হাসাহাসি

মূলত পাঠক এর ছবি
লিখেছেন মূলত পাঠক (তারিখ: বিষ্যুদ, ৩০/০৭/২০০৯ - ১১:১২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজকাল মাঝে মাঝেই সিরিয়াস বিষয় নিয়ে লেখা হয়ে যাচ্ছে। সেটা কিছু খারাপ কথা নয় মানছি, যেমন মাঝে মাঝে আকাশ কালো করে মেঘ করলে মনে কাব্যভাব জাগে, তাতে জগতের উন্নতিই হয়। প্রচুর নবপ্রেমিক যারা কাব্যগুণাণ্বিত নয় তাদের মুখে ভাষা জোগায় এই সব কবিরা, আর কবির মুখে ভাষা ফোটে ঐ মেঘের ঘনঘটায়। কিন্তু সত্যি করে বলুন, ঘন ঘন আকাশ গম্ভীর হলে সেটাও বেশ বোরিং হয়ে যায় না? আজ তাই একেবারে নির্মল হাস্যরসের এক খনির সন্ধান দিই। নিজে জোক লেখার মতো রসবোধ আমার নেই বলেই ধারণা, তা বলে অন্যের রসিকতায় হাসতে তো বাধা নেই। তবে এগুলো কদ্দূর নির্মল তা নিয়ে অনেকের আপত্তি থাকবে, বিশেষত যাঁরা নিয়মিত দেখেন না।

দেশে থাকতে স্ট্যান্ড-আপ কমেডি ব্যাপারটা কী জানা ছিলো না। তখন দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান লাফটার চ্যালেঞ্জ দেখানো শুরু হয় নি (কী ভাগ্যিস!), কাজেই কমেডি শো বা সিরিজ ছাড়া কিছু দেখি নি। তাতেও যেমনটা হয়, মাঝে মাঝে অদৃশ্য দর্শককুল হোহো ধ্বনিতে ফেটে পড়ে, কিন্তু কাউকেই কখনো চোখে দেখা যায় না, সে সব দেখে একটু বোম্‌কে যেতাম। যদিও বলিউডের বদৌলত এই সব দেখে বম্‌কানোর অধিকারই আমাদের নেই, ও সব সিনেমায় টোনাটুনি যখন বাগিচায় গিয়ে গাছের চারিদিকে নেচে নেচে গান ধরে তখন ঢাক-ঢোল-হারমোনিয়াম-তবলা কে বাজায় না দেখেও তো দিব্বি ছিলাম। আমার বাবার ইংরেজি কমেডিতে এই অদৃশ্য অট্টহাসি নিয়ে একটা থিয়োরি ছিলো, হাস্যসংকেত থিয়োরি। নাঃ, শ্রীরাধিকার গোপন অভিসারের সংকেত জাতীয় গূঢ় কোনো বিষয় নয়। আমরা দেশিরা যেহেতু ওদের গ্যাটম্যাট ইংরেজি ভালো বুঝতে পারি না তাই ওরা হেসে সংকেত দেয়, ওহে এইখানে তোমরাও হাসো। সত্যি সত্যিই সে সময় বিশেষ কোনো কথাই বুঝতাম না। তো সে যাই হোক, বড়ো হয়ে আমেরিকা এসে স্ট্যান্ড আপ কমেডি প্রথম দেখলাম। প্রথম প্রতিক্রিয়াটা খুব সুখকর ছিলো না, মূলত দুটো কারণে। এক, এই জাতীয় কমেডিতে প্রচুর সামাজিক-রাজনৈতিক অনুসঙ্গ থাকে, যার বেশির ভাগটাই আমার অচেনা ছিলো। ফলে বুঝতে পারছি মজার কিছু বলছে, কিন্তু মজাটা কী ধরতে পারছি না, এবং একঘর লোকের মধ্যে বসে দেখলে জায়গা মতো হাসতেও হচ্ছে না বুঝে, এটা কার ভালো লাগে বলুন। তা ছাড়াও আরেকটা কারণ ছিলো। এই জাতীয় কমেডিতে একেবারে সরাসরি আক্রমণ হয়, জাতটাত তুলে। আমার সুভব্য সামাজিকতার বোধ তাতে খুবই আহত হতো, বিশেষত লাইভ শো-য়ে যখন শিল্পী দর্শকাসন থেকে কাউকে আলাদা করে চিহ্নিত করে তাকে নিয়ে রসিকতা করতেন। এমন শো দেখতে কোনো দিন যাবো না এ সংকল্প তো ছিলোই, আর গেলেও সামনের দিকে বসবো না এইটে একেবারে পাকাপাকি স্থির করে ফেলেছিলাম।

