ব্যভিচারের সংজ্ঞা কি? সামাজিক স্বীকৃত সম্পর্কের বাইরে গিয়ে কারো সাথে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন। বেশ্যাবৃত্তি কি কোনো সামাজিক সম্পর্কের পর্যায়ে পড়ে? বেশ্যাবৃত্তি কি ব্যাভিচারের বাইরের কোনো নিয়ম? মদিনায় কি সে সময়ে বেশ্যাবৃত্তি প্রচলিত ছিলো? ইতিহাস ঘেঁটে দেখতে হবে- তবে ব্যভিচারের বিষয়ে খড়গহস্ত ছিলো মোহাম্মদ, ওমর, আবু বকর, এমন কি আলীকেও দেখা যায় এই বিধান দিতে- সবই মোহাম্মদের বরাতে দেওয়া- কিন্তু মোহাম্মদ পতিতাবৃত্তিকে সম্ভবত ব্যভিচারের কাতারে ফেলেন নি- আমাদের ইসলামি বিশ্বাসেই পতিতাবৃত্তিতে অংশগ্রহন করা সম্ভব।
Volume 7, Book 63, Number 195:
Narrated Jabir:
A man from the tribe of Bani Aslam came to the Prophet while he was in the mosque and said, "I have committed illegal sexual intercourse." The Prophet turned his face to the other side. The man turned towards the side towards which the Prophet had turned his face, and gave four witnesses against himself. On that the Prophet called him and said, "Are you insane?" (He added), "Are you married?" The man said, 'Yes." On that the Prophet ordered him to be stoned to the death in the Musalla (a praying place). When the stones hit him with their sharp edges and he fled, but he was caught at Al-Harra and then killed
ইসলাম ব্যভিচার নিষিদ্ধ করেছিলো। ব্যাভিচারীর শাস্তি বিবাহিত হলে পাথর ছুড়ে হত্যা করা আর অবিবাহিতের জন্য নির্ধারিত শাস্তি হলো ৮০ থেকে ১০০ চাবুকাঘাত।
ইহুদিদের সাথে মৈত্রিতার বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার চেষ্টার সময় মোহাম্মদ একত্ববাদী ধর্মের ঐতিহ্য মেনে নিজেকে ইহুদিদের উল্লেখিত সর্বশেষ নবী বলে প্রচারের চেষ্টা করেন। জিব্রাঈল সংক্রান্ত জটিলতায় তার এই সমঝোতা প্রস্তাব আটকে যায়। সেটা ভিন্ন গল্প।
তবে যেহেতু মোহাম্মদ এর পরে মদিনায় অবস্থিত খ্রীষ্টানদের সাথেও মৈত্রিতার বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তাই যীশুর মহান কীর্তি কিংবা বিখ্যাত মিথটিকে ব্যবহারের চেষ্টা করেন।
যিশু একদা রাস্তা দিয়া যাইতেছিলেন সেখানে দেখিলেন একজন ব্যভিচারিনীকে পাথর ছুড়ে হত্যার চেষ্টা চলছে, যীশু কহিলেন তোমাদিগের মধ্যে যারা কোনো পাপ করে নাই তাহারাই শুধুমাত্র এই ব্যাভিচারিনীকে পাথর ছুড়ে মারিবার যোগ্য-
অতঃপর সবাই চলিয়া গেলো।
সে সময়েই বিখ্যাত কিংবা কুখ্যাত পাথর ছুড়ে হত্যার আয়াত নাজেল হইলো।
প্রিয় মদীনাবাসী এই পাথর ছুড়ে ব্যাভিচারি শিকারের উদ্যোগ ভালো চোখে দেখতে পারে নি- তারা প্রতিরোধ করিলো এবং মোহাম্মদও এই আয়াতের কার্যকরিতা স্থগিত ঘোষণা করিলেন। এটা অনেক আগে লেখা কোরান সংকলনের ইতিহাসে পাওয়া যাবে।
পাথর ছুড়ে হত্যার আয়াত প্রথম সংকলিত কোরানে ছিলো না, পরে ওমরের কথায় এটা সংশোধনী হিসেবে কোরানে স্থান পায়-
তবে পাথর ছুড়ে মারবার গল্প আছে বুখারীতে। বেশ কয়েকবারই পাথর ছুড়ে ব্যভিচারি হত্যা করা হয়েছে।
তবে আজ আবারও একটু বেকায়দায় পড়লাম- বেশ ভালোমতোই বেকায়দায় পড়লাম।
ইসলাম পতিতাবৃত্তি নিষিদ্ধ করে নি, বরং পতিতার দালাল হতে নিষেধ করেছে।
Volume 7, Book 63, Number 259:
Narrated Abu Juhaifa:
The Prophet cursed the lady who practices tattooing and the one who gets herself tattooed, and one who eats (takes) Riba' (usury) and the one who gives it. And he prohibited taking the price of a dog, and the money earned by prostitution, and cursed the makers of pictures.
