ইচ্ছে ঘুড়ি- ০৩ (একটি বিরিসিরি ভ্রমণ...)

রায়হান আবীর এর ছবি
লিখেছেন রায়হান আবীর (তারিখ: মঙ্গল, ২৫/১১/২০০৮ - ১২:৪৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১...

ঘর থেকে দু' পা ফেলে আশুলিয়া কিংবা ফ্যান্টাসী কিংডম যাওয়ার তিনদিন আগে থেকেই, পোলাপান সবাইকে সেটা জানান দেয় ফেসবুকের কল্যানে। এসে আরেকদফা। বেলা এগারোটায় জিহাদ ফোন করে একঘন্টার মধ্যে বিরিসিরি যাওয়ার প্রস্তাব দিতে শুরুতেই আমার মনে আসলো আগের কথাটা। ইসস!! এতো সুন্দর একটা জায়গায় যাচ্ছি, অথচ মাইক দিয়ে জানান দিতে পারলাম না। আমার কাছে পয়সা-পাতি কখনোই তেমন একটা থাকেনা। কিন্তু সেদিন (শনিবার) প্রায় সাতশ টাকার মতো ছিল। আমি দুই হাজার টাকায় সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করে আসছি, একহাজার টাকায় কুয়াকাটা- তাই বিরিসিরি যাওয়ার জন্য সাতশ টাকা বাজেট-ই আমার কাছে অনেক বেশী...

এর আগে বেশিরভাগ ভ্রমণ ছিল ক্যামেরাবিহীন। কিন্তু অনেকের কাছেই বিরিসিরির অপার্থিব সৌন্দর্যের কথা শুনে এবং ইদানিংকালে সচল, ফেসবুকে মানুষজনের সুন্দর সুন্দর ছবি দেখে মনে হলো একটা ক্যামেরা নিয়ে গেলে ভালোই হয়। কয়েকদিন হয় একজনের ঘাড়ে চড়ে বসেছি। কোনকিছু দরকার হলেই তারে বলি, তিনি আলাদিনের দৈত্যের মতো নিমেষেই তা হাজির করে দেন। জি-টকে তাকে পাওয়া গেলো। ভণিতা ছাড়াই বললাম, ক্যামেরা দেন। বিরিসিরি যাবো। তিনিও ভণিতা না করেই বললেন, নিয়ে যাও- তবে খুব খিয়াল কইরা।

২...

গতবার ছুটিতে বান্দরবন গেলাম- এসে প্রবল উৎসাহে মেসেঞ্জারে একজনকে ভ্রমণের বৃত্তান্ত দিচ্ছি। অনেকক্ষণ শোনার পর সে বললো- খালি তো কেমনে গেলি, বাস ভাড়া কেমন, রাস্তা কেমন সেটাই বললি...এতো সুন্দর একটা জায়গার দেখে আসলি অথচ সেটার বর্ণনাই দিলি না...

এই হলো আমার অবস্থা। কোন জায়গায় গেলে আমি শুধু কিভাবে গেলাম সেইটার বর্ণনা দিতে পারি। অবারিত সৌন্দর্য কিংবা বহমান নদীর কথা বলতে পারি না- আমার এগুলো ঠিক আসেও না...

বিরিসিরি যাবার জন্য ঢাকা থেকে সরাসরি বাস রয়েছে। জিনাত পরিবহণ। তবে কয়েকদিন আগে আম্রিকার সৈন্যরা বাংলাদেশে বোমাবোমি করার কারণেই হোক কিংবা অন্য কোন কারণেই হোক এখন আর সরাসরি ঢাকা থেকে বিরিসিরি যাওয়া যায় না, কারণ যাত্রাপথে কয়েকটি ব্রীজ পড়ে- সেগুলো ভেংগে গেছে...

আমাদের সাথে মহাজ্ঞানী মুহাম্মদ ছিল। ওর বাসা ময়মনসিংহ। আমরা রাতে ওর বাসায় থেকে, একটু ভালো মন্দ খেয়ে পরদিন সকালে রওনা দেওয়ার পরিকল্পনা করলাম...