তারপর, যেমনটা হয় আর কি, গঙ্গা ভোলগা দিয়ে অনেক জল বয়ে গেছে (এই খেয়েছে, আবার কেউ জলবন্টনের কথা ভেবে খেপে যাবেন না যেন, মাইরি বলছি আমি কিচ্ছু জানি না ও ব্যাপারে)। এ দেশে থাকা হলো কিছু দিন, সম্বর-রসম আর রাজমা-চাওল ছাড়াও রাম্প রোস্টের নেমন্তন্ন খেয়ে এদের হালহকিকতও জানলাম খানিকটা। এখন টিভিতে সারাহ প্যালিনকে দেখেই শুধু অট্টহাস্য হাসি না, ন্যান্সি পেলোসিকেও আক্রমণ করি আমি কতো আপ-টু-ডেট সেইটা বোঝাতে। কাজেই আজকাল কমেডি শো দেখি, টিভিতে এবং পয়সা দিয়ে টিকিট কেটে কমেডি ক্লাবটাবে গিয়ে। একটু একটু করে উপভোগও করতে শুরু করেছি, যদিও লাইভ দেখতে গিয়ে গোড়ার দিকে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তিও হয়েছিলো, টিভিতে সাবটাইটেল লাগিয়ে দেখলেও শো-য়ে তো সে সুযোগ নেই, কাজেই সবটা না বুঝলেও মাঝে মাঝেই হাসতে হয়েছে বিজ্ঞের মতো মুখভঙ্গী করে, বন্ধুবান্ধবদের সামনে নাক কাটা যাবে না নইলে?

তো এই সব মিলিয়ে অল্পস্বল্প চেনা হয়েছে এই সব শিল্পীদের, জানি প্রবাসীরা অধিকাংশই এঁদের চিনবেন, যদি দু-চার জন থাকেন যাঁরা এখনো এঁদের কথা শোনেন নি বা অনুষ্ঠান দেখেন নি তাঁদের হয়তো কাজে লাগতে পারে। আমার সবচেয়ে পছন্দের হলেন বিল মাহ্‌র, মূলত রাজনৈতিক বিষয় নিয়েই তাঁর কাজ। সম্প্রতি এঁর একটি লাইভ শো-য়ে গিয়ে প্রভূত আনন্দলাভ হলো। পৌনে দু-ঘন্টা যে ভাবে মাতিয়ে রাখলেন একাই, তার জন্য প্রতিভা লাগে প্রচুর পরিমাণে। এইচ বি ও -তে ওঁর "রিয়েল টাইম" অনুষ্ঠান থেকে এই অংশটা তুলে দিচ্ছি, আমেরিকার একনম্বরি হওয়া নিয়ে যে গর্বের বেলুন তাতে পিন ফুটিয়েছেন সহাস্যে। ছেড়ে দেন না উনি বিশেষ কাউকেই, দেখে না থাকলে ইউটিউবেই তার প্রচুর নিদর্শন পেয়ে যাবেন।

আমার আরেকজন পছন্দের শিল্পী হলেন এলেন ডি জেনেরাস। এলেন ততোটা পলিটিক্যাল নন, কিন্তু নানা সামাজিক পটভূমিতে হাস্যরস খুঁজে তিনি পরিবেশন করেন। এখানে তাঁর একটা ছোটো নক্সা দিলাম, কমেডি সেন্ট্রাল থেকে।

সারাহ্‌ সিলভারম্যান খুব শুকনো ধরণের হিউমার করেন, এবং এ জাতীয় অনুষ্ঠানে রেসিয়াল জোকস খুব বেশি চলে, তিনি তাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যান। রেসিয়াল জোকের স্বপক্ষে বলা হয় যে কারোকেই ছেড়ে কথা বলা হয় না, মেজরিটি বা মাইনরিটি যাই হোন। এখানে যেটা দিচ্ছি সেটা বেশ বড়োদের জন্য, অশ্লীল কথাবার্তায় ভরা, কাজেই সাবধানে শুনবেন এই অনুরোধ

