১৯৭১

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি
লিখেছেন মেহবুবা জুবায়ের [অতিথি] (তারিখ: সোম, ১৮/০৪/২০১১ - ৫:১৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রথম পর্ব

০২
ঠিক আমাদের বাসার উল্টোদিকে ছিলোও বিঘা খানিকের একটা খালি জায়গা ডি.এস.পি. চাচাদের বাউন্ডারি ওয়ালের সাথে লাগানো। আমরা বলতাম ছোট মাঠ। ২৫শে মার্চের বিকালে আমরা ছেলে-মেয়েরা ছোট মাঠে সাতচারা খেলছিলাম। তখনও মাগরিবের আজান দেয়নি, মাগরিবের আজান ছিলো আমাদের ঘরে ফেরার হুইসেল। সন্ধ্যার ঠিক আগে আগে হঠাৎ খেয়াল করলাম, ডি.এস.পি. চাচাদের বাসার সামনে অনেক লোকের জটলা, আব্বাও ছিলেন তাদের মাঝে, তাঁরা ঊচ্চস্বরে কথা বলছিলেন, আমরা খেলা বাদ দিয়ে দৌড় লাগালাম কী হচ্ছে জানবার জন্য। জানলাম, বঙ্গবন্ধুকে বিট্রে করে ইয়াহিয়া খান পশ্চিম পাকিস্তানে চলে গিয়েছে।

এখন কী হবে? আমাদের কী করণীয়, সে সব নিয়েই এত বাদানুবাদ, বিতর্ক। বিট্রে বললাম এই জন্য যে, তখন টিভিতে দেখতাম, বঙ্গবন্ধু প্রতিদিন মিটিং থেকে যখন বেরিয়ে আসতেন, তখন সাংবাদিকরা অনেক কথা জিজ্ঞেস করতো। মনে হয় হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে মিটিং হয়েছিলো। আমি নিশ্চিত না। পেছনে একটা ঝাঁঝরি কাটা দেওয়ালের পাশে (যেমন ঢাকার 'শেরাটনে" আছে) দাঁড়িয়ে তিনি কথা বলতেন, পাইপ টানতেন, তারপর একটা সাদা গাড়ি করে চলে যেতেন। বের হয়ে এসে সাংবাদিকদের বিস্তারিত কিছু বলতেন না। হয়তো বলা নিষেধ ছিলো। আলোচনা 'ফলপ্রসূ' হয়েছে, ' ইতিবাচক' হয়েছে, এই ধরনের কথা বলতেন। শব্দগুলি সেই প্রথম আমার শোনা। এখনো মনে আছে এই জন্য যে, আমাদের বুয়া কিছু খেতে দিয়ে সবসময় জানতে চাইতো, কেমন হয়েছে? আমরা বলতাম ফলপ্রসূ হয়েছে, ইতিবাচক হয়েছে। পরে বড়োদের জিজ্ঞেস করে জেনে নিয়েছিলাম এর অর্থ হলো, সব ভালো, সব ঠিক আছে।

নিচের অংশটুকু ব্র্যাকেটের ভেতরে দিলাম এই জন্য যে, এটা আমার নিজের স্মৃতিতে নেই, পরে অজস্র বার বড়দের কাছে শুনেছি। ঘটনাটা উল্লেখ করলাম, পাঠকের বুঝতে সুবিধা হবে তাই।