সকালে ভালোমতো ডিম-পাউরুটি খেয়ে রওনা দেওয়া হলো বিরিসিরির উদ্দেশ্যে। বাসের অবস্থা জঘন্য। সিট কাভারগুলো ময়লা হতে হতে নতুন জুতার মতো চক চক করছে। এই বাসে তিন ঘন্টা কাটাতে হবে ভাবতেই মনটা ভরে গেল। বিরিসিরি ১২ থেকে ১৩ কি.মি দূরে; এমন সময় আমাদের বাস দাঁড়িয়ে গেলো। আর যাওয়া যাবে না। সামনে সেতু ভাংগা...আর্মির পোলাপাইন হলে এই ১২ কি.মি এক দৌড়ে পাড় হয়ে যেতো, কিন্তু আইইউটির তেলতেলে খাবার খেয়ে তেলতেলে হয়ে যাওয়া আমাদের সেই চিন্তা মাথাতেই আসলো না...

তারপরও আমরা অদৃষ্টের পথে যাত্রা শুরু করলাম। বেশ খানিকক্ষণ পর আমাদের উদ্ধার করতে এগিয়ে আসলো ট্রাক্টর নামক এক ভয়ানক জন্তু। তিনপদের চাকা দিয়ে সাজানো এই অদ্ভুত জীবটার পেছনে চড়া ছাড়া আমাদের আর কোন উপায় ছিল না। পশ্চাৎদেশে বাড়ি খেতে খেতে আমাদের মাথার ঘিলু হাঁটুতে নেমে আসলো। তাই বিরিসিরিতে নামার কথা থাকলেও আমরা আরো এগিয়ে চলে গেলাম সুসং দূর্গাপুর। এইবার কই যাই????

আশেপাশের মানুষদের বললাম, ভাই আমরা বিরিসিরি দেখতে আসছি- কি দেখে এইখানে সবাই? তাদের কাছ থেকে জানা গেলো, নদী পার হয়ে হোন্ডা নিয়ে সীমান্তবর্তী বিজয়পুর নামে একটা জায়গা আছে। সেখানে বিডিআর ক্যাম্প আছে। আর আছে চীনা মাটির পাহাড়। আমরা তাই তাদের কথামতো বিডিআর জোয়ানদের দেখার উদ্দেশ্যে পরবর্তী যাত্রা শুরু করলাম...

৩...

গতবছরের শুরুতে হাজার হাজার মানুষের কাছে জাফলং এর কথা শুনে আমি যখন জাফলং এর মাটিতে পা ফেললাম, তখন মুখ দিয়ে একটা শব্দই বের হলো- "ও এই তাহলে সেই জাফলং"। আগে হয়তো ভালো ছিল, কিন্তু জাফলং এখন ভুয়া একটা জায়গা। মরা নদী, বালু বোঝাই ট্রাক আর সীমান্তের ওপারে ভারতের বাসা-বাড়ি ছাড়া জাফলং এ দেখার মতো কিছুই নেই...

বিজয়পুর পৌঁছে সেইখানে দুই মিটার উচ্চ পর্বত আরোহন করে আমার ঠিক একই কথা মনে হলো। ও এই তাহলে বিরিসিরি...একটু ছায়ার মতো বসে আমরা একে অন্যের মুখের দিকে তাকালাম। মুহিবকে বললাম, দোস্ত কিছুই তো ঘটলো না...তুই পোস্টে লিখবি কি? ওর বলে কিছু ঘটালেই হয়। আয় নগ্ন হয়ে নাচানাচি শুরু করি। আমি ওর কথার প্রচন্ড গুরুত্ব দিয়ে বললাম, কিন্তু মানুষজন আছে তো। ও বলে, আরে ধুর! পাহাড়িরা এইসব বুঝবে না...

কথাই চলতে থাকে। আমাদের কিছুই ঘটানো হয় না। উঠে যাবো এমন পর্যায়ে মুহাম্মদ ফেরার পথে চীনামাটির পাহাড়টা দেখার প্রস্তাব করলো...

এই জায়গাটায় এসে আমরা সত্যিকারের মুগ্ধ হলাম। হাঁটাহাটি করছি, এমন সময় এক টিলার উপরের থেকে জিহাদ ডাক দিলো- দেইখা যা...যা দেখলাম তাতে আমি সত্যিকারের মুগ্ধ...টিলা দিয়ে ঘেরা ছোট্ট একটা লেক...আকাশের চেয়েও নীল তার পানি...

ছবি তুলতে পারি না, খালি সাটার টিপে যেতে থাকলাম...যা হয় হবে...

