সুশীল প্রথম আলোর ভরসাও সেই হিংস্রতাই

পলাশ দত্ত এর ছবি
লিখেছেন পলাশ দত্ত (তারিখ: মঙ্গল, ১৯/০৫/২০০৯ - ১২:৩৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজকের (১৮ এপ্রিল) দৈনিক প্রথম আলোর ১৬শ পৃষ্টায় পূর্ণপৃষ্ঠার একটি বিজ্ঞাপন প্রকাশ হয়েছে।
বিজ্ঞাপনটি পত্রিকাটির নিজের। ছবিটি দেখুন। সেটিই বিজ্ঞাপন।

বিজ্ঞাপন-ছবির লিঙ্ক : http://www.eprothomalo.com/index.php?opt=view&page=16&date=2009-05-18

বিজ্ঞাপনে যা লেখা : এবার সেই শপথের পালা। যার আঘাতে কেটে যাবে সব অনাচার। যে শপথের অপেক্ষায় আপনি, আমি, সারা বাংলাদেশ। সেই শপথ সংগ্রহ করার জন্যই আপনার এলাকায় আসছে বদলে যাও বদলে দাও ব্যানার।
=====================================

শপথ সংগ্রহের জন্য মানুষের বাড়ি-বাড়ি যাবে দৈনিক প্রথম আলো। শপথের ধারে কেটে ফেলবে সব অনাচার। এদ্দিন অবশ্য আমরা জানতাম শপথের জোর থাকতে পারে। আর সেই জোরে দূরে সরে যেতে পারে অনিয়ম-অনাচার। তবে এবার সুশীল দৈনিক প্রথম আলো দেখালো শপথে জোরের দিন শেষ। এখন সময় ধারের।

তাই তাদের শপথের লোগো তৈরি হয় ছুরির আদলে। এর মধ্য দিয়ে কলমসৈনিকরাই প্রচার করছে যে মসীর চেয়ে অসি বড়ো।

এই যে পত্রিকাটির ছুরি বেছে নেয়া লোগো হিসেবে এ তো আসলে হিংস্রতারই বীজ বপন করা, গোপনে মানুষের মনে। মানুষের মনে এই ধারণাই তো জায়গা করে নেবে যে শক্তিপ্রয়োগ/আক্রমণ ছাড়া নিজের শপথ রক্ষা করা যায় না।

প্রথম আলোর এই লোগো নির্বাচনে তীব্র ঘৃণা জানাই। একটি সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক এইভাবে সমাজে নেতির প্রসার ঘটিয়ে যাবে? আমরা কেউ কিছু বলবো না??


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ছবিটা একটু বড় করে দেয়া যায়? ছোট লেখাগুলো পড়ে মন্তব্য করতে চাই। পত্রিকার তো মানুষের পালস বোঝার কথা। আপাতদৃষ্টিতে শুধু ছুরি দেখে ভয়ংকর মনে হচ্ছে। তবে কি এ প্রজন্মের মানসিকতাও বদলে যাচ্ছে ,নাকি প্রথম আলোই বদলে যাচ্ছে?

...............................
নিসর্গ

সাধু এর ছবি

আপনার সংবেদনশীলতা এবং দৃষ্টিভংগী প্রশংসার দাবি রাখে । ধন্যবাদ ।

পলাশ দত্ত এর ছবি

আর প্রশংসা। বিজ্ঞাপনটা দেখার পর থেকে মন ও মেজাজ দুইটাই ভালো নাই।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

হিমু এর ছবি

শপথ কতদূর কার্যকরী হবে জানি না, ক্যালিগ্রাফিটা ভালো হইছে।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

পলাশ দত্ত এর ছবি

হ্যা। ক্যালিগ্রাফিটা ভালো। শুধু ছুরিটা ভালো না। এটা তো একটা কলমেও করা যেত।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

হিমু এর ছবি

কলম কেন? কলমের সাথে শপথের কী সম্পর্ক?

আমার ধারণা ছিলো শপথের প্রতীক মুষ্টিবদ্ধ হাত। কে জানে। তবে এই ছুরিটা ধারের প্রতীক। আমার একটা মাংস কাটার ছুরি আছে ঠিক এই শেপের।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

সাইফুলাক্বর্খান (লগাউটের পর) এর ছবি

এইখানেই তো কথা!

