প্রানময় গ্রহের সন্ধানে

কীর্তিনাশা এর ছবি
লিখেছেন কীর্তিনাশা (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৮/০৮/২০০৮ - ১২:৫০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নভোযানের সর্বাধিনায়ক ক্রিকি বসে আছে তার নিজের কক্ষে। এখন তার ঘুমোবার সময়। কিন্তু চোখে এক ফোঁটা ঘুম নেই। সে স্বচ্ছ ধাতুর তৈরী জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে। নিকষ কালো মহাকাশের ক্যানভাসে লক্ষ-কোটি তারার ঝিলিক। তার মাঝে নীল গ্রহটি ভাসছে একটা বড় বৃত্ত হয়ে। গত দুই ইউনিভার্সাল দিন ধরে তাদের নভোযান এই গ্রহটিকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। দুটো বিশেষজ্ঞ দল ইতিমধ্যেই অবতরন করেছে এই গ্রহে। আর দু’একদিনের মধ্যে তারা তাদের কাজ শেষ করে ফেলবে।

ক্রিকি গ্রহটির দিকে তাকিয়ে আছে এক দৃষ্টিতে। আর তার মনে উঁকি দিচ্ছে কত শত ভাবনা। আজ থেকে বহু বহু কাল আগে এরকম একটি নীল গ্রহেই বাস করতো ক্রিকির পূর্ব পুরুষরা। সেটি প্রানী-বৈচিত্রের দিক থেকে আট মাত্রার গ্রহ ছিল। সমগ্র মহাবিশ্বে আট মাত্রার গ্রহ খুবই বিরল। তাদের সভ্যতা সেই বিরল গ্রহের অধিকারী ছিল। অথচ তার পূর্ব পুরুষেরা কত অবহেলায়, যুদ্ধ, বিগ্রহে সেই গ্রহটিকে ধ্বংস করে ফেলেছে।

তার আগেই ক্রিকিদের সভ্যতা মাহাকাশ যুগে প্রবেশ করেছিল। তারা তাদের গ্যালাক্সির বিভিন্ন সৌরজগতের কয়েকটি গ্রহে নিজেদের আবাস গড়েছিল। সে কারনেই তাদের সভ্যতা টিকে যায়। কিন্তু যে গ্রহ তারা হারিয়েছে সেই আট মাত্রার গ্রহের অভাব ভুলতে পারেনি কখনো।

ক্রিকিদের সভ্যতা এরপর বহুদূর এগিয়ে গেছে। ছড়িয়ে পড়েছে তারা অনেকগুলো গ্যালাক্সিতে। কিন্তু সেই অভাববোধ তাদের ভেতর কাজ করেছে সব সময়। তারা জানে ঐ গ্রহে প্রানের বিবর্তনের পথ ধরে তাদের মত প্রানী প্রজাতির উদ্ভব হয়েছিল। হতে পারতো সেই বিবর্তনের পথ ধরে আরো বুদ্ধিমান, আরো বোধ সম্পন্ন প্রানের উদ্ভব ঘটতো সেখানে। যাদের বুদ্ধিমত্তার স্তর হতো আট মাত্রা বা তার অধিক। কিন্তু নির্বোধের মতো তারা বিলিন করে ফেলেছে সেই প্রানের জোয়াড়, ধ্বংস করে ফেলেছে সেই গ্রহ। এই অনুভব থেকে তাদের ভেতর একটা দায়বোধ জেগে ওঠে।

তাদের পূর্ব পুরুষরা না হয় ধ্বংস করে দিয়েছে একটা প্রানের চারন ক্ষেত্র। কিন্তু এ মহাবিশ্বে তো আরো এমন গ্রহ আছে যাতে প্রানের বিকাশ ঘটেছে। তার মাঝে নিশ্চই আট মাত্রার গ্রহও রয়েছে। সেইসব গ্রহে যাতে প্রানের পুরো পুরি বিস্তার ও বিকাশ ঘটতে পাড়ে, সে ব্যাপারে তারা উদ্যোগি হতে চায়। গ্রহন করে এক মহা পরিকল্পনা।

কিছু বিশেষ নভোযান তৈরী করা হয়। গঠন করা হয় অভিযাত্রী দল। যারা এসব নভোযানে করে গ্যালাক্সি থেকে গ্যালাক্সিতে অনুসন্ধান চালাবে প্রানময় গ্রহের। দূরত্ব তখন তাদের কাছে কোন বাধা নয়। স্থান-কালের সংকোচন প্রসারন, আলোর গতির চেয়ে দ্রুত বেগ, তখন তাদের করায়ত্ব হয়ে গেছে।

