পিতৃতন্ত্র

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৫/০৮/২০১১ - ৯:৩৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগে পড়াশোনা করছি। সচলায়তনে আমার দ্বিতীয় লেখা এটা। ভাবলাম অল্পস্বল্প পড়াশোনা করে যা শিখতে পেরেছি তার কিছুটা share করি সবার সাথে।
‘পিতৃতন্ত্র’ কথাটা শুনলেই কল্পনায় আসে রাগিরাগি চেহারার এক গৃহকর্তা যে কিনা মেঘের মতো গুড়ুম গুড়ুম শব্দে শুধু হুকুম করে যাচ্ছে। বাড়ির সবাই তার ভয়ে রীতিমত প্রতি বেলাতেই যমদূত দ্যাখার EXPERIENCE অর্জন করে চলেছে। ঘটনা কাছাকাছি হলেও এর মধ্যে একটা সূক্ষ্ম ফাঁক রয়ে গেছে।
‘পিতৃতন্ত্র’ হচ্ছে একটি নিয়ম বা Social structure. এটি কোন একক বা গোষ্ঠীবদ্ধ বাক্তি নয়। এটি সমাজ তথা সমাজের সদস্য দ্বারা চর্চা করা একটি বহুল প্রচলিত রীতি। দেশ কাল ভেদাভেদে নিয়মটির প্রগারতাও বিভিন্ন। কিন্তু ‘পিতৃতন্ত্র’ এর একটি Common feature রয়েছে। তা হল ষ্টীমরোলারটা যাবে নারী জাতির ওপর দিয়ে। ভিক্ষুককে লাখ খানেক টাকা দিলে সে যেমন ভাববে যাক বাবা আর পায়ে হেঁটে ভিক্ষা করতে হবেনা এইবার একটা গাড়ি কিনে তাতে চড়েই ভিক্ষা করা যাবে। তেমনি সমতা, বিবেক, সহমর্মিতার make up দিয়ে পিতৃতন্ত্রকে আকর্ষণীয় এবং নারী সংবেদনশীল করতে চাইলেও মাতা জাতির সুখ দেখলে এর জ্বলন ধরে যায়।
Patriarchy বা পিতৃতন্ত্র কিন্তু যে কেউ তলোয়ার রূপে ব্যবহার করতে পারে, নারী পুরুষ সকলেই। কিন্তু আত্মরক্ষা ঢালটা নারীর হাতে গেলেই ক্যামন থিতু হয়ে যায়। কোন মেয়ে যদি মোটরসাইকেল চালায় সবাই আড়চোখে তাকিয়ে ভাবে ক্যামন ব্যাটাছেলের মতোরে বাবা! এর মা বাপের কি আক্কেল নাই মেয়েটাকে একটা ব্যাটা বানাচ্ছে, একে বিয়ে করবে কে! কারণ টা কি এর? ওই যে নিয়ম, সাইকেল চালাবে ছেলেরা মেয়েরা না। শাশুরির কড়া নির্দেশ বউ মা কেন চাকরি করবে তাতে বংশের মান কি আর থাকল? তিনি নিমেশে ভুলে যান আর কিছু টাকা থাকলে ছোট মেয়েটাকে স্নাতক পরানো যেত। তন্ত্রটি রোগ আর চর্চাকারী রোগী। তাই ভাঙ্গতে হবে তন্ত্র, রোগী তবে এমনিতেই সেরে উঠবে। অফিস পাড়ায় কাউকে বউয়ের কথা শুধালে বলে আমার বউ কিছু করে না, Housewife. আবার বউটিকে জিজ্ঞেস করলেও আলতো হেসে বলে আমি কিছু করিনা সংসার দেখতে দেখতে আর সময় কই। এটিই পিতৃতন্ত্র, যেখানে পুরুষের কাজের রয়েছে স্বীকৃতি আর নারীর কাজ হল সংস্কৃতি।
হিয়া তাহনী


মন্তব্য

নিটোল ( অতিথি) এর ছবি

পড়তে পড়তে যেন হঠাৎ শেষ হয়ে গেল। আরেকটু বড় করে লিখুন না।

রু (অতিথি) এর ছবি

আপনার বিষয় নিয়ে লেখা শুরু করেছেন দেখে ভালো লাগলো। লেখাটা আরেকটু বড় করতে পারেন কিনা দেখবেন, প্লিজ।

প্যারার মধ্যে আরেকটু জায়গা রাখলে মনে হয় পড়তে সুবিধা হয়। কিছু ইংরেজী শব্দ কিন্তু আপনি বাংলা অক্ষরেই লিখতে পারেন, যেমন এক্সপেরিয়েন্স, সোশ্যাল স্ট্রাকচার, বা কমন ফিচার। আপনার লেখার হাত ভালো, কিন্তু মাঝেমধ্যে মনে হয়েছে আরেকটু বিস্তারিতভাবে বললে হয়তো বুঝতে সুবিধা হতো। শাশুড়ীর যেই কথাটা বললেন যে কিছু টাকা থাকলে মেয়েটাকে স্নাতক পড়ানো যেত। এর থেকে কী বোঝা উচিত আমি ঠিক বুঝতে পারি নাই, আর্থিক স্বাবলম্বী হওয়াটা বউ-এর অধিকার, নাকি বউটাকে কাজ করতে দেওয়া উচিত যেন মেয়েকে পড়ানো যায়?

আপনার শেষ লাইনটা বা পাঞ্চ লাইনটা ভালো লেগেছে, কিন্তু পুরো লেখাটা পড়ার সময় এই বোধটা আমার মধ্যে কাজ করেনি। হয়তো লেখাটা রিওর্গানাইজ করলে বুঝতে সুবিধা হতো। অনেক কথা বলে ফেললাম, কিন্তু সার কথা ঐ একটাই, লিখতে থাকুন।

রণদীপম বসু এর ছবি

ধন্যবাদ।
পোস্ট কিন্তু তা বলছে না যে আপনি আপনার অধীত বিষয়ে কিছু শেয়ার করেছেন ! বরং আপনি আপনার জীবনের চলমান অভিজ্ঞতাগুলোর কিয়দংশ হয়তো এখানে বললেন।

আপনি চাইলে আপনার একাডেমিক বিষয় থেকেও যেকোন কিছু এখানে শেয়ার করতে পারেন। আমরা যারা এই বিষয়টার একাডেমিক ফিলসফিটা জানি না, তাদের জন্যে অন্তত নতুন একটা প্রাপ্তি হবে। এ অনুরোধ কি রাখা যায় ?

আর এ বিষয়গুলো আপনার কোন কাজে লাগে কিনা চেখে দেখতে পারেন।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

হিয়া তাহ্নী এর ছবি

আপনাকে ধন্যবাদ। আসলে আমাদের এই বিষয়টার খুব অল্প অংশই পুঁথিগত বা একাডেমীক। আমাদেরকে এই বিষয়গুলো নিজ অভিজ্ঞতার আলোকে বুঝতেই উৎসাহিত করা হয়। এবং আমাদের পড়াশোনার ধরণও খুবি সৃজনশীল। তারপরেও অনেক THEORETICAL OR PHILOSOPHICAL MATERIAL থেকে যায় যেটার কথা আপনি বললেন। আমি অবশ্যই এবং অতি অবশ্যই সেগুলো SHARE করবো। অনেক ধন্যবাদ। হাসি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

১.
লেখাটা যদি বাংলায় লিখতে চান তাহলে বাংলাতেই লিখুন। না বাংলা না ইংরেজি লেখা পড়তে কষ্ট হয়

২.
রণদাই বলে ফেলছেন, আমারও সেটাই মনে হলো। আপনি যে এই বিষয়টা নিয়ে পড়ছেন তা আপনার লেখা পড়ে মনে হলো না

৩.
লেখা চলুক

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

হিয়া তাহ্নী এর ছবি

১। আপনার কষ্ট লাঘব করা আমার কর্তব্য। খেয়াল থাকবে, আমি নতুন তো এখানে তাই একটু সমস্যা হচ্ছে।
২। আমার কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয়পত্র আছে। দেঁতো হাসি
৩। ইনশাল্লাহ (বাংলা- আল্লাহ্‌ যদি চান)