এবার ফেরার পালা...ময়মনসিংহ ফিরে এসে আমরা যার যা পয়সা আছে গোণা শুরু করলাম। দেখা গেলো, ঢাকা আসার জন্য চার জনের বাস ভাড়া নেই...তিনজনের হয়ে যাবে...

কিন্তু কথায় আছে না- মুখ দিয়েছেন যিনি আহার দিবেন তিনি। আমরাও উদ্ধার পেয়ে গেলাম...সবই কুদ্রত!!!

৪...

ভ্রমণ নিয়ে মহিব লিখবে বলেছিল। কিন্তু আমার অনেকদিন বিষয়ের অভাবে সচলে লেখা হচ্ছেনা...সুতরাং আমিই দিয়ে দিলাম। মু হা হা হা...

auto

auto

auto

auto

auto

auto

auto


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

জায়গাটাতো সুন্দর মনে হচ্ছে। বিরিশিরি'র নাম শুনেছি কিন্তু লেখাটা পড়ে ঠিক বুঝতে পারলামনা জায়গাটা কোথায়? ময়মনসিংহের আশেপাশে তা বুঝতে পারছি।

রায়হান আবীর এর ছবি

জায়গাটা খুবি সুন্দর। বিরিসিরি নেত্রকোনা জেলায়...

=============================

সবজান্তা এর ছবি

০১

জাফলং নিয়ে একবারে আমার মনের কথাটা বলছোরে ভাই। গত পরশু দিনই আহমেদুর রশীদ ভাইকে এই কথাই বলছিলাম। আমি জাফলং যেয়ে যারপরনাই হতাশ। অবশ্য সুদে আসলে হতাশা চলে গিয়েছিলো মাধবকুন্ড দেখে।

০২

বিরিসিরিতে যাওয়ার কথা ছিলো, যাওয়া হলো না কী কারণে যেন। তবে কিছু বন্ধু গিয়েছিলো, ওদের ছবি দেখে মনে ভরে গিয়েছিলো। এতো নীল পানি !

আচ্ছা ওখানের পানি এত নীল কেন ? কারণ কী ?

০৩

ক্যামেরার মত দামি জিনিশ না চাহিতেই কে দেয় জানতে চাই।


অলমিতি বিস্তারেণ

রায়হান আবীর এর ছবি

১...

মাধবকুন্ড দেখি নাই...যাওয়ার মতো পয়সা ছিল না মন খারাপ আগামী জন্মে যাবো দেখি। দেঁতো হাসি

২...

পানি অতিরিক্ত নীল। ক্যালসিয়াম কার্বনেটের সাথে কোন কিছুর বিক্রিয়ায় মনে হয় এমন হয়েছে... সিউর না...

৩...

বলা যাবে না... হো হো হো ২৫ হাজার টাকা দামের জিনিস চাল্লু

=============================

অনিন্দিতা চৌধুরী এর ছবি

ছবিগুলো এত জীবন্ত যে মনে হচ্ছে এখুনি বিজয়পুর চলে যাই।
এটা সত্যি তুমি তুলেছ?
অসাধারণ ! ক্যালেন্ডারের ছবির মতো মনে হচ্ছে।

রায়হান আবীর এর ছবি

আমিই তো তুলছিলাম... আমার কোন হাত নাই...ভালো ক্যামেরা তাই এমন আসছে মনে হয়। হাসি

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

=============================

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ছবিগুলা অসাধারণ! জায়গাটা খুবই ভাল লাগল- ছবি দেখে। যাইতে ইচ্ছা করতেসে। আমার জীবনে ঘোরাঘুরির অভিজ্ঞতা খুব কম। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল- কেওকারাডং ট্যুর।

লেখা বরাবরের মতোই দুর্দান্ত। হাসি

টপিকের অভাবে সচলে লিখতে পারতেসো না?! বিয়া করে ফেল একটা, দেখবা- টপিকের চোটে লেখা থামাইতে পারবা না তখন হো হো হো


A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?

রায়হান আবীর এর ছবি

আমি ঘুরছি মোটামুটি...আইইউটির সবাই তো একবার হলেও কেউক্রাডং যায়। ট্রেডিশনের মতো হয়ে গেছে...

ঠিকাছে...