প্রানময় গ্রহের সন্ধান শুরু হবার পর অনেক সময় অতিবাহিত হয়েছে। মহাবিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অভিযাত্রীরা খবর পাঠিয়েছে - প্রানময় গ্রহের সন্ধান পাওয়া গেছে। কিন্তু সে সব গ্রহের কোনটিই আট মাত্রা বা তার অধিক নয়। সে সব গ্রহে প্রানের বিস্তার একটা নির্দিষ্ট পর্যায়ে গিয়ে থমকে গেছে। তাই বলে অভিযাত্রীরা থেমে থাকেনি। তাদের অনুসন্ধান চলতে থাকে। এক গ্যালাক্সি থেকে আরেক গ্যালাক্সিতে তারা ঢুঁ দেয়। তাদের এ অনুসন্ধান চলতে থাকবে যতদিন তাদের সভ্যতা টিকে থাকবে।

ক্রিকি যে নভোযানের প্রধান তাও এই প্রানময় গ্রহের অনুসন্ধানে রত। ক্রিকি নিবিষ্ট মনে নীল গ্রহটির দিকে এখনো তাকিয়ে আছে । ওখানে অবতরনকারী দুটো দলই নিশ্চিত করেছে এটি একটি আট মাত্রার প্রানময় গ্রহ। তারা এখন বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাচ্ছে। তারা বোঝার চেষ্টা করছে এখানে প্রান-বৈচিত্রের ধরন, বিবর্তনের ইতিহাস এবং যেটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পূর্ন তাও তারা খতিয়ে দেখছে - এই গ্রহে প্রানের ধারাকে ব্যাহত করার মতো বা ধ্বংস করে দেবার মতো কোন কিছু রয়েছে কিনা।

ক্রিকি ইতিমধ্যে তাদের মূল বেস স্টেশনে খবর পাঠিয়ে দিয়েছে। তারাও উদগ্রিব হয়ে আছে আরো সংবাদ জানার জন্য। ক্রিকি এখনো তাকিয়ে আছে নীল গ্রহটার দিকে। আশ্চর্য ব্যাপার হচ্ছে তাদের প্রাচীন গ্রহের মতো এই গ্রহটারও একটি মাত্র উপগ্রহ। সে বিড়বিড় করে বলে - কি অদ্ভুত মিল। আট মাত্রার গ্রহগুলো তবে কি সব একই রকম? গ্রহটার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতেই ক্রিকি এক সময় ঘুমিয়ে পড়ে।

এর দুদিন পরের ঘটনা। সেদিনও ক্রিকি বসে আছে তার নিজের কক্ষে। গ্রহে যে দুটো দল অবতরন করেছিল তারা ইতিমধ্যেই ফিরে এসেছে। একটু আগে ক্রিকি তাদের তৈরী রিপোর্টটি দেখেছে। এটি আসলেই আট মাত্রার একটি গ্রহ। প্রান বৈচিত্রে বরং তাদের প্রাচীন সেই গ্রহ থেকে একটু এগিয়েই থাকবে এটি। এখানে প্রানের সর্বোচ্চ বিস্তার ও বিবর্তনের যা যা অনুসঙ্গ দরকার তার সবই রয়েছে। তবে এই গ্রহের একটিই সমস্যা, প্রানের বিস্তারে একটিই অন্তরায় এখানে। এবং সেটি দূর করা না গেলে এই গ্রহটিকে ধ্বংসের হাত হতে বাঁচানো সম্ভব হবে না।

এ গ্রহে বেড়ে ওঠা এক প্রজাতির প্রানীই এই গ্রহের প্রধান সমস্যা বা হুমকি। বিবর্তনের ধারায় এরা বুদ্ধিমত্তার চতূর্থ স্তরে এসে পৌঁছেছে। এবং তার ফলে কিছু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত জ্ঞান লব্ধ হয়েছে। সেই সুবাদে এরা এ গ্রহে এক অদ্ভুত সভ্যতার জন্ম দিয়েছে। খুব দ্রুত বংশ বৃদ্ধি করতে পারে এ প্রজাতিটি। এবং বেঁচে থাকার জন্য এরা প্রকৃতিকে যথেচ্ছ ভাবে ব্যাবহার করে। এদের আবাসস্থলের আশেপাশের প্রকৃতিকে এরা পুরোপুরি বিনষ্ট করে ফেলে। এদের সংখ্যা এই গ্রহে এখন এত বেশি যে খুব দ্রুত এ গ্রহের প্রানীদের জীবনচক্র বদলে যাচ্ছে। এর চেয়েও ভয়াবহ ব্যাপার হচ্ছে এই প্রানীদের নিজেদের ভেতর হিংসাত্মক আচরন। এরা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে বসবাস করে। এবং এক দল আরেক দলের সাথে সবসময় যুদ্ধ বিগ্রহে লিপ্ত থাকে। একে অপরকে ধ্বংস করাই যেন এদের জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য। জন্মগত ভাবে প্রচন্ড হিংস্র এ প্রজাতিটাই এখন এ গ্রহটাকে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে ঠেকিয়েছে।