রণদীপম বসু এর ছবি

সব্বোনাশ ! আপনি তো নজু ভাই'র মন্তব্যের ভুল ম্যাসেজ নিয়েছেন !! হা হা হা ! বিশেষ করে দুই নম্বর পয়েন্ট।

তিনি তো আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া বা সাবজেক্ট নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেন নি ! তিনি আসলে বলতে চেয়েছেন যে আপনার পোস্টে আপনার অধীত বিষয়ের সাবজেক্ট-স্পেশাল কী-পয়েন্টগুলা আসে নি, আগের মন্তব্যে আমি যা বুঝাতে চেয়েছিলাম ঠিক তাই তিনি বলেছেন।

পরিচয়পত্র আছে বলে তো আপনি আমাদেরকে ভীষণ লজ্জায় ফেলে দিলেন ! অন্তত সচলায়তনে সচলদেরকে আপনি নিশ্চিন্তে বন্ধু ভাবতে পারেন। আর কারো মন্তব্য বুঝতে অসুবিধা মনে করলে বা হাইপোথিটিক মনে হলে নির্দ্বিধায় প্রশ্ন করবেন। এখানে কেউ কিছু মনে করবে না। একেবারে খোলামন নিয়ে লিখবেন এবং বলবেন। আমরা এতেই অভ্যস্ত।

অনেক ধন্যবাদ। লেখালেখি চলুক। ভালো থাকবেন।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

হিয়া তাহ্নী এর ছবি

আমি আসলে মজাই করছিলাম। খুব ভালো লেগেছে নাজমুল ভাইয়া সরাসরি পয়েন্ট আউট করে আমাকে লিখেছেন। তার সাজেশান শিরোধার্য।

রু (অতিথি) এর ছবি

নজরুল ভাই। নজু ভাইও ডাকতে পারেন। নজরুল, নাজমুল দুইটাই কাভার হয়ে যাবে।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

নাজমুল!!!
এইটা কে? কার কথা কন!

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

হিয়া তাহ্নী এর ছবি

লইজ্জা লাগে

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

চলুক


_____________________
Give Her Freedom!

নৈষাদ এর ছবি

লেখা চলুক, আরও বিশ্লেষণ আসুক আগামীতে।

হিয়া তাহ্নী এর ছবি

নিটোল ভাইয়া---- জি অবশ্যই। আমারও অনেক কিছু বলার আছে। এর পর থেকে আরও বড় লিখব। পড়বেন।
রু ভাইয়া--- অনেক ধন্যবাদ। আমি সবগুলো বিষয় খেয়াল রাখবো। শাশুড়ির ব্যাপারটা আসলেই পরিষ্কার করতে পারিনি। আসলে আমি এখানে স্বাবলম্বী হওয়ার প্রয়োজনীয়তাটা বোঝাতে চেয়েছি, তা যেমন নারীর অধিকার তেমনি প্রয়োজন। পাঞ্চ লাইনটা আমারও ভালো লেগেছে পরবর্তী পরীক্ষার খাতায় লিখবো...... হো হো হো অনেক ধন্যবাদ

হিয়া তাহ্নী এর ছবি

অবশ্যই নৈষাদ ভাইয়া...

রুমঝুমা এর ছবি

হিয়া, আমি আপনার ব্যাপারটা পুরোপুরি বুঝতে পেরেছি। আমিও নতুন লিখছি বাংলায়। তাই বেশীর ভাগ শব্দই টাইপ করতে বেগ পেতে হয়। কিন্তু চালিয়ে যান।

নিজের পড়ার বিষয়ের প্রতি আপনার ভালবাসা আমার খুব ভাল লেগেছে। ভাল থাকবেন।

হিয়া তাহ্নী এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ

সাইফ জুয়েল এর ছবি

হিয়া, আমি নজরুল ভাই আর রনদীপমদার সাথে একমত। এ বিষয়টির তাত্ত্বীক দিক নিয়ে আরো অনেক আলোচনার প্রয়াস আছে। আপনি কেবল পিতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার কিছু সাধারন খন্ড চিত্র তুলে ধরেছেন কিন্তু এ চিত্রগুলো বিভিন্ন স্কুল অব থট থেকে চিন্তা করা যায়। আপনার আলোচনায় বুঝতে পারলাম না কোন তাত্ত্বীক ধারা থেকে নারীর অধস্তনতাকে দেখেছেন। অন্তত লেখাটা জেন্ডার স্টডিজ এর ছাত্রের মত না। আমি আপনার লেখায় আরো গভীর আলোচনা আশা করেছিলাম। যা যা বললেন তা বলতে উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজের ছাত্র হবার দরকার নাই। এগুলো প্রায় সবাই জানে। লেখাটির দূর্বলতা নিচে আলোচনা করলাম।

১. আপনি পিতৃতন্ত্রকে একটা নিয়ম বলেছেন। কিন্তু পিতৃতন্ত্র হলো একটা ব্যবস্থা বা সিষ্টেম। আরো বলেছেন সোস্যাল স্ট্রাকচার। এক্ষেত্রে সামাজিক বিজ্ঞানের বা বিজ্ঞানের প্রত্যয় ও প্রপঞ্জগুলো সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা থাকতে হবে।

২. পিতৃতন্ত্রের স্বরুপ উদঘাটন করতে হলে পিতৃতন্ত্রের উৎপত্তির ইতিহাস আলোচনা অনিবার্য। এঙ্গেলস এর দি অরিজিন অব ফেমিলি, প্রপাটি এন্ড দি স্টেট বইতে সমাজ বিবর্তনের ধারায় কিভাবে পিতৃতন্ত্রের উৎপত্তি সে সুত্রটি দিয়েছেন। তিনি দেখিয়েছেন যে কিভাবে মানুষের মধ্যে সম্পদের ধারনা তৈরী হলো এবং কালক্রমে কিভাব নারীর ঐতিহাসিক পরাজয় হয়েছিল। নারীর বর্তমান অধন্তনতা হাজার হাজার বছরের একটা প্রচলিত ব্যবস্থার ফলাফল। এর কার্যকারন সম্পর্কগুলো লেখায় আসা উচিত ছিল।

৩. আপনি মেয়ে শিশুর সামাজিরককরন প্রকৃয়া না দেখিয়েই পিতৃতন্ত্রের স্বরুপ দেখাতে চেষ্টা করেছেন। এধরনের লেখায় সামাজিকিকরন আলোচনা না করলে পাঠকের পক্ষে পিতৃতন্ত্রের স্বরুপ উদঘাটন দূরহ।

৪. আপনি সান প্রেফারেন্স বা ছেলে শিশুর প্রতি পক্ষপাতিত্বের স্বরুপ দেখাতে পারেন নি আপনার লেখায়।

৫. আপনি নারীকে বলেছেন সংস্কৃতির অংশ। এটা ভূল তথ্য। পিতৃতন্ত্র নারীকে মরন করে প্রকৃতির অংশ আর পুরুষকে মনে করে সংস্কৃতির অংশ। এটা পরিবেশ নারীবাদীরা বলেন। পরিবেশ নারীবাদ হলো নারীবাদের একটা অন্যতম ধারা। আপনি আপনার সেমিনার লাইব্রেরী থেকে রোজমেরী টংয়ের ফেমিনিষ্ট থট বইটা পড়ে নেবেন।

৬. নারী কিভাবে পুরুষতন্ত্রের নির্ভরশীলতার জালে আটকা পড়ে তাও আপনার লেখায় অনুপস্থিত।

৭. পিতৃতন্ত্র কিভাবে নারীকে আদার বা মানুষ থেকে ভিন্ন হিসেবে দেখে তা বলেননি। আদারনেস ক্রাইসিসগুলো দেখানো উচিত ছিল।

আর একটা কথা পিতৃতন্ত্র এমন একটা ব্যবন্থা যার চর্চাগুলো আমাদের প্রতিটি আচরনেই ব্যক্ত হয় প্রতিনিয়ত নারী পুরুষ নির্বিশেষে। নারীরাও তাদের প্রথাগত সামাজিকিকরনের ফলে এমন চিন্তা ও চর্চা করে যা মূলত পিতৃতন্ত্রেরই চর্চা। তাই পুরুষের আচরনকে আক্রমন করে নয় বরং পিতৃতন্ত্রের বিলুপ্তিতে পুরুষের অংশগ্রহন নিশ্চত করার মধ্য দিয়েই কেবল নারী মুক্তি সম্ভব। পুরুষকে মানুষ হিসেবে সয়বেদনশীল করে তুলতে পারলেই পিতৃতান্ত্রীক সমাজ নারী মানুষ হিসেবে দেখার প্রবনতা লাভ করবে। এর এভাবেই একমাত্র পিতৃতন্ত্রের বিলোপ সম্ভব।

