ছেঁড়াখোঁড়া স্বপ্নেরা -১

দময়ন্তী এর ছবি
লিখেছেন দময়ন্তী (তারিখ: রবি, ১১/০৯/২০১১ - ৩:২৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বছর দুই আড়াই আগে এই উপন্যাসটায় হাত দিয়েছিলাম৷ তারপর নানা প্রতিকূল পরিস্থিতির জন্য লেখা বন্ধ হয়ে যায়৷ পাত্রপাত্রীরা আজকাল ঘুমের মধ্যে এসে বকাবকি করেন ওঁদের এরকম মাঝপথে ফেলে রাখায়৷ তাই আবার লিখতে শুরু করলাম৷ সচলদের কাছে একান্ত অনুরোধ দু হাত খুলে সমালোচনা করুন৷ একটুও দ্বিধা করবেন না, পড়ে যা মনে হবে মন্তব্যের ঘরে গিয়ে দমাস দমাস করে লিখে ফেলবেন, হ্যাঁ৷


-
চিনু যখন জন্মায়, তখন প্রমদাকান্ত আর সরলাবালা দুজনেই খুব আশা করেছিলেন এবার ছেলে হবে৷ আশা অবশ্য তাঁরা প্রতিবারই করেন৷ মিনু , বিনুর সময়ও করেছিলেন৷ কিন্তু এবারে কেন যেন মনে হয়েছিল ভগবান নিশ্চয়ই একটা ছেলে দেবেন৷ মানদা দাসীর তীক্ষ্ণকন্ঠ যেই ঘোষণা করল "মেয়ে হয়েচে গো' টালিগঞ্জের ঐ বাড়ীটা হঠাত্ই চুপচাপ, শান্ত হয়ে গেল৷ সরলাবালার বাপেরবাড়ীতে এমনিতে লোকের কোন কমতি নেই৷ মা, তিনভাই, ভাইবৌ, তাদের ১৩ টি ছেলেমেয়ে ----- সর্বদাই হট্টমেলা হয়ে থাকে৷ এছাড়া দেশেরবাড়ী পাবনা থেকেও আসোজন বসোজন লেগেই আছে৷ অক্টোবরের এই শুরুর দিকটায় অবশ্য ভাই ভাইবৌরা কেউ নেই৷ সবাই দুর্গাপুজা উপলক্ষে গেছে পাবনায়৷ শুধু মা অনিলাবালা থেকে গেছেন আসন্নপ্রসবা সরলার জন্য৷ প্রমদাকান্তও দুদিন এখান থেকেই অফিস করছেন৷

রাইটার্সের সামান্য কেরাণী প্রমদাকান্ত, বড় দুই মেয়ের বিয়ের ভাবনাতেই কাহিল হয়ে থাকেন, আবার একটা মেয়ে৷ একটাও কি পাশে দাঁড়াবার মত কেউ জন্মাতে নেই! আর এই তো দেশের অবস্থা! যখনতখন স্বদেশী আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়ছে! আরে তোরা পারবি ঐ শক্তিশালী ইংরেজদের সাথে? আর সত্যি তো ইংরেজরা না দেখলে এই দেশটার কি হাল ছিল সে তো জানাই আছে৷ এইসব ভাবনার মধ্যে মানদার চাঁছাছোলা গলা ভেসে আসে "অ মিনু মায়ের কাছে একটু বোস দিকি, আমি খুকীটারে একটু পোস্কার করে নিই' ৷ জলের স্পর্শে নবজাতিকা তীক্ষ্ণকন্ঠে কেঁদে ওঠে আর মানদার গজগজ চলতে থাকে "থাক থাক আর কাঁদে না --- ঐ তো মেয়ের ঢিপি -- তার আবার অত আদিখ্যেতা কিসের'? সাড়ে ছ বছরের মিনু ঠিক বুঝে যায় এই বোনটা একেবারেই অবাঞ্ছিত৷৩ বছরের বিনু অতশত বোঝে না, বোনকে দেখতে চায়, হাত বাড়াতে যায় ------ মানদার ঝঙ্কারে ভয় পেয়ে সেও বোধহয় নিজের মত করে বুঝেই যায় যে বোনটা এমনকি তার চেয়েও বেশী অনাকাঙ্খিত৷ সরলাবালার জ্ঞান আছে কিনা বোঝা যায় না, চুপচাপ পড়ে থাকেন৷শুধু অনিলাবালা বলতে থাকেন ভগবান যা দেন তাই হাত পেতে নিতে হয়৷ অশ্রদ্ধা করতে নেই৷ তবে বাড়ীতে জামাই আছে, তাই গলা তেমন চড়ে না৷