বিয়া করলে লেখার টপিক বেড়ে যাবে? এই জন্যই তো কই আপনি এতো ঘনঘন পোস্ট দেন কিভাবে। ভালৈ চাল্লু

=============================

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আরো বোকা ছেলে! এটা শুধু তাদের জন্যই প্রযোজ্য যারা ভাল লিখতে পারে, কিন্তু টপিকের অভাবে ভোগে... আমি তো মিয়া সেই দলে পড়ি না। আমারে হাজারটা টপিক দেওয়া হোক না কেন, কোনও লাভ হবে না! চোখ টিপি

নাহ্, তোমারে একটা বিয়ে দেওয়া আশু প্রয়োজন। না হলে, এরকম একজন গুণী ছেলের লেখা আমরা এভাবে হারাব- শুধুমাত্র টপিকের অভাবে! নো! নেভার! হো হো হো


A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আহারে... প্রিয় বিরিশিরি... অনেকদিন যাই না...

আমারো সেই প্রশ্ন... এই পোলারে কে কম্পিউটার কিইনা দেয়? কে ক্যামেরা দেয়? এত দানশীলটা কে?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

রায়হান আবীর এর ছবি

আপনে না তো?? চিন্তিত

=============================

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

তাইলে আমি এখন নিজেই নিজেরে একটা গাড়ি কিইনা দিতাম... হো হো হো আবীর... আপনে না ভালো... লোকটারে ধার দেন না... চোখ টিপি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

রায়হান আবীর এর ছবি

ছি নজু ভাই, আপনি লোক ধার চান? চোখ টিপি

=============================

ধুসর গোধূলি এর ছবি
সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আবীররে এখনো চিনলেন না... সে যে পোলার কথা বলছে তা বিশ্বাস কইরা বইসা আছেন?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

রায়হান আবীর এর ছবি

ছিঃ নজু ভাই ছিঃ...

=============================

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

এই বিরিসিরি কতবার যাবো যাবো করে আর কখনো যাওয়া হয়নি। মন খারাপ

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

রায়হান আবীর এর ছবি

এই বিরিসিরি কতবার যাবো যাবো করে শেষে আমেরিকাই চলে আসলাম। দেঁতো হাসি আপনাদের ঐখানে বিরিসিরি নাই?

=============================

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- লেকের ফটুক দেখে ঝপাৎ করে একটা লাফ দিতে ইচ্ছে করলো পানিতে। তারপর কয়েক ঢোক পানি গিলে হুক্কুর হুক্কুর কাশতে খুব ইচ্ছে করছে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

রায়হান আবীর এর ছবি

আসেন আপনার মাথায় বাড়ি দিয়া দেই... কাশি কইমা যাইবো।

=============================

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

চারদিকে ফটুকবাজগো কাণ্ডকীর্তি দেইখা ভাবতেসি, আমিও বড়ো হয়া ক্যামেরা কিনা (বা ধার কইরা) ফটুক তুলুম হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

রায়হান আবীর এর ছবি

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আপনার সহায় হোক!!!

=============================

কীর্তিনাশা এর ছবি

ছবিগুলো দেখে আবারো বিরিশিরির কথা মনে পড়ে গেল। কি যে সুন্দর জায়গা!

ছবি লেখা দুইটাই অসাধারন হইছে। চলুক

তবে সোমেশ্বরী নদীর কথাতো কিছু বললা না? ঐটা ভালো লাগে নাই??

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

রায়হান আবীর এর ছবি

লেখা হয় নাই...আমি আসলে ভ্রমণ কাহিনী লিখতে পারিনা ঠিক মতো। তাড়াহুড়া করে লিখি তো তাই অনেক কিছু বাদ চলে যায়...সোমেশ্বরীটা তো অনেক সুন্দর। ছবি দিয়েছি শুধু...