আশা করি পরবর্তিতে এ বিষয়ে আরো গভীর আলোচনা পাব আপনার কাছ থেকে। ভাল থাকবেন।

হিয়া তাহ্নী এর ছবি

সাইফ ভাইয়া------ আমি দুঃখিত আমার লিখায় আরও গভীরতা থাকা উচিত ছিল। আসলে সচলায়াতনে যুক্ত হওয়ার আমার প্রধান উদ্দেশ্যই ছিল জেন্দার,নারি, পুরুষ, সমাজ নিয়ে আমি কি চিন্তা করছি তা তুলে ধরা। তাই এই বিষয়টা নিয়ে আমি অবশ্যই আরও লিখব। সেজন্যই প্রথমেই আমি থিওরেটিকাল ব্যাপারগুলো নিয়ে আসিনি। আমি সত্যি দুঃখিত। তাই আমি কিছু কথা বলতে চাই...।।
১। পিত্রিতন্ত্র হল সমাজের তৈরি করা একটা মডেলের মত। এই মডেলে একজন বা একদল সিদ্ধান্ত নেয় ও অন্যদল সেই সিদ্ধান্ত মেনে নেয়। সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী হতে পারে পুরুষ কিংবা নারী। পিত্রিতন্ত্রের একটি সাধারণ ও সর্বজনীন ফলাফল হল নারীর অধস্তনতা। নারী যদি সিদ্ধান্ত গ্রহন করেও সেখানেও তাকে বৈষমের শিকার হতে হয়। যেমন কোন প্রতিষ্ঠানের মালিক যদি নারী পুরুষ যুগ্ম ভাবে হয় এবং উভয়েরই সিদ্ধান্ত নেয়ার সমঅধিকার থাকে তারপরও পুরুষটি তার মন্তব্য চাপিয়ে দেয় নারীর ওপর। কারণ সমাজ তাকে তাই শেখায়। নারীটিও শেষমেশ মেনে নেয়, অনেকটা সাবকনশাস্লি। কারণ দুজনই দেখে এসেছে এটি, জেনে এসেছে পুরুষ বেশি জ্ঞানী বেশি যোগ্য। তাদের দুজনেরি সাবঅরডিনেট হয়তবা অনেক পুরুষ ও মহিলা। আপাত দৃষ্টিতে দেখে মনে হচ্ছে মহিলা বস
এর সিদ্ধান্তে পুরুষ কর্মচারী কাজ করছে। তাতে এখানে মহিলা বেশ ক্ষমতাবান। কিন্তু আমাদের দেখতে হবে মহিলা তার লেভেলের সহকর্মী দ্বারা ঠিকই ডিসক্রিমিনেটেড হচ্ছে। এটি পিত্রিতন্ত্র।

২। যদি ইতিহাসের দিকটায় আসেন তাহলে নারীদের প্রাচীন যুগে ছিল সর্বাধিক মর্যাদা। সন্তান জন্মদানের ক্ষমতার জন্য তাকে দেয়া হত ঈশ্বরের মর্যাদা। ধারণা করা হত পূর্বপুরুষেরা পুনর্জন্মের জন্য বেঁছে নিয়েছে নারীর শরীর। তাদেরকে তাই পবিত্র আর ক্ষমতাবান ভাবা হত।
এই যুগে গর্ভবতী হলে প্রথম কয়েক মাস মেয়েদের খুব আদর। কিন্তু কয়েক মাস পর যখন সে অসুস্থ হয়ে চুলায় হাঁড়ি বসাতে পারে না শুরু হয় অত্যাচার। ফলাফল মাতৃমৃত্যু আর শিশুমৃত্যু।
ঠিক তেমনি প্রাচীন কালে পুরুষ যখন বুঝল নারীর সন্তান জন্মদান নারীকে সাময়িক অসুস্থ রাখে বিরত রাখে স্বাভাবিক উৎপাদন ক্ষমতা থেকে ব্যাস নিজেরা জায়গা করে নিল সবখানে। উৎপাদনেও আবার বণ্টনেও। আর নারীর কাজ হল জন্মদান আর সন্তান পালন। তারপর ধিরে ধিরে পুরুষ সম্পত্তিও হাতিয়ে নিল। ভূমিতেও থাকলো না নারীর অধিকার। second sex বইটিতে বিস্তারিত আছে।

৩। আর সামাজিকীকরণ যদি বলেন তবে সেটাই কাল হয়ে দাঁড়ায়। শুরু থেকেই মেয়ে শিশু বোঝে তার কিছু একটা নাই জার জন্য তার ভাইটা বেশি আদর পাচ্ছে। ছেলে শিশুও বোঝে তার জেনিটালএর জন্যই তার আদরটা একটু বেশি। শুরু হয় জেন্ডার বিষমতা। ছেলের পড়াশোনায় জোর দেয়া হয় বেশি আর মেয়ের ক্ষেত্রে জোর দেয়া হয় কি করে গায়ের রঙটা আরও উজ্জ্বল করা যায়।

৪। বুড়ো হলে ছেলে খাওয়াবে এই কথা মাথায় রেখে মেয়েটাকে খুব হালাফালায় বড় করা হয়। মরে গেলে সম্পত্তিটা মানুষ লুটে খাবে সেই ভয়েও একটা ছেলের দরকার। তাই চলছে female infanticide সারা বিশ্বব্যাপী।

৫। আমি আসলে বলতে চেয়েছিলাম নারীর কাজের ও শ্রমের যে অবমূল্যায়ন তা কালচার হয়ে দাঁড়িয়েছে। নারীকে তুলনা করা হয় প্রকৃতির সাথে। অনেক নারীবাদী বলেছেন, মানুষ প্রকৃতি ব্যবহার করে। প্রকৃতি নির্বাক হয়ে মানুষের চাহিদাও মেটায় এর অপব্যাবহারও ঘটে। নারীও প্রকৃতির মত। পুরুষ তাকে ব্যবহার করে। নারী নির্বাক ও অধস্তন হয়ে থেকে যায়। এই ধারনাকে ecofeminism বলে।

আরও অনেক বিষয় আছে আলোচনার। যা শেষ হবার নয়। কত দ্বিমত, কত সংঘর্ষ তার ইয়ত্তা নাই। সামনে আরও লিখব... ধন্যবাদ।

সাইফ জুয়েল এর ছবি

দুঃখিত হবার দরকার নাই। আপনি লেখা শুরু করেছেন একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূন্য কিছু বিষয় নিয়ে। এগুলো সামাজিক ও ফিলোসফিক্যাল বিষয়। নতুন লিখছেন। কমেন্টগুলো আপনার কাজে লাগবে। যতবেশী লিখবেন তত প্রঞ্জল ও তথ্যপূন্য হবে লেখা। লিখতে লিখতেই তো লেখিয়ে। লেখা চলতে থাকুক। ও আর একটা কথা, আপনি উইমেন এস্ড জেন্ডার স্টাডিজের কোন সেমিষ্টারের স্টুডেন্ট?

হিয়া তাহ্নী এর ছবি

ষষ্ঠ

কৌস্তুভ এর ছবি

রণদা ঠিকই বলেছেন, আপনার লেখা এই কথাগুলো তো যে-কেউই বলতে পারে... আপনার পড়াশোনার মধ্যে দিয়ে নতুন আরো যা তথ্য, তত্ত্ব, বিশ্লেষণ পাচ্ছেন সেগুলো জানাবেন, তবেই না!