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

রেফারেন্স হিসেবে রাখলাম:
প্রথমালোর বিজ্ঞাপনপ্রথমালোর বিজ্ঞাপন

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
এই একাউন্টটি কোন মডারেটরের নয়। এই একাউন্ট থেকে মডারেশন করা হয়না, কিংবা এই একাউন্টের কর্মকান্ডের দায়ভার সচলায়তন নেবে না।

পলাশ দত্ত এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ। প্রকৃতিপ্রেমিক বলার পর আমি চেষ্টা করছিলাম ছবিটা বড়ো করার। পারি নাই। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

সবজান্তা এর ছবি

ঘটনাটা ঠিক বুঝতে পারতেছি না... অনেকক্ষণ ধইরাই চেষ্টা করতেছি।

এরকম বিচিত্র, উদ্ভট এবং সহিংস একটা ছবির মানে কী ?


অলমিতি বিস্তারেণ

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ব্যাপারটা দেখে আমার হাসি পাচ্ছে। দেখা যাক প্রথম আলো ছুরি না দিয়ে কি কি দিতে পারতো:

১। ধারালো তরবারি দিতে পারতো (না সেটাতে জঙ্গি জঙ্গি ভাব আছে)
২। ক্ষুর দিতে পারতো (পারতোই তো হা হা.. না পারতোনা, ক্ষুরের প্রচলন নাই এখন)
৩। বর্শা দিতে পারতো (সেটা অবশ্য অনেক বড় সাইজ হয়ে যায়)
৪। বর্শা না পারুক, আলপিন দিনে পারতো (আলপিন তো মৃত)
৫। বেয়নেট? (না সেটার রঙ অন্য)

ধারালো শপথ বলতে এতদিন দৃপ্ত চেহারা, বজ্রমুঠি, পেশীবহুল বাহু এসবই বুঝতাম। এখন দেখি বোঝানোর সিম্বলগুলোও ধারালো হয়ে গেছে। ধারালো চাকুর মতো শানিত ব্যাপারটা ভালো ঠেকলনা। যে ব্যক্তি বা গোষ্ঠীই ক্যালিগ্রাফিটা করে থাকুক সে বা তারা হয় অসুস্থ নয়তো তারা আসলেই বদলে গেছে। প্রথম আলো কোন বদলের কথা বলতে চায়?

হাসিব এর ছবি

প্রথম আলো কোন বদলের কথা বলতে চায়?

ঐটাই প্রশ্ন । আর এই ছুরি টাইপ আইডিয়া আবাল আইডিয়া বলাইবাহুল্য ।

রণদীপম বসু এর ছবি

খুব সহজ কথা ! আগে শপথের ভারে কাটতো, এখন ধারে কাটবে !!

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

হাসান মোরশেদ এর ছবি

ডরাইছি
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

রানা মেহের এর ছবি

কোন স্টুপিড এই লোগোটা করলো?
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

অনাচারী অযাচারী (বিজ্ঞাপন-)এজেন্সি'র ভুত!
লজ্জাই হয়।
মন খারাপ
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

সম্ভবত এরে বলে ছুরি চিকিৎসা। এর পরে আসতে পারে কুড়াল,তরবারি ইত্যাদি ইত্যাদি। চিকিৎসা বলে কথা!

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

হাসান মোরশেদ এর ছবি

সাজ্জাদ শরীফের ছুরি চিকিৎসা দেঁতো হাসি
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

পলাশ দত্ত এর ছবি

কুড়াল এসেছে। আজকের প্রথম আলোয়। ৯ম পৃষ্ঠায়।
লিঙ্ক : http://www.eprothomalo.com/index.php?opt=view&page=9&date=2009-05-19
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

হাসান মোরশেদ এর ছবি

ফ্রিডম পার্টির কুড়াল দেঁতো হাসি
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

