নতুন বোতলে পুরাতন মদ - কোডারট্রাস্ট

সাফি এর ছবি
লিখেছেন সাফি (তারিখ: সোম, ০১/১২/২০১৪ - ৫:০৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কোডারট্রাস্ট বাংলাদেশ সংগঠনটা সম্পর্কে আমি সবার প্রথমে জানতে পারি লাইকজীবি আরিফ আর হোসেন এর কাছ থেকে। প্রথমে দেখি আরিফ সাহেব কী বলেন -

"‘আপনার এম্বিশান... আপনার স্বপ্নই’ হবে আপনার কলেটারাল বা স্টেইক
‘আপনার মেধাই’ হবে আপনার পুঁজি
যদি দেখা যায় দিনাজপুরের সাব্বিরের মেধা আছে... এখন শুধু দরকার কিছু টাকা আর গাইডেন্স
এক মুহূর্তে তাকে লোন দিয়ে দেয়া হবে
শুধু কিন্তু লোন দিবে না... হ্যা লোনটা দিবে এই কারনেই যেনও তাকে এই মুহূর্তে তার পড়াশোনার খরচ চালাতে গিয়ে অন্য চিন্তা না করতে হয়; সাথে সাথে তাকে নিজ খরচে ট্রেনিং দেয়া হবে... কোডিং এর ক্লাস করানো হবে... কোর্স করানো হবে
মোট কথা ওরা পথ দেখিয়ে দেবে ... পথ চলার জন্য উপযুক্ত প্রশিক্ষন দেবে, কিন্তু চলতে হবে শিক্ষার্থীদেরকেই"

অর্থাৎ কেউ যদি প্রোগ্রামিং শিখতে চান, তাহলে কোডারট্রাস্ট তাকে প্রশিক্ষণ দেবে, ৬ মাসের জন্য নিজের খরচ চালানোর টাকা ধার দেবে। ভাল খবর। আরিফ সাহেব আরো বলেন -

"তারপর আমাদের অন্য পার্টনার যারা আছে (যেমন, Elance এবং oDesk.), ওখানে কিভাবে কাজ পাওয়া যায় সে বিষয়েও প্রশিক্ষন দেয়া হবে যাতে করে একজন শিক্ষার্থী ঘরে বসে বসে ইনকাম শুরু করে দিতে পারে
এভাবে ধীরে ধীরে সে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে, আস্তে আস্তে লোন পরিশোধ করবে
... সিম্পল
সহজ কথায়; প্রাথমিকভাবে ৬ মাস তাদের উপর ইনভেস্ট করা হবে... সপ্তম মাসে তাকে ঘরে বসে ইনকাম করার উপায় ধরিয়ে দেয়া হবে... এবং তার ইনকাম শুরু হওয়ার পর থেকে আশা করা যায় এক বছরে সে লোন পে-বেক করবে"

এসব কিছু শুনতেই খুব চমৎকার উদ্যোগ মনে হলো, শুধু লোন এর ব্যাপারটা ছাড়া। আমি নিজেও সফটওয়্যার প্রকৌশলী। তাই ব্যাক্তিগত আগ্রহ থেকেই আরো ভালভাবে জানতে কোডারট্রাস্ট এর ওয়েবসাইটের শরণাপন্ন হই। চমৎকার ওয়েবসাইট। সেই সাথে বেশ ঋদ্ধ একটা Frequently Asked Question সেকশন।

প্রশ্নঃ আমার কোন রকমের Micro Loan প্রয়োজন নাই, আমি কি Course টা আপনাদের E Learning Center এ যেয়ে করতে পারব?
উত্তর- “আমরা জেনে খুশী হলাম যে আপনি আমাদের কোর্সে Join করতে চান। যা হোক, আমাদের বর্তমান উদ্যোগ তাদের জন্য যারা অর্থের অভাবে কোন প্রশিক্ষন গ্রহন করতে পারছেন না। আপনারা যারা লোন ছাড়া কোর্স করতে চান হয়ত আমরা ভবিষ্যতে তাদের জন্য কিছু করতে পারব। আমাদের সাথেই থাকুন!”