আরেকটু বড় করে, গুছিয়ে, প্রবন্ধধর্মী লেখা লিখবেন, পড়তে ভালো লাগবে।

শাওন  এর ছবি

পিতৃতন্ত্র ভাংতে চাইলে আল্লাখোদাভগবানে বিশ্বাস রাখলে চলবে না।ধর্মগুলা পিতৃতন্ত্র টিকিয়ে রাখে।চলুক লেখা।

কৌস্তুভ এর ছবি

হাহাহা... আপনি এই কথা বললেন, দেখেন কত লোকে এবার আপনার মুণ্ডু নিয়ে গেন্ডুয়া খেলতে চাইবে... চোখ টিপি

অপছন্দনীয় এর ছবি

এই খেয়েছে! কেন আপনি জানেন না? ধর্মগুলো খালি ভালো ভালো কথাই বলে, কেউ যদি ধর্মের নামে খারাপ কিছু করে সেটা "অপব্যাখ্যা"... "ঐশী বাণী" খারাপ হতেই পারে না!

হিয়া তাহ্নী এর ছবি

আমি আবার চরমভাবে আস্তিক। আল্কহলিকের মত ইসলাম-হোলিক। এই বিষয়ে আমার নিজস্ব মতামত আছে, যুক্তি আছে। এটা বিশ্বাসের ব্যাপার এবং এই বিষয়ে যথাযথ বলার মত মেধা আমার নাই। তাই নিজের কথা নিজের মধ্যেই রাখলাম।

দিগন্ত বাহার * এর ছবি

'মন না রাঙায়ে কাপড় রাঙালে যোগী'!
আপনার পিতৃতন্ত্রের বিরুদ্ধে ধ্বজাধারী প্রয়াস একটা নির্দিষ্ট গন্ডী পর্যন্ত গিয়ে আটকে যাবে, তাই আর সবার মতো বলতে পারলাম না 'চলুক'। দুঃখিত। মন খারাপ

হিয়া তাহ্নী এর ছবি

ডিস্কারেজ করার জন্য ধন্যবাদ

দিগন্ত বাহার * এর ছবি

যেকোন প্রকারের লেখালেখির চেষ্টা একটি প্রসংশনীয় কর্ম। এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ শুভকামনা জানালাম।
তবে ইসলামাস্তিকের পিতৃতন্ত্রের বিরুদ্ধে কলম ধরা দুই মহাকাশযানে পা রেখে যাত্রা করার মতো! ঠিক এই পয়েন্টে নিরুৎসাহিত না করে উপায় পেলাম না! মন খারাপ

শাওন  এর ছবি

@কৌস্তব- ডরাইছি মন খারাপ
@অপছন্দনীয়-ঠিক বলেছেন,নির্মোহ হয়ে "পবিত্রগ্রন্হগুলি" পড়লেই কিন্তু সত্যিটা জানতে পারতেন উনারা।
@হিয়া তাহ্নী- পিতৃতন্ত্রের বিরুদ্ধেও লিখবেন আবার ইসলামও পালন করবেন..।বেশ মজা তো।দুটো স্পরস্পরবিরোধী অবস্হান।ইসলামে নারীর স্বাধীনতা কদ্দুর দেয়া হয়েছে পড়ে দেখুন।

হিয়া তাহ্নী এর ছবি

আমরা কেউই সব কিছু জানিনা। একসময় সবাই জানত পৃথিবী সমতল এখন সবাই জানে পৃথিবী গোল। আমি ধর্মে বিশ্বাসী (ইসলাম)। তাই আমার বিশ্বাস সব সমস্যার সমাধান এখানে আছে। আমি তর্কে যাব না, কারণ প্রমাণ না করা যত সোজা প্রমাণ করা তত কঠিন আমি আগেই বলেছি আমার জ্ঞান যথেষ্ট নেই এই বিষয়ে। আমার এক ছোট ভাই বলেছিল বিশ্বাস টা আগে জরুরী, আপনাকে কিন্তু বিশ্বাস করতে হবে যাকে 'মা' ডাকেন আসলেই আপনি তার গর্ভজাত সন্তান কারণ জন্মের সময় আপনার বোঝার ক্ষমতা ছিল না যে আপনি আসলেন কোত্থেকে। যাই হোক আমি আপনাকে কোন জ্ঞান দিতে চাচ্ছিনা এবং এটা নিয়ে তর্কেও যেতে চাই না।

অপছন্দনীয় এর ছবি

ডুপ্লিকেট

অপছন্দনীয় এর ছবি

বিশ্বাসটা করার আগে খানিকটা জ্ঞান অর্জন করে নিলে নিজের এবং অন্য সবার উপকার হতো মনে হয়। জ্ঞান বাদ দিয়ে বিশ্বাস করে পৃথিবীতে অনেক খুনোখুনি আর অত্যাচার হয়েছে আজ পর্যন্ত। সব কিছু জানেন না, অথচ ঠিক জানেন ধর্ম খারাপ কিছু বলতেই পারে না - এটা জানার সময় জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা কোন সমস্যা করে না, আসলেই অদ্ভুত!!!

আমার নিজের সংজ্ঞায় মা আর জন্মদাত্রী আলাদা শব্দ, ঠিক যেমন বাবা আর জন্মদাতা আলাদা শব্দ তেমনি। সেক্ষেত্রে আমার মা যে আমার মা সেটা জানার জন্য আমার তিনি গর্ভধারিণী কিনা জানার কোন প্রয়োজন নেই, জানা প্রয়োজন তিনি ছোটবেলা থেকে মায়ের কাছ থেকে আমার যা প্রয়োজন সেগুলো মিটিয়েছেন কিনা। এবং অনেক বছরের স্মৃতি যেহেতু আছেই কাজেই সেটা বোঝা আমার জন্য কঠিন কিছু না। জন্মদাত্রী যদি জন্ম দিয়ে ফেলে চলে যান, আর অন্য কেউ পেলে - পুষে বড় করেন তাহলেও যাঁরা গর্ভধারিণীকেই মা ডাকবে তাদের প্রতি করুণার বোধ দেখানোরও ইচ্ছে নেই।

আমার একটা বেড়াল ছিলো। মাত্র চোখ ফোটার পরেই তাকে কোন এক অমানুষ তার মায়ের কাছ থেকে আলাদা করে ফেলেছিলো। দুধ চেটে খেতে পারতো না বলে আঙুল দুধে ডুবিয়ে মুখের সামনে ধরে খাওয়াতাম। বড় হওয়ার পর এই বেড়ালের একটা অদ্ভুত স্বভাব দেখা গেলো - আমার পালটে রাখা না ধোয়া কোন পোশাক, যেটাতে আমার গায়ের গন্ধ লেগে আছে, সেটা পেলে সে তার একটা কোনা পাকিয়ে মুখের মধ্যে নিয়ে চুষতো এবং সাথে দুই পা দিয়ে kneading আর ঘড়ঘড় করতো - বেড়ালছানা মায়ের দুধ খাওয়ার সময় যেমন করে ঠিক তেমনি। এভাবে চুষতে চুষতেই এক সময় ওই কোনাটা মুখের মধ্যে রেখে ঘুমিয়ে পড়তো, মৃত্যু পর্যন্ত তার সেই স্বভাবটা ছিলো। আচরণে মনে হয় সে আমাকেই নিজের মা মনে করতো কারণ নিজের মায়ের কাছে তার যে প্রত্যাশা - নিরাপত্তা, খাদ্য এবং উষ্ণতা, সেটা সে তার স্মৃতির শুরু থেকেই আমার কাছ থেকে পেয়ে এসেছে। অথচ বায়োলজিক্যাল রুল হিসেবে বেড়ালছানার তো দূরের কথা, কারো জন্মদাত্রী হওয়াই আমার পক্ষে সম্ভব না।

হিয়া তাহ্নী এর ছবি

আপনার মতামত আমার ওপর চাপিয়ে ক্যান দিচ্ছেন বুঝলাম না। আমি আপনার সাথে তরক করার বয়স এবং একাডেমিক ধারণা কোনটাই অর্জন করিনাইনি। এটা স্বীকার করে নেয়াটাই কি আমার ভুল? যদি করতাম তবে আমার লিখার বিষয় হত 'ইসলাম ও নারী অধিকার'। পড়াশোনা তো করবই আরও জানবোই। নিশ্চয়ই পুঁথিগত বিদ্যার বাইরেও কিছু মতামত আমার থাকবে। আমিত আপনাকে বলিনি আমার কথা বিশ্বাস করতে, আমি যা ভাবি বা ভাবতে চাই তাই লিখলাম। এইটুকুই।

