তানি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ১৮/০৪/২০১০ - ১০:৩৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মুক্ত বিহঙ্গ

চারুকলা থেকে বেরিয়ে শাহবাগ মোড় পর্যন্ত হেঁটে এসে সিএনজি পেলো তানি। চৈত্র মাসের শেষ বিকেল। এবার প্রচন্ড গরম পড়েছে, সাথে আছে বিরক্তিকর লোড-শেডিং। এই দু’য়ে মিলে জীবন একেবারে অতিষ্ট। সিএনজি ছাড়তে না ছাড়তেই শেরাটন হোটেলের সামনে জ্যাম এ আটকে গেলো। অসহ্য লাগছে তানি’র। গত কয়েকটা দিন খুব ব্যস্ততায় কেটেছে পহেলা বৈশাখের প্রস্তুতিতে। একেবারেই বিশ্রাম হয়নি। তবে কষ্ট হলেও একটা তৃপ্তি বোধ করে তানি, পরদিন সকালের কথাটা ভেবে। এই জ্যামে আটকে থেকে পছন্দের গানগুলো শুনতেও বিরক্ত লাগে, তবুও এফ এম রেডিও তে গান শুনতে থাকে সে।

পনেরো মিনিটের পথ এক ঘন্টায় পাড়ি দিয়ে বাসায় ফিরলো তানি। সন্ধ্যা হয়ে গেছে। প্রচন্ড খিদে পেয়েছে। কিন্তু এই ক্লান্ত আর ঘামা শরীর শুরুতে চাইছে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোছল। শাওয়ারের ঠান্ডা পানিতে শরীরটা জুড়িয়ে গেলো আর সাথে ক্ষুধা টাও বেড়ে গেলো বোধ-হয় কয়েকগুণ। বাথরুম থেকে বেরিয়ে দেখলো মা খাবার টেবিলে সাজিয়ে দিয়েছেন। মা-রা বোঝেও; সন্তানদের কখন কী দরকার!

মা’র সাথে টুক-টাক কথা বলতে বলতে খেয়ে নেয় তানি। খাওয়া শেষ করবার সাথে সাথে শরীরটা কেমন অবসন্ন হয়ে আসে। এক-কাপ চা হাতে নিজের ঘরে আসে। বেশ সুন্দর করে গোছানো তানি’র ঘর। দেয়ালে তার নিজের আঁকা কয়েকটা ছবি টাঙানো, সবগুলো-ই প্রকৃ্তির ছবি। নিজের আঁকা ছবিগুলো দেখতে ভালো লাগে তার। ছোটবেলা থেকেই তার বেশ সুনাম আছে ছবি আঁকায়।

ব্যাগ থেকে একটা গল্পের বই বের করে। গল্পের বই পড়া তার ছোটবেলার অভ্যাস, তা সে যত ব্যস্ততাই থাকুক। বইটা খুলতেই একটা কাগজ গড়িয়ে পড়ে ভিতর থেকে। বেশ অবাক হয়ে লক্ষ্য করে, এটা একটা চিঠি, তাকে উদ্দেশ্য করে লিখা! তার এই একুশ বছরের জীবনে কেউ তাকে কখনো চিঠি লিখেছে- এমনটা মনে পড়ে না। তা-ও আবার এই এস. এম. এস. আর ই-মেইলের যুগে!

চিঠির ইতি-তে নাম লেখা ‘জয়’। আরে! এটা তো জয় ভাইয়া! হাতের লেখাটা দেখেও নিশ্চিত হয়। জয় তাদের দুই বছর সিনিয়র। আজকেও তো অনেকক্ষণ একসাথে ছিলো, আগামীকাল পহেলা বৈশাখের প্রস্তুতি নিয়ে কথা হচ্ছিলো সবাই মিলে। জয় ভাইয়া হঠাৎ তাকে চিঠি লিখলো কেন? বেশ কৌতুহল নিয়ে চিঠি পড়া শুরু করে তানি।