-
সাড়ে নয় বছরের চিনুর মাথায় পড়াশোনা তেমন ঢোকে না৷ কদিন ধরেই বাবা চেষ্টা করছে ভাগ শেখানোর৷ কিন্তু ও বুঝতেই পারছে না৷ প্রমদাকান্ত আর মেজাজ ঠিক রাখতে পারেন না৷ এই নিয়ে চারদিন হয়ে গেল ----- রোজ একবার করে দেখিয়ে দেন আর এই মেয়ে ঠিক কিছু না কিছু ভুল করে! এর মাথায় আছেটা কি? অথচ খোকনকে দেখো, কেমন চটপট সব শিখে নেয়৷ চিনুর চেয়ে তিন তিনটে বছর ছোট অথচ এই বয়সেই যোগ আর বিয়োগ দিব্বি পারে৷ একটু লেখাপড়া শিখলে অন্তত বিয়ের চেষ্টা করতে সুবিধে হয়৷ আজকাল আর অশিক্ষিত মেয়েদের কেউ বিয়েও করতে চায় না৷ আসলে অমনোযোগ --- দিব্বি বাপের ঘাড়ে খাচ্ছে দাচ্ছে ---- প্রমদাকান্ত ঠাস করে এক চড় বসিয়ে দেন চিনুর গালে৷ চিনু ঘরের মধ্যে বিছানা থেকে সোজা বারান্দায় গিয়ে পড়ে, মাথাটা ঠুকে যায় দেওয়ালে, চোখে অন্ধকার দেখে৷ ভবানীপুরের এই বাড়ীটার দেওয়াল, মেঝে বড় ঠান্ডা, চিনুর আর উঠতে ইচ্ছে হয় না মেঝে থেকে৷ খোকন ভয়ে চীত্কার করে কেঁদে ওঠে৷ সরলাবালা এসে স্বামীকে একটু অসন্তুষ্টভাবেই মনে করিয়ে দেন যে মেয়ে একেই তো কালীতারা, রূপের ধুচুনি, তায় যদি খুঁতো হয়ে যায় তাহলে কিন্তু বিয়ে দিতে আরও সমস্যা হবে৷আর পাত্র কেনার মত টাকার জোরও তাঁদের নেই৷ প্রমদাকান্ত গুম হয়ে যান৷ বিনু বোনকে উঠিয়ে বসায়, সরলা আঁচল ভিজিয়ে মাথার ফোলাটায় লাগিয়ে দেন৷ চিনু কেঁপে কেঁপে ওঠে --- কাঁদে না কিন্তু৷ সেদিন আর পড়তে হয় না চিনুকে৷ আর কি আশ্চর্য্য! পরেরদিন ভাগ অঙ্ক সে একদম নির্ভূল করে৷ পরে "এক চড়ে ভাগ শেখানো' তাদের বাড়ীতে একটি গল্পকথা হয়ে যায়৷

