তারেক দি পোয়েট

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি
লিখেছেন পান্থ রহমান রেজা (তারিখ: রবি, ০৫/০৯/২০১০ - ১১:৩৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তারেককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
চিন্তায় পড়ে গেছে তারেকের বন্ধু বণিক।
অনেকবার মোবাইল করেছে। দ্য ডায়াল নম্বর কারেন্টলি আনরিচেবল। সুরেলা কণ্ঠে যান্ত্রিক মেয়ে বলে গেছে ক্লান্তিহীন।
একটা এসেমেস দিয়েছে। ডেলিভারি রিপোর্ট এখনো পায়নি।
বণিক দুইবার তারেকের সিঙ্গেল ফ্ল্যাটে গেছে।
দরজায় স্টিকারে লেখা, দূরে গিয়া মর!
বণিক দূরে আর কই যাবে। আজিজে গেছে। ব্যাটা কবি। আজিজের আড্ডায় গাড্ডা মেরে থাকতে পারে। না, সেখানে নেই।
কী মনে করে ছবির হাটে গেছে। সেখানে কথাকলির সাথে দেখা।
কথাকলি তারেকের এক্স গার্লফ্রেন্ড। সেও তারেককে খুঁজতেছে। ফোনে পাচ্ছে না।
তারেকের কাছে রেডস ডিভিডিটা আছে। সেটা নিতে হবে। খুব জরুরি। রেডস ছবিটি দেখে আমেরিকার বিশ শতকের সমাজতন্ত্রের ওপর একটা রিভিউ লিখতে হবে। দৈনিক প্রতিনায়কের সম্পাদক বারবার তাগাদা দিচ্ছে।
কথাকলি রাইফেল স্কয়ারে খুঁজেছে। পায় নাই। এখন তারেকের কপিটাই ভরসা।
তারেক লাপাত্তা। কাউকে কিছু বলে যায়নি।
রাশেদ নাকি তারেককে দেখেছে। গাবতলীর দিকে যেতে। সাথে একটা পিচ্চি। ময়লা জামা গায়। চিনে নাই। রাশেদ পেছন থেকে ডেকেছে কয়েকবার। সে ডাক কানে যায় নাই। পিচ্চি ছেলেটির সাথে বকবকে ব্যস্ত ছিল।
তারেক গেছে চৌহালি। সেখান থেকে আরো ভেতরে। যমুনার চরের গ্রামের দিকে। গেছে রিপনের সাথে।
রিপন ধানমণ্ডি উচ্চ বিদ্যালয় মোড়ের বরকত টি স্টলে কাজ করে। সে নিয়ে গেছে। তাদের গ্রাম দেশে। বাসায় সকালে নাস্তা করে এসে বরকত টি স্টলে এককাপ চা খাওয়া তারেকের প্রতিদিনের অভ্যাস। শুক্রবার তাই এসেছিল।
রাতে একটা কবিতা লিখেছে। নিজের খুব পছন্দ হয়েছে। কবিতা লেখার উত্তেজনায় বলতে গেলে সারারাত ঘুমায়নি। শেষরাতের দিকে শ্রাবণীকে ফোন দিয়েছিল। কবিতা শোনাবে বলে। শ্রাবণী ফোন ধরেনি।
এক জেলেনিকে নিয়ে কবিতা। জেলে গেছে মাছ ধরতে। এদিকে ঝড় শুরু হয়েছে। পরের দিন সকালেও জেলে ফেরেনি। জেলেনির পুরুষ বিহনে একা থাকার কষ্ট, রাতে ঘুমঘোরে হাত বাড়িয়ে প্রিয় মানুষটিকে না পাওয়ার বিরহ, বেদনা নিয়ে কবিতা।
সকালবেলাও উত্তেজনাটা কমেনি। চা খেতে এসে রিপনকে শোনায়।
‘হয় নাই।’ কবিতা শুনে রিপন বলে।
‘কী’
‘আপনার কবিতা হয় নাই।’
টি স্টলের বারো বছর বয়সী ছেলের মুখে কবিতা হয় নাই শুনে তারেক বিস্মিত হয়। রিপনের দিকে তাকিয়ে থাকে। কী বলে এই ছেলে!
