নষ্ট

প্রত্যয় এর ছবি
লিখেছেন প্রত্যয় [অতিথি] (তারিখ: রবি, ০৩/০৮/২০০৮ - ৭:৪৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সাত আটদিন মাথার ঘামে পায়ের ঘামে একাকার করার পর একরকমভাবে নিশ্চিত হয়ে গেলাম ঢাকা শহরে ব্যাচেলরদের বাসা ভাড়া পাওয়ার চেয়ে হিমালয় পর্বতমালা মাথায় তোলা অনেকটা সোজা। যদিও রিয়েল ব্যাচেলর বলতে যা বোঝায় আমরা ঠিক তা না- এখনো স্টুডেন্ট; সবেমাত্র ইন্টার পরীক্ষা দিচ্ছি- পরীক্ষা শেষ হলেই হোস্টেল থেকে বিদায় ঘন্টা। দ্যান- ফাউন্ড ইউর ওউন ওয়ে। হোস্টেল সুপার তো ওই পর্যন্ত বলেই খালাস। তারপর-
-দেখুন, আমরা তো বলছি না আরো একবছর থাকব। পরীক্ষার পর তিন-চারমাস কোচিং- তারপর তো কোন না কোন ভার্সিটিতে চান্স পাচ্ছি। অন্ততঃ কোচিং পিরিয়ডটা-
-পাগল হয়েছ! হোস্টেলের রুলস বলে একটা জিনিস আছে না। আর, তোমরা যদি না যাও ফার্স্ট ইয়ারের ছাত্ররা যখন আসবে, তাদের কোথায় থাকতে দিব?
-নূতন ব্যাচ আসতে তো আরো দু-মাস বাকি। ঠিক আছে; ঐ দু-মাস আমাদের থাকতে দিন। ওরা আসার আগেই আমরা চলে যাব। ততদিনে হয়তো বাসা-মেস কিছু একটার ব্যবস্থা হয়ে যাবে।
-ওসব বলে কোন লাভ নেই। প্রতিবছর ইন্টার শেষে ওল্ড ব্যাচ চলে আয়, দু-মাস পরে নূতন ব্যাচ আসে। মাঝখানের দু-মাস আমাদেও ডেভেলাপমেন্ট ওয়ার্ক। প্রতিবার চলে যাওয়ার আগে তোমরা রুমগুলোর যা অবস্থা করে রাখ- রিপেয়ার করতে করতেই আমাদের কালোঘাম ছুটে যায়।
কথাবার্তা ওরা ভালোই পারে! ডেভেলাপমেন্ট ওয়ার্ক! -আমার এখনো মনে আছে; প্রথম যেদিন এ হোস্টেলে এসছিলাম কোন লকারে হাতল ছিল না। খাটগুলো স্ট্যান্ড ছাড়া, দু-খানা চেয়ার ভাঙা, আর লাইটের যা স্যুইচ- এখনো যে বেঁচে আছি তা সাত-জন্মের পূণ্যফল। তার উপর- কলেজের হোস্টেল হলেও একটা কথা ছিল। কোন এক বিজনেস গ্রুপের আন্ডারে ব্যক্তিমালিকানাধীন একটি হোস্টেল- তারও আবার রুলস। আরে বাবা; তোদের তো ব্যবসা দরকার। এমন তো না যে আমরা উদ্বাস্তু হিসেবে আশ্রয় নিচ্ছি। সলিড রেন্ট- দরকার হলে একটু বেশিই দিব; কে বোঝাবে? -একে তো পরীক্ষার টেনশন; পরেরটা আরো বেশি- কোথায় যাব? ঢাকা শহরের অন্যদের তাও দু-চারজন না হলেও অন্ততঃ এক-দুজন আত্মীয়-স্বজন আছে। আমার ভাগ্যে ছেঁড়া-শিকে। অতএব- চুলোয় যাক পরীক্ষা; আবারো অভিযান- টু ফাইন্ড টু লেট। কয়েকজন পেল, কয়েকজন পেল না, কয়েকজন ধ্বংসের শেষপ্রান্তে- কান্নাকাটি করে বলে-কয়ে দেখব একবার। শুনেই আমার মাথায় আগুন
-মেরুদন্ড বলে তোর কি কোন কিছু আছে! ছিঃ! দরকার হলে রাস্তায় থাকব। তা ও ঐ সুপারের কাছে ছোট হওয়া যাবে না।
-ঠিক কথা।
লোকটাকে সত্যিকারভাবে একজনও পছন্দ করে না। দেখতে কুৎসিত দর্শন- সেটা সমস্যা নয়। সমস্যা হল লোকটার আচরণ যেন তার বাহ্যিক দর্শনের বাস্তব প্রতিফলন। গালাগালি নৈমিত্তিক- কথায় কথায় রুলস্; এখানে থাকতে হলে সলিড ভদ্রছেলে- নো হৈ-চৈ, নো চেঁচামেচি; গানবাজনা, টিভি দেখা, তাস খেলা- সব বন্ধ। শুধুমাত্র লেখাপড়া। থাকতে পারলে থাক্, নাহলে গেট আউট। অনেকে চলেও গিয়েছিল- অবশ্য কোন একজন চলে গেলে লাভটা ওদের বেশি। একে তো আমাদের বিশাল কলেজ- হাজার চারেক ছাত্র। তার উপর নিজস্ব কোন হোস্টেল নেই সেখানে। নেটিভদের কোন সমস্যা নেই- যত ভোগান্তি সব আমরা যারা বাইরের প্রাণী; কোন পরিচিত নেই- এমন পরিবেশে অভ্যস্তও নই। তার উপর গার্ডিয়ানরা এমন- বিশাল ঢাকা শহরের বুকে বুকের মানিককে সুতোছাড়া ছাড়তে তাঁদের বুকে যেন কাঁটা বিধে। অতএব, এই প্রিজন- অনেক রুলস্; ছেলে আর যাই হোক বিপথে যাবে না।