অর্থাৎ এখানে শিক্ষা বা প্রশিক্ষনটা মূখ্য নয়। লোন দেওয়াটাই মূখ্য। এই লোন ৬মাসের প্রশিক্ষণ শেষে এক বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে ১৭% সুদ সহ। সেই সাথে প্রথম তিন বছরের আয়ের ১০% প্রতি মাসে কোডারট্রাস্ট কে দিতে হবে সার্ভিস চার্জ হিসেবে(এই ১০% এর হিসাব আরিফ সাহেব দিতে ভুলে গেছেন অবশ্য)। FAQ সেকশন থেকে আরেকটি প্রশ্নোত্তর তুলে দেই-

প্রশ্নঃ আমি কোর্স শেষ হওয়ার পর কি পরিমান আয় করতে পারব?
উত্তর- আপনার আয়ের ক্ষমতা নির্ভর করবে বিভিন্ন বিষয়ের উপর যেমন আপনি Developer হিসাবে কতটুকু দক্ষ, কাজে বিড করার ক্ষমতা, Client এর সাথে যোগাযোগের দক্ষতা, ইত্যাদির উপর। এটা নির্ভর করছে পুরোটা আপনার উপর। আমরা দেখেছি প্রথম মাসের পর থেকে ঘন্টায় $১৫ হিসাবে কাজ করতে। জানার জন্য শুরু করেই দেখুন না।

অর্থাৎ এখানে মুলাটা হলো ঘন্টায় ১৫$ কাজ পাওয়ার ব্যাপারটা এবং কোডারট্রাস্ট কাজ পাওয়ার ব্যাপারে কোনরকম নিশ্চয়তা তাদের ওয়েবসাইটে দেয়নাই। সুতরাং কোডারট্রাস্টের এই প্রজেক্টে যারা সফল হবেন, তারা মাসে এক ঘন্টা কাজ করলে ১৫$ এর আয়ের বিপরীতে কোডারট্রাস্টকে ১.৫$ দিতে হবে। কেউ যদি মাসে ৪০ঘন্টাও কাজ করেন(দৈনিক আট ঘন্টা হিসেব করলে, সপ্তাহে ৪০ঘন্টা নিয়মিত কর্মঘন্টা হিসেবে বিবেচিত হয়) তাহলে তিন বছরে ৪০*১.৫*১২*৩=২১৬0$, ২১৬০$ কোডারট্রাস্টকে দিতে হবে।

এই সবকিছু দেখে একে আর সমাজসেবামূলক কিছু মনে হচ্ছেনা। বরং নতুন বোতলে পুরাতন মদ হিসেবে সেই ক্ষুদ্র ঋণ গেলানোর আরেকটা উপায় হিসেবেই দেখতে হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক অন্যতম সেরা ওয়েবসাইট টেকক্রাঞ্চের ওয়েবসাইট থেকে এই সাইট (কোডারট্রাস্ট) সম্পর্কে যা বলা হয়েছে তার থেকে এক লাইন শেয়ার করি-

"The organization is backed by Nobel Peace Prize winner Dr. Muhammad Yunus’s Grameen Bank to supply the funds needed while Bangladeshi candidates learn programming skills."

সবশেষে- এই লেখাটা লাইকজীবি আরিফ আর হোসেন বা কোডারট্রাস্ট বা গ্রামীণ ফাউন্ডেশন অথবা দঃ ইউনূস কারো বিরুদ্ধচারণ করার জন্য লেখা না। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বেই প্রোগ্রামারদের চাহিদা অনেক। সুতরাং প্রকৃত প্রশিক্ষণ পেলে যার আগ্রহ আছে সে দেশে বসেই আউটসোর্সিং করে উপার্জনক্ষম হতে পারবে এইটাও সত্য। কিন্তু আমি কোডারট্রাস্টের প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দিহান। দিনশেষে এই প্রজেক্ট আরেকটা দারিদ্র‍্যকে পুঁজি করে ঋণ দেওয়ার ব্যবসা বলেই মনে হয়েছে। যারা কোড শিখতে চান, ইন্টারনেটে ফ্রিতেই অনেক চমৎকার রিসোর্স আছে তাদের জন্য। আশা করি কোডারট্রাস্টের সাথে যুক্ত হওয়ার আগে সবাই পুরো প্রক্রিয়াটা ভালভাবে জেনেই সিদ্ধান্ত নেবেন। দুঃখিত কোডারট্রাস্ট, আমি অন্তত তোমাকে ট্রাস্ট করতে পারছিনা।