ইসলামে কি পতিতাবৃত্তি নিষিদ্ধ নয়? লালনের গান মনে পড়লো, গোপনে যে বেশ্যার ভাত খায়, তার জাতের কি ক্ষতি হয়।
বেশ্যার ভাত খেতে মানা তবে বুখারী পড়লে মনে হয় বেশ্যাবৃতিকে ইসলাম নিষিদ্ধ করে নি।
নিষিদ্ধ না করবার কারণ কি? কোনো সম্মানিত বিশ্বাসী মহিলার পতিতাবৃত্তিতে অংশগ্রহন করবার কথা নয়- সেখানে নানাবিধ সমস্যার সাথে একটা চলমান সমস্যা হলো ব্যাভিচারের অভিযোগ-
ব্যভিচারের জন্য বীভৎস হত্যার উদ্বুদ্ধ আমাদের সম্মানিত আলেমগণ। পাকিস্তানে পাথর ছুড়ে হত্যা একটা বড় মাপের উৎসব হয়ে যায়- সেখানে এই সুন্নাহভিত্তিক প্রমাণ দাখেল করলে অন্তত নিহত মেয়েরা বেঁচে থাকতে পারতো।
মন্তব্য
আমি একমত। সোজা কথায় পাপকে ঘৃণা কর পাপীকে নয়। পতিতাবৃত্তির জন্য সমাজ ব্যবস্থা দায়ী।
খুব ছোট বেলাতেই আমার ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস শিথিল হতে হতে লোপ পায়, সেই সঙ্গে অন্য সব ধর্মকেও অপ্রয়োজনীয়, এবং বিভাজনকারী মনে হয়। তবে আমি ইস্লামী আচার পালন না করলেও কখনো আগ বাড়িয়ে এর বিরুদ্ধে প্রচারে উদ্যোগী হই নি। আপনার পরিচয় লিপি পড়ে বোঝা গেল এটা আপনার জন্য একটা মিশন। নিশ্চয়ই এর কোন মনসতাত্ত্বিক কারণ আছে। আমি তা জানতে উৎসাহী নই।
তবে আপনি যদি আসলেই মানুষের হিতের জন্য এ প্রচার অভিযানে উদ্যোগী হয়ে থাকেন, আমার অনুরোধ, অনুগ্রহ করে বেছে বেছে ইসলাম বিরোধী সাইটে আপনার মতবাদের সমর্থন খুঁজবেন না। এ রকম অনেক সাইট আমার নজরে এসেছে যাদের উদ্দেশ্য সত্য উদ্ঘাটন নয়, বিকৃত সত্য বা ডাহা মিথ্যা দিয়ে ইস্লামই শুধু নয়, সমস্ত মুসলিম সমাজকে (আমার মত নামে মাত্র মুসলমানকেও) অপমানিত অপদস্থ ও উত্তেজিত করাই এদের কাজ। ইউরোপে মুহম্মদের নামে অযথা অশোভন কার্টুন ছাপা, বা তা নিয়ে এখানে এত হৈচৈ, বা মুহাম্মদ বিড়ালের কার্টুনকার আরিফকে শাস্তি দেওয়া, সবই অযৌক্তিক। নীরবে নিজের গঠনমূলক কাজ করে যাওয়াই সর্বোত্তম।
আপনি কি করেছেন কিংবা আপনি কি করেন নি সেটা আমার যাচাই করবার বিষয় না। আপনার ধর্ম বিষয়ে উদাসীনতা- অনুৎসাহ থাকতেই পারে- সেটা আপনার নিজস্ব অবস্থানের বিষয়-
আমি আপনাকে ধরে বেধে কোনো নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে ভাবতে কিংবা কোনো নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে না ভাবতে অনুরোধ কিংবা আদেশ করি না।
