প্রত্যেক গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিফলক চাই

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি
লিখেছেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর (তারিখ: সোম, ২৯/০৬/২০১৫ - ৬:৫৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ডাংগুলি হাতে যে কিশোরটি এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গ্রাম, সে হয়তো জানে না আজ থেকে ৪৪ বছর আগে এখানে তার মতোই আরেক কিশোর অস্ত্র হাতে মরনপণ লড়াই করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। যে নদী সে সাঁতরে পার হয়ে যাচ্ছে অনায়াসে, জানে না ৭১ সালে তার মতো এক কিশোর দু ইঞ্চি মর্টারের গোলা মেরে ডুবিয়ে দিয়েছিলো পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গানবোট, বুকে গুলি বিঁধলে ক্ষতস্থান গামছা দিয়ে পেঁচিয়ে যুদ্ধ চালিয়ে গেছে। যে কিশোরী মেয়েটি ক্লাসরুমে বেঞ্চে বসে কোকিলের ডাক শুনে পুলকিত হয়, সে হয়তো জানে না এই স্কুলে তার বয়সী এক কিশোরীই কী পরিমান নীপিড়নের শিকার হয়েছিলো। তারা জানে না, কারন তাদের জানার সুযোগ দেওয়া হয়নি।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি গ্রাম আক্রান্ত হয়েছিলো পাকিস্তান সেনাবাহিনী দ্বারা। প্রায় প্রতি গ্রামেই রাজাকার ও শান্তি কমিটি গঠিত হয়েছিলো। প্রায় প্রতি গ্রামেই মানুষ হত্যা, নির্যাতন ও ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে। আর প্রায় প্রতি গ্রামেই মুক্তিবাহিনী প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে, যুদ্ধ করেছে, মুক্ত করেছে। কিন্তু গ্রামগুলোতে মুক্তিযুদ্ধের কোনো স্মারক নেই। ৪৪ বছর আগে যেখানে তুমুল যুদ্ধ হয়েছিলো, সেখানে এখন হয়তো গরু চড়ে, রাখাল জানে না ইতিহাস।

খুব সামান্য একটা দাবী জানাই, প্রতি গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের একটা করে স্মারক বা স্মৃতিফলক চাই। স্কুলের পাশে বা বাজারের পাশে হতে পারে। ছোট একটি জায়গায় একটি স্তম্ভ করে তাতে শ্বেতপাথরে খোদাই করে লেখা থাকবে ঐ গ্রামের মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, শহীদদের নাম আর স্বাধীনতাবিরোধীদের নাম। যাতে ঐ গ্রামের প্রতিটি মানুষ জানতে পারে মুক্তিযুদ্ধে নিজ গ্রামের ঘটনাগুলো। চিহ্নিত করতে পারে ব্যক্তিকে। আর পর্যটকরাও একটা গ্রামে গেলে খুব সহজেই মুক্তিযুদ্ধে এই গ্রামের ঘটনাগুলো জানতে পারবে।

এই স্মারক বা স্মৃতিফলককে কেন্দ্র করেই প্রতি গ্রামে নতুন করে শুরু হতে পারে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার চর্চা। জাতীয় স্বার্থেই যে চর্চাটা এখন খুব জরুরী।

এখনো প্রতিটি গ্রামেই মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষদর্শীরা বেঁচে আছেন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল আছে, এখনো প্রতিটি গ্রামের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণ করা সম্ভব। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কাছে এই দাবীটুকু রেখে গেলাম।


মন্তব্য

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

কাজটি মুক্তিযোদ্ধা জেলা কমান্ড বা থানা (উপজেলা) কমান্ডের মাধ্যমে অবশ্যই করা যায়। এতদিন যে একা করা হয়নি বা কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি, এটাই আশ্চর্যজনক! আপনার সাথে গলা মিলিয়ে জোর দাবী জানাচ্ছি। চলুক

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

হয়তো কারো মাথায় আসেনি। কিন্তু এখন এটা জরুরী হয়ে পড়েছে। বর্তমান প্রজন্ম সত্যিই জানে না। তার বদলে জানে অনেক বিকৃত ইতিহাস।
অথচ এই প্রকল্পটা খুব বেশি খরচেরও হওয়ার কথা না

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

শিশিরকণা এর ছবি

জোর দাবী জানাই। পারলে নিজে গিয়ে বানাইতাম। কিন্তু সেই সময়ও নাই, টেকা টুকাও নাই।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমরা সবাই মিলে এই দাবীটাকে প্রচার করতে পারি, তাতে যদি নীতি নির্ধারকদের নজরে আসে

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

শিশিরকণা এর ছবি

ফেবুতে একটা গদগদ পোস্ট লেখেন ভাইরাল করার জন্য। সেলিব্রিটিদের তেল মেরে ট্যাগ দেন। আর কি বুদ্ধি দিব?

