দ্বিবর্ণ জাতক ১

নৈষাদ এর ছবি
লিখেছেন নৈষাদ (তারিখ: রবি, ১৪/০৮/২০১১ - ১১:১৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


প্রায় দুই দশক আগের একটা ঘটনার প্রেক্ষিতে পরস্পর সম্পর্কহীন এই তথ্যগুলি হয়ত কৌতূহলোদ্দীপক, কিন্তু যুক্তির বিচারে কোনই গুরুত্ব বহন করে না। ১৯১০ সালে চট্টগ্রামে ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে নিয়োগ পাওয়া আইসিএস অফিসার ড্যাশের উড়িষ্যা থেকে আসা খাস বেয়ারার নাম ছিল দুর্গা, আবার তার রেকর্ড রুম পরিষ্কারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাঁওতালদের দলনেতার নামও ছিল দুর্গা মন্ডল। এদিকে আবার ১৯০০ সালে বার্মার লেফটেনেন্ট গভর্নর ফ্রেয়ারকে লেখা লর্ড কার্জনের চিঠিতে উল্লেখ করা “ক্রুসেড এগেনস্ট ইম্পিউরিটির” নেত্রী মিসেস অ্যাডা ক্যাসেলের বান্ধবীর নামও ছিল দুর্গা খান্ডেলওয়াল। অসমর্থিত একটা সূত্রে আবার জানা গেল নাজিমুদ্দিনের কাজিন, আহসান মঞ্জিলের নবাবের ঢাকাক্লাব-চারিণী স্ত্রীর পরিবারের দুর্গা নামের একটা মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ছিল।

কিন্তু এই বিশেষত্বহীন দুর্গা নামটা অস্পষ্টভাবে আপাত সম্পর্কহীন কিছু চরিত্র এবং সময়কে একটা সুতোর মধ্যে গেঁথে আনছে বলে মনে হল। ইচ্ছাকৃতভাবে রেখে যাওয়া কোন ক্লু? নিজেকে খুব একটা যুক্তিবাদি বলে দাবী করতে পারলাম না।


গভীর রাতে এক ধরনের অস্বস্তি নিয়ে ঘুম ভাঙ্গল। কিছু একটা অস্বাভাবিকতা আছে কোথাও। কিছুক্ষণের মধ্যেই ধরতে পারলাম ব্যাপারটা। ধীর লয়ে, কিন্তু স্নায়ুর উপর চাপ সৃষ্টি করে এমন ভা্বে টানা ঘন্টা বেজে চলছে কোথাও, অস্পষ্টভাবে মনে হল দূরে অনেক লোকের কথাবার্তা শোনা যাচ্ছে, গাড়ির আওয়াজও শুনলাম মনে হল। দরজা খোলে বারান্দায় বের হয়ে এলাম। চা বাগানে ধীর লয়ে একটানা ঘন্টার মানে হচ্ছে বিপদসংকেত। সবাইকে সাহায্যের জন্য আবেদন জানানো হচ্ছে। শতাব্দী পুরানো সফল এই অ্যালার্ম সিস্টেমটা সফল ভাবেই বেঁচে আছে এই যুগেও।

ঘটনাটা প্রায় দুই দশক আগের। এইচএসসি পরীক্ষার পর প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বংলাদেশ-ভারত বর্ডারের কাছে পুরানো চা বাগানের শতাব্দী প্রাচীন এই বাংলোয় থাকছি। পুরানো বিশাল সব গাছপালায় ঢাকা চুন-সুড়কির তৈরী ত্রিশ ইঞ্চি পুরু দেয়ালের বাংলোটা নিঃশব্দ, ঠান্ডা। ভিতরের আসবাব, নীচুস্বরে কথাবার্তা, এবং আবহের মধ্যে এমন কিছু আছে, বাংলোতে ঢুকলেই মনে হয় এক শতাব্দি পিছিয়ে গেলাম। বাংলোর স্থায়ী বাসিন্দা বলতে এই মুহূর্তে আমি আর শৈশব থেকে দেখে আসা বাহাত্তর বছর বয়সের অ্যাঙ্গলিসাইজড হোস্ট, যিনি এই বাগানের মালিক। তাঁর নামটা এখানে অপ্রাসঙ্গিক, ধরলাম ক-চাচা।

