একটা ফোনকল কাঁটা হয়ে বাজছে

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি
লিখেছেন পান্থ রহমান রেজা (তারিখ: রবি, ১৮/১০/২০০৯ - ২:৪১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

‘কই তুমি।’
বাসায়, ছাদে হাঁটছি, ক্যানো?’
‘সুপ্রিয়’র সাথে, না? ভালোই সেজেছো দেখছি’!
ফোন কেটে দেয় আদনান।
আর কী বলবে সে।
অন্দ্রিলা সুপ্রিয়’র সাথে! অথচ কাল রাতেই এসএমএস করেছে, মাই সুইট আদু।
আদনান রাপা প্লাজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। ক্যান্ডেল লাইটে যাবে। রাসেলের বিয়েবার্ষিকী। বিপুল মিরপুর থেকে আসছে। ওর জন্য অপেক্ষা।
অপেক্ষাটা ভালোই ছিল।
দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মানুষ দেখছিল। গাড়ি দেখছিল। চলাফেরা দেখছিল। কেউ ত্রস্ত পায়ে হাঁটছে। আবার কারো যেন কোনো তাড়াই নেই।
‘বাবা, পাঁচটা ট্যাকা দ্যান, রুটি খামু’ একজন ভিক্ষুক এসে টাকা চাইলো।
পাঁচ টাকা দিলো আদনান।
আরেকজন এলো।
তাকেও দিলো।
দূরে আরেকজন ভিক্ষুক দেখা যাচ্ছে। আদনান ভাবছে, হয়তো সেও এসে টাকা চাইবে। ভিক্ষুকটি একজন মাঝবয়সী মহিলার পেছন পেছন ঘুরঘুর করছে। মহিলা ভিক্ষা দিচ্ছে না। আদনান অপেক্ষা করছিল, কখন তার কাছে আসবে।
অপেক্ষাটা নরক বানিয়ে দিলো অন্দ্রিলা।
হুস্ করে একটা পালসার ওয়ানফিফটি গেল! ডিটিএসআই! পেছনে অন্দ্রিলা বসে!
সুপ্রিয়’র সাথে ক্যানো সন্ধ্যাবেলায়!
রাসেল অন্দ্রিলাকে নিয়ে আসতে বলেছিল।
‘উফ! আমার প্রচণ্ড মাথা ব্যথা করছে। তুমি একাই যাও।’
মাথা ব্যথা নিয়ে অন্দ্রিলা সুপ্রিয়’র সাথে!
সুপ্রিয় ফটোগ্রাফার। বেশ মিশুক। বইয়ের ভাষায় কথা বলে। আজিজে, ছবির হাটে দেখা হয় মাঝে-মধ্যে। কথা হয় আরো কম।
সিটি কর্পোরেশনের একটা ট্রাক গেল। দুর্গন্ধ ছড়ালো কিছুটা।
এইটা ট্রাক না হয়ে ট্রাম হতে পারতো।
বিষন্ন জীবনানন্দ দাশ দূর থেকে ডাকলো তাকে।
দাশবাবু বলেছেন, ‘মানুষের মৃত্যু হলে তবুও মানব থেকে যায়!’
একটা সিটি বাস এলো। মাইলাইন।
আচ্ছা, সিটি বাসের নিচে চাপা পড়লে অন্দ্রিলা কী তাকে মনে রাখবে?
হয়তো রাখবে।
রিক্সায় নিউমার্কেট থেকে ফিরছিল সেদিন। হঠাৎ-ই বৃষ্টি নামলো।
রিক্সার হুড উঠে গেল। পাতলা পলিথিনে শরীর ঢেকে গেল। অন্দ্রিলাকে চুমু খেয়েছিল সে সময়ে।
মনে হয়, চুমুটা খুব গভীর ছিল।