[এরপর তারা দুই দলে ভাগ হয়ে গেলেন: একদল “ঘরে ঘরে দুর্গ গরে তোল”-র পক্ষে, অন্য দল ব্যাপারটা ভালো করে জেনে-বুঝে তারপর সিদ্ধান্ত নেবার পক্ষে। আমার বাবা দ্বিতীয় দলে ছিলেন। তাঁর কথা ছিলো, ভাষণে তিনি অনেক কথায়ই বলেছেন, তারপরও ইয়াহিয়ার সাথে গতকাল বিকেল পর্যন্ত আলোচনা চালিয়ে গিয়েছেন। সেটা নিশ্চয় শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য। যদি তেমন খারাপ কিছু হতো তাহলে নিশ্চয় তিনি দেশবাসীকে জানাতেন। পাড়ার ছেলেরা আব্বার কাছে বন্দুক চাইলে তিনি সেটা দিতে অস্বীকার করেছিলেন, কারণ তাঁর ধারণায়, এটা একটা আত্মঘাতী ব্যাপার হতে পারে। তখনো কেউ জানে না, কী হবে? সত্যি যদি খারাপ কিছু না হয়, তাহলে আগ বাড়িয়ে প্রতিরোধ করতে গেলে কোনো না কোনোভাবে প্রশাসন খোঁজ পাবেই। তাহলে তিনি বিপদে পড়ে যাবেন। লাইসেন্স ছাড়া বন্দুক রাখার নিয়ম ছিলোনা। লাইসেন্স নাম্বার দেখে সহজেই তাঁকে খুঁজে বের করতে পারবে। তবে তিনি পাড়ার ছেলেদের আমাদের গ্যারাজ থেকে পুরনো টায়ারগুলো নিয়ে যেতে অনুমতি দিয়েছিলেন।]

আমাদের পাড়াটা গড়ে উঠেছিলো দুই-আড়াই মাইলের একটা রাস্তাকে কেন্দ্র করে, রাস্তাটা গিয়ে ঠেকেছে বড় রাস্তার সাথে। সেটা এখন আউটার সার্কুলার রোড। তার উল্টো দিকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন। রাস্তাটার দুই পাশে সারি সারি বাড়ি। বাড়িগুলির সামনে-পেছনে অনেকটা জায়গা। অনেক খালি প্লটও ছিলো, যেগুলি আমরা মাঠ হিসেবে ব্যবহার করতাম। আমাদের বাউন্ডারি ওয়ালের সাথেও লাগোয়া বিঘা দুই খালি জায়গা। ওটা পাহারা দিতো গনি মিয়া নামে একজন লোক। শীতের সময় জায়গাটায় সে ফুলকপি লাগাত। তাই ওটাকে সবাই কপিক্ষেত বলতো। গনি মিয়া জমিটার এক কোনায় নিজে থাকতো। তার সাথে দশ-বারোটা ঘর তুলে একটা বস্তি মতো বানিয়ে ভাড়াও দিয়েছিলো। মোড়ের দু’পাশে ছিলো অনেক কয়েকটা দোকান। ওখানে ‘মালঞ্চ’ নামে একটা ওষুধের দোকানও ছিলো। ওটার মালিক ডাঃ আতাউর রহমান ছিলেন এই পাড়ার সবচেয়ে পুরনো বাসিন্দা এবং পাড়ার মুরব্বী। কট্টর মুসলিম লীগ, পুরো পরিবারসহ। আবার ডঃ ওয়াজেদ মিয়া তাঁর আপন চাচাত শালা। শেখ হাসিনাকে আমি প্রথম দেখি এই মামার বাসায়। কী যে সুন্দরী ছিলেন তিনি! লম্বা একটা বেণী করতেন। দু’পাশে ওঠানো এক রকম ফ্রেমের চশমা পরতেন । আমদের সময় ওটাকে ‘টেডি চশমা’ বলা হতো। চশমার মাঝ দিয়ে নরম চোখে তাকাতেন। ছোট্ট জয়কে কোলে নিয়ে মিষ্টি করে হাসতেন, আস্তে আস্তে কথা বলতেন। একজন সুখী স্ত্রী, স্নেহময়ী মায়ের প্রতিমূর্তি! জানি, কেউ বিশ্বাস করবে না। মানুষ কী করে এতো বদলে যায়?

