অভিজিৎ হত্যাকাণ্ড এবং বাক-স্বাধীনতা বনাম বাক-সন্ত্রাস

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি
লিখেছেন এস এম মাহবুব মুর্শেদ (তারিখ: বুধ, ০৪/০৩/২০১৫ - ৫:৩৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ভূমিকা
অভিজিৎ রায় হত্যার অভিযোগে অতি সম্প্রতি ফারাবী নামের এক ব্যক্তি গ্রেফতার হয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ফারাবী প্রথমে আলোচনায় আসেন ২০১৩ সালে রাজিব হায়দার হত্যাকাণ্ডের সময়। তখন তাকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও জামিনের মাধ্যমে ফারাবী মুক্তি পান। সেই মামলার সুরাহা এখনও হয়নি। জামিনে ছাড়া পাবার পর সংশ্লিষ্ট ধর্মান্ধ দলটির তৈরী করা তালিকার প্রথমে থাকা অভিজিৎ রায়কে নিয়ে ফারাবী নিয়মিত উস্কানীমূলক এবং প্রকাশ্যে হত্যা করার হুমকি দিয়ে বক্তব্য প্রকাশ করেন ফেইসবুকে। অভিজিৎ হত্যার পর এজন্য প্রথমেই ফারাবীর নাম উচ্চারিত হতে থাকে।

ফারাবী গ্রেফতারের কাছাকাছি সময় জানা যায় আনসার বাংলা সেভেন নামের একটি টুইটার একাউন্ট থেকে হত্যার প্রায়-দায় স্বীকার করা হয়েছে। তাছাড়া পরে আরো অন্যান্য গ্রুপের সংশ্লিষ্টতা সর্ম্পকেও গুজব ছড়ায়।

একারনে কেউ কেউ প্রথমতঃ ধরে নেন এই হত্যাকাণ্ডে ফারাবীর সংশ্লিষ্টতা নেই এবং দ্বিতীয়তঃ প্রশ্ন তোলেন শুধুমাত্র ফেইসবুকের মন্তব্যের কারনে ফারাবীকে কি আদৌ গ্রেফতার করা বা শাস্তি দেয়া যায় কিনা। তাছাড়া অনেকে প্রশ্ন তোলেন অভিজিৎের লেখা ধর্মানুভূতিতে আঘাত করায় এক ধরণের সেটা বাক-সন্ত্রাসের পর্যায়ে পড়ে। আমার এই লেখার সুত্রপাত বাক-স্বাধীনতা সংক্রান্ত আইনগুলো এবং যুক্তির আলোকে বাক-স্বাধীনতা এবং বাক-সন্ত্রাস বিষয়দুটো আলোচনা করা।

বাক-স্বাধীনতা বনাম বাক-সন্ত্রাস
বাক-স্বাধীনতা বিষয়ে বাংলাদেশের আইনগুলো প্রথমে খুব সহজ মনে হলেও কাছাকাছি বিষয়ের অন্যান্য আইন এটাকে জটিল করে তোলে। সংক্ষেপে, অপরাধ-সংঘটনে প্ররোচনা বিষয়টি সহ আরো কয়েকটি বিষয় ছাড়া বাংলাদেশে বাকি বিষয়ে বাক-স্বাধীনতা রয়েছে।

কিন্তু ২০০৬ সালে বাংলাদেশের এই আইনটিতে একটি বড় ফাঁক তৈরী করা হয় ইন্টারেনেট প্রকাশিত মতামতের ক্ষেত্রে। আইনটিতে বলা হয়: মিথ্যা, অশ্লীল, নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হতে পারে, মানহানি ঘটতে পারে, আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করতে পারে, এমন সমস্ত প্রকাশনাই দণ্ডনীয় অপরাধ। ২০১৩ সালে এসে এই আইনটির ক্ষমতা বাড়িয়ে দেবার প্রস্তাবনা করা হয় যাতে করে কোনো ওয়ারেন্ট এবং জামিন ছাড়া পুলিশ কাউকে আটকে রাখতে পারে।

পশ্চিমা দেশগুলোতে, বিশেষ করে আমেরিকায় বাক-স্বাধীনতা অনেক উদার। শুধুমাত্র অপমানের দ্বারা ক্ষতি সাধিত হলে, অপরাধ করতে উদ্বুদ্ধ করলে কিংবা অশ্লীল বক্তব্য থাকলে বাক-স্বাধীনতা রক্ষিত হয় না। তাছাড়া ইউরোপের অন্যান্য দেশেও একই ধরণের বাক-স্বাধীনতা রয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত লেখার শেষে আলোচনা করা হয়েছে।