অন্দ্রিলা বলেছিল, ‘আজকের এই মূহূর্তটা কোনোদিন ভুলবো না।’
স্মৃতি কয়দিন বেঁচে থাকে।
পত্রিকায় নিউজ বের হয়েছিল সেদিন। দুঃখময় স্মৃতি ওষুধে তাড়ানো যাবে।
ওষুধটা কবে আসবে বাজারে!
তাহলে রুপাকেও তাড়ানো যাবে।
সেদিন ফোনে মা বলেছিল, রুপার বাচ্চা হয়েছে। মেয়ে।
মা-মেয়ে সুস্থ আছে।
খবরটা শুনে আদনানের রাগ হয়েছিল। মাকে কড়া কথা শোনানোর ইচ্ছে করছিল।
মায়ের বয়স হয়েছে। ছেলে-মেয়ের উপর নির্ভরশীলতা বেড়েছে। আদনান দেখেছে, এখন অল্পেতে মা’র অভিমান হয়।
সেদিন ভাইয়া কী বলেছে, মা রাগ করে বোনের বাসায় চলে গেল!
দুদিন পর একাই চলে এলো।
‘কেন যে তোদের পেটে ধরেছিলাম।’ বাসায় ফিরে মার প্রথম কথা ছিল এই। তারপর কিছুক্ষণ একা একা কাঁদলো।
বিপুল কলেজ গেটে জ্যামে আটকে গেছে। আরো কিছুটা সময় লাগবে আসতে।
মা ক্যানো পেটে ধরেছিল, আদনান ভাবলো।
‘প্রথম দিনের সূর্য, প্রশ্ন করেছিল, সত্ত্বার নতুন আবির্ভাবে, কে তুমি? মেলেনি উত্তর।’
রবিবুড়ো উঁকি দিলো মনের গহীনে।
অন্দ্রিলা রবীন্দ্র সংগীত গায়।
অন্দ্রিলার সাথে পরিচয়ই তো হয়েছিল রবীন্দ্র সংগীত সম্মেলনে, পাবলিক লাইব্রেরিতে।
তারপর সিঁড়িতে বসে অনেক কথা হলো।
অনেক কথাই না বলা থেকে গেল!
আচ্ছা, তখন কী ওয়াহিদুল হক বেঁচেছিল? আদনান মনে করতে পারে না। তবে মাকসুদের রবীন্দ্র সংগীত গাওয়া নিয়ে সেই ঘটনার পর থেকে ওয়াহিদুল হক তার খুবই অপছন্দের লোক। মাকসুদের রবীন্দ্র সংগীত গাওয়া নিয়ে অন্দ্রিলার সাথে সেদিন একটা ছোটমতো ঝগড়াও হয়। লাইব্রেরির সিঁড়ি হয়তো সাক্ষী দিতে পারবে তা। সেদিন যাওয়ার সময় অন্দ্রিলার নম্বর চেয়েছিল আদনান।
‘আমিই ফোন দিবো’ বলেছিল অন্দ্রিলা।
আদনান ভুলে গেছিল অন্দ্রিলাকে।
‘আপনি আজ বিকেলে ফ্রি আছেন?’
‘কে বলছেন?’
‘মেঘ!’
বঙ্গোপসাগরের লঘুচাপটি মৌসুমি ঝড়ে পরিণত হয়েছে। সাগরে তিন নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বিকেলে বৃষ্টি হয়ে ভার্সিটির সেন্ট্রাল লাইব্রেবির সামনে এলো অন্দ্রিলা। সে বৃষ্টিতে দু’জনে ভিজলো, মনে মনে।
কত কথা হলো!
এত্তো কথা বলে অন্দ্রিলা! কত আবদার তার!
পাভেল একটি টিভিতে আছে। অনুষ্ঠান প্রযোজক।
একটা গানের অনুষ্ঠানে ঢুকে গেল অন্দ্রিলা।
‘দোস্ত, তোর অন্দ্রিলা তেমন ভালো গায় না রে!’