বারান্দায় এসে দেখলাম নীচে্র লনে বেশ কিছু মানুষের জমায়েত, সবাই সশস্ত্র – তীর-ধনুক, বল্লম কিংবা চিকন লম্বা দা। নিরুত্তাপ ক-চাচা বসে আছেন, দুই/তিন জন তার পাশে বসা। টেবিলের উপরে রাখা দেখলাম দোনলা শটগান, গুলির বাক্স, চেকস্লোভাকিয়ার তৈরী টুটু বোরের ব্রোনো রাইফেল এবং তার কোলে আলতভাবে ফেলে রাখা একটা ছোট্ট রিভলবার।

যতটুকু জানা গেল তাতে বোঝা গেল রাস্থায় পাহাররত একজন চৌকিদার পাশের ঝোপে অস্বাভাবিক ধস্তাধস্তির আওয়াজ পেয়ে বেশ কয়বার জানতে চায় কে ওখানে এবং কোন উত্তর না পেয়ে একটা সময় তীর ছোরে মারে। তারপর অন্ধকারে ‘কিছু’ একটা তার দিকে ছুটে আসে, এবং তার হাটুতে প্রচন্ড জোরে আঘাত করে। আঘাতে হাঁটু পেছনের দিকে বেঁকে গেছে। হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে আহত চৌকিদারকে।

এর মধ্যেই সেই ‘কিছুর’ একটা অপার্থিব রূপ দেয়া হয়েছে। উত্তেজিত লোকজন সেই ‘কিছুর’ খোঁজে যেতে চায়। ক-চাচা অনেকটা নির্লিপ্ত, বললেন ‘গেলে যা, আমি অপেক্ষা করব চৌকিদারের খবরের জন্য’। নিজেও এই অ্যাডভেঞ্চারের অংশ হতে চাইলাম, বয়সটাতো তেমনি ছিল। ক-চাচার কাছে জানতে চাইলাম আমিও শটগান নিয়ে তাদের সাথে যেতে পারি কিনা? অনুমতি দিলেন, তবে গুলি করার ব্যাপারে সাবধান থাকতে বললেন। ইশারায় বাংলোর বয়স্ক এক চৌকিদারকে কিছু বললেন। অনেকের সাথে সেও আমার সাথী হল।

বাংলোর আলোকোজ্জ্বল বারান্দার বাইরে অগ্রহায়ণের অমবষ্যা। ঠান্ডা এবং অন্ধকার। ঘটনাস্থল বড় রাস্থার উপর, পাশে ঝোপের ভিতর দিয়ে ছোট্ট একটা পায়ে-হাটা রাস্থা নীচের দিকে নেমে গেছে। ছয়জন চৌকিদার পরিবেষ্টিত হয়ে সেই পায়ে হাটা রাস্থা ধরে এগোলাম। উত্তেজনার সাথে কিছুটা ভয়ের উপস্থিতিও টের পেলাম।

কিছুটা আগানোর পর সমতল মত একটা জায়গায় আসতেই চৌকিদাররা থেমে দাঁড়ালো। বাড়ানো আঙ্গুল অনুসরন করে অস্পষ্ট টর্চের আলোতে কিছুটা দূরেই অন্ধকারে আবছা একজোড়া চোখ দেখতে পেলাম, আমার চোখের সমান উচ্চতায়। বুকে হার্টবিটের আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি। দ্রুত চিন্তা করছি ক-চাচার কথা। তার কথা অনুসারে সাধারনত তৃণভোজী প্রাণীদের চোখ হয় সবুজাভ, মাংশাসী প্রাণীদের লালচে।

আমার মনে হল নিস্পলক চোখ জোড়া লালচেই, আবার কিছুটা টানাটানা – মানুষের মত। প্রাণীর চোখ কি টানা হয়? মানুষের চোখতো অন্ধকারে জ্বলে না। আমি শটগান তুললাম, দ্রুতই বুড়ো আঙ্গুলে বা-দিকের হ্যামার টানলাম। বৃদ্ধ চৌকিদার ফিসফিস করে বলল, ‘দুর্গা’, গুলি করবেন না’। আমি তর্জনী দিয়ে পিছনের ট্রিগারে চাপ দিলাম। শরীরে ভীষণ ঝাকি দিয়ে বা-ব্যারেল থেকে ট্রিপল-বি কার্তুজের ১২ টা তপ্ত সীসার বল প্রচন্ড গতিতে বের হয়ে গেল। মুহূর্তের জন্য ম্যাজল ফ্ল্যাশও দেখা গেল। গুলির কয় মুহূর্ত পরও যেন মনে হলে নিস্পলক একজোড়া চোখ দেখলাম। তারপর আর কিছু নেই। চৌকিদার আমাকে আর এগোতে দিল না। লোকজন ছুটে আসছে।