প্রতিবছর শ’খানেক অ্যাপ্লিকেশন পড়ে। একটা চলে গেলে ওদের তো পোয়াবাড়ো- নূতন ছাত্র, নূতন ইয়ারলি চার্জ; তাও নেহায়েৎ মন্দ না- পনের হাজার টাকা। আহারে! চল্লিশজন ছাত্রের সবাই যদি ওভাবে বেরিয়ে যেত! তা আর হয়ে ইঠে না। আমরা জনা বিশেক- ঢাকা শহর তখনো আমাদের কাছে কলেজ আর হোস্টেল; মাঝখানে আধ-কিলোমিটার- বাকিটা ধোঁয়া-ধোঁয়া ধোঁয়াময়; তার উপর গার্ডিয়ান। অতএব- চালাও সারথি-

ওভাবে চলেছিল দুবছর। এর মধ্যে চলে গিয়েছিলবিশজন, নূতন সতের- সবাই এক; সুপারের নামে তেলে-বেগুন। ব্যাতিক্রম একজন- ওরকম সবখানেই দু’একটা থাকে; সবার মিষ্টি ভালো লাগে, কারো আবার তেতো। ওর নাম অপু। সুপার যেন ওর আরাধ্য দেবতা। সুপারের সামনে সে কি বিগলিত হাসি; মিনমিনে কথাবার্তা। সুপারও- অন্যদের সামনে সাক্ষাৎ আজরাইল, যমরাজের অগ্নিআেলা চোখ। আর ওর কাছে মিনমিনে মেনি; কালো মুখের আচ্ছাদনে সাদা সাদা মুলোদাঁতের দেঁতো হাসি
-পড়ছ! পড়, পড়। গত পরীক্ষার রেজাল্ট কি? -ও, ফার্স্ট হয়েছ। ঠিক আছে। আরেকটু ভালো করার চেষ্টা কর।
-না। আসলে পরীক্ষার সময় শরীর খারাপ ছিল তো।
-কেন? নিশ্চয় অনিয়ম। এত করে বলি আমাদের রুলসগুলো মেনে চল। না মানলে আমাদের কি! তোমাদেরই ক্ষতি।
-রুলস তো মেনে চলি সবই। আসলে, পেট খারাপ হয়েছিল সেবার।
-নিশ্চয় রাস্তার পঁচা-বাসি খাবার খেয়েছিলে। এত করে বলি-
আহাম্মক! যে ছেলে চব্বিশ ঘন্টা ঘাড়-গুঁজে পড়ে সে আবার বাইরে যাবে কখন । সেবার একসাথে নয়জনের পেট খারাপ- সবাই নিশ্চয় রাস্তার খাবার খায়নি। আর অপুও এমন- মাথা নাড়িয়ে স্বীকার করে নিল- তাই হবে হয়তো। সামনে থেকে অমনটা হবে না আর। সেই শালা ফার্স্ট হওয়ার চেয়ে বেশি ভালো যে কি করবে- ওই জানে আর জানে ওই সুপার।

