তারা ফিরাইয়া দিতে আসবই...

বাইচা যখন গেছে আর বাইচা যখন থাকব তখন যেইটার লাইগা মরতে গেছিল সেইটা ধইরা বাচাই তো উচিত। অন্তত শুদ্ধস্বর কিংবা টুটুল নিজে তো বই প্রকাশরে অপরাধ মনে করে না...

০২
নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় নাই সেইটাতো প্রমাণিত। নিরাপত্তা চাওয়া হইছিল নিরাপত্তার ভরসায়। এখন তো বোঝা গেলো ভরসা কইরা লাভ নাই। নিরাপত্তা কে দেবে আর কোত্থেকে ব‌্যবস্থা করা হবে সেইটার থাইকা বড়ো কথা হইল চাপাতির নীচে তো আর দ্বিতীয়বার গলা পাইতা দেয়া যাবে না...

০৩
হ। বন্ধুবান্ধব। বন্ধুবান্ধব-লেখক-পাঠকরা শুদ্ধস্বরের বহুত বড়ো শক্তি। বহুত বড়ো আশ্রয়

০৪
আমিও কই এইটা ১৯৭১ না ২০১৬। এখন আততায়ীর দল যেমন আশেপাশে আছে; বন্ধুরাও আছে সারা বিশ্বে ছড়ায়ে। সুতরাং যুদ্ধটা করাই যায়

অতিথি লেখক এর ছবি

গত বই মেলায় শুদ্ধস্বর থেকে বেশ কিছু বই কিনেছিলাম। কয়েকটা বই বেশ ভালো লেগেছিল। এই দেশে অনেক কিছুই শেষ পর্যন্ত নষ্টদের অধিকারে যেতে দেখেছি, তবুও ছোট্ট একটা প্রতাশা করি। প্রতাশা করি আগামী বই মেলায়ও শুদ্ধস্বর থেকে বই কিনতে পারব। আরো বড় ক্যানভাসে ভাবলে-আমি চাই শুদ্ধস্বর আরো অনেক বড় হোক এবং মানসম্মত নতুন লেখকদের ভরসার জায়গা হয়ে উঠুক।

- আতোকেন

মাহবুব লীলেন এর ছবি

ধন্যবাদ আশাবাদের জন্য

মেঘলা মানুষ এর ছবি

শীত নিদ্রায় ছিলাম প্রায় মাস ছয়েক, সচলে ঢুকেই দেখি আপনার লেখা। সাথে আছি‌ আওয়াজটা দেবার জন্যই লগইন করলাম। ছাইয়ের রং আমাদের পছন্দ না।

শুদ্ধস্বরের বই কেনার জন্য আমরা ব্লগ অপড়ুয়াদের উৎসাহিত করতে পারি।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

ভরসা দেবার জন্য ধন্যবাদ

এক লহমা এর ছবি

গুরু গুরু

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

মাহবুব লীলেন এর ছবি

ধন্যবাদ

নাশতারান এর ছবি

এইসব ঘটনায় অবাক হইবার কিছু নাই। কারণ চামড়া মেরুদণ্ড আর ধান্দা; তিনটা জিনিসই মূলত অতি ব্যক্তিগত বিষয়। ব্যক্তিগত হিসাব নিকাশের পর এই তিনটা জিনিস বাঁচাইয়াই মূলত আমরা ঘোষণা দেই কারো লগে আছি কি নাই...

মেরুদণ্ড থাকলে না বাঁচাবে?

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আছে তো প্লাস্টিকের মেরুদণ্ড

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

চলুক

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

মাহবুব লীলেন এর ছবি

ধন্যবাদ

ঝিঁ ঝিঁ পোকা এর ছবি

চলুক

অনার্য তাপস এর ছবি

বহুত ক্রিটিক্যাল! তয় যুদ্ধটা করাই দরকার। নইলে আমরা আমপাঠক কই যামু?

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

সোহেল ইমাম

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।