ফিরে এসে আব্বা কোথায় কোথায় যেন ফোন করলেন, তারপর নিচের তলার চাচা, স্বপন মামা (পাড়াতো মামা) ও আরও কয়েকজনকে নিয়ে বেরিয়ে গেলেন ভালো করে খোঁজ খবর নেবার জন্য। আব্বারা চলে গেলে আমি আমাদের গেট বন্ধ করে গেট ধরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। দেখলাম হিমু, মুরাদ ও সামীম (আমার খেলার সাথীরা) মোড়ের দিকে যাচ্ছে। ওপরে তাকিয়ে দেখলাম, বারান্দায় কেউ নেই, সুতরাং আমিও ওদের সাথে রওনা দিলাম, মোড়ের দিকে।

মোড়ে এসে দেখলাম, রাস্তায় বেড়ি গেট দেওয়া হচ্ছে। ডাক্তার মামা আর মেম্বর চাচা (মান্নান মেম্বর, বিএনপির মির্জা আব্বাসের চাচা) সবাইকে নির্দেশ দিচ্ছেন, কী করতে হবে। দেখলাম, প্রথমে দুটো ঠেলাগাড়ি আড়াআড়ি করে রেখে তার সামনে খালি টায়ার গুলি একটার পর একটা করে স্তুপ করা হয়েছে। এক পাশে কোক ও দুধের খালি বোতলের (তখন লোকে বোতলের দুধ খেত) কাঠের ক্রেটগুলি জড়ো করা হয়েছে। অপরদিকে রাজারবাগে অনেকগুলি কাঠের ফ্রেম (সেগুলি কাঁটাতার দিয়ে জড়ানো হয়েছে। ওটাকে কী বলে, আমি জানি না।) দিয়ে ঢোকার মুখটা বন্ধ করা হয়েছে, সেটার পেছনে দেয়ালের মতো করে বালির বস্তা দেওয়া হয়েছে। ওদিকেও অনেক পুলিশের জটলা।

সেদিনই মধ্যরাত্রে পাকিস্তানি মেলেটারিরা ট্যাঙ্ক নিয়ে এসেছিলো আমাদের স্বাধীনতার আশা ঘোচাতে! অথচ তখন পর্যন্ত আমরাও তো ছিলাম সমান অধিকারের ভাগীদার একই দেশের নাগরিক! হায় রে বাঙালি! কী দুর্ভাগ্য নিয়েই না জন্মেছিলাম আমরা!

কিছুক্ষণ এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি করে রাত বেশী হয়ে যাচ্ছে দেখে আমরা বাসায় ফিরে গেলাম।

০৩
তখন পর্যন্ত প্রচণ্ড শব্দ বলতে শুনেছি বাজ পড়ার শব্দ। এটা সে রকম নয়। কেমন যেন একটা দুম করে ভীষণ জোরে শব্দ হয়ে বাড়িটা কেঁপে উঠলো। ওটা ছিল শেলের আঘাতে আমাদের পানির ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ার শব্দ, আমাদের বাসা থেকে কোনাকুনি রাজারবাগ পুলিশ লাইনের দূরত্ব সিকি মাইলের মতো ছিলো। আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল। কিছুক্ষণ চুপচাপ শুয়ে থেকে বুঝতে চেষ্টা করলাম, আমি কোথায়?

মনে পড়লো, গত রাতে দেরি করে বাসায় ফিরে আমি চুপি চুপি রান্নাঘরের করিডর দিয়ে যখন আমাদের পড়ার ঘরে যাচ্ছিলাম, তখন বড়াপু দেখে ফেলেছিল। ও ইশারায় দেখাল, মার একটাও মাটিতে পড়বে না। তখন ওকে আমরা আড়ালে নুরুল আমিন ডাকতাম। সত্তরের নির্বাচনে পাকিস্তান গণতন্ত্রী দলের নূরুল আমিন একটা নাকি দুটো আসন পেয়ে ইসলাম, মুসলমান, ঈমান, পাকিস্তান এই সব নিয়ে খুব বড় বড় কথা বলতো, খুব মাতব্বরি করতো। বড়াপু বড় মেয়ে হবার দরুণ নিয়ম, নীতি এইসব নিয়ে খুব ফতোয়া দিতো। আমাদের উপর খুব মাতব্বরি করতো। আমার বিবেচনায়, এখন আমরা যেখানে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলেছি, সেখানে নূরুল আমিনকে (বড়াপুকে) পাত্তা দিলে চলে? তাই দুর থেকে একটা লাত্থি দেখিয়েছিলাম। রাতে শুয়ে আমার কিছুতেই ঘুম আসছিলো না, তাই মশারীর ভেতর পুতুল খেলছিলাম । বড়াপু টের পেয়ে উঠে এসে আগে লাত্থি দেখানোর শোধ তুললো কান বরাবর ঝেড়ে একটা থাপ্পড়ও বসিয়ে দিয়ে। তাই রাগ করে আমি গেস্টরুমে এসে শুয়েছিলাম।