দু’বছর ধরে আমি ভেবে এসেছিলাম ওই হল পৃথিবীর সবচেয়ে নির্বোধ শ্রেণীর আঁতেল। ভুলটা ভাঙল ক্রান্তিলগ্নে- সবাই যখন বাসা খুঁজে হয়রান; ব্যাটা নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছে। বিষয়খানা? ভয়ঙ্কর! দুবছর ধরে সুপারকে তেলিয়ে তেলিয়ে সে নাকি একটা সিটের ব্যাবস্থা করে নিয়েছে- উইদাউট এনি এক্সট্রা চার্জ। হায়! হায়! কে বলে নির্বোধ- এ যে সুপার কম্পিউটার। তলে তলে এত কিছু- আমি বেশ একচোট নিয়ে নিলাম
-ছিঃ! ছিঃ! ওই সুপারের কাছে ছোট হতে তোর বিবেকে একটুও বাধল না। মাত্র দুইমাস অতিরিক্ত থাকার জন্য দুই বছরভর এতকিছু করলি!
পিছনে আরো অনেক- আমাদের ধারণা ছিল এখানে এক গুপ্তচর আছে যে সময়ে অসময়ে আমাদেও বিভিন্ন অনৈতিক(!) কার্যকলাপের খবরাখবর সুপারকে জানাত। ওই তাহলে সেই। -কিছুই করার নেই এখানে। তোর সিট নিয়ে তুই থাক; আমরা আমাদের ভাগ্য গড়ি।