একটি ভেন ডায়াগ্রামের মাধ্যমে প্রকাশ করলে দেখা যাবে ইন্টারনেট প্রকাশিত কথার একটি বড় অংশ বাংলাদেশের আইনে আটকে যাচ্ছে কিন্তু অপেক্ষাকৃতভাবে ছোট অংশ আটকাচ্ছে পশ্চিমা আইনে। উপরন্তু বাংলাদেশে পুলিশের আইনী কোনো ওয়ারেন্ট প্রয়োজন না হওয়ায় খুব সহজে এর অপব্যবহার হতে পারে।

বাক-সন্ত্রাস হলো মূলত ঘৃণা মূলক বক্তব্যের সুত্র ধরে কারো ক্ষতি করতে উদ্বুদ্ধ করা। উইকি তে বলছে: ঘৃণা মূলক বক্তব্য হলো যেখানে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠিকে, লিঙ্গ, জন্মস্থান, ধর্ম, জাত, পঙ্গুত্ব বা যৌন পছন্দের ভিত্তিতে আক্রমন করা হয়। বাক-সন্ত্রাস হলো এই ঘৃণাকে কেন্দ্র করে ঐ ব্যক্তি বা গোষ্টিকে আক্রমণ করতে উদ্বুদ্ধ করা, বা ক্ষতি সাধনের কারন হওয়া।

বাক-স্বাধীনতার আইনগুলো ঘাটলে দেখা যাচ্ছে যে, বাক-সন্ত্রাস পৃথিবীর যেকোনো দেশে নিন্দনীয় অপরাধ। এমনকি পশ্চিমা দেশ গুলোতেও অপরাধে প্ররোচনাকে বাক-স্বাধীনতার সুরক্ষা দেয়া হয়নি।

অভিজিৎের বক্তব্য কেনো বাক-সন্ত্রাস নয়?
অভিজিৎ একজন ধর্মে বিশ্বাসহীন যুক্তিবাদী লেখক ছিলেন। তার লিখিত নয়টি বই: আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী (২০০৫), মহাবিশ্বে প্রাণ ও বুদ্ধিমত্তার খোঁজে (২০০৭), স্বতন্ত্র ভাবনা : মুক্তচিন্তা ও বুদ্ধির মুক্তি (২০০৮), সমকামিতা: বৈজ্ঞানিক এবং সমাজ-মনস্তাত্ত্বিক অনুসন্ধান (২০১০), অবিশ্বাসের দর্শন (২০১১), বিশ্বাস ও বিজ্ঞান (২০১২), ভালবাসা কারে কয় (২০১২), শূন্য থেকে মহাবিশ্ব (২০১৪), ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো: এক রবি-বিদেশিনীর খোঁজে (২০১৫) ; অসংখ্য ব্লগ: সচলায়তন, মুক্তমনা, মুক্তাঙ্গন; অসংখ্য ফেইসবুক পোস্ট সমস্মরে এটাই প্রমান করে যে অভিজিৎ তার চিন্তায় কতখানি যুক্তিবাদী ছিলেন। অভিজিৎের প্রতিটি লেখা, বিশেষ করে প্রকাশ করবার জন্য তৈরী করা কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর লেখাগুলো প্রচুর পড়াশোনার পর চিন্তা ভাবনা করে, রেফারেন্স সহকারে উপস্থাপন করা। দুটো প্যাটেন্টের অধীকারি, পিএইচডি ধারী অভিজিৎ তার শিক্ষার প্রকৃত ভাবে কাজে লাগিয়েছিলেন তার যুক্তি ও বিজ্ঞান সমৃদ্ধ লেখাগুলোয়।

এই লেখাগুলোতে অন্ততঃ আমার চোখে কখনো কোনো ব্যক্তি আক্রমন চোখে পড়েনি। এমনকি হেলাফেলায় লেখা ফেইসবুক পোস্টে মানুষের সমালোচনা থাকলেও কখনো কারো ক্ষতি চাওয়া হয়নি, আলোচ্য প্রসঙ্গের বাইরে ব্যক্তি আক্রমন করা হয়নি। তাই অভিজিৎের লেখাকে ধর্মের সমালোচনা বলা যেতে পারে কিন্তু কোনো ভাবেই সন্ত্রাস বলা যায় না। যারা এটা বলছেন তারা অভিজিৎের লেখা গুলো, বিশেষ করে প্রকাশিত বইগুলো থেকে বাক-সন্ত্রাস বা ঘৃণা মূলক বক্তব্যের উদাহরন হিসেবে একটি উদ্ধৃতি দিতে পারলে বুঝব আপনি অন্তঃত তার লেখা পড়ে তার সমালোচনা করছেন। নইলে আপনার মন্তব্য ফাঁকাই প্রমানিত হবে শুধু।