কবি তারেক রহিম। তার কবিতা ছাপানোর জন্য দেশের সব পত্রিকা মুখিয়ে থাকে। ঈদসংখ্যার জন্য সাহিত্য সম্পাদকেরা ছয় মাস আগে অগ্রিম কবিতা চেয়ে বসে থাকে। এ সময়ের সেরা তরুণ কবি হিসেবে তাকে নিয়ে লিটলম্যাগগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে।
রিপন বলে, ‘আপনার কবিতায় আসল সত্য নাই। জেলে বউয়ের কষ্টটা ঠিক মতো হয় নাই।’
পরের দুইরাত তার ঘুম হয় না।
এর পরেরদিনই রিপনের সাথে চৌহালি যায়। যমুনার চরে জেলেদের গ্রামে।
গ্রাম নিয়ে তারেকের মনে মনে আঁকা একটা ছবি আছে। গ্রাম যেন হাশেম খানের বইয়ের পাতার ইলাস্ট্রেশনের মতো। সবুজ ধানের ক্ষেতে বাতাস দোল খাচ্ছে। রাখাল ছেলে গাছের ছায়ায় বসে বাঁশি বাজাচ্ছে। দূরে গরুর পাল চড়ছে। চাষীবউ ঢেঁকিতে ধান ভানছে। দাওয়ায় বসে হুঁকো টানছে বৃদ্ধ কৃষক। জাংলায় ঝুলছে কচি জালি লাউ, কুমড়ো।
রিপনের সাথে গ্রামে এসে তারেক হতাশ হয়। এতো দারিদ্র্য গ্রামজুড়ে! অপুষ্ট সব শিশু। চোখ কোটরে বসা। মেয়েদের রূপ-লাবণ্য সব সূর্যের স্নানে ম্লান, বিবর্ণ। বাতাসে কুঁড়ে ঘরগুলো পড়োপড়ো করছে।
পাঁচদিন পর তারেক ঢাকায় ফেরে।
কোথাও বের হয় না। মোবাইল ফোন বন্ধ করে রাখে।
বণিক আসে।
‘হালার পো, কোন গাওয়ালে গেছিলি!”
তারেক কথা বলে না। চুপ করে বসে থাকে। চোখ লাল টকটকে।
‘গাজা বেশি টানছিস!’
সে তবুও নিরুত্তর। একবার বণিকের দিকে তাকায়। পরক্ষণে চোখ নামিয়ে নেয়।
বণিক বলে, ‘শ্রাবণীর সাথে সমস্যা হয়েছে?’
‘না’
‘কি হয়েছে বলবি তো’
‘কিছু হয় নাই’
‘কথাকলি তোকে খুঁজতেছে’
‘ক্যান’
‘কী এক ডিভিডি নিবে তোর কাছ থেকে। বললো খুব জরুরি। ফোন দিবি ওকে।’
‘এখন না পরে’
বণিক দেখে তারেকের চোখ দিয়ে টপ টপ করে পানি পড়ছে।
বণিক অপ্রস্তুত হয়। মনে মনে ভাবে, কথাকলির কথা তুলে কি বিপদে পড়লাম রে বাপ!
বন্ধুমহলে তারেক আর কথাকলি ছিল চমৎকার জুটি। যাকে বলে সোনায় সোহাগা। তাদের প্রেম ভেঙ্গে যাবে কে ভেবেছিল!
তারেক নিজেকে সামলে নিয়ে বলে, ‘আমি আর কবিতা লিখবো না।’
বণিক আশ্চর্য হয়ে তারেকের দিকে তাকায়।
‘ক্যান’
‘আমার কবিতা কিচ্ছু হয় না’
বণিক হাসে। হা হা হা হা!
বলে, ‘কবিতা হয় না।’ হা হা হা হা। ‘কে বলেছে’
‘কেউ বলে নাই’
সত্যি বলছি, আর কবিতা লিখবো না। বারান্দায় দ্যাখ, সব কবিতা কুটিকুটি করে ছিঁড়ে ফেলে দিয়েছি।
বণিক বারান্দায় যায়। বারান্দায় এলোমেলোভাবে কুচি কুচি করে ছেঁড়া কিছু কাগজ পড়ে আছে। কিছু বাতাসে উড়ে উড়ে দূরে গেছে। বণিক কুচি কুচি পাতাগুলো পাশাপাশি রেখে জোড়া লাগানোর চেষ্টা করে। জোড়া লাগে না তা!

