সংসার

নিবিড় এর ছবি
লিখেছেন নিবিড় (তারিখ: রবি, ২১/১২/২০০৮ - ১২:৫৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সারাদিন খালি ট্যাঁ ট্যাঁ। যেখানেই যাও এদের হাত থেকে রেহাই নাই। বসের অফিস বলো আর ঘর কোথাও এদের হাত থেকে নিস্তার নাই। বউ আর মোবাইল এই দুইটা আসলেই শালা ঝামেলা। যেখানেই যাও মোবাইল বাজবেই। রাত নাই দিন নাই, ঘর নাই বাহির নাই। আর বউ!!! এর কথা কি আর বলব। বড় ডেঞ্জারাস জিনিস। ঘরে ফিরলেই শুরু করবে- আজকে কি করলা, কার সাথে কথা বললা, তোমার অফিসে ফোন করলাম ডেস্কে ছিলা না কেন?? উফ এত সব উত্তর কি দেওয়া যায় না মনে রাখা যায়। কিন্তু উত্তর না দিলে??? বড় বিপদ। তখন বলবে- এইসব মনে থাকবে কেন? মনে থাকবে তো খালি অফিসের শায়লার কথা।

অফিস থেকে বের হয়েও নিস্তার নাই। মোবাইল বাজা শুরু করেছে। অফিস ছুটি শেষে বাসের এই ভীড়ের মাঝখানে কি ফোন ধরা যায়। কিন্তু উপায় নাই নিশ্চিত ফোন করছে বউ। মিটিং এর জন্য দুপুর থেকে ফোন বন্ধ ছিল, খুলছি অফিস ছুটি শেষে। এখন ফোন ধরলেই বলবে- কি ব্যাপার ফোন বন্ধ ছিল কেন, কিসের এত মিটিং?? যাই বলি না কেন কিছুতেই সন্তুষ্ট হবে না। থাক এই ভীড়ের মাঝখানে কসরত করে ফোন ধরার কোন মানে হয় না। ঝাড়ি বাসায় গেলে এমনিও খাব ওমনিও খাব থাক বাদ দিই।

বাসার দরজা খুলতেই দেখি মহামান্য শালা সাহেব দাড়িয়ে আছেন, আরেক কাবিল। এরা ভাই বোন সবাই মহা কাবিল। বলে দুলাভাই ফোন ধরেন না কেন? আমি মনে মনে বলি- আসছে কাবিল একজন, এখন দেখি বোনের সাথে সাথে ভাই কেও কইফিয়ত দিতে হবে। কিন্তু সামনা সামনি কিছু বলি না খালি একটা হাসি দেই। কাবিল সাহেব বলে- দুলাভাই আব্বা হঠাত একটু অসুত্থ হয়ে পড়ছেন। আপা অস্থির হয়ে গেছে। আমি সন্ধ্যার টিকেট করে আনছি বাসের, সাতটায় বাস। শ্বশুড় অসুস্থ এইটা শুনে আমি অস্থির হওয়ার বদলে একটু খুশি হয়ে উঠলাম। কারন আজকে রাতে কার্ড খেলার জন্য ঝগড়া করার আর কেও থাকবে না।

প্রতিদিন রাতে এই ব্যাপার টা নিয়ে বাসায় ঝগড়া নিশ্চিত। সারাদিন অফিস থেকে আসার পর বউ এর কেও মেও শুনতে ভাল লাগে না। তাই পাশের বিল্ডিং এর আশরাফ ভাইয়ের বাসায় রাতের আটটা থেকে প্রায় এগারটা কার্ড খেলতে আর গল্প করতে যাওয়া একটা রুটিন। কিন্তু বউ মানবে কেন? ওর এক কথা- সারাদিন বাসায় থাক না আর এখন যদি না খাক তাইলে কেমনে হবে। কিন্তু থেকেও বা লাভ কি? থাকলে একটু পর পর খালি ঝাড়ি দিবে আর নাইলে খালি টিভির সিরিয়াল দেখবে। কিন্তু আমার সময় কিভাবে কাটবে সেই দিকে কোন নজর নাই। তাইলে আমার আর কি করার আছে কার্ড খেলা ছাড়া।