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

দ্যাশে তেল নাই গ্যাস নাই মন খারাপ

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চলুক

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

নিজের অক্ষমতার কথা লিখলাম আর মুছলাম। আমি কিছুই জানি না আমার গ্রামের। এই লজ্জা কোথায় রাখি?

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আর দশ বছর পরের অবস্থাটা চিন্তা করেন। তখন স্বর্ণাক্ষরে লিখেও লাভ হবে না। এখনই লিখে রাখতে হবে

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ঈয়াসীন এর ছবি

সহমত

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

আনু-আল হক এর ছবি

সবাই একসঙ্গে এটার জোর দাবি করতে পারি, সকল মিডিয়া আউটলেটে। একইসঙ্গে প্রতিটি জেলায় রাজাকারদের জন্য ঘৃণাস্তম্ভও, যেখানে ওই এলাকার স্থানীয় রাজাকারদের তালিকা এবং সম্ভব হলে তাদের বংশধরদের বৃত্তান্তও থাকবে।

(ফেইসবুক বা টুইটার হলে সবক’টারে ট্যাগ করে দেয়া যেতো চোখ টিপি খাইছে )

----------------------------
নয় মাসে হলো তিরিশ লক্ষ খুন
এরপরও তুমি বোঝাও কি ধুন-ফুন

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ফেসবুক আর টুইটারে এই পোস্ট শেয়ার দিয়ে ট্যাগ করে দিতে পারেন

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সো এর ছবি

চলুক

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

অসাধারণ এই প্রস্তাবের সাথে সহমত। স্মারক বা স্মৃতিফলক স্কুলের পাশে/ভেতর হলেই ভাল হয়।আমার অভিজ্ঞতা থেকে যতদূর জানি, গ্রামাঞ্চলে বাজারের একটা ক্রমবর্ধ্মান চরিত্র থাকে।স্মৃতিফলক বাজারের পাশে করলে তা বাজারের গ্রাসেই বিলীন হবার সম্ভাবনা থাকে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও একটা উদ্যোগ নিতে পারে স্কুল ভিত্তিক মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস চর্চার। ছাত্রছাত্রীরা তাদের নিজ এলাকার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিজের ভাষায় লিখবে।লেখাগুলোর মূল্যায়নের পর সামান্য কিছু নম্বর তাদের পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলের সাথে যোগ করা যেতে পারে।সবশেষে লেখাগুলো থেকে বাছাই করে জেলা /বিভাগ ভিত্তিক সংকলন করা যেতে পারে। সংকলনে যাদের লেখা স্থান পাবে তাদেরকে একটা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের হাত থেকে পুরস্কার দেবার ব্যবস্থা করলে তারা উৎসাহিত বোধ করবে।

আমি তোমাদের কেউ নই –> আতোকেন

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

স্কুলভিত্তিক কর্মসূচী আলাদা হওয়াই ভালো। স্কুলের ভেতরে হলে সেটা শুধু স্কুলের কাজে আসবে। স্মৃতিফলকটি সবার জন্য উন্মুক্ত হওয়াই ভালো। গ্রামের লোকজনের আসা যাওয়ার পথের ধারে, স্কুলের পাশেও হতে পারে। যাতে ভিনগাঁয়ের লোকজন ঐ গাঁয়ে বেড়াতে গেলেও দেখতে পায়, জানতে পায়।

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

এক লহমা এর ছবি

চলুক এখনো যে করা হয়নি সেটাই আশ্চর্যের।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