গল্পটা এখানে শেষ হতে পারতো! কিন্তু শেষ করা যাচ্ছে না!
কেন আবার, সাইফুল ভাই আছে না! সাইফুল ভাই মানে মিডিয়াকমের সাইফুল আকবর খান। আমার ইমিডিয়েট বস।
সেদিন গল্পটা সচলায়তনে পোস্ট দিবো। ভাবছি আরেকবার গো থ্রু করে নিই। এমন সময় সাইফুল ভাই গল্পটা দেখেন।
‘এটা আসলেই তারেকের গল্প!’
‘না, তারেক আসলে একটা নাম হিসেবে এসেছে।’
‘আমি তো ভেবেছিলাম, এটা আসলেই তারেকের গল্প!’
হুম, এরকম হয়। পরিচিত নাম, চরিত্র দেখে আমরা তার গল্পই ভেবে বসি।
আমার নিজের একটা অভিজ্ঞতা আছে। এবারের বইমেলায় আমার একটা গল্পের বই বেরিয়েছে। বই পড়ে মাঝরাতে এক বালিকার ফোন।
‘ফেসবুকে ভালোই ছ্যাঁকা খেয়েছেন, না!’
একে অপরিচিত নম্বর, তার উপর বালিকার মিচকে মিচকে হাসি।
‘মানে বুঝি নাই।’ গলার স্বর যতটা নরম করে বলা যায়, ঠিক ততটাই নরম করে আমি বলি।
‘আপনার বইয়ের ‘একটি ফেসবুকীয় প্রেমের শেষকৃত্য’ গল্পের কথা বলছি। অই যে, ছেলেটা মেয়ে সেজে আপনাকে ছ্যাঁকা দিলো।’
‘হাহাহাহহাহহাহাহ! এটা বানানো গল্প। আমার নিজের জীবনে ঘটে নাই।’
‘হু, ছ্যাঁক খেলে কেউ কি আর স্বীকার করে!’
‘সত্যি বলছি।’
‘ঠিক আছে, আপনি সত্যি বলছেন। কিন্তু আমি অবিশ্বাস করেছি।’
আমি মনে মনে বলি, পাঠক যা ভাবে তাই সই।
আচ্ছা, তারেকের গল্পটি পাঠক যদি সত্যি ধরে নেয়! ফোন করে যদি কথাকলির কথা জিজ্ঞেস করে! শ্রাবণীর ছবি দেখতে চায় ফেসবুকে! তারেক নিশ্চয় বিরক্ত হবে!