ফারাবীর বক্তব্য কেনো বাক-স্বাধীনতা নয়?
এই স্পেকট্রামের আরেক প্রান্তে আছে ফারাবী। যে কিনা রাজিব হত্যার সাথে জড়িত, ধর্মান্ধ কট্টর পন্থী দলের সদস্য, ফেইসবুকে নিয়মিত উস্কানী দাতা।

অভিজিৎকে নিয়ে ফারাবীর ফেইসবুকে প্রকাশিত মন্তব্যগুলো দেখি প্রথমে।

এই মন্তব্যগুলো দেখার পর কোনো সুস্থ্য মস্তিষ্কের লোক বলবে না যে ফারাবী বাক-সন্ত্রাসী নয়। শেষ মন্তব্যটি দেখুন। ফারাবী বলছে,

ফারাবী লিখেছেন:
অভিজিৎ রায় আমেরিকা থাকে। তাই তাকে এখন হত্যা করা সম্ভব না। তবে সে যখন দেশে আসবে তখন তাকে হত্যা করা হবে।

সোজা সাপটা ভাবে সে অভিজিৎের হত্যার পরিকল্পনা প্রকাশ করছে। এরপরও তাকে বাক-স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে তার পিঠ বাঁচাতে চায় যে, তাকে কোনভাবেই সুস্থ্য বলা যায় না।

বাক-স্বাধীনতা এবং বাংলাদেশের আইন
বাংলাদেশ সংবিধানের ৩৯ ধারায় বাক-স্বাধীনতার সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। সেইসাথে বলা হয়েছে, বাক স্বাধীনতা প্রযোজ্য:

বাংলাদেশ সংবিধান ৩৯ ধারা লিখেছেন:
রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, বিদেশী রাষ্ট্রসমূহের সহিত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, জনশৃঙ্খলা, শালীনতা ও নৈতিকতার স্বার্থে কিংবা আদালত-অবমাননা, মানহানি বা অপরাধ-সংঘটনে প্ররোচনা সম্পর্কে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধ-সাপেক্ষে।

যে বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে বাক স্বাধীনতায় বাধা নিষেধ রয়েছে সেগুলোর মধ্যে একটি হলো “অপরাধ-সংঘটনে প্ররোচনা” এবং আরেকটি হলো: অন্যান্য “আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধ”।

অন্যান্য আইনের মধ্যে ২০০৬ সালের আইসিটি আইনটি এক্ষেত্রে সম্পর্কযুক্ত। আইনটির ৫৭ ধারায় বলা হয়:

আইসিটি আইন ২০০৬ ধারা ৫৭ লিখেছেন:
কোন ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েব সাইটে বা অন্য কোন ইলেক্ট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যাহা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেহ পড়িলে, দেখিলে বা শুনিলে নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হইতে উদ্বুদ্ধ হইতে পারেন অথবা যাহার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করিতে পারে বা এ ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উস্কানী প্রদান করা হয়, তাহা ইহলে তাহার এই কার্য হইবে একটি অপরাধ৷

২০১৩ সালে আইসিটি আইনকে আরো জোরদার করার প্রস্তাবনা আনা হয়। নতুন প্রস্তাবনায় সর্বনিম্ন শাস্তি ৭ বছর এবং সর্বোচ্চ ১৪ বছর করা হয়। উপরন্তু এই অপরাধকে আমলযোগ্য এবং অজামিনযোগ্য ঘোষণা করা হয়। অর্থাৎ এই অপরাধে পুলিশ কোনো ওয়ারেন্ট ছাড়াই গ্রেফতার করতে পারবে এবং জামিন পাওয়া যাবে না।

এই আইন বিষয়ে ডঃ মাহবুবুর রহমানের মন্তব্য স্মর্তব্য:

