কাক কাকের মাংস খায় না, লেখক লেখকের মাংস খায়

মাসুদা ভাট্টি এর ছবি
লিখেছেন মাসুদা ভাট্টি (তারিখ: মঙ্গল, ২২/০৭/২০০৮ - ৮:৫১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হুমায়ূন আহমেদ বরাবরই বাজারের তপ্ত পণ্যটি হয়ে থাকতে চান, তিনি বাজার বোঝেন এবং জানেন, তাই কোন্ সময়ে কি বললে প্রতিক্রিয়াটি কি রকম হবে সেটি তার মতো বাংলাদেশের কোনও রাজনীতিবিদও বোঝেন কিনা সন্দেহ। তবে দোষটা শুধু হুমায়ূন আহমেদের একার দিচ্ছি কেন? অতীতের সেনা সরকার, বর্তমানের সেনা সমর্থিত সরকার কিংবা পাকিস্তান আমলে আইয়ুবের গণতন্ত্র, সব সময়ই একদল ভাড়াটেকে পাওয়া গিয়েছে তাদের ঢোলকটি পেটানোর জন্য। এই বুদ্ধিজীবি বা লেখককূল সেই ঢোলক বেদমকে পিটিয়েছেন এবং অনেক সময় পেটাতে পেটাতে ভেঙেও ফেলেছেন। তারা কিন্তু কেউ সমাজচ্যুত হননি, পরে আবার ভিড়ের কৈ ভিড়ে মিশে গিয়েছেন।

মানুষ হিসেবে কোনও রাজনৈতিক দল বা পক্ষকে সমর্থন দেওয়ার স্বাভাবিকতা লেখকদেরও থাকবে, সেটা তাদের লেখাতেও উঠে আসবে কিন্তু তাই বলে বর্তমান রাজনৈতিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় অন্ধকারকে সফেদ জ্যোস্নার মতো বর্ণনা করার ব্যবসায়িক বুদ্ধি হয়তো মাত্র হুমায়ূন আহমেদ কিংবা তার মতো আরও দু’একজনেরই আছে। এই মুহূর্তে একজনের কথা মনে পড়ছে, আব্দুল্লা আবু সাঈদ, যিনি তার দফতরে বসে কয়েকজন বিদগ্ধ ব্যক্তির উপস্থিতিতে র‌্যাব-এর ক্রসফায়ারে তথাকথিত সন্ত্রাসী হত্যার প্রশংসা করছিলেন। তিনি তুলনা টানছিলেন অষ্টাদশ শতকের ব্রিটেনের, আমি বলতে চেয়েছিলাম যে, যদি তুলনাই করতে হয় তাহলে কেন একবিংশ শতকের ব্রিটেনের সঙ্গেই আমরা তুলনা করছি না, কেন আমরা ব্রিটেনের অতীতের সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমানকে মিলিয়ে ফেলছি? তার মুখে সেই আসরে তারেক জিয়ার প্রতি স্তুতি বাক্য শুনে আমার সেখানে বসে থাকার ইচ্ছেটা চলে গিয়েছিল। এরকম অসংখ্য উদাহরণ টানা যাবে।রবীন্দ্রনাথকে বাঙালি মানস থেকে সরানোর জন্য গোলাম মোস্তফার “এছলামি” কবিতাকেও তো বাঙালিকে জোর করে গেলানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কাহিনী এবং ঘটনার তালিকা অনেক দীর্ঘ। সে কারণে হুমায়ূন আহমেদের বর্তমান সেনা-সরকারকে তোষণ-বক্তব্য আমাকে খুব বেশি আহত বা আশ্চর্য করেনি।