এ নিয়ে আরও অনেক অনেক নাম বলার আছে, এক পোস্টে ধরবে না। পাঠকের পছন্দ হলে আরও পর্ব দেয়া যাবে। শেষ করি রাসেল পিটার্সকে দিয়ে। এই ভদ্রলোক ভারতীয় বংশোদ্ভুত কানাডিয়ান, এবং "দেশি"দের নিয়ে (এবং অন্যান্য জাতের লোকেদের নিয়েও) প্রচুর ফাজলামো করেন। ওঁর "সামওয়ান ইস গনা গেট হার্ট" প্রায় অ্যানেকডোটের পর্যায়ে পৌছে গেছে। যে ক্লিপটা দিলাম তার পরের পর্বগুলোও ইউটিউবে ঐ পাতাতেই পেয়ে যাবেন। ভারতীয় ইমিগ্রান্টদের নিয়ে যে পর্বটা তার লিঙ্ক এখানে, সরাসরি এটাও দেখতে পারেন।

দেখুন, হাসুন, ভালো থাকুন। হাসির মতো জিনিস হয়?


মন্তব্য

সবজান্তা এর ছবি

বাকিদেরগুলো জানি না, তবে রাসেল পিটার্স দেখা আছে। আমার চমৎকার লাগে !

সচলায়তনের আরো একজনকে চিনি যিনি এ ধরনের হিউমার খুবই পছন্দ করেন, এবং উনার সন্ধানেও বেশ কিছু ছিলো। লম্বা শীত নিদ্রায় ডুব মারা সেই সচলকে মিস্করি।


অলমিতি বিস্তারেণ

মূলত পাঠক এর ছবি

তিনি কে জানি না তবে হাসতে হাসতে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে থাকলে ডেকে তুলুন না, সবাই মিলে হাসা গেলে আরো ভালো হয়!

  এর ছবি

'সংসারে এক সন্ন্যাসী'?

স্নিগ্ধা এর ছবি

মাইরি বলছি আমি কিচ্ছু জানি না ও ব্যাপারে

ছিহ্‌! আপনি 'মাইরি' বলেন?? 'ইল্লি'ও চলে নাকি?? অ্যাঁ (বিস্মিত এবং শকড!)

বিল আর এলেন মহা পছন্দের, সারাহ সিলভারম্যানের নাম শুনেছি কিন্তু কিছু দেখি নি আগে, রাসেল পিটার্সও না।

কোন কিছুই যে এবসল্যুট নয়ে, তার প্রমাণ হচ্ছে এই 'নির্মল হাস্যরসোদ্রেককারী' পোস্টটা পড়েও আমি ইট্টু ক্ষেপে মতো গেলাম মন খারাপ

আরে বাবা, আমার কাজকর্ম কি সচলায়তন করে দিবে? না খেয়ে ভিক্ষা করতে হলে কি সচলায়তন আমাকে পয়সা দিবে? মরে গেলে আপনাদের কেউ কেউ হয়তো একটা শোকসঙ্কুল পোস্ট দিবেন, ব্যস ওই পর্যন্তই - তাইলে? তাইলে কেনু আমি সচলায়তনের নির্মল হাস্যরসের পোস্ট পড়ে হাসবো? কেনু, কেনু, কেনু?!

মূলত পাঠক এর ছবি

আহা প্রাকৃত ভাষায় সাহিত্য লিখতে পারি না বলে কি গালাগাল-টালও করি না? আর ইল্লিটিল্লি এ সব তো নেহাতই নিরামিষ! আর না খেয়ে মরবেন কেন, বালাই ষাট সত্তর আশি, হাসার অপরাধে কবে কার ফাঁসি হয়েছে বলেন?

রাসেল পিটার্সেরটা দেখে নিন সময় পেলে, ঐ যে লিঙ্কটা আছে ওখান থেকে দেখেন, সংক্ষেপে হবে, আর দেদার মজা পাবেন। ভদ্রলোক নাকি রিটায়ার করেছেন এই বয়সেই, শুনে ভারি দুঃখ পেলাম।

মামুন হক এর ছবি

দেখলাম দাদা, ব্যাপক হাসলামও, তবে গলা ছেড়ে নয়, অফিসে আছি যে হাসি
প্রাকৃত ভাষায় লেখা বিজ্ঞান ভালোবাসা, উত্তরাধুনিক মানুষদের জন্য নয়। এই নিয়ে আফসোস করোনা। চটকদার মোড়কে রদ্দি মাল খেয়ে টাল হয়ে যাবার মক্কেলের অভাব নেই আজকের এই ভ্রান্ত পিথিমীতে।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আমি প্রতিটাই দেখেছি আগে। আমার অসামান্য প্রিয় ৪ জনই। আরও অনেক কিছুর মতো স্ট্যান্ড-আপ দেখার পেছনেও আমার প্রাক্তন রুমমেট শোভন ভাইয়ের অবদান অনেক। যাঁরা দেখেননি আগে, তাঁরা দেখে আলোকিত ও আমোদিত হবেন।

এই যে সরাসরি আক্রমণ করে ঠাট্টা করা... এই ব্যাপারটা অসামান্য লাগে আমার। পাঠুদা, লেট নাইট শো নিয়েও একটা লেখা দিয়েন। আরেকটা ক্লাসিক জিনিস ওগুলো।

আর সন্ন্যাসীর ঘুম যে কবে ভাঙবে!! ওনাকে ছাড়া কেমন যেন পানসে লাগে...