আমি গেস্টরুমে একা, এটা বুঝে উঠতেই এক লাফ দিয়ে উঠে খাট থেকে নেমে দৌড়ে বাথরুমে চলে গেলাম। কিন্তু বাথরুমের দরজাটা ভেতর থেকে বন্ধ।

মূল বাড়ির সঙ্গে গেস্টরুমের যোগাযোগ এই বাথরুম। এর ওদিককার দরজাটা ডাইনিং রুমের সাথে। কেউ হয়তো গত রাতে বাথরুম ব্যবহার করার সময় দরজাটা বন্ধ করে দিয়েছিলো, তারপর খুলে দিতে ভুলে গেছে। বারান্দার সাথে আর একটা দরজা আছে। বারান্দা দিয়ে আম্মার ঘরে যাওয়া যায়। কিন্তু ওটাও বন্ধ। আর ছিটকানিটা অনেক উঁচুতে, আমার নাগালের বাইরে। ভয় পেয়েছিলাম কি? মনে নেই। শুধু মনে আছে শব্দের উৎস খুঁজতে পর্দা সরিয়ে আমি অন্ধকার আকাশটার দিকে তাকিয়েছিলাম। প্রথমে ভেবেছিলাম তারা, কিন্তু না, সেগুলো তারা নয়, ছিলো আগুনের ফুলকি। দেখছিলাম, ঝাঁকে ঝাঁকে আগুনের ফুলকি আমাদের নারিকেল গাছের পাতার ফাঁক দিয়ে উঠে অন্য দিকের আকাশে ছড়িয়ে পড়ছে। আর একটানা কান ফাটানো শব্দ। ওগুলি যে মেশিনগানের ব্রাশ ফায়ারের শব্দ, সেটা জানবার বা বুঝবার মতো অভিজ্ঞতা তখনো আমার হয়নি। আমাদের বাসাটা ছিল রাজারবাগ পুলিশ লাইনের উল্টো দিকে ‘শহীদবাগে।’

(চলবে)


মন্তব্য

দ্রোহী এর ছবি

পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

মেম্বর সাহেব, তোমার কাম- কাজ নাই?

--------------------------------------------------------------------------------

সবুজ পাহাড়ের রাজা. এর ছবি

বাঙালীর শ্রেষ্ট দিনগুলো..........

চলুক..........

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

হাসি

--------------------------------------------------------------------------------

অমিত এর ছবি

অসাধারণ হচ্ছে। পরের পর্বের অপেক্ষায়।

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

একআটি ধইনাপাতা!

--------------------------------------------------------------------------------

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

স্তব্ধ হয়ে পড়ছি ভাবী...

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

তাই নাকি হাসি

--------------------------------------------------------------------------------

সচল জাহিদ এর ছবি

দারুণ একটি সিরিজ। পড়ছি।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

দেঁতো হাসি

--------------------------------------------------------------------------------

পাগল মন এর ছবি

পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। যদিও অনেক কিছু আগে থেকে জানা কিন্তু খুটিনাটিগুলো বেশ লাগছে।

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

আপনি তাহলে আমার তথ্যের ভুলগুলি ধরিয়ে দিবেন। অনেকদিন আগের কথা তো। ভুল থাকতেই পারে। ধন্যবাদ।

--------------------------------------------------------------------------------

বিবাগিনী এর ছবি

এত সুন্দর লেখেন আপনি! মনেহয় যেন সব দেখতে পাচ্ছি! হাসি
বয়সটা আর ২২ বছর কম হলে উৎকন্ঠায় বড় বড় চোখ করে বলতাম, "তারপর কি হল?"