তানি,

চিঠি পেয়ে নিশ্চয় খুব অবাক হয়েছো; হবার-ই কথা। মোবাইল ফোন, ই-মেইল আর ফেইসবুক থাকবার পরেও কেন চিঠি লিখছি- সেটা আগে বলি। আমি এখন তোমাকে যে বিশেষ কথাটা বলতে যাচ্ছি সেটা এই যান্ত্রিক মাধ্যমগুলোর মাধ্যমে বলতে ইচ্ছে করছিলোনা। তাই প্রাচীন কিন্তু অনেক বেশি আন্তরিক এই ‘চিঠি’ নামক মাধ্যমটির সহায়তা নিলাম।

কথাটা কীভাবে বলবো বুঝতে পারছিনা। সারাদিন অনেকের সাথে অনেক কথা বলি, কিন্তু তোমাকে এই কথাটা অনেক দিন ধরে বলবো-বলবো করেও বলা হচ্ছিলো না। এখন রাত তিনটা বাজে; রাত একটায় এই চিঠি লিখতে বসেছি। প্রথমে শুধু তোমার নামটা লিখে বসে ছিলাম এক ঘন্টা। এরপর প্রথম চারটা লাইন লিখে আবারো দীর্ঘ বিরতি। বিরতির সময়টাতে শুধু ভাবছিলাম, কথাটা কি বলবো, নাকি বলবো না। কথাটা তুমি কীভাবে নেবে এটা নিয়ে সংশয় এখনো কাটেনি।

তানি, তোমার প্রিয় রঙ সবুজ, আর আমার লাল। আমরা দুইজন কি পারিনা এই লাল-সবুজের সমন্বয়ে একসাথে সুন্দর একটা জীবন গড়তে? ঠিক আমাদের সুন্দর পতাকাটার মত?

তোমার উত্তরের অপেক্ষায়……………

জয়।

চিঠিটা পড়া শেষ করে জানালা দিয়ে বাইরে তাকায় তানি। বেশ জোরে বাতাস শুরু হয়েছে, কিছুক্ষণের মধ্যে বৃষ্টি-ও শুরু হলো। প্রকৃতির যে কী হয়েছে! সবকিছু এলোমেলো। বৃষ্টির পানিতে ভেজা তানি’র চিরকালের অভ্যাস, কিন্তু আজকে এই প্রথম বৃষ্টিতে একা ভিজতে ইচ্ছে করছে না!


মন্তব্য

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

প্যাকেজ নাটকের স্ক্রিপ্ট লেখা শুরু করেন। ক্যামনে কি করবেন নজ্রুলিস্লাম ভাইরে জিগান। দেঁতো হাসি

------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

অতিথি লেখক এর ছবি

শুভাশীষ দা,

ট্যাকার গন্ধ পাইতাছি মনে হয় !!! দেঁতো হাসি

- মুক্ত বিহঙ্গ

অতিথি লেখক এর ছবি

বৃষ্টির পানিতে ভেজা তানি’র চিরকালের অভ্যাস, কিন্তু আজকে এই প্রথম বৃষ্টিতে একা ভিজতে ইচ্ছে করছে না!

সত্যিই অসাধারণ। আমিও শুভাশীষ দা-র সাথে একমত। দেঁতো হাসি

পাগল মন

অতিথি লেখক এর ছবি

পাগল মন,

অনেক ধন্যবাদ হাসি

তাইলে তো প্যাকেজ-এ নামতেই হয়! দেঁতো হাসি

- মুক্ত বিহঙ্গ

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

হেহে, পুরাই প্যাকেজ... তানি আপার বাসা আসলে কৈ ?? শাহবাগ মোড় থেইক্যা ১৫ মিনিট সিএঞ্জিতে তো আমার আশেপাশে... দেঁতো হাসি

অন্যকথাঃ আপনার লেখা ছুটির দিনে ক্রোড়পত্রে নিয়মিত পড়া হয়...

