Stephen King এর On Writing - সারসংক্ষেপ (১)

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি
লিখেছেন এস এম মাহবুব মুর্শেদ (তারিখ: শুক্র, ১০/০৮/২০০৭ - ৩:৪১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

লেখালেখি নিয়ে বেশ ফ্রাস্ট্রেটেড ছিলাম। কোন টোটকা জানা ছিলনা বা ছিলনা কোন পড়াশোনা। তিমুর এই বইটার নাম দিলেন। হঠাৎ করে একটা বই গিফট কার্ড পেয়ে কাজে লাগালাম। ক'দিন তাই পড়ছি কেবল।

Stephen King এর On Writing: A Memoir of the Craft পড়েই আমি লেখালেখি সর্ম্পকে সব বুঝে যাবো। গড়গড় করে আমি লেখালেখি করতে পারব। এইরকম একটা ভুল ধারনা ছিল আমার। পড়ছি আর উদঘাটন করছি মজার মজার সব তথ্য।

আমার ইচ্ছে ছিল বইটা থেকে যতটা পারা যায় অনুবাদ করে দেয়া। সাধ আর সাধ্যের সমন্বয় কোন কালে হয়েছে!? তাই শেষমেষ ঠিক করলাম সারাংশ দেবার জন্য।

বইটা বেশ কয়েক ভাগে বিভক্ত:

  • CV
  • What is writing?
  • Toolbox
  • On Writing
  • Postscript
  • Book list

প্রথম অংশে তিনি নিজের বেড়ে ওঠা, জীবনের টুকটাক ঘটনার মধ্যে দিয়ে নিজের লেখক সত্ত্বার উপদান খুঁজে নেয়া এইগুলো আলোচনা করেছেন। বইয়ের প্রায় এক তৃতীয়াংশ জুড়ে এটি রয়েছে। আমি লেখক হিসেব তার রিয়েলাইজেশন গুলো তুলে ধরব।

দ্বিতীয় অংশটা আমার কাছে খুব ধোঁয়াটে মনে হয়েছে। লেখক উদাহরন দিয়ে অনেক কথা বলে ৩/৪ পৃষ্ঠার মধ্যে ঠিক কি বলেত চেয়েছেন আমি বুঝে উঠতে পারিনি। তবু আমি যতটুকু বুঝেছি সেটা তুলে ধরব। পারলে এই অংশটুকু স্ক্যান করে দিবো।

তৃতীয় অংশ Toolbox এ তিনি লেখার জন্য প্রয়োজনীয় টুলস গুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই অংশটা খুব গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু আমার পক্ষে তুলে ধরা প্রায় অসম্ভব।

বাকিটুকু আমি এখনও পড়ছি।

CV
প্রথমেই স্টিফেন বলে দিয়েছেন যে এই অংশটা অনেকটা তার কারিকুলাম ভাইটা - একজন কিভাবে লেখক হয়ে ওঠে সেটা দেখানো। অবশ্য লেখক কিভাবে তৈরী হয় সেটা নয়; স্টিফেন বিশ্বাস করেন ঘটনা চক্রে বা সাধনার মাধ্যমে লেখক গড়ে ওঠে না। যন্ত্রপাতিগুলো আসল প্যাকেজেই আসে। আবার এই ক্ষমতাটা যে দূর্লভ তাও নয়। অনেকের মধ্যেই ক্ষমতাটা আছে আবার অনেকের মধ্যেই নাই। তাই স্টিফেনের এই বই লেখার প্রয়াস।

পরের ঘটনা গুলো স্ন্যাপশটের মতো। একটা করে অংশ একটা করে ঘটনা এবং সেখান থেকে লেখক হয়ে ওঠার উপাদান সংগ্রহ। আমি গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশ থেকে তার উপাদান সংগ্রহ সার সংক্ষেপ করে দিবো।

১৫
একটা জিনিস পরিষ্কার করে বলেছেন স্টিফেন; আইডিয়া ডাম্প, স্টোরী সেন্ট্রাল বা বেস্ট সেলার লেখার কোন গুপ্তধন নেই; ভাল গল্প লেখার আইডিয়া আসলে হাওয়া থেকে আসে, খোলা খোলা আকাশ থেকে ভাসতে ভাসতে একদম সোজা আপনার মুখের উপর: আগের দুটো ছিন্ন আইডিয়া একসাথে হয় এবং সূর্যের আলোতেই নতুন একটা জিনিসের জন্ম দেয়। আপনার কাজ এগুলো খুঁজে বের করা নয় বরং যখন এগুলো দেখা যায় তখন চিহ্নিত করে পাকড়াও করা।