‌‌::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

আমার নিজের লেখার ক্ষমতা, আমার খুব ভালোই জানা আছে। বাজার ফর্দের চেয়ে একটু উন্নতমানের লেখা তোমাদের ভালো লাগছে কারণ, সেই সময়টাকে জানবার তাড়না। তোমার সুন্দর মন্তব্যের জন্য তোমাকে ধন্যবাদ। প্রশংসা শুনতে কে না ভালোবাসে!

--------------------------------------------------------------------------------

তাসনীম এর ছবি

পরের পর্বের অপেক্ষায়...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

হাসি

--------------------------------------------------------------------------------

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

হাসি

--------------------------------------------------------------------------------

অপছন্দনীয় এর ছবি

পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম...

নাশতারান এর ছবি

পড়ছি, ভাবি। থামবেন না।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

হাসি

--------------------------------------------------------------------------------

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

আগ্রহ নিয়ে পড়ছি, লিখে যাবার অনুরোধ রইল।

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

--------------------------------------------------------------------------------

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

চলুক।

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

দেখি, কত্দুর পারা যায়।

--------------------------------------------------------------------------------

সুপ্রিয় দেব শান্ত (অতিথি) এর ছবি

পরের পর্বের অপেক্ষায় ..............

সুপ্রিয় দেব শান্ত

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

হাসি

--------------------------------------------------------------------------------

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

আচ্ছা।

--------------------------------------------------------------------------------

সজল এর ছবি

পড়ছি।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

--------------------------------------------------------------------------------

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

কালোরাত্রির খামে নিজেকে পুরে ফেলতে ফেলতে লেখাটি পড়ে গেলাম। বোধকরি, ঘৃণার মতো শক্তিশালী মারণাস্ত্র নেই কোনো। যারা আমাদের মুছে ফেলতে চেয়েছিল তাদের ঘৃণা করি মনেপ্রাণে।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

গুরু গুরু

--------------------------------------------------------------------------------

আরিফ খান এর ছবি

অসাধারন বর্ণনা ... চলুক ... চলতে থাকুক ...

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

--------------------------------------------------------------------------------

সাফি এর ছবি

দারুন। পরের পর্বের অপেক্ষায়

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

--------------------------------------------------------------------------------

আরিফ জেবতিক এর ছবি

খাসা হচ্ছে। পরের পর্বের অপেক্ষায়।

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

--------------------------------------------------------------------------------

মুস্তাফিজ এর ছবি

আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় আছি

...........................
Every Picture Tells a Story

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

অপেক্ষা কেন মুস্তাফিজ? খুব তো গলা মিলিয়ে ছিলেন জুবায়েরের সাথে। আমি যদি লজ্জা পেয়ে আর না লিখতাম! তাহলে? হো হো হো

--------------------------------------------------------------------------------

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আম্মু আপনার থেকে খানিকটা বড় ছিল বুঝতে পারছি। তার গল্পগুলো এখনো শুনি, কিন্তু তার ঐ দিনগুলির সবকিছু পুঙ্খানুপুংখ মনে নেই, আমি মাঝে মাঝে বলি লিখে রাখতে, কিন্তু সময় পায় না নিজের কর্মজীবন আর পারিবারিক জীবনের দিন শেষে। মনে হয় বড় খালার একটু বেশি মনে আছে, ওঁর স্মরণশক্তির প্রশংসা আছে। কিন্তু যাঁদের কাছে সবচেয়ে ভালো শোনা যেত, সেই গল্পকারেরা তো আমরা এর গুরুত্ব অনুধাবন করে গল্প শুনতে চাইবার আগেই চলে গেছেন, আজকে তাঁদের কাছে বসে শুনতে না পারার জন্যে অনেক আফসোস হয়।
আপনার গল্প বলা খুব সাবলীল, অনেক ভালো লাগছে পড়তে। পরের পর্বের সাগ্রহ অপেক্ষায় রইলাম।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