‘গল্পটা একবার তারেককে দেখাও। ওর আপত্তি আছে কি না জেনে নাও।’ সাইফুল ভাই পরামর্শ দেন।

তারেককে নিয়া একটা গল্প লিখবো, এরকম একটা আভাস ওকে আগেই দিয়া রাখছিলাম। এরপর বণিক একদিন বলে, তারেকের কবিতায় আমেরিকার এক অনাবাসী বালিকার প্রেম উপছে পড়ছে। আজকাল চ্যাট করতে তার ওয়েব ক্যাম লাগে।
তখন একটা গল্প মাথায় আসে।
তবে সে গল্প এটি নয়। সে গল্পটি এখনো লেখা হয় নাই। একদিন নিশ্চয় লিখবো।
আপাতত এ গল্পটি তারেককে মেইল করি। দেখি, ও কি বলে!
আমার ধারণা, তারেক আপত্তি করবে না। এইসব ফালতু বিষয়ে যদি মনোযোগ দেয়, তবে আর কবি’র আউলা-বাউলা ক্যারেক্টার কই থাকলো!
তারেক মনেপ্রাণে সম্পূর্ণ কবি। কবি বলেই তো কবিতা ছিঁড়ে ফেলে দিয়েছে! সেই ছেঁড়া কবিতাগুলোই বাতাসে উড়ে উড়ে আবার কবিতা হবে। পাণ্ডুলিপির আয়োজন করবে।

গল্পের শিরোনাম শিল্পী ধ্রুব এষের একটা উপন্যাস অনুকরণে


মন্তব্য

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

হোহোহোহোহোহো...

এবার গল্পের ভুল ধরি।

তারেকের কাছে রেডস ডিভিডিটা আছে।

ভুল, কবি টি ড়েকড়হিমদের কাছে কেবল আজেবাজে সব দার্শ্নিক প্রবন্ধের বই থাকে, কামের ডিভিডি থাকে না।

তারেক গেছে চৌহালি। সেখান থেকে আরো ভেতরে। যমুনার চরের গ্রামের দিকে।

এটাও ভুল। টি ড়েক্রা চৌহালি যায় না, তারা চট্টগ্রাম যায়।

। মোবাইল ফোন বন্ধ করে রাখে।

এটা সবচেয়ে বড় ভুল, কারণ কবি টি ড়েকড়হিম মোবাইল বন্ধ না করে ইক্টু পর্পর ফেসবুক খেলেন দেঁতো হাসি

যাজ্ঞা, গল্প কিন্তু ভালৈসে...

_________________________________________

সেরিওজা

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

হে হে হে! তুমিও দেখছি তারেকের গল্প বইল্যা ধইরা নিলা! চোখ টিপি তবে, তারেককে আবার কথাকলির কথা জিগাইয়ো না। আমার উপর মাইন্ড খাইতে পারে!

অতিথি লেখক এর ছবি

মজা পাইলাম, স্টিকারের বাণীডা জটিল হইছে পান্থ পাই হো হো হো



তারাপ কোয়াস

নাশতারান এর ছবি

আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে। পুরাটাই।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

মুস্তাফিজ এর ছবি

আমারও অনেক বেশি ভালো লেগেছে। পুরাটাই।

...........................
Every Picture Tells a Story

তিথীডোর এর ছবি

আজিজে একবার মিনিট দশেকের জন্য 'বণিক' এবং 'তারেক' নামের দুই সচলের সঙ্গে দেখা হয়েছিলো.. একই মানুষ নাকি? খাইছে

দারুণ মজা পেলাম! দেঁতো হাসি
আ.সা শিমুলকে নিয়ে অমিত আহমেদের লেখা সিরিজটার কথা মনে পড়ে গেলো...

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

আজিজে আপনার দেখা 'বণিক' এবং 'তারেক' এর সাথে পান্থ'র ব্লগরব্লগরের 'বণিক' এবং 'তারেক' এর কোনো মিল নেই। যদি মিলেও থাকে, তা কাকতাল মাত্র! এর জন্য ব্লগ লেখক দায়ী নন। চোখ টিপি

দ্রোহী এর ছবি

কবি তারেকের মত ভালু লোকেরে পচানোয় দিক্কার।


কি মাঝি, ডরাইলা?

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ডরাইলাম! দেঁতো হাসি

ডিজিটাল এর ছবি

মজা পাইলাম!

তা পান্থ, সুহান রিজওয়ান সাহেব যে ভুলগুলা ধরলেন, তার জবাব কৈ?