পোস্টের দাবীর সাথে প্রবলভাবে সহমত।

শান্তি বাহিনী নয়, শান্তি কমিটি।

এই কাজের জন্য জমি বরাদ্দ পাওয়া, নির্মাণ কাজের অনুমতি পাওয়া, নির্মাণ ব্যয়ের জন্য ফান্ড পাওয়া, সঠিক ইতিহাস আর সঠিক নামগুলো পাওয়া - এর প্রত্যেকটা অত্যন্ত কঠিন কাজ, এমনকি সরকার উদ্যোগ নিলেও। এর জন্য আসলে ৮৬,০০০ গ্রামে ৮৬,০০০টা আলাদা আলাদা যুদ্ধ করতে হবে। দাসপার্টি নিয়ে কাজ করার সময় আপনি নিশ্চয়ই লক্ষ করেছেন যে, দেশের বিরাট একটা অংশে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ছোটবড় রাজনৈতিক দলগুলোর প্রধান ব্যক্তিরা হয় মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ছিল অথবা মুক্তিযুদ্ধের সময় নিষ্ক্রিয় ছিল। এই লোকগুলো সর্বতোভাবে চেষ্টা করবে এই প্রকল্প যেন কোনভাবে বাস্তবায়িত না হয়। তাছাড়া যেখানে এই লোকগুলো নেই বা শক্তিশালী নয় সেখানেও দেখবেন মুক্তিযোদ্ধা/শহীদের তালিকা করার সময় মুক্তিযুদ্ধবিরোধী/মুক্তিযুদ্ধের সময় নিষ্ক্রিয় লোকদের নাম ঢোকানোর ব্যাপক চেষ্টা চলবে। আরো বড় ঝামেলা হবে রাজাকারের নামের লিস্ট টানানো নিয়ে। 'এতো বছর পরে এসব কেনো', 'কী দরকার একজন বুড়ো/মৃত মানুষকে নিয়ে টানাটানি করার', 'এসব করে কী হবে', 'মানুষরে বেইজ্জত করলে কি আর কেউ নিজে ইজ্জত পায়' - এমনসব অমৃতবচন নিয়ে সারি সারি লোক এসে হাজির হবে।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এই সমস্যাগুলো যে হবে তা জানি। আর এজন্যই বলছি এই কাজটা এখনই করতে হবে। কারন এখনো স্থানীয় জনপ্রতিনিধি আর স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার লোকগুলো বেঁচে আছেন, প্রত্যক্ষদর্শীরা বেঁচে আছেন। ৮৬,০০০ গ্রামে ৮৬,০০০টা আলাদা আলাদা যুদ্ধ করে হলেও কাজটা এখনই করতে হবে। এই খণ্ডযুদ্ধগুলো এখনই হওয়া দরকার, মীমাংসাগুলোও।
দাসপার্টি নিয়ে কাজ করতে গিয়েই গ্রামে গ্রামে এই স্মৃতিফলকের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধী করেছি সবচেয়ে বেশি। বর্তমান তরুণরা অনেক কিছুই জানে না বা ভুল জানে। আর স্থানীয় পর্যায়ের দালালদের অপকীর্তির কথাগুলো এখন মানুষের মুখে মুখে আছে, এগুলো লিখে রাখা খুব জরুরী।
কাজটা কঠিন, কোনো সন্দেহ নাই। কিন্তু একদা কল্পনাতীত হলেও যুদ্ধাপরাধের বিচারকাজ ঠিকই শুরু হয়েছে, চলছে, বিচার হচ্ছে, শাস্তি হচ্ছে। সমস্ত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও। দেশের অভ্যন্তরে ভয়াবহ রাজনৈতিক চাপ, আন্তর্জাতিক প্রেসার ইত্যাদি মাথায় নিয়েও বিচার প্রক্রিয়া চলছে, থামে নাই। এখন এই যুদ্ধটা গ্রামে গ্রামেই ছড়াতে হবে। এই যুদ্ধটা জরুরী।

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

জীবনযুদ্ধ এর ছবি

সহমত, এখনও মনে হয় অনেক দেরী হয়ে যায়নি

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

প্রস্তাবের পক্ষে আন্তরিকভাবে সহমত জানাই, কিন্তু চোখে আঙ্গুল দিয়ে এর বাস্তবায়নের যে সমস্যা তুলে ধরেছেন, তাও তো অস্বীকার করার উপায় নেই। তবু এই প্রস্তাবটি আমাদের সবারই আন্তরিকভাবে ধারন করে রাখা উচিৎ।

আচ্ছা, বাংলাদেশে গ্রামের সংখ্যা কি এখন ৮৬,০০০?

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

অসমর্থিত তথ্য ৮৭,৩১৬। কয়েক বছর আগে কোন একটা পাঠ্যপুস্তকে ৮৫,৬৫০ দেখেছিলাম। তাই সেফ সাইডে থাকার জন্য ৮৬,০০০ বলেছি।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক যে কোনো উদ্যোগ বাস্তবায়ন বিষয়েই বাংলাদেশে বিরাট ঝামেলা হয়, হবে। কিন্তু এই ঝামেলাগুলো যাতে আর না হয় সেজন্যই এখন ঝামেলাগুলো করে ফেলা ভালো

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তাহসিন রেজা এর ছবি

খুব জরুরী একটি বিষয় সামনে আনার জন্য নজরুল ভাইকে অনেক ধন্যবাদ।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”