মন্তব্য

সত্যপীর এর ছবি

কোডারট্রাস্টের পাটনার যে গ্রামীণ সল্যুশন্স এইটা আরিফার পুরাই চাইপা গেছেন। দেখলাম উনি ড্যানিডার ডলারের অফার ছাইড়া বিনা পারশ্রমিকে কাজ করতে রাজি হইছেন। মারাত্মক কথা। এখন প্রশ্ন হইল, তাইলে কোডারট্রাস্ট টেকা চায় ক্যান? হেরাও চ্যারিটি ঘোষণা করলেই পারে আরিফারের মতন?

এই লোকে পাব্লিকের ঘাড় ভাইঙ্গা ভবিষ্যতে ভালোই কামাইব এনশাল্লা।

..................................................................
#Banshibir.

সাফি এর ছবি

কোডারট্রাস্টের উদ্দেশ্য এতই মহৎ হলে ওরা ট্যাকা দিয়া ট্রেনিং দিক। ১৭% ইন্টারেস্টে ঐ টাকা ফেরত না নিয়া চাকরির পরে ইনকামের ১০% তিন না দরকার হলে ৪ বছরে নিক। তাইলেই তো হয়।

সত্যপীর এর ছবি

টাকা দিয়া কেউ এই ট্রেনিং করবে না, এইসব ট্রেনিং অনলাইনে ফ্রি। ছাত্র টানার জন্য তাই এই তরিকা প্রয়োজন।

..................................................................
#Banshibir.

সাম্য এর ছবি

যেহেতু ঋণ পরিশোধ না করতে পারলে গ্রামীণ ব্যাংক দ্বারা গরীবের বাড়ির চাল পর্যন্ত খুলে নেওয়ার নজির আছে, কোডারট্রাস্টের শিক্ষার্থীদের খবরাছে। আমার পাপী মন কেন যেন বলে এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট (মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি) জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ কিছুও শুরুতেই আমানত হিসেবে রেখে দেবে ওরা।

--------------------------------
বানান ভুল থাকলে ধরিয়ে দিন!

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাবতাম এইদেশে গন্ডায় গন্ডায় কাতারে কাতারে শুধু বেশুমার ছাগু। আরিফারদের স্ট্যাটাসে লাইক আর গদগদ কমেন্টে এখন দেখি লেইমের সংখ্যাও অগণিত !

বাই দ্যা ওয়ে, জালে তো ঝাকে ঝাকে মাছ ধরা পড়ছে,

নেক্সট ব্যাচের ক্লাস শুরু হচ্ছে সামনের মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে... তার পরের ব্যাচের জন্য এপ্লিকেশান জমা চলছে, যেটা শুরু হবে মার্চে।
তখন প্রায় ১০০০ জনকে লোন দেয়া হবে। ইতিমধ্যেই এপ্লিকেশান পড়েছে তার থেকে অনেক বেশী।

রাজর্ষি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক অন্যতম সেরা ওয়েবসাইট টেকক্রাঞ্চের ওয়েবসাইট থেকে এক লাইন শেয়ার করি-

এই লাইনটা এভাবে বলা দরকার মনে করছি যাতে ব্যাপারটা পরিষ্কার হয়:

তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক অন্যতম সেরা ওয়েবসাইট টেকক্রাঞ্চের ওয়েবসাইট থেকে এই সাইট (কোডারট্রাস্ট) সম্পর্কে যা বলা হয়েছে তার থেকে এক লাইন শেয়ার করি-

