কাশ্মীর তুমি কার?

সাফি এর ছবি
লিখেছেন সাফি (তারিখ: শুক্র, ৩০/০৯/২০১৬ - ৮:২৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সম্প্রতি ভারত এবং পাকিস্তানের মাঝে কাশ্মীর নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। তাই এক টুকরো সরলীকৃত ইতিহাস শিক্ষা -

১৯৪৭ সালে ইংরেজরা যখন উপমহাদেশ ছেড়ে চলে যায়, তখন তারা উপমহাদেশের বিভিন্ন এলাকা, সেই সেই এলাকার রাজাদের কাছে ফেরত দিয়ে যায়। বর্তমান ভারতের অন্তর্গত প্রায় সব রাজ্য তখন ভারতের সাথে যুক্ত হতে সম্মত হলেও, তাতে বাদ থাকে কাশ্মীর। কাশ্মীর এক পাশে যেহেতু পাকিস্তান সীমান্ত, রাজা হরি সিংহ, কোন দেশের সাথে যুক্ত হলে ফায়দা বেশী হবে - সেই ফিকির খুঁজতে থাকেন।

কিন্তু এই দেরি সহ্য করেনি পাকিস্তান, তাই তারা কাশ্মীর আক্রমণ করে এর অনেকখানি এলাকা দখল করে ফেলে। এই খবর শুনে রাজা হরি সিংহ, হুহু করে কেঁদে উঠে ভারতের সহায়তা চান। ভারত তখন দেখে ফান্দে পরিয়া বগা কান্দেরে, অর্থাৎ এই সুযোগ - তারা দাবী করে ভারতের সাথে যুক্ত না হলে তারা সামরিক সাহায্য করবেনা। তখন রাজা আর দেরি না করে ভারতের সাথে যুক্ত হওয়ার চুক্তি করে ফেলেন। ভারতীয় সেনা বাহিনী তখন কাশ্মীরে যুদ্ধ করে কিছু অংশ (পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর) বাদে বাকী কাশ্মীর পুনরুদ্ধার করে ফেলে। যুদ্ধ চলতে থাকে।

এই পর্যন্ত সব ঠিক ছিলো। আমরা একটা শুভ সমাপ্তির দিকে এগিয়ে চলেছিলাম। কিন্তু, যেহেতু কাশ্মীর ভারতের অংশ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই পাকিস্তান কাশ্মীরকে দখল করে রেখেছিলো, তাই পাকিস্তান কাশ্মীরকে নিজের ন্যায্য হিস্যা মনে করে জাতিসংঘের কাছে বিচার দেয় ভারতের নামে। বাংলা সিনেমার পুলিশের মতন, শেষ দৃশ্যে আবির্ভুত হয়ে, জাতিসংঘ 'হ্যান্ডস আপ! গুল্লি বন্ধ, যুদ্ধ থামাও ' বলে যুদ্ধ থামিয়ে দেয়।

জাতিসংঘ রায় দেয়, কাশ্মীরের লোকজন ভোট দিয়ে নিজেদের ভাগ্য নিজেরাই নির্ধারন করবে। কিন্তু ভারত বাদ সাধে - যেহেতু রাজা ভারতের সাথে যুক্ত হওয়ার চুক্তি সাক্ষর করে ফেলেছে এবং তার ভিত্তিতে ভারত পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ করে কাশ্মীর মুক্ত করেছে - তাই চুক্তি মোতাবেক কাশ্মীর ভারতের।

দেনদরবার চলতে চলতে, ভারত জাতিসংঘের প্রস্তাব মেনে নেয়। কিন্তু শর্ত দেয়, কাশ্মীরে ভোট হতে হলে, আগে পাকিস্তানকে তাদের দখল(পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর) ছেড়ে দিতে হবে। অর্থাৎ, কাশ্মীরের লোকজন যদি ভোটাভুটিই করে তাহলে সেইটা স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ এবং আন্তর্জাতিক মানের হতে হবে - কোন রকম পাকিস্তান এর ধারে কাছে থাকতে পারবেনা - একেবারে যাকে বলে ১৪৪ ধারা। এই শুনে পাকিস্তান ভারতকে কচু দেখায় - 'আমাকে মদন পেয়েছ? আমি দখল ছাড়ি আর তুমি কাশ্মীর নিয়া নাও!' ভারত যতই কিরা কসম কাটে, তাতে পাকিস্তান এতটুকুন বিশ্বাস করেনা।