পলাশ দত্ত এর ছবি

auto

দৈনিক প্রথম আলোর ১৯মে ২০০৯ সংখ্যার ৯ম পৃষ্ঠায় ছাপা হওয়া নিজস্ব বিজ্ঞাপন।

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

ভুতুম এর ছবি

আমি একটু দ্বিমত পোষণ না করে পারছি না। আমার মনে হয় না শপথের এই ছুরি মানুষের মনে হিংস্রতার বীজ বপন করবে, বরং এটা একটা [/i]অ্যাকশন লোগো[i] হয়েছে বলে আমার মনে হয়। শপথ নিয়ে বুলি কপচাচ্ছি তো আমরা সেই স্বাধীনতার পর থেকেই, মুখে আর মসীতে অনেক ফেনাই তোলা হয়ে গেছে। এই মুহূর্তে আমাদের কিছু করার সময়। এই ছুরিটা হয়তো সেই করাটার দিকেই উদ্বুদ্ধ করার প্রচেষ্টা, মানুষকে হিংসার দিকে ঠেলে দেয়ার নয়। আর শক্তিপ্রয়োগের কথা যদি আসে, পারিপার্শিকতার চাপে আমরা অনেকেই যখন বিকিয়ে যাচ্ছি/ যেতে বাধ্য হচ্ছি, তখন একটা ভালো শপথের প্রয়োগে শক্তির পরিমিত ব্যবহার কতটুকু দোষের? শক্তিটা তো মানসিক ও হতে পারে।

বলছি না প্রথম আলোই সেই "করা"র অগ্রদূত, কিন্তু তারা কিছু শুরু করার চেষ্টা তো করছে। আমাদের দেশের স্বার্থেই আমাদের একসাথে এগিয়ে চলার সময়, কিছু করার সময়। সেটা ছুরির ব্যানারে করছি, না পায়রার ব্যানারে করছি, তাতে কি কিছু আসে যায়?

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

সিরাত এর ছবি

সম্পূর্ন সহমত! চলুক

হাসান মোরশেদ এর ছবি

সেটা ছুরির ব্যানারে করছি, না পায়রার ব্যানারে করছি, তাতে কি কিছু আসে যায়?

কিছুই কি আসে যায়না? তাহলে আর প্রতীকের প্রয়োজন কি? অসি ও যা, মসি ও তা...
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

ভুতুম এর ছবি

প্রতীকের মূল্য তার কাজে। চাঁদ প্রতীক নিয়ে রেড ক্রিসেন্ট মানুষের সাহায্যে লড়ে যাচ্ছে, আর চাঁদ-তারা প্রতীক নিয়ে পাকিস্তানিরা এদেশে জেনোসাইড করেছে। আমার পয়েন্ট এটাই যে আমি ছুরির প্রতীক নিয়ে যদি ভালো কাজই করি, তাতে সমস্যা তো হবার কথা নয়। ছুরি তো আর কোন দোষ করে নাই, ডাক্তারের হাতে গেলে ম্যালিগন্যান্ট টিউমার কাটবে, আর ডাকাতের হাতে গেলে গলা কাটবে। সমাজের দুষ্ট ক্ষতগুলো কাটার জন্য যে লড়াই, তাতে ছুরিকে একটা পজিটিভ লোগো হিসেবে দেখা যেতেই পারে।

একটু পরিষ্কার করে নিই, আমি বলছি না ছুরিই সবচাইতে উপযুক্ত লোগো। বরং বলতে চাইছি উদ্যোগটা যেহেতু ভালো বলে মনে হচ্ছে, তখন তার প্রতীকটা কি সেটা নিয়ে মাথা ঘামানোর দরকার কি? বরং দেশের ভালোর জন্য যেকোন উদ্যোগকেই তো স্বাগত জানানো উচিত।

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

পলাশ দত্ত এর ছবি

প্রতীকের মূল্য কাজে নয়, মানুষের মনে। মানুষের অবচেতন না কী যেন একটা আছে না! যেখানে তার দেখা নান জিনিসের প্রভাব তারই অজানিতে পড়ে যায়! এ কারণেই তো মারদাঙ্গা ফিল্ম-টিল্মের বিরোধিতা করেন সমাজবিজ্ঞানীরা!