_________________________________________

সেরিওজা

অতিথি লেখক এর ছবি

সুহান,

ইয়ে .... মানে ....... তানি আপার বাসার ঠিকানা না হয় খালি জয় ভাইয়া-ই জানুক দেঁতো হাসি

অন্যকথাঃ আহা !! এসব আবার এখানে কেন !! খাইছে
যাক! এই অধমের নামটা চোখে পড়ে তাহলে হাসি

- মুক্ত বিহঙ্গ

শাহ মো; রাজিউর রহমান এর ছবি

ভাল লাগলো। দিন দিন তোমার লেখনীতে পরিপক্কতা আসছে । তবে যদি কিছু মনে না কর, এ- ক্ষণে একটা কথা বলতে চাই - তোমার বেশির অণু-পরমাণু গল্প রোমান্টিকতা ও ইমোশন জ্বরে আক্রান্ত।যদিও বাজারে এটার কাটতি ভাল, তারপরও কিছুটা একঘেয়ামি চলে আসছে। আশা করি বৈচিত্রতার দিকে একটু নজর দিবা।

রাজিউর

অতিথি লেখক এর ছবি

রাজিউর,

"রোমান্টিকতা ও ইমোশন জ্বরে আক্রান্ত" - হুমম ... আমি একমত। কিন্তু এটা-ও ঠিক যে, অধিকাংশ গল্প, উপন্যাস, গান, কবিতা, নাটক, চলচ্চিত্র - এই রোমান্টিকতা ও ইমোশন - এর উপর ভিত্তি করেই আজ-ও চলছে। হাসি

বৈচিত্র আসবে; দুশ্চিন্তার কারণ নাই। অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। হাসি

- মুক্ত বিহঙ্গ

সাবিহ ওমর এর ছবি

বলেছিলাম না! সেই সবুজ শাড়ি, সেই বৃষ্টি... এইবার ঝেড়ে কাশেন, বলে দেন কে সেই সবুজ শাড়ির মেঘবালিকা। কে? কে?? কে???

ছুটির দিনে'তে আপনার লেখা আমিও পড়ি। আপনি তো সেলিব্রেটি লেখক ভাই!

অতিথি লেখক এর ছবি

সাবিহ ওমর,

এই সেরেচে !! যান, এখন থেকে রঙ বদল, প্রকৃতি-ও বদল !!! দেঁতো হাসি

"আপনি তো সেলিব্রেটি লেখক ভাই!" - এ যে দেখি বোমা ফাটিয়ে দিলেন !!! দেঁতো হাসি

- মুক্ত বিহঙ্গ

মূলত পাঠক এর ছবি

ভাগ্যিস আপনাদের পতাকায় দুখানাই রঙ। এই গল্পের আরেকটা ভারতীয় ভারশন দিই:

তানি, তোমার প্রিয় রঙ সবুজ, আর আমার সাদা। আমার বৌ আমার বেলেল্লাপনা দেখে মনের দুঃখে গেরুয়া কৌপিন পড়ে টপলেস সাধিকা হয়ে হিমালয়ে যাবে বলছে, রেখে যাবে আমার মন্থরাসম শ্বশ্রুমাতাকে যিনি দু বেলা চাকার মতো বনবন করে ঘুরছেন আমার জীবনকে ভাজাভাজা করে দিতে। আমরা চারজন কি পারিনা এই সবুজ-সাদা-গেরুয়া-চক্রের সমন্বয়ে একসাথে সুন্দর একটা জীবন গড়তে? ঠিক আমাদের সুন্দর পতাকাটার মত?

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

নিঃসঙ্গ গ্রহচারী [অতিথি] এর ছবি

হরফ এর ছবি

মাশাল্লা লা-জোওয়াব:-) হাসতে হাসতে প্রায় পড়েই গেলাম।
______________________________
"ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে"

ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে

দারুণ সময় এর ছবি

তাহলে বেলিজবাসীদের কি হবে?

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

বেলিজবাসী লেখকদের জন্য আন্তরিক সমবেদনা মন খারাপ

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- সবই ঠিকাছে, কিন্তু দুই মুশকো পালোয়ানকে নিয়ে কী করে একসাথে সংসার শুরু করা যায়, এইটা নিয়ে অনেকক্ষণ মাথা চুলকেও কোনো কূল পেলাম না। থাকুক ভাই, বেলিজবাসীদের অতো রোমান্টিক হয়ে কাজ নাই। হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতিথি লেখক এর ছবি

'মূলত পাঠক' এবং 'দারুণ সময়',

আপনাদের দু'জনকে ধন্যবাদ আমার লেখা পড়বার জন্য।

আমি আমার এই বাংলাদেশের লাল-সবুজ নিয়েই থাকতে চাই। অন্য দেশের রঙ নিয়ে আমার কোন মাথাব্যথা নেই। তাদের দেশের লেখকদের উপর-ই ছেড়ে দিননা তাদের দেশের রং-এর বিবরণ হাসি

ভালো থাকবেন।

- মুক্ত বিহঙ্গ

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আজকে এই প্রথম বৃষ্টিতে একা ভিজতে ইচ্ছে করছে না!

