আমাদের এই শহরে

রোমেল চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন রোমেল চৌধুরী [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২৪/১১/২০১০ - ৪:২৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমাদের এই শহরে ঘুম নেই, স্থিতি নেই,
কাক ছাড়া পাখি নেই কোন;
ঘুঘু-ডাকা দুপুরের পেট চিরে এখানে আমূল
বিঁধেছে যেন বিষাক্ত সীসার ছুরি
আমরা মাথা নিচু করে হেঁটে যাই, ছুটে যাই,
বাদুড়ঝোলা ঝুলে ঝুলে পেরুই মর্ত্যের বৈতরণী,
ক্লান্তির হাই তুলে পাখা মেলি
অনিঃশেষ ক্রান্তিকালের বিভ্রান্ত চাতালে;
সময়ের কাঁটাময় রুক্ষ হাত আমাদের শান্তি নিয়ে
তাতার দস্যুর মতো খেলা করে
অলিতে গলিতে
অকস্মাৎ ট্যানারির ড্রেন বেয়ে আসা বেগুনি বিবমিষা
তরল বর্জ্যের মতো
আমাদের মেধা ও মননে মেশে;
মিশে যায় নিপুণ দ্রবের মতো
মাঠে ময়দানে, পার্কে কিম্বা নাগরিক সভায়,
সাহিত্যপাঠের আসরে,
বস্তির চৌহদ্দি ছাপিয়ে ঘিরে ফেলে
বিলাসবহুল এপার্টমেন্টের প্রতিকোষ
আমরা অনুভূতিহীন নতমস্তক সরীসৃপের মতো
জীবনের স্রোত ভেবে পূতিগন্ধময় ড্রেনে ড্রেনে
ডুবসাঁতারের অন্ধ নেশায় মেতে উঠি
শুধু অতৃপ্তকাম শিশ্নের মতো মাথা উঁচু করে
দাঁড়িয়ে থাকে আধগড়া কংক্রিটের কাঠামো।


মন্তব্য

তাসনীম এর ছবি

অসাধারণ লিখেছেন ভাই।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

তাসনীম ভাই,
শুধু ভালোবাসা নয়, উন্নতির সিঁড়ি চিনিয়ে দেয়া মন্তব্য দাবী করি!
-----------------------------------
যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে
চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে;

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

কল্লোল যুগের গন্ধ পাচ্ছি কবি। এই কবিতাটা আপনার নিজস্ব ধারার একটু বাইরে হয়েছে।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

পাণ্ডব দা,
আপনার মন্তব্য আমি খুব গুরুত্বের সাথে তলিয়ে দেখি এবং সেখান থেকে ভবিষ্যত কর্মপন্থা নির্ধারণের রসদ সঞ্চয় করি। আশাকরি ভবিষ্যতেও আপনাকে এমন একান্ত ও প্রকৃত বন্ধুর ভূমিকায় পাশে পাবো।

কল্লোলের কবিদের মতো যদি রবিকরোজ্জ্বল বিপরীত আকাশের বিরুদ্ধতার মাঝে সোনালি চিলের মতো সংগ্রামী হতে পারতাম, তাহলে এই নিদারুণ খরা ও গ্রহনের কালে আমরা নোতুন পথের ঠিকানা বলে দিতে পারতাম। কিন্তু আশাহত হয়ে নয় বরং আত্মসমালোচনার বিবেচনায় বলি, আমরা তা পারিনি। তাই আমাদের উত্তরাধুনিক কবিতামালা সীমাবদ্ধ উচ্চতায় পাক খায়, বেদনা বাড়ায়। ক্রাচে ভর দিয়ে হলেও তাই সততার সাথে অতীতের গলি থেকে বর্তমানের রাজপথে একনিষ্ঠ পরিভ্রমন করে যাই, যদি বেলাবেলি পেয়ে যাই মোহনীয় মরূদ্যান কোনো!
-----------------------------------
যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে
চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে;

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আপনার প্রতিমন্তব্যের প্রথম অনুচ্ছেদ পড়ে একটু ভয় পেলাম। আমি কী দিতে পারবো তা নিয়ে নিশ্চিত নই, তবে পাঠক হিসাবে আমাকে সব সময় পাবেন।

দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে যা বলেছেন, বুঝতে পারছি সেটা আপনার উপলদ্ধিসঞ্জাত। এই উপলদ্ধি যার আছে তাকে নিয়ে আমাদের হতাশ হবার কোনো কারণ নেই। আমি আশাবাদীদের দলে থাকতে চাই।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমাদের এই শহর - শুধু দীর্ঘশ্বাস!!