অবশেষে ডাক আসে। সবার ব্যবস্থা মোটামুটি- আমি অনেক কষ্টে এক বন্ধুর মেসে। শেষদিন সবাই ব্যাথাতুর- ওয়ান আফটার অ্যানাদার; রিক্সা, ভ্যানগাড়ি, সি. এন. জি.- হোস্টেল খালি হতে থাকে। শেষে থাকে অপু আর আমার ভাগ্যে আরো একদিন- মেসের সিট খালি হয়নি। কি আর করা- চির অপছন্দনীয় সেই ছেলের সাথে এক হোস্টেলে আরেক রাত। সে সাহায্য করতে এসেছিল- ব্যাগ বাঁধা, এটা-সেটা
-থাক্! আমি নিজেই পারব। তুই গিয়ে ঘুমা।
প্রতিবাদ না করে চলে গিয়েছিল সে। এল পরদিন সকালে। তখন আমার কমপ্লিট প্যাকআপ। গুটানো বেডিং-এ হেলান দিয়ে আমি হিমু পড়ছিলাম। সে আমার সামনে চেয়ার টেনে বসল
-তুইতো জানিস, হোস্টেলের ইতিহাসে প্রথমবারের মত আমি পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরও থাকছি।
আমি বিরক্তিতে মুখ কুঁচকে থাকি। ভাব নিই যেন ওকে দেখিইনি।
-তুই শুনছিস!
-হ্যাঁ। বল।
তখনো আমি বইয়ের অন্তরালে।
-কেন জানিস?
-কি?
-আমাকে কেন রাখা হচ্ছে?
এইসব আদিখ্যেতায় আমার গা জ্বলে। বছরভর তেলবাজি করতে গিয়ে সে যে কখন পুরোদস্তুর একজন তেলবাজ হয়ে উঠেছে- নিজেই হয়তো জানে না। শালা কি আমাকে সুপার পেয়েছে! এ আপদ বিদেয় হলেই ভাল। বুদ্ধি করে বললাম
-তুই ভাল ছাত্র- প্রতিবার ফার্স্ট হোস। সামনে আরো ভাল করবি- হোস্টেলের সুনাম বাড়বে-
-ভুল! প্রতিবছরই কোন না কোন ভাল ছাত্র এখানে থাকে।
-তা, বাব! এত ভনিতা না করে বলনা যা বলতে এসেছিস।
-তোরা তো রোজ রাতে দুধ খেতি।
-হ্যাঁ। সমস্যা কোথায়?
- সেটা কে দিত?
-কি পাগলের মত কথা বলিস! হোস্টেলের নিজস্ব গরুর খামার আছে। একজন লোক গরুগুলোর দেখাশোনা করে।
-গিয়েছিস কখনো সেখানে?
-ভিতরে যাইনি।
-তাহলে শোন। তোরা চলে যাওয়ার পর ওটাই হবে আমার থাকার জায়গা। যে লোকটা তোদের রোজ রাতে দুধ দিয়ে যেত সে লোকটা আমার বাবা। দু-বছর আমি তোদের সাথে ফ্রি ছিলাম। আর এখন আমি যেখানে বেড ফেলব- তার একপাশে দশখানা গরু- সারাদিন হাম্বা-হাম্বা; আর অন্যপাশে পাহাড় সাইজের গোবরের গাদা।
আমি বজ্রাহত- কি বলে এসব!
-গোবরে খুব দূর্গন্ধ, জানিস? তবে আমার কোন সমস্যা নেই।
বলতে বলতে সে আমার আধখোলা ব্যাগের মাঝখান থেকে পারফিউমের বোতলটা টেনে নিল। নিজের শার্টের কিনারে স্প্রে করল একবার। নাক নুইয়ে শুঁকে দেখে কিনারাটি এগিয়ে দিল আমার নাক বরাবর
-তোর পারফিউম। মনে হয় খুব সুন্দর গন্ধ। শুঁকে দেখনা একবার। কিন্তু জানিস- আমি কোনধরণের গন্ধই পাইনা।
আমি নির্বাক। সে ভালভাবেই জানে আমার জবাব দেওয়ার শেষ শক্তিটুকুও সে শুঁষে নিয়েছে।
-আমার মনে হয় ডাক্তার দেখানো দরকার। তুই কি বলিস?
কৌতুকভরা দৃষ্টিতে সে আমার দিকে তাকায় একবার। তারপর উঠে দাঁড়িয়ে দরজার দিকে যেতে যেতে বলে-
-অবশ্য মাস দুয়েক পর তুই এলে দেখবি আমি কানেও কম শুনছি। মাথার ভিতর সারাদিন হাম্বা-হাম্বা-
আকষ্মাৎ পিছন ফিরে দুষ্টু একটা হাসি খেলায় মুখে
-দেখে যাস কিন্তু।
হাসিটা ঠিক হাসি হয়ে উঠে না- সে চোখের কোণে জল। আমি নিশ্চিত; রুম থেকে বের হয়ে শার্টেও কিনার দিয়ে চোখ মুছবে সে। হায়! হায়! পারফিউম মাখানো শার্ট! নাক-কানের সাথে সাথে ওর চোখ দুটোও যদি নষ্ট হয়ে যায়!