ডঃ মাহবুবুর রহমান লিখেছেন:
  • ৫৭ ধারায় অনির্দিষ্ট/অস্পষ্ট শব্দগুচ্ছ (vague terms) - যেমন, “রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়” - ব্যবাহারের মাধ্যমে ফৌজদারী আইনের ‘সুনির্দিষ্টতা নীতি’র (principle of certainity) মত মৌলিক অপরিহার্যতাকে অস্বীকার করা হয়েছে। এর মাধ্যমে মূলত যেকোনো নিদোর্ষ বা ন্যায়সঙ্গত অনলাইন প্রকাশনা/সম্প্রচারকে, রাষ্ট্রযন্ত্রের মর্জিমাফিক, শাস্তির আওতায় আনার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে।
  • ২০০৬ সালের আইনি শাস্তির মাত্রা নিরূপনের ক্ষেত্রে ‘সামঞ্জস্য নীতি’ (principal of proportionality) অনুসৃত হয়নি। প্রচলিত অন্যান্য আইনে বিভিন্ন অপরাধের সাথে তুলনা করলে এটি সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, ২০০৬ সালের আইনের ৫৭ ধারায় উল্লেখিত শাস্তির পরিমান দৃষ্টিকটুভাবে কঠোর (disproportionate)। শাস্তির মাত্রার ক্ষেত্রে এরূপ অসামঞ্জস্যতা চুড়ান্তবিচারে ফৌজদারী আইনের নৈতিক ভিত্তি ও প্রায়োগিক কার্যকারিতাকে দুর্বল করে তোলে। ২০১৩ সালের সংশোধনী অধ্যাদেশ সে সম্ভাবনাকে আমাদের সামনে আরও প্রকটভাবে উপস্থাপন করেছে।
  • ২০১৩ সালের সংশোধনী অধ্যাদেশ শিথিলভাবে এবং অনিদির্ষ্ট/অস্পষ্ট শব্দগুচ্ছ দ্বারা সংজ্ঞায়িত ৫৭ ধারার আওতাভুক্ত বিবিধ অপরাধকে আমলযোগ্য ও অজামিনযোগ্য করার মাধ্যমে মূলত রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন ও হয়রানির অবারিত সুযোগ সৃষ্টি করেছে।

এছাড়া ব্লাসেফেমী আইন নামে একটি আইন রয়েছে যাতে বলা হয়:

ACT NO. XLV OF 1860 লিখেছেন:
Whoever, with deliberate and malicious intention of outraging the religious feelings of any class of the citizens of Bangladesh, by words, either spoken or written, or by visible representations insults or attempts to insult the religion or the religious beliefs of that class, shall be punished with imprisonment of either description for a term which may extend to two years, or with fine, or with both.

অর্থাৎ কেউ, ইচ্ছাকৃত এবং বিদ্বেষপরায়ণভাবে একটি বিশেষ গোষ্টীর বাংলাদেশী নাগরিকের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের উদ্দেশ্যে, শব্দাবলি ব্যবহার করে, কথিত বা লিখিত বা দৃষ্টিগোচর উপস্থাপনার মাধ্যমে উক্ত গোষ্টীর ধর্মীয় অনুভূতিতে অপমান করে বা করতে চায়, তাকে দুই বছরের কারাদন্ড কিংবা জরিমানা কিংবা উভয় শাস্তি প্রদান করা হবে।

তাছাড়া এবিষয়ে রাগিবের সচলায়তনে প্রকাশিত পোস্টটি এবং মোঃ আমিনুল ইসলামের গবেষণা পত্রটি স্মর্তব্য।

বাক-স্বাধীনতা এবং পশ্চিমের আইন
আমেরিকার বাক-স্বাধীনতা আইনটি প্রথম সংশোধনীর আওতাভুক্তঅপমানসূচক বক্তব্যের ক্ষেত্রে চারটি বিষয় প্রমান করতে হয়: ১) মিথ্যা বক্তব্য সত্য হিসেবে প্রচার; ২) সেই তথ্য তৃতীয় ব্যক্তির কাছে প্রকাশ বা প্রচার ; ৩) বক্তব্যের দোষ এবং ৪) এর ফলে সৃষ্ট ক্ষতি।

এছাড়া যে সমস্ত বক্তব্য কাউকে কোনো অপকর্ম করতে উদ্বুদ্ধ করে সেটিও বাক-স্বাধীনতার আইনে সুরক্ষিত নয়। [সুত্র: , ]