কিন্তু হুমায়ূন আজাদ এবং জাহানারা ইমাম সম্পর্কিত বক্তব্য সত্যিই আহত করেছে। একজন লেখক আরেকজন লেখককে সম্মান দেবেন, বিপদে পাশে দাঁড়াবেন, তাকে কেউ অন্যায় ভাবে আঘাত করলে তার প্রতিবাদ করবেন, রাষ্ট্র তার লেখক সত্ত্বাকে বাধাগ্রস্ত করতে চাইলে প্রয়োজনে রাষ্ট্রের সঙ্গে যুঝবেন। একজন লেখক আরেকজন লেখকের কাছ থেকে এই সহযোগিতাটুকু অবশ্যই পেতে পারেন। হুমায়ূন আজাদ যা লিখেছেন তা হুমায়ূন আহমেদের কাছে ‘নোংরা’ লাগতেই পারে, যেমনটি হুমায়ূন আজাদের কাছে হুমায়ূন আহমেদ হতে পারেন ‘অপন্যাসিক’ কিন্তু তাই বলে রাষ্ট্র কিংবা কোনও তৃতীয় পক্ষ যখন এদের একজনকে আঘাত করবেন তখন অপরজনের দায়িত্ব তাকে রক্ষা করা, তার পাশে দাঁড়ানো।
হুমায়ূন আজাদ মারা গিয়েছেন, এবং এখন মনে হচ্ছে মরে বেঁচেছেন, নইলে কথিত “নোংরা”র জন্য তাকে হত্যাকে হালাল করার হুমায়ূন আহমেদীয় প্রচেষ্টার জন্য তিনি হয়তো প্রচণ্ড কষ্ট পেতেন। তবে হুমায়ূন আহমেদকে দোষ নিয়ে লাভ নেই, এরকম বক্তব্য আমি আরও কয়েকজন লেখক-কলামিস্টের মুখে শুনেছি। কেউ কেউ তো আরও বেড়ে একথা বলতে চেয়েছেন যে, হুমায়ূন আজাদ তসলিমা নাসরিনের খ্যাতিতে ঈর্ষান্বিত হয়ে নিজে তসলিমার চেয়ে বেশি আঘাতপূর্ণ লেখা লিখতে গিয়ে বেঘোরে মরেছেন। এদের নিয়ে কথা বলতে রুচিতে বাঁধে, তারপরও বলতে হয়, দুঃখ ও মর্মযাতনাটা এখানেই।

জাহানারা ইমাম শুধু শহীদ জননী, ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির প্রতিষ্ঠাতাই নন, তিনি একজন লেখক। একাত্তরের দিনগুলির মতো গ্রন্থের জন্যও তিনি কালজয়ী, কিন্তু হুমায়ূন আহমেদ তাকে এই মর্যাদাটুকুও দিতে নারাজ। আজকে তিনি নিজে বলেছেন, কিছুদিন পর তার নির্মিত চরিত্রের মুখ দিয়ে বেরুবে এই সব বচন। কথায় বলে কাক কাকের মাংস খায় না, কিন্তু লেখক শুধু লেখকের মাংস খেয়েই শান্ত থাকেন না, কবর থেকে লাশ তুলে তার অস্থি-মজ্জা চিবোতেও ছাড়েন না। হুমায়ূন আহমেদ সে প্রমাণটাই আমাদের দিলেন।

আরেকটি ছোট্ট দুঃখের কথা বলে শেষ করি, এই লেখাটিরই একটি বড় ভার্সন দেশের একটি দৈনিকের জন্য লিখেছিলাম। কিন্তু সম্পাদক সাহেব বললেন, সামনে ঈদ সংখ্যা, এখন হুমায়ূন আহমেদকে চটানো যাবে না। আমি হাসবো না কাঁদবো, ভেবে পাচ্ছিলাম না। হুমায়ূন আজাদ, জাহানারা ইমাম, মোল্লাতন্ত্র, অগণতান্ত্রিক ও অরাজনৈতিক শাসনব্যবস্থা ইত্যাদি সবকিছুই ঈদ সংখ্যার কাছে খুবই সামান্য এবং তুচ্ছ।


মন্তব্য

ক্যামেলিয়া আলম এর ছবি

ei shob tathakathito lekhokder ki r proyojon ache ei shomajer? Editor ra keno bojhe na----desher proti kichu holeo to tader korar ache-----shorkar birodhitar voi thakey kintu lekhok birodhitar ei thunko voi ki na pelei noi? lekhoker patrika ki shadharan manush kokhono kinbey?
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........

.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........

অতিথি লেখক এর ছবি

হুমায়ুন চরিএ অনেক আগেই হারিয়েছেন__তার নীতিও ওইরকম

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

কিছু বলার নেই। সহমত।


রাজাকার রাজা কার?
এক ভাগ তুমি আর তিন ভাগ আমার!

সবজান্তা এর ছবি

অনেকদিন পর আপনার লেখা পড়লাম। যথারীতি বেশ ভালো লাগলো।

পুনশ্চঃ আপনি কি এখনো জনকন্ঠে লিখেন ?


