সুইজারল্যান্ডের গল্পগুচ্ছ [পর্ব তিনঃ সম্পর্ক]

মাহমুদ.জেনেভা এর ছবি
লিখেছেন মাহমুদ.জেনেভা [অতিথি] (তারিখ: রবি, ১১/০৩/২০১২ - ১২:৫১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

টুকরো গল্পঃ [এক]

এই উইক এন্ডের ঘুম ভাঙল সহকর্মী ভায়লিতার এস এম এস পেয়ে, সে আমার সাথে কখনোই ইংরেজি বলেনা তার উদ্দেশ্য হচ্ছে তিন বছরে সে আমাকে ফ্রেঞ্চ শিখায়েই ছাড়বে। আমিও ঠিক করেছি তাই হোক ফ্রেঞ্চ আমি শিখেই ছাড়ব। তার এস এম এস পড়ে যা বুঝলাম তা হচ্ছে সে আমাকে একটা ক্যানন ক্যমেরার ফিক্সড লেন্স কিনে দিতে চায়। প্রথমে ভেবেছিলাম স্প্যাম ইমেইলের মতো স্প্যাম এস এম এস কবে থেকে শুরু হলো? আমার ফ্রেঞ্চের উপর আমার নিজেরই আস্থা নেই তাই গুগুলে ট্রান্সলেট করে দেখলাম অর্থ প্রায় কাছাকাছি। কনফার্মেশনের জন্য ফোন করলাম ভায়লিতাকে ‘স্যালুত ! কেছ কিছ পাস মুনামি...(hai whats going on my friend! )’ বলতেই সে বলল আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে আমাকে ক্যানন ৫০ মিমি. ফিক্সড লেন্স কিনে দিবে তার সাথে কখন আমি মিডিয়া মার্কে যেতে পারি সময়টা যেন জানাই

ঠাহর করে উঠতে কিছুক্ষণ সময় লাগল তারপর আবার এই নিদৃষ্ট লেন্সেই বা কেন? জানতে চাইলাম ঘটনা কি বিস্তারিত বল। তারপর সে বলে আমার মা নতুন বয়ফ্রেন্ড পেয়েছে! তোমার অবদানের জন্য তোমাকে পুরস্কৃত করা হবে [ মনে মনে বললাম যাক আগে মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি..]

ঘটনার শুরু দুই সপ্তাহ আগে, আমাকে এক সন্ধ্যায় পিজা খাবার দাওয়াত করে বলে তোমার ক্যেমারাটা নিয়ে এসো। ভাবলাম মাগনা পাইলে মানুষ আলকাতরাও খায় আর এই দফায় তো পিজা! সেদিন হাত না ধুয়েই ক্যমেরা নিয়ে সোজা তার বাসায়। বাসায় গিয়ে দেখি আমি ভায়লিতা আর তার মা। অন্য সবাই সাধারন কাপড়ে কিন্তু ভায়লিতার মা একটু বেশি ড্রেসড আপ, চুলের পাশে ফুল টুল দিয়ে অস্থির অবস্থা। এক পর্যায়ে ভায়লিতা তার মায়ের কটা ছবি তুলে দেবার জন্য বলার পর আমি প্রায় ১০ /১২ টা ছবি তুলে দিয়ে এক সময় কি মনেকরে বলেছিলাম আমার ভাল লেন্স নেই পোট্রেট ছবি তোলার জন্য ফিক্সড লেন্স লাগে আমার লেন্সটা ফিক্সড লেন্সনা একটা ক্যনন ৫০ মি মি ১.৪ ফিক্সড লেন্স থাকলে খুব ভাল হতো, কিন্ত আমি দেশে যাবার জন্য টাকা জমাচ্ছি তাই আপাতত এই প্রজেক্ট বাদ ।