মূলত পাঠক এর ছবি

নিশ্চয়ই লেখা যাবে, আরো কতোজন রইলেন যাঁদের নামোল্লেখ অবধি করতে পারি নি। আগামীতে তাঁদের কথা লিখবো, যদি পাঠকেরা চান।

ঋদ্ধ [অতিথি] এর ছবি

হুম... কে বলেছে আমরা হাসতে জানি না... দেঁতো হাসি
পোস্টের জন্য থাম্বস আপ চলুক

মূলত পাঠক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ, ঋদ্ধ।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এতোগুলো ইউটিউব লিঙ্ক দেখলেই আমি সেই পোস্ট থেকে দূরে থাকি। নেটস্পিড ভালো না তো... মন খারাপ
টেক্সট জোক টোক থাকলে পড়তে পারি বড়জোর...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মূলত পাঠক এর ছবি

সে আশঙ্কা লিখবার সময়েই ছিলো। প্রবাসীরা যাঁদের নেটপথ চওড়া তাঁরা এঁদের কথা অনেকেই জানেন, আর দেশে যেখানে এঁরা অপেক্ষাকৃত অচেনা বা কম চেনা, সেখানে নেটের কারণে অনেকেই পড়তে পারলেও ভিডিও দেখতে পারবেন না। অথচ এই হাস্যরস টেক্সটে দেওয়ার মতো ক্ষমতা কম লোকেরই আছে, ডায়লগ ডেলিভারি আর টাইমিং কি দাঁড়িকমা দিয়ে বোঝানো যায়। কিন্তু কী আর করা বলুন।

ভিডিওবিহীন লেখা দেবো এরপর।

যুধিষ্ঠির এর ছবি

কমেডি অনুবাদ করা কঠিন কাজ। আমি একবার জর্জ কার্লিনের কমেডি অনুবাদ করবো ভেবেছিলাম। বাপরে! প্রথম ড্রাফট লেখার পর দেখি জিনিসটা আমার আণ্ডারগ্র্যাডের মেটালার্জি বইয়ের একটা চ্যাপ্টারের মত হয়েছে। তারপরই ওই চেষ্টা বাদ দিয়েছি। এর চেয়ে চাদা তুলে দেশে নেটস্পীড বাড়ানোর প্রজেক্ট হাতে নেয়া সহজ।

মূলত পাঠক এর ছবি

খাঁটি কথা। আমার দ্বারা হবেও না, তার চেয়ে হাসির গল্প লিখে ফেলা সোজা কাজ।

যুধিষ্ঠির এর ছবি

বিল মার আর এলেন ডিজেনেরাস দুজনই আমার বেশ প্রিয়। এদের অনুষ্ঠান কখনো মিস করি না। বাকি দুজনকে কেন যেন খুব একটা "ভালো পাইনা", এখনো।

ভালো পোস্ট। হাসলাম। হাসি

মূলত পাঠক এর ছবি

সারাহ সিলভারম্যান একটু বেশিই কস্টিক, আমার চেনা অনেকেরই মত আপনার সাথে মেলে। আমি নিজে ওঁর কাজ অনেক যে দেখি তা নয়, তবে ঐ কড়া আর রগরগে জোকসের একটা অন্য আবেদন আছে, বুঝতেই পারছেন। হাসি

রাসেল পিটার্স এঁদের মতো পরিচিত নাম নন এ দেশে, কানাডায় হয়তো বেশি খ্যাতি থাকতে পারে। তবু সচলেরা ওঁর কমিক বেশি উপভোগ করবেন এই আশাতেই দিলাম।

হাসির যোগান দেওয়া গেলেই হলো। হাসি

মূলত পাঠক এর ছবি

ছবিটা কেমন হলো কেউ দেখি বলে না! আমার আবার প্রশংসার বড়োই লোভ। হাসি

যুধিষ্ঠির এর ছবি

ছবি জম্পেশ হয়েছে। আমি তো ভাবছিলাম আমার হতে-পারত প্রফাইল পিকচারের আইডিয়াটা আপনি পেলেন কোত্থেকে! খাইছে