__________
হামিদা আখতার

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

তবু অপেক্ষায় থাকি, দীর্ঘ দীর্ঘশ্বাসের বুক চিরে কখনো যদি শুনি কোনো ঘাড় উঁচু তরুন মোরগের ডাক!
-----------------------------------
যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে
চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে;

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

মহাস্থবির জাতক [অতিথি] এর ছবি

কবিতা ভালো বুঝি না। কিছু বানানশুদ্ধি দিয়ে গেলাম:

আমুল=আমূল
সীসার=সিসার
অনিঃশ্বেষ=অনিঃশেষ
সময়ের কাটাময় (?) রুক্ষ হাত
অকস্ম্যাৎ=অকস্মাৎ
ট্যানারীর=ট্যানারির বিবমিষা
বেগুনী=বেগুনি
নিপুন=নিপুণ
পুঁতিঘন্ধময়=পূতিগন্ধময়
কংক্রীটের=কংক্রিটের

এইসব আর কী!

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

ভাই,
কী বলে যে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই ভেবে পাই না। যে পরম উপকারটুকু পেলাম, তা আমায় কৃতজ্ঞতাপাশে বেঁধে ফেললো চিরদিনের জন্য। শুধরে নিচ্ছি। তবে আপনি 'কবিতা ভালো বুঝি না' বলে যে বিনয়োক্তি করেছেন তাতে কিন্তু সায় দিতে পারছি না! ভালো থাকুন, এমন পরম বন্ধু চিরদিন পাশে পেতে চাই।
-----------------------------------
যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে
চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে;

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

অতিথি লেখক এর ছবি

বেশ ভাল।
শহীদ কাদরীর 'সঙ্গতি' কবিতাটার কথা মনে পড়ল।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

ভাই,
আপনাকে ধন্যবাদ। শহীদ কাদরীকে তেমন মন লাগিয়ে আমি পড়িনি কখনো। আমার সংগ্রহে তার একটিমাত্র বই, 'তোমাকে অভিবাদন প্রিয়তমা'। মঞ্জুর এলাহীর বাগান নিয়ে লেখা কবিতাটি আর ট্রেন ভর্তি শেফালী নিয়ে শহরে ফেরার আকুতি আমাকে বিমোহিত করে। 'সঙ্গতি'-র কথা জানা ছিল না, এবার আপনার কল্যানে পড়া হতেও পারে।
-----------------------------------
যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে
চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে;

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

অতিথি লেখক এর ছবি

শুভকামনা অবিরাম।
--------------------------প্রশ্নবোধক

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

ভাই,
অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা!
-----------------------------------
যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে
চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে;

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

অতিথি লেখক এর ছবি

খুবই ভালো লাগলো রোমেল ভাই।

রাতঃস্মরণীয়

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

ভাই,
অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা!
-----------------------------------
যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে
চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে;

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

অনেক ভালো লাগলো। শেষের দিকের কয়েকটা লাইন যদিও কবিতার সমাপ্তি হিসেবে দরকার, তবুও কেন যেন মনে হচ্ছিল কবিতার শেষটা উদ্দেশ্যবিহীন/সমাপ্তিবিহীন হলেই (আমার কাছে) আরো বেশী ভালো লাগতো। এক ধরনের উদাসীনতা কিংবা হতাশার প্রকাশটা তাহলে (আমার মনে হয়) আরো প্রকট হয়ে ধরা দিতো।

কবিতা যেভাবে বুঝতে হয় সেভাবে হয়তো বুঝিনা; যা মনে এলো তা-ই বললাম।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