‘তো কী করবি।’
‘তোর দিকে তাকিয়ে ওকে চান্স দিলাম।’
‘থ্যাঙ্কু, পাভেল মিয়া। তুই বন্ধুঅন্তঃপ্রাণ, জানতাম। আজকে সন্ধ্যায় পিককে দেখা হবে বন্ধু।’
অন্দ্রিলা বিখ্যাত হচ্ছে। একদিন সকালে ফোন দিয়ে পত্রিকা দেখতে বললো।
অন্দ্রিলার ইন্টারভিউ।
ইন্টারভিউ দেখতে দেখতে কোথায় জানি সুতা কেটে গেল।
তবুও ভোকাট্টা ঘুড়ি হয়ে কিছুদিন ঝুলে রইল আদনান।
আবার জীবনবাবু ফিরে আসে।
‘আমার সকল গান তোমারে লক্ষ্য করে।’
গান লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
আবার গান বাজে- সে যে বসে আছে। মোবাইলে।
Ann Calling। Ann মানে অন্দ্রিলা।
ফোন বেজে যায়। আদনান ফোন ধরে না।
আদনান বিষন্ন হয়।
রাপা প্লাজার সামনে দাঁড়িয়ে তার কান্না পায়।
‘ছেলেদের কাঁদতে নেই’ মা বলেছিল।
মা আরো বলেছিল, ‘বউদের মাথায় তুলতে নেই। একটু কড়া নজরে রাখবি।’
আদনানকে নয়, ভাইয়াকে বলেছিল এ কথা।
আদনান অবশ্য মায়ের কথা মেনে নেয়নি কখনো।
মা আসলে পুরুষতান্ত্রিকতারই ধারক। আদনান অনেক ভেবে এটা বের করেছিল।
আজকেই একটা খবর দেখেছে আদনান। প্রথম আলোতে।
‘বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক অ্যান্ড হেলথ সার্ভে ২০০৯’ জরিপের ফলাফল বলছে, ৩৬% নারী-পুরুষ নারীর প্রতি নির্যাতন যৌক্তিক মনে করে।
এই ৩৬% কারা, তা দেখতে ইচ্ছে করছিল আদনানের। সে কী এই ৩৬% এর মধ্যে আছে?
বিয়ে কিংবা সেরকম পরিস্থিতিতে পড়লে হয়তো বোঝা যেত!
বিয়ে করার কথা তো অন্দ্রিলাকে।
একদিন শর্মা হাউজে তারা বিয়ের প্ল্যান করেছিল। সেও ম্যালাদিন আগের কথা।
দিনকাল তো আর এক রকম যায় না।
আজ তার সাথে অন্দ্রিলার থাকার কথা ছিল। নেই।
সুপ্রিয়’র বাইকে চড়ে গেল।
সাজুগুজু করেছে বেশ।
দৃকে যেতে পারে।
না যাওয়ারও একটা সম্ভাবনা আছে। কারণ আদনান ফোন করে বলেছে, সুপ্রিয়’র সাথে তাকে দেখেছে। আদনানও মাঝে মধ্যে দৃকে যায়। এই সেদিন গেছিল। কারুবাসনা’র বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে। তাই অন্দ্রিলা আজ কী সুপ্রিয়’র সাথে দৃকে যেতে চাইবে। মনে হয় না!
আচ্ছা, অন্দ্রিলা সুপ্রিয়’র সাথে কই যেতে পারে? কোথায় বসতে পারে? কী কথা বলতে পারে দু’জনে?
কোথাও বসে বোধহয় অনেক কথাই তারা বলছে এখন। তবে মাঝখান থেকে আদনানের ফোনকলটা হয়তো অন্দ্রিলা মনে কাঁটা বাজছে।