এই সময় দেখি বউ সামনে এসে দাড়িয়েছে। বলে- কি ব্যাপার? ফোন বন্ধ ছিল কেন? আমি বলি- না এই তো মিটিং ছিল। বউ বলে- বুঝি বুঝি এইসব মিটিং ফিটিং সবি বুঝি। যাই হোক শুন, আব্বা অসুস্থ। আমি বলি- এই মাত্র শুনলাম। তা কি অবস্থা আব্বার। বউ বলে- প্রথমে ভাবছিলাম বেশি খারাপ কিন্তু বড় ভাইয়ের সাথে কথা হল ডাক্তার বলছে তেমন কিছু না। আমি বললাম- আমারও তো যাওয়া উচিত। বউ বলে- ইচ্ছা থাকলে তো আগেই টিকেট কেটে আনতে। আমি বলি জানলামি তো এইমাত্র। বউ বলে- থাক থাক আর যাওয়া লাগবে না। এমন কিছু হয় নি। বাবা কে অনেকদিন দেখি না তাই এই চান্সে একবার দেখে আসি। আমি বলি ঠিক আছে। শুনে উনি বলেন- ঠিক তো থাকবেই, আমি না থাকলে তো তোমার রাজত্ব। সারাদিন অফিসে ট্যা ট্যা করে বাসায় এসে কার্ড খেলা, সারা সকাল ঘুমান। আমি না থাকলে তো এইসব চালাতে কোন সমস্যা হবে না। আমি বলি যাওয়ার সময় এইসব কি শুরু করলা? এইবার বলে- থাক আর কথা বলতে হবে না। এইবার আমি যা বলি শুন। আমি বলি- আর কি কিছু বলার বাকি আছে নাকি? বউ বলে- কেন ঘরের জিনিস পত্রের কথা কে বলবে? সাবধান আমি এসে যেন সারা বাসা পরিষ্কার দেখি। আর কোন ট্যা ফ্যো না। আমি যেন পাশের বাসার ভাবির কাছ থেকে না শুনি যে তুমি উলটা পালটা কিছু খেয়ে এসে রাতের বেলায় পাগলামি করেছ। আমি বাধ্য ছাত্রের মত বলি- জ্বি।

বউ চলে গেছে বাপের বাড়ি, আজকে আমার রাম রাজত্ব। কার্ড খেলায় আজকে আমার খেলা দেখে আশরাফ ভাই বলে- কি ব্যাপার? খুব ফর্মে আছ মনে হয়। আমি বলি মনটা আজকে খুব ভাল। খেলা শেষে বাসায় আসার সময় মনে হল যাক আজকে আর রাত বারটার পর টিভি ছাড়া নিয়ে কোন গ্যাঞ্জাম হবে না। বাসায় এসে তাই শান্তি মত বসে কি করা যায় চিন্তা করতে করতে ভাবলাম আরে আগে খাওয়া তো ঠিক মত খেয়ে নিই তারপর অন্য কিছু । ওভেনে খাবার গরম করে নামানোর সময় লাগালাম আরেক ঝামেলা, বাটি যে গরম মনে ছিল না হাতে ধরতেই হাতের অবস্থা ক্যারাবেরা। শালা খাওয়ার সময় হাত টা খুব ঝামেলা করল কিন্তু উপায় তো নাই। এইদিকে টিভির আজকে কি হইল। অন্য সময় রাতের বেলা ঝাক্কাস প্রোগ্রাম রাখে আজকে কি সব মেন্দা মারা সব প্রোগ্রাম। মনে মনে খালি ভাবি বউ গেলেও মুক্তি নাই টিভি চ্যানেল ওয়ালার বুঝি সব বউএর সাথে চুক্তি করে রাখছে আমাকে শান্তি তে থাকতে দিবে না।

রাতের বেলা ঘুমানোর সময় দেখি আরেক বিপত্তি। বউ যাই করুক ঘুমানোর সময় আমাকে না জড়ায়ে ধরলে তার ঘুম হত না। আমারো কেমন জানি অভ্যেস হয়ে গেছিল। কেমন যানি একটা শান্তি শান্তি লাগে, একটা আরামদায়ক অনুভূতি। সারাদিন কেঁওমেঁও করলেও এইসময় মেয়েটা মিষ্টি মিষ্টি দুই একটা কথা বলত। শুনতে খারাপ লাগত না। মেয়ে মানুষ যেমন হোক তাদের মিষ্টি মিষ্টি কথায় দেবতারা পর্যন্ত কাত আর আমি তো ছাড়। এখন খালি এইপাশ ওইপাশ করি কিন্তু বিছানা খালি খালি লাগে। ভাবলাম একটা ফোন দেই কিন্তু আবার ভাবলাম থাক দরকার নাই খালি খালি দাম বাড়ানোর।