অনেক ভালো লাগলো।

আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে বচন সৃষ্টির প্রাথমিক শর্ত হলো আনন্দ। আনন্দই প্রকাশযোগ্য বেদনা হয়ে কবির সত্তাকে আকুল করে। বেদনা তখনই মধুর হয়ে পাঠককে আপ্লুত করে।

শেষের দিকের কয়েকটা লাইন যদিও কবিতার সমাপ্তি হিসেবে দরকার, তবুও কেন যেন মনে হচ্ছিল কবিতার শেষটা উদ্দেশ্যবিহীন/সমাপ্তিবিহীন হলেই (আমার কাছে) আরো বেশী ভালো লাগতো। এক ধরনের উদাসীনতা কিংবা হতাশার প্রকাশটা তাহলে (আমার মনে হয়) আরো প্রকট হয়ে ধরা দিতো।

নীলাভ নোনার বুকে আকাঙ্ক্ষার রস গাঢ় হয়ে নামতে দেখে শঙ্কা জাগে প্রাণে। ‘সুরা নাই পাত্র হাতে’ কাঁপিতেছি সাকী।

কবিতা যেভাবে বুঝতে হয় সেভাবে হয়তো বুঝিনা; যা মনে এলো তা-ই বললাম।

যা মনে আসবে অবশ্যই তা বলবেন। 'কবিতা যেভাবে বুঝতে হয়' মানে? কবিতা পাঠকের কাছে হৃদয়গ্রাহী করে তোলার সব দায়দায়িত্ব নিঃসন্দেহে কবির উপর বর্তায়। কবির ম্যাজিক বাক্সে যতো নীল আকাশ আছে তাদের অবিরাম খুঁজে ফিরতে হবে আরো নীল আকাশের তল। কবিতায় কল্পলোকের পর কল্পলোক তৈরি করতে না পারলে পাঠক তো সস্তাদরের উপন্যাসের দ্বারগ্রস্থ হবেই। তাই আজ সময় এসেছে পাঠকের কথা শোনার, পাঠকের মন বোঝার। কবি তার মুক্ত-স্বাধীন ভাবনা ও সৃজনীশক্তি দিয়ে কল্পলোক রচনা করবেন , কিন্তু তা বিচরণযোগ্য হতে হবে যে!

তাই আপনার মন্তব্য প্রকারান্তরে আমার আকাশকে আরও অক্সিজেনে ভরিয়ে দিলো। শুভ প্রীতি!
-----------------------------------
যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে
চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে;

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

সৈয়দ আফসার এর ছবি

রোমেল ভাই,
ভালো লাগাটুকু জানাই।
ধন্যবাদ।
__________♣♣♣_________
না-দেখা দৃশ্যের ভেতর সবই সুন্দর!

__________♣♣♣_________
না-দেখা দৃশ্যের ভেতর সবই সুন্দর!

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

মৌনপ্রিয় কবি,
আপনার ভালোলাগা সাগরসেচা মানিকের মতো মূল্যবান আমার কাছে।
-----------------------------------
যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে
চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে;

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

অতিথি লেখক এর ছবি

উদ্ধৃতিঃ-
"ক্লান্তির হাই তুলে পাখা মেলি
অনিঃশেষ ক্রান্তিকালের বিভ্রান্ত চাতালে;"

-অতীত

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

ভাই,
কোথাও ভুলচুক হল কি? একটু খোলাসা করে বললে উপকৃত হই।
শুভ প্রীতি!
-----------------------------------
যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে
চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে;

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

অতিথি লেখক এর ছবি

কি কন এইসব??? আপনি আমারে দেখায় দিছেন এক্কেরে, আমি এখন ক্লান্তির হাই তুলে বিভ্রান্ত চাতালে............চরম!!!!!!

-(অতীত)

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

ভাই,
বিভ্রান্ত ছিলাম এবার স্বস্তির ঢেকুর তুললাম! ভালো থাকুন!
-----------------------------------
যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে
চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে;

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

দারুণ হয়েছে!