আমি টেকক্রাঞ্চে যাইনি তাই বলতে পারছিনা আমার মন্তব্যটুকু কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ।

সময়োপযোগী লেখা।
হাসি

সাফি এর ছবি

ধন্যবাদ। ঠিক করে দিলাম।

মন মাঝি এর ছবি

শিক্ষা লোনতো পৃথিবীর সবখানেই আছে বলে জানি। সবাইই সুদ-মুদ নেয় আন্দাজ করি (আমি কখনো নেই নাই, তাই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা নাই)। তাহলে এটাতে অসুবিধা কি? চিন্তিত

****************************************

হিমু এর ছবি

ব্যবসাকে সমাজসেবা হিসাবে প্যাকেজ করার ধান্ধাবাজিটাই আপত্তিকর। বাবুকাকার কায়দা।

সত্যপীর এর ছবি

স্টুডেন্ট লোন আমেরিকাতে এক ট্রিলিয়ন ডলারের ব্যবসা। লক্ষ লক্ষ স্টুডেন্ট মাথায় দেনা নিয়ে গ্র্যাজুয়েট করছে এবং ১০/১৫/২০ বছর ধরে পরিশোধ করছে ৪ বছরের লোন।

এইখানে একটা কথা পরিষ্কার করা প্রয়োজন, আমি লোন জিনিসটাকে (কেবল স্টুডেন্ট লোন নয়, ক্রেডিট কার্ড কার লোন কোডারট্রাস্ট গ্রামীণ মাইক্রো ফাইনান্স সকল লোনই) খারাপ বলছি না। লোন একটি টুল, ছুরির মত। বা গাড়ীর মত। টুল ভালোও না খারাপও না, ভালো খারাপ হল টুলের ব্যবহার। এইখানে কোডারট্রাস্টের কথায় আসি। এরা আরিফার জাতীয় লাইকজীবীদের দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে যাবে, গিয়ে বলবে তুমরা গরীব হে ভয় নাই আমি তোমার বন্ধু ড্যানিশ গৌরিসেন। এখনো সুমায় আছে অ্যাপ্লিকেশন কর দিনাজপুরের মেধাবী, টেকা দিব আমি। পরে আমাকে শোধ করে দিলেই চলবে। আগে সাইন টাইন কর এইখানে পরেরটা পরে। সামনে তুমার স্বর্নালী ভবিষ্যত।

সমস্যাটা এইখানে। ড্যানিডার উচিৎ ছিল এই বিষয়ে কর্মশালার আয়োজন করা। সেইখানে পেমেন্ট প্ল্যান নিয়ে পরিষ্কার বিবরণ থাকবে যে আগ্রহীদের এত টাকা দেয়া হবে, তার ইন্টারেস্ট এত পার্সেন্ট, দুই বছরের কোর্সে মোট খরচ এত, তার এত পার্সেন্ট আমাদের বৈধ কমিশন, কোল্যাটারাল হিসেবে আমরা এই এই অ্যাসেট এক্সেপ্ট করব, অ্যাসেট না থাকলে এই এই গ্যারান্টার লাগবে, চাকরির ব্যাপারে আমরা সরাসরি সাহায্য করব/করব না, চাকরি পেলেই শুধুমাত্র আমরা ইন্টারেস্ট চাইব অথবা চাকরি হোক না হোক আমাদের কমিশন এত বছরের মধ্যে দিতে হবে।

সেই কর্মশালায় এইসব প্রশ্নের উত্তর দিবেন তাদের কোম্পানির দায়িত্বশীল কোন কর্মকর্তা, অনলাইন লাইকজীবী নয়। মানুষের কষ্টের টাকা নিয়ে ফাজলামি তামাশা হতে পারে না।

