ইবরাহিমের সঙ্গে আওয়াজ তুলুন : বিচার করো সরকার

অমি রহমান পিয়াল এর ছবি
লিখেছেন অমি রহমান পিয়াল (তারিখ: বুধ, ৩১/১০/২০০৭ - ১১:২৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সেনাপতি ওসমানির পর এই একজনের গোফজোড়া দেখে সম্ভ্রম জাগে। তবে মেজর জেনারেল ইবরাহিমের গোফের চেয়ে সম্ভ্রমজাগানিয়া তার বচন। বিনয়ের সঙ্গে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা যে শক্তিশালী কথার লড়াইও লড়তে পারেন, তা চেয়ে দেখার মতোই শুধু নয়। শুনে ভাবার মতো। এবং সেটা নিয়ে সমমনাদের সঙ্গে আলোচনার মতো।

জামাতে ইসলামীর ঘাতক-দালালরা গত ক’দিন ধরেই আমাদের স্বাধীনতা, আমাদের প্রাণপ্রিয় মুক্তিযুদ্ধকে ধর্ষণ করে চলেছে। এই প্রলাপের পেছনে আসলে ঠিক কি কলকাঠি নড়ছে, সেটাও ভাবনার। তারা কি কোনো গ্রিন সিগনাল পেয়েছে। সেনাবাহিনীতে এখন কোনো মুক্তিযোদ্ধা অফিসার নেই বলে পরিস্থিতি কি অতি অনুকুল! গত ৩২ বছরে কি তারা এতখানি গুছিয়ে নিয়েছে যে ছোবল দেবার আর তর সইছে না! বাঙালীকে তারা কি আসলে গোনাতেই নিচ্ছে না! টাকা দিয়ে আর ধর্ম দিয়ে সব কেনা হয়ে গেছে!

তাদের এই ঔদ্ধত্যের বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক নেতার বিবৃতি আসেনি। গর্জে উঠেছে যাদের সত্যি গায়ে লেগেছে সেই মুক্তিযোদ্ধাদের স্তিমিত থাকা বজ্রকণ্ঠ। গত ২৯ অক্টোবর রিপোর্টার্স ইউনিটি অডিটরিয়ামে ইবরাহিম প্রথম তার তিক্ত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সরোষ ধিক্কারে। মুক্তিযোদ্ধা গণপরিষদের ব্যানারে সেদিন সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিলেন তারা। সেখানেই ইবরাহিম একটি রূপরেখা দিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন কমিশন গঠন করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা হোক। সেই কমিশন হবে সাবেক তিন বিচারপতি, সাবেক তিন সেনা কর্মকর্তা, তিনজন মুক্তিযোদ্ধাকে দিয়ে। সেইসঙ্গে যদি শরিয়তের কোনো ফায়সালা প্রয়োজন হয় তাহলে তিনজন আলেমকেও অন্তর্ভুক্ত করতে। এবং তিনজন বিদেশী আইনজীবিও থাকবেন যাতে পুরো ব্যাপারটা একটা আন্তর্জাতিক রূপ পায়। বিশ্ব দেখো ১৯৭১ সালে এই বাংলাদেশে কি হয়েছে, কারা এতে সহযোগিতা করেছে, তাদের বিচার হচ্ছে তোমরা দেখো। তাদের দাবি গুরুতর অপরাধীদের বিচার করুন। ১০ হাজার নয়, পারলে এক হাজার না পারলে ১০০ জনের করুন। আর এ লক্ষ্য সামনে রেখেই আগামী ৩ ডিসেম্বর ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধা মহাসমাবেশ আয়োজিত হতে যাচ্ছে। সেখান থেকেই এই বীর বাঙালীরা দাবি তুলবেন সরকারের কাছে, বিচার করো। কমিশন বসাও।