এইদিকে সকালে উঠে দেখি আরেক বেড়াছেড়া কান্ড। নাস্তা যে আজকে রেডি নাই সেটাতো আর মনে নাই। এদিকে ব্রেড ট্রেড কিছু আনি নাই। শালার বিস্কুট খেয়ে অফিসে গেলে কেমন লাগে। শালার বউ থাকলেও সমস্যা না থাকলেও দেখি সমস্যা।

সকালে নাস্তা খাই নাই , মেজাজ খারাপ। অফিসে এসে দেখি আরেক বেড়াছেড়া কাজ কারবার। ইচ্ছা মত ঝাড়ি দিলাম সবাইরে। এদিকে দেখি কালকে রাত থেকে বউ এর কোন খবর নাই। রাগ করল কিনা বুঝতে পারলাম না। তাইলে তো মহা সমস্যা। এদিকে যতো ফোন করি ফোন ধরে বলে একবার বলে- এই শুন আব্বা তোমার সাথে কথা বলবে আরেক বার বলে আম্মা কথা বলবে। আর একবার ফোন ধরলে উনারা ফোন রাখার কোন কথা বলেন না। আমি মনে মনে বলি- দেন না আবার আপনার মেয়েকে একটু কথা বলি। কিন্ত সেই উপায় নাই। আর মেয়েটাও যে কি? এইখানে সারা দিন আমার পিছনে পিছনে কি করি এর উপর গোয়েন্দাগিরি করবে কিন্তু এখন দেখি খোজ নাই। এইদিকে কাজেও মন দিতে পারিনা ঠিক মত, খালি মনের মধ্যে ঘুরে বউ রাগ করল কিনা।

দুপুর বেলা আবার ফোন দিতেই ফোন ধরল সন্মন্ধীর ছোট মেয়ে। পিচকি মেয়ে বলে কিনা- ফুফা, ফুফু তো কথা বলতাছে। আমি মনে মনে বলি কি এমন কথা পিচকি যে তোমার ফুফু কে দেওয়া যায় না। মনে সন্দেহ আর দৃঢ় হয় বউ মনে হয় রাগ করছে। এদিকে পিচ্চি মেয়ে ফোনে বক বক করেই যায়- ফুফা তুমি আসলা না কেন? আমি কিন্তু রাগ করছি। আমি কিন্তু ফুফু কে এইজন্য বকে দিয়েছি। আমি মনে মনে বলি পিচকি দেখি ফুফুর মত কথা বেশি বলে। আর ঝাজ কি দেখ না। ফুফু কে বকা দেয়। সন্ধার দিকে একবার খালি বউ এর সাথে শান্তি মত কথা বলার চান্স পেলাম। আমি তো ভয়ে ভয়ে তেল তেলে গলায় বলি কি খবর তোমার? বউ বলে আগে তোমার খবর কি বল। মেয়ের এই রকম মিষ্টি মিষ্টি কথা শুনে আমি তো আবাক। কথা শেষে বাসায় ফিরার সময় বাসে বসে বসে ভাবি মেয়ে বকাঝকা করলেও মনটা আসলে খারাপ না।

এইদিকে গত দুই দিনে আমার অবস্থা ত্যানাত্যানা হয়ে গেছে। ঘরের যে কি অবস্থা হইছে আল্লাই মালুম। খাবার দাবার এর কষ্টে আমার জীবন টাই টাইট হয়ে গেছে। ফোন করে দুইদিন ডিম ভাজি করার উপায় বউ কাছ থেকে শিখার চেষ্টা নিলাম, কিন্তু যেই কে সেই। তবে এতকিছুর পরেও খারাপ লাগে রাতের বেলায় শোয়ার সময়টা। একা একা শুতে কেমন যেন ফাঁকা ফাঁকা লাগে। আসলে যত যাই হোক বউ জিনিস টা একেবারে খারাপ না।

পরের দিন সন্ধ্যার দিকে আবার ফোন দিলাম শ্বশুড় বাড়ির টিন্ডটি তে। কারন দুপুর এর পর থেকে আর ফোন দেওয়া হয় নাই। এখন নিশ্চিত ফোন ধরবে না। তাইলে টিন্ডটি তে করে অন্যদের সাথে কথা বলে বউ কে চাইলে আর না করতে পারবে না। ফোন ধরল ছোট শালী। ফোন ধরেই বলে- কি ব্যাপার দুলাভাই, আপা আর আপনি যে এত রোমান্টিক তাতো জানতাম না। আমি বলি তোমার কথা শুনার আগে এই কথাতো আমিও জানতাম না। শালী বলে- হুম, বুঝছি। সারাদিনে কয়বার ফোন করেন ? আমি বলি-কেন ? শালী বলে- আমার তো আরো দুলাভাই আছে কই তাদের তো প্রতি দুই ঘন্টা পর পর ফোন করতে দেখি না। আর সারাদিন কি এত গুজুর গুজুর গল্প। আমি বলি - বুঝইতো তোমার আপা একটু রাগি তাই সময় সময় একটু খোজ রাখি আর কি। তা তোমার আপা রোমান্টিক হইল কোন দিক দিয়া। শালী শুনে হাসতে হাসতে বলে - প্রমান চান? আমি বলি হ্যা চাই ।