ছবি তোলার পরের গল্পটা আমার জানা ছিলনা। যেটা পরে জেনেছি, ভায়লিতার বাবা মারা গেছে দুই বছর তার মা একা থাকে বিষয়টা তার ভাল লাগেনা তাই সুইজারল্যান্ডের অন লাইন বন্ধু খুঁজার সাইটে [swissfriends.ch] সে তার মায়ের নতুন বন্ধু ঠিক করে দেবার জন্য আমার তোলা ছবি গুলা দিয়ে সে একটা প্রোফাইল তৈরি করেছে। আর সেই প্রোফাইল দেখে ৩ জন আগ্রহ দেখিয়েছে, তিন জনের মাঝে ইমানুয়েল নামে একজনকে তার মা নতুন বন্ধু হিসেবে ফাইনাল করেছে । ভায়লিতা এখন নতুন বাবা আর মা কে নিয়ে নানান জায়গায় ঘুরতে যায় আর ফেইস বুকে আপডেট দেয়।“ Having beautiful time with my new family member! its my new dad” আমার ভালই লাগে...৬২ বছরের একজন মহিলার জন্য বয় ফ্রেন্ড খুঁজে দেয়ার মতো অসাধারন কাজের ফটোগ্রাফার হিসাবে নিজেকে ভাবতে! টিউশনি- স্কলারশিপ- চাকুরী সহ অনেক পেশা থেকে টাকা কামিয়েছি কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিত হলেও ঘটক হিসেবে কিছু একটা হয়তো এটাই আমার প্রথম ও শেষ কামাই। ভাবতে খুব অবাক লাগে এক প্রান্তে আমরা এক প্রান্তে সুইসরা। আশপাশের কাছের মানুষদের মাঝে ৬০ বছরে কেউ বিধবা হলে তার জন্য নতুন করে বন্ধু খুঁজে দেবার সাহস আমার আছে কিনা কিংবা যার জন্য খুঁজে দিব সেই বা সহজে একসেপ্ট করবে কিনা এই বিষয়টা নিয়ে মাঝে মাঝে খুব চিন্তা করি। আমাদের সমাজে পুরুষদের ৬০ বছরে নতুন বন্ধু পেতে সমস্যা হয়না কিন্তু মহিলাদের?

টুকরো গল্পঃ [দুই]

নুরুল হুদা নামে আমাদের পাড়ায় এক লোক আছে যে গরু বাজারে যেতে চায় না কোরবানি ঈদে, কারন একবার সে গরু কিনতে গিয়ে পকেটমারের হাতে সব টাকা খুইয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছিল তারপর থেকে পাড়ার কেউ একজন গরু কিনলে ভাগ দেয়ার মতো সুযোগ আছে কিনা জানতে চায় বিভিন্ন বাড়ি বাড়ি গিয়ে। নুরুল হুদার বুদ্ধিটা আমি কাজের লাগিয়েছি সুইজারল্যান্ডে এসে। পাশের এপার্টমেন্টের দম্পতির [ লাউরা আর আলেক্স] কাছে জানতে চেয়েছি তোমরা কি তোমাদের ইন্টারনেট( ওয়াইফাই) পিনকোডটা আমার সাথে শেয়ার করবে তাহলে তোমাদের ও লাভ আমারও লাভ। আমি তোমাদের বিলের অর্ধেক দিব।[ ভেবেছিলাম ওদের আরো কিছুক্ষণ বুঝাতে হবে কিন্তু আলেক্সের উত্তর শুনে অবাক হলাম যে সে আমার আগের ভাড়াটিয়ার সাথেও শেয়ার করেছে, তার মানে সুইজারল্যান্ডে নুরুল হুদার অভাব নাই]
রাজী হবার পর নিয়ম হচ্ছে তার লেটার বক্সে প্রতিমাসে ৫০ ফ্রাঙ্ক একটা খামের ভিতর দিয়ে দেয়া। এমনি ভাবে আমি গত দুই বছরে প্রতি মাসে ৫০ ফ্রাঙ্ক করে বাঁচিয়েছি। তো গত তিনদিন ধরে বাসায় নো নেটওয়ার্ক এক্সেস দেখাচ্ছে, বাধ্য হয়ে পাসের ফ্লাটে বেল চাপতেই লাউরা বেরিয়ে এসে জানতে চাইল কি চাই, আমি বললাম সমস্যার কথা। সে আমাকে বলল তার বয় ফ্রেন্ডের( আলেক্সের) সাথে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে তাই এই অবস্থা।