প্যাকেজ লিখলে তিনপর্ব পরেই কিন্তু

এই বৃষ্টিভরা রাতে চলে যেও না'
গান গাওয়াতে হবে

তারচেয়ে বাদ দেন
যা আছে তাই থাক

তবে এই শেষ বাক্যটা যতটা শক্তিশালি উপরের বর্ণনাটা কিন্তু তা না
হুড়হুমুড় করে বোধহয় অনেকগুলো বিষয় চলে এসছে প্রথমেই

অতিথি লেখক এর ছবি

মাহবুব লীলেন,

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে লেখাটা পড়বার জন্য এবং মন্তব্য করবার জন্য হাসি

"তবে এই শেষ বাক্যটা যতটা শক্তিশালি উপরের বর্ণনাটা কিন্তু তা না
হুড়হুমুড় করে বোধহয় অনেকগুলো বিষয় চলে এসছে প্রথমেই
" - আশা করি আপনার এই মন্তব্য আমাকে ভবিষ্যতে ভালো লিখতে সাহায্য করবে হাসি

আমার লেখায় সবসময় এভাবে সঠিক পথের নির্দেশনা দিলে কৃতজ্ঞ থাকবো হাসি

- মুক্ত বিহঙ্গ

চেনা পথিক [অতিথি] এর ছবি

ভাইয়া,
লেখাটা সুন্দর হয়েছে।
কিন্তু "নীলা" কি জানে যে আজ-কাল তার "জয়"-এর busy থাকা প্রধান কারণ "তানি" ???? মনে হয় না, কারণ "জয়" নিজেও তো "নীলা"-কে এখনো পর্যন্ত চিনতে পারে নি...। খাইছেখাইছে স্যরি, it's a joke, আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

অতিথি লেখক এর ছবি

চেনা পথিক,

গত ফেব্রুয়ারি মাসে একটা দৈনিক পত্রিকায় আমার প্রকাশিত লেখাটা আপনি এখনো মনে রেখেছেন, এই জন্য ধন্যবাদ হাসি

আমার গল্পের 'জয়' তো আর 'হিমু'-র মত কোন বিশেষ চরিত্র নয় যে তাকে সবসময় 'রূপা'-র নায়ক হতে হবে !! হাসি

তাই 'জয়'-এর সাথে 'নীলা' অথবা 'তানি' - যে কোন নাম-ই আসতে পারে হাসি

অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

- মুক্ত বিহঙ্গ

চেনা পথিক [অতিথি] এর ছবি

ভাইয়া,
আমি খুবই দুঃখিত। আমি আসলে "পৃথিবীর সব পুরূষ জয় , আর সব নারী নীলা"--- এ কথাটার রেশ ধরে কমেন্টটা করেছিলাম।

অতিথি লেখক এর ছবি

চেনা পথিক,

"পৃথিবীর সব নারীই রূপা এবং সব পুরুষই হিমু" - এই কথাটা বিখ্যাত লেখক হুমায়ূন আহমেদ এর 'পারাপার' বইয়ের শেষ লাইনে বলা আছে।

কিন্তু, "পৃথিবীর সব নারীই নীলা এবং সব পুরুষই জয়" - এটা আমার জানামতে কোথাও প্রকাশিত আকারে নেই; তাই সেটার উল্লেখ না করলেও বোধ-হয় হত !! হাসি

- মুক্ত বিহঙ্গ

চেনা পথিক [অতিথি] এর ছবি

ভাইয়া,
আমি খুবই দুঃখিত। আমি আসলে "পৃথিবীর সব পুরূষ জয় , আর সব নারী নীলা"--- এ কথাটার রেশ ধরে কমেন্টটা করেছিলাম।