=============================

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

কতদিন যে বাইরে ঘুরা হয় না। একদিন ভাবছিলাম হাতের কাছেই মাওয়ায় পদ্মা পাড়ে যাবো। সেটাও হচ্ছে না। দিন দিন ঘরকুনে হয়ে যাচ্ছি।

রায়হান আবীর এর ছবি

তা তো হইবেনইইই...আপনার ভাই সিনামা বানান, নায়ক খুঁজেন, ওয়াশ্রুমে বিড়ি খান... চাল্লু

=============================

তারেক এর ছবি

আমার বেড়ানোর ভাগ্য বড়ই খারাপ।

ইন্টারের পর সেন্ট মার্টিনে যাবার প্ল্যান হইল। আমি হাত ভেঙ্গে ঘরে পড়ে রইলাম।

স্টুডেন্ট এর পরীক্ষার কারণে সিলেট যাওয়া মিস্‌ করলাম একবার।

এইবার কক্সবাজার গেসি, সবাই ঘুরাঘুরি করলো আর হোটেলে জ্বর নিয়া শুইয়া কাটায়া দিলাম... এইরকম হাবিজাবি

মাসকয়েক আগে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুইবার বিরিশিরি যাওয়ার সুযোগ হারাইলাম। তাও বোধহয় জ্বর বা অন্য কোন কারণে খেয়াল নাই এখন।
বিরিশিরির ছবিই দেখে গেলাম শুধু। আমি সোমেশ্বর নদীর তথা শুনি, চিনামাটির পাহাড়ের কথা শুনি আর দীর্ঘশ্বাস চাপি। তারওপর মিয়া তুমি ছবি দিলা নাকি কামান দাগাইলা? মন খারাপ

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

রায়হান আবীর এর ছবি

আপনার তো লাক খুবই খারাপ। ব্যাপার না। সময় তো আর শেষ হয়ে যায় নাই...ঘুরে আসেন সব কিছু...

কামান দাগাই নাই, সচলে মশা পামু কই। ছবিই দিসি... দেঁতো হাসি

=============================

তারেক এর ছবি

সেইটাই। বয়স তো আর শেষ হইয়া যায় নাই।
বউ নিয়া যামু। জ্বরটর হইলে সেবাযত্ন করবে।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

রায়হান আবীর এর ছবি

হো হো হো

বাংলাদেশে যেকোন ভালো জায়গা যাওয়ার প্রধান সমস্যা হচ্ছে, যোগাযোগ ব্যাবস্থা। আমরা একটু কষ্ট করে উদ্ধার পেলেও মেয়েদের জন্য কঠিন ব্যাপারটা। সুতরাং আপনি বউ নিয়া যেতে চাইলেও আপনার বউ যাবে কিনা তা নিয়া আমার ভালোই সন্দেহ আছে। হাসি

=============================

নিরিবিলি এর ছবি

তারেক ভাইয়ার কথা শুনে দুঃখ পেলাম। সখের দাম ১৮০টাকা তোলা। ইনশাল্লাহ ততদিনে যোগাযোগ ব্যাবস্থা ভাল হয়ে যাবে। ঠিকই বউকে নিয়ে ঘুরে আসতে পারবেন। হাসি

নিবিড় এর ছবি

হুম......... ছবি দেখেই বুঝা যাচ্ছে দারুণ জায়গা । ফোটুক গুলা ভাল লাগছে । আর কাহিনি এত ছোট হলে কেমনে হবে ? তবে পরিবর্তনশীল এর প্ল্যান কাজে লাগাইলে খারাপ হইত না চোখ টিপি চোখ টিপি

রায়হান আবীর এর ছবি

ভাই লিখতে পারি না...ধৈর্যে কুলায় না একদম। মন খারাপ

চলেন আমি আর আপনি যেয়ে একদিন প্ল্যান কাজে লাগাই আসি। উপজাতীরা কিছু বুঝবেনা। দেঁতো হাসি

=============================

মুস্তাফিজ এর ছবি

বিরিশিরি জায়গাটা ভালো, আরো ভালো ছবি গুলো, ৩নাম্বারটা তো ফাটাফাটি
চলেন আবার যাই

...........................
Every Picture Tells a Story

রায়হান আবীর এর ছবি

আপনি ভাল বললেন। বড়ই কি খুশী হইলাম্না? চাল্লু

জানুয়ারীর ১০ তারিখ পর্যন্ত যেইখানে যেতে বলবেন আমি আসি... চলেন যাই তাইলে।

=============================

রাফি এর ছবি

আমার বাড়ির কাছে এই জায়গা, আর আমি এইটা দেইখা আসছি; ছবিগুলো দেখে বিশ্বাস হয় না।

ফটোগ্রাফার কে??

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

এত্তো সুন্দর একটা জায়গার কাছেই আপনি থাকেন! ভাই রাফি, আপনার ভাগ্যকে হিংসা করা ছাড়া আর কিছু কি করার আছে? হাসি

তবে যদি বেড়াতে যাওয়ার দাওয়াত দেন, তাহলে হয়ত হিংসা করব না আর চোখ টিপি


A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?