আমি খুব অবাক হয়ে জানতে চাইলাম বয় ফ্রেন্ডের সাথে ব্রেক আপ হবার সাথে ইন্টারনেটের কি সম্পর্ক? সে বলল তারা দুইজন মিলে বিভিন্ন বিলিং ভাগাভাগি করে দেয় তার মাঝে টিভির বিল আর গ্যাস তার ভাগে ইন্টারনেট ও ময়লার বিল তার বয় ফ্রেন্ডের ভাগে। এমন কি ইন্টারনেট বিল কতো তাও সে জানেনা তার কোন ফেইস বুক টুক নেই এবং সে ইন্টারনেটের ঝামেলা পছন্দ করেনা [ আমি মনে মনে বললাম খাইছে আমারে, সুইজারল্যান্ডে ও এই রকম মানুষ আছে?] কারন সে পেইন্টার দিনভর বিভিন্ন বিল্ডিঙে রং দেয় সন্ধ্যায় আয়েশ করে মারিজুয়ানা টানে। গল্প শেষে মুখ কালো করে ফিরে আসব এমন সময় বলে দাড়াও আমার নতুন বয় ফ্রেন্ডকে একটা ফোন করে দেখি সে ইন্টারনেট ব্যবহার করবে কিনা, আর তোমার সাথে শেয়ার করবে কিনা। একবার ভাবভছিলাম এক বয় ফ্রেন্ড যেতে না যেতে তিন দিনের মাথায় আরেক জন? পরে মনে করলাম প্রশ্নটা করা ঠিক হবেনা তাছাড়া কাছাকাছি উত্তর আমি জানি, কিঞ্চিৎ আসার আলো দেখতে পেয়ে দুয়া দুরুদ যা ছোট বেলায় শিখেছিলাম এক এক করে পড়তে শুরু করলাম। আমারও দুয়া পড়া শেষ সে এসে বলল আগামী মাসের প্রথম সপ্তার শেষের দিনে পাবা একই দামে!( হয়তোবা দুয়া দুরুদ ট্র্যাফিক জ্যামে পড়ে নাই তাই ডাইরেক্ট একশন) ধন্যবাদ দিয়ে ‘ইট ওয়াজ ভেরি কাইন্ড অফ ইউ’ বলে চলে এসেছি।আগামী মাসটা আমার জন্য ক্রিটিক্যাল কারন লো ব্যান্ড উইদথ এর ফ্রি নেটওয়ার্ক বারান্দায় গেলে পাওয়া যায় কিন্তু তাপমাত্রা তিন চারের কাছাকাছি তাই বেশিক্ষণ থাকা যায়না। ভাল ভাল লেখকেদের প্রকাশিত গল্প গুচ্ছের বেশির ভাগেরই ম্যুরাল থাকে কিন্তু আমার গল্প গুলা খুব এলেবেলে। সব আশপাশের ঘটে যাওয়া সাধারন ঘটনা তাই ম্যুরাল পাওয়া খুব কঠিন, শুধু আজকের লেখার ঘটনাটা দিয়ে একটা মেসেজ দিতে চাই যা আমার নিজস্ব ধারনার উপর তৈরি। আর এই ধারনাটা হচ্ছে