অশ্লীল বক্তব্যের ক্ষেত্রে কয়েকটি আইনী পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। মিলারের পরীক্ষা বলে একটি নিয়মে দেখা হয় বক্তব্যটি: ১) “গড় পড়তা মানুষের চোখে সামাজিক ভাবে প্রচলিত প্রথায়”, আলোচ্য লেখার পুরোটা বিবেচনা করে খারাপ উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে কিনা ২) আলোচ্য লেখাটি, আংশিক বা পূর্ণভাবে কোন যৌন বিষয় আলোচনা করে কিনা ৩) লেখাটিকে সম্পূর্ণভাবে বিবেচনা করলে তার কোনো সাহিত্যিক, শৈল্পিক, রাজনৈতিক বা বৈজ্ঞানিক মূল্য আছে কিনা।

কাছাকাছি ধরনের আইন ইউরোপের অন্যান্য দেশেও রয়েছে। কাউন্সিল অফ ইউরোপ ঐতিহাসিকভাবে সত্য তথ্য যেমন হলোকাস্ট, বিকৃতিকে বাক-স্বাধীনতা বলতে নারাজ। পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে ইউকের আইন এবিষয়ে সবচেয়ে শক্ত।

সারসংক্ষেপ এবং উপসংহার
বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশের বাক স্বাধীনতা আইন পর্যোলোচনা করে দেখা গেলো যে কোনো দেশেই অপরাধে প্ররোচনা করাকে বাক-স্বাধীনতা হিসেবে দেখা হয় না। উপরন্তু বাক-সন্ত্রাসকে ঘৃণামূলক বক্তব্য এবং সেই সাথে অপরাধে প্ররোচনার সমতুল্য ধরে নিয়ে দেখা গেলো যে ফারাবী বাক-সন্ত্রাসী। অন্যদিকে, অভিজিৎের বিশাল লেখার সম্ভারের কোথাও ঘৃণা মূলক বক্তব্যের উদাহরণ পাওয়া যায় নি। বরং অভিজিৎ ছিলেন যুক্তিনির্ভর গবেষণা নির্ভর একজন নির্ভিক লেখক।

সুতরাং অভিজিৎকে ভিলেইন এবং ফারাবীকে নায়ক বানানোর এই অপচেষ্টা থেকে আমাদের মুক্তি প্রয়োজন। সেইসাথে মূল হত্যার সাথে যুক্ত থাকার প্রমান না পাওয়া গেলেও ফারাবীর উপযুক্ত শাস্তি প্রয়োজন। কম করে হলেও তার মানসিক সুস্থতার জন্য আটকে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। নইলে ফারাবীর এবং ফারাবীর উদাহরণে উদ্বুদ্ধ অন্যান্যদের উস্কানীতে এই ধরণের দুঃখজনক ঘটনা ঘটতেই থাকবে।


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

অতি ধার্মিক বা আস্তিকরা যা বলে তা হালাল কারন সেখানে ধর্মীয় পানি মেশানো থাকে । যুক্তিবাদী মানুষরা যা বলে তা হারাম বলা হয় কেননা যুক্তির কাছে ভন্ডদের নষ্টামী ধরা পরে । আর আইনের লেখাগুলো পড়লাম ,কিন্ত প্রশ্নটা থেকেই যায় এই রকম হয়তো আরো আইন হবে ফারাবীদের মতো মানুষকে রাষ্ট্র কর্তৃক সহায়তা করার জন্য।

-------------
রাধাকান্ত

সাজ্জাদুর রহমান এর ছবি

ফারাবি কে আবার কে নায়ক বানানোর চেষ্টা করেছে?????

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

দুটি দল। প্রথম দল ধর্ম ভীরু। তারা জামাতি/শিবির প্রোপাগান্ডা মেশিনের কবলে পড়ে অভিজিৎের বদনাম শুনছে আর আবেগতাড়িত হয়ে অভিজিৎের লেখা না পড়েই কান নিয়ে যাওয়া চিলের পিছনে ছুটছে।

দ্বিতীয় দল আরো ধুরন্ধর। এরা মূলত সরকারী দলের পৃষ্ঠপোষক। অভিজিৎ যেহেতু নাস্তিক ছিলেন তার পক্ষ নিলে সরকারী দলের বিপদ। তাই দ্বিতীয় দল, খুনী যেমন সন্ত্রাসী অভিজিৎ তেমন বাক-সন্ত্রাসী এই বলে প্রচার করছে।

মাসুদ সজীব এর ছবি

চলুক চলুক

আর এ কাজে অগ্রগামী দলান্ধ কিছু ছেলিব্রেটি আর সিপি গ্যাং নামক একটা মধ্যযুগীয় দলকানা গ্রুপ। চউ’দা যাদের নাম দিয়েছেন কওমী প্লাটুন গ্রুপ।

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ছিপি গ্যাঙ মানে কি কওমী প্লাটুন, ছার পোকা নাকি ছাগু োন্দা?