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

জবাব তো দিছি ডিজিটাল সাহেব!

রোমাল চৌধুরী এর ছবি

বেশ ভালো লাগলো, স্বচ্ছতোয়া প্লব বর্ণনা !

অদ্রোহ এর ছবি

তাড়েক ভাইয়ের দেশইত্যা ফোয়া হিসেবে ওনাকে এমনভাবে পচানোর তেব্ব্র পেরতিবাদ। কবির জয় হোক দেঁতো হাসি

----------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে, সুখের স্রোতে ভাসাও তরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

ক্যামন যেন একটা দ্বিধাদ্বন্দ্বের টানাপোড়েনে পড়ে গেলাম। তবে তারেকের অসমাপ্ত গল্পটা খুব ভালো লাগলো। তারেকের কাব্যিক অনুভূতিগুলো মনকে নাড়া দিয়ে গেলো।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

তারেকের জয় হোক!

নাজনীন খলিল এর ছবি

'এরপর বণিক একদিন বলে, তারেকের কবিতায় আমেরিকার এক অনাবাসী বালিকার প্রেম উপছে পড়ছে। '

অর্থাৎ তারেক আবার কবিতা লিখছে------------

অনেক ভাল লাগা একটি গল্প।অবশ্য তোমার সব লেখাই এমন।
শুভেচ্ছা।

ফারুক হাসান এর ছবি

গল্প খুব ভাল লেগেছে। পাঁচ!

নৈষাদ এর ছবি

গল্প ভাল লেগেছে। (নিগূঢ় অর্থ বাদ দিয়েই)

বালক এর ছবি

ভালো তবে একজন কবিকে পচাঁনোর জন্যে আপনার এ গল্প যথেষ্ট নহে! দেঁতো হাসি
:::::: :::::::: ::::::::::::::: ::::::::::::::: ::::::::: ::::::::: :::::: ::::::: ::::::::::::
অভিলাষী মন চন্দ্রে না-পাক জোৎস্নায় পাক সামান্য ঠাঁই

____________________________________________________________________
"জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা
অন্য সবাই বহন করে করুক;
আমি প্রয়োজন বোধ করি না :
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো
এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।"

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

হৈ মিয়া, আমি তারেককে পচাইছি কই! আপনেই তো তারেককে নিয়মিত পচান।

গৌতম এর ছবি

তাড়েক ড়হিম একজন অশ্লীল কবি যিনি সাম্প্রতিককালে নিজের নাম রেখেছেন তাড়েক সময়।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

তারেকরে অনেকদিন ধরেই কইতেছি তওবা কইরা কবিতা লেখাটা এবার ছাড়তে। ব্যাটায় প্রেমে পড়ার পর থেকে আর কবিতা হইতেছে না, খালি ন্যাকা ন্যাকা বাক্য লেখে।
পান্থ কি এই গল্প লিখে প্রকারান্তরে এটাই বুঝায়া দিলেন যে তারেকের এখন উচিত বিগত যৌবনে লেখা কবিতাগুলা ছিঁড়ে ফেলা? চোখ টিপি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

দেঁতো হাসি

রণদীপম বসু এর ছবি

তাই তো কই, তারেকরে আইজকাইল কবি সম্বোধরে ডাক দিলে সে এটাকে অশ্লীল গালি মনে করে ক্যান !!

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

সাফি এর ছবি

চমৎকার গল্প

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

বাহ্‌!

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

নিবিড় এর ছবি
মাহবুব লীলেন এর ছবি

গল্পটা যেন কী নিয়া?

অতিথি লেখক এর ছবি

'তারেক' রহিম তার নামে আঁকিকা দিয়া 'বারেক' রাখছে। এই নামকরণের পিছনে একটা গল্প আছে, সেইটা ব্লগে কওন যাইবো না। দেঁতো হাসি

ধৈবত

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।