ক্রিকি ভাবে এ যেন ঠিক তাদের সেই প্রাচীন গ্রহের ইতিহাস। তার পূর্বপুরুষরাও তো ঠিক এমনি ভাবেই তাদের সেই নীল গ্রহটিকে যুদ্ধ, হিংসা, বিদ্বেসের এক বিষাক্ত স্থানে পরিনত করেছিল। ভয়াবহ সব অস্ত্র ব্যাবহার করে ধ্বংস করে ফেলেছিল সবকিছু। ক্রিকির হঠাৎ রাগ হয় প্রচন্ড। এভাবে আরেকটি আট মাত্রার গ্রহ কিছুতেই ধ্বংস হতে দেয়া যায় না। প্রানীদের এই প্রজাতিকে ধ্বংস করে দিয়ে হলেও এই গ্রহটিকে টিকিয়ে রাখতে হবে। বিবর্তনের ধারা হয়তো ব্যাহত হবে তাতে, এদের ওপর নির্ভরশীল আরো অনেক প্রজাতি বিলিন হয়ে যাবে। কিন্তু প্রানের বিস্তার পুরোপুরি বন্ধ হবে না। প্রকৃতি এর মাঝেই তার পথ ঠিক খুঁজে নেবে আবার। আজ থেকে বহু কাল পরে এখানে নিশ্চই বুদ্ধিমত্তায় আট স্তর বা তার কাছাকাছি প্রানীর উদ্ভব ঘটবে। প্রানের সর্বোচ্চ বিস্তারে অবদান রাখায় তারা নিশ্চই একদিন ক্রিকিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাবে।

ক্রিকি মূল বেসস্টেশনে এই রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছে। একই সাথে তার প্রস্তবনাও পাঠিয়েছে অনুমোদনের জন্য - এই গ্রহ থেকে ঐ প্রজাতিটিকে পুরোপুরি বিনাশ করার অনুমতি চেয়েছে সে।

ক্রিকি উঠে দাঁড়ায়। গ্রহে অবতরনকারী দল ঐ প্রজাতির বিপরিত লিঙ্গের দুটি প্রানীকে ধরে এনেছে। তাদের ওপর বিভিন্ন পরীক্ষা চালানো হবে। ক্রিকি এখন তাদের নিজ চোখে দেখবে। যদিও রিপোর্টের সাথে ভিডিওতে ওদের দেখেছে, তারপরও সরাসরি ওদের দেখতে চায় সে। সরাসরি ওদের প্রতি তার ঘৃনা জানাতে চায়। যে ঘৃনা সে তার পূর্ব পুরুষদেরও করে।

ক্রিকি ল্যাবোরেটরি কক্ষে প্রবেশ করে দেখে সেখানে তখন কেউ নেই। সে একাই এগিয়ে গিয়ে একটি সুইচে চাপ দেয়। সাথে সাথে এক পাশের দেয়াল সরে যায়। সে দেয়ালের ওপাশে আরেকটি ধাতব দেয়াল উন্মেচিত হয়, যেটি কাঁচের মতো স্বচ্ছ। সেই স্বচ্ছ দেয়ালের ওপাশে ছোট্ট কুঠুরিতে ক্রিকি প্রানী দুটোকে দেখতে পায়। এক অপরকে জড়িয়ে ধরে তারা বসে আছে। ক্রিকি তার সবুজ থল থলে শরীর নিয়ে একটু এগিয়ে যায়। তারপর চোখে তিব্র ঘৃনা নিয়ে ওদের দিকে তাকিয়ে থাকে।

কুঠুরির ওপাশে বন্দী পৃথিবী নিবাসী মানুষ দুজনও তাকিয়ে থাকে সবুজ থল থলে প্রানীটির দিকে। চোখে তাদের ভযার্ত দৃষ্টি। প্রচন্ড ভয়ার্ত দৃষ্টি।


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

বিজ্ঞান দিয়ে আমাদের অবস্থান বোঝানোর দুর্দান্ত চেষ্টায় আপনি সফল হয়েছেন!