অতিথি লেখক এর ছবি

ফারাবী কে নায়ক বানানোর চেষ্টা তো হচ্ছেই এবং তা করছে ১ নং পিউর ছাগুরা । আর জানেন না পৃথিবীতে খাটি ছাগু তৈরী হয় আমাদের বাংলাদেশে!

-------------
রাধাকান্ত

চরম উদাস এর ছবি

তথ্যবহুল লেখা। এটার একটা ইংরেজি ভার্শন করে ছড়িয়ে দেয়া যায় না?

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

করা গেলে ভালো হতো। একটা লেখা তৈরী করতেই সারাদিন লেগে গেলো। মন খারাপ

স্পর্শ এর ছবি

গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরী লেখাটার জন্য ধন্যবাদ।

৫৭ ধারা সংশোধনের কোনো আশাই কি আর নেই?


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

২০০৬ সালে পাশকৃত ধোঁয়াটে এবং আঁশটে আইসিটি আইন এমনিতে গণ্ডগোল পূর্ণ ছিলো। ২০১৩র প্রস্তাবনায় সেটাকে আরো অ্যাগ্রেসিভ করা হয়েছে। ইন্টারনেটকে বশ করতে পারলে বর্তমান সরকার আর বিরোধী দল উভয়েরই সুবিধা। সুতরাং আমি এর পরিবর্তন হবার আশা দেখি না। মন খারাপ

রাজিব মোস্তাফিজ এর ছবি

আমার মনে হয় আমাদের জোর গলায় দাবি জানানো উচিত ৫৭ ধারা সংশোধনের জন্য। আমাদের যেখানে সরকারকে বাধ্য করার কথা জোর দাবি জানিয়ে, সেখানে যদি আমরাই হাল ছেড়ে বসে থাকি তাহলে তো হবে না!

----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!

রাজিব মোস্তাফিজ এর ছবি

খুব জরুরি লেখা! আসুন সবাই মিলে ৫৭ ধারা সংশোধনের জন্য জোরদার আওয়াজ তুলি!

----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!

আয়নামতি এর ছবি

উত্তম জাঝা!
--------
আচ্ছা ফারাবী নামের এই লোকটাকে রাজীব হত্যায় জড়িত থাকার জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছিল কোন আইনে?
মানে জানতে চাচ্ছি তাকে কি আইসিটি আইনেই ধরা হয়েছিল? যদি তাই হয় তবে সে মুক্ত অবস্হায় বাক সন্ত্রাসী
চালায় কিভাবে? তার তো জেলে থাকবার কথা!

------
ফারাবী কি ইসলামী স্কলার জাতীয় কেউ নাকি ভাইয়া? তার সাঙ্গপাঙ্গগুলোও তো ক্রিমিন্যাল টাইপেরই কথাবর্তা বলেছেন দেখা যাচ্ছে। তাদেরও ধরা উচিৎ কিন্তু!
-------
ধর্ম কখনোই বিজ্ঞানের জন্য বাধা না। বাধার সৃষ্টি করে কিছু মতলববাজ, সুবিধাবাদী ধর্মবাদী। এরা শুধু ধর্মের জন্যই না
যে কোনো দেশের জন্যই বিপজ্জনক! ফারাবীরা হচ্ছেন সেই গোত্রীয় মানুষ। অসুস্হতার দোহায় দিয়ে এরা যেন শাস্তি থেকে
পার পেয়ে না যায় সেটা কিভাবে নিশ্চিত করা যায়??
------
উদাসদার সাথে আমিও গলা মিলালাম ভাইয়া। একটা অমূল্য জীবন চলে গেলো, সেখানে তাঁর সম্মানেই না হয় আরেকটা দিন গেলো আপনার! এটার ইংরেজি করুন প্লিজ!