একটা ব্যাখ্যার খোঁজে ব্রিটিশ আইসিএসদের বিবাহ এবং বিবাহ-বহির্ভুত সম্পর্কের উপর কিছু পড়াশোনা করা দরকার মনে করলাম। এই ২০১১ তে এসে এই দেশে কোন কিছুর উপর পড়াশোনা করার ইচ্ছা একটা ভীষণ করুণ অভিজ্ঞতা। গুগলে অনেক বইয়ের সন্ধান পাওয়া যাবে কিন্তু কোন বই দেশ থেকে কেনা যাবে না। তারপরও কিছু বই যোগাড় করা গেল। পড়াশোনা করে মনে হল ‘ইগনোরেন্স ইজ ব্লিস’।

You may carve it on his tombstone; you may cut it on his card,
That a young man married is a young man marred.

এটাই ছিল আপ্তবাক্য কলোনিয়্যাল ব্রিটিশ অফিসারদের জন্য (সিভিল এবং মিলিটারী)। একধরণের অলিখিত আন্ডারস্টেন্ডিং ছিল প্রথম ফারলোর (furlough) আগে বিয়ে করা যাবে না। আমি মনে মনে হাসলাম। একবিংশ শতাব্দিতে এসে এটা নিয়মে পরিনত হয়েছে মিলিটারী এবং বাগানের জুনিয়র অফিসারদের জন্য।

প্রথম ফারলো মানে প্রায় ত্রিশ বছর বয়স। তাহল? উনবিংশ শতাব্দির শুরুর দিকে ব্রিটিশ অফিসারদের ভারতীয় স্ত্রী কিংবা মিস্ট্রেস রাখা খুব সাধারন ঘটনা ছিল। মিস্ট্রেসদের কার্যাবলী সম্বন্ধে ১৮৪০ সালে লেখা রিচার্ড বার্টনের একটা নোট পড়ে গভীর রাতে একা একা হাসলাম, ‘... লুকড আফটার হিম, রেন হিজ হাউজহোল্ড এন্ড ট্রাইড টু টিচ হিম ইরোটিক টেকনিকস’। কিন্তু সিপাহী বিদ্রোহের পর ব্যাপারটা পুরো পালটে গেল। ব্রিটিশ অফিসারদের পক্ষে ভারতীয় মিস্ট্রেস রাখা অসম্ভব হয়ে উঠল।

ভারতবর্সে মিস্ট্রেসের ঘটনা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বার্মা হয়ে উঠল ব্রিটিশ অফিসারদের মিস্ট্রেস রাখার অভয়ারন্য। হিয়ামের তথ্য অনুসারে ৯০% ব্রিটিশ কলোনিস্টদের বার্মায় স্থানীয় মিস্ট্রেস ছিল। ব্রিটিশ ইতিহাসবিদের বিশ্লেষণ অনুযায়ী বার্মিজ মেয়েদের অন্যান্য সুবিধাগুলির মধ্যে ছিল তারা যখন খুশি বিয়ে করতে পারত, যখন খুশি তালাক দিতে পারত। কোন কাস্ট বা পর্দার ব্যাপার ছিল না। এমন কী তাদের কোন ‘ইনহিবিশনও’ ছিল না। (একজন আবার লিখেছেন বার্মিজ মেয়েরা জুয়া খেলায় প্রয়োজনে গায়ের শার্ট বাজি ধরত, এবং বাজিতে হেরে গেলে শার্ট খুলে অবলীলায় বাড়ি চলে যেত।) আবার মনে মনে হাসলাম। হায়রে। অপেক্ষাকৃত স্বাধীন মেয়েদের কী করূণ পেট্রিয়ার্কাল বর্ণনা। এই ব্যাপারগুলি কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হল, সে বিষয়টা এখানে অপ্রাসঙ্গিক।


ক-চাচার সাথে বারান্দার বসে আছি। লোকজন এসে বলল কিছুই পাওয়া যায়নি, তবে বড় রাস্থা থেকে ফোঁটা ফোঁটা রক্তের একটা ট্রেইল পাওয়া গেছে। গ্র্যান্ড-ফাদার ঘড়িতে চারটার সময়-সংকেত দিল। ক-চাচা বললেন ঘুমাতে যাও। এই প্রথম আমি কিছুটা ভয় পাচ্ছি – ঠিক কিসের জানিনা। বললাম, ‘ক-চাচা, শটগানটা ঘরে নিয়ে যাই’। ‘নিশ্চয়ই’। তারপর বললেন, ‘আমার ঘরে এসেও শোতে পার’। বলেই হয়ত মনে হল সদ্য যৌবনে পা দেয়া একটা ছেলে এতে আপমানিত হতে পারে। দ্রুতই তিনি যোগ করলেন, ‘গল্প করা যাবে’।