তাই পাকিস্তান তার অধিকৃত অংশের দখল ছাড়েনা, আর দখল না ছাড়লে ভারত ও নির্বাচন দেবেনা। মাঝখান থেকে মারা খেতে থাকে কাশ্মীরের জনগণ।

***সার সংক্ষেপ***
============
ছোটবেলায়, বই-এ পত্রিকায় পড়তাম ভূস্বর্গ কাশ্মীর। স্বর্গ যেহেতু কেউই ছাড়তে চায় না - তাই ভারত পাকিস্তান উভয়ই কাশ্মীর চায়। দুই পক্ষই মনে করে, তাদের নিজ নিজ দাবী যৌক্তিক। এই সমীকরণে এখন আবার যুক্ত হয়েছে, নতুন বড়লোক গণচীন। তাই, তেল আবিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত আপাতত কাশ্মীরবাসীর "স্বাধীনতা" পাওয়ার কোনই সম্ভাবনা নাই।


মন্তব্য

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

এটাই ছহি ইতিহাস হাততালি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

সাফি এর ছবি

হ।

ঈয়াসীন এর ছবি

চলুক

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

সাফি এর ছবি

চলুক

মাহবুব লীলেন এর ছবি

বর্তমান ভারতের অন্তর্গত সব রাজ্য তখন ভারতের সাথে যুক্ত হতে সম্মত হলেও, তাতে বাদ থাকে কাশ্মীর।

কঞ্চিত সংশোধন করে নিয়েন এই প্যারা। হাদ্রাবাদ-মনপিুরসহ আরো বেশ কিছু রাজ্য কিন্তু ভারতের সাথে যায়নি সেই সময়। সিকিম তো ৭৫-এর দিকে যুক্ত হয় ভারতে। সবগুলাই মিলিটারি সিস্টেমে যুক্ত

সাফি এর ছবি

ঠিক! ধন্যবাদ। ঠিক করে দিচ্ছি।

অহনা  এর ছবি

হাদ্রাবাদের গণভোটের অপশন ছিল না?

অতিথি লেখক এর ছবি

বর্তমান ভারতের অন্তর্গত সব রাজ্য তখন ভারতের সাথে যুক্ত হতে সম্মত হলেও, তাতে বাদ থাকে কাশ্মীর।

সরলীকরণ করতে গিয়ে যদি তথ্যে ভুল থেকে যায় তাহলে কি সেটা ঠিক হয়? এটা ঠিক যে অনেক দেশীয় রাজ্য সেধেই ভারতে যোগ দিয়েছিল। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে অনেকের ভারতে যোগ না দিয়ে উপায় ছিল না। দেউলিয়া হয়ে যাবার কারণে অনেকে ভারতে যোগ দিয়ে নিজেদের চামড়া বাঁচিয়েছিল। তবে মাথায় হাত বুলিয়ে, লোভ দেখিয়ে, আশা দিয়েও অনেক রাজ্যকে ভারতে যোগ দেয়ানো হয়েছিল। এবং মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে, ষড়যন্ত্র করে, কচুকাটা করে অনেক রাজ্যকে ভারতে যোগ দেয়ানো হয়েছিল। হায়দরাবাদ, জুনাগড়, মনিপুর, নাগাল্যান্ড, সিকিম, গোয়া – এমন উদাহরণগুলোর কথা তো সবাই জানেন। আগে না পড়ে থাকলে ভারতে যুক্ত হবার/করার ব্যাপারে এক সরদার বল্লভভাই প্যাটেলের ভূমিকার ইতিহাস পড়ুন তাহলে বুঝবেন তথ্যে ভুলটা কোথায় হলো।

তখন রাজা আর দেরি না করে ভারতের সাথে যুক্ত হওয়ার চুক্তি করে ফেলেন।

এইখানে কিছু তথ্য না দেয়ায় বাক্যটা একপেশে হয়ে গেছে। পাকি খুনী-লুটেরারা যেমন কাশ্মীরে ব্যাপক হারে হত্যা-ধর্ষণ-লুটপাট চালিয়েছিল আরএসএস আর আকালী দলের গুণ্ডারাও তেমন জম্মুতে হত্যা-অরাজকতা চালিয়েছিল। ভারতের কথা দিয়ে কথা না রাখা, সরদার বল্লভভাই প্যাটেলের সাথে মিলে বেঈমান শেখ আবদুল্লাহ্‌ আর জাস্টিস মেহর চাঁদ মহাজনের ষড়যন্ত্রের কথা না বললে কাশ্মীরের পরিণতির আসল কারণগুলো চাপা পড়ে যায়। ।