গান্ধর্বী এর ছবি

আয়নাদিদির কথার সাথে সহমত পোষণ করছি।

------------------------------------------

'আমি এখন উদয় এবং অস্তের মাঝামাঝি এক দিগন্তে।
হাতে রুপোলী ডট পেন
বুকে লেবুপাতার বাগান।' (পূর্ণেন্দু পত্রী)

গান্ধর্বী এর ছবি

তথ্যবহুল এই দরকারি লেখাটির জন্য লেখককে ধন্যবাদ। চলুক

------------------------------------------

'আমি এখন উদয় এবং অস্তের মাঝামাঝি এক দিগন্তে।
হাতে রুপোলী ডট পেন
বুকে লেবুপাতার বাগান।' (পূর্ণেন্দু পত্রী)

এক লহমা এর ছবি

মুস্কিল হচ্ছে, সংবিধানে ঘোষিত ধর্মীয় একটি রাষ্ট্রের পক্ষে কতটা আর কি ধরণের বাক স্বাধীনতা সম্ভব? মন খারাপ

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

সেটা সত্যি।

বাংলাদেশের সংবিধান ধারা ২ক লিখেছেন:
প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, তবে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টানসহ অন্যান্য ধর্ম পালনে রাষ্ট্র সমমর্যাদা ও সমঅধিকার নিশ্চিত করিবেন

এটা করা হয় ২০১১তে পঞ্চদশ সংশোধনী। তখন আওয়ামি লীগই ক্ষমতায় ছিল। সেইসাথে এটাও যুক্ত হয়:

বাংলাদেশের সংবিধান ধারা ১২ লিখেছেন:
ধর্ম নিরপেক্ষতা নীতি বাস্তবায়নের জন্য
(ক) সর্ব প্রকার সাম্প্রদায়িকতা,
(খ) রাষ্ট্র কর্তৃক কোন ধর্মকে রাজনৈতিক মর্যাদা দান,
(গ) রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মীয় অপব্যবহার,
(ঘ) কোন বিশেষ ধর্ম পালনকারী ব্যক্তির প্রতি বৈষম্য বা তাহার উপর নিপীড়ন, বিলোপ করা হইবে।

বাংলাদেশে আইন ঘাটলে মনে হয় সব কন্ট্রাডিক্টরি কথা বার্তা ব্যবহার করে আইনগুলোকে অর্ধস্বচ্ছ রাখা হয়েছে। যেমন, আইন করে বাক-স্বাধীনতা দিলো, কিন্তু অন্যান্য আইন করে তার অনেকটাই কেড়ে নিলো।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালো লিখেছেন ।

ইন্টারনেটকে বশ করতে পারলে বর্তমান সরকার আর বিরোধী দল উভয়েরই সুবিধা। সুতরাং আমি এর পরিবর্তন হবার আশা দেখি না।

সহমত ।

৫৭ ধারা থাকলে দুই দিকেই লাভ । নাস্তিক গ্রেফতার করে হেফাজতিদের খুশি করা যায়, আবার কদাচিৎ সংখ্যালঘু নির্যাতনের উস্কানি দেয়ার অভিযোগে মৌলবাদী গ্রেফতার করে সেকুলারদের বুঝ দেয়া যায় । [যদিও এতে সমস্যার কোন সমাধান হতে দেখি নাই । সংখ্যালঘু পেটানোতে আমরা দিনে দিনে পারদর্শি হয়ে উঠছি । ]

তবে সবচেয়ে কার্যকরী হলো সরকারের সমালোচনা করলেই বিনা বিচারে ক্যাঁক করে ধরা যায় । তাই দুই দলের কেউ এই জিনিস সরাবে না ।

=======
মামুনুর রশীদ

মেঘলা মানুষ এর ছবি

চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ, মুর্শেদ ভাই, অতি মূল্যবান এই পোস্টটির জন্য। অনেক প্রগতিশীল মানুষও যখন ইনিয়ে বিনিয়ে বলতে চান, অভিজিৎদার হুমকিদাতারা সরকারী চক্রান্তের শিকার, দেশকে মৌলবাদী প্রমান করে পশ্চিমা বিশ্বের সমর্থন কুড়োনো এবং আরও বেশিদিন ক্ষমতায় থাকাই লক্ষ্য, তখন আর হতাশা লুকোনোর জায়গা থাকে না! একটি ধারাবাহিক অ্যাকশান প্লানের মাধ্যমে একটি সিরিজ হত্যাকান্ড বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, তবু তারা 'সরকারী ষড়যন্ত্র' তত্ত্বে বিভোর! আর কতকাল আমরা বালুতে মুখ গুঁজে থাকব উটপাখির মত!