অলমিতি বিস্তারেণ

মাহবুব লীলেন এর ছবি

লেখক হুমায়ুন আহমেদকে বাদ দিয়ে ব্যক্তি হুমায়ুন আহমেদের কয়েকটা আচরণের জন্য আমি বহু জায়গায় স্ট্যান্ড নিয়েছিলাম
বলতাম লোকটা কিছু সোশাল দায়িত্ব নেয় নিজের থেকে

কিন্তু যেদিন দেখলাম চলচ্চিত্রে নৌকা দেখলে বিএনপি সরকার ক্ষেপে যাবে বলে মুক্তিযুদ্ধের সিনেমায় তিনি ইঞ্জিন বোট দেখালেন

সেই দিন থেকে লোকটার নাম শুনলে নিজের উপর থুতু ফেলতে ইচ্ছে করে কারণ তার সামাজিক স্ট্যান্ডের পক্ষে আমি যতগুলো কথা বলেছি তা কোনোদিনও ফিরিয়ে নিতে পারবো না

দ্রোহী এর ছবি

সামনে ঈদ সংখ্যা, এখন হুমায়ূন আহমেদকে চটানো যাবে না।

সামনে ঈদ সংখ্যা। হুমায়ুনকে চটানো যাবে না। এখন তাকে চাটতে হবে। নাহলে কাটতি বাড়বে না গো........


কী ব্লগার? ডরাইলা?

ফারুক হাসান এর ছবি

ভাগ্যিস সচলায়তনের মডুরা আপনার পোষ্টটাকে আটকে দেয়নি এই বলে যে, সামনে হুমায়ূন আহমেদ একজন শিক্ষানবীশ ব্লগার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবেন, এখন হুমায়ূন আহমেদকে চটানো যাবে না। চোখ টিপি

খেকশিয়াল এর ছবি

হনুমানের বাড় বাড়সে, লেজ ধইরা আছাড়াইতে হইব !
মাসুদা ভাট্টি লাল সালাম ।

------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

Asm এর ছবি

কিন্তু সম্পাদক সাহেব বললেন, সামনে ঈদ সংখ্যা, এখন হুমায়ূন আহমেদকে চটানো যাবে না। - হায়রে বাংলাদেশ আর কত কিছু দেখতে হবে।(

মনজুরাউল এর ছবি

হুমায়ূন বিষয়টা ইতিমধ্যেই কটু গন্ধ ছড়াতে শুরু করেছে। ফালতু একটা নভলিস্টকে নিয়ে এত কথা?
ব্যক্তি হুমায়ূনকে বাদ দিন,হুমায়ূন মুক্তিযুদ্ধ,জাহানারা ইমাম,হুমায়ূন আজাদকে নিয়ে যা বলেছে আর জামাতের পক্ষে যে সাফাই গেয়েছে সে কারণে ..................
১। তার বিচার হওয়া উচিৎ।
২। প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রর্থনা করা উচিৎ।
৩। নিজেকে আল মাহমুদের কাতারে ফেলে জামাতি ত্বরিকা নেওয়া উচিৎ।
৪। পত্র-পত্রিকাঅলাদের উচিৎ ঈদ-ফিদ নয়,সারাজীবনের জন্য বর্জন করা।
৫। পত্রিকাঅলারা তা না পারলে আমাদের উচিৎ ওই পত্রিকাগুলো বর্জন করা।

কাগজের ধর্ম হলো ‘উইন্ডের’ অনুকুলে পাল খাটিয়ে চলা। কর্পোরেট স্বার্থের কাছে দেশ-জাতি-মনন-সংস্কৃতি সবই সেলেবল কমোডিটিজ।হুমায়ূন এখন(কখন নয়?)হটকেক কমোডিটিজ।আমাদের ঘেন্না হওয়া উচিৎ। আমরা এক একটা ‘আইকন’ বানাই আর তারা প্রতিক্রিয়াশীল মৌলবাদের কোলে চড়ে বসে। হুমায়ূন সেই দলের নব্য সংস্করণ।

.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......