এরপর স্টিফেন বর্ণনা করেন কি করে তার মায়ের স্ট্যাম্পবুক এবং আগের একটি ঘটনা সুন্দর একটি গল্পের জন্ম দিয়েছিল। আপাতত সেই ঘটনার দিকে না হাত বাড়াই।

১৮
এখানে স্টিফেন বর্ণনা দেন তিনি কিভাবে সায়েন্স ফিকশন ছবি দেখে তার উপর ভিত্তি করে গল্প লিখেছিলেন। এবং সেটা স্কুলে বিক্রী করে ভাল সাড়াও পেয়েছিলন। কিন্তু বিধি বাম, তার স্কুলের অধ্যক্ষা থাকে স্কুলে ব্যবসা করার দায়ে অভিযুক্ত করে তাকে আচ্ছা মত বকেছিলেন। বলেছিলেন স্টিফেন কেন তার মেধা এইসব জাংক লিখে ব্যায় করছে।

স্টিফেন বলেন, আপনি যত বড় লেখকই হন না কেন। সবার সেটা ভাল লাগবে তেমনটা ভাবার কোন কারন নেই। কেউ না কেউ সেটাকে খারাপ বলবেই। কেউ না কেউ ভাববে লেখাটা তরল হয়েছে। এটা শুনে নিজেকে খারাপ ভাবার কিছু নেই। গা ঝাড়া দিয়ে ফেলে দিতে হয় এসব।

২০
স্কুলে থাকতেই এক পত্রিকার অফিসে খেলার খবর রিপোর্টার হিসেবে কাজ শুরু করেন। প্রথম লেখা জমা দেবার দিনই তাকে চমৎকার একটা উপদেশ দেন সম্পাদক। লেখার ভুলগুলো দেখিয়ে দেন প্রথমে। স্টিফেন বলেন, ধন্যবাদ আর কখনও বলতে হবে না আমাকে। সম্পাদক সাহেব হেসে বলেন, সবাই যদি সব কিছু একবারেই ঠিক করে করত তাহলে তো কারোরই কাজ করতে হতো না। তুমি বরং এভাবেই চালাতে থাকো।

তারপর স্টিফেনকে বলেন, তুমি যখন একটা গল্প লেখো তখন তুমি আসলে নিজেকে গল্পটা বল। যখন তুমি গল্পটা রিরাইট করো তখন তোমার লক্ষ্য থাকবে যে অংশটা গল্প হয়ে ওঠেনি সেটুকু ছেঁটে ফেলা।

২৩
যা লিখবে বুঝে লিখবে। ভাবের কথা গল্পের বা কবিতার কোনটার জন্যই সুখপ্রদ নয়।

চলবে...


মন্তব্য

হিমু এর ছবি
দ্রোহী এর ছবি

বসে রইলাম মামু!


কি মাঝি? ডরাইলা?

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

লাঞ্চ করে আসি আগে। তারপর লিখব।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

দ্রোহী এর ছবি
প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

রইলাম চেয়ে..যদি কিছু শিখে লিখতে পারি।

অমিত এর ছবি

হুমমম। শিখে লিখব না লিখে শিখব ???
______ ____________________
suspended animation...

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

হুমম ,, অমিতের সাথে একমত ,,, লিখে শেখাই ভাল মনে হয় ,,টু মাচ ম্যানুয়ালাইজেশন মনে হলো
আবার লেখার হাতের ব্যাপারটাও আছে ,,,যেটা ন্যাচারাল ক্ষমতা
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

ওরে বাপরে! লেখালেখির ব্যাকরণ? আমি নাই।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আপডেট করে দিলাম।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

দিগন্ত এর ছবি

খুবই সুন্দর লেখা। লেখকের বিবর্তন জানা যাচ্ছে ...


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

২৩ পড়ছি।
আর কই?
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

দরকারী টপিক। চলুক।
অন্য প্রসংগে: উদ্ভ্রান্ত জিমেইলে একটা পত্র দিয়েছিলাম আজ।

দ্রোহী এর ছবি

ওরে!!!

আপডেট হইছে? পইড়া লই আগে!


কি মাঝি? ডরাইলা?

দ্রোহী এর ছবি

চমৎকার লেখা!

এটা নিয়ে একটা ছোটখাট সিরিজ চালাতে পারেন। কেননা, আমার মনে হল লেখাটা হঠাৎ করেই থেমে গেছে।


কি মাঝি? ডরাইলা?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।