আপনি যদি না পড়েন পড়বেন না, যদি ধর্ম পড়েন বুঝে পড়েন- আধুনিক যুগে অনেক রকম বাখ্যাই চালু আছে- কিছু কিছু অতিউৎসাহি মানুষ অনেক রকম আচরণের ধর্মীয় ব্যাখ্যা চাইছেন। সেখানে এটা একধরণের সান্তনামূলক অবস্থান হতেও পারে-
আপনার মতো যাদের অনেক ভেতরে ধর্মের কোমলতা রয়েই যায় ডাস্টবীনের আবর্জনার মতো- অনেক ধুলেও সেই গন্ধ যায় না- তেমন অনেক পতিতা গমনকারী মানুষও আছে যাদের ভেতরে জুম্মাবারে টুপি মাথায় মসজিদে শুক্রবারের ফয়াশানের নেশাও আছে-
তাদের জন্যই এটা আশার বানী হয়ে দাঁড়াবে। তারা নিশ্চিত মনে যেতে পারবে পতিতাপল্লীতে- অন্তত অনৈসলামিক কিছু তারা করছে না।
তবে এটা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত একটা প্রশ্নই ছিলো, কোথাও সিদ্ধান্ত দেওয়ার চেষ্টা ছিলো না- অসংগতি থাকলে সেটা সামনে আসবেই- সেটা সামনে আসলে এটাকে বিধর্মী কিংবা ধর্ম বিরোধী প্রচারণা কিংবা এমন ধর্মবাদী বাক্যে আড়ালের প্রয়োজনয়ীতা নেই- আপনার ধার্মিক উদাসীন মন আহত হয়েছে এটাতে লজ্জাবোধের কিছু নেই- আর ইসলাম বিরোধি সাইটে গিয়ে এটা খুঁজে বের করতে হয় নি- এটা বুখারিতে আছে- এবং সেখান থেকেই সংকলিত- কথা হলো আমার বুখারি পড়াতে আপনার কোনো সমর্থন নেই কেনো- ধর্ম নিয়ে পড়াশোনা করলেও কেনো আপনার মনে হয় সেটা ইসলাম বিরোধি সাইটে গিয়ে পড়তে হবে।
ইসলামে তো ক্ষণকালীন বিয়ে জায়েজ। এই পদ্ধতির সঙ্গে পতিতাবৃত্তির তফাত তো কোনও দেখি না!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
নিজেকে জয় করার অর্থ বিজয় না পরাজয়?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
ইসলামে পতিতাবৃত্তি হারাম। এই বিধিগুলো আসলে একটিমাত্র হাদিস বা কয়েকটি হাদিস দেখে হয় না। অনেক হাদিস একসাথে করে বিধি করা হয় এবং এগুলো ফিকাহ্ তথা ইসলামী আইনের অন্তর্ভুক্ত। ইসলামী আইনে পতিতাবৃত্তি নিষিদ্ধ।
তবে পতিতার সংজ্ঞা নিয়েই অনেক ঝামেলা আছে। ইসলামের এই আইনগুলো নিয়ে ঝামেলাও তাই অনেক। তার চেয়ে স্বাধীনতাই উত্তম।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
ভাই শিক্ষানবীস-
এই বিধিগুলো আসলে একটিমাত্র হাদিস বা কয়েকটি হাদিস দেখে হয় না। অনেক হাদিস একসাথে করে বিধি করা হয় এবং এগুলো ফিকাহ্ তথা ইসলামী আইনের অন্তর্ভুক্ত। ইসলামী আইনে পতিতাবৃত্তি নিষিদ্ধ।
কথা হলো ঠিক কয়টা হাদিস এক করে বিধি তৈরি করলে ইসলামে পতিতাবৃত্তিকে বৈধ করা যাবে-
