উইক-এন্ড

রোমেল চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন রোমেল চৌধুরী [অতিথি] (তারিখ: শনি, ২৮/০৫/২০১১ - ৪:৩৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঘর্মাক্ত দিনের শেষে গোলাপি বরণ বিকেল।

ঘর্মাক্ত দিনের শেষে গোলাপি বরণ বিকেল।
ঘরমুখো যাত্রী নিয়ে পেটুক দূরপাল্লার বাস
ছাড়ছে স্টপেজ
শসা-ক্ষিরে-তিলেখাজা-দাদের মলম
কত সোরগোল।

ভিড় কমে গেছে এদিকটায়,
শহরের ব্যস্ততা যেন দম নিচ্ছে দু’দণ্ড;
অনেক প্রতীক্ষা বুকে জমিয়ে
আমি বসে আছি―
রাঙা ধুলোয় আনন্দ ছড়াতে ছড়াতে
তুমি আসছো ;

কাল চলে যাবে ফের।


মন্তব্য

ধৈবত(অতিথি) এর ছবি

চলুক

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

ধন্যবাদ জানাই।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

কুটুমবাড়ি [অতিথি] এর ছবি
কবি-মৃত্যুময় এর ছবি

তদ্ভবের বিচারে শুদ্ধ 'বরন' অবশ্যই, কিন্তু 'বর্ণ' এর পরিবর্তে বরন বা বরণ দুটো ব্যবহারেরই বৈধতা আছে। কোলাহল যা শোর তার আরেক বানান 'সোর' এরও তেমনি বৈধতা বা প্রচলন রয়েছে।

আর বানান সাধারণত কিঞ্চিত অসাবধানতা হেতু হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে ব্যক্তিগত মেইল পাঠিয়ে লেখককে সহযোগিতা করা আমার কাছে উত্তম মনে হয়।

আর হ্যা, আপনার বানানায়তন পর্বগুলো দারুণ ও উপকারী। ভালো থাকবেন।

অপছন্দনীয় এর ছবি

অর্থ আলাদা যতদূর জানতাম...

বরন = বর্ণ -র কোমল রূপ।
বরণ = সাদরে গ্রহণ।

অনেকসময় লেখকরা এখানে বানান শুধরে দিলে বিব্রত হন, সেক্ষেত্রে ইমেইলে বানানশুদ্ধি পাঠানো অবশ্যই ভালো প্রস্তাব। কিন্তু পোস্টের মন্তব্যে থাকলে লেখক ছাড়াও অন্যরা পড়তে পারেন। নিজের অধিকাংশ বানানই আমি শুধরেছি অন্যের পোস্টের মন্তব্য দেখে। আমার মনে হয় লেখকের অনুমতি সাপেক্ষে পোস্টে দেয়া যেতে পারে, অন্যক্ষেত্রে ইমেইলে।

কবি-মৃত্যুময় এর ছবি

আপনার প্রস্তাবটিও যুক্তিযুক্ত

আমার মনে হয় লেখকের অনুমতি সাপেক্ষে পোস্টে দেয়া যেতে পারে, অন্যক্ষেত্রে ইমেইলে।

বর্ণ এর পরিবর্তে বরন/বরণ দুটোই ব্যবহার করা যাবে, বৈধতা আছে, এক্ষেত্রে বরণ বর্ণকেই প্রকাশ করবে। যদিও বরণ এর মূলার্থ গ্রহণ করা।

কুটুমবাড়ি [অতিথি] এর ছবি

কোলাহল যা শোর তার আরেক বানান 'সোর' এরও তেমনি বৈধতা বা প্রচলন রয়েছে।

বর্ণ এর পরিবর্তে বরন/বরণ দুটোই ব্যবহার করা যাবে, বৈধতা আছে

'সোর' বা 'বরণ' (বর্ণ অর্থে) কোন নিয়মে বৈধতা পেল তা জানতে আগ্রহী। কোনো অভিধানে ভুক্তি থাকা মানেই তা নিয়মসিদ্ধ এবং বৈধ এমনটি কি মনে করেন? যাকগে, (আমার বিবেচনায়) 'শোর' এবং 'বরন' কেন বৈধ বানান তা এখানে উল্লেখ করছি। যদি ভুল কিছু হয়ে থাকে তা হলে অগ্রিম ক্ষমাপ্রার্থী।