হাসান মোরশেদ এর ছবি

২০০১ এর অক্টোবরে যখন নির্বাচন বিজয়ী জামাত বিএনপির হুলিগান রা ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সংখ্যালঘুদের উপরে, একজন মা যখন একদল ধর্ষকের কাছে করজোরে প্রার্থনা করছিলেন- 'বাবারা এক এক জন করে আসো, আমার মেয়েটা খুব ছোট'

ঠিক তখনই আমাদের আলোর দিশারী ম্যাগাসাসে আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ নাগরিক আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন । না মানুষ নয়, গুলশান লেক বাঁচানোর জন্য ।

গুলশান লেক বাঁচানো নিশ্চয় অধিক জরুরী ছিলো তখন । সায়িদ স্যার তাই প্রণম্য নিশ্চয় ।
-------------------------------------
"এমন রীতি ও আছে নিষেধ,নির্দেশ ও আদেশের বেলায়-
যারা ভয় পায়না, তাদের প্রতি প্রযোজ্য নয় "

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

মনজুরাউল এর ছবি

মৃত্যুপ্রানতরে পাখিবিলাস।বিশ্বসাহিত্যের নামে ভোগবিলাস।
জরায়ূ ভাড়া দিয়ে জন্মবিলাস।অতপর গুলশান লেকে পবিেশবিলাস-পরগাছা শকুনের দল...।

.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......

এনোন এর ছবি

কিন্তু হুমায়ূন আজাদও তো অন্য লেখকের মাংস খান। হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে তিনি যেই মন্তব্য করেছিলেন, তা হুমায়ূন আহমেদ হলে কি হজম হয়? আরও অনেক লেখককে নিয়েই হুমায়ূন আজাদ নানা সময়ে নানা মন্তব্য করেছেন, যা কারো কাছে সৎ সাহসের পরিচয় ছিলো, কারো কাছে স্রেফ দাম্ভিকতা। হুমায়ূন আহমেদের ক্ষেত্রে যদি বলেন 'কাক কাকের মাংস খায় না, কিন্তু লেখক লেখকের মাংস খায়', তাহলে একই কথা হুমায়ূন আজাদের ক্ষেত্রেও খাটে। সেক্ষেত্রে আমার কেবল মনে হচ্ছে, ইট মারলে পাটকেলটি খেতে হয়। অন্য লেখকের মাংস খেয়েছেন তিনি, মৃত লেখকদেরও ছাড়েন নি, এখন তো শুধু একই ব্যবহার ফেরত পাচ্ছেন, অন্য কিছু না।

এই কথাগুলো সত্যি, কিন্তু কেউ বলছেন না। খুব সম্ভবত সচল আমার এই মন্তব্যকে আলোর মুখ দেখতে দিবে না। স্রোতের উল্টো দিকে ফ্যাশোনেবলি গেলে সেটা একসেপটেবল, ফ্যাশনেবল না হলে একদম গ্রহনযোগ্য না--এটাই সুশীলতার সংজ্ঞা, বুঝে গিয়েছি।

হিমু এর ছবি

আপনার পর্যবেক্ষণ সঠিক। হুমায়ূন আজাদ দুর্মুখ ছিলেন। কিন্তু হুমায়ূন আহমেদ যে কোন প্রসঙ্গে তাঁর লেখার সমালোচনা করেননি। তাঁকে করা প্রশ্নটি ছিলো, হুমায়ূন আজাদকে কেন মরতে হলো? এর উত্তরে তিনি জানিয়েছেন, আজাদ নাকি একটি কুৎসিত উপন্যাস লিখেছেন, যা পড়লে যে কেউ আহত হবেন।

একটি উপন্যাস পড়ে কেউ আহত হলে তার লেখককে শারীরিক আক্রমণ করা সঙ্গত, তাকে হত্যার চেষ্টা করা বা হত্যা করা সঙ্গত, এ কেমন যুক্তি?

হুমায়ূন আজাদ তাঁর জীবদ্দশায় বহু লেখককে রূঢ় ভাষায় সমালোচনা করেছেন, কিন্তু কখনো তাদের ওপর শারীরিক আক্রমণকে হালাল করার চেষ্টা করেছেন, এমন উদাহরণ কি আছে?