মন্তব্য

ভুতুম এর ছবি

ভালো লাগলো।

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ধন্যবাদ!
..........................................................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

নাজমুস সামস এর ছবি

ভালো লাগলো।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ধন্যবাদ সজল ভাই। জাবিতে কি পাখিরা এসেছে? দেখেছেন কিছু?
..................................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

রেশনুভা এর ছবি
পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ধন্যবাদ! আরো কয়েকটা কৌতুক নামান দাদা!
....................................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

মূলত পাঠক এর ছবি

লেখা খুব ভালো লাগলো। এই স্টাইলের গল্প আজকাল দেখি না, সেজন্য পড়ে আরাম হলো, ছোটো ছোটো বাক্য, গঠনে লঘু এবং কেমন ফাঁকা ফাঁকা কিন্তু সব মিলিয়ে নিরবচ্ছিন্ন, গরম কালের নিষ্কর্মা বিকেলের মুড যেমন হয়। শেষটা একটু লেট-ডাউন (হতাশ হলাম বলতে চাই না), সমাপ্তির ভাবটা আরেকটু ভালো করে প্রকাশিত হলে গল্পটা সম্পূর্ণতা পেতো বলে মনে হয়। তবে এ সবই আমার ব্যক্তিগত মত।

প্রপার নাউন / নাম বিশেষ্য যা খুশি হতে পারে, তবে 'অন্দ্রিলা' কোনো শব্দ হয় না বোধ হয়, কাছাকাছিতে 'ঐন্দ্রিলা' রয়েছে।

স্নিগ্ধা এর ছবি

তবে 'অন্দ্রিলা' কোনো শব্দ হয় না বোধ হয়

এই সচলেই একজন অন্দ্রিলা আছে, এবং ঠিক ওই প্রশ্নটাই আমি করেছিলাম তাকে হাসি

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ধন্যবাদ পাঠক দা!
শেষটা নিয়ে আমারো খুঁতখুটানি ছিল! কিন্তু মাথা আর কাজ করছিল না!

অন্দ্রিলা'র ব্যাপারটা নিয়ে তো স্নিগ্ধাদি বলেই দিয়েছেন।
.................................................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

বালক এর ছবি

হঠাৎ এমন গল্প ক্যান?

_____________________________________________
তুমি হতে পারো একটি স্বার্থক বিষাদের সংজ্ঞা। স্বার্থক নদী, স্বার্থক ক্লান্তি অথবা স্বার্থক স্বপ্ন।

____________________________________________________________________
"জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা
অন্য সবাই বহন করে করুক;
আমি প্রয়োজন বোধ করি না :
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো
এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।"

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

এখন বলা যাবে না! বড়ো হও বালক, তারপর শুনে নিও! চোখ টিপি
........................................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

নাহার মনিকা এর ছবি

বেশ ভালো লাগলো পান্থ!

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

তাই নাকি! আপনার গল্প কই! তাড়াতাড়ি গল্প দিন!
.............................................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

কৃতী  [অতিথি] এর ছবি

বাহ...দারুন তো..পড়তে ভালো লাগলো.!

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ধন্যবাদ!
...............................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

মনে হয়, চুমুটা খুব গভীর ছিল।
অন্দ্রিলা বলেছিল, ‘আজকের এই মূহূর্তটা কোনোদিন ভুলবো না।’

ভালো লেগেছে।আরো ভালো লেগেছে পরের লাইনখানাই। হাসি
স্মৃতি কয়দিন বেঁচে থাকে।

আদনানের জন্য শুভ কামনা
/
ভন্ড_মানব

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

শুভকামনা পৌঁছে দেয়া হবে!
...........................................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

স্নিগ্ধা এর ছবি

পান্থ - আপনি কি খুব বেশিরকম সচলাসক্ত? চোখ টিপি

অন্দ্রিলা, কারুবাসনা - চেনা সব সচল নাম!