যদিও প্রকৃতপক্ষে ইসলামি আইনের সংখ্যা সীমিত- চুরি, খুন, ব্যাভিচার এবং সম্পদের বন্টন- এর বাইরে তেমন কোনো আইন চোখে পড়ে নি আমার, বাকি সবই আমাদের নিজস্ব উদ্ভাবন-অনেক অমানবিক আইন আছে এখানে তেমন অনেক হাস্যকর বিধি আছে- সমস্যা হলো এখানে পতিতাবৃত্তি সংক্রান্ত মানসিক অভিঘাত- পতিতাবৃত্তি ইসলাম বৈধ করে নি এটা খুব নিশ্চিত ভাবেই সিদ্ধান্ত দিয়ে দেওয়ার আগে মনে হয় অনুমাণের বাইরে এসে দেখা ভালো- আসলেই এমন কিছু বলা হয়েছে কি না।
এত কম জেনে আপনারা ইসলাম নিয়ে কি করে কথা বলেন ভাবতেই অবাক লাগে। একজন তাও ইসলাম উপর কম বিশ্বাস আছে এটা স্বীকার করেও যে মন্তব্য করেছেন যথেষ্ট ভাল কথা বলেছেন। পোষ্টটা যিনি করেছেন আপনার উচিত অনেক বেশি জেনে কথা বলা। আর এক জন বলেছেন ইসলামে ক্ষ্ণকালীন বিয়ে জায়েজ, কোথায় পেয়েছেন এমন ঊদ্ভট তথ্য? এক সময় মুতা বিবাহর অনুমতি দেয়া হয়েছিল সেটাও প্রায় রাসুলুল্লাহর সময়ের কথা। এরপর এই বিবাহ সম্পুর্নরূপে বাতিল করা হয়।
আবারো একটা কথা, জেনে বলবেন। ভাল মত জেনে। মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন না।
কবে বাতিল করা হয়? কে বাতিল করেন? কেন বাতিল করেন? ডিটেলসে বলেন। বলার দায় আপনার কারণ বাতিলের প্রসঙ্গ আপনি উত্থাপন করেছেন।
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
@ অলিউর রহমান চোধুরী
একজন গড় ধার্মিক যতোটা জানে নিজের ধর্ম সম্পর্কে, তার চেয়ে ঢের বেশি জানে একজন গড় ধর্ম-অবিশ্বাসী। ধার্মিককে খুঁজতে হয় না কারণ - শর্তহীন বিশ্বাস তার কাছে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর। আর ধর্ম-অবিশ্বাসী জানে তার অবিশ্বাসের কারণ। প্রচলিত আরোপিত বিশ্বাসে সে সন্তুষ্ট নয়। অনেক পড়ে সে নিজে সিদ্ধান্ত নেয়।
ইরানে এই পদ্ধতি এখনও প্রচলিত। এবং তা চালানো হয় ইসলামের নামেই। যে-ধর্ম বহুবিবাহ সমর্থন করে, স্বামীকে দেয় স্ত্রীকে প্রহারের অধিকার, স্ত্রীকে তুলনা করে শস্যক্ষেত্রের সঙ্গে যেখানে স্বামী তার ইচ্ছেমতো চাষ করতে পারে,... তালিকা হতে পারে বিশাল, সেই ধর্মে ক্ষণকালীন বিয়ের প্রচলন থাকবে, তা তো মোটেও অস্বাভাবিক মনে হয় না।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
নিজেকে জয় করার অর্থ বিজয় না পরাজয়?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
ইতিহাস ঘাটতে গেলে বিভ্রান্তই হতে হয়। যদিও এ আঁধার অনেক সময় আলোর অধিক হয়ে উঠে।
---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
মুতা বিবাহ নিষিদ্ধ করা হলেও এর চর্চা থামানো যায় নি- সমস্যা এখানেই-