কাশ্মীরে গণভোটের পরামর্শ প্রথমে দিয়েছিলেন জওয়াহার লাল নেহরু নামের এক কাশ্মীরি পণ্ডিত, কিন্তু ইউপি’র মণ্ডল লিয়াকত আলী খান সে সুযোগ নেয়ার চেয়ে গায়ের জোরে দখল করাটাকে প্রেফার করেছিল।

কাশ্মীর ভারতের হবে না পাকিস্তানের হবে সেটা নিয়ে ভারত আর পাকিস্তান কখনো আলোচনা করে, কখনো যুদ্ধ করে। অথচ দেশটা যাদের তাদের মতামত (যেটা একমাত্র মতামত হবার কথা) নেবার কথা কেউ বলতে চায় না।

আমি ভাবি, ১৯৭১ সালে ভারত আর পাকিস্তান যদি শিমলা বা তাসখন্দে দ্বিপাক্ষিক অথবা জাতিসংঘে বহুপাক্ষিক আলোচনায় বসে অথবা মাঝে মাঝে এখানে ওখানে দু’চারটা ঠুসঠাস করে আমাদের ভাগ্য নির্ধারণ করতে বসতো তাহলে আমাদেরকে মুক্তিযুদ্ধটা আরও কতো বছর বা কতো দশক ধরে চালাতে হতো!

সাফি এর ছবি

লেখার মূল উপপাদ্য আসলে ভারতের সাথে কারা যুক্ত হয়েছিলো সেইটা ছিলোনা, তাই এক কথায় সেরে ফেলেছিলাম। ভালো হলো, মন্তব্যে ভুল শোধরানো গেলো সাথে আগ্রহী পাঠকের জন্য আরো কিছু তথ্য যুক্ত হলো। আমি নিজেও কিছু নতুন জিনিস জানতে পারলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।

অতিথি লেখক এর ছবি

এই বিষয়ে জানার থলেটি একেবারে খালি আমার । তাই যা পড়েছি ,টুকে নিয়েছি। আর উদিত কিছু প্রশ্নের উত্তর মন্তব্যে আসতে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে জানা হবে অনেক কিছু। চোখ রাখলাম সেদিকে-
এ্যানি মাসুদ

সাফি এর ছবি

চলুক

আহসান হাবীব এর ছবি

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মীর নিয়ে ১৯৪৭, ১৯৬৫ এবং ১৯৯৯-এ অন্ততঃ তিনটি যুদ্ধ হয়েছে। এছাড়াও,১৯৮৪ সালের পর থেকে সিয়াচেন হিমবাহ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এই দুই দেশ বেশ কয়েকটি খণ্ডযুদ্ধে জড়িত হয়েছিল। ভারত সমগ্র জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যটি তাদের বলে দাবি করে এবং যার মধ্যে ২০১০ সালের হিসাবে, জম্মু বেশিরভাগ অংশ, কাশ্মীর উপত্যকা, লাডাখ এবং সিয়াচেন হিমবাহ নিয়ে প্রায় ৪৩% অঞ্চল শাসন করছে। পাকিস্তান এই দাবির বিরোধিতা করে, যারা প্রায় কাশ্মীরের ৩৭% নিয়ন্ত্রণ করে- এর মধ্যে আছে আজাদ কাশ্মীর এবং গিলগিট বাল্টিস্থানের উত্তরাঞ্চল।

কাশ্মীরি বিদ্রোহীরা এবং ভারত সরকারের মধ্যে বিরোধের মূল বিষয়টি হল স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন। কাশ্মীরের গণতান্ত্রিক উন্নয়ন ১৯৭০-এর শেষভাগ পর্যন্ত ছিল সীমিত এবং ১৯৮৮ সালের মধ্যে ভারত সরকার কত্তৃক প্রদত্ত বহু গণতান্ত্রিক সংস্কার বাতিল হয়ে গিয়েছিল । অহিংস পথে অসন্তোষ জ্ঞাপন করার আর কোনো রাস্তাই খোলা ছিল না তাই ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার জন্য বিদ্রোহীদের হিংসাত্মক আন্দোলনের সমর্থন নাটকীয়ভাবে বাড়তে থাকে। ১৯৮৭ সালে বিতর্কিত বিধানসভা নির্বাচন রাজ্যের বিধানসভার কিছু সদস্যদের সশস্ত্র বিদ্রোহীগোষ্ঠী গঠনে অনুঘটকের কাজ করেছিল। ১৯৮৮ সালের জুলাই মাসে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল, ধর্মঘট এবং আক্রমণের মাধ্যমে শুরু হয় কাশ্মীরের অস্থিরতা।