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ব্যাপক সচলাক্ত। আফামুনি আপনার কাছে কী আসক্তি তাড়ানোর ওষুধ আছে? হাসি
কারুবাসনার সাথে পরিচয় আছে। দৃকে হওয়া তার বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে আমিও ছিলাম। খাইছে
আর অন্দ্রিলা বলে কোনো অতিথি সচল আছে, জানতাম না। কখনো চোখেও পড়েনি (অথবা পড়লেও মনে রাখতে পারেনি)। কেবল গুগলিং করে তাকে পেলাম। দেখলাম, তিনি অনেকদিন থেকেই আছেন। পরিসংখ্যান বলছে, তিনি ব্লগ লিখেছেন ২টি, মন্তব্য করেছেন ৩৫টি। এইজন্যই বুঝি মিসড হয়ে গেছেন!
...................................................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

পান্থদা, হঠাৎ এই টাইপ গল্প ক্যাঁ ?? ভালা হইসে যদিও- তবু এর সানে নূযুল জাতি জানতে চায় দেঁতো হাসি

-------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

এই শানে নুযুল আবার জিগায় বোকা?! এই আদনান হৈলো পান্থ নিজে! দ্যাখো না- কারুবাসনা'র বই প্রকাশনা অনুষ্ঠানে যায়! চোখ টিপি
কিন্তু, এক্কেরে অন্দ্রিলা! অ্যাঁ

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

সুহান, সবকিছুরই শানে নুযূল থাকতে হয়? আমার কী মাঝে মধ্যে ইমদাদুল হক মিলন, সুমন্ত আসলাম হতে ইচ্ছে করে না! খাইছে
................................................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

স্মৃতি কয়দিন বেঁচে থাকে।

মনে রয়ে গেলো এই বাক্যটা! ছোট ছোট বাক্যে গল্পের বিন্যাস, ভালো লেগেছে খুব।

মধুবন্তী (অতিথি লেখক)

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

মধুবন্তী দি, সেই একটা লেখা দিলেন, আর দিলেন না যে! লেখার অপেক্ষায় রইলাম। ভালো থাকবেন।
......................................................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

পান্থ রেজা ভাই, অনেক দিন পর পর আসি সচলে, লিখিও কম কম। তবে অন্যান্য জায়গাতে কিছু কিছু লিখেছি এর মধ্যে। আবার কিছু লিখলে এখানে জমা দেব। মনে রেখেছেন এটাই ভালো লাগছে।
মধুবন্তী

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

ভালো!
লগালাম এটা বলার জন্যই। আগের অন্য পৈন্থিক গল্পগুলোর মতো অতো ভালো না অবশ্য। হাসি
আবার যাচ্ছি। হ্যাঁ, অচিরেই আরেকটু ফিরবো অবশ্য।

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

আসলে ভালো মন্দের দিকে যাইনি। এমন করে লিখতে পারি কী'না, তাই দেখতে চেয়েছিলাম- ছোট ছোট বাক্য, জটিলতা ছাড়া। সহজ ও সরলপাচ্য! তরতর করে পড়ে ফেলা যায়! এখন বলেন, সেইটা পেরেছি কী'না? দেঁতো হাসি
.......................................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

বাক্যের দৈর্ঘ্যে আর এত কী এসে যায় রে ভাই! সু্দর ক'রে লিখতে পারলে আড়াইহাত লম্বা বাক্যও কোনদিকে ফুরুত্ ক'রে ব'য়ে চ'লে গ্যালো বোঝাই যায় না!
সরলপাচ্য তো তোমার লেখা এমনিতেই হয়। সুন্দরও হয়। এটাও হয়েছে। তবে সুমন্তামি প্র্যাক্টিস করার দরকার কী?!
নিচে সুপান্থদা'র মন্তব্যে একটা থাম'স-আপ দিতে চেয়েছিলাম আমি শতভাগ সহমত হয়ে। কিন্তু তোমার জবাবের আগে সেখানে অনধিকারনাসিকাটা আর গলালাম না। হাসি

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

জেবতিক রাজিব হক এর ছবি

গল্পের ষ্টাইলটা ভালো লাগলো।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

হাসি
.....................................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

ভিন্ন ধারার গল্প পড়তে সবসময় ভালো লাগে হাসি

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

দেঁতো হাসি
.........................................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

আশরাফুল আলম রাসেল এর ছবি

সাইফুল ভাইয়ের সাথে আমিও একমত। পান্থ'র আদনান হবার জোরালো সম্ভাবনা আছে। তবে যাই হোক, লেখাটা অসম্ভব ভালো হয়েছে। আসলে ছোট গল্পই সবচেয়ে বেশি টানে আমাকে। নিজেও লিখতে চেষ্টাও করি, কুলিয়ে উঠতে পারি না, হয়তো...কিন্তু পান্থ'র লেখাটা আমার শেঁকড়শুদ্ধ নাড়িয়ে দিলো। মনে হচ্ছে, এবার এখনই না লিখলেই না....