১. তদ্ভব, দেশি, বিদেশি, মিশ্র কোনো শব্দের বানানে ণত্ব-বিধি মানা হবে না অর্থাৎ ণ ব্যবহার করা হবে না। বরন (বর্ণ অর্থে) একটি তদ্ভব শব্দ, অতএব এখানে ণ ব্যবহার কোনো নিয়মের আওতায় পড়ে না।

২. আরবি-ফারসি শব্দে 'সে', 'সিন্', 'সোয়াদ' বর্ণগুলির প্রতিবর্ণরূপে স এবং 'শিন্'-এর প্রতিবর্ণরূপে শ ব্যবহৃত হবে। বাংলায় 'শোর' শব্দের উৎপত্তি হয়েছে ফারসি থেকে, আর মূল শব্দটির বানানে শিন্ রয়েছে। কাজেই 'শোরগোল' লেখা হলে এর ব্যুৎপত্তি ইতিহাস যেমন হারিয়ে যাবে না, তেমনি উচ্চারণানুগ ও বেশি প্রচলিত হওয়ার কারণে পাঠকের বিভ্রান্তির অবকাশ কম থাকে।

সূত্র : বাংলা একাডেমী প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম নং ২.০৩ ও ২.০৫।
---

কবি-মৃত্যুময় এর ছবি

দেখুন, আমি "তদ্ভবের বিচারে শুদ্ধ 'বরন' অবশ্যই" এটা বলেছি, আর বরণ কে বৈধ বলেছি-শুদ্ধ বলি নি, শোর এর ক্ষেত্রেও তাই। বানানের ক্ষেত্রে আমার কাছে শুদ্ধতা একবিষয় যা ব্যাকরণ নির্ধারিত আর বৈধতা অন্য বিষয় যা দালিলিক তথা অভিধান দেয়, আমার কাছে এটাকে বৈধ বলা রীতিসিদ্ধ মনে করি। যেমন শহিদ সঠিক বানান হলেও অভিধান শহীদকে বৈধতা দিয়েছে। আবার 'কাহিনি' এই শুদ্ধ বানানটি কোথাওই উল্লেখ পাই না।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

কুটুম,
বানান শুধরে দেবার জন্যে আপনাকে কি বলে যে ধন্যবাদ জানাব ভেবে পাই না। অন্তত: আমি পোষ্টের মন্তব্যেই বানান শুধরে দেবার পক্ষে। হয়ত এতে লেখকের বিব্রত হবার অবকাশ থাকে, কিন্তু ব্যথা দিয়ে ব্যথা ক্ষয়ের জন্যই যে এ আঘাত, সু-বোধসম্পন্ন মানুষ মাত্রেরই তা বুঝতে কষ্ট হবার কথা নয়। তাছাড়া পোস্টের মন্তব্যে থাকলে লেখক ছাড়াও অন্যরা শুধরে নেবার সুযোগ পান। সেটি নিঃসন্দেহে একটি ভালো দিক।

বোধকরি, কবিতার স্বভাব অনেকটা দুরন্ত বালকের মতো। গদ্য যতটুকু শিষ্ট প্রজার মতো বানানের শাসন মেনে চলে, কবিতা ততোটা নয়। কবিতায় শব্দকে নিরন্তর বাজিয়ে দেখা হয়। কখনো কাব্যের প্রয়োজনে, কখনো বা ভাষার বহতা নদীকে প্রবহমান রাখার প্রয়োজনে। এ বিষয়ে তিনটি উদাহরণ নিবেদন করতে চাই,

এক।
ফুরায়ে গিয়েছে যা ছিল গোপন- স্বপন কদিন রয়!
এসেছে গোধূলি গোলাপিবরণ-এ তবু গোধূলি নয়!
সারাটি রাত্রি তারাটির সাথে তারাটিরই কথা হয়,

গোলাপিবরণ শব্দটি লক্ষ্য করুন। গোলাপি রঙ বোঝাতে হলে 'বরন' লেখা যেত, কিন্তু এখানে 'গোলাপি' শুধুই কি রঙ? দর্শনেন্দ্রিয়ের সীমা ছাপিয়ে অন্য কোন ইন্দ্রিয়ানুভূতিকে স্পর্শ করে না কি তা? গোধূলি লগনের বেদনাকে 'বরণ' করবার প্রয়াস হতে পারে না কি তা?

দুই।
'হাজার বছর শুধু খেলা করে' কবিতার প্রথম লেখনটি দেখি। জীবনানন্দ লিখেছিলেন,

শরীরে মমির ঘ্রাণ আমাদের- ঘুচে গেছে জীবনের সব লেনদেন;
'মনে আছে?' শুধাল সে — শুধালাম আমি শুধু 'বনলতা সেন!'