মুসলিম নারীবাদীরা গবেষণা করে দেখেছেন কোরআনে নারী পুরুষের সম্পত্তির সমঅধিকারের কথা বলা হয়েছে। সেখানে নারী কে পর্দা করে নিজেকে গুটিয়ে রাখতে বলা হয়নি বলা হয়েছে সে সব নারই পর্দায় থাকে যাদের বাইরে বের হওয়ার যোগ্যতা নেই। এগুলো নিয়ে বিস্তর গবেষণা চলছে। আমি এসব জানতাম না। এখন পরছি জানছি। উৎসাহী হচছি যখন দেখছি আমার বিশ্বাস যুক্তির সাথে মিলে যাচ্ছে। স্বামীর চরিত্র সার্টিফাই করার অধিকার দেয়া হয়েছে স্ত্রি কে। যদি স্ত্রি স্বামী কে সৎ বলে ঘোষণা দেন তবেই স্বামী হবে চরিত্রবান। আমি ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করে আছি অন্যান্য DILEMMA গুলাও হয়তো একদিন পরিষ্কার হবে।

দিগন্ত বাহার * এর ছবি

মুসলিম নারীবাদীরা গবেষণা করে দেখেছেন কোরআনে নারী পুরুষের সম্পত্তির সমঅধিকারের কথা বলা হয়েছে

এত গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ তথ্যটা রেফারেন্সবিহীন দিলে তৃতীয় শ্রেণীর ওয়াজবিদদের বক্তৃতার মতোই শোনায়,

নিল আর্মস্ট্রং চাঁদ থেকে ঘুরে এসে মুসলমান হয়ে গেছেন

অপছন্দনীয় এর ছবি

যেহেতু বলছেন আমি আপনার উপরে আমার ধারণা চাপিয়ে দিচ্ছি - আমার মনে হয় নিজের অবস্থানটা পরিষ্কার করে নেয়া উচিত।

"সাধারণভাবে" আপনার বিশ্বাসে আমার কিছু যায় আসে না। আপনার ব্যক্তিগত ধারণা এবং মন্তব্যেও "সাধারণভাবে" আমার কিছু বলার নেই।

কেউ যদি আমার মা/বোন/বান্ধবী/প্রেমিকা/স্ত্রী/কন্যা সম্পর্কে কোন অশ্লীল/কুরুচিকর/অবমাননাকর কথা ব্যক্তিগতভাবেও বলে অথবা ব্যক্তিগত ধারণা হিসেবে অন্য কারো ওই বলা কথাকে সমর্থন করে, তাহলে আমি তৎক্ষণাৎ রিঅ্যাক্ট করবোই। করবো কারণ আমি কাপুরুষ নই এবং এই ক্ষেত্রে কথাটা কে বলেছে তাতে কিছু যায় আসে না - সে মহা পরাক্রমশালী হতে পারে, প্রেরিত'পুরুষ' হতে পারে (সম অধিকারের ইসলামে বর্ণিত এতজন প্রেরিতমানবের মধ্যে একজনও নারী নন কেন সেটা নিয়ে অবশ্য "মুসলিম ফেমিনিস্টরা" নীরব), এমনি ঈশ্বর স্বয়ং ও হতে পারেন, তার ফলে আমার প্রতিক্রিয়া পাল্টাবে না।

কোন ধর্মগ্রন্থ যখন তাঁদের সম্পর্কে বারবার এই অবমাননাগুলো করে, তখন সেই ধর্মগ্রন্থের "সবকিছু" সঠিক বলে দাবী করাটাও এই অবমাননাগুলোকে সঠিক দাবী করা হয়ে যায়। কেউ যদি বিশেষ ওই জায়গাগুলো বাদ দিয়ে ধর্মগ্রন্থের বাকি ব্যাপার সমর্থন করেন, তাঁর ক্ষেত্রে আমার কিছু বলার নেই। কিন্তু যখন কেউ ঐ ব্যাপারগুলো সহ ধর্মগ্রন্থকে সমর্থন দেবেন, তখন তিনি আমার রিঅ্যাকশনের পাল্লায় চলে আসেন। সেই কারণেই আপনার "ব্যক্তিগত ধারণা" আমার কাছে ডিস্টার্বিং। নিজের ব্যক্তিগত ধারণা নিয়ে থাকার অধিকার আপনার আছে, কিন্তু সেটা করতে গিয়ে আমার মাকে অপমান করার অধিকার আপনার নেই।

মুসলিম ফেমিনিজম কী জিনিস জানা আছে আমার - এবং এ ব্যাপারে খানিকটা পড়াশোনাও করেছি মনে হয়। মুসলিম ফেমিনিজম স্টাইলে যদি দাবী করেন "স্বামী স্ত্রীকে পেটাতে পারে, আর উত্তরে স্ত্রী স্বামীর চরিত্রের সার্ফিটিকেট দিতে পারে - অতএব, ইহা সম অধিকার" তাহলে ঐ একই স্টাইলে অনেক কিছুই বলা যায়, সেগুলোর সব হয়তো আপনার প্রিয় ধর্মের প্রতি সম্মানবোধের পরিচয় হবে না।

আপনার নিচের একটা মন্তব্যের উত্তর এখানে দিচ্ছিঃ

আমি সর্বজ্ঞানী নই। তবে সাধারণত কোন ব্যাপারকে সঠিক বা ভুল বলে গ্রহণ করতে হলে সেই ব্যাপার সম্পর্কে যেটুকু জেনে নিতে হয় সেটা আমি জেনে নেয়ারই চেষ্টা করি। এবং সেই কারণেই কোন অবস্থান নিলে প্রয়োজনে সেই অবস্থানকে ডিফেন্ড করার সাধ্যটুকুও আমার থাকে। এই কারণেই আমাকে কখনো "আমার জ্ঞান সীমিত তাই যুক্তি দেখাতে পারবো না - কিন্তু আমি জানি এটা সঠিক" ধরনের কোন কথা বলতে দেখবেন না।

সম্ভবত আপনার পোস্টে এটাই আমার শেষ মন্তব্য। ভালো থাকুন হাসি

হিয়া তাহ্নী এর ছবি

যেহেতু আপনার শেষ মন্তব্য তাই বলছি আপনিও ভালো থাকুন।

শাওন  এর ছবি

উপরের
লিংকে গিয়ে women rights সেকশনটা পড়েন।বাংলা কোরানের সাথে মিলিয়ে দেখুন [url=http://www.ourholyquran.com/ ]এখানে[/url],

এখানে

আপনি ধর্মপালন করতে চাইলে কোনো সমস্যা নাই।গুডলাক।তবে ধর্মপালন করে নারীর সমান অধিকারের জন্য পাবলিক স্পেসে লড়াই করলে আমি বির্তক করার অধিকার রাখি। লেখা চালিয়ে যান,দয়া করে একটু পড়াশুনা করে লিখলে সবার উপকার হয়।ভালো থাকবেন।

অপছন্দনীয় এর ছবি

@শাওন বিশ্বাসের পেছনে যদি কারণ থাকে তাহলে আপত্তি করার কিছু দেখছি না আমি। কিন্তু বিশ্বাসটা যদি অন্ধবিশ্বাস হয় তখনই পরিষ্কার জিনিসগুলোকে গ্রহণ করে একই জায়গা থেকে নোংরা জিনিসগুলোর দায় অনুবাদের নয় পারিপার্শিকতার ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া হয়, আপত্তিটা সেখানেই।

অপছন্দনীয় এর ছবি

আস্তিক হওয়াটা খারাপ কিছু নয়। ইসলামের অধিকাংশ ব্যাপার মেনে নিলেও কোন সমস্যা হয় না।

তবে আপনি যদি একই সঙ্গে

"ইসলামের সবকিছু সেরা / সঠিক" এবং
"পিতৃতন্ত্র ভেঙে ফেলো" + "নারীর ক্ষেত্রে মানবাধিকার নিশ্চিত কর"

এই দুই ধারণারই সমর্থক হয়ে থাকেন - তাহলে ভবিষ্যতের কোন এক পোস্টে আমি আপনার যুক্তিগুলো দেখতে পাবো বলে আশা করবো। (উদ্দেশ্য আমার নিজের যদি কোন ভুল ধারণা থেকে থাকে সেটা দূর করা)