সচলায়তন সম্পর্কে আপনি একটি ভ্রান্ত ধারণা পোষণ করেন দেখতে পাচ্ছি। আগ্রহ থাকলে নিয়মিত অংশগ্রহণ করতে পারেন। অ্যানোনিমাস না থেকে নিজের নাম বা কোন নিক ব্যবহার করতে পারেন।

তবে দ্রষ্টব্য, স্রোতের উল্টোদিকে চলা বলতে যদি আপনি যুদ্ধাপরাধী, স্বাধীনতাবিরোধীদের সাফাই গাওয়ার কথা মনে করেন, সেক্ষেত্রে আপনার ধারণা সত্যের কাছাকাছি। ঐ ধরনের মন্তব্য বা পোস্ট সচলে প্রকাশিত হয় না।


হাঁটুপানির জলদস্যু

স্নিগ্ধা এর ছবি

খুব সম্ভবত সচল আমার এই মন্তব্যকে আলোর মুখ দেখতে দিবে না।

কিন্তু দিলো তো ? আমি হুমায়ুন আজাদের লেখা এবং দৃষ্টিভঙ্গি খুবই পছন্দ করি, কিন্তু তার মানে এই না যে তিনি কোন দাম্ভিক উক্তি করলে সেটাও আমার ভালো লাগে। লাগে নি। তবে, আমার প্রিয় কেউ কোন অপ্রিয় কাজ করলেই আমি তৎক্ষণাৎ মুষড়ে পড়ি না, কারণ সে দেবতা হবে এমনটা তো আমি কখনই ধরে নিই নি? যা তার খারাপ সেটাকে এড়িয়ে না গিয়ে আমি বরং সমালোচনা করারই পক্ষপাতী।

কিন্তু হুমায়ুন আহমেদ যা যা বলেছে, তা শুধুমাত্র অপ্রীতিকর বা রূঢ় নয়, সেগুলো রীতিমত অন্যায় এবং নিষ্ঠুর!

হাসান মোরশেদ এর ছবি

সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারের হুমায়ূন আহমেদ যা বলেছেন তা তো অন্য লেখকদের স্রেফ তুচ্ছ তাচ্ছিল্য বা নিজের সৃষ্টি নিয়ে অহমিকা প্রকাশ নয়( হুমায়ূন আজাদকে যে দোষে দুষ্ট বলা হচ্ছে)

প্রথমতঃ ডঃ আজাদের উপর হামলার কারন তার 'কুৎসিত' লেখা- এই কথার মাধ্যমে ঐ নারকীয়তাকে হুমায়ূন জাস্টিফাই করলেন যা স্পষ্টতঃ শাস্তিযোগ্য অপরাধ

দ্বিতীয়তঃ জাহানারা ইমামের উপর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়নি এবং এসব সাজানো নাটক- এই কথা বলে তিনি সুস্পষ্ট মিথ্যাচার করলেন এবং একটি আদর্শিক অবস্থানকে খেলো করে দিলেন ।

এগুলোকে স্রেফ লেখকদের ইর্ষা বলে হালকা করে না দেখাটা সবার জন্য মঙ্গলজনক হবে ।।
-------------------------------------
"এমন রীতি ও আছে নিষেধ,নির্দেশ ও আদেশের বেলায়-
যারা ভয় পায়না, তাদের প্রতি প্রযোজ্য নয় "

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

"কাক কাকের মাংস খায় না, কিন্তু লেখক শুধু লেখকের মাংস খেয়েই শান্ত থাকেন না, কবর থেকে লাশ তুলে তার অস্থি-মজ্জা চিবোতেও ছাড়েন না।"

নির্মম হলেও চরম সত্য
অনেক দেখেছি
এখনও দেখছি
তাই ক্ষুব্ধ বা আহত হলেও
বিস্মিত হইনি একটুকুও

নুরুজ্জামান মানিক
**********************************A life unexamined is not worthliving.-Socrates

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন বলে মনে হচ্ছে।

.... ...
লেখাটা পত্রিকায় গেলে হয়তো সচল আর্কাইভ বঞ্চিত হতো। তার চেয়ে এটাই ভালো হলো, তাই না? হাসি

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

নিঝুম এর ছবি

হুমায়ুন আহমেদ যদি সত্যি সত্যি ওই সাক্ষাত্‌কার দিয়ে থাকেন ( যদিও ওই সাক্ষাত্‌কারে অনেক অনেক ফাঁক ফোকর আছে যা দিয়ে প্রমাণ করা যায় এই সাক্ষাত্‌কার ভুয়া , সেক্ষেত্রে স্যারের উচিত মানহানির মামলা করা, এইটা তো লাইবেল এর পর্যায় পড়ে। স্ট্রেইট ডিফেমেশন ) তাহলে বলব , উনি অনেক বড় একটি অন্যায় করেছেন ।