কি দারুণ অনুপ্রাসের দোলা, তাইনা! কিন্তু পরবর্তী লেখনে তিনি তা পালটে দিয়ে লিখলেন,

শরীরে ঘুমের ঘ্রাণ আমাদের- ঘুচে গেছে জীবনের সব লেনদেন;
'মনে আছে?' সুধাল সে — শুধালাম আমি শুধু 'বনলতা সেন!'

অনুপ্রাসের দোলাও ঠিক থাকলো, কিন্তু বিভা বেড়ে গেল। 'শুধাল' পালটে 'সুধাল' লেখাতে মনে হচ্ছে যেন বনলতা সেন কবির কানে সুধা ঢেলে দিচ্ছেন। শব্দ বদলালো কাব্যের প্রয়োজনে।

তিন। হুমায়ুন আজাদ লিখেছিলেন,
"দেখা যায় কোন ভাষায় একশো বছর আগে যে সকল শব্দ ব্যবহৃত হতো সেগুলো আর ব্যবহৃত হচ্ছে না, তার বদলে মহাসমারোহে রাজত্ব বসিয়েছে নতুন নতুন শব্দ। এভাবে ভাষা বদলে যায়, এক ভাষার বুক থেকে জন্ম নেয় নতুন এক ভাষা, যার কথা আগে ভাবাও যেতো না। 'চন্দ্র' একটি সংস্কৃত শব্দ। শব্দটি সুন্দর, মনোরম কিন্তু উচ্চারণ করতে বেশ কষ্ট হয়। মানুষ ক্রমে এর উচ্চারণ করতে লাগলো 'চন্দ'। 'র' ফলা বাদ গেল, উচ্চারণ সহজ হয়ে উঠলো। এরকম চললো অনেক বছর। পরে একদা নাসিক্য ধ্বণি 'ন'-ও বাদ পড়লো, এবং চন্দ্র হয়ে উঠলো 'চাঁদ'।"

শব্দ বদলালো ভাষার প্রয়োজনে।

আমার কাব্যপ্রচেষ্টায় এই নিরীক্ষা আসবার ঢের দেরি। কবুল করি, শব্দের সাগরে খোলামকুচি খেলবার মতো এখনো উপযুক্ত হয়ে উঠিনি আমি।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

মৌনকুহর. এর ছবি

চলুক

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

ধন্যবাদ জানাই।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

কবি-মৃত্যুময় এর ছবি

ভিড় কমে গেছে এদিকটায়,
শহরের ব্যস্ততা যেন দম নিচ্ছে দু’দণ্ড;
অনেক প্রতীক্ষা বুকে জমিয়ে
আমি বসে আছি―
রাঙা ধুলোয় আনন্দ ছড়াতে ছড়াতে
তুমি আসছো ;

কাল চলে যাবে ফের।

কী দারুণ ভাবের প্রকাশনা!! চলুক

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

চর্যাপদে ডুবে ছিলাম।

উঁচা উঁচা পাবত তঁহি বসই সবরী বালী।
মোরঙ্গি পীচ্ছ পরহিণ সবরী গীবত গুঞ্জরী মালী।।
উমত সবরো পাগল শবরো মা কর গুলী গুহাডা তোহৌরি।
ণিঅ ঘরণী ণামে সহজ সুন্দারী।।
ণাণা তরুবর মৌলিল রে গঅণত লাগেলি ডালী।

পদ ২৮, অর্থাৎ- উঁচু পর্বতে শবরী বালিকা বাস করে। তার মাথায় ময়ূরপুচ্ছ, গলায় গুঞ্জামালিকা। নানা তরু মুকুলিত হলো। তাদের শাখা-প্রশাখা আকাশে বিস্তৃত হলো। এরপর কবি নিজের উদ্দেশ্যেই বলেন, "হে অস্থির শবর তুমি গোল বাঁধিও না, এ তোমার স্ত্রী, এর নাম সহজসুন্দরী।"

শবরপাদের এই কবিতাটি আমাকে যেন বলল, ভাবের গভীরতার মাঝেই কাব্যের সন্ধান করো।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

কবি-মৃত্যুময় এর ছবি

এরকম আরো কবিতা চাই রোমেল ভাই।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