পুরাটা শুনে বুঝে এরপরে যারা লোন নিতে চায়, নিবে। যারা সত্যই মনে করে তারা চাকরী পাবে এবং এই রিস্ক নিতে ইচ্ছুক, তারা লোন নিক। আর যারা মনে করবে নাহ থাক রিস্ক নিতে চাইনা, তারা সরে দাঁড়াবে। এইটাই হওয়া উচিৎ ড্যানিডার এথিকাল বিজনেস পলিসি, দারিদ্রের বন্ধু হতে চাইলে চ্যারিটি খুলুক স্টুডেন্ট লোন নয়।

লাইকজীবী বাটপার এসে সাহায্য করবে না ইন্টারেস্টের ফাঁদে পড়লে, রিস্ক নিতে হলে মানুষ জেনেবুঝেই নিক। লোনের আলোকিত দিক নিয়ে প্রচুর কথা শুনা যায়, অন্ধকার দিকটাও জেনে নেয়া ভালো।

..................................................................
#Banshibir.

মন মাঝি এর ছবি

চমৎকার বলেছেন, পীরছাহেব! আপনার এক কমেন্টেই পুরা বিষয়টা এক্কেবারে ফকফকা! হাততালি

****************************************

হাসিব এর ছবি

বস, আমেরিকা != পৃথিবী। জাস্ট সেয়িং।

মন মাঝি এর ছবি

বলেন কী! অ্যাঁ
তবে যাক, আপনার কথায় অবশেষে নিশ্চিন্ত হওয়া গেল, আসলেই আমেরিকা > পৃথিবী। জাস্ট সেয়িং।

****************************************

মরুদ্যান এর ছবি

চলুক

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

এক এক সময় এক একটা সেক্সি কন্সেপ্ট আসে, এখন সমাজসেবা হইলো একটা সেক্সি কন্সেপ্ট, এখন বাংলাদেশে একটা শ্রেণির কাছে জাগোর সেক্সি কোনো কিছু আর হইতেই পারে না। আবার উল্টাদিকে হুদা সেবা দিয়ে কিছু টেকাটুকা না কামাইলেও সোসাইটিতে একটু ঠাঁট বজায় রেখে চলা যায় না। অতএব দুইটারে ঘুটা দিয়ে বানাও সামাজিক বেবসা। ডঃ ইউনুসের মডেলে ইন্ডিয়াতেও কী জানি একটা এরকম অনলাইন প্ল্যাটফর্ম শুরু হয়েছে। সম্ভবত এটা চলতে থাকবে। মহাজনি ব্যাবসার কর্পোরেট রূপ আরকি।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

এইটার কথা কইছিলাম, নাম কিভা। এইটার প্রতিষ্ঠাতা প্রেমাল শাহ, এই লোক ভবিষ্যত নুবেল পাবে, লেইখা রাখেন।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

অয়ন এর ছবি

বাংলাদেশ সরকার এই ধরনের একটা প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে যেখানে প্রশিক্ষণের জন্য লোন না, উল্টা হাত-খরচ হিসেবে কিছু টাকা দেয়া হবে।
এখানে বিস্তারিত পাবেন।