এইবার শালী বলে- আপনাকে বলা নিষেধ তাও বলি। আপা কিন্তু আজকে দুপুরের বাসে রওনা দিয়েছে। আর এই কয় দিন আপনি কি করেন এই গল্প আমাদের শুনাতে শুনাতে কান ঝালাপালা করে দিয়েছে। আমি বলি রওনা দিয়েছে মানে কি। শালী বলে- আরে আজকে সকালে আপনার ওভেনে হাত পুড়ার কাহিনি শুনে বলে কিনা আর থাকবে না। আব্বা কত বলল কিন্তু আপা কিছুতেই শুনবে না। তার এক কথা ঢাকায় তার যেতেই হবে, আজকে। এইবার বলেন আমার আপা রোমান্টিক কিনা। আমি বলি আসলেই রোমান্টিক।

অফিস শেষ করে তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরতে দেখি দরজার তালা খুলা। বাসায় ঢুকতেই দেখি বউ এসে গেছে। কেমন জানি একটা শান্তি শান্তি লাগে। বউ বলে- কেমন ছিলা এতদিন? আমি বলি- এই তো। ভয়ে ভয়ে তাকাই বাসার ভিতর অগোছালো অবস্থার জন্য না জানি কি বলে। কিন্তু মেয়ে বলে- এই কয় দিন খুব কষ্ট হয়েছে তাই না? আমি বলি- না না খুব একটা না। মেয়ে বলে- আসলেই আমার এমন হুটহাট করে যাওয়া ঠিক হয় নি। আমার কাছে মনে হয় শালীর কথাই মনে হয় ঠিক আমার বউ হয়ত আসলেই রোমান্টিক। মনে মনে ভাবি নাহ এই বার থেকে সব শালা বউ এর পছন্দ মত করব।

বউ আস্তে আস্তে ঘরের সব কিছু গোছগাছ করতে থাকে। আমি টিভির এক চ্যানেল থেকে আরেক চ্যানেল ঘুরতে ভাবি এই কয়দিন আশরাফ ভাইয়ের ঐখানে কার্ড খেলতে যাওয়া হয় নি। যাই একটু ঘুরে আসি। বাসার দরজা খুলতেই দেখি বউ বলে উঠল কই যাওয়া হচ্ছে। আমি বলি- এই তো আশরাফ ভাইয়ের ঐখানে। বউ তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে বলল- কেন আমার সাথে থাকেতে ভাল লাগে না। আমি বলি না সেই ব্যাপার না। বউ বলে- থাক আর ঢং করতে হবে না। তোমাকে আমার ভাল চিনা আছে। আমি মনে মনে বলি শালা বউ মানে আসলেই যন্ত্রনা।


মন্তব্য

তুলিরেখা [অতিথি] এর ছবি

ঘোরতর সংসার।
খুব ভালো লেখা। হাসি

নিবিড় এর ছবি

ঠিক বলেছেন ঘোরতর সংসার:D দেঁতো হাসি

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ভাইরে, গেল কালকে আমার অফিসে বিবাহিত ভাইয়েরা বুঝাইলো, বিয়ে কেন করা যাবে না। কইলো, এর থেকে বাঁচতে চাইলে প্রয়োজন হলে বিয়ের বাস কোনো ট্রাফিক সিগন্যালে থামলেও দৌড় দিয়া পালাবি। বিয়ে করছোস তো মরবি! বিডিআর ভাইয়ের মতো আমিও বিবাহযোগ্য পাত্র! হাসি বেশ ভয়ে আছি।

নিবিড় এর ছবি

ভাই এইটা করলেও পস্তাইবেন না করলেও পস্তাইবেন মন খারাপ তাই ভয় পাইয়েন না কারন পরে অন্তত গাইতে পারবেন আমি জেনে শুনে বিষ করেছি পান চোখ টিপি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

তবুও ন্যাড়া কিন্তু বেলতলায় যাবেই, রেজা মামা।

নিবিড় এর ছবি

হুম...... একদম ঠিক কথা ।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

হ, যায়। গিয়া অভিজ্ঞতা নিয়া আইসা আমগোরে এলান দেয়।

রায়হান আবীর এর ছবি

হাসি

=============================

নিবিড় এর ছবি

যাবেন নাকি বেলতলায় চোখ টিপি

কীর্তিনাশা এর ছবি

আমি মনে মনে বলি শালা বউ মানে আসলেই যন্ত্রনা ।

এই কথাটা মনে মনে না বলে বউ'এর সামনে বলার সাহস ক'জনার আছে?