শিবপুরের এক পুলিশ কনেস্টবলের সাথে মিনুর বিয়ে দেন প্রমদাকান্ত৷ ছেলেটি ভাল, প্রায় কোন দাবীদাওয়াই ছিল না৷ বিনুর বিয়েরও চেষ্টা চলছে৷ বিনু দিব্বি ক্লাস এইটে উঠে গেছে, চিনু আর খোকনও পড়ছে৷ তবে চিনুর সব শেখাই ঠেকে ঠেকে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে এগোতে থাকে৷অনেকগুলো দিন চলে যায়, বিনুরও বিয়ে ঠিক এক মেডিকেল রিপ্রেসেন্টেটিভের সাথে৷পরিবারটি বেশ বড় ও খুবই ভাল৷ এর মধ্যে কেমন করে কে জানে আচমকাই একদিন রান্নাঘরে গরম জলের হাঁড়ি চিনুর গায়ে উল্টে পড়ে৷ একেবারে ফুটন্ত গরম জল ---- আর সরলাবালার আশঙ্কা সত্যি করে বুকপেটের বিস্তীর্ণ অংশ পুড়ে চামড়া গুটিয়ে যায়, বাঁ হাতে কনুইয়ের ভেতর দিক থেকে কবজির ভেতর দিক অবধি চামড়া জুড়ে যায়, বাঁ হাতের তিনটি আঙুলও হাতের তেলোর সাথে জুড়ে জুড়ে যায় , যেগুলি আর আর কোনওদিনই ঠিক হয় নি৷ মনে মনে চিনুর মৃত্যুকামনা করেছিলেন কিনা জানা যায় না, তবে প্রকাশ্যে প্রমদাকান্ত কিছু বলেন নি৷ সরলাবালা কিন্তু অসাবধানের জন্য চিনুকেই দায়ী করেন৷ সকালে বিকালে সেকথা জানিয়েও দেন৷ সংসারে যার পাশ ফিরেও জায়গা হতে চায় না, তার সেই জায়গাটুকুই কিছুতেই আর খালি হতেও চায় না৷

ইতিমধ্যে ভারত স্বাধীন হয়েছে, সন্ধ্যে হলেই ব্ল্যাক আউট ও দিবারাত্রিব্যপী দাঙ্গার দিন পেরিয়ে স্বাধীন ও মুক্ত স্বদেশে প্রমদাকান্তের পক্ষে দুবেলা সকলের মুখে খাওয়ার জোটানোই এক বিরাট সমস্যা৷ পাবনা থেকে প্রায় সবাই চলে এসেছে, শুধু কৃষ্ণকান্ত নিয়মিত যাওয়া আসা করেন, "শত্রুসম্পত্তি' বাবদ টাকাপয়সা তিনিই এনে ভাইদের ভাগ করে দেবেন৷ বড়দাদার ওপরে সবাই নির্ভর করে, বিশ্বাস করে৷


মন্তব্য

মিলু এর ছবি

এটুকুই?

দময়ন্তী এর ছবি

না আসছে আরও৷ হাসি

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

তাপস শর্মা এর ছবি

চলুক
হুম, শুরুটা ধীর লয়ে হয়েছে। আশা করি ধীরে ধীরে উপন্যাসের চরিত্ররা শাখা-প্র শাখা বিস্তার করবে। কাহিনিকল্পটা কিন্তু খুবই দারুন, টানতে থাকুন নৌকা।

দময়ন্তী এর ছবি

ধন্যবাদ৷

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

পাঠক এর ছবি

দিদি আর কই? সমালোচনা এটুকুর মধ্যে আমি কিছুতেই করতে পারবোনা! :|

দময়ন্তী এর ছবি

আসছে আসছে, সঙ্গে থাকুন৷

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

অরফিয়াস এর ছবি

চলুক অপেক্ষায় থাকলাম পরের অংশের জন্য...