আমি অতিথি তোমার দেশে.....

আমি অতিথি তোমার দেশে.....

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

হৈ মিয়া আদনান তো তুমিও হতে পারো! চোখ টিপি
.........................................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

সুমন সুপান্থ এর ছবি

লেখক তো তাঁর জগতে অধীশ্বর । স্বাধীনতা নিতেই পারো পান্থ । কিন্তু তোমার যে শক্তি আছে কব্জিতে, তাতে এই সরলপাচ্য গল্প না লিখেও তুমি `তামাই`র দিকে যেতে পারো । তামাই কি যমুনা তীরঘেঁষা কোন জনপদের দিকে । `খোয়াবনামা` না হোক, একটা `কাঁচামাটির বিগ্রহ`তো তুমি দিতেই পারো আমাদের । মেগাসিটির গল্পের জন্য আমাদের `সুমন্ত আসলাম`ই না হয় থাকুক ।

যদিও তোমার আর সব গল্পের মতো এতোটা ভালো লাগে নি । কিন্তু গল্পের যে গতি সেটা অনেকের লেখায়ই আজকাল পাওয়া যায় না ।
খুব ভালো বুনন । কিছু মনে করবে না আশা করছি । তুমি বলেই কথাগুলো বলা ।

ভালো থেকো ।

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

হাসি
........................................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

অম্লান অভি এর ছবি

গল্পের বুনন আর বুননের গল্প.......অন্য রকম বলা যায় না। কিন্তু গতিশীলতা সাধুবাদ বহন করে.....পান্থ'র জন্য।

মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ধন্যবাদ অভি দা! কেমন আছেন আপনি?
..................................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

স্বাদু গদ্য। ভালো লেগেছে।

মহসীন রেজা

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ধন্যবাদ
...................................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

অনিকেত এর ছবি

পান্থ,
খুব অনিয়মিত হয়ে গেছি ইদানিং।
তাই তোমার গল্পটা মিস করে গিয়েছিলাম।
বেশ খানিকখন চেষ্টা করলাম---গল্পটা 'খারাপ' লাগানোর জন্য---
পারা গেল না---
তোমার সব গল্পই আমার ভাল লাগে--এখন আমার আর কী করার আছে বলো?

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

আমারো কী করার আছে বলুন! দেঁতো হাসি
..........................................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি
পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

বস, পালসার ওয়ানএইটি এখন আইছে! হেভি জোশ। একটা সানগ্লাস লাগিয়ে বাইকে চড়লে শ্যালিকা'রা ফিট হইয়া যাইবো! চোখ টিপি
.............................................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

চলুক , ভালু হৈসে

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ধন্যবাদ সাইফ ভাই।
...........................................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

না পান্থ, ভালো হয় নাই।

আপনার যদি মাঝে মধ্যে মিলন/সুমন্ত হতে ইচ্ছে করে তাইলে সেইটা ভিন্ন ব্যাপার। কিন্তু আপনার গল্প হিসেবে এটা ভালো হয় নাই।

সময়ের ব্যস্ততায় এখন সচলের ব্লগ পড়া হয় না। খুব নির্বাচিত কিছু লেখা পড়ি সময় বের করে। আপনারটা পড়লাম এবং হতাশ হলাম। মাইন্ড করলে খুন কইরা ফালামু।

গত বেশ কিছু গল্পে আপনার একটা নিজস্ব স্টাইল তৈরি হচ্ছিলো। মন্তব্য যদি নাও করি। খুব ভালো লাগছিলো।
আজকে এসে ধ্বশায়া দিলেন।