আর এই লাইন্টি,

কিন্তু সম্পাদক সাহেব বললেন, সামনে ঈদ সংখ্যা, এখন হুমায়ূন আহমেদকে চটানো যাবে না।

বাস্তব চিত্রটা কিন্তু এমনই । উনার প্রচুর ( " শ্যালো" ... কোন বিজ্ঞ জনের মতে ) ভক্ত । গুণে শেষ করা যাবে না । সো সম্পাদক রা উনাকে চটাবেন কেন? সবাই তো সবার ব্যাবসা কিংবা লাভ টাই দেখবে । এটাই স্বাভাবিক । আর আমার মতে ,মহালেখক হুমায়ুন আহমেদ কে বাদ দিয়ে বাংলা সাহিত্য কখনোই চিন্তা করা যায় না , যাবে না । কেননা উনার অবদান বাংলা সাহিত্যে অনেক............অনেক...............
--------------------------------------------------------
... বাড়িতে বউ ছেলেমেয়ের গালি খাবেন, 'কীসের মুক্তিযোদ্ধা তুমি, কী দিয়েছ আমাদের'? তিনি তখন আবারো বাড়ির বাইরে যাবেন, আবারো কান পাতবেন, মা জননী কি ডাক দিল?

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

হিমু এর ছবি

তোমার মহালেখক তো মনে হচ্ছে মহাধাউড়ের লাইনে পা বাড়াচ্ছেন। জাহানারা ইমামকে নিয়ে উনি কী বললেন দেখসো?


হাঁটুপানির জলদস্যু

আসিফ মোহাম্মদ আদনান এর ছবি

"কেননা উনার অবদান বাংলা সাহিত্যে অনেক............অনেক..............."
ei bepare ami dimot,trimot.....N-mot prokash korte chai.
[banlish likhar jonno khoma cheye nicchi.]

আকাশের সীমানা ভাঙ্গতে চাই!

নিঝুম এর ছবি

আমি তো বলেছি, যেসব কথা উঠেছে সেসব যদি সত্যি হয় , তবে তিনি রাজাকারের থেকেও একজন নিকৃষ্ট প্রাণী বলে মনে করব এবং তাকে সব ভাবে বর্জন করব । শহীদ জননী জাহানারা ইমাম কে অপমান করা কিংবা মৌলবাদী, জামাতী ধান্দা বাজ , এইগুলার পক্ষে উনি কথা বললে তাঁকে ঘৃণা করবার অনুভূতিও আমার মধ্যে অবশিষ্ট থাকবে না । এই সাক্ষাত্‌কারের ব্যাখা তাকে দিতে হবে ।

আর যদি এই সাক্ষাত্‌কার অতিরঞ্জিত এবং অতি রঙ্গিত হয় তবে স্যারের উচিত ডিফেমশনে মামলা করা । তার অবস্থান তাকে স্পষ্ট করতে হবে । অন্যথায়, মৌনতাই সম্মতির লক্ষন , ধরে নেয়া ছাড়া আর উপায় থাকবে না ।

--------------------------------------------------------
... বাড়িতে বউ ছেলেমেয়ের গালি খাবেন, 'কীসের মুক্তিযোদ্ধা তুমি, কী দিয়েছ আমাদের'? তিনি তখন আবারো বাড়ির বাইরে যাবেন, আবারো কান পাতবেন, মা জননী কি ডাক দিল?

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

আদিত্য এর ছবি

এই ফাউল আপনার কোন জনমের স্যার নিঝুম? আমাদের এই অতি ভক্তিবাদই তার মতো মানুষকে আরো সুযোগ করে দেয় প্রচুর নবীন ও অন্ধ ভক্তরে চিত করে ইয়ে মেরে দিতে। এই ফাউলটা কবে যে অফ যাবে মুক্তিযুদ্ধের ছবির নামে জঘন্য সব মেলোড্রামা বানানো থেকে? ঐ বুড়ার বয়স যেন কতো হলো?