রানা মেহের এর ছবি

প্রিয় মুক্ত বিহঙ্গ

অপ্রিয় কিছু কথা বলি।
আপনার গল্প পড়ে খুব বিরক্ত লেগেছে।

আপনি সচলে লিখছেন নিয়মিত। প্রবাস জীবনের ওপর লেখা আগ্রহ নিয়ে পড়েছি।
গল্পে হয়তো আপনি নতুন। আরো ভালো লিখবেন ভবিষ্যতে।
কিন্তু পতাকার রঙের সাথে মিলিয়ে জীবন সাজিয়ে নেয়া গল্প কি না লিখলেই নয়?

আপনার লেখা দেখে স্যাটায়ার ভেবেছিলাম। হয়তো দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অটবি যেই এ্যাডগুলো করছিল ফেব্রুয়ারিতে তাকে বিদ্রুপ করে লেখা। ট্যাগে 'অনুগল্প' দেখে বুঝলাম, না। ভুল আমারি। এটা আসলে সত্যি সত্যি 'গল্প'।

আপনার লেখা পরিনত হচ্ছে। আরো হবে। এই পথে বাংলাদেশের পতাকাকে জড়াবেন না দয়া করে। তানির কাছে জয়ের ভালোবাসা পৌছানোর আরো অনেক উপায় আছে।
ভালো থাকবেন
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রিয় রানা মেহের,

আমার গল্প পড়ে আপনার খুব বিরক্ত লেগেছে- এই জন্য আমি সত্যিই দুঃখিত।

"কিন্তু পতাকার রঙের সাথে মিলিয়ে জীবন সাজিয়ে নেয়া গল্প কি না লিখলেই নয়?" - আপনার এই কথার উত্তরেঃ

আমি একটা সুন্দর ভবিষ্যতের রঙীণ স্বপ্নকে আমাদের রঙীণ পতাকার সাথে তুলনা করবার চেষ্টা করছিলাম, যেই পতাকার দিকে তাকিয়ে আমরা সবাই সোনালি-সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখি সারাজীবন। [রঙের বিষয়টি আনবার কারণ ছিলো, গল্পের চরিত্রদু'টি চারুকলার শিক্ষার্থী, রঙ নিয়ে-ই যাদের জীবন]

"তানির কাছে জয়ের ভালোবাসা পৌছানোর আরো অনেক উপায় আছে।" - আমি একমত।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য। ভবিষ্যতেও আমার লেখায় আপনার মন্তব্য প্রত্যাশা করি হাসি

- মুক্ত বিহঙ্গ

অতিথি লেখক এর ছবি

মুক্ত বিহঙ্গ,

আপনার গল্প আমার ভাল লাগেনি। এসব বহু পুরান প্যাচাল।

নাসিফ ইমতিয়াজ

অতিথি লেখক এর ছবি

নাফিস ইমতিয়াজ,

গল্প আপনার ভালো লাগেনি- সেজন্য আমি দুঃখিত।

"এসব বহু পুরান প্যাচাল" - সহমত হাসি তবুও এই 'পুরান প্যাচাল'-টাই আজো চলছে, এবং ভবিষ্যতেও চলবে। হয়তো একটু নতুন ধারায়, একটু নতুন ভাবে- এই যা ! হাসি

ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। হাসি

- মুক্ত বিহঙ্গ

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

লেখা ভালো লাগলো মুক্ত, রোমান্টিক লেখায় তোমার হাত বেশ পাঁকা।

চিঠির প্রথমাংশের যে ব্যাখ্যাটা, সেটা যতটা না তানির জন্য, তার চেয়ে বেশি পাঠকের জন্য মনে হল। আমি জানি এটা না দিলে লোকে প্রশ্ন করতো, এই যুগে চিঠি কেন? কিন্তু তার জন্য লেখাকে ডিফেন্সিভ করা কখনোই ভালো না। বাদবাকি আমার কাছে ঝরঝরেই লাগলো। নিশ্চিন্তে লিখো। পাঠক প্রশ্ন করাটা বরং ভালো, এর অর্থ তোমার লিখা সবাই পড়ছে হাসি

