পর্যটন শিল্পের বেলুন ওড়ানো

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি
লিখেছেন প্রকৃতিপ্রেমিক (তারিখ: মঙ্গল, ০৩/০৪/২০১২ - ৬:৩৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অনেকদিন ধরেই লিখব লিখব করেও লেখা হয়না। এবার ঠিক করলাম লিখেই ফেলি।

এক দশক আগে বান্দরবান ও রাঙামাটিতে ট্রেকিঙের সূত্রে বহু দুর্গম ও নয়নাভিরাম জায়গা দেখার সুযোগ আমার হয়েছে, কিন্তু সেসব অভিযান যথেষ্ট কষ্টসাধ্য ছিলো। ট্রেকিং বা হাইকিং বাংলাদেশে এখন মোটামুটি জনপ্রিয় হলেও পর্যটনের একটা ক্ষীণ ধারা হিসেবেই রয়ে গেছে। সিংহভাগ মানুষই চায় বেড়াতে গিয়ে কিছু আয়েশ করতে। বারো কেজি ব্যাকপ্যাক নিয়ে টানা ২১ ঘন্টা পায়ে হেঁটে ৬০-৭০ কিলোমিটার পাহাড়ি পথ টপকে কোথাও যাওয়ার মতো তেল বেশিরভাগ পর্যটকেরই থাকে না। তবে এ কারণেই হয়তো পার্বত্য চট্টগ্রামের বেশ কিছু জায়গা এখনও ছবির মতোই সুন্দর রয়ে গেছে। কারণ বাঙালি পর্যটকরা কোথাও গেলে সেই জায়গাটা যথেচ্ছ নোংরা করে দিয়ে আসে।

এই দুর্গম অথচ অদ্ভুত সুন্দর জায়গাগুলো বিনা দূষণে পর্যটকদের ঘুরিয়ে দেখানোর জন্যে তপ্তবায় বেলুন একটি উপযুক্ত বাহন হতে পারে।

100_4502

বেলুনের নানা সমস্যা আছে। খুব বেশি লোক এতে চড়তে পারে না, বিমানের মতো একে ইচ্ছামতো যেদিকে খুশি নিয়ে যাওয়া যায় না, চলতে হয় বাতাসের মর্জিমাফিক, গতিবেগও ধীর। কিন্তু বেলুন অপারেট করার খরচও কম, প্রোপেন ট্যাঙ্ক আর শিখোদ্গীরক (ফ্লেম থ্রোয়ার) এর মেইনটেন্যান্স খরচও খুব বেশি নয়, আনুষঙ্গিক যেসব গিয়ার লাগে, সেগুলো একটা স্মার্টফোনেই আজকাল থাকে (জিপিএস, অলটিমিটার)। একটা মোটামুটি রেঞ্জের রেডিও আর ফার্স্ট এইড কিটসহ নিশ্চিন্তমনে বেরিয়ে পড়া যেতে পারে। নিতান্ত যদি কপাল খারাপ থাকে, তাহলে বড়জোর বেলুন নিয়ে কাপ্তাই লেকে ক্র্যাশ ল্যাণ্ড করতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে মাথাপিছু একটা করে লাইফ জ্যাকেট রাখলেই চলবে। বেলুন তালের মতো হুড়মুড়িয়ে আকাশ থেকে পড়ে না, তাই পড়ে মরার ভয় কিছুটা কম।

বেলুন পর্যটন সেবা শুরু করতে বেশ কিছু টাকা লাগবে ঠিকই, কারণ বেলুনের কাপড়, বেতের ঝুড়ি, প্রোপালশন গিয়ার এসব হয়তো শুরুতে বাইরে থেকে আমদানি করতে হবে। কিন্তু যদি এই সেবাখাত দাঁড়িয়ে যায়, তাহলে এর সবকিছুই দেশের ভেতরে উৎপাদন করা সম্ভব। অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় মানুষের অভাব তো নেই দেশে, যারা কিছু টাকাপয়সা খরচ করে ওপর থেকে আমাদের দেশের সুন্দর জায়গাগুলোকে আকাশ থেকে দেখতে চান। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতি ও করিডোর ব্যবহারের শিডিউল সংগ্রহ করে দেশের অনেক জায়গায় বেলুন পর্যটন শুরু হতে পারে। যেহেতু বেলুনে খুব বেশি মানুষ একসাথে উঠতে পারে না, তাই দুই-তিনজনের গ্রুপ নিজেদের মতো করে কয়েক ঘন্টা আকাশে ঘুরে বেড়াতে পারেন, যা কক্সবাজার বা কুয়াকাটা বা সুন্দরবনে সম্ভব নয়।

বেলুন পাইলট হওয়ার জন্যে কিছু প্রশিক্ষণ প্রয়োজন হতে পারে, কিন্তু সেটিও খুব কঠিন কিছু নয়। বিমানবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত পাইলট বা সিভিল এভিয়েটরদের সাহায্য নিয়ে সেটিও আয়োজন করা সম্ভব।

বেলুন ভ্রমণ আমাদের পর্যটন শিল্পকে ত্রিমাত্রিক করে তুলতে পারে, যা দেশের ভেতরের ও বাইরের পর্যটকদের আকর্ষণ করবে। একটু সাহস আর সদিচ্ছা লাগবে শুধু ব্যাপারটা চালু করতে।

আমি সমস্যার দিকগুলো দেখতে পাচ্ছি না, কিন্তু আপনারা নিশ্চয়ই পাচ্ছেন। মন্তব্যের মাঠে সেগুলো ধরিয়ে দিন। ধন্যবাদ।

লেখা ও ছবি নেট থেকে সংগ্রিহীত।


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

আব্দুর রহমান এর ছবি

অ্যাঁ

ঘটনা কি?