নিঝুম এর ছবি

প্রিয় আদিত্য,
এই ফাউল আমার সব জীবনের স্যার । ঢাকা ইউনিভার্সিটির একজন শিক্ষক, যিনি বাইশ বছর পড়ালেন তাঁকে আপনার মত এইভাবে " ফাউল " ডাকা আমার পক্ষে সম্ভব না । তাঁকে স্যার ই ডাকতে হয় । বুঝতে পারছি এই মহালেখকের উপর আপনি বেশ নাখোশ । সে আপনার ব্যাপার ? আমার সম্মান আমাকেই করতে দিন না , আপনার তো তাতে কোন ক্ষতি হচ্ছে না । আর যারা আজ মহালেখক হুমায়ুন স্যারের সমালোচনা করছেন, তারা কিন্তু প্রত্যেকেই এটা স্বীকার করে নিচ্ছেন যে , তিনি একসময় ভালো লিখতেন , তার লেখা গুলো মানুষকে টানত । আজ হয়ত তাদের লেখা গুলো ভালো লাগছেনা । আপনি চিন্তা করে দেখেন, এই যে এই যে আপনি যে কথা গুলো বললেন , তাতে নিজেকেই কি আপনি ছোট করলেন না ? আমরা সবাই নিজের মধ্যে এক অসুখ নিয়ে বাস করি । সে অসুখ সবার সামনে না দেখানোই মানুষ হিসেবে আমাদের বেঁচে থাকার স্বার্থকতা ।

এই ফাউলটা কবে যে অফ যাবে মুক্তিযুদ্ধের ছবির নামে জঘন্য সব মেলোড্রামা বানানো থেকে?

শঙ্খনীল কারাগার যখন এই মহালেখক বানালেন, তখন কিন্তু সারা দেশের মানুষ এই সিনেমা কে সাধুবাদ জানিয়েছিলেন। ছেলে, মেয়ে, বুড়ো সবাই হল থেকে কাঁদতে কাঁদতে হল থেকে বের হয়েছিলেন । সব সুশীল কাকেরা কিন্তু এই ছবি নিয়ে বেশ লেখালেখিও করেছিলেন, চমত্কার ছবি হয়েছে , এই বলে । আর বুড়ো হলে কি সব কিছু নাজায়েজ হয়ে যায় । আপনি বিশ্ব চলচ্চিত্রের সব বাঘা বাঘা পরিচালকের বয়সের খবর নিবেন প্লিজ ।

আমাদের এই অতি ভক্তিবাদই তার মতো মানুষকে আরো সুযোগ করে দেয় প্রচুর নবীন ও অন্ধ ভক্তরে চিত করে ইয়ে মেরে দিতে

আমাকে হুমায়ুন আহমেদ এখনো ইয়ে মেরে দেন নি । তবে আপনি যদি ইয়ে মেরে দেবার ভয়ে উনার ভক্ত না হয়ে থাকেন, তবে ঠিক আছে । খামাখা ইয়ে মারা খাবেন কেন ? নিজের ইয়ে বাচানো একটা ভালো কাজ । আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন এইজন্য আপনাকে অনেক রহমত দান করবেন ।

ধন্যবাদ ।

--------------------------------------------------------
... বাড়িতে বউ ছেলেমেয়ের গালি খাবেন, 'কীসের মুক্তিযোদ্ধা তুমি, কী দিয়েছ আমাদের'? তিনি তখন আবারো বাড়ির বাইরে যাবেন, আবারো কান পাতবেন, মা জননী কি ডাক দিল?

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

আসিফ মোহাম্মদ আদনান এর ছবি

can anyone please send me the link or source of HA's interview. if it was so as you people said, we should diminish all his works, or at least avoid his literature. we can not tolerate such blunder and malignity.

আকাশের সীমানা ভাঙ্গতে চাই!

আদিত্য এর ছবি
হিমু এর ছবি

ধন্যবাদ, আদিত্য। পুরো সাক্ষাৎকারটা পড়ে মনে হলো, সবাইকেই তুষ্ট করার জন্যে কিছু না কিছু সেখানে বলা হয়েছে। অনেকটা এমন, "সাপও ভালো, আবার ব্যাঙও ভালো। সব ভালো। আমাদের দুশ্চিন্তার কিছু নেই। সিনেমাটি দেখতে ভুলবেন না যেন।"


হাঁটুপানির জলদস্যু

জিফরান খালেদ এর ছবি

হাহাহা...

আসিফ মোহাম্মদ আদনান এর ছবি

Thank you.

আকাশের সীমানা ভাঙ্গতে চাই!

মনজুরাউল এর ছবি

ইহার ইতি হইলে অভাগারা সতরঞ্চি উঠাইয়া ঘুমাইতে যাইতে পারে।

.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......

হিমু এর ছবি

হা হা হা!