লেখক: প্রত্যয়, বুয়েট
Mail:


মন্তব্য

ফেরারী ফেরদৌস এর ছবি

শেষে এসে একটা ধাক্কা! ভাল লাগল।

কিন্তু ঢাকাতে দশ-বারোটা গরু নিয়ে একটা খামার? অবিশ্বাস্য ঠেকেছে।

প্রত্যয় এর ছবি

আপনি ঢাকা রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে গেলে বিষয়টি হয়তো বিশ্বাস্য হবে..................ধন্যবাদ।

জীবনের সব আশা য়েখানে শেষ হবে..........
সেই শেষবিন্দুতে আমি আসব।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

বিশাল একটা ধাক্কা খেলাম আমিও। জীবন সংগ্রামের কাহিণী দারুণ ভাবে তুলে ধরেছেন। অভিনন্দন। অনুগত পাঠক হয়ে গেলাম এক লেখাতেই।


রাজাকার রাজা কার?
এক ভাগ তুমি আর তিন ভাগ আমার!

রায়হান আবীর এর ছবি

অনুগত পাঠক হয়ে গেলাম এক লেখাতেই।

আমিও। দারুন আপনার লেখার হাত।

---------------------------------
জানিনা জানবোনা... কোন স্কেলে গাইছে কোকিল
গুনিনা আমি গুনিনা...কার গালে কটা আছে তিল

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

মন খারাপ

এনকিদু এর ছবি

নষ্ট কেন ?


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

শেষে এসে আমারও চোখ একটু ভিজে উঠলো। সুন্দর লিখেছেন।

কীর্তিনাশা এর ছবি

দারুন আপনার লেখার হাত।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

রাফি এর ছবি

গল্প আগেই পড়েছিলাম; তখনই বলছিলাম ভাল হইছে।
আবারো বলি "ফাটাফাটি"

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

ক্যামেলিয়া আলম এর ছবি

হায় হায় অদ্ভুত সুন্দর এক গল্প----- আমার আজ মনই খারাপ নাকি আপনার গল্প আমাকে এত ইমোশনাল করল বুঝতে পারছি না----
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........

.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........

প্রত্যয় এর ছবি

হয়তো আমার গল্পগুলোই দূর্ভাগা- মানুষের মন খারাপ করিয়ে দেয় নিমেষেই..........সেই তিন-চার বছর আগে এই গল্পগুলো ইমোশনাল করে তুলেছিল নাসরিন আপা (নাসরিন জাহান), নাসির আংকেল (নাসির আহমেদ) দের...........আপনিও হয়তো তাদের মতো....জাত লেখক বলতে যা বোঝায়.........ধন্যবাদ

জীবনের সব আশা য়েখানে শেষ হবে..........
সেই শেষবিন্দুতে আমি আসব।

মূর্তালা রামাত এর ছবি

খুবই ভালো লাগলো। আরো লেখা চাই।

মূর্তালা রামাত

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

খুব ভালো লাগলো আপনার লেখা।
কিন্তু "নষ্ট" নামটা দিয়ে কি বোঝাতে চেয়েছেন, বুঝলাম না।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

প্রত্যয় এর ছবি

বর্ণনাকারী (narrator) ভেবেছিল অপু সাইকোলজিক্যালি একটা নষ্ট ছেলে...........মেরুদন্ড বলে খকছু নেই ওর। ভাবতেই পারে। তাই না.......

জীবনের সব আশা য়েখানে শেষ হবে..........
সেই শেষবিন্দুতে আমি আসব।

তারেক এর ছবি

তুই ও এখানে? বেশ বেশ। চিনবি কি?চিনবি না বোধহয়, বহুদিন কথা হয় না। ফার্স্ট ইয়ারে শেরে বাংলা ১০০৪, ইশতি, রাজন, দীপু দের রুম...

তোর এই গল্প টা সাম্পানে দিসিলি, পড়সিলাম তখন। ম্যাগাজিন নিয়ে সামী, ০৫,০৬ এর ছেলেগুলো খুব খেটেছিল আর আমি যথার্থ সুশীলের মত শুধু সম্পাদকীয় লিখেই নাম ছাপিয়ে নিয়েছিলুম।

গল্পটা ভালো লেগেছে নতুন করে। ভাল থাকিস
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।