কিছু প্রতিবৈপ্লবিক সুপারিশ দেখলাম। প্রচলিত আইনে এদের বিরুদ্ধে মামলা করা হোক। জ্বি না জনাব। ধোপে টিকবে না। দুশো বছর আগের ব্রিটিশ আইন বই ফলো করা বাংলাদেশের আদালতে এসব অভিযোগ টিকবে না। কে দেবে ধর্ষণের সাক্ষী? কে লাশ হবার হুমকি এড়িয়ে বলবে ওই রাজাকার আমার পিতার খুনী, আমার ভাইয়ের খুনী, আমার বোনের সম্ভ্রমহরণকারী? বললেই আদালতে প্রমাণ চাইবে, কি দিয়ে প্রমাণ করবেন? আর করলেই বা কি? সে প্রমাণ যে মাননীয় হাকিম যথেষ্ট মনে করবেন তার নিশ্চয়তা কোথায়? বিচার যে আজীবন চলবে না তার গ্যারান্টি দেবে কে? বিচারক যে বিব্রত হবেন না, তারই বা নিশ্চয়তা কই? অত কিছুর দরকার নেই। ১৯৭৩ সালের এক্ট নং- নাইন্টিন দিয়েই সব হবে। আইন নম্বর-১৯ দিয়ে সব যুদ্ধাপরাধীর আন্তর্জাতিক আইনে বিচারের ব্যবস্থা করে দেয়া আছে। এখন সরকারকে শুধু বাদী হতে হবে। তাদের রাজী করাতে হলে চাই জনসমর্থন, জনমত। সেটা গড়ে তুলতে হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে গলা মিলিয়ে পরের প্রজন্মগুলোকেও সোচ্চার হতে হবে। যারা বিদেশে আছেন তারাও পারেন এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে জনমত গড়তে। মোটের ওপর- সামনে আছে জোর লড়াই, বিপ্লবীদের ঐক্য চাই। এ লড়াই বাঁচার লড়াই, এ লড়াইয়ে জিততে হবে। নইলে সাধের বাংলাদেশ আবার শশ্মান হবে। কারণ জামাত প্রতিপক্ষের কবরে বিশ্বাস করে না।

পুনশ্চ : আশার কথা, গতকাল মুক্তিযুদ্ধের জীবিত সেক্টর কমান্ডাররা এক ঘোষণায় জানিয়েছেন তারা একটি লিগাল কমিটি গঠন করছেন। এই কমিটি যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে মামলা করবেন। জাগো বাঙালী, এই একটি বার ফের জাগো। নয়তো বড্ড দেরি হয়ে যাবে।


মন্তব্য

আড্ডাবাজ এর ছবি

আমি লাইনে দাঁড়ালাম...কি করা লাগবে খালি বলেন..।

অমি রহমান পিয়াল এর ছবি

মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের প্রচারণাটাই এ মুহূর্তে বেশী জরুরি। এবং তাদের একটু ভরসা দেন। তারা লড়তে চান, আমরা না হয় আশ্রয় হই


তোর জন্য আকাশ থেকে পেজা
এক টুকরো মেঘ এনেছি ভেজা
বৃষ্টি করে এক্ষুনি দে তুই
বৃষ্টি দিয়ে ছাদ বানিয়ে শুই


তোর জন্য আকাশ থেকে পেজা
এক টুকরো মেঘ এনেছি ভেজা
বৃষ্টি করে এক্ষুনি দে তুই
বৃষ্টি দিয়ে ছাদ বানিয়ে শুই

সুজন চৌধুরী এর ছবি

আমি ও আছি ।
____________________________
লাল গানে নীল সুর হাসি হাসি গন্ধ......

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

বাঙালি জাতির জীবনে এখন একটা গুরুত্বপূর্ণ ক্ষণ।
জামায়াত ও দোসররা বর্তমান সময়ের সুযোগে সব কিছু হালাল করে নিতে চাইছে।

অন্যদিকে এই নতুন জটিলতা শুরু হলে বর্তমান সরকার ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য ঐক্যমত্যের সরকার বা জাতীয় সরকারের নামে একটা অদ্ভুতুড়ে পদ্ধতি চালু করবে। তার সুযোগও তারা খুঁজছে।