‘মানুষের তৈরি কিছু নিয়ম কানুন দিয়েই “আইন” নামে শব্দটার উৎপত্তি যেটা কখনো সামাজিক কখনো রাজনৈতিক কখনো গোত্রীয় কিংবা ধর্মীয়। সময় বদলায় কিন্তু সময়ের সাথে সমানুপতিক হারে আইন বদলায় না বিশেষ করে ধর্মীয় আইনের পরিবর্তনের হার খুব ধীরগতি সম্পন্ন হয়তোবা স্থির। এতে করে আমার কিছু যায় আসেনা, কিন্তু খারাপ লাগে তখনি যখন দেখি লাউরার মতো এক শ্রেণীর মানুষ ধর্মীয় এবং সামাজিক আইন গুলোকে বাদামের খোসার মতো করে ফু দিয়ে উড়িয়ে দেয় আবার এই একই পৃথিবীর বিরাট একটা শ্রেণীর মানুষ আইনের ফাঁদে পড়ে ধুকে ধুকে কষ্ট পায়।

পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যাবস্থায় জন্ম বড় হয়ে উঠার কারনে আমি মনে মনে ভাবতাম লাউরাই হয়তো সম্পর্ক ভাঙ্গার কারন, কিন্ত আজ আলেক্সের সাথে কথা হলো, হাই হেলো পর্ব শেষে আমি জানতে চাইলাম কি কারনে তোমাদের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে গেল? আমার ধারনা ভেঙ্গে আলেক্স বলল “It was me for whom our relation broke up. I got involved with my office mate!”

দুদিন আগেই ঘটা করে পালিত হলো বিশ্ব নারী দিবস! এই দিনটাকে আমি ঘৃণা করি, আমি চাইনা এই দিনটা বার বার ঘুরে ঘুরে আসুক। নারী পুরুষের মাঝে “বৈষম্য” নামের এই কুৎসিত শব্দটা পৃথিবী থেকে চিরকালের জন্য হারিয়ে যাক, জাতিসংঘের অফিসে ঢু দিয়েছিলাম কি অনুষ্ঠান হচ্ছে দেখার জন্য। যা দেখলাম তাতে আরো বেশি মন খারাপ হয়ে গেল। সুদান সোমালিয়া সহ আফ্রিকার গরীব দেশে নারীদের উপর অত্যাচারের তুলনা মুলক চিত্র! প্রজেকশনটা আফ্রিকা থেকে ঘুরে এশিয়াতে আসার আগেই আমি দৌড়ে পালিয়ে এসেছি। অসম্ভব দুঃসময়ে যে মানুষটা আমার পীঠে হাত দিয়ে শান্তনা দেয় সে আমার 'মা' কিংবা আমার 'বোন'। তাদের জন্য আলাদা দিবস থাকবে কেন? আমি যা খাই আমি যা করি সব কিছুই তো তারা করে তাহলে তাদের জন্য আলাদা দিবস কেন থাকতে হবে! একটা দিনে কেন তাদের মুল্যায়ন করতে হবে প্রতিটা দিন প্রতিটা মুহূর্তে কেন নয়?


মন্তব্য

স্যাম এর ছবি

চলুক

মাহমুদ.জেনেভা এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

ফাহিম হাসান এর ছবি

দিবস নিয়ে অনেক যুক্তি তর্ক আসবে হয়ত লেখায়, আমি ছোট্ট করে একটা কথা বলতে চাই

"পোট্রেট ছবি তোলার জন্য ফিক্সড লেন্স লাগে" - কথাটা ঠিক না, যে কোন লেন্সেই পোর্ট্রেট করা যায়।

মাহমুদ.জেনেভা এর ছবি

ঠিক কি বলব জানিনা ফাহিম ভাই
তবে আমি এখানে ৪ সপ্তাহের একটা কোর্স করেছি পোট্রেট ছবির জন্য দেখলাম ওস্তাদ প্রতিবারই প্রাইম লেন্সের কথা বললেন সাথে এপারেচার যত কম ততই ভালো বললেন।
তবে আপনার কথা ঠিক হতেও পারে কারন পোট্রেট ছবির ও অনেক শ্রেণী আছে। এখন ডিপেন্ড করতেছে আপনি কি ফোকাস করবেন? শুধু মুখ রেখে বাকি সব ব্লুর করে দিলে আমি ব্যাক্তিগত ভাবে মনে করি প্রাইম লেন্স আর খুব কম ওপেনিং রাখাই ভাল।
[ তবে আবারো বলছি আমার জ্ঞান সীমিত]