আর আজকের কুড়ালটাকে কিভাবে দেখবো? দুষ্ট ক্ষতকে কুপিয়ে শেষ করার জন্য কুড়াল দরকার। তাহলে সভ্যতা নামে কোনো বস্তুর প্রয়োজন হয় না। যে যার মতো শক্তি দিয়েই একে অন্যের সঙ্গে লড়ে যেতে পারি।

বিজ্ঞাপনের ছুরি+কুড়াল মানুষের মনে হিংস্রতার ইঙ্গিতই রেখে যাবে।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

ভুতুম এর ছবি

আপনার পয়েন্টটা আমি বুঝতে পারছি। আশা করি আমি কি বলতে চাইছিলাম সেটাও বোঝাতে পেরেছি। ব্যাপারটা অনেকটাই ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গীর উপর। আপনার কাছে একটা প্রতীক হয়তো ধংসের, অন্যের কাছে সেটা হয়তো গঠনের। কাজেই এই বিষয়ে আর তর্কের মনে হয় না প্রয়োজন আছে।

আপনার মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই দ্বিমত জানিয়ে রাখলাম।

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

পলাশ দত্ত এর ছবি

আমিও বুঝতে পেরেছি। আপনি কাজটার ওপর জোর দিচ্ছেন। কাজ ভালো হলেই তো হয়- তা ঠিক। আপনার দ্বিমতেও শ্রদ্ধা।

গোপনে বলে রাখি : এই শপথ সংগ্রহ বিষয়ে একটা পত্রিকার বাণিজ্য বিষয়ক বিশ্লেষণও আছে। সেটা আপাতত থাক। চোখ টিপি

শুভকামনা।

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

ভুতুম এর ছবি

অবশ্যই লিখুন সেই বিশ্লেষণটাও। জানতে চাই বুঝতে চাই বলেই আপনাদের লেখা পড়ি, ভালো লাগে মতামত বিনিময় করতে। সচলায়তনের এই ইন্টারঅ্যাকটিভিটি আছে বলে কত কিছু নতুন যে জেনেছি....

আপনার লেখাটার অপেক্ষায় থাকলাম। শুভকামনা আপনাকেও।

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

দ্রোহী এর ছবি

আমার কিচেন নাইফগুলা একদম এই শেপের। দেঁতো হাসি

নীড় সন্ধানী এর ছবি

‍‌গতকাল বাসায় যাবার পথে টুকটাক কেনাকাটার সময় একটা ছুরি পছন্দ করলাম সালাদ কাটার জন্য। ছুরিটা একদম এই শেপের, পার্থক্য এটার খাপ নাই, আমারটায় খাপ আছে।

দেশ বদলে যাচ্ছে। সবকিছুতে চমক দেয়ার প্রচেষ্টা আধুনিকতার লক্ষন। সেদিন বিটিআরসি চট্টগ্রামে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রচার করার জন্য একটা ট্রাকে মঞ্চ সাজিয়ে পনের বিশজন উন্নত যৌবনা সুন্দরীকে সংক্ষিপ্ত পোষাক পরিয়ে সারা শহরে নাচিয়ে বেড়িয়েছি দিনভর। সুন্দরীদের রূপযৌবন দেখার উসিলায় লোকজনের ভীড় হয়ে যাচ্ছিল রাস্তায়। ট্রাকের গায়ে বিলবোর্ডে লেখা না থাকলে বোঝা মুশকিল হতো এরা কি জন্য জনগনকে হাত নেড়ে নেড়ে ডাকছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রচারেও নারী শরীর প্রদর্শন চলে। এই হলো আমাদের বদলে যাওয়া।

প্রথম আলোর ছুরিকা সেই ধারার চমক কিনা কে জানে।

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

স্পর্শ এর ছবি

সমালোচনাটি গঠনমূলক হয়নি।
শপথের প্রতীক হিসেবে মুষ্টিবদ্ধ হাত একটা প্রোটোটাইপ। নামে যেমন কিছু আসে যায়না। তেমনি এইসব ছবি সিম্বলেও তেমন কিছু আসে যায়না।

অর্থ আগে থেকে থাকে না। আরোপিত হয়।
এই শপথগ্রহন প্রোগ্রামটা আমার কাছে মনে হয়েছে 'কিছু একটা করার চেষ্টা'। আমি বোকা শ্রেণীর অপ্টিমিস্ট বলেই হয়তো লোগোর ব্যাপারটাতে তেমন দূষণীয় কিছু দেখছিনা।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