রাজনীতিতে ধর্মভিত্তিক দলগুলোকে অবৈধ ঘোষণার দাবী জামায়াতকে মোকাবেলা করতেই হবে। সুতরাং তাদের সামনে অন্য কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু কাদের মোল্লার বক্তব্য (ইত্তেফাক, ৩০ অক্টোবর) পড়লে বুঝা যায় তারা অপ্রয়োজনীয়ভাবে আক্রমণাত্মক। বেদরকারে এতটা আক্রমণাত্মক হওয়ার মানে হচ্ছে তারা কোনো ফাঁদ তৈরি করছে।

এ বিষয়গুলো লক্ষ রেখে দুটো জিনিস করতে হবে:
১. ধর্ম এবং আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠার নামে নিজেরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য কেউ দল করতে পারবে না এই মর্মে নির্বাচন কমিশনের আইন প্রণয়ন।
২. বিশেষ কমিশনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করা।

এই দুটো বিষয় অর্জিত হলে তখন আমাদেরকে মোকাবেলা করতে হবে আন্ডারগ্রাউন্ড জঙ্গি দল সৃষ্টি হওয়া বন্ধ করা। সেক্ষেত্রে প্রধান কাজ হবে মাদ্রাসাগুলোর সিলেবাস, শিক্ষক নিয়োগ ও শিক্ষাপদ্ধতি বদলানো।

বাংলাদেশে ধর্মের অসত ব্যবহারকে রুখবার এখনই সময়। লোহা গরম থাকতে থাকতেই আঘাত করতে হয়।

-----------------------------------------------
খড়বিচালি জোগাড় করি, ঘর বানাবো আসমানে

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

হিমু এর ছবি

একটা একটা করে ফাঁসি চাই সব শুয়ারের বাচ্চাদের।

জয় বাংলা!


হাঁটুপানির জলদস্যু

আরিফ জেবতিক এর ছবি

ছিলাম,আছি ,থাকবো ।

ধ্রুব হাসান এর ছবি

যুদ্ধাপরাধী সকল বেজন্মাদের ফাঁসি চাই , দিতে হবে।
জয় বাংলা ! জয় বাংলা ! জয় বাংলা !

আড্ডাবাজ এর ছবি

যুদ্ধাপরাধী মুজাহিদ সরকারী কেইসের আওতায় থেকেও বিনা বাধায় সস্ত্রীক দুদিন আগে লন্ডনে গেছে ইসলামী সম্মেলনে যোগ দিতে। যুদ্ধাপরাধী হিসেবে তার বিরুদ্ধে কিন্তু ইউরোপীয় কোর্টেও মামলা করা যেতে পারে...।

অলৌকিক এর ছবি

কেমনে কি? খুইল্যা কন।

দ্রোহী এর ছবি

বিচার কর সরকার। বিচার কর সব শুয়োরের বাচ্চাদের।


কি মাঝি? ডরাইলা?

ধ্রুব হাসান এর ছবি

ভাইজান শুয়োর আমার প্রিয় প্রানীগুলার একটি, অন্য কোন প্রাণীর নামে গাল দেন......ঐ বেজন্মাগুলোর চাইতে শুয়োর অনেক বেটার!

দ্রোহী এর ছবি

ঠিকই বলেছেন, হান্নান - মুজাহিদ শব্দগুলোর চাইতে শুয়োর অনেক বেশী পবিত্র প্রাণী।

বিচার কর সরকার। বিচার কর সব হান্নান -মুজাহিদদের।


কি মাঝি? ডরাইলা?

অতিথি লেখক এর ছবি

আছি...৩ ডিসেম্বরের অপেক্ষায় রইলাম...
~

নিঘাত তিথি এর ছবি

বিচার চাই যুদ্ধাপরাধীদের। সরকার বিচার করো, যেকোন উপায়ে।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

সৌরভ এর ছবি

ফখরুদ্দিন কী বলছে, তাতো দেখছেন।
বুঝতে পারছি না আসলে উনি কী চান। এরকম ধরি মাছ না ছুঁই পানি ধরনের কথা তো চলবেনা, ফখরুদ্দি।

ওনার কি কোষ্ঠ পরিষ্কার হচ্ছে না? এরকম করে ইনিয়ে বিনিয়ে কথা বলছেন কেনো উনি?


আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

বিপ্লব রহমান এর ছবি

.
পিঠ বাচাঁনো কথায় রেহাই নাই! বিচার করো সরকার!

জয় বাংলা!


আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

৩ তারিখে একটা বড় সমাবেশ হউক। আমরা যে যে পারি সবাই উপস্থিত থাকি সেই সমাবেশে। আর আশপাশের পরিচিতদের সকলকে আহ্বান জানাই।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হতেই হবে। অবিলম্বে।

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অমিত এর ছবি

জামাত হারামজাদাগুলার এই দেশের ইনভেস্টমেন্টে স্টেক হোল্ডার অনেক। তাই সরকারকে এই উদ্যোগ নিতে হলে শুধু সাহসী হলেই চলবে না, "বড় ভাই" -এর দোয়াও লাগবে। জামাতের চরিত্র হচ্ছে বন্দুকধারীদের পোষা কুকুর। পাছায় দুইটা বাড়ি দিলেই ঠান্ডা। শুধু সেই বাড়িটা দিতে হবে।॥
এখন দেশে যা অবস্থা, তাতে ৬ মাস পর কি হবে কেউ বলতে পরবে না। জামাত চাচ্ছে এই টার্নিং পয়েন্টটার সুবিধা নিতে। একবার যদি ৭১ এর পাপগুলা আইন করে ভোলানোর ব্যবস্থা করা যায়, তাইলে আর পায় কে। এই সুযোগটা কুকুরগুলাকে কোনভাবেই দেওয়া যাবে না।

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

মুক্তিযুদ্ধের আগের একটি স্লোগান:

জাগো জাগো
বাঙালি জাগো!

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

হাসান মোরশেদ এর ছবি

-----------------------------------
মানুষ এখনো বালক,এখনো কেবলি সম্ভাবনা
ফুরোয়নি তার আয়ু

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

আমার মনে হয় আন্তর্জাতিকভাবে একটা জোরালো আওয়াজ তোলা দরকার .... এখনই সময়!

আমরা এই প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ পাইনি ...কিন্তু মুক্তিযুদ্ধসম একটা কাজ বাকী রয়ে গেছে ... সেটা করার একটা সম্ভাবনা, ঐক্য গড়ে তোলার একটা সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে ... এটা যাতে আমরা হেলায় না হারাই।
৩রা ডিসেম্বরকে অবশ্যই একটা সফল ঘটনা হিসেবে দাঁড় করাতে হবে .... জামাতিদের বাড় বাড়াবাড়ি রকমের বেড়ে গেছে

সবাই নিজ নিজ প্রস্তাবনা নিয়ে এগিয়ে আসুন

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

হঠাত বিপ্লবী দিয়ে একদিনের সমাবেশ আয়োজন করা যায়, কিন্তু দিনের পর দিন আন্দোলন করা যায় না। সেজন্য চাই নিবেদিন প্রাণ কর্মী ও দীর্ঘদিনের সংগঠন।

রাজনৈতিক উদ্যোগ ছাড়া এসব চেষ্টায় খুব বড় কিছু অর্জিত না হওয়ারই কথা। ঘাদানিকও গণকমিশন করেছিলো। সেখানে গণরায়ও হয়েছে। কিন্তু তারপর?
সেই অভিজ্ঞতা থেকে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডাররা শিক্ষা নেবেন এবং সেভাবে তাদের কৌশল ঠিক করবেন আশা করছি।

জেগে উঠুক বাংলাদেশ!
-----------------------------------------------
খড়বিচালি জোগাড় করি, ঘর বানাবো আসমানে

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- জরুরী অবস্থার সুযোগ নিয়ে তারা এমনতর কথা বলে যাচ্ছে এটা মানতে পারছি না। শংকা জাগছে মনে, তাহলে কি দেশে এখন দেশপ্রেমহীন কোন নেতৃত্ব বিদ্যমান!
নাকের ডগায় যে কেউ, যে কোন কিছু বলে যাবে? কোন প্রতিকার, প্রতিরোধ না করে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকবে আইনের দোহাই দিয়ে? আরে আইন কীসের জন্য! কাদের তরে! কার ভালোর জন্য এই আইন? উত্তর কি একটাই দাঁড়ায়? সেটা কি বাংলাদেশ!