ফাহিম হাসান এর ছবি

আরে নারে ভাই, আপনার পয়েন্ট ঠিক আছে: প্রাইমের রেজাল্ট ভাল, লো অ্যাপারচার নাম্বারে ছবি তোলার সুবিধা আছে, বোকে ভাল আসে।

কিন্তু ছবি তো ক্যামেরা/লেন্স তুলে না। তুলেন আপনি। না হয় বোকে হল না, প্রাইমের মত রেজাল্ট আসল না। তো? তাই বলে কী পোর্ট্রেইট হবে না?

যত ভাল পোর্টেইট সব কি প্রাইমে তোলা হয়? বিলকুল না।
যত ভাল পোর্টেইট তার বেশিরভাগই কি প্রাইমে তোলা হয়? না, তাও না।

(যদিও "ভাল" বলতে আপনি/আমি কী বুঝছি সেটাও আরেক তর্কের ব্যাপার।)

যে কোন শিল্পের মত ফটোগ্রাফিতেও আর্ট এবং ক্রাফট এর ভিন্নতা আছে। আপনি যে পয়েন্টটা বলছেন তাতে ছবি টেকনিকালি বেটার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কিন্তু পোর্ট্রেইট তোলা যাবে না বা ভাল হবে না - এমন কথাটা ভুল।

[আমার জ্ঞানও সীমিত, খন্ডিত ও অপূর্ণ। ব্যক্তিগত অনুভূতি থেকেই কথাগুলো বললাম।]

rabbani এর ছবি

ভাল লাগলো চলুক

আর হ্যা, ইন্টারনেটের বিল একটু বেশি মনে হলো! আমি আমরিকাতে ইন্টারনেট আর ব্যাসিক ফোন (লোকাল কল ফ্রি) মিলে দিই ৫৫ ডলারের মত (ট্যাক্স আর মডেম ভাড়া সহ)।

মাহমুদ.জেনেভা এর ছবি

আমেরিকার তুলনায় সুইজারল্যান্ডে সব কিছুর দাম রিলেটিভলি বেশি
আমি কিছুদিন আগে আমেরিকায় গিয়েছিলাম সব কিছুই তুলনামুল ক ভাবে কম মনে হল এই ছবিটা দেখেন
কলোরাডোর ছোট শহর ফোর্ট কলিন্স থেকে নেয়া পুরা টা খাবারের দাম মাত্র ১২.৫ ডলার যেটা সুইজারল্যান্ডে আপনি কোন ভাবেই ৩০ ফ্রাঙ্কের নিচে খেতে পারবেনা না ফর সিউর!
IMG_4313

একই ভাবে বিগ ম্যাকের দাম এখানে ১৫ ফ্রাঙ্ক যেটা আমেরিকায় অনেক কম

সাফি এর ছবি

১২.৫ ডলারে নাস্তা করেন, মিয়া আপনে তো বিরাট বড়লোক। আমেরিকায় আমি যে শহরে থাকি সেখানে অন্তত, ৩-৪ ডলারে পেট পুরে খাওয়া যায়।

ফাহিম হাসান এর ছবি

আমেরিকায় খাওয়া সস্তা

সত্যপীর এর ছবি

হক কথা। কোন এক আমেরিকান এয়ারপোর্টে খাবার খেয়ে ৮/৯ ডলারে যখন দেখি ৩৩ পয়সা ট্যাক্স ভাবসিলাম ব্যাটার নিশ্চয়ই মেশিন নষ্ট।

..................................................................
#Banshibir.