পৃথিবীর দুটি প্রাণীর মধ্যে একটা বুশ আর অন্যটি যদি কন্ডোলিৎসা রাইস হতো আমি অনেক শান্তি পেতাম। কারণ ওদের দুজনকে নিয়ে গবেষনা করলেই আমাদের এই আট মাত্রার নীল গ্রহটির ধ্বংসের দিকে ধাবিত হওয়ার আসল কারন বের হয়ে যাবে।

কল্পনা আক্তার
কল্পনা আক্তার@হটমেইল.কম

....................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা

কীর্তিনাশা এর ছবি

ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য, কল্পনা।

একই সাথে সচলে স্বাগত জানাই।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

সায়েন্স ফিকশন বরাবরই আমার খুবই প্রিয়। জাফর ইকবালের এই ঘরানার বইগুলোর বিশাল ফ্যান আমি। গল্পটা ভালো লাগল। শুরুটা খুব ভালো ছিল, শেষটাতেও চমক (যদিও আগেই আন্দাজ করেছিলাম)। তবে মাঝখানে বর্ণনার অংশটা যদি আরেকটু সতর্কতার সাথে সামলানো যেত, তাহলে গল্পটা আরো অনেক বেশি ভালো লাগত বলে আমার ধারণা।

এরকম আরো ভিন্ন স্বাদের লেখা প্রত্যাশা করছি আপনার কাছ থেকে।
_________________________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?

কীর্তিনাশা এর ছবি

ধন্যবাদ অ প্র ভাই!

আপনার সাথে পুরোপুরি একমত। আসলে এটা তাড়াহুরোর ফল। দেখি পরে শুধরানো যায় কি না।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

নিশ্চয়ই পারবেন। কারণ আপনার লেখার হাত অনেক ভালো। পরের লেখার অপেক্ষায় থাকলাম, বিশেষ করে আরেকটি সায়েন্স ফিকশন। বেশ অনেকদিন বাদে কোন সাই-ফাই গল্প পড়লাম। অনুভূতিটা চাঙ্গা করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। হাসি
_________________________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?

কীর্তিনাশা এর ছবি

আপনাকেও ধন্যবাদ আমাকে উৎসাহ দেবার জন্য, অ প্র ভাই।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

রাফি এর ছবি

কীর্তিনাশা ভাই, লেখার নতুন মাত্রা ভাল লাগল। এ ধাঁচের আরো লেখা চাই।

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

কীর্তিনাশা এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার দাবী রাখার চেষ্টা করবো।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

tusar এর ছবি

The writing was really good...Many days later I have read something like this..carry on and good luck.

কীর্তিনাশা এর ছবি

ধন্যবাদ তুষার ভাই। আপনার মন্তব্যে খুবই উৎসাহিত বোধ করছি।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

পলাশ দত্ত এর ছবি

প্রিয় পোস্টে এ্যাড করলাম।

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

কীর্তিনাশা এর ছবি

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ পলাশ দা। কিন্তু আসলেই কি এত ভালো হয়েছে লেখাটা?

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

এনকিদু এর ছবি

ভাল হচ্ছে, আরো ভাল হবে আশা করছি । চলুক ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

কীর্তিনাশা এর ছবি

ধন্যবাদ এনকিদু। চলবে আশাকরি।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

শিক্ষানবিস এর ছবি

কল্পবিজ্ঞান আমারও খুব প্রিয়। গল্পটা ভাল লাগল। আর্থার সি ক্লার্কের গল্পের ধরণগুলোও অনেকটা এরকম। সেদিক থেকে আপনার কাহিনী তৈরীর ধরণ বেশ ভাল লাগল। আশা করি আরও লিখবেন।

কীর্তিনাশা এর ছবি

এইটা কি করলেন - এ সি ক্লার্কের গল্পের সাথে আমার গল্পের তুলনা করলেন !!

তারপরও ধন্যবাদ আপনাকে। আর আমিও আশাকরি লিখবো আরো।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

পরিবর্তনশীল এর ছবি

দারুণ । আরো কয়েকটা ছাড়েন তো!
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

কীর্তিনাশা এর ছবি

আচ্ছা ছাড়তাছি, এট্টু অপেক্ষা করেন।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।