এই নিন আরেকটা,
আমার ঘরের পাশে ফেটেছে কি কার্পাশের ফল?
গলায় গুঞ্জার মালা পরো বালা, প্রাণের শবরী,
কোথায় রেখেছো বলো মহুয়ার মাটির বোতল
নিয়ে এসো চন্দ্রালোকে তৃপ্ত হয়ে আচমন করি।
ব্যাধির আদিম সাজে কে বলে যে তোমাকে চিনবো না
নিষাদ কি কোনদিন পক্ষিণীর গোত্র ভুল করে?
প্রকৃতির ছদ্মবেশে যে-মন্ত্রেই খুলে দেন খনা
একই জাদু আছে জেনো কবিদের আত্মার ভিতরে।
নিসর্গের গ্রন্থ থেকে, আশৈশব শিখেছি এ-পড়া
প্রেমকেও ভেদ করে সর্বভেদী সবুজের মূল,
চিরস্থায়ী লোকালয় কোনো যুগে হয়নি তো গড়া
পারেনি ঈজিপ্ট, গ্রীস, সেরাসিন শিল্পীর আঙুল।
কালের রেঁদার টানে সর্বশিল্প করে থর থর
কষ্টকর তার চেয়ে নয় মেয়ে কবির অধর।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

কবি-মৃত্যুময় এর ছবি

কী দারুণ>>

নিসর্গের গ্রন্থ থেকে, আশৈশব শিখেছি এ-পড়া
প্রেমকেও ভেদ করে সর্বভেদী সবুজের মূল,
চিরস্থায়ী লোকালয় কোনো যুগে হয়নি তো গড়া
পারেনি ঈজিপ্ট, গ্রীস, সেরাসিন শিল্পীর আঙুল।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

একটা ভুল শুধরে নেই,
ব্যাধির নয় ব্যাধের
আর হ্যাঁ, শবরপাদের কবিতাটির সাথে কি চমৎকার মিল দেখেছেন!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

কবি-মৃত্যুময় এর ছবি

তাইতো দেখছি ভাইয়া।

আর অনুগ্রহ পূর্বক এই অনুজকে তুমি বলবেন। হাসি

নৈষাদ এর ছবি

চলুক

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

ধন্যবাদ ভাই।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

আসমা খান, অটোয়া। এর ছবি

উইক এন্ড কবিতায় খুব সুন্দর হয়েছে। কবিকে ধন্যবাদ।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

বাস্তবের উইক এন্ড বুঝি এত সুন্দর নয়!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

ভাল লাগলো হাসি

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

ধন্যবাদ জানাই।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

পাগল মন এর ছবি

আমার উইকএন্ড শুরু হয়েছে আর এরকম একটা কবিতা শনিবারের সকালে। দারুন।

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

দারুন তো, এমন কাকতালীয় ঘটনা আমার জন্যেও সুখের বারতা বয়ে আনে।

অট। রাজধানীর নাম 'মিথিলা', সাবধান কেউ যেন না জেনে ফেলে যে আপনি তা জানেন না!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

পাগল মন এর ছবি

রাজধানীর খবর তাহলে ভালো। হাসি

কেউ জানবে না, কথা দিলাম। চোখ টিপি

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

তিথীডোর এর ছবি

ভিড় কমে গেছে এদিকটায়,
শহরের ব্যস্ততা যেন দম নিচ্ছে দু’দণ্ড...

চলুক

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

ধন্যবাদ বোন।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

অপছন্দনীয় এর ছবি

কবিতার রসাস্বাদনের ক্ষমতা আমার নেই এবং কোনকালে ছিলোও না... কাজেই কবিতা দেখলে ভয়ে এড়িয়ে চলি। তবে এটা পড়ে কেমন একটু সরস সরস মনে হচ্ছিলো...

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

কি যে বলেন?
রস কি ঝরে ফাটা বাঁশে?
রস তো আছে কালীদাসে!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আপনার "নিদাঘ সময়"-এর সাথে এই কবিতার টোন অনুরণিত হলো। এই টোনটা বেশ ভালো লাগে।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

আপনি পাকা জহুরী।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ভালো লাগলো

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

ধন্যবাদ নজরুল ভাই।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

ভালো লেগেছে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

ধন্যবাদ, উড়নচণ্ডী ভাই/বোনটি আমার!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

উনি বোন বস্‌। আমার প্রিয় যাযাপু। হাসি

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

মনের কথা লিখেছেন বস। নতুন চাকরীতে জয়েন করে মহা ঝামেলায় আছি। কাজের চিন্তায় কাজ করার টাইম পাচ্ছিনা আর উইকএণ্ডে ঘুমাবো না সেই চিন্তা করতে করতে ঘুমিয়ে সারা।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

ছোটো,
সব কিছু হোক না একটু রয়ে সয়ে। সব ঠিক হয়ে যাবে আশাকরি।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।