সবার কাছে প্রত্যাশা থাকে না।

আমি ইচ্ছাকৃতভাবে আপনারে এই প্রথম এক দিলাম। কেন দিলাম সেইটা আশাকরি বুঝবেন।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

আপনার এক তারা মাথা পেতে নিলাম! হাসি
.....................................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এইবার ফাইজলামি করি
অন্দ্রিলা কেন? বণিক সাহেব কই গেলেন? মাইরের তো এখনো অনেক বাকি আছে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

বণিক সাহেব কে? অন্দ্রিলা'র সাথে তার কী সম্পর্ক? সম্পর্ক তো আদনান আর সুপ্রিয়'র সাথে! চিন্তিত
......................................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

অবাঞ্ছিত এর ছবি

আমার ভালো লেগেছে।

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ধন্যবাদ।
..................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

সহজপাচ্য গল্প। পড়ে চিন্তাভাবনা করা লাগেনা। দৃষ্টির প্রতি আরাম। বেশ গল্প।

কিন্তু গল্পকার পান্থ যখন এটার স্রষ্টা, তখন প্রত্যাশার পারদ থাকে অন্য। গল্পকার পান্থের কাছ থেকে চাই স্বপ্ন হঠাৎ ভেঙে যাবার গল্প, বাস্তবতাকে ঘোলাটে করে দেখানো বা বনফুলের গল্পের আধুনিকায়ন।

পান্থ নিজেকে ভাঙবে এ প্রত্যাশা আমারো। তবে নিজেকে ভাঙা মানে যদি হয় নিম্নগামী পতন, তবে পান্থ নিজেতেই থাকুক!!

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

খাইছে
.............................................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

তোর লেখার স্টাইলটা অনেক শার্প হইছে রে বৎস। নিয়মিত থাক ক্রিজে।
গল্পের কাহিনী গতানুগতিক , তবে সব মিলিয়ে পৌনে চারতারা দিতে পারলাম।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

আকাশের তারা অথবা সেলুলয়েড তারা নিয়ে আমার অনেক ভাবনা আছে, রেটিং তারা নিয়ে নাই। দেঁতো হাসি

আর নিয়মিত তো ক্রিজে থাকতেই চাই, কুলিয়ে উঠতে পারি না। না মননে-মেধায়, না সময়ে !
........................................................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

হিমু এর ছবি

গল্পটার গতি ভালো লেগেছে, তবে সমাপ্তিতে এসে মনে হলো, ফোনকলটা আদনানের মনেই কাঁটা হয়ে বেজে চলাটা বেশি স্বাভাবিক। অন্দ্রিলার মনে বাজবে বলে আদনানের যে প্রত্যাশা, সেটার ভিত্তি টলমলে।

গল্পের চরিত্রের নামকরণ একটা সমস্যাই বটে হাসি



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

কার যেন একটা কলাম পড়েছিলাম, দেখার যতো চোখ। কলামটার বিষয়বস্তু এখন আর মনে করতে পারি না। তবে নামটা মনে গেঁথে আছে। আসলেই এক একজনের দেখার চোখই আলাদা। আপনি হয়তো আদনানের মনে কাঁটা হওয়াটা দেখলেন। আর আমি দেখলাম অন্দ্রিলার মনে কাঁটা হওয়াটা। আমার মনে হয়েছিল, অন্দ্রিলা যেহেতু মিথ্যা বলেছে আদনানের কাছে- সে বাড়িতে, ছাদে আছে। আর আদনান তাকে দেখে ফেলেছে রাস্তায়, সুপ্রিয়'র বাইকে। এই মিথ্যা বলাটাই তার মনে কাঁটা হয়ে বাজবে। সুপ্রিয়'র সাথে দেখে ফেলাটাও।

হুম, দেখছি নামকরণ সমস্যায় বটে! নাম, নাম না হয়ে সংখ্যা হলেই মনে হয় ভালো হতো। নির্ঝঞ্ঝাট থাকা যেত! দেঁতো হাসি
.......................................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।