ক্ষুদ্রাণুগল্প থেকে এখন পলিমারগল্পে আসার কথা চিন্তা করতে পারো।

একটা মোটামুটি আকারের ছোটগল্প লিখ। অসাধারণ, স্থায়ী কিছু সেখান থেকে শুরু হবে।

যেমন ধর, তানির প্রতি পাঠকের যেমন একটা পরিচিতি তৈরি হয়েছে, জয়ের সাথে কিন্তু পাঠকের সেরকম কোন বন্ধন নেই। ফলে চিঠির আগে বা পড়ে পাঠক এই জয় ছেলেটা সম্পর্কে জানতে চাইবে। ছেলেটা কি চশমা ছাড়া দেখতে পায়? আকাশ দেখে হাঁটতে গিয়ে হোঁচট খায়? নাকি ছেলেবন্ধুদের কাছে সোনি রিনিদের নিয়ে খিস্তিখেউর করে? তাহলেই, লেখার ওই শেষ লাইনটার সাথে পাঠকের পুরোপুরি একাত্ম হবার একটা সুযোগ থাকে। কিশোর পাঠকদের দু'চার ফোঁটা সুখাশ্রু-বর্ষণও তখন অসম্ভব নয় (রোমান্টিক লেখকদের এটা বেশ কাঙ্ক্ষিত বলেই ধরে নিচ্ছি চোখ টিপি)।

লীলেন্দা এই ব্যাপারটাই মনে হয় বুঝিয়েছেন। ব্যাপারগুলো পলিমারগল্পে প্রয়োজন হয়ে পড়বে। অণুগল্প হিসেবে কিন্তু আমার মনে হয় তো্মার লেখাটা ঠিকই আছে।

এখানে যত গঠনমূলক সমালোচনা হবে, তত কিন্তু আনন্দের ব্যাপার লেখকের জন্য। আমি গল্প লেখক বা সমালোচক নই, গল্পের বেশ ভালো পাঠকও নই। সাধারণ পাঠকের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে মন্তব্যটা করলাম। যারা অনেক সুচিন্তিতভাবে সমালোচনা করেন, তাদের থেকে আরো আরো গঠনমূলক সমালোচনা আশা করছি।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধ্রুব বর্ণন,

আপনার মন্তব্য শুনে মনটা জুড়িয়ে গেলো !! অনেক ধন্যবাদ হাসি

কেন যে আমার সব লেখায় মন্তব্য করেন না !! চিন্তিত

- মুক্ত বিহঙ্গ

রুমি [অতিথি] এর ছবি

লেখাটা ভালো লাগলো.... আপনার লেখার পরিপ্পকতা স্পষ্টতর হচ্ছে.... (সচলে আমার প্রথম মন্তব্য মনে হয়)

অতিথি লেখক এর ছবি

রুমি,

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য হাসি

এবং সচলে স্বাগতম। লিখবেন আশা করি।

- মুক্ত বিহঙ্গ

হাসিব জামান এর ছবি

মুক্ত বিহঙ্গ, অনুগল্প অনেক ভাল লেগেছে।
নিজেকে খুব রোমান্টিক মানুষ মনে করি। কিন্তু এত সুন্দর করে ভালবাসা কেন যে ফুটিয়ে তুলতে পারি না মন খারাপ
-----------------------------------------
ব্যস্ততা আমাকে দেয় না অবসর ...

অতিথি লেখক এর ছবি

হাসিব জামান,

খুব খুশি হলাম আমার লেখা আপনার ভাল লেগেছে শুনে হাসি

আপনি কিন্তু আপনার 'লিখতে লিখতে-ই প্রেম' অণুগল্পে বেশ সুন্দর ভাবেই ভালোবাসা ফু্টিয়ে তুলেছেন হাসি

অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

- মুক্ত বিহঙ্গ

মর্ম এর ছবি

শেষ লাইনটা বেশ ভালো লাগলো, ঐ একটা কথাই খুব সম্ভবত পুরো গল্পটার মেরুদন্ড।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

অতিথি লেখক এর ছবি

মর্ম,

" ঐ একটা কথাই খুব সম্ভবত পুরো গল্পটার মেরুদন্ড " - সহমত হাসি

ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য হাসি

- মুক্ত বিহঙ্গ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।