হাসি

হিয়া তাহনী এর ছবি

আমার মতে ইসলামের সব কিছুই পরিপূর্ণ ও কৌশলী এবং সেখানে নারীর অধিকার ও ক্ষমতায়নের ব্যাপারে বলা আছে। বোঝার অভাব এবং বিকৃত অনুবাদ একটা সংকট তৈরি করেছে। এর যেমন কিছু প্রমাণ আছে তেমনি কিছু কিছু ব্যাপার আমি বিশ্বাস করি। আমার জ্ঞান খুবই সীমিত। যদি কখনো আমার বিশ্বাস আপনাদের সামনে যুক্তিযুক্ত ভাবে তুলে ধরতে পারি তো লিখব।

অপছন্দনীয় এর ছবি

একটা ব্যাপার খুব অদ্ভুত লাগে - যাঁরা আরবী ভাষা জানেন না তাঁরাও দিব্যি ফালতু বিষয়ের অনুবাদকে বিকৃত বলে চালিয়ে দেন, অথচ নিজেদের কাজে লাগে এরকম ক্ষেত্রে একই অনুবাদকের একই অনুবাদ গ্রহণ করতে তাঁদের বাধে না। সীমিত জ্ঞান নিয়ে কথা বলতে পারছেন না, অথচ ওই একই সীমিত জ্ঞান নিয়েই নিশ্চিত হচ্ছেন সংকটটা বোঝার অভাব আর বিকৃত অনুবাদ এবং কোনমতেই মূলটাতে ঘাপলা থাকতে পারে না!

বউকে ধরে পেটাও, নারীরা তোমাদের শস্যক্ষেত্র - ইচ্ছেমত বীজ বোনো, মন চাইলে দুই তিন অথবা চারখানা বিয়ে করো, যৌনদাসী রাখো - এগুলো যদি বিকৃত অনুবাদের দায় হয়ে থাকে, তাহলে কোরানের একটামাত্র অবিকৃত অনুবাদের (অনুবাদকের) নাম জানতে চাই আমি, পড়ে দেখবো।

যদি কখনো নিজের যুক্তিগুলো উপস্থাপন করেন তাহলে সেদিন কথা বলা যাবে, এই কারণে আপনার পোস্টের উপরে চোখ রাখবো। কিন্তু তার আগ পর্যন্ত, আমি দুঃখিত এভাবে বলতে হচ্ছে বলে, "Islam is the best - No causes required" মনোভাব নিয়ে লেখা Women and Gender Studies বিষয়ক পোস্টকে আমি একনায়কের লেখা "গণতন্ত্রের গুণাবলী" পোস্টের সাথে আলাদা করার কোন কারণ দেখছি না।

হিয়া তাহ্নী এর ছবি

হাহাহাহাহাহাহাহা......... জি সেদিন কথা হবে।

নিশ্চয়ই তোমরা যা জানো না আল্লাহ্‌ তা জানেন। --------- আল কোরআন (কারো উদ্দেশে নয়)

অপছন্দনীয় এর ছবি

একটু সাবধানে হাসি ওই লাইনটাও বিকৃত অনুবাদ হতে পারে (কারো উদ্দেশ্যে নয়)

হিয়া তাহ্নী এর ছবি

জি হতেই পারে। খুব ভালো লাগলো দেখে যে কেউ একজন অনেক কিছু জানে। বিশ্বাসী অবিশ্বাসী তো থাকবেই। আমার দরকার পরিবর্তন। অন্তত এখানে নিশ্চয়ই আমার সাথে আপনি একমত। আপনার সাথে আমার ধর্ম নিয়ে কাঁদা ছোড়াছুড়ির সম্পর্ক নয়। সচেতন হিসেবে আমরা নিশ্চয়ই চাই নারী পুরুষে সমতা আসুক। আপনি আপনার ধারণা নিয়ে কাজ করেন আমিও আমারটা নিয়ে কাজ করবো। হাসি

অপছন্দনীয় এর ছবি

সচেতন হিসেবে আমরা নিশ্চয়ই চাই নারী পুরুষে সমতা আসুক।

ইসলামী স্টাইলে? দুঃখিত, আমি মুখে সমতা কাজে উল্টোটা চাই না কাজেই "আমরা" না লিখে "আমি" লিখলেই ভালো হতো।

হিয়া তাহ্নী এর ছবি

সেটা আপনার ব্যাপার। শেষ লাইন নিশ্চয়ই পড়েছেন।

আপনি আপনার ধারণা নিয়ে কাজ করেন আমিও আমারটা নিয়ে কাজ করবো।

কারও ওপর নিজের মতামত চাপিয়ে দেয়ার অভ্যাস আমার নাই।

দিগন্ত বাহার * এর ছবি

"Islam is the best - No causes required" মনোভাব নিয়ে লেখা Women and Gender Studies বিষয়ক পোস্টকে আমি একনায়কের লেখা "গণতন্ত্রের গুণাবলী" পোস্টের সাথে আলাদা করার কোন কারণ দেখছি না।

চলুক চলুক

নীরব পাঠক এর ছবি

একমত

কোথায় জেনেছি ঠিক মনে নেই...লেখাগুলো ভালো লেগেছিল..." The imagery of islam as a peculiar religion,predisposed to maltreat the female sex.." ধর্মবিশ্বাস-ধর্মগ্রন্থ-প্রথা নিয়ম সব মানুষের বানানো...এক এক ব্যক্তি মানেই এক একটা ধর্ম... তাছাড়া যুগে যুগে ব্যাখ্যা আর বিশ্লষণে এসেছে নানা পরিবর্তন...বায়য়াসনেস।

কওকাব সিদ্দিকের "মুসলিম নারীর সংগ্রাম"; জামাল আল বাদাবির Islamic Teaching Course, বই গুলো নারীর পক্ষে ব্যাখ্যা দিয়েছে। কিন্তু সুরা নিসার যেখানে স্ত্রী প্রহারের কথা আসে সেখানে রেয়েছে নানা মতবিরোধ। যেহেতু আরবী একটি সমৃদ্ধ ভাষা তাই একটা শব্দের অর্থই অনেক হয়ে থাকে...এক্ষেত্রে একজন বর্ণনা করছেন "দরাবা" অর্থ "প্রহার" অন্যদিকে অন্যজন হয়ত করছেন দূরে যাওয়া/ত্যাগ করা ইত্যাদি হিসেবে।

নানা সময় নানা প্রশ্ন মাথায় আসে...বলা হয় "দু পা একদম মিলিয়ে মেয়েদের নামাযে দাঁড়াতে হয়" এইটাই নিয়ম!!! ...সেক্ষেত্রে মোটা মানুষের কি হবে! গুরু গুরু

আমার ধর্ম আমার কাছে
দেখি! কার কী বলা আছে?

হিয়া তাহ্নী এর ছবি

নামাজ তো দাঁড়িয়ে পড়ার নিয়ম। কিন্তু প্রয়োজনে বসে এমনকি শুয়েও পড়া যায়। পরিষ্কার স্থানে নামাজ পড়তে হয় কিন্তু প্রয়োজনে কাঁদার ওপরও পড়া যায়। মোটা হওয়াটা এখানে কোনও বড় ব্যাপার কি?

নীরব পাঠক এর ছবি

তাইতো।

ইশশশ্! ...আপুনি আমি কথাটা সেদিকে বলিইনি আপনি যেদিকটাতে নিচ্ছেন চিন্তিত ...এটাই বলছিলাম, আপনার প্রতিমন্তব্যটাই হয়ত আমার বক্ত্যবের নিচে এক লাইন হত।

ভালো থাকুন, সবসময়। হাসি

হিয়া তাহ্নী এর ছবি

দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী

মৌনকুহর এর ছবি

বোঝার অভাব এবং বিকৃত অনুবাদ একটা সংকট তৈরি করেছে।

সহমত।

যদি কখনো আমার বিশ্বাস আপনাদের সামনে যুক্তিযুক্ত ভাবে তুলে ধরতে পারি তো লিখব।

অপেক্ষায় রইলাম।

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

হিয়া তাহ্নী এর ছবি

হাসি

সুমন তুরহান এর ছবি

আমার মতে ইসলামের সব কিছুই পরিপূর্ণ ও কৌশলী এবং সেখানে নারীর অধিকার ও ক্ষমতায়নের ব্যাপারে বলা আছে।