হিল্লা বিবাহের নিয়ম যেরকম সেটাও কিন্তু পালিত হয় না ঠিক মতো-
সমস্যা হলো ধর্মকে বিশেষ কিছু মানুষের হাতে ছেড়ে দিয়ে আপনার যখন গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরেন তখন তারা বুঝে কিংবা না বুঝে অনেক বিধান সামনে নিয়ে আসেন, আদৌ সে বিধান ইসলামসম্মত কি না এটাও যাচাই করবার মানসিকতা হয় না আপনাদের।
বিধান তৈরির সময় এ রকম স্বেচ্ছাচারী স্বাধীনতার কারণে মুকসেদুল মুমেনিন অবশ্য পাঠ্য হয়ে যায় বিবাহিত নারীদের- সেখানের বিধান নিয়ে কিছু বলবার আগেই এটার ১০ম সংস্কার শেষ হয়ে যায়- অনেকে এখান থেকেই বিধান তৈরি করেন- গোঁড়ামির জন্য অবশ্য তেমন ধর্মের সহয়তাও লাগে না- আমার মনে হলো ইসলাম এমন করতে পারে তাই ইসলাম এমন- এই জায়গাও অনেকে ধরে রাখে-
সমস্যা হলো এই জায়গাটাতে নিরাবেগ হতে পারা- যে প্রশ্ন এসেছে সামনে সেটাকে বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো- আবেগকে ব্যবহার না করে অনুমাণ ব্যবহার না করে উপস্থাপিত তথ্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিয়ে নেওয়া-
এখানে একটা প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে- সে বিষয়ে যদি কিছু বলেন ভালো হয়।
যাহোক ধর্মগ্রন্থের আইন নিয়ে বলতে গেলে আমি হিন্দু মনুস্মৃতির কথাও কিছু বলি। যদিও এর আইনগুলো কোনোভাবেই আজকের দিনে মানা হয় না তবুও এগুলো থেকে আঁচ করা যায় কত কষ্টে আমাদের পূর্বপুরুষেরা দিন কাটিয়েছেন।
এবার সমস্যা হল মনুস্মৃতি অনেক জায়গাতেই গীতার সাথে বিরুদ্ধাচরণ করে। তাহলে কোনটাকে ঠিক ধরব? মনুস্মৃতি না গীতা? আমি খুব ভালই বুঝতে পারছি, অনেক আগে যখন ধর্মগ্রন্থের অধিকার শুধু উচ্চবর্ণেই সীমাবদ্ধ ছিল তখন নিম্নবর্ণের লোকজনকে প্রয়োজনমত ব্যাখ্যা শুনিয়ে কাজ হাসিল করা হত। উদাহরণ হল হিন্দু জন্মভিত্তিক বর্ণাশ্রম যেটার কথা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্নভাবে লেখা আছে।
তাহলে এবার কথা হল, ধর্ম আসলে কোনটা? যেটা গীতায় লেখা আছে? না যেটা মনুস্মৃতিতে লেখা আছে? না যেটা শুনিয়ে লোকজনকে আর সমাজকে চালানো হত?
এক জায়গায় কিছু একটা জায়েজ বলে আরেক জায়গায় সেটাকে নাজায়েজ বলা হলে সেটা কি মানুষের দোষ না গ্রন্থের?
খুব ভালই বুঝতে পারছি এই ধরণের বিতর্ক সব ধর্মেই আছে। সেই জন্যই ধর্ম শুধু ঐতিহাসিক প্রসঙ্গেই ঠিক থাকে - অন্য কোনো প্রসঙ্গে ঠিক থাকে না।
হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
নতুন মন্তব্য করুন