সরকার কি পারেনা শক্ত হাতে একটা চপেটাঘাত করতে ঐ বেজন্মাদের মুখের ওপর! নাকি সরকারও তার মেরুদন্ড বন্ধক দিয়ে রেখেছে ঐসব জঘণ্য জানোয়ারদের কাছে! হয়ে গেছে কোন নপুংশক সরকার!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

নেতা তৈরি থাকেনা... গণজাগরণই নেতা তৈরি করে। মানুষ জাগতেছে এইটাই আশার কথা... আরো জাগাইতে হবে। ৩ তারিখে যদি সফল একটা সমাবেশ করা যায় (যে কোনো প্রতিকূলতা পার হইয়া) তাইলে সেইখানেই একটা কেন্দ্রিয় শক্তির পয়দা হইতে পারে। চেষ্টা চলুক।

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

কনফুসিয়াস এর ছবি

জেনারেল ইবরাহীমের কথা শুনে মুগ্ধ হয় নাই, এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। ভীষণ ট্যালেন্টেড আর উদ্যমী মানুষ হিসেবেই জানি উনারে। উনি এরকম একটা স্টেপ নেয়ায় ভরসা হচ্ছে।
---------
তিন তারিখের সমাবেশটা আমাদের জন্যে একটা টার্ণিং পয়েন্ট হয়ে দেখা দিতে পারে। বড় আশা নিয়ে তাকিয়ে আছি ওখানে।

-----------------------------------
যা দেখি তা-ই বলি...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

ভীষণ ট্যালেন্টেড ও ভীষণ উদ্যমী। (উপরে কনফুর মন্তব্য)
অথচ এই লোকটা সেনাবাহিনীর প্রধান হতে পারলো না।

যে দেশ, যে জাতি তার মেধাবী, সত, কর্মঠ সন্তানদের প্রতি অবিচার করে তার এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কই?

তবে মেজর জেনারেল ইব্রাহিমের একটা ইনস্টিটিউট আছে, হযরত মুহাম্মদ ইনস্টিটিউট। সেটার টাকা-পয়সা কোন কোন দেশ থেকে আসে তা জানা দরকার। কারণ টাকা দেনেওয়ালারা সময় বুঝেই চাপাচাপি করেন। দরকার মত।
-----------------------------------------------
খড়বিচালি জোগাড় করি, ঘর বানাবো আসমানে

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

আহীরা এর ছবি

এই-ই হইলো অবস্থা। দশচক্রে পড়ে ভগবান ভূত হলেন আর ভূত হলেন ভগবান। কেবল হজরত মুহম্মদ ইনস্টিটিউটই নয়, তিনি কিন্তু চট্টগ্রামের ভাসানী পরিষদ কিছু বামপন্থিদের থেকে কেড়ে নিয়ে নিজে চালাচ্ছেন।
তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের সামরিক দায়িত্বে ছিলেন একসময় এবং তার সময়েই কল্পনা চাকমা অপহৃত ও নিখোঁজ হয়।
তারপরও যদি আপনাদের মনে হয় এরকম দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধা জেনারেলের অধীনে সামরিক শাসনও ভাল। তাহলে তথাস্তু। যেমন জাতি তেমন শাসক।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি কনফিউজড তারে নিয়া!! ক্যান জানি না।

তাই নিজের কন্ঠেই কইলাম: বিচার কর সরকার!! বিচার কর!!

--বাপ্পী

কনফুসিয়াস এর ছবি

জেনারেল ইবরাহীম সম্পর্কে আমার জানার উৎস আলাদা, তাই হয়তো এই ব্যাপারগুলা আমার জানা নেই।
আমি যে ভাবে জেনেছি, সেটাই বলেছি উপরে। আমার জানার বাইরেও অনেক কিচুই থাকতে পারে।
-----------------------------------
যা দেখি তা-ই বলি...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।