আমার কৌতূহল, জুবায়ের বলতো 'কুহুতল' খুবই বেশী। সব দেখতে, সব জানতে হবে। সব কিছুতেই থাকতে হবে টাইপের মানুষ আমি একজন। আম্মা অনুযোগ করতেন আমি শুধু তার "পেট হাতাতে বাকি রাখি!" ঘটনা গুলি আমার চোখের সামনে ঘটেছিলো। শুধু মনে করে করে লেখা। মজা কি জানো? এখন লিখতে গিয়ে আরো অনেক খুঁটি-নাটি কথা মনে পড়ে যাচ্ছে! যা আমার ধারণা ছিলো না আমার মনে আছে!

--------------------------------------------------------------------------------

আয়নামতি1 এর ছবি

আপনাদের দু'বোনের খুনসুটির জায়গাটি পড়ে আমি খুব হাসলাম! এত জীবন্ত লেখাটা মনে হলো চোখের সামনেই ঘটে যাচ্ছে ঘটনা। আপনাকে সবাই ভাবী ডাকছেন, আমিও যদি ডাকি- অনুমতি পাবো? আর এখানে যে খেলার সাথীদের নাম উল্লেখ করেছেন, একজন দেখলাম 'হিমু' ইনি কী সচলের 'শব্দ মেশিন' হিমু ভাইয়া? বাপ্রে তবে তো আপনাদের বন্ধুত্ব বটবৃক্ষের মত প্রাচীন ও পুরানো!

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

বলে কি? ভাবি ডাকতে আবার অনুমতি? খুব খুশী হবো ভাবি ডাকলে!

"ইনি কী সচলের 'শব্দ মেশিন' হিমু ভাইয়া? বাপ্রে তবে তো আপনাদের বন্ধুত্ব বটবৃক্ষের মত প্রাচীন ও পুরানো!" গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

আরে না! তখন তো 'শব্দ মেশিন' হিমু কোথাও ছিলোনা। এমন কী ইচ্ছে হয়ে তার মায়ের মনেও না।

--------------------------------------------------------------------------------

ধুসর গোধূলি এর ছবি

ময়নামতি লিখেছেন:
আর এখানে যে খেলার সাথীদের নাম উল্লেখ করেছেন, একজন দেখলাম 'হিমু' ইনি কী সচলের 'শব্দ মেশিন' হিমু ভাইয়া?

হে হে হে , ময়নামতি রকস্! দেঁতো হাসি

আয়নামতি1 এর ছবি

অনেকককক খুশি হলাম দেঁতো হাসি (গুড়) আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- আপনার জন্য। আমি ভেবেছি সচলের হিমু খাইছে

@ধুসর গোধূলি, ভাইয়া আপনি জলদি চোখের ডাক্তারের কাছে যান। কোথায় আয়নামতি, আর কোথায় ময়নামতি রেগে টং

সুমিত রহমান এর ছবি

আপনার লেখা সত্যিই অনেক সুন্দর, লেখার মধ্যে বেশ সাবলীল ভাব আছে, পড়লে মনে হয় গল্পের কাহিনীর সাথে মিশে যাচ্ছি আর এই বিষয়টাই আমার খুব ভাল লাগে। আমার নিজের মায়ের কাছেও মুক্তিযুদ্ধের কাহিনী বিশেষ করে সে সময়ে আমার নানাবাড়ীর ও আশেপাশের গ্রামের মানুষদের উপর দিয়ে যে ঝড় ঝাপ্টা গেছে তার বেশ কিছু কাহিনী শুনেছি। তাই আশা করছি শীঘ্রই পরবর্তী পর্বের দেখা পাবো।