১। আপনার মতে হওয়াটা যথেষ্ট নয়। আপনি ব্যক্তিগতভাবে উদার হতে পারেন; কিন্তু আপনি যখন দাবি করবেন সমগ্র ইসলামে নারীর অধিকার ও ক্ষমতায়নের কথা বলা আছে - আপনার উচিত হবে রেফারেন্স দেখানো। দয়া করে রেফারেন্স দিন এবং পৃথিবীর একটি মুসলিম/ইসলামিক দেশের উদাহরণ দিন যেখানে নারীকে পুরুষের সমান অধিকার দেয়া হয়েছে।

২। 'মুসলিম' নারীবাদী বস্তুটি আবার কি? বিরোধাভাস বলে মনে হলো।

৩। আর, হ্যাঁ - সুরা নিসা পড়েছেন নিশ্চয়ই! পড়া থাকলে আবার পড়ুন।

৪। আপনি নিজেই বললেন কোরানের অনুবাদ বিকৃতি ঘটায় সংকট তৈরি হয়েছে। আপনি কি বলতে চাচ্ছেন কোরানের আল্লা বউ পেটানোর কথা বলে নি? তাহলে আরবি-ভাষাভাষী এই মোল্লা, এই মোল্লা, এই মোল্লা, এই মোল্লা যে বউ পেটাতে বলছে - এরা কেউ আরবি জানে না? কোরান এমনই এক বই আরবরা নিজেরাও বুঝতে পারছে না? আর আপনি বাংলাভাষাভাষী হয়ে ঠিক অনুবাদে বিকৃতি ধরে ফেললেন?

আপনি নিজে নারী হয়ে দাবি করছেন ইসলাম নারীকে পূর্ণ অধিকার দিয়েছে। যেখানে আপনার বোনদের গবাদিপশুর চেয়েও খারাপভাবে ট্রিট করছে পুংগর্বী ইসলামিক সমাজ-ব্যবস্থা, সেখানে জেন্ডার স্টাডি পড়ে আসা আপনার মুখে সেই ধর্ম নিয়ে ডিফেন্সিভ কথাবার্তা হাস্যকর ও করুণ।

-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী

অপছন্দনীয় এর ছবি

মুসলিম নারীবাদী মানে হচ্ছে যাঁরা ইসলামী ফ্রেমওয়ার্কের আলোকে নারীবাদ নিয়ে কথা বলেন। এঁদের যুক্তি হচ্ছে ইসলামের মধ্যে থেকেও সম অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব।

http://en.wikipedia.org/wiki/Muslim_feminism

হিয়া তাহ্নী এর ছবি

ইসলামের মধ্যে থেকেও!!!!!!!!!!! হাহাহাহাহা............ গুরু গুরু

সুমন তুরহান এর ছবি

হুমম... এরা কিভাবে রিকনসাইল করে আমার জানা নেই। আব্রাহামিক ধর্মগুলো প্রবলভাবে পিতৃতান্ত্রিক - এই ফ্রেমওয়ার্কের ভেতরে থেকে নারীবাদী কথাবার্তা আমার কাছে স্ববিরোধীতা বলে মনে হয়।

-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী

সুরঞ্জনা এর ছবি

আমি আবার চরমভাবে আস্তিক। আল্কহলিকের মত ইসলাম-হোলিক।

এই কথাটা ভালই বলেছেন।
বেশ যুক্তিপূর্ণ কথা। হাসি

............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্‌ চিনে।

হিয়া তাহ্নী এর ছবি

লইজ্জা লাগে

সুরঞ্জনা এর ছবি

একটা কথা, আপনি বারবার বলছেন আপনার জ্ঞান সীমিত, আর তারপর অন্যান্য মন্তব্যের যুক্তি খন্ডন করতে নামছেন। এটা ঠিক হচ্ছেনা। ফলে যারা পড়ছে, তারা আপনার সীমিত জ্ঞানের উদাহরণই পাচ্ছে।

আপনি যে বিষয়ে কথা বলতে চান, সেটা নিয়ে আলোচনা করুন, এক-সময় যখন এ প্রসঙ্গ আসবে, তখন এ নিয়ে কথা বলবেন, আর তখন যুক্তি ডিফেন্ড করার মত জ্ঞান অর্জন করবেন, এটা আশা করবো। তদ্দিন আপনার পড়াশোনা ভালো হোক এই কামনা করি। অল্প জানা নিয়ে কথা বলাটা আসলে বুদ্ধির কাজ নয়। উচিত ও নয়। নাহলে দেখবেন আবার 'অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করী' তকমা জুটে যাবে। হাসি

সেটা তো কারো কাম্য হতে পারে না। আপনার তো অবশ্যই না। হাসি

............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্‌ চিনে।

হিয়া তাহ্নী এর ছবি

আসলে আপু আমার কোনও কথাই যুক্তি উত্থাপনের জন্য না। তবে বুঝতে পাড়ছি আমার আর লিখা ঠিক হচ্ছে না।

নীরব পাঠক এর ছবি

তবে বুঝতে পাড়ছি আমার আর লিখা ঠিক হচ্ছে না।

ভুল করবেন না, ভুল বুঝবেন না। আমার মনে হয় আপনার লিখা ঠিক হবে,আপনার লিখা উচিত। আপনার লেখার প্রেক্ষিতে বক্তব্য গুলোকে সাজেশন হিসেবে নিলেই হবে, হাসি আর আপনার লেখা ভালো, নো ডাট্।

হিয়া তাহ্নী এর ছবি

হাসি

নীরব পাঠক এর ছবি

ভাল সূচনা ছিল...আরও একটু তথ্য সমৃদ্ধ হলে আরও ভাল লাগত। ভবিষ্যতে পাব আশা করি। হাসি
যেহেতু পাঠ্য ঘেষা, একটু তত্ত্ব ও তথ্য লেখাটি দাবি করে।

আমার খুব ভাল জানা শোনা নেই, তবুও মনে হয় সিলবিয়া ওয়ালবাই এর "থিওরাইজিং পেট্রিয়ার্কি", নারী অধিকার সচেতন ভারতীয় লেখিকা কমলা ভাসিন এর "হোয়াট ইজ পেট্রিয়ার্কি" এর কিছু বেসিক আলোচনা তুলতে পারতেন। বলতে পারতেন কিভাবে পিতৃতন্ত্র নারীর উৎপাদন, পুনঃউৎপাদন, সম্পদ, যৌনতা, গতিশীলতাকে নিয়ন্ত্রন করে। কিভাবে কন্যা সন্তানের জন্ম "বিষাদ" বয়ে আনে, আর তার বেড়ে ওঠা বাবা-মার কাছে গলায় কাঁটার মত বিঁধতে থাকে। কিভাবে সমাজের নানা অনুষ্ঠান-প্রতিষ্ঠান সমস্বরে পুরুষেরই জয়গান করে। শিক্ষা, অর্থনীতি, রাজনীতি, আইন, ধর্ম সমর্থন করে একপেশে এই সমাজ ব্যবস্থাকে...

অনেক ধন্যবাদ জানবেন। হাসি

হিয়া তাহ্নী এর ছবি

ধন্যবাদ

তাসনীম এর ছবি

আমার দুই পয়সার সাজেশনটা দেই...

আপনি ব্যাপারটাতে একাডেমিক আর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা/অভিমত দুটোই আনুন। শুধু একাডেমিক আলোচনা লেখাকে প্রাণহীন করে দিতে পারে।

আপনি আরও একটু সময় নিয়ে লিখলে এবং বানান নিয়ে একটু সতর্কতা নিলে চমৎকার লিখতে পারবেন। সেই সাবলীলতা আছে আপনার।

সচলে স্বাগতম। লিখতে থাকুন, পাঠক সমাগত।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

হিয়া তাহ্নী এর ছবি

ধন্যবাদ

মৌনকুহর এর ছবি

বিদ্যার সহভাগিতা চলুক!