মাহমুদ.জেনেভা এর ছবি

এইটা নাস্তা না সাফি ভাই এইটা ছিল আমার কোন এক রাতের খাবার
ওরা ডিনার কে ডাইনার বলে কেন আমার জানা নাই। আরও কিছু বিষয় খুব মজার। এক প্লেটে দুই ডিম দেয়!! দুই একটা ডিসে আমি ৩ ডিম ও দেখেছি! কবুতর কিংবা দোয়েল পাখির ডিম হলে না হয় মানা যেত কিন্ত তিনটা মুরগির ডিম এক বেলা কেমনে কি!
তবে এভারেজ আমারিকানরা ইউরপিয়ানদের চেয়ে আমার কাছে একটু ভূটকু মনে হয়েছে [ মেয়েদের ক্ষেত্রে আরও বেশি]

guest_writter এর ছবি

চলুক

দীপাবলি।

মাহমুদ.জেনেভা এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

চরম উদাস এর ছবি

চলুক ভালো লাগলো।

মাহমুদ.জেনেভা এর ছবি

ধন্যবাদ পুংটা “উদা ভাই”
আপনার চোখে ভাল মানে আমি পরীক্ষায় পাশ দেঁতো হাসি

সুলতান এর ছবি

লেখা ভালো লেগেছে।

পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।

সুলতান, ঢাকা।

মাহমুদ.জেনেভা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ সুলতান ভাই
খুব মন ভালো হয়ে গেল শুনে যে আমার মতো অখাদ্য লেখার জন্য কেউ অপেক্ষায় থাকে
পর্ব চার লিখে রেখেছি শিজ্ঞির দিব, এই লেখাটা তৃতীয় পাতায় যাবার পর। সচলের নিয়ম কানুন খুব কড়া অনেক কষ্টে পাওয়া একাউন্ট কোন ভাবেই হারাতে চাইনা

সুলতান এর ছবি

আমার কিন্তু আপনার লেখা বেশ ভালো লাগে। অনেক গোছানো মনে হয়।

শুভকামনা আপনার জন্য।

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

ভালো লাগলো।
পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
লিখা চলতে থাকুক।

মাহমুদ.জেনেভা এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

এবিএম এর ছবি

ভালোই লাগল, কিন্তু আবারো দাড়ি-কমার সমস্যা ! হাসি

মাহমুদ.জেনেভা এর ছবি

মন খারাপ

সত্যপীর এর ছবি

তার মানে সুইজারল্যান্ডে নুরুল হুদার অভাব নাই]

খেক খেক।

লিখা ভারি চমেতকার। তরতর করে পড়ে গেলাম।

..................................................................
#Banshibir.

মাহমুদ.জেনেভা এর ছবি

আপনার লেখাও চমৎকার
সিরাজ ভাইয়ের অপেক্ষায় আছি

বন্দনা এর ছবি

টুকরা গল্প ভালো লেগেছে। আপনার গল্প বলার ভঙ্গিমা ও বেশ ভালো।

মাহমুদ.জেনেভা এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

আব্দুর রহমান এর ছবি

আপনার এই সিরিজের সবগুলো লেখাই পড়েছি, আজ ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম।

কিছু ভুল বানান চোখে লাগে। যেমন-' এই নিদৃষ্ট লেন্সেই' -- নির্দিষ্ট

'ভাল ভাল লেখকেদের প্রকাশিত গল্প গুচ্ছের বেশির ভাগেরই ম্যুরাল থাকে কিন্তু আমার গল্প গুলা খুব এলেবেলে।'

গল্পে যেটা থাকে সেটা মোরাল বা নীতিকথা, আর ম্যুরাল বলতে বিশেষ ধরনের শিল্পকর্ম বোঝায়।