লেখা অতি উত্তম হয়েছে। চলুক

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

নিবিড় এর ছবি

এই কথাটা মনে মনে না বলে বউ'এর সামনে বলার সাহস ক'জনার আছে? .............. বিবাহিত সচলদের মাঝে জরিপ চালালে বুঝা যাবে আসল অবস্থা কি । আশা করি অন্তত কয়েকজন সাহসী সচল পাওয়া যাবে দেঁতো হাসি আর পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।

শান্ত [অতিথি] এর ছবি

খুব সুন্দর হয়েছে লেখাটা।

নিবিড় এর ছবি

হুম...... পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে শান্ত ।

নিবিড় এর ছবি

হুম...... কি মনে হইল ধূগোদা ?

স্বপ্নাহত এর ছবি

সংসার জিনিসটা কি আসলেই এইরকম? তাইলে বিয়ে জিনিসটা মনে হয় বেশি খারাপ না দেঁতো হাসি

লেখা জোশ লাগসে। মন ভাল করে দেয়ার মত।

---------------------------------

বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

নিবিড় এর ছবি

আপনার প্রশ্নের উত্তর হোল - কোন জিনিস জানার সবাচাইতে ভাল উপায় হোল প্র্যাকটিক্যাল করা তাই জানার জন্য হলেও একবার ট্রাই নিয়া দেখেন চোখ টিপি । আর পরের কথায় লইজ্জা পাইছি লইজ্জা লাগে

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

হা হা হা
বিয়া না কইরাই তো দারুন পর্যবেক্ষক হইছেন দেখি... চোখ টিপি

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

নিবিড় এর ছবি

কি যে বলেন না আপু ...... সামনে প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা দেওয়ার ইচ্ছা আছে দেঁতো হাসি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আপনার লেখার হাত জোস! খুবই দারুন লেখেন। এটাও খুব সুন্দর লিখেছেন। চমৎকার বর্ণনা, পড়তে বিরক্তি লাগে না এতটুকু। তবে আরেকটু মেদ ঝরাতে পারলে মনে হয় আরো বেশি সুখপাঠ্য হত (নিতান্তই ব্যক্তিগত মত, কিছু মনে করবেন না) হাসি


যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই

নিবিড় এর ছবি

হুম...... বিডিআর ভাই লইজ্জা পাইছি লইজ্জা লাগে আর আপনার মতামতে কিছু মনে করার নাই কারন পাঠক যদি তার মতামত না জানায় তাইলে আমি আমার লেখার ভুল শোধরাব কিভাবে তাই সবসময় আপনার এইরকম মতামত জানাতে থাকুন । আর উপরে পান্থ ভাই যে আপনার বিবাহের সংবাদ দিল তা সত্য নাকি ?? তাইলে এই বার বুঝছি আপনার সাইজ ডোন্ট ম্যাটার পোষ্ট এর মাজেজা চোখ টিপি

স্বপ্নাহত এর ছবি

বিডিআর ভাইয়ের আবার স্লিম জিনিস না হইলে ভাল্লাগেনা চোখ টিপি

---------------------------------

বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

নিবিড় এর ছবি

হুম...... বিডিআর ভাই কি বেলতলায় যাওয়ার সময় ও স্লিম বেল পছন্দ করে নাকি চোখ টিপি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ভাইজান, আপনি কিভাবে জানলেন? চিন্তিত


যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই

নিবিড় এর ছবি

হুম...... না জানলে কেমনে হবে ভাইজান । হাজার হইলেও আপনার আর আমার মটো এক দেঁতো হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

বাস্তবে সংসার জিনিষটা আরো ভয়াবহ। লেখায় আমাদের দেশের বিবাহিত পুরুষদের মনের যাতনা-বেদনাগুলো উঠে এসেছে ভালভাবেই।

নিবিড় এর ছবি

হুম......আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আর আপনার নাম টা জানতে পারলে আর ভাল লাগত অতিথি ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।