সুমিত রহমান

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

সুমিত, আমার পুরো সময়টা কেটে ছিলো ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে। ওরা ঢাকাকে যতটা সম্ভব স্বাভাবিক রাখতে চেষ্টা করতো। কিন্তু ঢাকার আসে-পাশে, মফস্বলে, গ্রামে-গঞ্জে অমানুষিক অত্যাচার করা হয়েছিলো। যার চাক্ষুষ অভিজ্ঞতা আমার নেই, তাই গ্রামের বিষয়টা আমার লেখায় স্থান পাবে না। দুঃখিত।
লেখাটা পড়ার ও মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

--------------------------------------------------------------------------------

নজমুল আলবাব এর ছবি

দুই পর্ব একসাথে পড়লাম। প্রথম পর্বটার চেয়ে এই পর্ব অনেক বেশি ভালো হয়েছে। (আবার ভেবে বসবেন না, সেটা খারাপ বলছি) লেখায় অসম্ভব ভালো গতি এসেছে আপনার। এই গতিটা ধরে রেখে দ্রুত লেখাটা শেষ করুন। পোস্ট এখনই দিতে হবে তা না, লিখে শেষ করে দরকার হলে ক্রস চেক করে পোস্ট করা যাবে, কিন্তু লেখাটা থামাবেন না, থামালে হয়তো গাথুনিতে একটা ছেদ পড়তে পারে।

আজ যেখানে থামালেন এমন যায়গায় থামিয়ে বেশিক্ষণ রাখাও ঠিক না। তীব্র আগ্রহ জন্মেছে এর পরে কি হলো সেটা জানতে। আগামী পর্বে একটানে সেই রাতটা শেষ করে ফেলুন। যত বড়ই হোক পর্বটা। এই রাতের কথা থেমে থেমে শুনতে ভালো লাগবে না।

আমি বেশি বলে ফেল্লাম নাতো?

ভালো থাকবেন ভাবি।

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

তোমার মতো তো এক বসায়, একটানে লিখতে পারিনা? লেখালেখি অনেক কষ্টের কাজ! দেখি কতদূর কি হয়।

--------------------------------------------------------------------------------

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

দুর্দান্ত একটা সিরিজ
চলুক...

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

তোমার কয়েকটা নাটক দেখলাম। দুর্দান্ত নাটক করো তুমি। হো হো হো

--------------------------------------------------------------------------------

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

আপনার লেখার হাতটা ছবি নির্মাণে দারূণ শক্তিশালী!

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

লইজ্জা লাগে

--------------------------------------------------------------------------------

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

পরে পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। শুধু এটুকুই বলি।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

--------------------------------------------------------------------------------

ধুসর গোধূলি এর ছবি

ভাবী, এখন কেবল এটাই জানিয়ে রাখি, এরকম লেখাগুলোর দরকার আছে। একাত্তরের দিনগুলির সাথে খুব সহজেই রিলেট করা যায়। চলুক

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

এই বার তুমি আমার হাতে মার খাবা!

--------------------------------------------------------------------------------

নীড় সন্ধানী এর ছবি

এই পর্বটা একটু দেরীতে পড়া হলো। কিন্তু আগ্রহটা দ্বিগুন হলো। একাত্তর নিয়ে এরকম জীবন্ত স্মৃতিপাঠের তৃপ্তিটা অসাধারণ। আপনার গদ্য খুবই ঝরঝরে, এটা পাঠকের বাড়তি পাওনা।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

পড়ুয়া এর ছবি

অনেক সুন্দর করে লিখতে পারেন আপনি। পড়ছি আর মনে হচ্ছে ছবির মতো দেখতে পাচ্ছি।

Farhad Piploo এর ছবি

ভাল হয়েছে! চমত্কার।

তারিক এর ছবি

শহীদবাগে থাকতেন আপনারা ? আমার মা-বাবা-দাদারা-নানারা সবাই তখন ওখানেই থাকতেন। নানারা এখনো আছেন।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।