অলীক জানালা _________

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

হাসান মোরশেদ এর ছবি

হবে হয়তো কোনদিন যেদিন মুখের উপর সত্য বলার আর মিথ্যের প্রতিবাদ করার মতো একজন ও ইলিয়াস আর বেঁচে থাকবেনা, ক্ষমতাবৃত্তের কাছাকাছি মানুষেরা নিজেদের মতো করে করবে এইসব।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সেই সম্ভাবনাটা আছে, এজন্যই কাজটা এখন করা জরুরী। আর প্রতিটি গ্রামের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংকলন করা গেলে মুক্তিযুদ্ধের পূর্ণাঙ্গ ইতিহাসের কাজটাও অনেক এগিয়ে যাবে

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

এটা আসলেই খুব জরুরি। আমাদের ইউনিয়নের কথাই বলি। বরমীর ভিটিপাড়ার প্রতিরোধ এবং ৯ মাস ব্যাপি গণহত্যার কথা আমার কেউ জানতাম না, বাংলাদেশ টেলিভিশনে একটি প্রতিবেদন প্রচারের আগে। অথচ, বন্ধুরামিলে স্কুল ছুটির দিনে কত ঘুরে বেড়িয়েছি সেই জায়গাগুলোতে। সেখানে একটা স্মৃতিফলকও নেই।
সাদা মেঘদল

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সব গ্রামেই একই চিত্র। বর্তমান প্রজন্ম জানেই না, আর ভুল জানানোর লোকেরও তো অভাব নাই

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

হ।
ব্যক্তি উদ্যোগেও বোধহয় শুরু করি যেতে পারে। প্রতিগ্রামে একজন মানুষ পাওয়া যায় না? অন্তত কিছু কিছু হলো।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ইসলামী ব্যাংকরে প্রপোজাল দিলেই মনে হয় টেকাটুকা পাশ করে দিবে এই প্রজেক্টের জন্য চোখ টিপি

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

সহমত জানিয়ে গেলাম। আর শেয়ার দিচ্ছি। কিন্তু এর বেশি কী করতে পারি সেটাও ভাবা দরকার আমাদের। আপনি আর হাসান মোরশেদ ভাই দারুণ একটা কাজ করছেন।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

দাবীটা কর্তৃপক্ষের নজরে আনা দরকার

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

নীড় সন্ধানী এর ছবি

এই দাবীর বিরোধিতা খোদ রাজাকারেরাও করবে না বলে মনে করি। কেননা এখন রাজাকার এবং তাদের সমর্থকরা জাতিকে আর বিভক্ত না করে 'মিলেমিশে' থাকতে পছন্দ করে। তবে একদল সুশীল মিনমিন করে বলতে পারে, এত বছর পর কী দরকার এসব ঝামেলার! আমাদের গ্রামের কাছে রাজাকার স্তম্ভ আছে ওটা করার সময়ও তাই বলতে চেয়েছিল কেউ কেউ।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সব এলাকায় একটা করে রাজাকার স্তম্ভ বানাতে পারলে ভালো হতো

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

যাদের কাছে দাবী রাখলেন তারা এই সব ব্লগ দেখেনা বলেই মনে হয়। নেটের জগতে নয়, সরব হতে হবে বাস্তব জগতে।
Jaraahzabin

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

বাস্তবতা বড্ড করুণ মন খারাপ

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

রানা মেহের এর ছবি

খুবই জরুরী দাবী।

একসময় সব গ্রামে না হলেও প্রচুর গ্রামে শহীদ মিনার ছিল। এখনো কি আছে এরকম?

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

এক কালে প্রতি একুশে ফেব্রুয়ারির আগের রাতে অনেক গ্রামে কাঠ, বাঁশ, ইট, কাদামাটি, কাগজ দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার বানানো হতো। এখন কি এসব কালচার আছে?


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

http://www.sachalayatan.com/nazrul_islam/37761

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

শহীদ মিনার আছে এখনো প্রচুর। বিশেষ করে পুরনো স্কুলগুলোতে শহীদ মিনার আছেই।
তবে আগামীতে আর থাকবে কি না সেটা বলা যাচ্ছে না। এখন যে নতুন স্কুলগুলো হয় তাতে শহীদ মিনার থাকে না। জায়গা কই? পুরনোগুলোও ভাংবে

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক আমার ছোটবোন বলে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু বন্ধু নাকি মুক্তিযুদ্ধে মেয়েদের উপর নির্যাতনের কথা একেবারেই শোনেনি আগে। অন্তত মুক্তিযুদ্ধের সিনেমাগুলো থেকে তো জানার কথা, তবু জানে না মন খারাপ উদ্যোগটা বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন

দেবদ্যুতি

নজমুল আলবাব এর ছবি

হোক, প্রতিটা গ্রামে হোক স্মৃতির মিনার

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।