রায়হান আবীর এর ছবি

কেন দেখে এসে বুঝেন নাই এতো সুন্দর জায়গা?

ফটোগ্রাফার কে কইতারি না, তয় ক্যামেরার সাটার আমি টিপসি। চাল্লু

=============================

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

জম্পেস হয়েছে রে ভাই, লেখা - ছবি দুটোই !!

------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

রায়হান আবীর এর ছবি

ধন্যবাদ ভাই...

=============================

তানবীরা এর ছবি

ছবি ফেসবুকে আগেই দেখেছি, এক কথায় অসাধারন। আবারো মনে হলো, দেখা হয় নাই ঘর হতে দু পা ফেলিয়া, একটি ধানের শীষের উপড় একটি শিশির বিন্দু।
আর জাফলং নিয়া আমি একমত, মাধব কুন্ড আরো ডিসএপয়নটিং। তবে মাধব কুন্ড যাবার পথের দুইপাশের দৃশ্য সুইজারল্যান্ডের মতো।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

রায়হান আবীর এর ছবি

ধন্যবাদ আপু...

ঘরে তো আসছেন এবার। দুই পা ফেলে দেখে নিয়েন... হাসি

=============================

পরিবর্তনশীল এর ছবি

ইস! সাথে কিছু টাকাপয়সা থাকলে হইত।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

রায়হান আবীর এর ছবি

ক্যান??!!!

=============================

মুজিব মেহদী এর ছবি

যতদূর জানি শুকনাকুড়ির ওই ভাঙা ব্রিজটার কৃতিত্ব পুরোটা বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর। তিনি এক ভয়ানক ঠিকাদার। নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল মিলে গোটা দশেক ব্রিজ তিনি বছর পনের ধরে বানাচ্ছেন তো বানাচ্ছেনই। আর আমাদের রাষ্ট্রের কোষাগার ফাঁকা করছেন তো করছেনই। আমার মনে হয়, এই ব্যাটার কাছ থেকে দায়িত্বটা ছিনিয়ে নেয়া না গেলে এ জীবনে আর ব্রিজগুলো হবে না।

কোনো জায়গায় গিয়ে ভালো লাগবে কি না তার ওপরে হাত থাকে ভ্রমণকারীর প্রত্যাশার। অনেক বেশি কিছু চেয়েছিলেন কি আপনি ?
আপনি প্রথমেই মিস করেছেন বিরিশিরি উপজাতীয় কালচারাল একাডেমী, তারপর মিস করেছেন সোমেশ্বরী নদী, তারপর মিস করেছেন রাণীখং মিশন। আর সর্বোপরি মিস করেছেন আদিবাসী গ্রামের অভ্যন্তর ভাগ এবং গারোপাহাড়। অ্যাডভেঞ্চার বোধ করতেন যদি পাহাড়ের আরো কাছে যেতে পারতেন, যদি চুয়ে ভাসতে পারতেন।

..................................................................................
দেশ সমস্যা অনুসারে
ভিন্ন বিধান হতে পারে
লালন বলে তাই জানিলে
পাপ পুণ্যের নাই বালাই।

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমি মুজিব মেহেদীর সাথে একমত... এরা খালি ঘুইরা আইছে... রসাস্বাদন করতারে নাই।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

স্পর্শ এর ছবি

ঐ মিয়া গতকাল বিরিশিরি ঘুরে আসলাম !
মজার কান্ড হইসে সেইখানে!!

সোমেশ্বরী নদীতে নাঙ্গা হইয়া লাফালাফি করসি। দুইদিন ছিলাম আরো অনেক কিছু হইসে...
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

রায়হান আবীর এর ছবি

ছবি কই? পোস্ট কই?? তাড়াতাড়ি...

=============================

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

আবীর, আপনার লেখা ভালো হয়েছে। বিরিশিরি'র কাছের মানুষ হয়েও আগ্রহ নিয়েই পড়লাম বেশ, এবং প'ড়ে ভালোও লেগেছে বেশ।
আপনি শাটার-ও খারাপ টেপেন না কিন্তু! চোখ টিপি

------------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

রায়হান আবীর এর ছবি

ধন্যবাদ ভাইজান

=============================

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।