আগামী লেখার অপেক্ষায় রইলাম, ভালো থাকবেন।

------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল

মাহমুদ.জেনেভা এর ছবি

রহমান ভাই একটা ছোট অনুরোধ
অনুগ্রহ করে আপনার মেইল এড্রেস টা যদি আমাকে দিতেন পর্ব চার প্রকাশ করার আগে আপনাকে ড্রাফ্‌ট পাঠায়ে দিতাম। আসলেই ভুল বানান নিয়ে খুব বিব্রতকর অবস্তায় আছি
আমাকে

এই মেইলে পাবেন

তারেক অণু এর ছবি

এই পর্বটা বেশ ভাল লাগল। একটা আপন আপন ফ্লেবার আছে চলুক

মাহমুদ.জেনেভা এর ছবি

ধন্যবাদ দেশে দেশে ঘুরা অনু ভাই

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ভালো লাগলো এই পোস্টটাও। চলুক

মাহমুদ.জেনেভা এর ছবি

আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় ছিলাম! আপনি তিনটা পর্বেই কমেন্ট দিয়েছেন, অনেক ভাল লেগেছে আপনার কমেন্ট পেয়ে
ভালো থাকবেন ভাই

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আপনার লেখা দেখলে আগ্রহ নিয়েই পড়ি। তবে আগের অনুরোধটাই আবার করবো, বানানের দিকটা একটু দেখবেন, ভাই। নিজের মতো করেই একটানা লিখে যান, লেখা শেষে দুয়েকবার ভালো করে দেখে নিয়েন, পোস্ট করার আগে।

পরের পোস্টের অপেক্ষায় থাকলাম। হাসি

তদানিন্তন পাঁঠা এর ছবি

আপনার পর্বগুলো ছোট ছোট হলেও স্বয়ং সম্পূর্ণ। পড়তে ভালো লাগে। অপেক্ষায় থাকলাম।

মাহমুদ.জেনেভা এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

বান্ধবী এর ছবি

আপনি শেষের অনুচ্ছেদে যে কথাগুলো বললেন, আমাদের দেশের অনেক মেয়েকে প্রতি বছর মার্চ মাসে একটু ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এই কথাগুলো বলা হয়। এই দিনটি নিয়ে কেউ লজ্জিত, কেউ শঙ্কিত, কেউবা দুঃখিত। অনেককেই (ছেলে, মেয়ে উভয়েই) বলতে শুনেছি যে মেয়েরা পিছিয়ে আছে বলেই এইসব পালন করা হয়, হাবিজাবি দিন পালন করে অধিকার আদায় করা যায় না, ছেলেরা কোন দিবস পালন করে সমাজের কর্তৃত্ব পায় নি – ইত্যাদি ইত্যাদি। আমার একজন ফেসবুক বন্ধু বিরক্ত হয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছে – “Let the women around you take a moment & celebrate their womanhood. If you have confusion about International Women's Day please google it & try to know the history. Belittling women on Women's Day won't make u guyz any superior.”।

অন্যান্য দিবসগুলো পালন করার সময় আমরা এর পেছনের ঘটনা বা কারণকে স্মরণ করি, সেই দিবসের সঙ্গে যুক্ত মানুষদের শ্রদ্ধা জানাই, ওই দিবসের সঙ্গে সম্পর্কিত পরবর্তী পদক্ষেপ অথবা আয়োজন নিয়ে আলোচনা করি; কখনো দিবসটাকে নিয়ে লজ্জিতবোধ করি না। নারী দিবস পালনের সময় কি আমরা পারি না সেরকম একটা চেতনা নিজের মধ্যে ধারণ করতে? এই দিবসটি পালন বন্ধ করলেই কিন্তু নারী প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ বন্ধ হবে না। বরং আমার মনে হয়, একটি দিনকে সামনে রেখে যদি আমরা একটু একটু করে সচেতন হই সেটাই হবে নারীর প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর শ্রেষ্ঠ উপায়। আর সেটা যদি নাও পারি, তবুও যেন এই দিবসটি নিয়ে লজ্জিত না হই।

বরাবরের মতো লেখা ভালো লেগেছে হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।