কিন্তু মনজু ভাই, আহমেদ সাহেবের পাঠকদের ব্যাপারে আপনার কিছু সরলীকৃত রূঢ় মন্তব্য দেখে আশঙ্কিত হয়েছি। সচলায়তনে আমরা তর্ক করি, ঝগড়া করি, কিন্তু ঐ ধরনের বাক্য বিনিময়ে অস্বস্তিবোধ করি। আজ যার সাথে তর্কে উল্টোদিকে দাঁড়িয়ে যুক্তি দিচ্ছি, কাল প্রসঙ্গ পাল্টে যাবে, তার সাথেই কণ্ঠ মিলিয়ে ভিন্ন বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন করবো। ব্যক্তিগত আক্রমণগুলি এই ট্র্যানজিশনে একটা সমস্যা করে। সবাই যেহেতু একটা জায়গায় লিখছি, এ ব্যাপারে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। তা না হলে ত্যানা প্যাঁচায় শুধুশুধু।


হাঁটুপানির জলদস্যু

মনজুরাউল এর ছবি

বোধে এসেছে বলেই সতরঞ্চি গোটাতে চাইছি। মানছি আমার শব্দগুলো মাত্রা ছাড়িয়েছে,তিনি কিনতু হু.আ. প্রসঙ্গ ওঠার আগেই রণমূর্তি নিয়েছেন। ‘রূঢ়’ মন-ব্যগুলো তখনই এসেছে যখন ‘আপা,ভাইয়াদের’ একাট্টা করে বলে বসলেন-“এই সব--দের সমূলে সচল থেকে উচ্ছেদ করতে হবে”। বিস্মিত হলাম ! অধিকারের মাত্রা ছাড়ানোর পরই ওই রূঢ় শব্দের ব্যবহার। তবে তার পেশেন্সকে এ্যাপ্রিশিয়েট করি।
প্রসঙ্গটা এখানেই শাটডাউন করতে চাইছি। আপনি শুরুতে দিলেন, আমি না হয় পরেই দিলাম........

হা হা হা !

.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......

অবাঞ্ছিত_হতে_চাই এর ছবি

ইট এর বদলে পাটকেল এর জবাবে -

"তুমি অধম বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন? "

একান্ত দুঃখজনক কিন্তু মনে হয় না যে একেবারে আনএক্সপেকটেড ফ্রম হিম। চরম সুবিধাবাদী বক্তব্য সমৃদ্ধ এই ব্যক্তি মনে হয় নিজে কিছু বিতর্কে সামিল হতে চাইছেন এখন।

উনার একান্ত ভক্ত ছিলাম যদিও একসময়, উনার বই মনে হয় না আর জীবনেও কেনা হবে। সাহিত্যে কুৎসিত বলে কিছু আছে বলে আমার জানা ছিল না। অবশ্য জীবন দিয়ে হুমায়ূন আজাদ প্রমাণ করেছেন যে তার বক্তব্য কতটা কুৎসিত সত্য। তাই বলে লেখা কুৎসিত হবে কেন?

জাহানারা ইমাম সম্পর্কিত বক্তব্যের ব্যপারে কিছু বলার রুচি ও বোধ করছি না ।

এনকিদু এর ছবি

আমি যা বলতে চেয়েছিলাম অনেকটাই আপনি বলে দিয়েছেন, খুব সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।

উনার একান্ত ভক্ত ছিলাম যদিও একসময়, উনার বই মনে হয় না আর জীবনেও কেনা হবে।

হুমায়ুন আহমেদ এর লেখা একসময় আমিও গোগ্রাসে গিলতাম । সাধারন উপন্যাস থেকে শুরু করে কল্পবিজ্ঞান সবই ভাল লাগত । তার পার আস্তে তার লেখার মান খারাপ হয়ে গেল । একটু বিরক্ত হলাম । বিরক্তি দিন দিন বেড়েছে , কিন্তু বিরক্তি ছাড়া অন্য কোন অনুভূতি ছিলনা ।

এই সাক্ষাতকারটি পড়ার পর রীতিমত ঘেন্না লাগছে লোকটার উপর । যদি সাক্ষাতকারটি সত্যই অতিরঞ্জিত হয় , সেই সম্ভাবনা খারাপ না, তার উচিৎ অতিসত্ত্বর এই ব্যাপারে মুখ খোলা । লেখক হিসেবে তার নিজেরও কোন আড্ডা বা আসর থাকার কথা । এখানে কি সেই আসর বা আড্ডার কেউ আছেন ?


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।