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

দময়ন্তী এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ অরফিয়াস৷

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

দিদি, হুমকিওালা মন্তব্যটা আমারই করা! ভুলে লগিন করা হয়নাই! মন খারাপ

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

দময়ন্তী এর ছবি

হুমকীওলা মন্তব্য কোনটা রে বোনটি? চিন্তিত

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

আশালতা এর ছবি

আমি পুরো সচল নই তবু অভয় পেয়ে দপদপিয়ে জ্ঞান ফলাতে বসলাম।

প্রথমত, অসহিষ্ণু পাঠকের পক্ষে শুরুটা একটু স্লো মনে হয়েছে। বেশ অনেকটা বর্ণনার পর চিনুর গায়ে গরম জল পড়ার পর গল্পের শুরু হয় কিন্তু ততক্ষনে গল্প কই গল্প কই ভাব মনে চলে এসেছে। কাজেই প্রথম প্যারাটাতেই পাঠককে চমকে দিয়ে টেনে রাখা যায় এরকম কোন লাইন দিয়ে শুরু করলে মনে হয় ভালো হতো। যেমন ধরুন, "মানদা দাসী তীক্ষ্ণকণ্ঠে 'মেয়ে হয়েচে গো' ঘোষণা করতেই বাড়িটা হটাত চুপচাপ হয়ে গেল" এ জাতীয় লাইন দিয়ে প্যারাটা শুরু করলে পাঠক একটা ছোট ধাক্কা খেয়ে তার পরের গল্পটা পড়তে উৎসুক হয়ে উঠবে মনে হল। অন্যভাবেও হতে পারে, এই মুহূর্তে এটাই মাথায় এল।

আমার কাছে অক্টোবরের চেয়ে আশ্বিন বললে পূজোটা শুনতে বেশি ভাললাগে। আর উপন্যাস হিসবে পর্ব গুলো একটু ছোট হয়ে গেল না ?

যাহোক খসখসে জ্ঞান বাদ থাকুক, পরেরটুকু দিন জলদি। আপনার লেখা পড়তে ভালো লাগে। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

দময়ন্তী এর ছবি

আহা 'সচল' বলতে এখানে যাঁরা লেখালেখি করেন তাঁদের সব্বার কথা বুঝিয়েছি৷ হাসি
বিস্তারিত মন্তব্যের জন্য আস্ত ধইন্যাগাছ৷

আমারও আপনার লেখা জব্বর লাগে, কিন্তু বেশিরভাগ সময় মোবাইল থেকে পড়ি বলে আর মন্তব্য করা হয় না৷

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

রিশাদ_ ময়ূখ এর ছবি

উপন্যাসের সূচনাপর্ব হিসেবে ভালো বলা যায়। কিন্তু বিস্তারিত মন্তব্যের জন্য একটু ছোট হয়ে গেল। আশা করি চলবে।

দময়ন্তী এর ছবি

ধন্যবাদ ময়ুখ৷ হ্যাঁ চলবে আশা করি৷

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

চলুক, দিদি..........


_____________________
Give Her Freedom!

দময়ন্তী এর ছবি

ধন্যবাদ ভাই৷

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

ভালো লাগছে দিদি....পরের পর্বের অপেক্ষায়....

দময়ন্তী এর ছবি

ধন্যবাদ রাজাসাহেব৷

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

জলদি পরের পর্বগুলো ছাড়ুন!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

দময়ন্তী এর ছবি

হুঁ আসছে

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

জামান-the ultimate soln এর ছবি

শ্রদ্ধা

দময়ন্তী এর ছবি

অ্যাঁ অ্যাঁ অ্যাঁ!!!

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

আয়নামতি এর ছবি

মনে হয় প্রথম পড়লাম আপনা পোস্ট। চমৎকার আপনার লেখার হাত হাসি দমাস দমাস করে কীভাবে লেখে দিদি? খুব মজা পেয়েছি ওটায় দেঁতো হাসি পাঠক হিসেবে জুটে গেলাম আমিও হাসি শুভকামনা।

দময়ন্তী এর ছবি

ধন্যবাদ আয়নামতি৷ হাসি

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

দময়ন্তী এর ছবি

ঘ্যাঁচাং

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

নীড় সন্ধানী এর ছবি

উপন্যাস বললে ইচ্ছে করে একসাথে পুরোটা গিলতে। আংশিক গিলে পেট ভরলো না তো....... হাসি

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।