পলাশ দত্ত এর ছবি

অর্থ আগে থেকে থাকে না। আরোপিত হয়। ঠিক।
আচ্ছা এই যে মন-খারাপের সিম্বল মন খারাপ ;এর অর্থ কি নতুন করে তৈরি করা সম্ভব? যদি না-হয় তাহলে ছুরি-কুড়ালের সিম্বলেও, অন্তত এই বাংলাদেশে, নতুন অর্থ আরোপ কতোটা সম্ভব তা ভাবার বিষয় হতে পারে। নাকি?
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

স্পর্শ এর ছবি

বুঝেছি। আপনার আর আমার রিজনিং এ যে গ্যাপটা তৈরি হয়েছে সেটা হলো- জেনারেশন গ্যাপ। কী আর করা। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

তানবীরা এর ছবি

আমি আমার টাইপ একটা জঙ্গী মন্তব্য করি। ভালো কথায়, লোগোতে এতোদিন যখন কোন পরিবর্তন হয় নাই তাহলে আঙ্গুল বাকা করেই দেখা যাক। তাতেও কাজ না হলে পুরা হাত বাকা করতে হবে, ছুরি বদলে মিসাইল দিতে হবে।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

বিপ্লব রহমান এর ছবি

প্রথম আলো কোনো কমিউনিস্ট পার্টি নয়। তাদের এই শপথের নেপথ্যে রয়েছে পত্রিকার ব্যবসা। তাই পুরো বিষয়টিকে একটি ভন্ডামী মনে হয়।


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

পলাশ দত্ত এর ছবি

চলুক
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

স্পর্শ এর ছবি

প্রথম আলো ভালো কিছু করলে তাদের ব্যবসা বাড়বে। খারাপ কিছু করলে কমবে। এই সহজ সমীকরণটার জন্য কি তারা ভালো কিছু করতে পারবে না?

তারা 'নিউরণে অনুরণ' নামের একটা জিনিস চালু করেছিলো। আমার মতো হাজার হাজার তরুণ, কিশোর, শিশু অন্তত এই একটা কাজের জন্য প্রথম আলোর কাছে কৃতজ্ঞ। আর এই কৃতজ্ঞতা থেকেই তারা নতুন কিছু করতে গেলে- "দেখা যাক কি হয়"। এরকম একটা মানসিকতা তৈরি হয় আমার মধ্যে।

কমিউনিস্ট পার্টির ব্যাপারটা কী বললেন বুঝিনি।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

ছুরির পরে কুড়াল আসলো।
আগামীতে আসতে পারে - দা, বটি, খুন্তি, ব্লেড, কাঁচি, কোদাল এবং আরও অনেক কিছু। এই প্রতীক নিয়ে যুক্তিতর্ক চলতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা চলে গেছে অন্তর্বাসে, রক্তশোষক পণ্যটিতে পতাকার লাল রঙ বাদ দিয়ে বিজ্ঞাপনের স্লোগানে বলা হচ্ছে - 'ইয়্যু এড দ্য রেড'। ক্ষতি কী? বাজারমূল্য যতোদিন আছে ততদিন ব্যবহৃত হবে যাবতীয় চেতনা ও বিশ্বাস।
প্র আলোর এইসব তলোয়ার-কুড়াল হয়তো তার বিগত-বাম-বিপ্লবী সম্পাদকের শেষ বয়সের নস্টালজিয়া হাসি

আমার জানার আগ্রহ অন্য জায়গায়-
এই যে শপথ হবে, কীসের শপথ? কী বলা হবে এই শপথে? কারা টার্গেট অডিয়েন্স? এই শপথের ফলো আপ কী? এটা কি বন্ধুসভার উদ্যোগে - মানব বন্ধন টাইপ কিছু হবে- যেটা মূলতঃ প্র-আলোরই বিজ্ঞাপন হবে? নাকি অন্য কিছু?