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

হিয়া তাহনী এর ছবি

সাইফ ভাইয়ের উত্তরে কিছু ব্যাপার সামান্য আলোচনা করেছি, দেখতে পারেন।

জরি এর ছবি

আপনি সেই কখন থেকে কি "কিছু জানি না, কিছু জানি না" শুরু করলেন ! সাইফ এর একটা মন্তব্যে দেখলাম- অনেক কিছুই তো জানেন ! এই লেখাটা শুরু। বদল তো তখনই আসবে যখন এই জানাগুলো আপনি সবার মাঝে ছড়িয়ে দেবেন। আশা করি, আরো অনেক লিখবেন।

মন্তব্য প্রসঙ্গে মন্তব্য - এখানে ধর্ম বিষয়ে কিছু কথা এসেছে। আমি সহজ ভাষায় বুঝি, আস্তিক মানে - বিশ্বাসী আর নাস্তিক মানে অবিশ্বাসী। এখন একটা মানুষ অনেক কিছুতে (বন্ধু, পরিবার, political or religious ideology) বিশ্বাস করতে পারে। বরং আমার মনে হয় কিছুতে না বিশ্বাস করাটাই অস্বাভাবিক। কখনো হয়তো দুইটা বিশ্বাসের মধ্যে আপাত দৃষ্টিতে দ্বন্দ্ব দেখাও দিতে পারে। যেমন ধরুন, Catherine Mackinnon এর মতো feminist আছেন, যারা লেখেন all kind of penetrating sexual intercourse is violent. এবং তার মতে শুধু straight মেয়েরাই এতে violated হচ্ছে না। সমকামী ছেলেদের মধ্যে একজন সঙ্গীকে আরেকজন সঙ্গী "feminised" করছে।

আমাদের এক সেমিনারে একজন শিক্ষক এসে জিজ্ঞেস করেছিল আমাদের মধ্যে কে কে নিজেদের "feminist" হিসেবে দাবি করে। দেখা গেল ক্লাসের ৮০% মেয়ে হাত তুললো। এবং তারপর সে জিজ্ঞেস করল আমাদের মধ্যে কে কে সমকামী? শুধু ১০% মেয়ে হাত তুললো। ওর জবাব, শুধু ওই ১০% মেয়েই ফেমিনিস্ট। কারণ, নিজেদের জীবনের একটা অপরিহার্য অংশে যদি কোনো ছেলেকে আমাদের "dominate" করতে দেই, তাহলে আমরা আর কিভাবে ফেমিনিস্ট হলাম ! কেউ lesbian নাহলে যদি ফেমিনিস্ট না হয়, তাহলে অনেক ফেমিনিস্টকেই অপমান করা হয়। এই গল্পের মূল কথা - একেকজনের বিশ্বাস একেকরকম। একটা মানুষ ভিন্ন ভিন্ন ideology তে বিশ্বাস করতেই পারে। আস্তিক হলেই যে একটা মানুষের সীমাবদ্ধতা এসে যাবে এটা আমি মনে করি না। একটা মানুষের বিশ্বাস/ অবিশ্বাস দুইটার স্বাধীনতাই আছে। এটার কোনো একটাতে আঘাত করার মানে আপনি সেই মানুষটার "অধিকার" এবং "personal freedom" দুইটাতেই আঘাত করছেন।

এবার অন্য কথা - ফেমিনিস্টদের মধ্যেও এতো এতো ভাগ আছে, এবং এদের ধারণা এতো আলাদা - যেমন কোনো কোনো নারীবাদী মনে করেন, আমি নিজের শরীর দেখাবো, আমার নিজের feminity প্রকাশ করবো। নিজের শরীর নিয়ে গর্ববোধ করবো- এটাই নারীবাদ। আবার ফেমিনিসমের আরেকটা অংশ মনে করেন - পুরুষতান্ত্রিক সমাজ আমাদের মধ্যে এই ধারণা ঢুকিয়ে দিয়েছে। পুরুষরা আমাদের ভোগ বিলাসের জিনিষ মনে করে। এবং আমি নিজেকে "sexy" হিসেবে দেখিয়ে মূলত ওদের ইচ্ছের, ওদের আকাঙ্খারই প্রতিফলন দেখাচ্ছি।
আশা করি, আপনি ভবিষ্যতের লেখায় এগুলো তুলে ধরবেন। তাহলে, আমরাও জানতে পারবো অনেক কিছু।

হিয়া তাহ্নী এর ছবি

thanx

সজল(লগ ইন করলাম না) এর ছবি

রিচার্ড ডকিন্সের একটা লেকচার সিরিজ দেখেছিলাম। ওই খানে উনি বলেছিলেন, "ইট'স ওকে টু বিলিভ"। তার পরে একটা ডেমনস্ট্রেশন দিয়েছিলেন। ছাদ থেকে তার দিয়ে ঝুলানো একটা লোহার বল টেনে এনে নিজের নাকের সামনে পর্যন্ত এনে ছেড়ে দিয়ে জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। বলটা যখন বিপরীত দিকে গিয়ে আবার তার মুখের দিকে ধেয়ে আসছিলো, তখনো তিনি সরেন নি। এবং তার বিশ্বাসের ফল দেখা গেলো বলটা তার নাকের সামনে এসেই আবার ফিরে গেলো। এখানে উনি একটা প্রমাণিত প্রাকৃতিক সূত্রের উপর বিশ্বাস রেখেছিলেন ইনস্টিংক্টের বিপরীতে গিয়ে। বিশ্বাস করা ঠিক আছে, তবে তার পেছনে যৌক্তিক গ্রাউন্ড থাকতে হবে।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

অগভীর। অপ্রস্তুত। অবিবেচ্য।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

কৌস্তুভ এর ছবি

হিয়া, আপনি তো তখন থেকেই বলছেন, আপনি তেমন বেশি জানেন না, আরো পড়বেন... তা এই কোরান-হাদিসের উদ্ধৃতি সঙ্কলনটাই পড়ে দেখুন, কেমন সম-অধিকার আর সমমর্যাদা দেওয়া হয়েছে...

"Islam is the best - No causes required" মনোভাব নিয়ে লেখা Women and Gender Studies বিষয়ক পোস্টকে আমি একনায়কের লেখা "গণতন্ত্রের গুণাবলী" পোস্টের সাথে আলাদা করার কোন কারণ দেখছি না।

পছন্দনীয় ভাই, কোলাকুলি

হিয়া তাহ্নী এর ছবি

সুমন ভাই এবং কউস্তভ ভাই--------- জরি আপুর কমেন্ট পড়েন। আমার নিজের আর বলার কিছুই নাই। শুধু বুঝলাম আমি আপনাদের বোঝাতে পারিনি আমি কি বলছি।

কৌস্তুভ এর ছবি

জরি'র কমেন্ট পড়েছি। উনি মূলত নারীবাদ কার কাছে কেমন তাই নিয়ে অনেক কথাবার্তা বলেছেন। (আর মাঝে আস্তিক-নাস্তিক নিয়ে ওনার উল্টাসুল্টা ধারণা দুয়েকলাইন গুঁজে দিয়েছেন।) সেগুলোর সাথে আমার দেওয়া লিঙ্কটার কোনোই সম্পর্ক নেই। আপনি লিঙ্কটা পড়েছেন কি না, পড়ে কী বুঝলেন, তা শুনতে পেলে ভাল হত।

হিয়া তাহ্নী এর ছবি

এবং পরবর্তীতে ধর্ম সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে যারাই কমেন্ট করবেন আমার উত্তর একটাই। যা ওপরে আমি বারবার বলেছি। আমি কিছু জানি না মানে অন্য একজন সব জানবে আর আমাকে তা মেনে নিতে হবে তা না। আর নিজের কমেন্টগুলো পরে মনে হচ্ছে একেবারেই কম জানি আমি তা নয়। ধন্যবাদ সবাইকে। পরবর্তী লিখাগুলোও পড়বেন।

কৌস্তুভ এর ছবি

এখানে রাজর্ষিদার সেই অসাধারণ মন্তব্যটার অনুকরণে বলতেই হচ্ছে, যে 'আমার জ্ঞান অতি সীমিত' টাইপের বিনয়ী মন্তব্য অনেকেই করেন, কিন্তু আপনার লেখায় এবং মন্তব্যে আপনি এত সততার সঙ্গে তা প্রমাণ করে দিয়েছেন, যে আপনার ওই উপলব্ধিটাকে অস্বীকার করার দুঃসাহস একদমই করা যায় না।

তবে এই যে অতিবিনয়ের খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এলেন, সেটা দেখতে ভাল লাগল বই কি...

সাইফ জুয়েল এর ছবি

চলুক

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

কী পোস্ট, আর কোথায় গিয়ে ঠেকল! বিরক্ত হলাম।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।