আমি নিজের ঘরে শোতে গেলাম। অস্বস্তি হচ্ছে, মনে হল এই রুমে অপর্থিব কিছুর অস্তিত্ব আছে। বার বার নিস্পলক চোখ জোড়ার কথা মনে হচ্ছে; কিসের চোখ ছিল? এলি অ্যালফামেক্সের শক্তিশালী ট্রিপল-বির গুলিতেও কিছু হল না কেন? আচ্ছা চৌকিদার দুর্গার কথা বলল কেন? কুসংস্কারে আচ্ছন্ন শ্রমিকরা স্বাভাবিক ভাবে এখানে বলার কথা ছিল ‘বনবিবি’। দুর্গা বনে আসবে কেন, দুই-চোখের দুর্গা? তারপরই হঠৎ করেই বুঝতে পারলাম দুর্গা বলে কোন দেবীকে নির্দেশ করা হয় নাই। তাহলে নিশ্চিতভাবেই বলত দুর্গামাই (দুর্গা-মা)। তাহলে দুর্গা কী বা কে?


ক-চাচার কথা-বার্তা, হাসি, আবেগের প্রকাশ সবকিছুই পরিমিত, নিয়ন্ত্রিত। সকাল, দুপুর কিংবা রাতের খাওয়ার সময় ঘড়ি ধরে। পরদিন সকালে নাস্তার টেবিলে গতরাতের ব্যাপারটার নিজের ব্যাখ্যা দিলেন তিনি। ‘পাশের ঝোপে হুটোপুটির শব্দটা ছিল শুকরের। তীর ছোড়ায় আহত হয়েছে কোন একটা শুকর। আহত শুকর ‘চার্জ’ করেছে। ‘চার্জ-রত’ শুকরের আঘাতে চৌকিদারের হাটুর এই অবস্থা। ভাগ্য ভাল একেবারে ভেঙ্গে টুকরা হয়ে যায়নি। আহত শুকরের ‘চার্জ’ বড় মারাত্মক। রক্তের ট্রেইলটা আহত শুকরের।

তিনি আরও ব্যাখ্যা করলেন, ‘তোমার ব্যাপারটাতেও অলৌকিক কিছু ছিল না। খুব সম্ভবত শেয়াল ছিল, কারণ শেয়াল বেশ উৎসুক প্রাণী। শুকরও হতে পারে। সেখানে উচুনিচু অনেক ঢিবি আছেত, তোমার চোখের উচ্চতায় চোখ জোড়া দেখা গেছে সেজন্যই। নিশ্চিত হওয়ার জন্য আজ যেতে পার। আর স্মুথবোর ব্যারেলের ট্রিপল-বিতে গুলি মিস হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। বিশেষ করে অন্ধকারে গুলি করার তোমার তেমন অভিজ্ঞতা নেই। আর গুলির পরও চোখ দেখাটা মনের ভুল। ম্যাজল ফ্ল্যাসের পর কয় সেকেন্ড তো অস্পষ্ট কিছু দেখার কথা না। এই সব নিয়ে উল্টোপাল্টা চিন্তা করার কোন কারণ নেই।

মৃদুস্বর, কিন্তু আত্মবিশ্বাসের ধৃষ্টতা তার কন্ঠে, ‘দেখ অনেক অপার্থিব ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ পাবে। জাস্ট ইগনোর দিজ। কিছুই ব্যাখ্যাতীত নয়। আমি ঈশ্বর কিংবা ভুত কিছুতেই বিশ্বাস করিনা। অর্ধ শতাব্দির বেশি সময় বনে-বাদারে কাটিয়েছি। বন এবং বন্যপ্রাণীর নিজস্ব ভাষা আছে, কিন্তু তারা খুবই প্রেডিক্টেবল, মানুষের মত আনপ্রেডিক্টেবল না। এখানে রহস্যের কোন স্থান নেই। রহস্য ব্যাপারটা আসলে সাবজেক্টিভ, নিজের মনেই এর উৎপত্তি’।