যদিও জম্মু ও কাশ্মীরের অশান্তির ফলে হাজারো মানুষ মারা গেছে, তবে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে দেখা গেছে যে সংঘাতে প্রাণহানীর পরিমাণ অনেকটাই কম। প্রতিবাদী আন্দোলন ভারত সরকারের কাছে কাশ্মীরের সমস্যা ও ক্ষোভ জানানোর শক্তি যুগিয়েছে, বিশেষ করে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে, যারা ১৯৮৯ সালে থেকে ভারত শাসিত কাশ্মীরে সক্রিয় রয়েছে । যদিও বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠী ২০০৮ সালের নির্বাচন বয়কটের ডাক দেয় তবুও বহু সংখ্যক ভোটার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে এবং জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার এই নির্বাচনকে সাধারণভাবে নিরপেক্ষ হিসাবে গণ্য করে। এই নির্বাচনে জয়লাভ করে ভারতপন্থী জম্মু ও কাশ্মীর ন্যাশানাল কনফারেন্স রাজ্যে সরকার গঠন করে। ভয়েস অফ আমেরিকা অনুযায়ী, বহু বিশ্লেষকের মতে এই নির্বাচনে উচ্চ সংখ্যক ভোটারের উপস্থিতি - কাশ্মীরের সাধারণ মানুষের ভারতের শাসনকে সমর্থন করার ইঙ্গিত দেয়। কাশ্মীরের একজন বিশিষ্ট বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সাজ্জাদ লোন যদিও দাবি করেন "উচ্চ সংখ্যক ভোটদানের হার"-কে কখনই কাশ্মীরিরা যে আর স্বাধীনতা চান না তার একটি ইঙ্গিত হিসাবে গ্রহণ না করা হয়। ২০০৯ ও ২০১০ সালে আবার অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে।

সাফি এর ছবি

চলুক

দিগন্ত এর ছবি

ভাল লেখা। কাশ্মীরে স্বল্প বা দীর্ঘমেয়াদী কোন সমাধান সূত্র আসতে হলে তা গণভোটের মাধ্যমেই আসবে। এই সরল সত্য ভারতের কোন সরকার স্বীকার না করা অবধি কাশ্মীর উপত্যকা জেলখানা হয়েই থাকবে। গণভোটের মূল প্রস্তাবে পাকিস্তানকে সরে আসার কথা বলা থাকলে ভারতের স্ব-উদ্যোগে এখন নিজের অংশে ভোট আয়োজন করা উচিত। বরং জম্মু বা লাদাখ যারা মূল ভারত থেকে আলাদা হতে চায় না, তাদের জন্য ভোট আলাদা করা যেতে পারে। মূল গণভোট প্রস্তাবে ভারত বা পাকিস্তানে যোগদানের বিষয়ের পরিবর্তে স্বল্প-মেয়াদে সীমিত স্বায়ত্তশাসনের প্রস্তাবও রাখা যেতে পারে। কানাডা যেটা ক্যুবেকের জন্য করেছে সেরকম কিছু করা যেতে পারে।

কাশ্মীর ভারত থেকে আলাদা হলে ভারতের লাভ ছাড়া লোকসান আমি কিছু দেখি না। ঔপনিবেশিকতা দুই পক্ষের জন্যই খারাপ। কাশ্মীরকে ভারতের মধ্যে রাখার জন্য যেই পরিমাণ রিসোর্স নষ্ট হয় তা ভাল কাজে ব্যবহার করা যায়। একি বিষয় কাশ্মীরিদের জন্যও সত্য। তবে দুঃখের বিষয় আগামী কয়েক দশকে এই অবস্থার পরিবর্তনের কোন সম্ভাবনা দেখি না।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

ইন্দ্রনীল গাঙগুলি  এর ছবি

আরেকটা ব্যাপার , লাখে লাখে কাশ্মীরি হিন্দু বিতাড়ন ও হত্যা সেটা নিয়েও লিখুন।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।