মূলত পাঠক এর ছবি

থাংকু যুধিষ্ঠির। ভাল্লাগ্লে বানিয়ে ফেলেন প্রোফাইল পিকচার, কোনোই সমস্যা নেই।

স্নিগ্ধা এর ছবি

আমার আবার প্রশংসার বড়োই লোভ। হাসি

ছিহ! এই পোস্টেতো আপনাকে দিক্কার দিতে দিতে হয়রান হয়ে গেলাম মন খারাপ

তারওপর আবার কোথা থেকে না কোথা থেকে এক মুন্ডুর ছবি জোগাড় করে ইনডাইরেক্টলি আবার সেটার ক্রেডিট নেয়ার চেষ্টা! দিক্কার দিতে দিতে পানি পিপাসা পেয়ে গেলো রীতিমতো !!

মূলত পাঠক এর ছবি

তা খান না যতো ইচ্ছা পানি, পানি কি কম পড়িয়াছে? হাসি

সাইফ তাহসিন এর ছবি

রাসেল পিটার্স দেখেছি, তার সবগুলা অনুষ্ঠানই ফাটাফাটি, তবে শেষ অনুষ্ঠানটা একটু বেশী রঅ হয়ে গেছে, তবে ব্যাপক মজার। মেজাজ যতই খারাপ থাকুক না কেন, রাসেল মিয়া ঠিকই হাসিয়ে ফেলবে হাসি

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

মূলত পাঠক এর ছবি

হিউমার থেরাপি সবসময় কাজ দেয়, সত্যি কথা।

দ্রোহী [অতিথি] এর ছবি

আমেরিকায় এসে এই একটা জিনিসে দারূণ আসক্তি হয়েছে। আমি এমনিতে টিভি দেখি না খুব একটা। যখনই একটু সময় পাই, অন ডিমান্ডে গিয়ে কমেডি সেন্ট্রাল খুলে স্ট্যান্ড-আপ কমেডি দেখি।

আমার বেশীরভাগ স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ানকেই ভালো লাগে। তবে ভেন্ট্রিলোক্যুইস্ট জেফ ডানহ্যামকে সবচাইতে ভালো লাগে।

মূলত পাঠক এর ছবি

আপনার মন্তব্য পড়ে জেফ ডানহ্যামের কমেডি একটু দেখলাম ইউটিউবে। মজার লাগলো, তবে এঁর কাজটা তো ভয়ানক কঠিন, হাতে আবার দুখানা পুতুল নিয়েছেন দেখি! তিনজনের গলা একসাথে, এতো কিছু কো-অর্ডিনেট করাই তো বিশাল ব্যাপার!

ভুতুম এর ছবি

ডানহ্যাম আমারও সবচে প্রিয়। পিটার্সকেও বেশ ভাল্লাগে।

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

হিমু এর ছবি

আখমেদ দ্য ডেড টেরোরিস্ট যোগ করে দিলাম। এক কথায় অনবদ্য!



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

জাহিদ হোসেন এর ছবি

যদিও সময় পাইনে তেমন, তবুও কমেডী খুবই ভালবাসি। বিল মাহর খুবই প্রিয় আমার, রাসেল পিটার্সও। বিল মাহর এর রাজনৈতিক মন্তব্যগুলো দারুণ খোঁচাদায়ক।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

মূলত পাঠক এর ছবি

আমারও বিল মাহর ভয়ানক পছন্দের। ওঁর ধাঁচের শো আরো অনেকেই করেন, কিন্তু এমন চমৎকার আর কারোরটা লাগে না।

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

বাসায় গিয়ে দেখবো। কমেডি দেখতে বসলে আমার স্ত্রী ভয়ে থাকে আমাকে নিয়ে। তার অবশ্য দোষ দেওয়া যাবে না। আমি বেশী হাসতে শুরু করলে কেউ-ই সেই দৃশ্য বেশীক্ষণ হজম করতে পারবে না, আতঙ্কিত হবেই হাসি

মূলত পাঠক এর ছবি

আমার একটা দোষ আছে কিছু শুনলে সেইটা ভিসুয়ালাইজ করে ফেলি, চাই আর না চাই। আপনার অট্টহাস্য করিতে করিতে সোফা হইতে পতনের দৃশ্যও দেখলাম অতএব। হাসি

সাবধানে দেখবেন।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।