------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল

শামীম এর ছবি

হো হো হো
বোকার হাসি দিলাম। ঘটনা কি? একই পোস্ট পিপিদার একাউন্ট থেকে আইলো কেমতে?

লেখা ও ছবি নেট থেকে সংগ্রিহীত।

I C !!

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

এত বেলুন ক্যান ক্যান ক্যান ?
অ্যাঁ

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

ভাল্লাগছে বস। আরেকটা কথা, অনেকদিন জাফর ইকবাল স্যারের কোন লেখা পড়ি না। দেখেন তো একটা জাফর ইকবাল স্যারের লেখা নামাইতে পারেন নাকি!

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

চরম উদাস এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি
আমি তো আগে থেকেই বলতেছি জাফর ইকবালের কলাম লেখার জন্য জাফর ইকবাল হওয়া জরুরী না। একইভাবে যে কেউই হিমুর ব্লগ, মুখফোড়ের স্যাটায়ার বা রোমেলদার কবিতা লিখতে পারে।
সবশেষে একটি তপ্তবায় বেলুন ও তার ব্যবহারের ছবি ( এটাও লেখার মতো নেট থেকে সংগ্রিহীত)

তারেক অণু এর ছবি
বাপ্পীহা‌য়াত এর ছবি

বুঝলামনা, পিপি'দার অ্যাকাউন্ট কি হ্যাক হইল নাকি?
হিমুভাইএর পোস্টের সাথে হুবহু মিল চিন্তিত

তানজিম এর ছবি

এক বেলুন লই দুইজন সচল হইলে ক্যামনে কি?

ফুল পাবলিক এর ছবি

এই পোস্টটা কি এপ্রিল ফুল বানানোর জন্য?

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

কঠিন প্যাঁচ লাগছে,,,,

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

চারদিকে দেখি বেলুনের ছড়াছড়ি !! দেঁতো হাসি

কালো কাক এর ছবি

'অরণ্যে রোদন' পড়তে মঞ্চাইতেসে দেঁতো হাসি

রিসালাত বারী এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গুরু গুরু

তাপস শর্মা এর ছবি

সবাই হাসে ক্যান?? আমি তো বুঝলাম না চিন্তিত

প্রখর-রোদ্দুর এর ছবি

এমন আরেকটি পোষ্ট ___________
চরম কনফিউসিং ইমো আছে নাকি খুঁজে দেখি

নীড় সন্ধানী এর ছবি

অ্যাঁ ইয়ে, মানে... হাসি দেঁতো হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি ম্যাঁও

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

হে পিপি!

আপনি কি মনে করেছেন আপনার চালাকী কেউ ধরতে পারে নি? আমরা সবাই জানি আপনি বহুদিন যাবত পোস্টখেলাপী। এখন এই মজাটা করে ফাঁকিবাজের তালিকা থেকে নিজের নাম কাটিয়ে ফেলার এই অপচেষ্টা জাতি কখনো মেনে নেবে না।

আমি ঠিক করেছি এখন থেকে দাঁড়িওয়ালা বুড়ার লেখা কপি-পেস্ট মারবো। তারপর নিচে লিখে দেবো -

"লেখা ও ছবি প্রকাশিত মাধ্যম হইতে প্রাপ্ত"


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

বস, কী যে বলেন, আপনাদের তুলনায় আমি এক সামান্য ব্লগার।

সৌরভ কবীর  এর ছবি

চলুক

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

সমস্যা ধরিয়ে দেয়ার কথা বলেছেন। সমস্যা, যেটা দৃশ্যমান তার সমাধানটাও বলি, সচলদের লেখাও মডারেশনের মাধ্যমে আসতে হবে যতদিন না আমি সচল হই। হা হা হা।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

গুরু গুরু তবে তাই হোক।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি
তাসনীম এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

কুমার এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

rabbani এর ছবি

ওই লেখাটাতে বেশি ছবি ছিল, কিন্তু বেলুন ছিল না

ধুসর জলছবি এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি হো হো হো

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

"লেখা ও ছবি নেট থেকে সংগৃহীত।" হো হো হো


_____________________
Give Her Freedom!

আবছায়া এর ছবি

কপি করা পোস্টেই এত্তগুলা মন্তব্য, আমি ভাবছি কয়েকটা কপি-পেস্ট পোস্ট দিয়া হাচল হওয়ার একটা ট্রাই নিবো।। খাইছে

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।