তবে সরকারও দায় এড়াতে পারে না। প্রকাশ্যে হুমকিদাতাদের শুধু হুমকির কারনেই কি গ্রেফতার করতে পারত না?? অভিজিৎদার লেখা যাদের ভাল লাগেনি, তাদেরও মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে, তবে সেটুকু 'একটা পাল্টা যুক্তির লেখা' বা 'তার লেখাগুলো বর্জন' পর্যন্তই। ইন্ডিয়ান কোর্ট যেমন বলে দিয়েছে, যাদের ভাল লাগবে না, তারা যেন পিকে দেখতে হলে না যায়। কিন্তু 'মৃত্যু হুমকি' দেয়া কি মত প্রকাশের স্বাধীনতা? সরকারের কাছে তা হয়ত স্বাধীনতাই ছিল, আর তাই দিনের পর দিন তারা সযত্নে রক্ষা করে গেছে এই 'হুমকির স্বাধীনতা'; ফলাফলঃ হুমকি বাস্তবায়ন। এই বাস্তবায়ন যে-ই করে থাকুক না কেন, হুমকি এবং তার নির্বিঘ্ন প্রচার তাদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছিল, এই বিষয়ে সন্দেহ আছে কোন?

অন্ধকূপ

অতিথি লেখক এর ছবি

গুরুত্বপূর্ণ একটা লেখা লিখেছেন মুর্শেদ ভাই, নিঃসন্দেহে।

আরেকটা ব্যাপার, জানতাম জাকারবার্গের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নাকি ব্লক করা যায় না, ফারাবীর অ্যাকাউন্টটারও দেখি একই অবস্থা! কাহিনি কি?

রাসিক রেজা নাহিয়েন

অতিথি লেখক এর ছবি

অতি গুরুত্বপূর্ণ একটা লেখা। ৫৭ ধারা রাখার মূল লক্ষ্যই হচ্ছে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি। এ কারণে বড় দুটি জোটের কারো দিক থেকেই এটি বাতিল বা এর আওতা কমিয়ে আনার কোনো সম্ভাবনা নেই। এটি মাঝে মাঝে ব্যালেন্সের জন্য রাখা হলেও মূলত রাখা হয়েছে যে বা যারা রাজাকে ন্যাংটো দেখে বা দেখার ক্ষমতা রাখে এবং তা আবার প্রকাশ্যে প্রচারও করে দেয় তাদের জন্য।

চমৎকার তথ্যবহুল একটি লেখা। ধন্যবাদ মুর্শেদভাই।

স্বয়ম

অরফিয়াস এর ছবি

চমৎকার বিশ্লেষণ। গুরুত্বপূর্ণ লেখা।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

রানা মেহের এর ছবি

খুব চমৎকার লেখা।
এইরকম একটা বিশ্লেষনধর্মী লেখার প্রয়োজন ছিল।

সাজেশন - ইউকে ইউরোপ ইউএসএ র আইনের ওপর আরেকটু ব্যাখ্যা থাকলে ভাল হতো। চারজন ব্লগার গ্রেফতারের মামলাও আসতে পারতো

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

শিশিরকণা এর ছবি

ফারাবীর পোস্টে গলা মেলানো খুন করার ইচ্ছা প্রকাশ করতে চাওয়া ব্যাক্তিদেরকেও শাস্তির আওতায় আনা উচিত। সত্য যে এরা জ্জিহাদি জোশে ফাল পাড়ছে, অন্তত যদি মোটা অংকের জরিমানাও করা হয়, তবে এই রকম হিংস্রতা প্রকাশ এর লম্ফঝম্প করার জোশ চলে যাবে।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

মন মাঝি এর ছবি

বাকস্বাধীণতার বিষয়ে (বিশেষ করে এই সময়ে ও এই প্রসঙ্গে) আমার প্রিয় বক্তা ও অত্যন্ত সুবক্তা অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খানের কথাবার্তায় ভীষণ হতাশ হলাম। ওঝা হয়ে ঝেঁড়ে তারপর সাপ হয়ে ছোবলানোটা যতই পাণ্ডিত্য, বৈদগ্ধ্য, বাগ্মীতা আর সফিস্টিকেশন দিয়ে ঢাকার চেষ্টা করা হোক না কেন, ধরা তা পড়বেই! সলিমুল্লাহর কাছে এসময় এটা আশা করিনি।
https://www.youtube.com/watch?v=Zw1_1nAQsao

****************************************

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।