যে/যাঁরা মনে করেন, এই উদ্যোগ প্রশংসার যোগ্য। কল্যাণকর উদ্দেশ্য এবং সম্ভবনা আছে এই আয়োজনে, তাঁরা একটু বিস্তারিত বলেন, প্লিজ...। আমি জানতে আগ্রহী।

পলাশ দত্ত এর ছবি

প্র আলোর এইসব তলোয়ার-কুড়াল হয়তো তার বিগত-বাম-বিপ্লবী সম্পাদকের শেষ বয়সের নস্টালজিয়া চোখ টিপি

auto

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

পলাশ দত্ত এর ছবি

auto

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

ধন্যবাদ।
__

মতিউর রহমান বলেন, "ব্যক্তিগতভাবে নিজেদের না বদলালে সমাজ তথা জাতির বদল কখনোই আসবে না। আমরা সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, এনজিও ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক নেতাসহ অনেকেই অনেক কথা বলি ও অঙ্গীকার করি। কিন্তু সেগুলোর বেশির ভাগই পূরণ করি না।" তিনি আরও বলেন, দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রথম আলোর কর্মীরা প্রত্যেকে একটি করে ইতিবাচক পরিবর্তনের অঙ্গীকার করেছেন। কিন্তু নিজের কর্মক্ষেত্রে পরিবর্তনের এই অঙ্গীকারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। তাই দেশের লাখ লাখ নাগরিকের কাছ থেকে শপথ সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

অবশ্যই সুবচন।
কিন্তু, শপথ পরবর্তী অবলোকন ও ইতিবাচক পরিবর্তনের মূল্যায়ন কে করবে? প্র-আলো?
এই রিপোর্ট থেকেই প্র-আলোর লাল থলে দেখা যাচ্ছে -

আগামী জুনের তৃতীয় সপ্তাহ নাগাদ ওই শপথসংবলিত ব্যানারগুলো একত্র করে প্রদর্শন করা হবে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে।

।। প্রচারেই প্রসার ।।

সংক্ষিপ্ত বার্তার (এসএমএস) মাধ্যমেও বদলে যাওয়ার অঙ্গীকার সংগ্রহ করা হবে। ঠিকানা: pro আপনার শপথ আপনার নাম শহরের নাম এবং পাঠিয়ে দিন ২২২১ নম্বরে।

।।এই সংক্ষিপ্ত বার্তা থেকে পাওয়া টাকার ভাগ বাটোয়ারা কীভাবে হবে?।।
___

তবে, প্র-আলো সম্পাদক কি নিজের একটি ইতিবাচক পরিবর্তনের শপথ করবেন?
- আগামীতে কখনো কোনো মৌলবাদী শক্তির কাছে হাত জোড় করে মাফ চাইবো না, কোনো প্রশ্রয় দেবো না-

এটা খুব বেশি চাওয়া হবে কি?

পলাশ দত্ত এর ছবি

auto

আজকে আসলো হাতুড়ি। পত্রিকার ওয়েবসাইটে কয়েকটি পৃষ্ঠা দেয়া হয়নি আজ। সেই তালিকায় এই বিজ্ঞাপনটি যে-পৃষ্ঠায় প্রকাশ হয়েছে সেটিও আছে। তাই ছবি তুলে তুলে রাখলাম এখানে। ও হ্যা, আজকে আর পূর্ণপৃষ্ঠা ছিলো না; আজ এসেছে কোয়ার্টার পৃষ্ঠা আকারে (১২শ পৃষ্ঠায়)।

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

আপত্তিকর, ভীতিকর।

তারপরও পত্রিকা হিসাবে ওটা যা খুশি তাই করতে পারে। যতক্ষণ সত্যি সত্যি কোপ না দিচ্ছে।

অর্থ আগে থেকে থাকে না। আরোপিত হয়।

অর্থ যেটা আগে থেকে আছে (ভোজালি, কুড়াল, হাতুড়ি ইত্যাদির) সেটাকেই প্রথম আলো ব্যবহার করছে। আমার ধারণা।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

এনকিদু এর ছবি

ছুরি কাঁচি কাস্তে হাতুড়ি কোনটাতেই আমার আপত্তি নাই । বিভিন্ন পেশার লোকজনের প্রতীক ব্যবহার করার পরিকল্পনা সম্ভবত তাদের । তাই যদি হয়, সাঁড়াশি অথবা স্ক্রু-ড্রাইভারের ছবি না দিলে আমি কিন্তু এই খেলার মধ্যে নাই । মিস্ত্রী ভাইয়েরা আওয়াজ দেন ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।