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

ধন্যবাদ আখতার ভাই, আনন্দ ভাগাভাগি করায় যে যত মধু আছে তা হয়ে উঠে আরো মধুময়, আপনাদের ভালোবাসা আমাকে তা বুঝিয়ে দিচ্ছে সুখের কাঁপন তুলে বুকে!
-----------------------------------
যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে
চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে;

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

হুম, আমাদের শহরের ভালোই সিনারি পাইলাম।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

রেজা ভাই,
এই নিন আমাদের মননের সিনারি,

আমরা অনুভূতিহীন নতমস্তক সরীসৃপের মতো
জীবনের স্রোত ভেবে পূতিগন্ধময় ড্রেনে ড্রেনে
ডুবসাঁতারের অন্ধ নেশায় মেতে উঠি

ভালোই, খুব ভালো! শামসুর রাহমানের ভাষায়,
আমরা সবাই হ্যাঁ ভাই, হ্যাঁ ভাই
ভালোমানুষের দল
নিষ্ফল শোকে নামে না দু'চোখে
মেকি কান্নার ঢল।
তাইতো আমাদের 'দুনিয়া চলে চমেতকার'
-----------------------------------
যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে
চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে;

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

অতিথি লেখক এর ছবি

দারুন লিখেছেন। এটাই আসলে এখন আমাদের শহর।

অনন্ত

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

অনন্ত ভাই,
তবু স্বপ্ন বুনি আমরা। আমাদের শহরকে, নদীকে, মানুষের অতৃপ্ত হৃদয়কে সবুজের বানে ভেসে যেতে দেখতে চাই। চাই আমাদের শহর হোক কল্লোলিনী তিলোত্তমা।
-----------------------------------
যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে
চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে;

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

রোজারিও এর ছবি

ভাই কবিতটি শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারলাম না--এখানে, এ-ই একই যন্ত্রণার কাছে হেরে আছে সভ্যতা আজও বহুকাল...

সঙ্গতি/শহীদকাদরী

বন্য শূকর খুঁজে পাবে প্রিয় কাদা
মাঝরাঙা পাবে আন্বেষনের মাছ,
কালো রাতগুলো বৃষ্টিতে হবে শাদা
ঘন জঙ্গলে ময়ুর দেখাবে নাচ

প্রেমিক মিলবে প্রেমিকার সাথে ঠিক-ই
কিন্তু শান্তি পাবে না, পাবে না, পাবে না...

একাকী পথিক ফিরে যাবে তার ঘরে
শূন্য হাঁড়ির গহ্বরে আবিরত
শাদা ভাত ঠিক উঠবেই ফুটে তারাপুঞ্জের মতো,
পুরোনো গানের বিস্মৃত-কথা ফিরবে তোমার স্বরে

প্রেমিক মিলবে প্রেমিকার সাথে ঠিক-ই
কিন্তু শান্তি পাবে না, পাবে না, পাবে না...

ব্যারাকে- ব্যারাকে থামবে কুচকাওয়াজ
ক্ষুধার্ত বাঘ পেয়ে যাবে নীলগাই,
গ্রামান্তরের বাতাস আনবে স্বাদু আওয়াজ
মেয়েলি গানের- তোমার দু'জন একঘরে পাবে ঠাঁই

প্রেমিক মিলবে প্রেমিকার সাথে ঠিক-ই
কিন্তু শান্তি পাবে না, পাবে না, পাবে না...

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

আপনার কল্যানে 'সঙ্গতি' পড়া হল, ওটির সাথে তুলনা করে যে সম্মান আপনি আমায় দিলেন তার কি যোগ্য আমি?
-----------------------------------
যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে
চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে;

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

ফকির লালন এর ছবি

ভালো লাগলো, আমাদের শহর সেই কবেই মরে গ্যাছে!

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

লালন ভাই,
ধন্যবাদ জানাই। আমাদের শহর সেই কবেই মরে গ্যাছে আর আমরা বেঁচে আছি জীবন্মৃত হয়ে!
-----------------------------------
যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে
চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে;

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।