মানবসম্পদ উন্নয়নে দুই হাজার ৭০০ কোটি টাকার সহায়তা দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এর মাধ্যমে দেশের সাড়ে ১২ লাখ তরুণকে কর্মমুখী প্রশিক্ষণের আওতায় আনা সম্ভব হবে। সংস্থাটি বাংলাদেশকে সহজ শর্তে ৩৫ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দেবে। ডলারপ্রতি ৭৮ টাকা হিসাবে এ পরিমাণ দাঁড়ায়। স্কিল ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (এসইআইপি) শীর্ষক কর্মসূচি বাস্তবায়নে এডিবির অর্থ ব্যয় করা হবে। সোমবার সদর দফতর ম্যানিলায় অনুষ্ঠিত এডিবির বোর্ড সভায় এ প্রকল্পের ঋণপ্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সংস্থার ঢাকা আবাসিক মিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের দুই-তৃতীয়াংশ শ্রমিকের ন্যূনতম শিক্ষাও নেই। প্রশিক্ষণের আওতায় আসছেন মাত্র ৪ শতাংশ শ্রমিক। দক্ষতার অভাবে অনেক শ্রমিক কাজ পাচ্ছেন না। এর ফলে অর্থনীতিতে বাড়ছে বেকারত্বের হার। একই কারণে শ্রমিকরা পারিশ্রমিকও পাচ্ছেন কম। বিশেষ করে নারী সমাজের জন্য প্রশিক্ষণের সুযোগ খুবই সংকীর্ণ।
এ বিষয়ে সংস্থার দক্ষিণ এশীয় বিভাগের পরিচালক স্যাংস্যুপ রা বলেন, বৃত্তিমূলক ও কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শ্রমিকদের দক্ষতা আরও বাড়ানো প্রয়োজন। এটি সম্ভব হলে শ্রমিকরা আরও উচ্চ বেতনের চাকরি পেতে পারেন। এর ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতি উচ্চতর পর্যায়ে উন্নীত হবে।
সংস্থার পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশের শ্রমশক্তির আকার ৭ কোটি ৮০ লাখে উন্নীত হবে। অথচ বর্তমানে দেশটির শ্রমশক্তির আকার ৫ কোটি ৬৭ লাখ। শুধু দক্ষতা বাড়ানোর মাধ্যমে বাংলাদেশ এ বাড়তি জনসংখ্যার সুবিধা ভোগ করতে পারবে। এর একমাত্র উপায় শিক্ষার হার বাড়ানো। শ্রমশক্তির প্রশিক্ষণের সুযোগ অন্তত চার গুণ বাড়ানো দরকার বলে জানিয়েছে এডিবি।
এডিবি জানায়, এসইআইপি বাস্তবায়নে মোট ১০৭ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় হবে। এর মধ্যে এডিবি সাত বছরে দেবে ৩৫ কোটি ডলার। তিনটি পর্যায়ে এ অর্থ ছাড় করা হবে। কর্মসূচি বাস্তবায়নে সরকারের তহবিল থেকে ২০ কোটি ডলার, সুইজারল্যান্ড সরকারের তহবিল থেকে ৩ কোটি ডলার, অন্য দাতাদের তহবিল থেকে ৪০ কোটি ডলার এবং বেসরকারি খাত থেকে ৯ কোটি ডলার বিনিয়োগ করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে এডিবি।
এডিবি জানায়, ১৫ খাতে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। তবে প্রাথমিকভাবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ছয়টি খাতে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে তৈরি পোশাক, নির্মাণ, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, চামড়া এবং জাহাজ নির্মাণ খাত। এসব খাতের দুই লাখ ৬০ হাজার শ্রমিক দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ পাবেন প্রাথমিক পর্যায়ে।
এডিবি সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিক পর্যায়ে ১০ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তার বিষয়ে আগামী সপ্তাহে সরকারের সঙ্গে ঋণচুক্তি হবে। ২০১৬ ও ২০১৮ সালে পরবর্তী পর্যায়ের ঋণচুক্তি হবে।
উল্লেখ্য, ২৯ এপ্রিল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এসইআইপি কর্মসূচির প্রাথমিক পর্যায় অনুমোদন পেয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৫০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। অর্থ মন্ত্রণালয় সারা দেশে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্পের কাজ ২০১৪ সালের জুলাইয়ে শুরু হয়ে শেষ হবে ২০১৭ সালের মধ্যে। এর প্রাথমিক পর্যায় বাস্তবায়ন হলে এক লাখ ৮২ হাজার জনের কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।

মেঘলা মানুষ এর ছবি

'মদ' জিনিসটা যারা ব তারা 'ভালো ভালো' কাস্টমার ধরার ধান্দায় থাকে। সবাইকে এই 'মদ'-এর লোভ দেখিয়ে ব্যবসা করার ধান্দাটাকে 'পিপাসা নিবারণ' কর্মসূচির আড়ালে ঢাকা দেয়া হয়েছে।
[এখানে মদ বলতে সুরা বোঝানো হয় নি শয়তানী হাসি ]

শুভেচ্ছা হাসি

কল্যাণ এর ছবি

এইভাবে প্যান্ট খুলে দিলে হয়? চলুক

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।