সেদিনই বৃদ্ধ বাবুর্চির কাছে দুর্গার কথা জানা গেল। গ্র্যাহাম ম্যাকেঞ্জির উত্তর ভারতীয় স্ত্রী ছিল, আত্মহত্যা করেছিল এই বাংলোতেই। স্কটিশ গ্র্যাহাম চল্লিশ এবং পঞ্চাশ দশকে এই বাগানের জেনারেল ম্যানেজার ছিল। পাশের টিলাতে ধ্বংসস্তুপে পরিনত হওয়া বাংলোতে থাকত বিপত্নিক সগোতো রাজদান, তিনিও বাংলোতে আগুনে পুড়ে মারা যান। সগোতো ছিল এই বাগান সহ বারোটা বাগানের মালিক একটা বিদেশী কোম্পানির চিফ অ্যাকাউন্টেন্ট। ঘটনাটার মধ্যে তেমন কোন বিশেষত্ব নেই। দুর্গা যেহেতু আত্মহত্যা করেছিল, দুর্গাকে নিয়ে পার্থিব অপার্থিব অনেক গল্প না থাকবার মধ্যেই বরঞ্চ অস্বাভাবিকতা আছে। সেই গল্পে গেলাম না, ক-চাচার প্রভাবে সেগুলির প্রতি আকর্ষণ অনুভব করিনি।

তবে সেই চোখ-জোড়া আমাকে কিছুটা আচ্ছন্ন করে রেখেছিল।

দুর্গার ব্যাপারে আমার আগ্রহ হয়ত সেখানেই শেষ হয়ে যেত যদি না সাগোতো রাজদানের ডায়েরিটা হাতে আসত।

(চলবে)


মন্তব্য

The Reader এর ছবি

বেশ ভৌতিক আবহ । চালিয়ে যান, পড়ছি হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি
মিলু এর ছবি

ইন্টারেস্টিং! চলুক।

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

চলুক

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

সাইফ জুয়েল এর ছবি

অনেক অ্যাডভেঞ্চার আছে মনে হচ্ছে। চলুক।

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

ছমছমে!!!! ভালো লেগেছে। চলুক শীঘ্রই পরের পর্ব দিয়েন.................. হাসি


_____________________
Give Her Freedom!

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

চলুক।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

এই ভোররাত্তিরে এইটা বলতে লগ-ইন করলাম যে, আপনি এত কম লিখেন কেন?!

চলুক

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

ছাইপাঁশ এর ছবি

ভালো লাগছে। পরের পর্বের অপেক্ষায়।

অপছন্দনীয় এর ছবি

বসলাম হাসি

মন_মাঝি এর ছবি

চলুক। চলুক চলুক চলুক

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

বস্‌, সাহিত্য নিয়ে আপনাকে কিছু বললে তো খালি পিছলান, তবু বলি। দয়া করে এটাকে একটা আস্ত উপন্যাস বানান। সেখানে "১" আর "৩"-এ বলা বিষয়গুলো বিস্তারিত বলুন - প্রয়োজনে রেফারেন্সগুলোও দিন। "৬"-এর গল্পটাকে আরো বিস্তারিত করুন।

এই রকম পটভূমিতে আপনার আরো একটা লেখা ছিলো, সেটাও উপন্যাস হবার দাবী রাখে। এই রকম পটভূমিতে আপনার ফার্স্টহ্যান্ড অভিজ্ঞতা অনেক, সুতরাং আপনাকেই লিখতে হবে। নয়তো এই বিষয়গুলো নিয়ে বাংলায় লেখা হাতড়াতে হবে - পাওয়া যাবে না।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

নৈষাদ এর ছবি

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। ‘৩’ পুরো অথেনটিক তথ্য, ‘১’ মূল তথ্য অথেনটিক, কিছু কল্পনা। একটা গল্পের প্লট দাঁড় করানোর জন্য ইতিহাসের তথ্য গুলি আনা হয়েছিল। দ্বিতীয় পর্ব লিখব।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

চলুক

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

নৈষাদ এর ছবি

মন্তব্যের জন্য সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।

নজমুল আলবাব এর ছবি

লিখতে থাকুন। শেষ করুন। তখন দেখা যাবে কি তৈরি হলো। পাঠক উপন্যাস বল্লে উপন্যাস, ইতিহাস বল্লে ইতিহাস, অখ্যান বল্লে অখ্যান।

তাই বলি, আগে শেষ করুন। এভাবে শুরু করে যদি শেষ না করেন, সেটা হবে বিরাট অন্যায়।

নৈষাদ এর ছবি

ঠিকাছে। ধন্যবাদ।

তানিম এহসান এর ছবি

চলুক অপেক্ষায় থাকলাম!

নৈষাদ এর ছবি

ধন্যবাদ।

ফাহিম হাসান এর ছবি

এই চমৎকার পোস্টটা চোখ এড়িয়ে গিয়েছিল।

চলুক...

নৈষাদ এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

অপেক্ষায় থাকলাম। আগেই পড়ছিলাম। আজকে কমেন্ট করলাম।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।